Blog

  • Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহিলা এবং সোনার যেন জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। সোনা-গয়না পছন্দ করেন না এমন মহিলার সংখ্যা এদেশে প্রায় অমিল। একজন মহিলা গয়নার জন্যে কত দূর যেতে পারেন ‘মণিহার’ গল্পে দেখিয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সব মোহমায়া ত্যাগ করে এক মহিলা নাকি ১৫ লক্ষ টাকার সোনা (Gold Worth 15 Lakh) ফেলে এলেন এটিএমে রেখে দেওয়া পাত্রে (ATM Bin)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে (Chennai)।

    আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….       

    এটিএম কিয়ক্সটির নিরাপত্তারক্ষী এটিএমের ভেতরে একটি চামড়ার ব্যাগ খুঁজে পাওয়ার পরই বিষয়টি সকলের নজরে আসে। ব্যাগটি খুলে দেখা যায়, রয়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকার গয়না। প্রথমে ওই নিরাপত্তারক্ষী ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে কুন্দ্রাথুরের (Kundrathur) পুলিশকে জানানো হয়। 

    পুলিশের কাছেও ওইদিনই ৩৫ বছরের এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন এক দম্পতি। সেদিন ভোর ৪টে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁদের মেয়ে। পরে দম্পতি জানান, তাঁদের মেয়ে সকাল সাতটাতেই ফিরে এসেছেন। পুলিশের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায়, ওই এটিএম এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ওই দম্পতিকে দেখানো হয়। ভিডিও দেখে দম্পতি নিশ্চিত করেন ওই ভিডিওতে তাঁদের মেয়েই রয়েছেন, যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয় 

    দম্পতি পুলিশকে জানান, তাঁদের সন্তান হতাশার শিকার এবং তাঁর ঘুমের ঘোরে হাঁটার (Sleep Walking) অভ্যেস রয়েছে। চিকিৎসাও চলছে তাঁর। 

    আরও পড়ুন: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    কুন্দ্রাথুর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর চন্দ্রু জানান, “নিরাপত্তারক্ষী ঠিক সময় খবর না দিলে ওই গয়না উদ্ধার করা সম্ভব হত না।” পরে পুলিশ ওই দম্পতির হাতে সোনা তুলে দেয় এবং নিরাপত্তারক্ষী এবং ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তাঁদের সাহায্যের জন্যে  ধন্যবাদ জানায়। 

     

  • Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ভারতের (India) গর্ব। ভাষা-বৈচিত্র্যও তার ব্যতিক্রম নয়। নানা-ভাষার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের সংস্কৃতি। প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই দেশের কাছে গর্বের বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। জয়পুরে বিজেপির (BJP) দলীয় সম্মেলনে শুক্রবার মোদি বলেন, “ভাষা নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।” 

    দলের দু’দিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা (Regional languages) সম্পর্কে শুক্রবার মোদি বলেন,”অতীতে দেখা গিয়েছে, ভাষার ওপর ভিত্তি করে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকটি আঞ্চলিক ভাষাই সমানভাবে পূজনীয়। বিজেপি দেশের প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষার প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভাষার ভূমিকাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।”‌ প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে জানান, দেশে যে জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরি হচ্ছে, তাতে আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সম্প্রতি হিন্দিকে সরকারি ভাষা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, মোদির  এই বক্তব্য তাকে প্রশমিত করবে বলেই আশা রাজনৈতিক মহলের।

    [tw]


    [/tw]

    গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের যে কর্মসূচি তৈরি হয়, তার ৭০ শতাংশই হিন্দিতেই হয়। সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির থেকে হিন্দিই বেশি গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা ইংরেজির বিকল্প হতে পারে না। শাহের এই ধরনের মন্তব্যে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন। তাঁদের দাবি ছিল, শাহ হিন্দিকে দেশের সরকারি ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত যেখানে বহু ভাষাভাষীর দেশ, সেখানে এভাবে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে মোদি এদিন বলেন, “বিরোধীরা যে কোনও ছোট ছোট বিষয় নিয়েই বিতর্ক তৈরি করে যা দেশবাসীর স্বার্থে কাম্য নয়।”

  • Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, সাত জেলার ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, সাত জেলার ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অসমে (Assam ) বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে মে মাসেই অসমে বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভেসে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। অসমের কাছাড়, কামরূপ, কার্বি আংলং, হোজাই, লখিমপুর, নয়গাঁও সহ প্রায় সাতটি জেলা বন্যায় বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৫৭ হাজার মানুষ। ২২২টি গ্রাম জলের তলায়। দশ হাজার ৩২১ হেক্টর কৃষিক্ষেত্র জলমগ্ন। এখনও পর্যন্ত একজন শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে বায়ুসেনাও। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং সেখান থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করার কাজ করছে বায়ুসেনা।

    [tw]


    [/tw]

     বিভিন্ন রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক গ্রাম। রেল লাইনও জলের তলায়। তার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। শিলচর-গুয়াহাটি গামী একাধিক ট্রেন কাছাড় জেলায় আটকে রয়েছে। ১৪০০ যাত্রী-সহ দুটি ট্রেন আটকে রয়েছে দাইতোকেচরা স্টেশনের কাছে। বায়ুসেনার সাহায্যে ১১৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যার কারণে একাধিক রেল লাইনে ধস নেমেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে রেল ট্র্যাকগুলি। সেকারণে ট্রেন চালানোর সাহস দেখাতে পারছে না রেলওয়ে। মাহুর-ফাইডিং এলাকায় রেললাইনে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। ইতিমধ্যেই একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

     রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বায়ুসেনাও। একাধিক জায়গায় সড়কপথে যাওয়া যাচ্ছে না। হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি  হেলিকপ্টার করেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অসমের কুঞ্জুং, ফিয়াংপুই, মৌলহি, নামজুরাং, সাউথ বাগেটর, মাধব টিলা, কালীবাড়ি, নর্থ বাগেটর, জিওন, লোধি পাগমোল সহ একাধিক জায়গায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৮০টি বাড়ি ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    অসমে ১৮ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (IMD)। আগামী কয়েকদিন অসম,মেঘালায়,মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে বৃষ্টি  না ধরলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

  • Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভাবনা ছিলই। সেই মতো বৃহস্পতিবারই সম্ভবত বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের (Gujarat) বছর আঠাশের পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ওই দিন গান্ধীনগরে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি সি আর প্যাটেলের (CR Patel) উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি।

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2019 Loksabha elections) ঠিক আগে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। গতকয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসকে। মন্তব্য করেছিলেন, “আমি যেন নাসবন্দি হওয়া বর!” হার্দিক যখন গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, তখনও তাঁর মুখে বিজেপি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। বলেছিলেন, “বিজেপির যে কিছু ভালো দিক রয়েছে, তা মানতেই হবে।”

    এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরেই যোগ দিচ্ছেন হার্দিক। এক বার শোনা যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের এই পতিদার নেতা। ওই দুই জল্পনাই অস্বীকার করেছিলেন হার্দিক। তিনি বলেছিলেন, আমি এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, তা বিজেপি বা আপ যাই হোক না কেন। আমি যে সিদ্ধান্তই নেব, তা হবে জনগণের স্বার্থে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    দিনকয়েক আগে ফের একবার মোদি-ঘনিষ্ঠ আম্বানি-আদানিস্তুতিও শোনা গিয়েছিল হার্দিকের মুখে। এর পর থেকেই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। শেষমেশ সেটাই সত্যি হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। হার্দিক নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন একথা।

    হার্দিক দল ছাড়ার পরে পরেই তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। সোনিয়ার দলের দাবি, গত ছ’বছর ধরেই বিজেপির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন তরুণ পতিদার নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি থেকে মুক্তি পেতেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপি-সঙ্গ করছেন বলে দাবি হাত শিবিরের।

    চলতি বছরের শেষেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (2022 Gujarat Assembly Election)। তার আগে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পদ্ম শিবিরে যোগদান যে কংগ্রেসকে বেশ খানিকটা বেকায়দায় ফেলল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয় কংগ্রেসের। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই শিবির শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই হাত শিবির ছেড়ে দিয়েছিলেন হার্দিক। এবার চড়ছেন পদ্ম-পানসিতে। 

    আরও পড়ুন : হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

  • Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন (2024 lokshabha election)। বিজেপিকে (BJP) গদিচ্যুত করতে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতেই কংগ্রেস (congress) শাসিত রাজস্থানের (rajasthan) উদয়পুরে বসছে দলের চিন্তন শিবির (chintan shivir)। সেখানে চব্বিশের মহারণের যে রণকৌশল স্থির হবে, তা যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য মোবাইল জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হল শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের।

    টানা দু বার কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Modi) । ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে (UPA govt) পরাস্ত করে বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসান নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ (Amit Shah) জুটি। এই জুটির নেতৃত্বেই একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজেপি-রাজ। মোদি-শাহের জুটির রণকৌশলের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে ঘায়েল হয়েছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধীদের মাত দিতে এখন থেকেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

    পদ্ম শিবিরকে লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী করতে আস্তিন গুটোচ্ছে কংগ্রেসও। যার কারণে দীর্ঘদিন পরে এবার ফের বসেছে চিন্তন শিবির। শুক্রবার শুরু হওয়া শিবির চলবে তিনদিন ধরে।

    শুক্রবার উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। স্বাগত ভাষণে তিনি জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে চাঙা করতে ঋণ শোধ করতে হবে কর্মীদের।

    দ্বিতীয় দিনেও আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভা নির্বাচনে কুর্সিতে ফেরার কৌশল নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। সেই কৌশল যাতে বিধোধী শিবিরে পৌঁছে না যায় তাই ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে শিবিরে আসা কংগ্রেস প্রতিনিধিদের।

    বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র দুটি রাজ্যের রশি। একটি ছত্তিশগড়, অন্যটি রাজস্থান। এই রাজস্থানের দায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken)। তিনি বলেন, পার্টির গোপন খবর যাতে বাইরে চলে না যায় তাই শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যেকের জন্য লকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাবিও রয়েছে। সেখানেই যেন প্রতিনিধিরা ফোন জমা রাখেন।

    আরও পড়ুন : বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    বিজেপির ‘মেরুকরণের রাজনীতি’র মোকাবিলায় কী করা যায়, এই শিবিরে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। দলিত, সংখ্যালঘু এবং ওবিসি ভোটারদের কীভাবে ফের কংগ্রেসমুখী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। গত মাসে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা বসেন। কংগ্রেসকে চাঙা করার গুচ্ছ দাওয়াইও দেন তিনি। তারই একটি দলিত, ওবিসি এবং সংখ্যালঘুদের ভোট হাতের ঝুলিতে ফেরানো। দলিত এবং ওবিসি ভোটে ভাগ বসিয়েই যে বিজেপি এবারও উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই তা স্পষ্ট। দেশজুড়ে এই ভোট কীভাবে ফেরানো হবে, তার উপায় বাতলানো হতে পারে কংগ্রেসের এই শিবিরে। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলায় কী করণীয়, তাও আলোচনা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

     

  • Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদ বদলে গেল মন্দিরে! মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে (Ujjain) একটি মসজিদের  শিব (Lord Shiva) ও গণেশের (Lord Ganesha) মূর্তি রয়েছে বলে দাবি উঠেছিল দিনকয়েক আগে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (archaeological department) নিশ্চিত করে জানাল, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, এক সময় সেখানেই ছিল হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির (Shiva temple)। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের এই ঘোষণায় খুশি একাধিক হিন্দু সংগঠন।

    কিছুদিন আগে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অতুলেশানন্দ জি মহারাজ দাবি করেছিলেন, উজ্জয়িনীর একটি মসজিদে (Ujjain mosque) শিব ও গণেশের মূর্তি রয়েছে। মসজিদটি দানি গেটে অবস্থিত। প্রতিদিন এখানে পাঁচবার নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অতুলেশানন্দ মহারাজের দাবি ছিল, ২০০৭ সালে তিনি একবার ওই মসজিদে প্রবেশ করেছিলেন। তখনই দেখেছিলেন, মন্দিরে রয়েছে শিব ও গণেশের ছবি। মূর্তিগুলি রাজা ভোজের সময়কার বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি যে নিছক দাবি নয়, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের শিলমোহরেই মিলল তার প্রমাণ।

    ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, মুঘল আমলের এদেশের অনেক মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বহু মন্দিরের বিগ্রহ সরিয়ে রূপদান করা হয় মসজিদের। মুসলমান শাসকের আমলে এসব নিয়ে খুব বেশি হইচই হয়নি। হইচই হয়নি স্বাধীনতা-উত্তর কালেও। সম্প্রতি একের পর এক মসজিদ এক সময় হিন্দুদের মন্দির ছিল বলে দাবি হিন্দুদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর। যেমন, আগরার তাজমহল নাকি এক সময় তেজো মহালয়া নামের শিব মন্দির ছিল। ওই স্মৃতিসৌধের বন্ধ থাকা ২০টি কক্ষ খুলে দেওয়ার দাবিও জানায় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    বিবাদ বেঁধেছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও। কাশী বিশ্বনাথের মূল মন্দিরটি দু’হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন হিন্দুদের একাধিক সংগঠন। তাদের দাবি, ১৬৬৯ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দিরটি ভেঙে ফেলেন। তার পরেই তৈরি হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque)। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে এক সময় সেখানেই ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দির ফেরানোর দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কাশীর একটি হিন্দু সংগঠন।

     

     

  • Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha election) বিজেপির (BJP) বিজয়রথ কীভাবে থামানো যাবে, সেই নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ করতে ১৩ মে থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে বসছে কংগ্রেসের (congress) চিন্তন শিবির (chintan shivir)।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীতে, পরিবার-তন্ত্রকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অস্ত্রেই বিভিন্ন নির্বাচনে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। শুধু বিরোধী নয়, দলের অভ্যন্তরেও এই নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একাধিকবার, এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে হাত-শিবিরকে। 

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে এবার আগে থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি। এবার তাই পরিবারতন্ত্রে ইতি টানতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিরোধীদের জবাব দিতে এবার এক পরিবার এক টিকিট নীতি (one family, one ticket) চালু করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। 

    সম্প্রতি, ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে চাঙা করার একগুচ্ছ খসড়া পেশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। ওই খসড়ায়ই ছিল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি লাগু করার কথা। পিকে কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই প্রস্তাব উঠেছে, দলকে জেতাতে অবিলম্বে চালু হোক এক পরিবার এক টিকিট নীতি।  ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। আসন্ন চিন্তন শিবিরেই প্রস্তাবে পড়তে পারে হাইকমান্ডের শিলমোহর। 

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    তবে সূত্রের খবর, এই নীতি-রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে! আর সেই ব্যতিক্রমের নাম গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, এক পরিবার এক টিকিট নীতি বাকি সকলের জন্য কার্যকর হলেও, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ, গান্ধী পরিবারকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই খবর।

    সূত্রের খবর, আলোচনার সময়, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যের কারণে হয়তো এবার আর রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)  লড়বেন বলেই খবর। এক পরিবার এক নীতি লাগু হলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার টিকিট পাওয়ার কথা নয়। যদিও প্রিয়ঙ্কাও লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

    পরপর দু’দফায় দিল্লির তখতে বসেছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় শুরু হয়েছে দলে। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হচ্ছে দল। এমতাবস্থায় দলকে চাঙা করার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই চিন্তন শিবিরে। তার মধ্যেই একটি হতে চলেছে, এক পরিবার এক টিকিট নীতি।

    কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিজেপি যাতে ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করতে না পারে, সেই জন্যই এই নীতি চালু করার ভাবনা। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি গান্ধী পরিবারকে এই নীতি থেকে “ফ্রি পাস” দেওয়া হয়, তাহলে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও প্রকট হবে। সেক্ষেত্রে, নির্বাচনের আগে, বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র উঠে আসবে। 

    শুধু তাই নয়। দলের কংগ্রেসেরই অন্দরে এই নিয়ে আরও অসন্তোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্য়েই, দলের একাংশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি নয়। অনেকেই মনে করেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকে। কিন্তু, তা আখেরে কতটা হয়, তা আসন্ন চিন্তন শিবিরেই বোঝা যাবে। 

  • Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য পালন না করার ফলে মেয়েদের যদি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয়, তাহলে তাতে কোনও ‘ভুল’ নেই। সেই ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই মনে করে দেশের অর্ধেক ছেলে-মেয়েরা। কেন্দ্রের সমীক্ষায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS) অনুযায়ী, কর্ণাটকের বেশিরভাগ বাসিন্দাই মনে করেন, মেয়েরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে স্ত্রীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা বা যৌন হয়রানির ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare) প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে শুধু কর্ণাটক নয় দেশের প্রায় অর্ধেক পুরুষ এবং মহিলা এই যুক্তিতে একমত।

     ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন, ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ রিপোর্টে এমনটাই দেখা গিয়েছে। যদিও দেশে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ৩১.২% থেকে ২৯.৩% এ হ্রাস পেয়েছে। তবুও দেশবাসীর এই মানিসকতা চমকে দেওয়ার মতো বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৩২% বিবাহিত মহিলা (১৮-৪৯ বছর) শারীরিক, যৌন বা মানসিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল শারীরিক সহিংসতা (২৮%), তারপরে মানসিক সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতা। এর বিপরীতে, দেশে মাত্র ৪ % পুরুষ গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলার মুখোমুখি হন।

    কর্ণাটকে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতা সর্বোচ্চ ৪৮ %, বিহার, তেলেঙ্গানা, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুর পরে। লক্ষদ্বীপে সর্বনিম্ন পারিবারিক সহিংসতা ২.১%। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শারীরিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা বেশি সাধারণ (৩২%) শহরাঞ্চলে তাদের সমকক্ষদের তুলনায় (২৪%) এবং একজন মহিলার সহিংসতার অভিজ্ঞতা ক্রমবর্ধমান স্কুলিং এবং সম্পদের সঙ্গে দ্রুত হ্রাস পায়।

    সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের রঞ্জনা কুমারী বলেন,” এই সমীক্ষা প্রমাণ করে দেশবাসী নারীর উপর গার্হস্থ্য হিংলার ঘটনাকে সাধারণ বলে মনে করে। এতে কোনও অপরাধ লুকিয়ে আছে বলে মানেন না তাঁরা। শুধু পুরুষেরা নয়, মেয়েরাও এই নীতিকেই মেনে নিয়েছে।” এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে নারীশিক্ষার উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন রঞ্জনা। 

     

  • Dalai Lama: দলাই লামাকে মোদির ফোন! জন্মদিনে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর দীর্ঘায়ু কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Dalai Lama: দলাই লামাকে মোদির ফোন! জন্মদিনে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর দীর্ঘায়ু কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্ব তাঁকে চেনে অথচ নিজের জন্মভূমিতে ফেরার অধিকার নেই তাঁর। তিনি হলেন তেনজিং গিয়াস্তো, চতুর্দশ দলাই লামা।  ১৯৩৫ সালের ৬ জুলাই উত্তর পূর্বের তাতসের গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মসূত্রে নাম ছিল লামো ধন্ডুপ। আজ তাঁর ৮৭-তম জন্মদিন। তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা-র ৮৭তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলাই লামার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় মোদি লেখেন, ‘ধর্মগুরু দলাই লামাকে আগেই ফোন করে তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

    [tw]


    [/tw]

    তিব্বত আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার সঙ্গে চিনের বিরোধ বাধে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের শীর্ষগুরু দলাই লামা ভারতের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ভারত দলাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে ধর্মশালায় তাঁকে সংঘ স্থাপনের জায়গা দেয়। সেই থেকে ধর্মশালাতেই স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন দলাই লামা। তাঁর জন্মদিনে এদিন দেশ ও বিদেশের বহু রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনেতারা অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।

    দলাই লামা কথাটির অর্থ হল জ্ঞানসাগর। তেনজিংয়ের মধ্যে ত্রয়োদশ দলাই লামার পুনর্জন্ম ঘটেছে বলে মাত্র দু’বছর বয়সে তিনি চিহ্নিত হন লামো হিসেবে। করুণার বোধিসত্ত্ব হিসেবে পুনর্জন্ম নেবেন বলে মৃত্যুর আগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন ত্রয়োদশ দলাই লামা। ১৯৫০ সালে ছ’বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন দলাই লামা। তিব্বত সরকারের প্রধান হিসেবে তাঁকে অভিষিক্ত করার প্রস্তুতি শুরু হয়। ৬১ বছর আগে, ১৯৫৯-এর মার্চের এক রাতে চিনের লাল ফৌজের লালচক্ষু উপেক্ষা করে পথে নেমে পড়েছিলেন দলাই লামা। সঙ্গী ছিলেন তাঁর  বৃদ্ধা মা, বোন, ছোট ভাই আর তাঁর কয়েক জন আধিকারিক। জানতেন না, তাঁর সামনে কী ভবিষ্যত্‍‌ অপেক্ষা করছে। ১৯৫৯ সালের ৩ এপ্রিল ভারত দলাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়। তাঁর নির্বাসিত সরকারকে জায়গা দেওয়া হয় হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায়। তার পর, সেখান থেকেই তিব্বত মুক্ত করার দাবিতে চিনবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছেন দলাই লামা। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮৯ সালে তিনি পান নোবেল শান্তি পুরস্কার।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার

    ভারত সরকারের সঙ্গে দলাই লামার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। করোনা মোকাবিলায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে চিঠি লেখেন দলাই  লামা। এমনকি করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অনুদানও দেন তিনি। অসমে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যেও এগিয়ে এসেছেন তিব্বতি ধর্মগুরু। তিনি মনে করেন ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে ইতিহাস ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। নিজেদের অতীত-ঐতিহ্যকে ধরে রেখে নতুনকে বরণ করেছে ভারত। 

  • Anantnag Sun Temple: অনন্তনাগে মার্তন্দ সূর্য মন্দির পরিদর্শন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার

    Anantnag Sun Temple: অনন্তনাগে মার্তন্দ সূর্য মন্দির পরিদর্শন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্তনাগ (Anantnag) পরিদর্শন করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (L-G Manoj Sinha)। তিনি মাত্তানের প্রাচীন মার্তন্দ সূর্য মন্দিরে (Martand Sun Temple) শুভ নবগ্রহ অষ্টমঙ্গলম পুজোয় অংশ নেন।

    সাধু, কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। এই মন্দির দেশের সূর্য মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতম। অষ্টম শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরটি অমূল্য প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক। অনুষ্ঠানে মনোজ সিনহা বলেন, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর বৈচিত্র্যময় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে। দেশের জ্ঞানের কেন্দ্র। আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক স্থানগুলিকে প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তরিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই কাজ আমাদের ধর্মের পথে চালনা করবে এবং এই সুন্দর ভূমিকে শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলবে।” 

    কাশ্মীরবাসীর মঙ্গলের জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করেন তিনি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুরিন্দর অম্বরদার এবং বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট সাধু-সন্ন্যাসীরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার পান্ডুরং কে পোল, কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার, অনন্তনাগ জেলা প্রশাসক ডাঃ পীযূষ সিংলা এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।

     

LinkedIn
Share