Blog

  • WhatsApp Trick: নিজের সঙ্গে চ্যাট! হোয়াটসঅ্যাপের এই বিশেষ ফিচার সম্পর্কে জানেন কি?

    WhatsApp Trick: নিজের সঙ্গে চ্যাট! হোয়াটসঅ্যাপের এই বিশেষ ফিচার সম্পর্কে জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি হোয়াটসঅ্যাপে প্রায় সারাক্ষণই অ্যাক্টিভ থাকেন? যদি বলেন হ্যাঁ, তবেই আপনার জন্য আছে একটি সুখবর। বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। নিয়মিতভাবে কয়েক কোটি মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে চলেছেন। তাই কারোর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সবাই এই প্ল্যাটফর্মটিকেই বেছে নেন। এছাড়াও মেটা মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা প্রায়ই নতুন আপডেট নিয়ে আসে নতুন নতুন ফিচার নিয়ে। তবে এবারে কোনও নতুন আপডেট নয়, হোয়াটসঅ্যাপের একটি ট্রিকস নিয়ে বলা হবে যা ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা এনে দিতে পারে।

    আরও পড়ুন: মেসেজ ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ানে’ নতুন বদল আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ

    এর মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তবে এখানে self chat option নেই। কিন্তু এই অপশন না থাকলেও এবারে আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপেই কোনও কিছু তথ্য নোটডাউন করে নিতে পারবেন। কোনও কিছু লেখার জন্যে আপনাকে আর নোটপ্যাড বা অন্য কোনও অ্যাপে যেতে হবে না। চ্যাট করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই আপনার জরুরি তথ্য লিখে নিতে পারবেন।

    তবে অনেকেই এই কাজটি করার জন্যে আগে থেকেই একটি কৌশল বের করেছে। আপনারা অনেকেই নিশ্চয় এটি করেছেন যে, পরিচিত একজনের সঙ্গে হোয়াটস্যাপে একটি গ্রুপ বানিয়ে তারপর তাকে গ্রুপ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিজের যাবতীয় তথ্য বা প্রয়োজনীয় ফাইল নিজের সুবিধার্থে লিখে রাখতে বা শেয়ার করছেন। তবে নিজের জন্যে হোয়াটসঅ্যাপে একটি আলাদা জায়গা করে রাখার জন্যে এর থেকেও একটি ভালও ট্রিক রয়েছে তার জন্যে আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব (WhatsApp web) বা হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ (WhatApp Desktop) খুলে লগ ইন করতে হবে। এরপর আরেকটি নতুন ট্যাব খুলে https://wa.me//91XXXXXXXXXX এই লিঙ্কটি দিয়ে তারপর X-এর জায়গায় আপনার মোবাইলের নম্বরটি দিতে হবে। এরপর এন্টার দিলেই continue to chat বা continue to web chat  দেখাবে। আর এখানেই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য নিজের জন্য এখানেই শেয়ার করতে পারবেন বা কোনও কিছু লিখে রাখতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: কী করে লুকোবেন হোয়াটসঅ্যাপের অনলাইন স্টেটাস? জেনে নিন

    তাহলে দেরি না করে, নিজেই পরখ করে দেখুন!

     

  • Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপান করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু একটি গবেষণায় বলা হয়েছে,  ৪০-এর বেশি বয়সের ব্যক্তিদের তুলনায় ৪০-এর নীচে বয়সের ব্যক্তিদের জন্যে মদ বেশি ক্ষতিকারক। যাঁরা ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের এই তথ্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। তবে তা একেবারেই নয়। তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি হলেও, অতিরিক্ত মদ্যপানে ক্ষতি হয়, তা যে বয়সই হোন না কেন। যদিও, অনেক গবেষণা বলছে, অল্প পরিমাণ মদ্যপানে ক্ষতি খুব একটা হয় না।

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল খাওয়ার বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। আবার রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের জন্য মদ্যপান কিছুটা উপকারী হতে পারে। তবে এর নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। পরিমিত মদ খেলেই একমাত্র উপকার পাওয়া যেতে পারে। মদ খেলে ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এটি পৃথিবীর সমস্ত জায়গারই ৪০-এর কম বয়সি ব্যক্তিদের জন্যে প্রযোজ্য যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মদ উপকার করে থাকলেও, এর কম বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক।

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, মদ খেয়ে কোনও দুর্ঘটনা যেমন- গাড়ির দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা এই বয়সি মানুষের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সুতরাং এককথায় এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, তরুণদের মদ খাওয়া উচিত নয় কিন্তু ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিরা মদ স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন ও এটি তাঁদের শরীরে উপকারী হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অ্যালকোহল পরীক্ষায় ফেল! সাসপেন্ড একাধিক এয়ারলাইন্সের ৯ পাইলট ও ৩২ ক্রু 

     

     

     

  • BSNL: বিএসএনএলের হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    BSNL: বিএসএনএলের হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (Bharat Sanchar Nigam Limited) হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন টেলি কমিউনিকেশন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানান, ফাইবার নেটওয়ার্ক বাড়ানোই এবার বিএসএনএলের (BSNL) মূল লক্ষ্য। 

    আরও পড়ুন: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে বিএসএনএলের মাথায়। সেই চাপ কমাতেও এই আর্থিক প্যাকেজ ব্যবহার করা হবে। এছাড়া বিএসএনএলের বন্ড বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বন্ড বিক্রি করে যে টাকা আসবে, সেই টাকা থেকে ঋণের কিছু টাকা মেটানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ফোরজি এবং ফাইভজি পরিষেবার জন্য স্পেকট্রামও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে বিএসএনএল এবং ভারত ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেডের সংযুক্তিকরণের বিষয়েও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এই আর্থিক প্যাকেজের তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। বিএসএনএলের পরিষেবার মান উন্নত করা, ঋণের বোঝা কমানো এবং ফাইবার নেটওয়ার্কের পরিধি বৃদ্ধি করা। প্যাকেজটিতে মোট ৪৩,৯৬৪ কোটি টাকার নগদ সহায়তা এবং ১.২০ লক্ষ কোটি টাকার অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে।”  

    মন্ত্রী এদিন আরও জানান, “এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের ২৪,৬৮০টি গ্রামে এখনও কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ নেই। ভারত জুড়ে মোট ২৫,০০০টি প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ পৌঁছে দিতে ২৬,৩১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।” 

    প্রসঙ্গত, সংস্থাটির হাল ফেরানোর জন্যে চার বছরের সময় বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৭ অর্থবর্ষের আগেই সংস্থাটিকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যদিও যাবতীয় পরিকল্পনা প্রথম দুবছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

    মন্ত্রী আরও বলেন, “বিএসএনএল এবং বিবিএনএলের (BBNL) সংযুক্তিকরণের পরে মোট ফাইবার নেটওয়ার্ক হবে ১৪ লক্ষ কিলোমিটার। আগামী দুবছরেই বিএসএনএলের আয় অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্র।” 

     

  • Mehuli won Gold: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    Mehuli won Gold: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ISSF শ্যুটিং বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সোনা এল ভারতের ঘরে। বিশ্বজয় করলেন বঙ্গকন্যা। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতকে সোনা এনে দিলেন বাংলার বৈদ্যবাটির মেয়ে মেহুলি ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাহু তুষার মানে। মেহুলি ঘোষ (Mehuli Ghosh) ও শাহু তুষার মানে (Shahu Tushar Mane) মিক্সড ইভেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতলেন। তাদের মোট পয়েন্ট ৬৩৪.৪। মোট ৬০টা শটে এই পয়েন্ট তোলে তারা। এর আগে বুধবার সকালে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড ইভেন্টে ব্রোঞ্জও জিতেছে ভারত।
     
    টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন মেহুলি এবং তুষার। মঙ্গলবারই বিশ্বকাপে পদক নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় জুটি। বুধবার দুরন্ত পারফর্ম করে তাঁরা হারিয়ে দেন হাঙ্গেরির এজতার মেসজারোস এবং ইস্তভান পেনের জুটিকে। তবে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি হয়। শেষ হাসি হাসেন ভারতীয় জুটি। ১৭-১৩ পয়েন্টে তাঁরা হারিয়ে দিয়েছেন হাঙ্গেরির জুটিকে। ম্যাচের ফল ১৭-১৩। চতুর্থ স্থান পেয়েছেন ইজরায়েল ও চেক রিপাবলিকের শ্যুটাররা।  

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটাই মেহুলির প্রথম স্বর্ণপদক নয়। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে মেহুলি। তবে তাঁর সঙ্গী তুষার এই প্রথম সোনা জিতেছেন। বুধবার বিকেলেই ফের পদক জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে মেহুলির। মহিলাদের দশ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগের ফাইনালে নামবেন তিনি। সেখানেও মেহুলির ভালো ফল করা নিয়ে আশাবাদী কোচ বিবস্বান গঙ্গোপাধ্যায় এবং মেন্টর গগন নারাং।  

    [tw]


    [/tw]

    একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে আরেক ভারতীয় শ্যুটার নবীন সাঙ্গওয়ানের। পুরুষদের দশ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট দু’টি সোনা এবং একটি ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারত। মেহুলির সোনা জয়ের পরেই চিনকে টপকে গিয়েছে ভারত। মেহুলি ও তুষারের আগে ভারতের হয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছেন অর্জুন বাবুটা (Arjun Babuta। পদকজয়ী দেশগুলির তালিকায় আপাতত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশ। তিনটি সোনা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সার্বিয়া। চিনা শ্যুটারদের ঝুলিতে রয়েছে দু’টি সোনা।

    আরও পড়ুন: কাতারে নতুন বিয়ার পলিসি! না কি ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ

    ভারতের এই সাফল্যের ফলে বিভিন্ন মহল থেকে ভেসে আসছে শুভেচ্ছাবার্তা। বাংলার মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মেহুলির ছবি দিয়ে ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু জানান,আজ বাংলা গর্বিত মেহুলির জন্য। দেশকে গর্বিত করেছে বঙ্গতনয়া। মেহুলির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তিনি। 

  • India Vision 2047: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    India Vision 2047: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে নাশকতার ছক কষেছিল বিহারের দুই জঙ্গি। বৃহস্পতিবার পাটনা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাটনা পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্ত মার্শাল আর্ট শেখবার নাম করে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিত। এই দুই জঙ্গিকে তল্লাশি করে পিএফআই (PFI) এসডিপিআই (SDPI)-র বেশ কিছু গোপন কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই কাগজ থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে ২০৪৭ সালের মধ্যেই ইসলাম শাসিত রাষ্ট্র হবে ভারত। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করছে জঙ্গিরা।

    [tw]


    [/tw]

    গত মঙ্গলবার বিহারের দেওঘরে বিমানবন্দর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সেই সময়ে তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মোদির সফরের পনের দিন আগে থেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত দুই জঙ্গি। জানা গিয়েছে, দুই জঙ্গির নাম আতহার পারভেজ এবং মহম্মদ জালালউদ্দিন। ফুলওয়ারি শরিফ এলাকায় তারা বেশ কিছুদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। গত ৬ এবং ৭ জুলাই মোদির উপরে হামলার পরিকল্পনা করতে বিশেষ মিটিং করেছিল দু’জনে। ফুলওয়ারি শরিফে তাদের ডেরায় তল্লাশি চালিয়েছে বিহার (Bihar) পুলিশ। সেখান থেকেই নানা কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। সেখানে জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বেশ কিছু বই পাওয়া গিয়েছে। তাদের কাগজপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিল ওই দুই জঙ্গি। 

    আরও পড়ুন: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    দুই অভিযুক্তের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে ভিন রাজ্য থেকেও আসত অনেকে। বিগত দু’মাস ধরেই ভিন রাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। অন্য রাজ্য থেকে যারা আসত তারা টিকিট বুকিং এবং হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেদের নাম বদলে নিত বলে জানা যাচ্ছে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গি মহম্মদ জালালউদ্দিন ঝাড়খণ্ডের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। জঙ্গি সংগঠন সিমির (SIMI) সঙ্গে যুক্ত ছিল অপর ধৃত জঙ্গি পারভেজ। বর্তমানে দু’জনেই পিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত। আপাতত তাদের জেরা করছে বিহার পুলিশ।

  • IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের (India Meteorological Department) কাছে বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন চরম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার মতো প্রযুক্তি এখনও দেশে নেই বলে জানালেন  আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব, ডক্টর এম রবিচন্দ্রন (Dr M Ravichandran)। এ জন্যই অমরনাথে দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে তীর্থযাত্রীদের। গত 8 জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার অমরনাথ গুহা মন্দিরের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন,এটা স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টির ফল। তাতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথের একাংশ। পণ্ড হয়েছে এই তীর্থযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। প্রাণহানি ঘটেছে তীর্থযাত্রীদের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে বলা হয়েছে, অমরনাথ গুহামন্দিরের কাছেই পর্বতের শিখরে মেঘ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সেখান থেকে বৃষ্টি নেমেছে। 

    আরও পড়ুন: গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘ! অমরনাথে আতঙ্ক

    সোমবার আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব (Secretary, Ministry of Earth Sciences), ডক্টর এম রবিচন্দ্রন বলেছেন যে এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টির ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান “এই মুহূর্তে দেশে বিদ্যমান নেই”। তিনি বলেন, “যেমন ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো কোনও বিজ্ঞান নেই, তেমনই বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগাম জানানোর মতো কোনও প্রযুক্তি নেই। আমাদের এই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনাগুলির প্রক্রিয়াটি বুঝতে হবে, কোনও দেশেরই এই ধরনের পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান নেই।” সচিব বলেন, মন্ত্রণালয় বর্তমানে ড্রোন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সেগুলোকে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন (AWS) হিসেবে ব্যবহার করা হবে। AWS ড্রোনটি  ২ কিমি পর্যন্ত এলাকার তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সঠিকভাবে বলতে পারবে বলে ধারণা। 

    আরও পড়ুন: ভোট চাইতে রাজ্যে এসে বিবেকানন্দের ভিটে ঘুরে গেলেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    মৌসম ভবনের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির জেরেই হড়পা বান এসেছে। এখনও নিখোঁজ বহু ভক্ত। ইতিমধ্যে সোমবার থেকে আবার শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা ৷ পহলগাঁও রুটে প্রথম বেসক্যাম্প নুনওয়ান এবং পবিত্র গুহার আগে শেষ বেসক্যাম্প পঞ্চতারনি থেকে এগিয়েছে পুণ্যার্থীদের যাত্রা ৷ অন্তত ৫ হাজার পুণ্যার্থী সোমবার দর্শন করেছেন পবিত্র গুহায় ৷ এই নিয়ে এ বার পবিত্র গুহায় পৌঁছলেন অন্তত ১ লক্ষ ২০ হজার পুণ্যার্থী ৷

  • Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka economic crisis) পড়েছে। রান্নার গ্যাস, বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে। জনতার রোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যাচ্ছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরই মাঝে খবর, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ২০ জুলাই নতুন রাষ্ট্রপতি (New President) নির্বাচন করবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। আবেওয়ার্দেনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শুক্রবার পুনরায় লোকসভা অধিবেশন বসবে এবং পাঁচ দিন পরে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট হবে।”

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের         
     
    তিনি আরও বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে পুনরায় সরকার গড়া আবশ্যক। ক্ষমতাসীন দল বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।”   

    সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। সপ্তাহান্তে, রাজধানী কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) সরকারী বাসভবনে হামলা চালায় এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালাতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তাঁরা পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার দুই নেতার পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলো সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?       

    এএনআই সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী, সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (SJB) সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সাজিথ প্রেমাদাসাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসজেবি পার্টির সচিব রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন এবং সংসদীয় গ্রুপে পার্টির চেয়ারম্যান ফিল্ড মার্শাল শরথ ফনসেকা প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন। সংসদে এসজেবির প্রায় ৫০  জন সাংসদ রয়েছে এবং সংসদ ভোটে জিততে তাদের ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন৷    

    শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই পদত্যাগ করলে স্পিকার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সংসদকে তার সদস্যদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। তিনি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ার মেয়াদের বাকি দুই বছরের জন্য পদে বহাল থাকবেন।     

      

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে  দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) হত্যার প্রেক্ষিতে চলা রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে ৯ জুলাই কলকাতা সফর স্থগিত করেছিলেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সোমবার বাংলায় এলেন তিনি। তবে কলকাতায় নয় প্রথমে তিনি পা রাখলেন শিলিগুড়িতে। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। দেরাদুন থেকে বিশেষ বিমানে বাগডোগরা সেন তিনি। এরপর সেখান থেকে শিলিগুড়ির এক বিলাসবহুল  হোটেলে যান তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে এসে শিলিগুড়িতে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। শিলিগুড়ির হোটেলে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং গোলে। এছাড়া ছিলেন সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা ও সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের মোট ৩১ জন বিধায়ক। লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুই সাংসদও ছিলেন সেখানে। সিকিমের নেতারা ছাড়াও এদিন শিলিগুড়িতে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ঢোল, নাকারা বাজিয়ে তাঁকে হোটেলে স্বাগত জানানো হয়। এদিনই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যার বিমানে কলকাতায় আসার কথা রয়েছে দ্রৌপদীর।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে টেনেটুনে পাশ, সেই ছেলেই এখন আইএএস অফিসার!

    কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাতে নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেই তিনি ফিরে যাবেন। তবে বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এখনও কোনও সূচিই চূড়ান্ত নয়। তিনি কলকাতায় এলে কর্মসূচিতে বদলও হতে পারে। বিজেপি সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সকালে দ্রৌপদীদেবী স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারেন। এরপর ফিরে এসে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকের পরেই তিনি চলে যাবেন বিজয়ওয়াড়ায়। তাঁর সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিধানসভার স্পিকার কারও সঙ্গেই তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে।

  • Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta Highcourt)। কিন্তু, একের পর এক “শ্রী”-প্রকল্পে বিপুল অর্থ খয়রাতি ও অনুদান দিতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারে আগে থেকেই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। ফলস্বরূপ, আদালতের নির্দেশমতো রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ সময়মতো মেটাতে পারেনি নবান্ন (Nabanna)। যার জেরে, আদালতের নির্দেশে বেতন আটকে যায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের শীর্ষ কর্তাদের। রোষে পড়তে হয়েছে রাজ্যকেও। 

    এর পরই টনক নড়ে মমতা (Mamata) প্রশাসনের। কিন্তু টাকা, সেটা আসবে কোথা থেকে? এই পরিস্থিতিতে বকেয়া মেটানোর টাকা তুলতে এবার রাজ্যবাসীর ওপরই কোপ ফেলল রাজ্যের শাসক শিবির (TMC)। চুপচাপ গ্রামে-শহরে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Government)।

    আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    সাধারণত, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (পিডিসিএল)-এর থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা গ্রাহকদের সরবরাহ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা সংক্ষেপে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL)। এর জন্য ইউনিট প্রতি পিডিসিএলকে ৪ টাকা করে দেয় ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    ২০২০ সাল থেকে নিজস্ব কয়লাখনি থেকে উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে পিডিসিএল। ফলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায়, পিডিসিএল ইউনিট প্রতি দাম ৫১ পয়সা কমিয়ে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু, গ্রাহকদের কোনও সুবিধা হয়নি। উল্টে এখন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি মাশুল চাপাল ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    প্রকাশ্যে আসা Tariff অনুযায়ী, গ্রামে ১০২ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা। এখন তা হচ্ছে ৫.৪৯ টাকা। শহরে এই পরিমাণ বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.৩০ টাকা। এখন হল প্রতি ইউনিট ৫.৫৩ টাকা। অর্থাৎ, সাধারণ পরিবারগুলির জন্য প্রতি ইউনিটে ২৩ পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। দাবি, দাম বাড়ার ফলে সংস্থার ৯৪২ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে। নবান্ন চাইছে, এই টাকা দিয়ে বকেয়া ডিএ মেটাতে। 

    আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    শুধু ডিএ বা মহার্ঘভাতাই আটকে রয়েছে তেমন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের একাংশের আরও অভিযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর টাকাও নাকি ঠিকমতো জমা পড়ছে না। এক্ষেত্রেও, কর্মীদের হকের টাকা জমা না করার দায়ে কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির দাবি করেছে। সরকারের যুক্তি, কর্মীদের বেতন দিতে গিয়েই নাকি সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এখানেই, দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন আন্দোলনকারী বিদ্যুৎকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেনার খরচ কমে যাওয়ার পরেও, বিদ্যুৎকর্মীদের টাকা মেটানো হচ্ছে না। উল্টে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে অতিরিক্ত আয় করছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। 

    তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় সরকার (All Party Government) গড়তে সহমত হল শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সমস্ত বিরোধী দল (Oppositions)। আগামী বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (President Gotabaya Rajapaksa)। রাষ্ট্রপতির ইস্তফার পর দেশ চালানোর জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার একটি বৈঠকের পর এই কথা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka Economic Crisis) পড়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশজুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নেতা, ক্রিকেটার থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সঙ্কট থেকে টেনে তুলতে ব্যর্থ সরকার। বিক্ষোভ কর্মসূচী হিসেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দখলও নিয়েছে দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে সরকার চালানোর বিষয়ে রবিবার বৈঠকে বসে বিরোধী দলগুলি। তার পরেই শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (SLPP) দলের নেতা বিমল বীরাবানসা বলেন, ‘‘কিছু সময়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ সরকার গড়তে আমরা সব দল সম্মত হয়েছি।’’ 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা  

    বিমল আরও বলেন, ‘‘এই সরকারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’’ এসএলপিপির আরেক নেতা বাসুদেব নানাইয়াক্কারার বলেন, “১৩ জুলাই গোতাবায়ার ইস্তফার জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। তার আগেই সরকার গড়া উচিত।” 

    শনিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই বিরোধী নেতারাও রাষ্ট্রপতির ইস্তফা দাবি করেন। সেই বার্তা গোতাবায়ার কাছে পৌঁছে দেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। তারপরেই ১৩ জুলাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন গোতাবায়া । ইস্তফা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিঙ্ঘে।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    প্রধান বিরোধী দল সমাগী জন বলাওয়েগায়া দলের নেতা র়ঞ্জিত মাদ্দুমা বানদারা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ায় সম্মত হয়েছি আমরা। এর পর দেশে সংসদীয় নির্বাচন হবে।’’

    হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি: তবে এখনও হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। জনরোষের ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে থেকেও দিচ্ছেন সরকারি নির্দেশ। রবিবার শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা জানান, রাষ্ট্রপতি সরকারি আধিকারিকদের জনগণের মাঝে রান্নার গ্যাস বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ এখনও খোলা রয়েছে, এতে জনতার সমর্থন কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। রাজাপক্ষের এই পদক্ষেপে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে এখনও কী পদে থাকার আশা ছাড়েননি তিনি! সত্যিই কী ইস্তফা দেবেন?  

    শ্রীলঙ্কার জনগণের পাশে ভারত: এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধন রয়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কা এবং তার জনগণ যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে সম্পর্কে অবগত। অরিন্দম বাগচি আরও বলেছেন, “আমরা চাই শ্রীলঙ্কা খুব অল্প সময়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসুক। ভারত এই বছর শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সেই দেশকে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবিষয়ে বলেন, “ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য করবে।”

    শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত? সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছিল যে ভারত নাকি সেনা পাঠাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। তবে কলম্বোতে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের রিপোর্ট ভারতের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। বিদেশ দফতরের মুখপাত্রও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে দেশের উন্নতি চাইছেন। 

LinkedIn
Share