Blog

  • Maharashtra Crisis: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    Maharashtra Crisis: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নন, মহারাষ্ট্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর নাম একনাথ শিন্ডে। 

    এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজে। তিনি বলেন, হিন্দুত্ব ও বালাসাহেবের আদর্শের পাশাপাশি, আমাদের বিধায়কদের কেন্দ্রগুলিতে উন্নয়নের অ্যাজেন্ডাকে মাথায় রেখেই একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধে সাড়ে সাতটায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি।

    পরতে পরতে নাটক। প্রতি মুহূর্তে পট-পরিবর্তন। মহারাষ্ট্রের মহাসংকট যে কোনও বলিউড ছবিকেও হার খাওয়াবে। এদিন দুপুর পর্যন্ত যে খবর আসছিল, তা হল, ফড়নবিশ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, আর একনাথ শিন্ডে হবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফড়নবিশের ঘোষণা কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছে। তিনি এও জানিয়ে দেন, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভাতেও তিনি থাকছেন না। বললেন, আমি বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করব। 

    তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান একনাথ শিন্ডে। বললেন, এটা তাদের উদারতা। আমার থেকে তাদের সমর্থন, আসন-শক্তি বেশি। তা সত্ত্বেও আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানালেন। এটাই বা কে করেন? তিনি যোগ করেন, এমভিএ সরকারে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। বললেন, বালা সাহেবের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    ঘোষণার ঠিক আগেই শিন্ডে ও ফড়নবিশ একসঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারিরর কাছে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন। সেখানেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে মিষ্টিমুখ করান রাজ্যপাল। এদিকে, শিন্ডের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই রাস্তায় নেমে উৎসব পালন করতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। 

    এদিকে সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপির ২৫ ও শিণ্ডে শিবিরের ১৩ জন পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব। এদিন সন্ধেয় মহারাষ্ট্রে ফের বৈঠক রয়েছে বিজেপি-র। নয়া সরকার গড়ার আগে সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে একাধিক বিষয়ে। কাকে কোন দফতর দেওয়া হবে, সেই নিয়েও বিশদ আলোচনা হতে চলেছে ওই বৈঠকে।

    দুসপ্তাহ ধরে টানাপোড়েনের শেষে গতকাল রাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে প্রমাণ করা অসম্ভব, তা কার্যত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত অবমাননার (Court of Contempt) মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal Police DG), ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার (Superintendent of Police) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রুল (Rule) জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাই (Netai) গ্রামে যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu) বাধা দেওয়াতেই শোকজ করা হয়েছে এই তিন আধিকারিককে। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে জবাব দিতে হবে তাঁদের। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    ফি-বছর ৮ জানুয়ারি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিনেই ঘটেছিল নেতাই গণহত্যা (Netai Massacre)। সিপিএমের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসী। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর দিনটি পালন করেন শুভেন্দু। প্রতি বারের মতো চলতি বছরও ৮ তারিখ সকালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নেতাই যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। নেতাইয়ের ২০ কিলোমিটার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। ডিজি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশেই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই নেতাই না গিয়ে ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুন : ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    আদালত সূত্রে খবর, এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের (Justice Sabyasachi Bhattacharya) এজলাসে হাজির হয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন, রাজ্যর যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যই তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। তার পরেও নেতাই যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এর পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আলাদত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে তাঁদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

     

  • Teesta Setalvad: তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের, কী বলল ভারত? 

    Teesta Setalvad: তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের, কী বলল ভারত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad) ও দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তিও দাবি করেছিল তারা। বুধবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত (India)। জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তিস্তা ও ওই দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশের এসটিএফ (STF)। এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে।

    সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে করা একটি ট্যুইটে তিস্তা সহ তিনজনের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এবং দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়। ট্যুইটারে মানবাধিকার পরিষদ লিখেছে, তিস্তা শেতলবাদকে আটক ও গ্রেফতার করার ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলন করা এবং ২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    এদিকে, জুবেরের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতারেসের মুখপাত্র। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক কী লিখলেন বা ট্যুইট করলেন, সেজন্য তাঁকে জেলে বন্দি করা যায় না।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, তিস্তা শেতলবাদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের মন্তব্য তাঁরা শুনেছেন। বাগচি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও ভারতের স্বাধীন বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় নাক গলানোর শামিল। দেশের বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভারত সরকার আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ধরনের আইনি পদক্ষেপকে আন্দোলন-দমন হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।

    আরও পড়ুন : কে এই তিস্তা শেতলবাদ? জানুন

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় তিস্তা ও দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে। দিল্লিতে সোমবার গ্রেফতার করা হয় অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তৃতা নিরন্তর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা জুবেরকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালের একটি ট্যুইটের জেরে। এর পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের পাশাপাশি মহাসচিবের মুখপাত্রের তরফেও প্রকাশ করা হয় উদ্বেগ।

     

     

  • BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সহযোগিতায় ব্রিকস(BRICS) সামিটে পাকিস্তানের (Pakistan) উপস্থিতি আটকে দিল ভারত (India)। বহু চেষ্টা করেও শেহবাজ শরিফের দেশ ঢুকতে পারল না ব্রিকসে। যদিও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল আলজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার মতো ১৩টি দেশ। ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি সরকারের জয় হিসেবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, পাকিস্তানকে আটকাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল ভারত। তাতে সাফল্য মিলল কারণ চিনও তার সব চেয়ে কাছের বন্ধু পাকিস্তানের হাত ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সহমত হয়েছে। ঘটনায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ ইসলামাবাদ।  

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ব্রিকস। জুনের ২৪ তারিখে শীর্ষ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের আগে আগে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। প্রকাশ্যে বলা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি ব্রিকসে পাকিস্তানের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যায় সেখানেই।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    কূটনৈতিক মহলের মতে, ব্রিকস বৈঠকে যে দেশগুলি যোগ দিয়েছে, তাদের বাজার ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে পাক অর্থনীতি। পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার পর সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ব্রিকসের মঞ্চে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কথোপকথন আমরা নজর করেছি। তাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ যোগ দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একটি দেশ পাকিস্তানকে ওই মঞ্চে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়েছে। বিবৃতির লক্ষ্য যে ভারত, তা স্পষ্ট। এর জবাবে চিন সরকার যা বলেছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই হতাশ হওয়ার কথা পাকিস্তানের। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং ভারতের পক্ষ নিয়ে সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির আলোচনার মাধ্যমে।

    চিনের এই বিবৃতিতে যথেষ্ট হতাশ পাক সরকার। ইমরান খানের বিদায়ের পর দেশের অর্থনীতির হাল ধরতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ পাকিস্তানের নয়া সরকার। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ। দৃশ্যতই পাকিস্তানকে একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল শি জিন পিংয়ের দেশের তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের পক্ষ নিয়ে সেই কাজটিই করে দেখাল ড্রাগনের দেশ।

     

  • Sanjay Raut: ইডির দফতরে হাজিরা সঞ্জয় রাউতের, চলল ১০ ঘণ্টার জেরা

    Sanjay Raut: ইডির দফতরে হাজিরা সঞ্জয় রাউতের, চলল ১০ ঘণ্টার জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেরবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ইডির (Enforcement Directorate) জেরা এড়াতে পারলেন না শিবসেনার (Shiv Sena)  নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। শুক্রবার বেআইনি লেনদেনের মামলায় তাঁকে ১০ ঘণ্টা জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মহারাষ্ট্রে গত দুসপ্তাহের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অবসান হয়েছে বৃহস্পতিবার। পতন হয়েছে মহা বিকাশ আঘারি সরকারের। শিবসেনার ভবিষ্যতও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। আর এর মাঝেই দলের প্রথম সারির নেতা ইডির নজরে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    জমি দুর্নীতি মামলায় এর আগেও রাউতকে সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু এতদিন তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তবে একনাথ শিণ্ডের শপথের পরদিন তিনি ইডি দফতরে হাজিরা  দিয়েছেন। সঞ্জয় হাজিরা দেওয়ার আগেই আবার মহা বিকাশ আঘাড়ির আরেক নেতা তথা প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পওয়ারও (Sharad Pawar) এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির নোটিস পেয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন সকালেই ট্যুইট করে সঞ্জয় রাউত জানান, তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন। শিব সেনা সমর্থকরা যাতে ইডি দফতরের সামনে জড়ো না হন, সেই অনুরোধও করেন তিনি। ইডি দফতরে গিয়ে সঞ্জয় রাউতের সাফ কথা, “আমি কাউকে ভয় পাই না। জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। যদি আমার তলবের পিছনে রাজনীতি থাকে, তাহলেও সেটা পরে বোঝা যাবে। এখন আমার মনে হচ্ছে, আমি নিরপেক্ষ একটি এজেন্সিতে যাচ্ছি। আমি ইডিকে বিশ্বাস করি।”

    আরও পড়ুন: আয়কর দফতর ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে, নোটিশ পেয়ে বললেন পাওয়ার

    শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বালার্ড এস্টেটের ইডি দফতরে হাজিরা দেন সঞ্জয় রাউত। রাত সাড়ে নটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

    একটি হাউসিং কমপ্লেক্স তৈরিতে বিপুল আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে শিবসেনা সাংসদ বলেন,  তদন্তকারী সংস্থার কাজ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা। সেই কারণেই হাজিরা। আগামী দিনেও তদন্তকারী সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে জানান শিবসেনা নেতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাউতের আলিবাগের আটটি জমি, দাদারের ফ্ল্যাটসহ সমস্ত সম্পত্তির খোঁজ নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গত এপ্রিল মাসেই সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীর নামে থাকা ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

     

     

  • RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) বর্তমানে চলছে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Crypto Currency) রমরমা কারবার। তবে বেসরকারি এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি যে অর্থনীতির বিপদ ডেকে আনতে পারে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন শক্তিকান্তের হুঁশিয়ারি, এই সব ডিজিটাল মুদ্রা লগ্নিকারীদের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভারতে অর্থনৈতিক এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আরবিআইয়ের যাবতীয় চেষ্টায়ও ঢালতে পারে জল।

    আরও পড়ুন : তিন মন্ত্রে বাজিমাত, ৭.৫% অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আশায় ভারত

    চলতি বছর বাজেটে রিজার্ভ ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা আনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা ঠেকাতে বাজারে চালু বিটকয়েন, এথেরিয়ামের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোগুলিকে ডিজিটাল সম্পদের তকমা দিয়ে লেনদেন করও চাপানো হয়েছে। তার পরেও চলছে রমরমা কারবার। এমতাবস্থায় সেগুলি সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাংকের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    তবে আরবিআইয়ের ডিজিটাল মুদ্রা কবে আসবে, সে ব্যাপারে এদিন কিছু বলেননি শক্তিকান্ত। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। খুব সতর্ক হয়ে এবং সাবধানে পরীক্ষা চালাচ্ছি আর এগোচ্ছি। কারণ এতে একাধিক ঝুঁকি আছে। সব চেয়ে বড় ঝুঁকি সাইবার নিরাপত্তা রক্ষা ও মুদ্রা জাল হওয়ার।

    আরও পড়ুন : ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির যে আদতে কোনও মূল্য নেই, এদিন তা জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর। বলেন, এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির বিন্দুমাত্রও মূল্য নেই। তাই এতে লগ্নি করলে যে কোনও মুহূর্তে ডুবতে হতে পারে। তিনি বলেন, লগ্নিকারীদের সাবধান করে দেওয়া আমার কর্তব্য। তাই কেউ নিজের দায়িত্বে ওই মুদ্রা কিনলে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই যেন এগোন।

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপদ সম্পর্কে এর আগেও একাধিকবার লগ্নিকারীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন শক্তিকান্ত। মাস কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি সবই এক। তা সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। ফাটকাবাজির মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও বিনিয়োগ তাই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।

     

  • CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

    CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

     

    মোহিত রায়

     

    যাঁরা নিত্য বিপদসংকুল জীবনযাপনে বাধ্য হন, তাঁরা ক্রমশঃ সেই বিপদের সম্ভাব্যতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যান। যে নির্মাণ শ্রমিক বাঁশের নড়বড়ে মাচায় কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছাড়াই রোজ কাজ করে যান তাঁর কাছে কোনও তথ্য পৌঁছয় না যে প্রতি বছরে কতজন এরকম নির্মাণ শ্রমিক দুর্ঘটনায় সম্মুখীন হন। কোনও বিপদ, সত্যি বা মিথ্যে, নিয়ে অনেক আলোচনা হলে মানুষ ভয় পায়। অর্থাৎ যে কোনও বিপদ সম্পর্কে, তার সম্ভাব্যতা বা ভয়াবহতা যাই হোক না কেন, মানুষের ভয় উদ্রেকের জন্য দরকার তা নিয়ে যথেষ্ট হৈচৈ করা। ভয় = বিপদ + হৈচৈ। যে সব ঘটনা বেশ হৈ চৈ ফেলে, টিভিতে চোখের সামনে আতঙ্ক ছড়ায় – খুন, জখম, আগুন – এসব খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যম বেশ হৈচৈ করে। কিন্তু যে বিপদ নীরবে আসে যেমন সর্পাঘাতে মৃত্যু (ভারতে বছরে গড়ে ৫৮০০০ জন, প্রতিদিন প্রায় ১৬০ জন) তা নিয়ে খুব একটা কথাবার্তা হয় না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকত্বহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ যে কোনও দিন আইনের নীরব সর্পাঘাতের অপেক্ষায় আছেন। বেশিরভাগ সেটা জেনেও ওই বাঁশের মাঁচার নির্মাণ শ্রমিকটির মতন ভবিতব্যের হাতে সব ছেড়ে বসে থাকেন। 

    নাগরিক না হলে কি হয়? ভারতের নাগরিকত্ব না থাকলে বা বিদেশ থেকে এসে এখানে থাকার উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকলে আপনি দেশের ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬ অনুযায়ী আপনি বিদেশি বলে গণ্য হবেন। এই অপরাধের জন্য সাজা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে এবং তারপর আপনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশে আপনাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। কিন্তু এসবের থেকেও বড় কথা এতদিন ধরে আপনার অর্জিত অর্থে সঞ্চিত ব্যাঙ্কের টাকা, আপনার বাড়ি, গাড়ি – সবই বেআইনি বলে প্রশ্নের মুখে পড়বে। আপনি শুধু নন, ১৯৮৭-র ১ জুলাইয়ের পর আপনার ছেলেমেয়ের জন্ম হলে তারাও বেআইনি বিদেশি। সুতরাং মেয়ে বিদেশে পড়তে যাবে বলে যে পাসপোর্ট করিয়েছিলেন সেটার আর কোনও দাম নেই। আপনি সরকারি চাকরি করেন, আপনার ছেলেও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি সবে পেয়েছে – এই সবই আপনি ও আপনার পুত্র হারাতে পারেন। অর্থাৎ আপনার অস্তিত্ব – আর্থিক, সাংসারিক সবই নির্ভর করছে নাগরিকত্বের উপর।

    আপনি বলবেন – আমার আধার কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে, প্যান কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে।  এ সবই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র। আর কি চাই। অনেক ছোটবড় নেতারাও তাই বলে বেড়াচ্ছেন। শ্রীমতী আলোরানি সরকার ভারতের নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র নিয়ে ২০১৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ও ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০২১-এর নির্বাচনের পর কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলায় (GA 4 of 2022 EP/2/2021) আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের অভিযোগ আসে। আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন। গত ২০ মে বিচারক বিবেক চৌধুরী তাঁর রায়ে আলোরানি সরকারকে ভারতীয় নাগরিক মানতে অস্বীকার করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আলোরানি সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন। এই নিবন্ধে আমরা আদালতে থাকা এই মামলার বিষয়ে আলোচনা কেবলমাত্র নাগরিকত্বের বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখব, মামলার অন্যান্য বিষয়ে নয়।
     
    আলোরানি সরকারের কিন্তু আধার কার্ড ইত্যাদি সবই ছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে “এটা বলা নিষ্প্রয়োজন যে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড ভারতের নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়।” আলোরানি সরকারের দাবি ছিল যে তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় কারণ তিনি ১৯৬৯ সালে বৈদ্যবাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু আদালত দেখেছে যে তাঁর বাবা-মা থাকেন বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) পিরোজপুর জেলায়। ছোটবেলায় আলোরানি তাঁর কাকার বাড়ি বৈদ্যবাটি চলে আসেন। ফলে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ থাকলেও তা তিনি করেননি।

    আলোরানি এসেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফলে তিনি ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবার জন্য আবেদনের কোনও ব্যবস্থাই এতকাল ছিল না। সুতরাং এদেশে তাঁরা বেআইনি বিদেশি। এর প্রতিকারে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে যে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অথবা আশঙ্কায় যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে এসেছেন, যাঁদের ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন ও ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে – তাঁরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য হবেন না। 

    কিন্তু এই আইনের রুলস বা বিধি না চালু হওয়ার দরুণ উদ্বাস্তুরা আইন হওয়া সত্ত্বেও নাগরিক হতে পারছেন না। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের উপর পুলিশ তাদের প্রয়োজন মতো নাগরিকত্বহীনতার অভিযোগ এনে, ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় ফেলছে – ভয় দেখিয়ে উৎকোচ নেওয়া থেকে শুরু করে কারাবাস। উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা এরকম অনেক ঘটনা জানেন, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগত প্রায় দুই কোটি হিন্দু-মুসলমানের এই ভীষণ সমস্যা সাম্প্রতিক কয়েক বছর বাদ দিলে গত ৪০ বছরে সংবাদমাধ্যমে বা মানবাধিকার চর্চায় কখনও স্থান পায়নি। নীরব সর্পাঘাত কিন্তু ঘটেই চলেছে।

    ২০০৬ সালে একটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগে হুগলির বলাগড়ের ৩৫ জন উদ্বাস্তুকে পুলিশ ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন জেলবন্দি রাখে। এঁরা সবাই গৃহস্থ মানুষ কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, জমির দলিল সব থাকা সত্ত্বেও আদালত তার কোনও মূল্য দেয়নি। ২০২০ সালে গোবরডাঙ্গা পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিক রাজু দেবনাথকে গ্রেফতার করে কয়েকটি অপরাধ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দেয়। রাজু দেবনাথের দাবি, গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিকদের কিছু অপরাধমূলক কাজ জনসমক্ষে আনায় তাঁর বিরুদ্ধে এইসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে রাজু দেবনাথের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যায়নি। সম্প্রতি রাজু দেবনাথ জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

    তাহলে বলাগড়ের উদ্বাস্তুরা, আলোরানি সরকার বা রাজু দেবনাথ – ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড – কোনটাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেয়নি। সুতরাং অনেক দলের নেতারা গলা ফাটিয়ে, চটি প্রচার পুস্তিকায় অনেক যুক্তিতর্ক লিখলেও, এইসব কার্ড যে আদালতে মূল্যহীন তা বারবার প্রমাণিত। আরও মনে রাখবেন, সব ক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করলে সাক্ষ্যপ্রমাণের দায়িত্ব – যে অভিযোগ করেছে তাঁর। কিন্তু একমাত্র ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬-এ মামলা হলে প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর নয়, আপনার। সুতরাং আপনার ও পরিবারের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা – সব নির্ভর করছে আপনার আইনি নাগরিকত্বের প্রমাণে। আর এই নাগরিকত্বহীনতার সর্পাঘাতে বিদ্ধ হতে পারেন শুধু সাধারণ উদ্বাস্তুরা নন, বিদ্ধ হতে পারেন গোপন উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গের অনেক জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রী। এখনই সচেষ্ট না হলে নীরবে সর্পাঘাতের জন্য তৈরি থাকুন। 

  • Jagannath Puri Rath Yatra: এই বিশেষ কাঠ ছাড়া তৈরিই হবে না পুরীর রথ, জানেন কি?

    Jagannath Puri Rath Yatra: এই বিশেষ কাঠ ছাড়া তৈরিই হবে না পুরীর রথ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রথযাত্রা (Rath Yatra 2022)। ভারতের বিভিন্ন স্থান-সহ ডাবলিন, নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো ও লাওসে-ও রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। তবে রথযাত্রার সবচেয়ে বড় উৎসবটি হয় অবশ্যই জগন্নাথ-ধাম (Jagannath Dham), ওড়িশার পুরীতে (Puri Odisha)। পুরীর রথ কিন্তু প্রতি বছর নতুন করে নির্মাণ করা হয়। অপরিবর্তিত থাকে রথের উচ্চতা-সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য। কারণ চাকার সংখ্যা থেকে নির্মাণে ব্যবহৃত কাঠের সংখ্যা, সবই বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

    পুরীর রথটি সম্পূর্ণই কাঠের তৈরি। তবে যে সে কাঠ হলে চলবে না। ফাঁসি ও ধাউসা গাছের কাঠ দিয়েই নির্মাণ করা হয় এই রথ। রথের নির্মাণ অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya) থেকে শুরু হয়। সেই কাঠ সংগ্রহ করা হয় মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী (Vasant Panchami) তিথিতে। আর সেই কাঠগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণে কাটা শুরু হয় রামনবমী (Ram Navami) তিথি থেকে। রথগুলিতে অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না। রথের পেরেকও তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রা এই তিনটি দেবতাকে উৎসর্গীকৃত তিনটি রথ সম্পূর্ণ করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে। 

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    পুরাণে কথিত আছে, প্রতি বছর মহানদীর (Mahanadi) স্রোতে ভেসে আসে রথ নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাঠ। পুরীর কাছে এক স্থানে সেই কাঠগুলি মহানদী থেকে তুলে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়। এরপর দসাপাল্লা নামে একটি স্থান থেকে একদল বিশেষ কাঠমিস্ত্রি এসে রথ নির্মাণ করে। দসাপাল্লা আগে একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এখানকার কাঠের মিস্ত্রিরা অত্যন্ত দক্ষ। রথযাত্রার শুরুর সময় থেকেই দসাপাল্লার কাঠমিস্ত্রিরাই রথ নির্মাণ করেন। রথের ছাউনি তৈরি হয় কাপড় দিয়ে। এতে ১,২০০ মিটার কাপড় লাগে। 

    পুরীর রথের মোট ৪২টি চাকা দেখা যায়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা – প্রত্যেকের আলাদা আলাদা রথ রয়েছে। জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ/গরুড়ধ্বজ/কপিধ্বজ৷ এই রথে রয়েছে ১৬টি চাকা ৷ এই ১৬টি চাকার একেকটি দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপুর প্রতিনিধিত্ব করে। বলরামের রথের নাম তালধ্বজ বা হলধ্বজ ৷ এর চাকার সংখ্যা ১৪৷ এই ১৪টি চাকায় ধরা থাকে ১৪টি ভুবনের কথা। আর সুভদ্রার রথ, দর্পদলন/দেবদলন/পদ্মধ্বজ। এই রথের ১২টি চাকা বোঝায় ১২ মাসই ভজনের সময়। 

    আরও পড়ুন: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    রথটি শুধুমাত্র কাঠের তৈরি বলে চলার সময় কাঠের ঘড়-ঘড় শব্দ হয়। কেউ কেউ এই শব্দে বিরক্ত বোধ করলেও এই শব্দ কিন্তু রথযাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আসলে হিন্দু ধর্মে শব্দের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ঘণ্টাধ্বনী থেকে মন্ত্রোচ্চারণ সব শব্দই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বেদে বলা হয়েছে ‘শব্দই ব্রহ্ম’। কাজজেই পুরীর রথের কাঠের চাকার ঘড়ঘড়ে শব্দেরও গুরুত্ব রয়েছে, একে বলা হয় বেদ। অর্থাত এই শব্দ বেদের মতোই সত্য।

    রথ থেকে দেবতার বিগ্রহ সবই কাঠ-নির্মিত হলেও পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রায় কিন্তু সোনাদানার অভাব নেই। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার যাবতীয় অলঙ্কারই থাকে সোনার। মোট ২০৮ কিলোগ্রাম ওজনের সোনার অলঙ্কারে সেজে মাসির বাড়ি রওনা হন তিন ভাই-বোন। আবার রথযাত্রার সূচনাটিও সোনায় মোড়া। পুরীর মহারাজা সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাড় দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করেন। ঝাড়ু দেওয়ার পরই পুরীর মন্দির থেকে বাইরে আসেন জগন্নাথ। পুরির রথযাত্রার এইসব উপাচার পোড়া পিঠা নামে পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    রথের দিন প্রতিটি রথকে পঞ্চাশ গজ দড়িতে বেঁধে আলাদা আলাদা ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় গুণ্ডিচাবাড়ি। রথের রশি টানার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কারণ এই কাজে সবচেয়ে পুন্য অর্জন করা যায় বলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন। বাংলায় রজ্জুতে সর্পভ্রমের প্রবাদ আছে। প্রতিবেশী দেশ ওড়িশার পুরীর এই রথের দড়ি কিন্তু সত্যি সত্যিই একটি সাপের কথা বলে। কথিত আছে বাসুকি নাগই নাকি রথের দড়ি হিসেবে নিজেকে নিবেদন করে। সেজন্য ভক্তরা বিশ্বাস করেন, রথের দড়ি ধরলে বাসুকিনাগের কৃপা লাভ হয়৷ 

    তবে যাঁরা দড়ি ধরার সুযোগ পান না, তাঁদেরও পুন্য অর্জনের উপায় আছে। পুরীর রথ চলার সময়, রাস্তায় যে চাকার দাগ পরে, তাও পবিত্র হিসেবে গন্য করা হয়। তিনটি রথের তিনটি দাগ— গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী – এই তিন পবিত্র নদীর সমান বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস, যাঁরা রথের দড়ি ধরার সুযোগ পান না, তাঁরা যদি চাকার এই তিনটি দাগের ধুলি গ্রহন করেন, তাহলে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীতে অবগাহনের (ডুব দিয়ে স্নান করার ন্যায়) ফল লাভ করেন৷

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

  • Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thackrey)। শিবসেনার (Shibsena) মুখপাত্র প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) জানান, মহা বিকাশ আগাড়ি অর্থাত্‍ শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট (Alliance) ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বিধায়কদের মুম্বই (Mumbai) ফিরে আসতে হবে।

    মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রধান দাবিই হল, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে উদ্ধবকে। তাঁরা চান উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ফিরুক পুরনো জোটে। অর্থাত্‍ বিজেপির সমর্থনে সরকার চালান উদ্ধব। সম্পর্ক ছিন্ন করুন কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে। তবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে তাঁর ভরসা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তার পরেই সমঝোতার প্রশ্ন।

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানান, একনাথকে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মুম্বই ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জোট ছাড়তে উদ্ধব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কিন্তু গুয়াহাটি (Guwahati) বসে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে মুম্বই এসে করতে হবে, বলে দাবি উদ্ধবের।

    তবে এর পাল্টা হিসেবে শিন্ডে জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে  সমস্ত ধরনের সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিন্ডে বলেন, “৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। কে বলছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গাড়ি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়। সবার মতামত চাওয়া হবে তারপর আমরা এগোব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, সবার সিদ্ধান্ত।”

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    শিবসেনার জোট ছাড়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি দায়ী। তারা পিছন থেকে এই কাজ করাচ্ছে। এভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করাবে বিজেপি।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন,”শিবসেনার তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও কথা এখনও জানানো হয়নি। তারা সরকারিভাবে কিছু জানালে তবেই ভাবনা-চিন্তা করা হবে।” এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন,”যে কোনও দল নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জোট ছাড়লে শিবসেনা তা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে জানাত। এখনও সেরকম কোনও খবর নেই।”

  • Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলায় (Narcotics Related Case) কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা অভিযুক্তের কাছ থেকে বেআইনি কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি (Videography) করে রাখতে হবে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে আদৌ কোনও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পরে পুলিশ জোর করে ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্টে সই করিয়েছে অভিযুক্তকে দিয়ে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র পেশের অভিযোগও উঠেছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। মামলাকারীদের বক্তব্য জানার পর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আজকাল সব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে। তাই মাদক মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং বা ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে পুলিশ আধিকারিকদের। কোনও পরিস্থিতিতেই এই নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। আদালতের এই নির্দেশের বিষয়ে যাতে দ্রুত রাজ্যের সব থানাকে ওয়াকিবহাল করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে। সকলে আদালতের নির্দেশ মানছেন কিনা, পুলিশ সুপারদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    যে মামলা ঘিরে এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, লালগোলা থানা এলাকার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম কবীর শেখ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে তাঁকে। ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্ট তৈরি করে জোর করে তাঁকে তাতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিনা ‘দোষে’ তাঁকে কারাবাসও করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

LinkedIn
Share