Blog

  • ED:  শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    ED: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে চিনা (China) ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা VIVO-র বিরুদ্ধে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। আর্থিক লেনদেনে কারচুপির অভিযোগে বিখ্যাত ওই চিনা মোবাইল সংস্থার (Chinese mobile company) অন্তত ৪০ ঠিকানায় তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিনা সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি নজর দিচ্ছে সরকার। সেই কারণেই এদিনের তল্লাশি বলে ইডি সূত্রের খবর।

    কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার বেশ কয়েকটি কারখানা ও শোরুম রয়েছে। সেগুলিতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সংস্থার লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কোনওরকম অনিয়ম রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।  

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আরও এক চিনা সংস্থার বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি এদেশে একটি ব্র্যান্ডেড মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বেআইনিভাবে টাকা সরানোর অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আতসকাচের তলায় রয়েছে আরও এক চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন 

    ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে হয় সেনা সংঘর্ষ। তার পর থেকেই দেশে চিনা সংস্থাগুলির কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছে দিল্লি। ২০০ চিনা অ্যাপকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। চিনা ঋণদানের অ্যাপগুলির ওপরও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

  • Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (IT ministry) যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ট্যুইটারকে (Twiter)। সোমবারের মধ্যে এ প্রসঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানাতে হত মাইক্রো ব্লগিং সাইটটিকে। আগেই ট্যুইটারকে এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছিল মোদি সরকার। ট্যুইটারকে  (Twiter India) ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার শেষ সুযোগ দিয়েছিল ভারত সরকার। সরকারের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের বিচারবিভাগীয় দল পর্যালোচনা করছে। শীঘ্রই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছিল, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে ভারত সরকারের সব শর্ত মানতে হবে ট্যুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে ট্যুইটারকেই। ভারত সরকারের অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি ধারায় কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নোটিশগুলো কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ট্যুইটার। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি যদি তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    ভারতে নিজস্ব আধিকারিক নিয়োগের বিষয়েও ট্যুইটারকে শেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়া ও নেট মাধ্যমের বিষয়ে যে ডিজিটাল আইন এনেছে ভারত সরকার, সেই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ট্যুইটারকে। “ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় যে সমস্ত আইন, তা অবিলম্বে মানতে হবে ট্যুইটারকে। নিয়ম না মানলে ভবিষ্যতে এই আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সংস্থাকে” জানাল কেন্দ্র। সম্প্রতি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে ট্যুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত দেখা গিয়েছে। এই নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ততা ও বিলম্বের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের বিরুদ্ধে নোটিশও পাঠিয়েছে। 

  • Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে পট পরিবর্তনের সত্যিকারের শিল্পী কে, কী জানালেন শিন্ডে?

    Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে পট পরিবর্তনের সত্যিকারের শিল্পী কে, কী জানালেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)পালাবদলের পিছনে রয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের (Fadnavis) মস্তিষ্ক। তাঁর অভিজ্ঞতা আর প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয়েছে বিজেপিশিন্ডে সরকার। আস্থা ভোটে জয় পেয়েই এমনটা জানিয়েছেন খোদ একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। জয়ের পর শিণ্ডে জানান, মুম্বই ছাড়ার পর প্রতিনিয়ত ফড়ণবিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। গুয়াহাটির হোটেলে যখন সব বিধায়করা ঘুমোতেন তখন চলত শিন্ডে-ফড়ণবিশের আলোচনা, এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

    শিন্ডে বলেন, বিধান পরিষদ ভোটে তাঁর সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তার পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কীভাবে পুলিশের নজরদারি এড়িয়েছিলেন সেটাও জানান তিনি। শিণ্ডে বলেন, ‘আমি জানি কীভাবে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে কাউকে ট্র্যাক করা যায়। আমি এটাও জানি কীভাবে এই নজরদারি এড়ানো যায়।’ দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। সোমবারই আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। তার পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাষণ দেওয়ার সময়, বিভিন্ন পক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে যে ঘটনা একের পর এক ঘটল, তাঁর ‘তার সত্যিকারের শিল্পী’ হলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন তাঁর দফতরে বার বার নাক গলাতেন অজিত পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরেরা, যা তিনি একেবারেই পছন্দ করতেন না। শিন্ডে জানান, এর আগে দুবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন তিনি কিন্তু উদ্ধব গোষ্ঠী তাঁকে আটকে দেয়। কোনও সাধারণ মানুষও যে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে তা মানতে চাইত না উদ্ধব-গোষ্ঠী, দাবি শিন্ডের।

    আরও পড়ুন: রাজনীতি করি না! মানুষের জন্য কাজ করি, বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় মহাগুরু

    অন্যদিকে, সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোটে (floor test)অংশ না নেওয়ার জন্য ট্র্যাফিক জ্যামকে দায়ী করলেন, কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan)। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন সোমবারের আস্থা ভোটে অংশ নেননি। সময় মতো বিধানসভায় পৌঁছতে না পারার কারণেই এই বিধায়করা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে অশোক চহ্বান বলেন, ‘সাধারণত, প্রথমে আলোচনা হয়, তারপর ভোট হয়। কিন্তু এদিন তা হয়নি। যাইহোক, যেহেতু সরকার ১৬৪ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে, তাই বিরোধীদের সংখ্যায় কিছু যায় আসে না।’ এক শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে বিধায়কদের অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে না। ‘যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধায়করা অনুপস্থিত থেকে থাকেন, তবে দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

  • Coronavirus Updates: করোনা সংক্রমণ কমলেও জারি সতর্কতা, কতটা মারাত্মক নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

    Coronavirus Updates: করোনা সংক্রমণ কমলেও জারি সতর্কতা, কতটা মারাত্মক নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমল করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে ১৩ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬ জন। সোমবার সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার ১৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদিকে, ভারতে ফের করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইজরায়েলি গবেষকদের।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা বিধি জারি করেছিল কয়েকটি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ছিল উর্ধ্বমুখী। তবে গত কয়েক দিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫১৫ জন। দিন কয়েক আগে পর্যন্তও সংখ্যাটি ছিল তিন হাজারের ঘরে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩২২জন। সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল চার হাজারের ঘরে। সংক্রমণ কমেছে তামিলনাড়ুতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৫৪ জন। ওই সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত হয়েছেন ১১৩২ জন। যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম।

    আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    এদিকে, সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে একদল ইজরায়েলি গবেষক। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। ভারতের ১০টা রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ওই গবেষকদের দাবি, ২ জুলাই পর্যন্ত ভারতের যে রাজ্যগুলিতে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে, সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা।

    আরও পড়ুন : ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তবে কেবল ভারত নয়, বিশ্বের আরও সাতটি দেশেও করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে আইসিএমআরের গবেষকদের দাবি, করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই এত উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ যে ভ্যারিয়েন্টের কথা ইজরায়েলি গবেষকরা জানাচ্ছেন, সেই ভ্যারিয়েন্টের তেমন তেজ নেই। সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে সামান্য উপসর্গই দেখা গিয়েছে। ওই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। তাই এখনই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই দাবি আইসিএমআরের গবেষকদের।

     

  • Maharashtra Update: শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    Maharashtra Update: শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) সরিয়ে দেওয়া হল শিবসেনার (Shiv Sena) সমস্ত পদ থেকে। শিবসেনার তরফে জারি করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বলেছেন শিন্ডে দল বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। তিনি স্বেচ্ছায় দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিবসেনার তরফে। উদ্ধব ঠাকরের চিঠিতে বলা হয়েছে, একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শিবসেনার তরফে এ ব্যাপারে তাঁর ওপরে যাবতীয় ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্ধবকে বলেছিলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডে। উদ্ধব তাতে রাজি হননি। তার জেরে অনুগত ৩৯ জন বিধায়ককে নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান গুয়াহাটি। তার পরেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে আস্থা ভোট দাবি করেন। রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন উদ্ধব। যদিও আস্থাভোটের ওপরে স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিতে না চাওয়ায় ২৯ জুন রাতে ফেসবুক লাইভ করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। ৩০ জুন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এদিকে, লোকসভায়ও শিবসেনার অনেক সদস্য শিন্ডের পক্ষ নিয়ে নেন। উদ্ধব শিবিরে থাকা ১৬ জন বিধায়কের মধ্যেও ১৪ জন শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    এদিকে, শিন্ডেকে সবক শেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন উদ্ধব। তার জেরে শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শিন্ডেকে পাঠানো চিঠিতে উদ্ধব লিখেছেন, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে আপনাকে দল বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে। আপনি শিবসেনার সদস্য পদও ছেড়ে দিয়েছেন। তাই আপনার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধব লিখেছেন, শিবসেনার দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে আমি একনাথ শিন্ডেকে সমস্ত দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এই অধিকার ব্যবহার করছি।

     

  • Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে টাকা আত্মসাতের অনেক ঘটনাই আপনারা শুনেছেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে পুরোহিতরাও টাকা আত্মসাৎ করেছে ,তাও আবার মন্দিরের নামে! হ্যাঁ, এমনই অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের (Karnataka) কালাবুরাগিতে (Kalaburagi)। কালাবুরাগির দেবলাঙ্গানাপুর মন্দিরের (Devalaganapur temple) নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ‘ডোনেশন’ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুরোহিতের নামে।  অভিযোগ সামনে আসতেই  তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুরোহিতরা পলাতক। 

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    উত্তর কর্ণাটকের গঙ্গাপুর নদীর পাশে থাকা এই দত্তাত্রেয় (Sri Dattatreya) মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়। শুধুমাত্র এই রাজ্যই নয়, পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা থেকেও অনেক ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পুরোহিতরা এরকম ৮ টি ওয়েবসাইট বানিয়েছে। গত ৪ বছর ধরে ভুয়ো ওয়েবসাইটের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তারা মানুষের থেকে ‘ডোনেশন’ এর নামে নিয়েছে। আর ওই সমস্ত টাকা তারা পরে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছে। আরও জানা যায়, এক একটি পুজোর জন্য পুরোহিতরা ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করত।

    আরও পড়ুন: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরটি রাজ্যের মুজুরাই(Muzurai) দফতর ও কালাবুরাগি ডেপুটি কমিশনার যশওয়ান্ত গুরুকরের(Yashwant Gurukar) আওতায় রয়েছে। তিনি এই মন্দিরের টাকার অডিট করতে গিয়ে এই বিষয়ে জানতে পারেন ও পুরোহিতদের অপকীর্তির পর্দা ফাঁস করেন। তারপরেই থানায় এই পুরোহিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, প্রায় ২০০০ জন ভক্তের টাকা এই ভুয়ো ওয়াবসাইটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে পুরোহিতরা। পুলিশের আরও সন্দেহ যে,  হয়ত মন্দিরের ডোনেশন বক্স থেকেও টাকা সরিয়েছে পুরোহিতরা। এব্যাপারে প্রমাণও মিলেছে।  সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখা গেছে, যেদিনই ডোনেশন বক্সের টাকা গোনা হত সেদিনই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ঢাকা থাকত। অন্যদিকে কালাবুরাগির ডেপুটি কমিশনার (deputy commissioner) যশওয়ান্ত গুরুকর  অভিযুক্ত পুরোহিতদের থেকে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আরও  তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে আরও তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

  • India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতের (India) সঙ্গে রাশিয়ার (Russia) বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে চলেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি (President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ান ফেডারেশনের (Russian Federation) সঙ্গে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলোর বাণিজ্য ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ায় ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন খোলার আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার বাজারে চিনা গাড়ি, সরঞ্জাম এবং হার্ডওয়্যারের শেয়ার বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। এর ফলে  ব্রিকস দেশগুলোতে রাশিয়ার উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। 

    আরও পড়ুন:দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতে থাকলে রাশিয়া ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের পর চিন (China) ও ভারতে জ্বালানি তেলের রফতানিও বাড়িয়েছে রাশিয়া। এজন্য দামেও ছাড় দিয়েছে পুতিনের দেশ। চলতি মাসের মে মাসে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল আমদানি করেছে চিন ও ভারত। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সার (Fertilisers) ব্রিকস দেশগুলিতে রফতানি করা হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন যে, রুশ আইটি কোম্পানিগুলিও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) ধীরে ধীরে প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    পুতিন আরও জানিয়েছেন, ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে এক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে এএকটি গোচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার বাণিজ্যিক সিস্টেমটি ব্রিকসের পাঁচটি দেশের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করার জন্যে অভিন্ন মুদ্রাভাণ্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। এই পরিকল্পনা সফল হলে  খুব সহজেই বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত সহ ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলি।

  • Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠায় বসে ছিলেন ইডির আধিকারিকদের সামনে। জবাবও দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নবাণের। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। বিদেশ থাকায় নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারলেও, পরে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবারও দু দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকে টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় রাহুলকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে।

    আরও পড়ুন : কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    ইডি সূত্রে খবর, রাহুল বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব দেননি। ইডির এক আধিকারিক বলেন, তিনি প্রায় ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। ওই প্রশ্ন গুলির সময় তিনি জানান, তিনি খুবই ক্লান্ত। রাহুলকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে জেরা করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, রাহুল যে উত্তরগুলি দিয়েছেন, সেগুলি তিনি আবার খুঁটিয়ে দেখেছেন, তাই সময় লেগেছে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সপ্তাহখানেক ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। সম্প্রতি পান ছাড়া। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন সোনিয়া। এমতাবস্থায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। বুধবার সোনিয়া নিজেই ইডি আধিকারিকদের চিঠি লিখে এই আর্জি জানিয়েছেন। ইডি তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। সূত্রের খবর, সোনিয়া হাজিরা দিলে রাহুল এবং সোনিয়াকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।

     

  • Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ধসে বিপর্যস্ত মণিপুর (Manipur)। এবার ধসের (Landslide) কবলে পড়ল টেরিটোরিয়াল আর্মির (Army) সদস্যরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও আসম রাইফেলের জওয়ানদের। এখনও পর্যন্ত দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯ জন সেনা। একজন রেলের কর্মী। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জন সেনা বহিনীর কর্মী ও ৫ জন সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ থেকতে ৫০ জন ধসে আটকে রয়েছে।

    এদিন নোনে জেলায় ধসের মুখে পড়ে ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির একটি ক্যাম্প। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান,  ইম্ফল-জিরিবাম রেলওয়ে প্রজেক্টের কাজ চলছিল বলেই নিরাপত্তার জন্য সেখানে মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। বুধবার রাতে তুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কাছে ধসের ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ ৫০ জনের মধ্যে পাঁচ জন সাধারণ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপক ধসে ইজেই নদীর একাংশ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে নিচু এলাকা বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা।

    আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    ধসের কারণে আটকে যায় অনেকে। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক মানুষ। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন নতুন করে ধস হয়। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয় জানান তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার।

    পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, মণিপুরের টুপুল রেলস্টেশনের কাছে ধসের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। আরও দুটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তিনি জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরও দু’টি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীর কাছাকাছি না আসার এবং ধসের কারণে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    স্থানীয়দের মতে, বেশ কয়েকদিন ধরে মণিপুরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই সময় ধসের প্রবণতা অনেকটাই বেশি থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল।

  • AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্ত্রেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিয়েছেন। আমেরিকা হোক কিংবা ফ্রান্স, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এতদিন  উন্নত দেশগুলির উপর ভরসা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে এবার আর বিদেশ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম না কিনে,যৌথভাবে দেশের মাটিতেই তা তৈরি করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া না দিলেও এখন এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। বিশ্বখ্যাত সংস্থা জেনারেল ইঞ্জিন (GE) ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক দেশের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের (5th Generation) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (Advanced Medium Combat Aircraft) বা AMCA. 

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    ‘সুপার ক্রুজ’ ক্ষমতাসম্পন্ন  AMCA তৈরির সঙ্গে, ভারত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (Stealth Aricraft) আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে থাকবে ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স এ ধরনের ফাইটার জেট তৈরি করেছে। AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত ফ্রান্সের সাফ্রাঁ (Safran) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে আসরে নামে আমেরিকা।  AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত প্রথম আমেরিকার সাহায্য চায় কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্থগিত রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পুনরায় সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। শুধু তাই নয় এবার একেবারে সর্বাধুনিক ইঞ্জিন দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। 

    সূত্রের খবর, AMCA-র যে প্রোটোটাইপ ভারত নির্মাণ করছে, তাতে ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ (F414-INS6) ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এই মডেলটি ৯৮ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2)- মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (MCA) জন্য ৯৯টা ইঞ্জিনের বরাত জিই-কে দিয়েছে। ইতিমধ্য়ে ১২টি চলে এসেছে। যেগুলি তেজস মার্ক ২ প্রোটোটাইপে শুক্ত করা হবে। এখন আমেরিকা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত চাইলে এই ইঞ্জিনের সর্বাধুনিক মডেল এফ৪১৪-জিই-৪০০ (F414-GE-400) মডেলটি নিতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই মডেলটি ১১৬ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা AMCA-র জন্য আদর্শ। ভারতের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন দিয়ে AMCA-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে। পরবর্তী ৫টি স্কোয়াড্রনকে নতুন ১১০-১২০ কিলোনিউটন শ্রেণির ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের যৌথভাবে এই নতুন ইঞ্জিন তৈরি করার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের Safran এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rolls Royce এবং GE এই তিন সংস্থার মধ্যে যে কোনও কেউ AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরি করবে।  ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং একটি ভারতীয় সংস্থারও এই কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকা দাবি করে, রপ্তানিযোগ্য প্রযুক্তি ভারতের জন্য কী কাজে লাগবে তা- আগে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। এখন এ প্রসঙ্গ স্বচ্ছ ধারণা পেতেই চুক্তিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

LinkedIn
Share