Blog

  • Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই, জানালেন পাওয়ার, নীতীশ

    Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই, জানালেন পাওয়ার, নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Polls)  দামামা বেজে গিয়েছে। কোমর কষে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষই। এমতাবস্থায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এনসিপি-র (NCP) শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar) জানিয়ে দিলেন, রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই তিনি। একই কথা জানিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও (Nitish kumar)।

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি চাইছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হোন সর্বসম্মতভাবে। সেজন্য বিজেপির তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh))। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাঁরাই ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন।

    আরও পড়ুন :রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    এদিকে, সলতে পাকাতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। বিজেপিকে মাত দিতে তারাও চাইছে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন দলের একজনকেই প্রার্থী করতে। সেই কারণেই তৃণমূল নেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠকে বসছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। সেখানেই চূড়ান্ত হতে পারে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের নাম।

    তবে রাষ্ট্রপতি পদে দৌড়ে তিনি যে নেই, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন পাওয়ার। বছর একাশির এই প্রবীণ নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে আমি নেই। আমি বিরোধীদের প্রার্থী হচ্ছি না। এদিকে, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবারই পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। রবিবার আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং-ও ফোন করেন এনসিপি প্রধানকে। তাঁদের ততক্ষণাৎ কিছু জানাননি পাওয়ার। জানালেন সোমবার। এমতাবস্থায় পাওয়ারের এই ঘোষণায় যথেষ্ট বিব্রত বিরোধীরা।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    এদিকে পাওয়ারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও জানিয়ে দিলেন, রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই তিনিও। অথচ জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল নীতিশের নাম। বিজেপির তরফেও কেন্দ্রের এক মন্ত্রী দেখা করেন নীতিশের সঙ্গে। তার পরেই জল্পনা ছড়ায় রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি শিবিরের বাজি হতে পারেন নীতীশ। সেই নীতিশই সোমবার স্বয়ং ঘোষণা করলেন, রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে রেসের ঘোড়া নন তিনি।

     

  • Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। শুক্রবার দহি-হান্ডি (Dahi Handi) উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ সমবেত হয়েছেন। মাসের শেষেই গণেশ চতুর্থী (Ganeshotsav )। কিন্তু উৎসবের মরশুমেই বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে অস্ত্রবোঝাই একটি নৌকো বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই নৌকার সন্ধান পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এদিন সকাল থেকেই উপকূলে নজরদারি চালান হয়। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর।

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল 

    যদিও এই ঘটনায় জঙ্গি নাশকতার কথা এখনই মানতে নারাজ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘জেলেরা একটি ১৬ মিটারের পরিত্যক্ত নৌকো খুঁজে পেয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ সেই নৌকোর তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে তিনটি AK-47 রাইফেল ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই নৌকোটি একজন অস্ট্রেলিয়ার মহিলার। মাস্কাট থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল। তবে মাঝ সমুদ্রেই কিছু গোলযোগ হয় এবং স্রোতের কারণে উপকূলের দিকে চলে এসেছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এটিএস-ও কাজ করছে এর উপর। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হবে।’ তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও দিকই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমি কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য় জানাচ্ছি যাতে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি না হয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    বৃহস্পতিবার  হরিহরেশ্বর ঘাটের কাছে নৌকোটিকে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসতে দেখা যায়। সেই নৌকো থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি AK-47, কার্তুজ ও বিস্ফোরক পদার্থ। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বই জুড়ে। ২৬/১১-র মতো পুনরায় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সময়ও এইভাবেই মুম্বইয়ে অস্ত্র এসে পৌঁছেছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। মুম্বই উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্য়বস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে সেই অঞ্চলে। আপাতত সদা সজাগ রয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনার তদন্তও জারি রয়েছে।

  • Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিষমদের (spurious liquor) বলি। হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির (Ghusuri) মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদের পরিবারের দাবি, বিষমদের বলি হয়েছেন এই সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি চোলাই ঠেকের (Hooch) বিষমদ খেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Howrah Police)।

    হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার ধর্মতলা এলাকায় রয়েছে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক। জানা গিয়েছে, ঠেকটি চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে একজন। এই ঠেকেই নিত্য যাতায়াত করে মদ্যপায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে ওই চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পুলিশকে না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।  

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    ঘটনার পরে পরেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছে ঠেকের মালিক। পরে যদিও গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে চোলাইয়ের ঠেকটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঠেকে নিত্য তৈরি হয় চোলাই। প্রকাশ্যেই বিক্রিও হয়। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই ঠেকমালিকের এই রমরমা কারবার। 

    আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    দিন কয়েক আগে বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধামানের দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় মদ-লটারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের সব থেকে বেশি আয় এই মদ থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের হাতে যে টাকা দিচ্ছেন, তা চলে যাচ্ছে পরিবারের পুরুষদের হাতে। সেই টাকায় তারা মদ খাচ্ছে। তাই এভাবে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও বিষমদের বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ইতি পড়েনি বিষমদে বলিতে। বর্ধমানের পর যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাওড়ার ঘুসুড়ি।

     

  • VVIP chopper scam: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে বায়ুসেনার চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব আদালতের

    VVIP chopper scam: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে বায়ুসেনার চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে (VVIP chopper scam) বায়ুসেনার (Indian Air Force) চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব করল দিল্লির বিশেষ আদালত।  ৩,৬০০ কোটি টাকার অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড (Agusta Westland) চপার দুর্নীতিতে সিবিআই (CBI) তাদের চার্জশিটে ওই চারজনের নাম দিয়েছিল।

    প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব তথা প্রাক্তন সিএজি শশীকান্ত শর্মার সঙ্গেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রাক্তন এয়ার ভাইস মার্সাল জসবীর সিং পানেসর ও তিনজন বায়ুসেনা অফিসারের। এই তিন অফিসার হলেন, ডেপুটি চিফ পাইলট এসএ কুন্তে, উইং কমান্ডার থমাস ম্যাথু এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এন সন্তোষ।

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    শশীকান্ত তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে যুগ্মসচিব ছিলেন যখন ১২টি হেলিকপ্টার কেনা হয়। এই চুক্তিতে নানান অসঙ্গতি নিয়ে ইউপিএ আমলে তুলকালাম হয়। কিন্তু কেরিয়ারে দ্রুত উন্নতি করেন শশীকান্ত। এরপর ২০১১-২০১৩-র মধ্য়ে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব। তারপর ২০১৭ অবধি সিএজি-র দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই সময়ই তার নাম জড়ায় এই দুর্নীতির সঙ্গে। শশীকান্তকে এপ্রিল মাসেই তলব করেছিল আদালত। সে সময় এই চারজনকে ডাকা হয়নি। এবার এই চারজনকে তলব করা হল। তাঁদেরকে আগামী ৩০ জুলাই আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড বা ভিভিআইপি চপার চুক্তি হিসেবে পরিচিত এই দুর্নীতির বিষয়টি ২০১৩ সালে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে। কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (UPA-II) সরকারের  বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। সংসদীয় কমিটির তদন্তে দাবি করা হয়, ২০০৬-০৭ সাল নাগাদ প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এই মডেলের ১২টি হেলিকপ্টার কিনতে একাধিক দালাল এবং ভারতের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, একাধিক প্রথম সারির কংগ্রেস নেতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ও যোগশাজস রয়েছে এই চুক্তির ক্ষেত্রে। একাধিকবার সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) থেকে শুরু করে এম ভিরাপ্পা মইলি (M Veerappa Moily), অস্কার ফার্নান্ডেজের (Oscar Fernandes) মতো নেতার নাম জড়িয়েছে। 

     

  • WhatsApp: নম্বর সেভ না করেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যায় মেসেজ? জেনে নিন পদ্ধতি

    WhatsApp: নম্বর সেভ না করেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যায় মেসেজ? জেনে নিন পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ। মেটা (Meta) মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে প্রায়ই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নতুন আপডেটগুলো দেওয়ায় ব্যবহারকারীরাও খুশী।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসে এবারে শেয়ার করুন ‘ভয়েস নোট’, নতুন ফিচার লঞ্চ সংস্থার

    তবে আজ কোনও নতুন আপডেটের বিষয়ে বলা হবে না। আজ আলোচনা করা হবে হোয়াটসঅ্যাপের কিছু ট্রিকস বা টোটকা নিয়ে। আপনারা সবাই জানেন হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে কিছু মেসেজ করতে গেলে প্রথমে নম্বরটিকে ফোনে সেভ করতে হয়। তারপরেই সেই নম্বরে কিছু পাঠানো যায়। কিন্তু জানেন কি এই কাজ না করেও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ করা সম্ভব? নম্বর সেভ না করেই কীভাবে কাউকে মেসেজ করবেন তার পদ্ধতি জেনে নিন। এই পদ্ধতিটির নাম ক্লিক-টু-চ্যাট ফিচার (Click-to-Chat Feature)। কিন্তু এই ফিচারটি সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে করা যায় না।

    • তার জন্যে প্রথমে আপনাকে যে কোনো ব্রাউজার ওপেন করতে হবে।
    • ব্রাউজারে https://wa.me/<number> এই লিঙ্কটি দিতে হবে, এবং নম্বরের জায়গায় যে নম্বরে মেসেজ পাঠাবেন সেই নম্বরটি টাইপ করুন। নম্বরের আগে দিতে হবে সেই দেশের কোড। যেমন- ভারতের কোড ৯১। অর্থাৎ ভারতের যে কোন নম্বরের আগে ৯১ টাইপ করে তার পরে নম্বর টাইপ করতে হবে। যেমন https://wa.me/91XXXXXXXXXX)।
    • এই ইউআরএল খোলার পরে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে যাবে।
    • এরপর continue to chat বাটন দেখা যাবে।
    • তারপরে এই বাটনে ক্লিক করলে টাইপ করা নম্বরের সঙ্গে চ্যাট শুরু করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: নিজের সঙ্গে চ্যাট! হোয়াটসঅ্যাপের এই বিশেষ ফিচার সম্পর্কে জানেন কি?

    হোয়াটসঅ্যাপের এই ফিচার ছাড়াও অনেক থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট SendWhatsappMsg.com, Nocontact, Easy Message রয়েছে। আবার একাধিক থার্ড পার্টি অ্যাপও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম WhatsDirect, Click to Chat ইত্যাদি। এই অ্যাপ ব্যবহার করেও একই কাজ করা সম্ভব। যে নম্বরে চ্যাট শুরু করতে চান সেই নম্বর এই অ্যাপে এন্টার করে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চ্যাট শুরু করতে পারবেন।

  • Dumdum Airport: কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা সুকান্ত-শুভেন্দুর হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

    Dumdum Airport: কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা সুকান্ত-শুভেন্দুর হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা কার্যত দখল করল বিজেপি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কলকাতা বিমানবন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নিয়োগ করেছে। গত ৫ অগস্ট কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের উপসচিব এক নির্দেশিকায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

    পদাধিকার বলে এই উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা বিমানবন্দরের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ছড়ি ঘোরাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল বিজেপির। এখন উপদেষ্টা কমিটিতে রাজ্য বিজেপির দুই শক্তিশালী নেতাকে নিয়োগ করার ফলে বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা কার্যত বিজেপির নিয়ন্ত্রণে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারত সরকারের প্রশাসনে গুরুত্ব বাড়ল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। দমদম বিমান বন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় কিছু শ্রমিক নেতা উপদ্রব চালাচ্ছিল বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছিল। বিমানবন্দরের অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে পরিষেবা ক্ষেত্রে তৃণমূলীদের দাপাদাপি মারাত্মক আকার নিয়েছিল। এমনকী বিমান বন্দরের ট্যাক্সি ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যাত্রীদের একপ্রকার বাড়তি ভাড়া দিতেও বাধ্য করা হচ্ছে, এমন অভিযোগও হামেশাই ওঠে। সে সব বিচার করেই কলকাতা বিমানবন্দরে প্রশাসনিক ক্ষমতা তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। উপদেষ্টা কমিটিতে সুকান্ত এবং শুভেন্দুকে (Suvendu) জুড়ে দেওয়ার ফলে বিমানবন্দরের আমলারাও বিজেপির কথা মতোই চলবেন বলে অনেকে মনে করছেন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী সাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করা হবে। রাজনৈতিক দলের অনৈতিক হস্তক্ষেপ কমানো আমাদের লক্ষ্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, তোলামূল বাহিনীর সিন্ডিকেটরাজ বিমান বন্দরে আর চলবে না। পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে বিমানবন্দরের প্রশাসন যাতে পরিচালিত হয়, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজিকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।   

     

  • Prophet Row: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    Prophet Row: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কে ক্রমেই ছড়াচ্ছে অশান্তি। বাংলার (West Bengal) পাশাপাশি অগ্নিগর্ভ ঝাড়খণ্ডের রাঁচিও (Ranchi)। সেখানে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার রাঁচির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঁচির বেশ কয়েকটি জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়।

    ঝাড়খণ্ডের জনগণ খুবই ‘সংবেদনশীল এবং সহনশীল’ বলে উল্লেখ করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জনগণকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানান। তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে সম্প্রীতি বজার রাখার আবেদন জানানোর পাশাপাশি এমন কোনও ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    অশান্তি হয়েছে বাংলায়ও। হাওড়ার (Howrah) ধুলোগড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, শলপ সহ একাধিক জায়গায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় আতঙ্কের পরিবেশ। পাঁচলায় বিজেপির একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বড় ধরনের অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি পাঞ্জাবে। তবে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুরু শর্মার গ্রেফতারি দাবি করেছে প্রতিবাদকারীরা। উত্তর প্রদেশে জুম্মার নমাজের পর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, অমিত শাহকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ সৌমিত্রর

    ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে দিল্লির জামা মসজিদ চত্বরে। পরে পুলিশ গিয়ে হঠিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তেজনা থাকলেও বড় ধরনের কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি জম্মু-কাশ্মীরে। অশান্তির আশঙ্কায় ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া প্রহরার। জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। উপত্যকার কোনও কোনও অংশে বনধ্ও পালন করেন সাধারণ মানুষ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি সাধারণ মানুষকে প্ররোচনায় পা না দিতে অনুরোধ জানান।

    বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরে পরেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁর মন্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলের রোষানলে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দাল। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। সেই অশান্তি দমাতে ঝাড়খণ্ড সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, বাংলার তৃণমূল সরকার তা করেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। তার জেরেই গত দুদিন ধরে অশান্তির আঁচে পুড়ছে হাওড়ার বিভিন্ন পকেট। যার ফল ভোগ করছেন নিতান্তই সাধারণ মানুষ।

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) নির্ঘণ্ট। আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে শাসক বিজেপি (BJP) এবং বিরোধীরা (Opposition)। কে যাবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসে (Raisina Hill)?

    ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদ্ম শিবিরে ঘোরাফেরা করছিল অনেকগুলো নাম। তার পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রার্থী করে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোবিন্দ তখন ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। পদ্ম শিবির এবারও সেরকম কোনও চমক দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। আছেন তেলেঙ্গানার তামিলিসাই সুন্দররাজন, আসামের জগদীশ মুখী, ছত্তিশগড়ের অনুসুইয়া উইকে এবং কেরলের আরিফ মহম্মদ খান। পাশাপাশি ভেসে উঠছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নামও ।

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদীয় রাজনীতির অন্যতম প্রবীণ মুখ কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। তিনি হতে পারেন দু পক্ষেরই বাজি। গুলাম রাজ্যসভা থেকে যেদিন অবসর নেন, সেদিন চোখে জল দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির। আজাদের সঙ্গে কেবল বিজেপি নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক মধুর। তাই কংগ্রেসের পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে ভাবছে পদ্ম নেতৃত্ব। গুলামকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে বিরোধীরাও বিরোধিতা করতে পারবেন না। তাই তাঁকে রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে চমক দিতে পারেন মোদি।

    গুলামের পাশাপাশি কংগ্রেস শিবিরে ভাসছে আরও দুটি নাম। একজন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অন্যজন মীরা কুমার। পাওয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সংসদীয় রাজনীতির সব কিছু তাঁর নখদর্পণে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৈরি করেন এনসিপি। শিবসেনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে তাঁর দল। তাই তিনিও হতে পারেন বিরোধীদের প্রার্থী। পাওয়ার প্রার্থী হলে তৃণমূল কিংবা অখিলেশেরও কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকেও প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। মীরা তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তাই বিজেপির কোনও দলিত প্রার্থীর পাল্টা বাজি হতে পারেন মীরাই।  বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনিও দক্ষ রাজনীতিবিদ। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। পরে আসেন রাজ্যসভায়। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মন্ত্রী ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার। উপরাষ্ট্রপতির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাই তিনিও হতে পারেন বিজেপির বাজি।

    কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খানকেও রাইসিনা হিলসে পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সর্বোপরি, মোদি-নীতির সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব সিদ্ধান্তেই গলা মিলিয়েছেন তিনি। তাঁকে প্রার্থী করা হলে ভোঁতা হয়ে যাবে বিরোধীদের সমস্ত হাতিয়ার।

    তবে শেষ হাসি হাসবেন কে? তা বলবে সময়।

     

  • Rajbanshi People: খাদ্যাভ্যাস থেকে সংস্কৃতি, কেমন হয় রাজবংশী জনজাতির জীবনধারা?

    Rajbanshi People: খাদ্যাভ্যাস থেকে সংস্কৃতি, কেমন হয় রাজবংশী জনজাতির জীবনধারা?

    শুক্লা শিকদার

    একটি সাম্প্রতিক গবেষণা নির্দেশ করে যে রাজবংশী বা কোচ রাজবংশী জনজাতির কৃষি, নৃত্য, সঙ্গীত, চিকিৎসা অনুশীলন, গান, বাড়ি নির্মাণ, সংস্কৃতি এবং ভাষার মৌখিক ঐতিহ্য রয়েছে। ২০১৯ সালের উক্ত গবেষণা অনুসারে, রাজবংশী জনজাতি আদর্শভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে জ্ঞান ও জীবনশৈলীর খুঁটিনাটি হস্তান্তর করে আসছে। 

    কোচ রাজবংশী জনজাতি ঐতিহ্যগতভাবে একটি বৃহৎ কৃষিজীবী জনজাতির অঙ্গ ছিল। তারা মূলত ধান, ডাল এবং ভুট্টা চাষাবাদে অভ্যস্থ ছিল। রাজবংশী জনজাতির মধ্যে অধিকাংশের প্রধান খাদ্য ভাত। এমনকি একবিংশ শতকেও, এই জনজাতির একটি বড় অংশ এখনও গ্রামীণ জীবনধারা মেনে চলে। যদিও ক্রমশ নগরায়নের প্রভাব তাদের জীবনধারায়ও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল, বাংলাদেশ, মেঘালয়ের সমস্ত রাজবংশী জনজাতির মধ্যে খাদ্য ও পানীয়ের গ্রহণে লক্ষণীয় সামঞ্জ্যস্য দেখা যায়। অর্থাৎ অঞ্চলিক বিভিন্নতা সত্ত্বেও কোচ জনজাতির খাদ্যপ্রণালী একই রকম। তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শাকসবজি এবং ভাজা (প্রধানত আলু) সহ চাল এবং ডাল পাওয়া যায়। 

    ঢেকির সাগ এবং নাফা সাগ, দুই ধরনের শাক-সবজি রাজবংশীদের মধ্যে খুবই প্রচলিত। ফার্নের পাতার সদ্য জন্মানো অঙ্কুর জাত তেল থেকে খুব অল্প পরিমান তেল ব্যবহার করে তারা শাক সবজি সাধারণত সিদ্ধ করে খান। নাম্নী অসমে, বাঁশের অঙ্কুরকেও সবজি হিসেবে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়। কোচ রাজবংশীর মধ্যে বাসি ভাত বা পান্তা ভাত খাওয়া দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় খুবই  প্রচলিত। শাক-সবজি ব্যতীত অন্যান্য রান্না প্রধানত সরিষার তেল ব্যবহার করে করা হয়, যদিও কখনও কখনও সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা হয়। 

    আমিষ জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে, কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠী বঙ্গীয় অঞ্চলের অন্যান্য আশেপাশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ ভাবে প্রচুর পরিমাণে মাংস এবং ডিম খায়, যেখানে বঙ্গীয় অঞ্চলের জনজতিরা আমিষ হিসেবে মৎস আহারে বেশি স্বচ্ছন্দ। মাংস হিসেবে তাদের ছাগল এবং ভেড়ার মাংসই বেশি পছন্দ। রাজবংশীদের পূর্বপুরুষ কোচ আদিবাসীরা পাখির মাংস আস্বাদনে অভ্যস্থ হলেও, সামাজিক উত্তরণের অভিপ্রায়ে সংস্কৃতায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্য রাজবংশীরা পাখির মাংস খাওয়াতে নিরুৎসাহ দেখায়। 

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনজাতি সত্যিই কি রাজবংশীয়?

    রাজবংশী জনজাতির মধ্যে ঘোড়দেউ পূজায় শূকর এবং লক্ষ্মী পূজায় হাঁস বলি দেওয়ার রীতি ছিল। যে এখনও কিছুটা প্রচলিত রয়েছে। হাঁস ও মুরগির ডিম খাওয়ার প্রচলনও রয়েছে তাদের মধ্যে। সময় বিশেষে তাদের হাঁস এবং মাছও খেতেও দেখা যায় তবে খুব সীমিত ক্ষেত্রে। বহুবর্ষজীবী না হওয়ায় প্রাকৃতিক কারণেই উত্তরবঙ্গের নদীগুলো বড় জাতের বিভিন্ন প্রকারের ও বড় জাতের মাছ ধারণ করতে পারে না। যদিও, নাম্নী অসম অঞ্চলে, ব্রহ্মপুত্রের মতো বড় নদ ও অন্যান্য নদীগুলি বিভিন্ন ধরণের মাছ ধারণ করে যা সেখানে বসবাসকারী কোচ রাজবংশীদের খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেছে।

    একটি সাধারণ কোচ রাজবংশী বাড়ির বাড়ির নকশা অপরিহার্যভাবে আয়তক্ষেত্রাকার হবে এবং বাড়ির মাঝখানে একটি খোলা জায়গা থাকবে। বেশিরভাগ বন্য প্রাণী এবং শক্তিশালী বাতাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য বাড়ির এরকম নকশা করা হয়। প্রতিটি কোচ-রাজবংশী বাড়িতে প্রবেশদ্বারে মনসার ঠাকুরঘর বা কালী ঠাকুর থাকা আবশ্যক। রাজবংশী বাড়িতে উত্তর দিকে সাধারণত  সুপারি এবং ফলের বাগান থাকে, পশ্চিমে বাঁশের বাগান থাকে, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক সাধারণত খোলা রাখা হয় যাতে রোদ এবং বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে। যদিও জমিদার স্থানীয় রাজবংশীদের মধ্যে এইভাবে বসতবাড়ির সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়।

    কোচ-রাজবংশীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্যে রয়েছে প্রধানত পাটানি, অগ্রণ, অঙ্গশা, চাদর, লিফান, ফোটা এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পোশাক। তাদের বাড়িতেই তাদের ঐতিহ্যবাহী তাঁতে বোনা হয়। পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হল অঙ্গশা এবং জামা, আর মহিলাদের জন্য হল বুকুনি-পাটানি, ফোটা, অগ্রান, অঙ্গসা, লিফান- চাদর বুকের চারপাশে বাঁধা এক টুকরো কাপড় যা হাঁটু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। লিফান বা ফোটা একটি মোড়কের মত পরা হয়। কোচ রাজবংশী উপজাতি এখনও তাদের পুরানো জাতিগত পোশাকগুলি সংরক্ষণ করেছে এবং নিয়মিতভাবে তাদের সাধারণ পোশাক হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কোচ রাজবংশীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করতে পছন্দ করে যদিও আধুনিক পোশাকগুলি ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।

    ( লেখিকা নৃতত্ববিদ, মতামত লেখিকার ব্যক্তিগত )

  • Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এখন নতুন রিপোর্টে কোভিডের নতুন লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এখন কোনও ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বোঝা যাবে হাতের নখ দেখেই।

    সম্প্রতি একটি উপসর্গের কথা তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। তা হলো হাতের আঙুলের নখের কিছু পরিবর্তন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নখের আকার ও রঙ বদলে যাচ্ছে, আবার নখের উপরে একটি রেখা ফুটে উঠছে। সেই উপসর্গ দেখা দিলেই বোঝা যাচ্ছে যে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ অনেকের শরীরেই দেখা দিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকরা দ্রুত বুঝতে পারছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যক্তিটি। এই লক্ষণকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হচ্ছে কোভিড নেইল (Covid Nail)। এতে দেখা যাচ্ছে, কারো ক্ষেত্রে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ দেখা যাচ্ছে। বাকি অংশ সাদা হয়ে রয়েছে। হঠাৎই এমন পরিবর্তন দেখা দিলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নখের লাল অংশ গাঢ় হওয়ার অর্থ আপনার শরীরের ভাইরাসের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    কোভিডে আক্রান্ত হলে কী কী পরিবর্তন দেখা যাবে নখে?

    • হাত-পায়ের নখে দাগ।
    • হাতের নখে সাদা দাগ।
    • নখের কিছু অংশ কমলা রঙ হয়ে যাওয়া।
    • হাতে ও পায়ে জ্বালা।
    • নখ আলগা হয়ে যাওয়া।

    তবে কোভিড রোগীদের মধ্যে নখে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ এই উপসর্গই বেশি দেখা গিয়েছে। যদিও এই বিশেষ লক্ষণের কোনও কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, ইনফেকশনের ফলে রক্তের শিরা-ধমনী নষ্ট হয়েও নখের এমন অবস্থা হতে পারে। সুতরাং যেহেতু কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন নখ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, তার জন্য এইদিকে বিশেষ নজর রাখা দরকার। নখের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের উপসর্গ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস?

LinkedIn
Share