Blog

  • Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা অন্ধকার ঘর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শুধু পেট ভরানোর জন্যে দুবেলা অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। এক কথায় নরকের জীবন। বাস্তবে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কিন্ত এক নিয়ম চলে না। জেলে বসেও কেউ কেউ থাকতে পারেন রাজার হালে। যেমন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। জেলে বসেও প্রাক্তন সাংসদ পাচ্ছেন রোজমেরি চা, চিয়া সিডস, ফলের রস, ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, অ্যাভোকাডো। ভিআইপি বন্দির ডায়েট চার্ট দেখলে জেলে রয়েছেন না ফাইভ স্টার কোনও হোটেলে আছেন বোঝা দুষ্কর।  

    আরও পড়ুন: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর 

    সম্প্রতি ৩৪ বছরের পুরনো একটি পথ হিংসার মামলায় এক বছরের জেলের সাজা পেয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। রায় ঘোষণার পরেই সিধুকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অসুস্থতার কথা জানিয়ে কোর্টের কাছে কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয় এবং সিধুর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পাতিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর জন্যে ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’ -এর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। এখন এই ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’- নিয়েই আলোচনায় মেতেছে বিভিন্ন মহল। 

    আরও পড়ুন: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন?
     
    কী কী রয়েছে সিধুর বিশেষ ডায়েটে? 

    একদম সকালে সিধু পাবেন রোজ়মেরি চা, ডাবের জল বা চালকুমড়োর জুস। প্রাতরাশে ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার, মেলন বা চিয়া সিড, পাঁচ-ছটা আমন্ড, একটা আখরোট, দুটো পেকান নাট। কিছুটা সময় পরে, যাকে আমরা ‘প্রি-লাঞ্চ’ বলি, সেই সময় বিটের রস, বা তুলসী-পুদিনা কিংবা সেলেরি পাতার জুস দেওয়া হবে। এক-একদিন এক একরকম করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি ফল দেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডো, কিউই- র মতো দামি দামি সব ফল। দুপুরে সিধুকে দেওয়া হবে রুটি, তরকারি, রায়তা, শসা, লেটুস, লেবু দিয়ে স্যালাড ও এক গ্লাস লস্যি। সন্ধ্যায় ফের ল্যাকটোজ ছাড়া দুধের চা, সঙ্গে পনীর বা টফু। রাতে বিভিন্ন সবজি দিয়ে স্যুপ এবং অল্প তেলে হাল্কা ভাজা সবজি। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁকে দেওয়া হবে চ্যামোমাইল চা এবং গরম জলে সাইলিয়াম হাস্ক। এছাড়াও রয়েছে বিকল্প খাবারের লম্বা এক তালিকা।

    এছাড়া কী কী খাওয়া যাবে না রয়েছে তারও লম্বা তালিকা। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রসেসড ফুড নৈব নৈব চ। রান্না করতে হবে অলিভ অয়েল বা কোল্ড প্রেসড ভোজ্য তেলে। স্যালাডে দেওয়া যাবে না সাধারণ সাদা লবন। সিধুর জন্যে জেল কর্তৃপক্ষের এই এলাহি ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। অনেকেই মশকরা করে বলেছেন এটা জেল না স্পা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
     

     

     

      

  • Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে মূর্তি ভাঙচুর (idol smashed)। কর্নাটকের (Karnataka) হাসান জেলার আরাসিকেরে জেলার একটি মন্দিরের (temple) ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরাসিকেরে শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মালেকাল্লু তিরুপতি (Tirupati) পাহাড়ের ওপর রয়েছে ওই মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটি এলাকাবাসীর কাছে চিক্কা তিরুপতি (Mini Tirupati) নামে পরিচিত। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার।

    আরও পড়ুন : কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    পুলিশ জানিয়েছে, চার দুষ্কৃতী মূর্তিটি ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠার জন্য সবে তৈরি হয়েছিল মূর্তিটি। রড-সহ বেশ কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার আর শ্রীনিবাস গোয়াদা। পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকশো জনতা ভিড় করে মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙেছে, তা জানা না গেলেও, এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার মন্দির চত্বরে আসা দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে। আপত্তি করা হলেও তারা শোনেনি। পরে তারা সেখানে ধূমপান করে। মন্দিরে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়েও দেয়। তার পরেই ভেঙে ফেলা হয় মূর্তিগুলো।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কে (Temple Mosque controversy) সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) আমলে দেশের একাধিক মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এরকমভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৮০০ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তারা এই মসজিদগুলিকে অবৈধ তকমা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের এক বিগ্রহের মূর্তি ভাঙায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কয়েকটি প্যান্ডেলে গিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। এ দেশের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি পুজো প্যান্ডেলেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় দুর্গা মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কর্নাটকের ওই মন্দিরেও।

  • TS EAMCET 2022: আবেদনপত্রে কোনও ভুল আছে? এখনই ঠিক করুন, জানুন কীভাবে

    TS EAMCET 2022: আবেদনপত্রে কোনও ভুল আছে? এখনই ঠিক করুন, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ মে থেকে খোলা হয়েছে Telangana State Engineering, Agriculture and Medical Common Entrance Test 2022 application- এর correction window। যাঁরা যারা এই পরীক্ষার জন্যে আবেদন করেছেন তাঁদের আবেদনপত্রে কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে, এবার আপনারা ওয়েবসাইটে গিয়ে তা ঠিক করে নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট স্নাতকোত্তর পরীক্ষা, জানাল শীর্ষ আদালত

    জেনে নিন কী করে আবেদন পত্রের ভুল ঠিক করবেন— 

    ১। প্রথমেই চলে যান TS EAMCET-এর ওয়েবসাইট <eamcet.tsche.ac.in> তে। 

    ২। এবার হোমপেজে “Correction of Online Application data already submitted by the candidate” এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

    ৩। “Fill in your details”-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পেমেন্ট রেফারেন্স আইডি, জন্মের তারিখ, মোবাইল নম্বর এসবে কোনও ভুল থাকলে তা ঠিক করে নিন।

    ৪। “Proceed to Fill Application”- এ ক্লিক করুন। 

    ৫। EAMCET অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে গিয়ে এডিট করুন।

    ৬। সেভ করে ‘Submit’ অপশনে ক্লিক করুন।

    ৭। এবার ফর্মটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্যে তার প্রিন্টআউট রেখে দিন। 

    TS EAMCET 2022- এর ‘কারেকশন উইন্ডো’-টি ৩০ মে থেকে ৬ জুন অবধি খোলা থাকবে। এর মধ্যেই আবেদনপত্রে কোনও ভুল থাকলে তা ঠিক করে নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এই উইন্ডোটি বন্ধ হওয়ার পরেও আবেদন করতে ‘লেট ফি’ দিতে হবে। ২৫০ টাকা ‘লেট ফি’ দিয়ে আবেদন করার শেষ তারিখ ৭ জুন। 

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    জুলাই মাসে ১৪, ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখে নেওয়া হবে পরীক্ষাটি। আবেদনপত্র একবার এডিট করে জমা দিলে, আর এডিট করা যাবে না। সেটাই চূড়ান্ত আবেদনপত্র হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। তাই জমা দেওয়ার আগে আবেদনপত্রটি বার বার পড়ে নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের, যাতে কোনও ভুল-ত্রুটি থেকে না যায়। 

     

     

  • Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আজমের দরগার ধর্মগুরু গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    উদয়পুরে কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদয়পুরের ঘটনার পরে সামনে আসে রাজস্থানের দরগা আজমের শরিফের (Ajmer dargah) কথা। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে পরিচিত আজমের শরিফ। সূত্রের খবর ওই দরগার এক ধর্মগুরু সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মাথা কাটার স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দরগার গওহর চিস্তি বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। কানহাইয়া লালকে হত্যার আগে তিনি রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। 

    এএসপি (additional superintendent of police) বিকাশ সগওয়ান জানান, গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে ২৫ জুন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল ১৭ জুন বিতর্কিত বক্তৃতা করেন গওহর। তারপর ২৯ জুন রাজস্থান ছাড়েন তিনি। এদিন হায়দরাবাদ থেকে গওহর চিস্তি ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে প্রথমে জয়পুর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে আজমেরের কিষাণগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন গওহর। তবে তিনি সফল হননি। তিনি প্রথমে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর পরে বিহারের পূর্ণিয়া এবং শেষে হায়দ্রাবাদে ছিলেন। গওহর মাঝেমাঝেই হায়দ্রাবাদের পাহাড়ি শরিফ দরগায় যেতেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ মেলে। উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালকে ২৮ জুন নির্মমভাবে হত্যা করার পর, আজমের পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করে। বিতর্কিত স্লোগান তোলার অভিযোগে গওহর চিস্তির সঙ্গে উপস্থিত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দরগাহ থানার একজন কনস্টেবলের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, গওহর মানুষকে উস্কে দিয়েছিলেন। দেখা যায়, তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।

  • Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিচারবিভাগকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যের জের। তৃণমূল (TMC) সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ৬ জুনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

    রাজ্যপাল জানান, ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা ছোট করে দেখার বা এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। রাজ্যপাল এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এব্যাপারে একটি চিঠিও দেন। টুইটে সেই চিঠিও রাজ্যপাল অ্যাটাচ করে দিয়েছেন।

    ট্যুইটে জগদীপ ধনকড় লেখেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এরমধ্যে আছে কুখ্যাত এসএসসি কেলেঙ্কারিও (SSC Recruitment scam), যাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আপনি যেই হোন, আইন সবার থেকে বড়। এই সাংবিধানিক ধারণার সঙ্গে ওঁর মনোভাব খাপ খায় না।’

    গত শনিবার হলদিয়ার একটি জনসভা থেকে বিচারপতিদের একাংশকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থা একজন–দু’‌জন আছেন যাঁরা ষড়যন্ত্র করে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই করে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন।’

    রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‌এসএসসি মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি তাঁকে আক্রমণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করছেন। মুখ্যসচিবকে বলছি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’‌ 

    তার জবাবে অভিষেকও ট্যুইটও করেন। বলেন, তিনি এক শতাংশ বিচারপতির কথা বলেছিলেন। কারা লাল রেখা অতিক্রম করছেন সেটা সবাই দেখছেন। এরপর সোমবার দার্জিলিং থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

     

     

  • Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব সরকারি স্কুলেই ছুটি থাকে রবিবার। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা (Dumka) জেলায় এমন ৩৩টি স্কুল রয়েছে যেখানে রবিবার ক্লাস হয়। ছুটি থাকে শুক্রবার। এই স্কুলগুলির নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দু কথাটি। এই ৩৩টি স্কুলের প্রায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার উর্দু স্কুলে রবিবারের বদলে শুক্রবার ছুটি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে একদল সাংবাদিক। দেখা যায় শুধু ওই স্কুল নয় দুমকা জেলায় উর্দু নামধারী ৩৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়  রয়েছে, যাদের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। তবে জেলার বাকি আর সব সরকারি বিদ্যালয়ে রবিবারই সাপ্তাহিক ছুটি।

    জেলা শিক্ষা সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার দাস (Sanjay Kumar Das) জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলার সমস্ত ব্লকের বিইইওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কী পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির নাম পরিবর্তন করে উর্দু করা হয়েছে এবং কার নির্দেশে শুক্রবার স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিটি ব্লক থেকে শিক্ষা আধিকারিকদের রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা , তলব প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকেও

    সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশ ছাড়াই ছুটি বদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কোনও স্কুল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জেলা দুমকা। এখানকার সরকারি স্কুলেই এরকম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দুমকার শিখরীপাড়া ব্লকের একটি, রানিশ্বর ব্লকের আটটি, শরিয়ৎ ব্লকের সাতটি, জামা এবং জারমুন্ডি ব্লকের কটি করে স্কুল রয়েছে। সবকটি স্কুলের নামের শেষে উর্দু স্কুল কথাটি যোগ করা হয়েছে। সঞ্জয় জানান, শিক্ষা দফতরে স্কুলের ছুটির দিন পরিবর্তন বা নাম বদলের কোনও কথা জানায়নি স্কুলগুলি। এরকম কোনও নির্দেশো দেওয়া হয়নি। তাহলে কী করে, কার অনুমতিতে এই বদল তা খতিয়ে দেখবে সরকার।

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহাতো জানান তাঁর কাছে খবর রয়েছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবারের বদলে শুক্রবার। এই খবর শুনেই তিনি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি জানান, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

  • Eye Drop: রিডিং গ্লাসের আর দরকার নেই, আই ড্রপেই সব সমস্যার সমাধান!

    Eye Drop: রিডিং গ্লাসের আর দরকার নেই, আই ড্রপেই সব সমস্যার সমাধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেককেই ছোটবেলা থেকে চশমা পরতে হয়। বিশেষ করে কোনও কিছু পড়ার সময় চশমা তো লাগেই।  তাছাড়াও বয়স বাড়লেও চোখে পাওয়ার আসে অনেকেরই। তখন এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য তিনটি উপায় পড়ে থাকে তা হল চশমা পরা, লেন্স পরা, নয়তো চোখের অপারেশন করা। কিন্তু এই তিনটির কোনওটিরই আর প্রয়োজন নাও হতে পারে। কারণ তেমনই আশা দেখাচ্ছে নতুন এক আই ড্রপ।

    এই আই ড্রপটিকে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Food and Drug Administration) স্বীকৃতি দিয়েছে। চশমার পরিবর্তে বিশ্বে এটাই প্রথম কোনও আই ড্রপ তৈরি করা হয়েছে। ‘ভিউটি’ (Vuity) নামক আই ড্রপটি বিশেষ করে যাঁদের কোনও কিছু পড়ার সময়ে চশমার দরকার হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এই আই ড্রপ খুবই কাজের বলে দাবি করা হয়েছে নির্মাতাদের তরফে। এটি ৪০ বয়স থেকে ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্যে বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    কীভাবে কাজ করে এই আইড্রপ?

    আইড্রপটি দুচোখে একবার একবার করে দিতে হবে এবং এটি দেওয়ার ১৫ মিনিট পর এটি কার্যকরী হয়। তারপর এর প্রভাব ৬ থেকে ১০ ঘন্টা ধরে থাকে। এর পরে ড্রপ না নিলে আবার চশমা ব্যবহার করতে হতে পারে। এই আইড্রপটি পাইলোকার্পিন নামক উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি চোখে ph- এর মাত্রাকে ঠিক রাখে ও   চোখের মণিকে আকারে আগের চেয়ে ছোট করে দেয়। ফলে কাছের জিনিস দেখতে সুবিধা হয় ও কাছের বস্তুতে ফোকাস করতেও সুবিধা হয়।

    কারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন?

    এই আইড্রপটির প্রভাব ৬৫ বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কম কার্যকরী ও যাদের ‘প্রেসবায়োপিয়া’-র সমস্যা অতটাও গুরুতর নয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি বেশি কাজে লাগে। দৃষ্টিশক্তি কাছের জিনিস দেখা বা কোনও কিছু পড়ার ক্ষেত্রে ঝাপসা হয়ে যায়। একেই চিকিৎসার ভাষায় প্রেসবায়োপিয়া (presbyopia) বলা হয়।

    আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ত্বক চান? রোজ খান এই জুসটি, পরিবর্তন দেখুন এক সপ্তাহে

     

     

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের (Ranjana Prakash Desai) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি (Five member Committee) গড়ল সে রাজ্যের সরকার।

    উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল রয়েছেন।

    উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP) জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Dhami)। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরে এ বার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর তিনি। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ধামী জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত দেবভূমির (উত্তরাখণ্ড) সংস্কৃতি রক্ষা করবে এবং সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্য আনবে।’ 

    বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, দেশের নাগরিকদের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি আইন আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন সংক্রান্ত বিলটি আগামী যেকোনও সময়ে সংসদে উত্থাপন করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সূত্রের খবর, তার আগে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তরাখণ্ডে এই আইন তৈরির মহড়া শুরু হয়েছে।  এ ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।

    ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়াতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সচেষ্ট। এই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রে আইন সকলের জন্য সমান আর সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের দ্বারা গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি, যাঁরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • Minorities Certificate In Assam: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    Minorities Certificate In Assam: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র (Minorities Certificate) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম ক্যাবিনেট। মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম সরকার (Assam government)। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) উপস্থিতিতে গৃহীত মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত। আসাম মন্ত্রিসভার দাবি, সংখ্যালঘুরা (minorities) যাতে সরকারি সুবিধাগুলি আরও বেশি করে পান সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত (Keshab Mahanta) জানিয়েছেন, ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে কীভাবে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে তা স্থির করা হবে। তিনি বলেন, এবারই প্রথম এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এতদিন আমরা তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে শংসাপত্র দিতাম। তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য আমাদের পৃথক বোর্ড রয়েছে। কিন্তু কারা সংখ্যালঘু সেটা বোঝা যায় না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে যাঁদের শংসাপত্র থাকবে তারা সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার পর জেগে উঠছে কাশী, মথুরা, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম দাবি যোগীর

    ২০১১-র জনগণনা অনুসারে, আসামের ৬১.৪৭ শতাংশ হল হিন্দু। মুসলিম ৩৪.২২ শতাংশ, খ্রিস্টান ৩.৭৪ শতাংশ। আসাম মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিব মহম্মদ চৌধুরী জানিয়েছেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। তবে আসাম কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরাহের অভিযোগ, এটা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির নজির। বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের পথ তৈরি করবে এই শংসাপত্র। যদিও আসাম সরকারের তরফে মন্ত্রী কেশব মহন্ত জানান, এমন শংসাপত্র ইস্যু করতে অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। সেই প্রস্তাবই সরকার কার্যকর করতে চলেছে। সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে বারবারই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যে কারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সেই প্রশ্ন সব সময় ওঠে। ফলে পরিষেবা প্রদান থমকে যায়। তাই  সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা অযথা বিতর্ক তৈরি করছেন।

  • Gyanvapi Mosque: অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে

    Gyanvapi Mosque: অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সুরক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (communal harmony) বজায় রাখা প্রয়োজন। তাই জ্ঞানবাপী মসজিদ সমীক্ষার (Gyanvapi Mosque survey) ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে না আনার দাবি জানালেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (VVSS) প্রধান জিতেন্দ্র সিং বিষেণ। শুক্রবার এই মর্মে বারাণসীর (Varanasi) ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে আবেদনও জানান তিনি।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) শাসনকালে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়। সম্রাটের নির্দেশেই ধ্বংস করা হয়েছিল মসজিদ। পরে রানি অহল্যবাই নতুন করে তৈরি করেন বিশ্বেশ্বরের মন্দির।

    বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এই বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফির কাজও হয়। আদালত নিযুক্ত একজন অ্যাডভোকেট কমিশনারের উপস্থিতিতে হয় ৬ থেকে ১৬ মে-র মধ্যে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ।

    আরও পড়ুন : শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    এই সমীক্ষার কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুদের একাংশের। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের (Shivling) ছবি রয়েছে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। এর পরেই মসজিদ চত্বরে করা  ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান বিষেণ। জ্ঞানবাপী নিয়ে যাঁরা মামলা করেছেন, সেই আবেদনকারীদের একজন সমর্থক বিষেণও। তবুও তিনি চান না এখনই প্রকাশ্যে আসুক ভিডিও এবং ছবি। বিষেণ বলেন, এই ছবি নিয়ে দেশবিরোধী শক্তি অশান্তি পাকাবে। যার জেরে বিঘ্নিত হতে পারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। তিনি বলেন, কেউ যদি ওই ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করে তাহলে জাতীয় সুরক্ষা আইনে তার সাজা হওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন : এবার নমাজ বন্ধের দাবি আগরা ফোর্টের ভিতরের বেগম কি মসজিদে

    এদিকে, নির্বিঘ্নেই জুম্মাবারের নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ১৬ মে আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয় মসজিদ চত্বরে থাকা ওজুখানার জলাধার। তার পর এদিন উত্তর প্রদেশ পুলিশ এবং সিআরপিএফের (CRPF) কড়া প্রহরায় নমাজ পাঠ করেন মুসলিমরা।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কর্তৃপক্ষ (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। সেই কমিটিও জনসাধারণের কাছে অনুরোধ জানায় শান্তি বজায় রাখতে। এক সঙ্গে অনেকের নমাজ পাঠও নিয়ন্ত্রণ করে তারা। যার জেরে শান্তিপূর্ণভাবেই এদিন শেষ হয়েছে জুম্মার নমাজ।

     

LinkedIn
Share