Blog

  • Free Covid-19 Booster Dose: আজ থেকে শুরু বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান, জানুন বিস্তারিত

    Free Covid-19 Booster Dose: আজ থেকে শুরু বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে কোভিড টিকার (Covid-19 Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে আগামী ৭৫ দিন চলবে এই কর্মসূচি। শুধুমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেই পাওয়া যাবে এই বুস্টার ডোজ। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উপলক্ষে মোদি সরকারের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ – এর অংশ হিসাবে নেওয়া হয়েছে এই কর্মসুচি। এখনও অবধি, ১৮-৫৯ বছর বয়সী ৭৭ কোটি দেশবাসীর মধ্যে ১ শতাংশেরও কম বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

      আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র     

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত সপ্তাহে জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান ন মাস থেকে কমিয়ে ছ মাস করা হয়েছে। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)-র সুপারিশের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের   

    গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। মার্চ মাস থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং ৪৫ বছরের উপরে কোমর্বিলিটির রোগীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, ৮৭ শতাংশ মানুষ উভয় ডোজই পেয়েছে। এই বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সি সকলকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। 

    বুস্টার ডোজ কর্মসূচিতে বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘ভারত স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন করছে। আজাদি অমৃতকাল উদযাপনের আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হবে।’

    এ যাবৎ শুধুমাত্র প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্বদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ (Coronavirus Booster Dose) দিত কেন্দ্র সরকার। বাকিদের টাকা দিয়ে নিতে হত বুস্টার ডোজ। শুক্রবার থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকই বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ পাবেন। 

     

  • Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতি (Nation) এগোচ্ছে। প্রগতির সেই ছবি সর্বত্র দেখাও যাচ্ছে। এই ভাষায়ই ভারতের প্রগতির জয়গান করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শ্রী সত্য সাই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সিলেন্সের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন ভাগবত।

    এদিনের সভায় আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের প্রগতির চিহ্ন সর্বত্র। অতীতের শিক্ষার সঙ্গে অধ্যাধুনিক শিক্ষার মেলবন্ধনেই এটা হয়েছে। ১০-১২ বছর আগে কেউ যদি বলত, ভারত সমৃদ্ধির পথে এগোবে, তাহলেও কেউই এটা সিরিয়াসলি নিতেন না। ভাগবত মনে করিয়ে দেন, এটা এখনই শুরু হয়নি। শুরু হয়েছিল ১৮৫৭ সালে, যাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেন, এই যে উৎকর্ষ আমরা পেয়েছি, সেটা পেয়েছি আধ্যাত্মিকতা দিয়ে। কারণ বিজ্ঞান সৃষ্টি উৎস ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আরএসএস সংঘচালকের মতে, যে বিজ্ঞান আছে, তাতে বহির্বিশ্বের পাঠ সম্পর্কে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই সর্বত্রই দ্বন্দ্বের ছাপ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    এদিনের অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, যদি আপনার ভাষা আলাদা হয়, তাহলে দ্বন্দ্ব। আপনার প্রার্থনার পথ যদি ভিন্ন হয়, দ্বন্দ্ব তাহলেও। আর দেশ যদি আলাদা হলে তো কথাই নেই, বিবাদ সেখানেও। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশেরও দ্বন্দ্ব রয়েছে, দ্বন্দ্ব রয়েছে বিজ্ঞানের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতারও। গত হাজার বছর ধরে এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই আবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই বলেই মনে করেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে এর উৎস। তিনি বলেন, মন, বুদ্ধি এবং শরীরের সংযোগ ফ্যাক্টর হল আত্মা। আত্মার সহায়তায় কাজ করে এই ত্রয়ী। অনুরূপভাবে, ভগবান মানুষ এবং তাঁর আগ্রহ, সমাজ এবং তার আগ্রহ, সৃষ্টি এবং তার আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। তিনি বলেন, সবাইকে ভালোবাসুন, সবার সেবা করুন। এই শব্দবন্ধটির মধ্যে লুকোনো দর্শনটি হল, সবই এক। সংঘচালক বলেন, এই যে বৈচিত্র, তা একদিন শেষ হয়ে যাবে। প্রকৃতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির উৎস রয়ে যাবে। সেটি অক্ষয়, অমর।

     

    বেঁচে থাকাটাই যে জীবনের সব নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভাগবত। বলেন, স্রেফ খাওয়াদাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি করাই মানুষের কাজ নয়, এগুলি পশুও করে। যোগ্যতমের উদ্বর্তনের তত্ত্ব কেবল জঙ্গলেই প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যদের রক্ষা করাই মনুষ্যত্বের লক্ষণ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর, ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন সহ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।

     

  • Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের উচিত একসঙ্গে গর্জে ওঠা, অভিমত রাজ্যপালের। ঝটিকা সফরে বুধবার দার্জিলিংয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পাহাড়ে পা রাখেন তিনি। এদিন তিনি সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে সোজা সড়কপথে চলে যান দার্জিলিং। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA)-র চিফ এগজিকিউটিভের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে   রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে প্রশাসনিক অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তিনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করেন, রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে যেন তাঁরা সরব হন। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপতা আমার কাছে খুব বেদনাদায়ক। আর্থিক বিষয়ে ও আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা ও সাম্প্রদায়িক ক্ষমতায়ন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা বাস্তবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিরোধী। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সেই বিষয়ে সরব হওয়া উচিৎ। হাইকোর্টের মত অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেক কোনায় তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এসব আইনের ভূমিকা নয়। এটা একমাত্র শাসকের শাসন চললেই হয়। গণতন্ত্রে এসবের জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে শাসকদল রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পের কথা বললেও আদতে তার দেখা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে নানা আর্থিক দূর্নীতিতে। অথচ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবিদের। এটা সমাজের পক্ষে ভয়ংকর। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।’ যতদিন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ গর্জে না উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের হাল ফিরবে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জিটিএর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে এখনও শপথ নেওয়া বাকি অনীত থাপার। এমতাবস্থায় রাজভবনে অনীত থাপাকে শপথগ্রহণ করাতেই পাহাড়ে রাজ্যপাল। প্রোটোকল মেনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি জিটিএ নিয়ে পুরো বিষয়টিও বুঝে নিতে চাইছেন ধনকড়।

  • Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং সহনশীল ধর্ম। এই ধর্মে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁরাও সহনশীলতার পরিচয় দেন৷ অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইরকে (Mohammed Zubair) জামিন দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন দিল্লি আদালতের বিচারক। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী মত থাকাটাও প্রয়োজন৷ তাই শুধুমাত্র কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করার কারণে ১৫৩ (এ) বা ২৯৫ (এ)-র মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাই জুবেরের জামিন মঞ্জুর করছে আদালত।

    জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার সময়ে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল। তাই সরকারের বিরোধিতা করার সঙ্গে ধর্মের যোগ টেনে আনা একেবারেই উচিত নয়। ২০১৮ সালে জুবেইরের (Mohammed Zubair) একটি ট্যুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে, সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে জুবেইরকে। ব্যক্তিগত বন্ডে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে। দেশ ছেড়ে বেরতেও পারবেন না তিনি। আদালত জানিয়েছে, জুবেইরের ট্যুইটের ফলে কার আবেগে আঘাত লেগেছে, তার বিবরণ দিতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। ট্যুইটের প্রভাব পড়েছে এমন কোনও ব্যক্তির বয়ানও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ। 

    রায় দেওয়ার সময়ে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, “সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী কন্ঠস্বরের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ বা ২৯৫এ ধারা কার্যকর করার মানেই হয় না।” প্রসঙ্গত, ধর্মের ভিত্তিতে অশান্তি তৈরির অভিযোগ দায়ের হয় ১৫৩এ ধারায়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের হয় ২৯৫এ ধারা অনুসারে। 

    আরও পড়ুন: জেলেই জুবের! ১৪ দিনের জেল হেফাজত অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধারের

    এরপরেই হিন্দু ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেছেন, “সনাতন হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে বেশি সহনশীল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষও একইরকম সহনশীল। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই দেব দেবীর নামে নিজের সন্তানদের নাম রাখে। এমনকী কোনও প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে দেবতার নাম।” হিন্দুদের ভগবানের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান বা শিশুর নাম রাখা হলে তা আইন ভাঙে না। যতক্ষণ না তার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকে। কোনও অসৎ উদ্দেশে এই কাজ হলে তা অপরাধ।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরে পাটিয়ালা হাউস কোর্টেও জামিন পেলেন মহম্মদ জুবেইর। তবে বৃহস্পতিবার হাথরস আদালতে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে আপাতত মুক্তি পাবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জুবেইরের বিরুদ্ধে। মোট সাতটি মামলা ঝুলছে তাঁর উপরে। সবক’টি মামলা খারিজ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জুবেইর। সেই সঙ্গে জামিনের আরজিও জানিয়েছেন তিনি।

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) শুক্রবার ইডির কাছে গেলেন না রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবং তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। এদিন দিল্লির সদর দফতরে দু’জনকে তলব করেছিল ইডি (ED)। এ নিয়ে চতুর্থবার ইডির তরফে মলয়কে ডাকা হয়। কিন্তু এদিনও হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী। অন্যদিকে,কয়লা দুর্নীতিতে আবার ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এক প্রাক্তন কর্তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিন ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসারেরা। আজ, শনিবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। 

    সূত্রের খবর, শুক্রবার সময় পেরিয়ে গেলেও ইডির সদর দফতরে যাননি মন্ত্রী মলয়। এমনকি বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোও আসেননি। তবে সুশান্ত তদন্তকারী অফিসারদের ইমেল করে জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকায় এদিন যেতে পারেননি তিনি। আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কলকাতায় এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন অফিসাররা। কিন্তু, হাজিরা এড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের কিছুই জানাননি মলয় ঘটক। ফের মলয়কে নোটিস পাঠাতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    অন্যদিকে শুক্রবার সকালেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায় ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস তিনেক আগেই তিনি ইসিএলের শাঁকতরিয়ার সদর দফতরের জেনারেল ম্যানেজার পদ থেকে অবসর নেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী উদয়চাঁদ মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালে কয়লা কাণ্ডের মামলায় সুভাষ বাবুর ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে কিছু কাগজপত্র, আবাসনের দলিল এবং ২৬ টি কিষান বিকাশ পত্র ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। সম্প্রতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার উচ্চ আদালতে ওই জিনিসগুলি ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান। আদালত জানিয়েছিল সিবিআই আদালতেই এর আবেদন করতে হবে। সেইমতো গত ৩০ মার্চ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাড়ির দলিল, কিষান বিকাশ পত্র সহ বেশ কিছু কাগজ ফেরত দেওয়ার। যদিও ধৃতের আইনজীবির দাবি টাকা বাদ দিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো বাকি সব নথিপত্রই সিবিআই ফেরত দিয়েছে। 

    এদিন সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার যোগসূত্র মিলেছে। তাই তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কীভাবে লালা ইসিএলের জমিতে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার সুযোগ পেল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জিএমকে। কোনও প্রশ্নেরই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

     

  • SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনতেন। এমনকী অর্পিতা ভালো কাজ করেন বলে প্রকাশ্যেই সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee ) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee), ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে শুক্রবার থেকেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় আটক করা হয়েছে ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডির প্রাথমিক ধারণা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ ২১ কোটি টাকার সঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির নিবিড় যোগ রয়েছে। এরই মাঝে একটি পুরনো ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মঞ্চ থেকে সর্বসমক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর প্রশংসা করেছিলেন। তাঁরই বাড়ি থেকে ইডি খুব বেশি নয়, মাত্র ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। মমতা তাঁর সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি যে ‘ভালো কাজ’ করছেন সেই বিষয়েও জানতেন।’

    আরও পড়ুন: এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে শুক্রবারই দাবি করেছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের ট্যুইট অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। অমিত মালব্যর ট্যুইট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়নের দুর্গা মণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চেই দেখা যায়, অর্পিতার প্রশংসা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অর্পিতা, তুমি ওড়িশায় সিনেমা কর শুনলাম। ভাল করে কর। ওড়িয়া বুঝতে পার? সুতরাং ও ওড়িশায় কাজ করে, বাংলার মেয়ে, আমি আগেরবারও দেখিলাম ও এসেছিল, ববিদের ওখানেও যায়।’

  • Russia-Ukraine Landmark Deal: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের 

    Russia-Ukraine Landmark Deal: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় পাঁচ মাস পেরোতে চলল ইউক্রেন (Ukraine) রাশিয়া (Russia) যুদ্ধ। সমঝোতার কোনও রকম ইচ্ছে প্রকাশ করেনি দুই দেশ। ইউক্রেন রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ব বাজারে খাদ্য সংকট ও তেলের সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শুক্রবার সেই দুশ্চিন্তার কালোমেঘ কিছুটা হলেও কমেছে। এদিন বিশ্ব খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এক টেবিলে এল রাশিয়া- ইউক্রেন। রাশিয়া, ইউক্রেনের মধ্যে সাক্ষরিত হল ল্যান্ডমার্ক চুক্তি (Landmark Deal)। তুরস্কের (Turkey) ইস্তানবুলে (Istanbul) ইউক্রেনের মন্ত্রী কুবরাকোভ ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শইগু রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আলাদা আলাদা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।  

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র  

    ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলদিমির জেলেন্সকি (Volodymyr Zelensky) জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১০০০ কোটি টাকার খাদ্য শস্য বিক্রি করতে হবে। গত বছরের ২০০ লক্ষ টন ফসল বিক্রি করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    চুক্তি সাক্ষরের পর রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্টনিও গুয়েতরেস বলেন, “গোটা বিশ্বের জন্যে এটা খানিকটা স্বস্তির বিষয়।”

    গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাদ্য রফতানি হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতেই খাদ্য সংকটে পড়ে গোটা বিশ্ব। 

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এই চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন। তবে আলোচনা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো যাবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হবে। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন জাতিসংঘ, রাশিয়া, তুরস্ক ও ইউক্রেনের আধিকারিকরা।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেন, ‌”এই চুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বাঁচাবে। এছাড়া এটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি কমাবে।”   
     
    পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের আধিকারিকরা নিরাপদ পথে খাদ্য বোঝাই জাহাজকে তিনটি বন্দরে পৌঁছে দেবেন। এরপর ইউক্রেন ছেড়ে কৃষ্ণ সাগরে পড়বে জাহাজ। সেখানে ফের তুরস্কের বন্দরে হবে চেকিং। তারপর এগোবে খাদ্য সামগ্রী বোঝাই জাহাজ। এভাবেই চলবে আপাতত ১২০ দিন। পরিকল্পনাটি সফল চলবে আরও বেশ কিছুদিন।    

    এই খাদ্য বোঝাই জাহাজগুলির ওপর নজর রাখবে দুই পক্ষই। রাশিয়া জাহাজগুলির ওপর হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউক্রেন বিষয়টিতে নিশ্চয়তা চেয়েছে যাতে রাশিয়া জাহাজগুলিতে কোনও ভাবেই হামলা না চালায়। ইউক্রেনের সাফ কথা, রাশিয়ার কোনও জাহাজ যেন এই জাহাজগুলির সঙ্গে না থাকে এবং ইউক্রেনের বন্দরে যেন রাশিয়ার কোনও প্রতিনিধি না থাকে। 

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। এতে গোটা বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির দাম ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে শুরু করে। যদিও খাদ্য সংকটের দায় নিতে রাজী নয় রাশিয়া।  

     

  • Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার টানা দু ঘণ্টা ধরে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। শাসক দল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এদিন দিল্লিতে শশী থারুর, মল্লিকার্জুন খাড়গে সব ৭৫ জন কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে পুলিশ।

    ইডি সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়াকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে সোনিয়ার অনুরোধে এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  তবে তার আগে রেকর্ড করা হয় সোনিয়ার বয়ান। ইডি সূত্রে খবর, ২৫ জুলাই ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। এদিন সমন যাচাইকরণ এবং উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষরের মতো কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয় জেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় দুটো নাগাদ।

    আরও পড়ুন : ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    ন্যাশনাল হেরান্ড মামলায় জুন মাসেই ইডি তলব করেছিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তলব করা হয়েছিল সোনিয়া পুত্র তথা  কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও। বিদেশে থাকার জন্য নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। পরে অবশ্য হাজিরা দেন। প্রায় পাঁচ দিন পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে। লিপিবদ্ধ করা হয় তাঁর বয়ান। প্রায় একই সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ারও। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই চেয়ে নেন বাড়তি সময়। সেই মতো বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন সোনিয়া। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা।

    আরও পড়ুন : মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হত। এর মালিক সংস্থা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদপত্র নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। তবে ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় হইচই। যার মূল হোতা ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলারই তদন্ত চলছে। জেরা করা হয়েছে রাহুলকে। এবার জেরা করা হচ্ছে সোনিয়াকে।

     

  • Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ডাকে ভারতে এসেছিলেন পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা। সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে সেই তথ্য তুলে দিয়েছেন সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইকে। খোদ পাক সাংবাদিকের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তবে হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, তা দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীকার আদিস সি আগরওয়াল।

    ট্যুইটবার্তায় আদিস বলেন, জঙ্গিবাদের ওপর এক আলোচনাসভায় হামিদ ওই পাক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই আলোচনা সভায় যে হামিদ গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সচিব জয়রাম রমেশ। তবে নুসরতকে যে হামিদই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেছেন তিনি। অথচ নুসরত মির্জাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হামিদ আনসারি। জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতেই এখন তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, নানা তথ্য দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনেল কাউন্সিল অফ জুরিস্টের সভাপতি আদিস। তিনি আবার অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানও। আদিস জানান, তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সত্য উদ্ঘাটন করতে চান।

    আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    আদিস বলেন, ২০১০ সালের ১১ ও ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ জুরিস্টস অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হয়েছিল ওই আলোচনা সভা। সভায় ছিলেন হামিদ। যদিও নুসরত ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। ছিলেন না অনুষ্ঠানেও। এমনকী, এই অনুষ্ঠানের উল্লেখ পরবর্তীকালে কেরননি মির্জা।

    আদিস বলেন, আমি ওই আলোচনাসভার আহ্বায়ক ছিলাম। যখন আলোচনাসভা আয়োজিত হচ্ছিল, তখন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল হামিদ আনসারিকে। হামিদের সচিবালয় থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদিস আরও বলেন, উপরাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন অশোক দেওয়ান। তিনি আমাকে জানান নুসরতকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি স্বয়ং। যাই হোক, আমরা উপরাষ্ট্রপতির সেই অনুরোধ রাখতে পারিনি। কারণ ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কোনও মিডিয়া কিংবা বিচারক এবং আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

    আদিস বলেন, এরপর যখন দেওয়ান বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেটি ছিল সভার আগের দিন। দেওয়ান আমাকে জানান, মির্জাকে আমন্ত্রণ না পাঠানোয় উপরাষ্ট্রপতি খুশি হননি, অপমানিত বোধ করেছেন। আগে তিনি ঘণ্টাখানেক সভায় থাকবেন বললেও, এখন তিনি জানিয়েছেন, কুড়ি মিনিট থাকবেন।

    আরও পড়ুন :কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি

    আদিস বলেন, অনুষ্ঠানের দিন ঘড়ির কাঁটায় কুড়ি মিনিট হতেই সভাস্থল ছাড়েন হামিদ। যদিও কংগ্রেসের কিছু নেতা এনিয়ে সত্য গোপন করতে চাইছেন। তাঁরা এটা প্রমাণ করতে চাইছেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সহ জীবনীকার বলেই এসব বলছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বলছেন, মোদি ভক্ত হওয়ায় আদিস এসব বলছেন। ওঁদের দাবি, আসলে আমিই না কি নুসরতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এখন দায় চাপাচ্ছি হামিদের ওপর।

    আদিসের মতে, সত্য ধামাচাপা দিতেই এসব করা হচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতেই এসব বর্ম ব্যবহার করছেন হামিদ। আদিস বলেন, আসল ঘটনা হল আমি যে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলাম, তাতে হামিদ এবং মির্জা একসঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু, এই দুজন যে কনফারেন্সে একসঙ্গে ছিলেন, তা ছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এগেইনস্ট টেররিজম।

    আদিস জানান, এই সভার আয়োজক ছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। আলোচনা সভা হয়েছিল নয়াদিল্লির ওবেরয় হোটেলে। হামিদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি, ফারুক আবদুল্লা সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতা। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, হামিদ এবং রমেশ সত্য গোপন করতে চাইছেন। আনসারিকে ক্লিনচিট দিতেই এটা করা হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছে করেই জুরিস্ট কনফারেন্সের নাম নিচ্ছেন।

    আদিস জানান, ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন হামিদ ও নুসরত। ওই অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই ছিলেন। তা থেকে স্পষ্ট মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনুমোদন করেছিলেন হামিদ। এ থেকেও প্রমাণ হয় এক মঞ্চে ছিলেন হামিদ এবং মির্জা। তাই নুসরত যা বলছেন, তা ঠিকই বলছেন।

  • Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের অভাবে সঠিক মতো উৎপাদন করা যাচ্ছে না বিদ্যুৎ। ফলে দেশে চরম আকার নিয়েছে ঘাটতি। মোকাবিলা করতে এবার নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন, পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে কি দেউলিয়ার পথে হাসিনা প্রশাসন!

    কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর (Padma Setu) উদ্বোধনে উদ্বেলিত হয়েছিল দু’পার বাংলার বাসিন্দারা। বাংলাদেশ তো বটেই, এপারেও কিছু মানুষজনও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পালন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অজস্র পোস্ট। এমন নয় যে পদ্মা সেতু ভারত-সংযোগকারী কোনও সেতু, বা এটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোনও স্থাপত্যের নিদর্শন। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মুক্তিযুদ্ধের (Mukti Juddho) গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে সেতু নির্মাণকে তুলনা করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। কোনও বিদেশি সাহায্য ছাড়াই নিজের দমে তারা এই সেতু বানিয়েছে বলেও বার বার দাবি করেছে বাংলাদেশ। যদিও, এত বিপুল অর্থ বরাদ্দ কোথা থেকে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার খানিকটা উত্তর পাওয়া গেল সোমবার। দেখা যাচ্ছে, বিগ বাজেট সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কার্যত ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে বাংলাদেশের। ফলে, চরম বিদ্যুৎ সংকটে ডুবেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমাতে দেশে নিয়মিত এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের (Power Cut) ঘোষণা করল শেখ হাসিনার সরকার।

    সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লোডশেডিং (Load Shedding) হতে পারে দিনে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। বিষয়টি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী। 

    তৌফিক ই এলাহি চৌধুরী বলেন, “খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আজ থেকে সাময়িক বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্বের পরিস্থিতির  উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক      

    তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীতে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, তা ইউক্রেনের একার নয়। ওই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর।” তিনি আরও বলেন, “যাদের অর্থের অভাব নেই, তারাও কিন্তু লোডশেডিং করছে। যুক্তরাজ্যে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে। ডিজেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম, তাতে খরচ অনেকটা কমবে। ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে         

    তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, “আমাদের ধারণা, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনও কোনও জায়গায় দু’ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। কিন্তু  দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই খারাপ সময়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”  

    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “কোন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি শিল্পক্ষেত্রকে।” তিনি আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক থেকে দু’ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রতিমন্ত্রী এদিন বলেন, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সারা দেশে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে।বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দু’দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান নসরুল হামিদ। এমনকি সরকারি অফিসগুলোয় কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেকথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

    পদ্মা সেতু যে বাংলাদেশকে কপর্দকশূন্য করে ছেড়েছে তা এক প্রকার স্পষ্ট। সেতু উদ্বোধনের খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপুল টোল চাপিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন।এবার সেখানে ঝুপ করে নেমে এল নিকষ কালো অন্ধকার। পদ্মা সেতু আলোকিত রাখতে গিয়ে এখন সাময়িকভাবে অন্ধকারে থাকতে হবে সেদেশের বাসিন্দাদের।
     

LinkedIn
Share