Blog

  • Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra)নদের উপর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ তৈরির করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ইংকিয়ং (Yingkiong)য়ে ওই বৃহৎ বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং। এবার তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে চিনা ‘মেগা ড্যাম’ প্রকল্পের পালটা অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।

    চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র। বর্ষার সময় এই নদের জল উপচে পড়লেও বছরের অন্য সময়ে তিব্বতের বরফ গলা জলই এই নদে জলপ্রবাহ ধরে রাখে।   

    প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের (India) চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। চিনের ওই নয়া প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় চিন বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল,বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে, বলে আশঙ্কা ছিল ভারতের। তাই চিনকে আটকাতে ভারত এই নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বলে অনুমান।
     
    দেশের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “চিনা বাঁধ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যা ও কুপ্রভাব কাটাতে এই মুহূর্তে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের বুকে একটি বাঁধ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার জন্য বিশাল জলাধার তৈরি করবে ভারত। এর ফলে তিব্বতে চিনা বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়লে হড়পা বানের আশঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য দিনে  উত্তর-পূর্ব ভারতে জলসংকটের মোকাবিলাও করা যাবে।

  • Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্কো থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি করতে চলেছে ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর,ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOc), হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL) একযোগে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় তেল সংস্থা রসনেফ্টের সঙ্গে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

    এক মাসে ছয় মিলিয়ন ব্যারল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারে আইওসি।  এছড়াও অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ব্যারল তেলও আমদানি করার কথা রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে এইচপিসিএল এবং বিপিসিএল যথাক্রমে যথাক্রমে মাসে তিন এবং চার মিলিয়ন ব্যারল তেল আমদানি করতে পারে। দাম এবং ছাড়ের ভিত্তিতে তেলের পরিমাণ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    উল্লেখ্য, ইউক্রেনের (Ukraine) উপর রুশ (Russia) সেনা অভিযান চালানোর পর ওয়াশিংটনের বার্তা ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের অসহযোগিতার করার। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় আড়াই মাস পর দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, তার চেয়ে অনেক এগিয়ে ইউরোপের দেশগুলি। এমনকী আমেরিকাও এই আমদানির তালিকায় অনেকটা উপরের দিকেই রয়েছে। তাই তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করতে রাজি নয় ভারত। অবশ‌্য শুরু থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি নিয়ে অনড় ছিল ভারত। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি মোদি সরকার।

    ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাতার বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আর রাজকোষে বিশাল চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সস্তায় তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। বন্ধু দেশগুলিকে পাশে পেতেই অনেক কম দামে তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বলা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দরে তেল রপ্তানি করবে রাশিয়া। তাতে সাড়াও দিয়েছিল ভারত। এই মুহূর্তে দেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে রুশ তেল আমদানি করা লাভজনক হবে বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। 

  • Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Register General of India) দেওয়া  তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল ৭৬.৪ লক্ষ, অর্থাৎ ৬.২% কম।  
     
    ২০২০ সালে কোভিডের (Covid 19) কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৮ লক্ষ মানুষ। পরের বছর সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে মহামারির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩.৩২ লক্ষ মানুষের।  

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ থেকে এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫,২৩,৮৮৯ জন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্যবধান ছিল সবথেকে বেশি।  সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই রাজ্যগুলিতে করোনার কারণেই এই বাড়তি মৃত্যুগুলি হয়েছে।   

    ২০২০ সালে জন্মের নিবন্ধীকরণের সংখ্যাও, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ২.৪% হ্রাস পেয়েছে।   

    ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে ৯০%- এর বেশি নিবন্ধীকরণ হয়েছে। সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৮০%- এর কিছু বেশি কিন্তু ৯০%- এর সমান বা কম, সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%-৮০%। বাকি নয় রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর নীচে।     

    ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্মের ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমায় জন্ম নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৯০% -এর বেশি।  আরও দুটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই সংখ্যা ৮০%- এর বেশি কিন্তু ৯০%- এর কম বা সমান। ৯ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর বেশি কিন্তু ৮০%- এর সমান বা কম। বাকি সাত রাজ্যে প্রদত্ত সময়সীমা, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৫০%- এরও কম।   

  • Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদিনের মতো শুনানি শেষ হল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi viswanath temple)- জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) মামলার। আগামিকাল পর্যন্ত রায়দান মুলতুবি রেখেছে বারাণসী জেলা আদালত (Varanasi district court)। আদালতে মোট ৩টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যার ওপর এদিন হয় শুনানি। শুনানি হয় জেলা বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেশার এজলাসে। শুনানি চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে।

    মুসলিমদের তরফে আবেদন করেছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। আর হিন্দুদের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন লক্ষ্মীদেবী, রাখি সিং, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং রেখা পাঠক।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    সোমবার শুনানির সময় ১৯ জন আইনজীবী এবং ৪ জন আবেদনকারী সহ মোট ২৩ জনকে আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। বারাণসী আদালতে উভয় পক্ষের তরফে মোট ৭টি দাবি পেশ করা হয়েছে। হিন্দুদের দাবি পাঁচটি। আর মুসলমানদের তরফে দাবি করা হয়েছে দুটি। হিন্দুদের দাবি, শৃঙ্গার গৌরীতে (Shringar Gauri) নিত্যদিন পুজোর অনুমতি দিতে হবে। ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) পুজোর অনুমতি দিতে হবে। বিকল্প ওজুখানার (Wazukhana) ব্যবস্থা করতে হবে। নন্দীর সামনের দেওয়াল ভেঙে ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে। এবং শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত জরিপ করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এদিকে, একটি পিটিশন দাখিল করে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছে দুটি। তারা ওজুখানা সিল করার বিরোধিতা করেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, জ্ঞানবাপী জরিপ (Gyanvapi survey) ও ১৯৯১ সালের প্রার্থনাস্থল  আইনে (Places of Worship Act, 1991) মামলা নিয়ে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বারাণসী আদালতকে শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। আর মুসলিম পক্ষের দাবি হল, ভারতীয় সংবিধানে উপাসনা স্থান সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এই আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সেই কারণেই জ্ঞানবাপী মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।

     

  • Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রের প্রকল্পের (central projects) নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের নামে। শাসকদলের (TMC) ‘নির্দেশে’ এই কাজ করছেন খোদ জেলাশাসক (District Magistrate)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। 

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কেন্দ্রের অন্তত ৩টি প্রকল্পের নাম রাজ্যের নামে বদল করেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) জেলাশাসক তথা কালেক্টর অরবিন্দ কুমার মীনা (Arvind Kumar Mina)। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশেই এই কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক। 

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, এই আমলার কাজ একজন আইএএস অফিসারের কর্তব্যের পরিপন্থী। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, কীভাবে কেন্দ্রের তিন প্রকল্প — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের নাম বদল করে যথাক্রমে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা রাখা হয়েছে।

    রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, টুইটারে (Twitter) তার ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের এই নির্দেশিকা দেখে আমি বিস্মিত। কার কথায় তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করলেন? না কি তিনি নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ করেছেন? একজন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারের থেকে এটা আশা করা যায় না। 

    পরে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সঙ্গেও সরকারি নির্দেশিকার একটি কপিও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মোদিকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানেও তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। ওই আমলার (IAS) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

     

  • Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশে এখনও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মাধ্যম ট্রেন (train)। বহু কোটি মানুষ ট্রেনে সফর করেন। কিন্তু বহুক্ষেত্রে আমরা সহযাত্রীদের কথা না ভেবেই অনেক কিছু করে থাকি। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে নয়া নিয়ম জারি করা হল। যাত্রী সুবিধার জন্য ভারতীয় রেলওয়ে  একটি নিয়মের বড় পরিবর্তন করেছে। এই নিয়মের কথা সাধারণভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করা সকলের জানা উচিত। রাতে যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ ভ্রমণ নিশ্চিত করতেই এই নয়া নিয়ম। এই নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে বড় জরিমানা দিতে হতে পারে যাত্রীকে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাতে ট্রেনে যাত্রীরা মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবে না। কিংবা কেউ উচ্চকণ্ঠে গান শুনতে পারবেন না। যাত্রীদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে নাইট ল্যাম্প বাদে কামরার সব আলো বন্ধ রাখতে রাত ১০টার পর। তাছাড়া গ্রুপে ভ্রমণ করা ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে জোরে কথা বলতে পারবেন না। নতুন নিয়মে, কোনও যাত্রী কোনও সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ করলে, রেল কর্মীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কোনও সমাধান না হলে পুরো দায় বর্তাবে ট্রেনের কর্মীদের ওপর। রেলওয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে সব জোনের মহাব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে আদেশ জারি করে নিয়ম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 
    উল্লেখ্য, রাতে মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলা বা গান শোনার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে দূরপাল্লার ট্রেনে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা বলে,যাতে অন্য যাত্রীদের ঘুমের অসুবিধা হয়। অনেক সময় রাতে আলো জ্বালানো নিয়েও বচসা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এই আবহে এখন রেলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। চেকিং স্টাফ,আরপিএফ, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাটারিং স্টাফ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা রাতে কাজ করবেন ট্রেনে। তাদের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে আইআরসিটিসি।

  • SSC: ক্যান্সার আক্রান্তকে চাকরির প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের

    SSC: ক্যান্সার আক্রান্তকে চাকরির প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত একজন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীকে কাজে নিয়োগ করা যায় কি না তা দেখার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ নিয়ে নিজে মামলা রুজু করেন।

    বিচারপতি ক্যান্সার আক্রান্ত ওই চাকরিপ্রার্থীকে জানান তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে আছেন। ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা ব্যক্তি আদৌ চাকরি পাবে কি না, কেউ জানে না। আপনি এখনও অপেক্ষা করছেন কেন? অন্য কোনও পরীক্ষা দিয়ে চাকরির চেষ্টা করছেন না কেন?

    তিনি জানান, তাঁর চিকিসার জন্য ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। তাঁর থেকে অনেক অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেলেও তিনি এসএসসিতে চাকরি পাননি। তিনি অন্যত্র চাকরি করবেন না। 

    এরপরই বিচারপতি রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ওই নির্দেশ দেন।

  • Navjot Singh Sidhu: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন? 

    Navjot Singh Sidhu: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ-হিংসার মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। গত ২০ মে পাতিয়ালার এক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সশ্রম কারাদণ্ড মানেই হাজতবাসের সময়কালে শ্রম করতে হয় বন্দিকে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, সিধুকে জেলের দিনগুলিতে কী কাজ করতে হবে? সম্প্রতি জানা গিয়েছে জেলে কোন দায়িত্ব পেতে চলেছেন সিধু। জেলে থাকার এক বছর করণিকের কাজ করতে হবে এই নেতাকে। দিনপ্রতি ৪০ টাকা করে বেতন পাবেন তিনি।  
     
    জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছেন সিধু। সকাল ৯-১২টা এবং বিকেল ৩-৫টার দুটি শিফটে কাজ করবেন তিনি। মাঝে ৩ ঘণ্টার বিরতি পাবেন। পাতিয়ালা জেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে তিনমাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কয়েদিকে। প্রথম তিনিমাস কোনও টাকা দেওয়া হয় না।

    তারপর ধীরে ধীরে অদক্ষ, কম দক্ষ এবং দক্ষ কয়েদি হিসেবে উন্নীত হয় তারা। ৩০- ৯০ টাকা দিনপ্রতি রোজগার হয়। জানা গিয়েছে, তিনমাসের ট্রেনিং- এর পর ৪০ টাকা করে দিনে বেতন পাবেন সিধু, যা সরাসরি তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।   

    সিধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর জন্যে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিধুকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে সোমবার পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করায় জেল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষা করে প্রাক্তন সাংসদের।        

    এক অনেক পুরনো মামলায় সাজা হয় এই প্রাক্তন সাংসদের। ১৯৮৮ সালের ঘটনা। সেই বছর ২৭ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা বাধে সিধুর। বচসা থেকে ক্রমশ তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে বার করে মারধর করেন তিনি। তাতে মাথায় আঘাত পান ওই ব্যক্তি এবং তা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই মৃতের পরিবার সিধুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে।

    ১৯৯৯ সালে দায়রা আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। ২০০২ সালে পাঞ্জাব সরকার সিধুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। এর মধ্যেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সিধু। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে অমৃতসর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের রায় আসে। হাইকোর্ট সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    এই রায়ের পরেই লোকসভা থেকে ইস্তফা দেন সিধু। ২০১৮ সালে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেই মামলাতেই পরে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, জেল হয় সিধুর।  

     

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) যে শিবলিঙ্গটি (shivling) পাওয়া গিয়েছে, সেটি ভগবান বিশ্বেশ্বরের। মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গের পুজো হত। পুজো বন্ধ করে দিয়েছিল মুলায়ম সিং যাদবের সরকার। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi viswanath temple) প্রধান মহন্ত কুলপতি তিওয়ারির। বিশ্বেশ্বরের মূর্তির পুজোর অধিকারও দাবি করেন তিনি। প্রধান মহন্ত বলেন, আগে মসজিদ চত্বরে সন্ন্যাসিনীরা বসতেন। এটিও একটি বড় প্রমাণ। সত্য বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন মোহন্ত।   

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গড়ে ওঠে মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বেশ্বরের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। মন্দিরের সামনে যে নন্দীর মূর্তি রয়েছে, সেটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছিলেন নেপালের রানা, ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।

    মন্দির-মসজিদ বিবাদ (temple mosque controversy) গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় তিনদিন ব্যাপী ভিডিওগ্রাফির কাজ। ওই সময় সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যাক্তি দাবি করেন মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় মসজিদ চত্বরে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে যা পাওয়া গিয়েছে, সেটি একটি পুরানো ঝর্না, শিবলিঙ্গ নয়।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্ত দাবি করেন, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরে অনাদিকাল থেকেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। প্রাচীরের উত্তর দিকে জ্ঞানবাপী কূপ রয়েছে। এরই পশ্চিমে বহু আগে থেকেই রয়েছে নন্দী। তিনি বলেন, মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের পিছনে তিনটি দোকান ছিল। সেখানে একজন চা বিক্রেতা এবং একজন মুসলিম মহিলা থাকতেন। তিনি চুড়ি বিক্রি করতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় মহন্ত পান্না শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। তাঁর দাবি, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে ফোয়ারা নয়, ওই শিবলিঙ্গই রয়েছে। এই শিবলিঙ্গের নিত্য পুজোর অধিকারও দাবি করেন প্রধান মহন্ত।

     

  • TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলো রানী সরকার। 

    তবে, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু’হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী ফলাফল মানতে রাজি হননি ভোটে হেরে যাওয়া আলো রানী। দাবি করতে থাকেন যে তিনিই জিতেছেন। তাঁর আরও দাবি যে, তাঁকে চুরি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আর এতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তখনই জানা যায়, আলো রানী সরকার আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা! তাঁর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়!

    জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার বরিশাল জেলায় জন্ম আলো রানীর। তাঁর ভাই-মা সহ পরিবার এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। 

    নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনওভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। 

    এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল। খারিজের কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আলো রানী সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।”

    অর্থাৎ, এরাজ্যের তো নয়ই, এমনকী এদেশের বাসিন্দাও নন তিনি। তাহলে, কোন জাদুমন্ত্রে তিনি এরাজ্যের ভোটার হলেন? শুধু তাই নয়, কী করে ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেন? আর কী করেই বা সেই যোগ্যতা অর্জন করলেন? 

    হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলো রানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।

    গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?

    [tw]


    [/tw]

LinkedIn
Share