Blog

  • Indian employees: কাজের বাজারে ফিরছে সুদিন, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির ভারত!

    Indian employees: কাজের বাজারে ফিরছে সুদিন, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে ভারত (India)। অতিমারী পর্ব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির (modi) ভারত। উচ্চ বেতনের লক্ষ্যে আগামী এক বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী (employees) পরিবর্তন করবেন সংস্থা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় (survey) উঠে এসেছে এই তথ্য। 

    ২০২০ সালের প্রথম দিকেই ভারতে অতিমারীর রূপ ধারণ করে করোনা (Coronavirus)। মারণ ভাইরাস কোভিডের (covid-19) মোকাবিলায় দেশজুড়ে হয় লকডাউন (Lockdown)। তার পরেও রোখা যায়নি করোনায় মৃত্যু মিছিল। যদিও কেন্দ্রের তৎপরতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা বলি হয়েছে ঢের কম।

    লকডাউন-পর্ব কাটিয়ে চলতি বছরের গোড়ার দিকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভারত। তার ফলও মিলেছে বলে সমীক্ষার রিপোর্টেই স্পষ্ট। ওই সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গোটা ভারতেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কাজের বাজার। এই শ্রম বাজারের রশি রয়েছে কর্মীদের হাতে। বর্তমানে তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন কাজের বাজার। আগামী এক বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী উচ্চ বেতনের লক্ষ্যে সংস্থা পরিবর্তন করবেন। কেবল উচ্চ বেতনই নয়, ভাল কেরিয়ারের লক্ষ্যেও সংস্থা পরিবর্তন করবেন তাঁরা। কাজের বাজার যে ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাও ধরা পড়েছে ওই সমীক্ষায়। 

    আরও পড়ুন :ভারতে এপ্রিলেই কাজে যোগ ৮৮ লক্ষ মানুষের!

    সমীক্ষক সংস্থার সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজের বাজারের নিয়ন্ত্রক ছিলেন নিয়োগকর্তারা (employer)। এখন বদলেছে পরিস্থিতি। কাজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন কর্মীরা। তিনি বলেন, এখন কাজের বাজারের পরিস্থিতি এতটাই অনুকূল যে, কর্মীরা মোটা মাইনের অফার পেয়ে সংস্থা পরির্বতন করছে। মাইনে ছাড়াও তাঁরা এখন ব্র্যান্ডও দেখছেন। কাজের পরিবেশও যাচাই করে দেখছেন অনেকে।

    লকডাউন পর্বে অফলাইনের পরিবর্তে দেশের সিংহভাগ সংস্থায় কাজ হয়েছে অনলাইনে। তার জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দীর্ঘদিন বিভিন্ন সেক্টরে বন্ধ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। কাজের বাজারের সেই দুর্দিন ঘুচে গিয়ে যে সুদিন ফিরে আসছে, সমীক্ষার রিপোর্টেই তা স্পষ্ট।

    দেশজুড়ে করা ওই সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬৪ জন কর্মী আগামী এক বছরের মধ্যেই মোটা বেতনের টোপ গিলে নয়া সংস্থায় যোগ দেবেন। টেকনোলজি, হার্ডওয়্যার, টেলিকমিউনিকেশনস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টসের কাজের বাজারেই মূলত বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

  • Navjot Singh Sidhu: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর

    Navjot Singh Sidhu: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। তিন দশকের বেশি পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারকে বৃহস্পতিবার এক বছর জেলের সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সময়টা ভাল যাচ্ছে না সিধুর। ভোটে হেরেছিলেন কয়েক মাস আগেই। এবার ৩৪ বছরের পুরনো  পথ-হিংসা মামলায় (1988 road rage case) কারাবাসের সাজা শোনাল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই সিধু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘আমি আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করব।’

    [tw]


    [/tw]

    ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পঞ্জাবের রাস্তায় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে। গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, পঞ্জাবের পাতিয়ালার রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে গাড়ি থেকে জোর করে টেনে বার করে মারধর করেন সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিং সান্ধু। প্রথমে বিষয়টি শুরু হয়েছিল বচসা দিয়ে পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরে মারা যান গুরনাম। সিধুর মারেই মাথায় আঘাত পেয়ে গুরনাম সিংয়ের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছিল অভিযোগে।

    ওই মামলায় নিম্ন আদালতে ছাড়া পেয়ে গেলেও ২০০৬-এ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সিধু। হাইকোর্টের রায়ে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু,পরের বছর সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন ক্রিকেটার ।এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১০০০ টাকার জরিমানা দিয়েই সিধুকে রেহাই দিয়েছিল কোর্ট। অভিযোগকারীদের অনুরোধে সম্প্রতি এই মামলায় সিধুকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশের পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয় আদালত। এবার পালাবদল। সেই সাজাই বদলে গেল কারাবাসে। সিধুকে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন, বিচারক এএম খানউইলকার এবং এসকে কওউল (Justices AM Khanwilkar and SK Kaul)। সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল না সিধুর। 

  • Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হয় কাশ্মীর (Kashmir) ছাড়ো, নয় মরো! কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) এই হুমকি চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলাম (Lashkar-e-Islam)। যার জেরে ভূস্বর্গে ফের জাঁকিয়ে বসেছে ভয়। এদিকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় “পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার” (PAGD) সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কাশ্মীরের বদগাম জেলার চাদুরা শহরে পণ্ডিত সম্প্রয়াদের এক সরকারি কর্মীকে অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। রাহুল ভাট (Rahul Bhatt) নামের ওই সরকারি কর্মীর হত্যার দায় স্বীকার করে কাশ্মীর টাইগার্স নামে এক জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবলিম্বে জঙ্গিদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি। কাশ্মীরের পুলওয়ামার হালওয়ায় একটি শরণার্থী কলোনিতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রবিবার হুমকি চিঠি আসে সেখানেই। হালওয়ার শরণার্থী কলোনির সভাপতিকে লেখা ছোট্ট একটি চিঠিতে দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি।

    লস্কর-ই-ইসলামের লেটারহেড সম্বলিত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সমস্ত শরণার্থী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের বলছি, হয় কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাও নয়তো মৃত্যুর মুখোমুখি হও! যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরকে ইজরায়েল বানাতে চায়, এখানকার মুসলিমদের খুন করতে চায়, তাদের কাশ্মীরে জায়গা নেই। ওই চিঠিতে জঙ্গিরা জানিয়েছে, চাইলে এই পণ্ডিতরা নিজেদের নিরাপত্তা দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণও করে নিতে পারেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।” চিঠির শেষ লাইনে লেখা, তোমরা মরবেই।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার সংগঠনের (people’s Alliance for Gupkar declaration) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdulla), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti), সিপিআই(এম) নেতা এম ওয়াই তারিগামি (Tarigami), এনসি এমপি হাসনাইন মাসুদি ও আওয়ামী ন্যাশনেল কনফারেন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাফফর শাহ। ওই বৈঠকে মনোজ  জানান, উপত্যকায় নিরপরাধদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

    নয়ের দশকে নির্বিচারে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করেছিল জঙ্গিরা। ভয়ে উপত্যকা ছাড়েন পণ্ডিতরা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের তখতে বসেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশে ফের ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পাকিস্তানে (Pakistan) পট পরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত হিংসা।

     

  • China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগে ঘটা করে চালু হয়েছিল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (China Pakistan Economic Corridor), সংক্ষেপে সিপিইসি (CPEC)-র কাজ। পাকিস্তানজুড়ে (pakistan) শুরু হয়েছিল হইচই। দেশ নতুন যুগের ভোরে জাতীয় প্রচারও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। করিডর তৈরির কারিগররাও ভেবেছিল করিডরটি পাকিস্তানের বার্ষিক বৃদ্ধির হারে আরও ২.৫ শতাংশ যোগ করবে।

    পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন :পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    নিম্ম-মধ্য আয়ের দেশ পাকিস্তান। দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। বেকারত্ব লাগামছাড়া। তাই সরকার আশা করেছিল, সিপিইসি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশে ২৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সাত বছর আগের ওই প্রকল্পের বিশেষ কোনও ফসল এখনও অবধি ঘরে তুলতে পারেনি শাহবাজের (Shehbaz Sharif) দেশ।

    সূত্রের খবর, সিপিইসির মাধ্যমে ১৫টি প্রকল্প হওয়ার কথা। এর মধ্যে দিনের আলো দেখেছে মাত্র তিনটি। বাকিগুলি বিশবাঁও জলে। যে প্রকল্পগুলি পাইল লাইনে ছিল কিংবা নতুন করে শুরু হওয়ার কথা, সেগুলির জন্যও চিন থেকে কোনও টাকা আসছে না। প্রকল্পগুলিতে টাকা ঢেলে কাজ শেষ করার মতো অবস্থায়ও নেই দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই কবে শেষ হবে ওই প্রকল্পগুলির কাজ, তা নিয়েই ভাবিত পাকিস্তানের নয়া সরকারও।      

       আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    তবে ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটির আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। তাই, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই প্রকল্পগুলি আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা, দেখলেও কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পাকিস্তানিরাই।

    সঙ্কটের জন্য চিন অবশ্য দায়ি করেছে পাকিস্তানকে। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে একটিই বিকল্প, আইএমএফ বেলআউট। তবে পাকিস্তান এই ঋণ পাওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই। তাই পাকিস্তানের হাতে আন্তর্জাতিক ঋণের বাধ্যবাধকতা এবং আমদানির চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ঋণ, এমনকি বাণিজ্যিক ঋণের সন্ধান করা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই নেই। শাহবাজের দেশ কি পারবে এই ঋণ জোগাড় করতে? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Delhi Fire Tragedy: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Delhi Fire Tragedy: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বহুতলে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে গুরুতরভাবে আহত (Injured) আরও ১২ জন। এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে দমকল বিভাগ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
      
    মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের (Mundka Metro Station) বাইরে একটি বানিজ্যিক ভবনের একতলায় একটি সিসিটিভি প্রস্তুতকারী সংস্থার অফিসে গতকাল বিকেল ৪:৪০ মিনিটে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই বাণিজ্যিক ভবনটিতে বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস রয়েছে। বিল্ডিংয়ের দোতলায় থেকে আগুন লাগে। একটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং রাউটার প্রস্তুতকারী সংস্থার একটি অফিস থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।”

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, বহুতলটিতে সিসিটিভি, ওয়াইফাই রাউটার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। দমকল আধিকারিকদের অনুমান, একতলায় যেখানে জেনারেটর রাখা হয়েছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরে প্রথম তলা থেকে আগুন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই বহু মানুষ আটকে পড়েছিলেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ওই বহুতলটি দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে আসে। ওপরের তলায় থাকা মানুষজন আটকে পড়েন। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে তিনতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহুতলের মালিককে আটক করেছে পুলিশ।    

    শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”  

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।  ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও। মৃতদের নিকটাত্মীয়কে ১০ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। 

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ট্যুইটে লেখেন, ”এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জেনে শোকাহত ও ব্যথিত। আমি প্রতিনিয়ত আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের দুঃসাহসিক দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং জীবন বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন।”  

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের পর কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।

    রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, “দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখিত। শোকস্তব্ধ পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। আহতদের আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তিনি লেখেন, “দিল্লি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল সংখ্যক হতাহতের খবরে শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আহতদের সকলকে স্থানীয় সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  ঘটনার পর থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

    এক নেটিজেন ট্যুইটারে এই ভিডিওটি পোস্ট করেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে সন্ত্রাস চালানোর জন্য শিক্ষিত ভারতীয় তরুণদেরই (Indian Youths) ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে,  যে সব কাশ্মীরি (Kashmiri) তরুণরা ডাক্তারি (MBBS) পড়তে বা অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছেন, তাঁদেরই একাংশের মগজধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এর প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাফর ভাট নামে এক হুরিয়ত নেতা-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কাশ্মীরি যুবকদের সুলভে উচ্চশিক্ষার টোপ দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সিট (Pak MBBS seats) বিক্রি করেছেন! পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর এই যুবকদের মধ্যে থেকেই একাধিক জনকে বাছাই করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর এই যুবকদের আবার ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর এরকম অন্তত ১০০ জন কাশ্মিরী যুবক পাকিস্তানে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (AICTE) এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।” বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই ওই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের নিশানা করে তাঁদের মগজধোলাই করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা (ISI)। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। 

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এমন অন্তত ১৭ জন তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিল পড়াশোনা করতে। কিন্তু, দেশে ফেরত আসে সন্ত্রাসবাদী হয়ে। এই ১৭ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কারণ, এদের সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

    নিহত এই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এঁরা সকলে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়েছিলেন। এবং সকলেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই কাশ্মীরি তরুণদের পাকিস্তানের যাওয়ার প্রবণতা নজরে আসার মতো বেড়ে গিয়েছে। এঁদের অধিকাংশই পড়াশোনা করতে গেলেও কেউ কেউ আবার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা বিয়ের মতো পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বৈধভাবে সীমান্তে পেরিয়ে ওদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

    সূত্রের দাবি, এই বাছাই করা মেধাবী যুবকদের জঙ্গি বানানোর পিছনে রীতিমতো একটি লবি কাজ করছে। এমনকী, এই যুবকদের কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ভারতের পাক দূতাবাসও (Pak High Commission in India) পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

  • Punjab: সিপাহি বিদ্রোহ অংশ নেওয়া ২৮২ ভারতীয় সৈনিকের কঙ্কাল উদ্ধার পাঞ্জাবে

    Punjab: সিপাহি বিদ্রোহ অংশ নেওয়া ২৮২ ভারতীয় সৈনিকের কঙ্কাল উদ্ধার পাঞ্জাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিপাহি বিদ্রোহে অংশ নেওয়া সৈন্যদের কঙ্কাল উদ্ধার। পাঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরে খননকার্য চালানোর সময় উদ্ধার হয় ২৮২ জন সৈন্যের কঙ্কাল। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab University) নৃতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জে এস শেহেরাত এ খবর জানান।

    ইতিহাসখ্যাত সিপাহি বিদ্রোহ হয় ১৮৫৭ সালে। শুয়োরের মাংস এবং গরুর মাংস-গ্রিজযুক্ত কার্তুজ ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল সৈন্যরা বলে জানা গেছে। ইতিহাসবিদদের মতে, এটাই ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ (first war of independence)। ব্রিটিশ শাসকদের হাতে পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একদল সেনা। তবে সংগঠিতভাবে এই যুদ্ধ হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা আলাদা কারণে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন ভারতীয় সেনারা।

    ভারতের সিংহভাগ ইতিহাসবিদ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ বললেও, ইতিহাসবিদদের একাংশ একে স্বাধীনতার যুদ্ধ বলতে রাজি নন। তাঁদের যুক্তি, এই লড়াই সংগঠিতভাবে হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে হওয়া এই যুদ্ধকে স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলতে রাজি নন তাঁরা।

    ভারতীয় সিপাহিদের ওই বিদ্রোহ কড়া হাতে দমন করেছিল ইংরেজ সরকার। প্রাণ বলি দিতে হয়েছিল অসংখ্য ভারতীয় সেনাকে। এমনই ২৮২ জন সেনানীর কঙ্কাল উদ্ধার হল অমৃতসরে। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের (anthropology department) সহকারী অধ্যাপক জে এস শেহেরাত বলেন, এই কঙ্কালগুলি হল ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা ভারতীয় সৈনিকদের।

    অমৃতসরের আজনালা এলাকায় একটি ধর্মীয় স্থাপত্যের নীচে থাকা কুয়োর মধ্যে থেকে কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়। তিনি জানান, এই সৈন্যরা বন্দুকের কার্তুজে গরু ও শুয়োরের চর্বি মেশানোর অভিযোগে বিদ্রোহ করেন সৈন্যরা। কড়া হাতে বিদ্রোহ দমন করতে শুরু করে ইংরেজ শাসক। ডিএনএ স্টাডি, রেডিও কার্বন ডেটিং সহ নানা পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ২৮২টি কঙ্কালই ভারতীয় সৈনিকদের। পাশাপাশি, খননস্থল থেকে প্রাপ্ত কয়েন, মেডেল, মৌলিক বিশ্লেষণ, নৃতাত্ত্বিক পরীক্ষার ফলাফলও একই দিকে নির্দেশ করে বলে যোগ করেন সেহরাওয়াত।

     

     

     

  • Qutub Minar: খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    Qutub Minar: খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুতুব মিনার (Qutub Minar) চত্বরে খননকার্যের কোনও নির্দেশ দেয়নি সরকার, এ নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী (Ministry of Culture) জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy)। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কুতুব মিনারের খনন কাজ শুরু হবে- এজাতীয় কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি, বলে জানান তিনি। 

    প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কুতুব মিনারকে নিয়ে। সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (ASI) প্রাক্তন কর্তা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে এমন অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে যা দেখে তিনি নিশ্চিত এটি রাজা বিক্রামাদিত্য তৈরি করেছিলেন। তাঁর অভিমত, কুতুব উদ্দিন আইবকের নির্দেশে কুতুব মিনার তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। রাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি নিয়ে চর্চার জন্য এই মিনার তৈরি করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

    পাশাপাশি আরও অনেকে দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ, বা মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদের (Shahi Idgah mosque) মতোই কুতুব মিনারের মধ্যেও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে।  বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কুতুব মিনার আসলে বিষ্ণু মিনার। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা এই মিনার নির্মাণ করেছিল। তাই সত্য অনুসন্ধানের জন্য  কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকায় খননকার্য চালানোর দাবিও জানিয়েছে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। 

    এ প্রসঙ্গে শনিবার এএসআইকে সংস্কৃতি মন্ত্রক তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনও করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোপিন্দ মোহন। শনিবার কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ইতিহাসবিদ ও চার এএসআই কর্তা। তাঁরা এ নিয়ে তাঁদের অভিমত জানাবেন। তবে খননকার্য নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রক। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কুতুব মিনারের খনন কার্য ১৯৯১ সালের পর থেকে আর করা হয়নি।

  • Monkeypox: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Monkeypox: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছেন সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা এই রোগ বেশ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯২ জনের এই রোগ ধরা পড়েছে। আরও ২৮ জন আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ব্রিটেন, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন এবং সুইডেনে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে এইসব অঞ্চলে ভ্রমণে আসার কারণেই বাইরের দেশে ছড়িয়েছে এই রোগ। সব দেশগুলিতে নজর চালচ্ছে সংযুক্ত রাষ্ট্রসংঘ। যে দেশগুলি এখনও আক্রান্ত নয়, সে দেশগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। রোগটি সাধারণত খুব সংক্রামক নয় এবং মানুষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে ওঠেন। এই রোগে মৃত্যুর হার এক শতাংশের চেয়েও কম। রোগটি করোনার মতো সংক্রামক নয়। আমেরিকায় এই রোগের প্রথম কেস ৭ মে ধরা পড়ে। রোগী সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হন।   

    ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    ত্বকের সংস্পর্শে এলেই মূলত ছড়ায় এই রোগ। রোগের উপস্বর্গগুলি হল, র‍্যাশ, জ্বর এবং ব্যথা। এটা অনেকটাই ছোট পক্সের মতো, কিন্তু ছোট পক্সের থেকে অনেকটাই কম ভয়ঙ্কর। রোগটি করোনার মতো শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক জানান, “যৌন সংসর্গে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোনও ব্যক্তি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন এবং তিনি যদি যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে অপর সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।”   
     
    স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দুশ্চিন্তার বিষয়টি হ’ল ভাইরাসটি কমিউনিটির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সম্ভবত সংক্রমণের একটি নতুন মাধ্যমও তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, কোনও উৎসবে বা অনুষ্ঠানে বেশি লোক একত্রিত হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। 

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রোগের মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।  টিকা এবং ওষুধের ব্যবহারে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকেন পক্সের টিকা এবং ওষুধ দুই-ই এই ভাইরাসের ওপর কার্যকরী বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যাদের শরীরে কোনও রকম দানা বা র‍্যাশ রয়েছে তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চললেই এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।  

     

  • GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি (GST) বাবদ রাজ্যগুলির যাবতীয় বকেয়া প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিল কেন্দ্র। গতকাল এই মর্মে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

    সব মিলিয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এই খাতে পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) সরকার পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের অর্থ দফতরে এ ব্যাপারে অর্ডারও পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বারবার কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নানা সময়ে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যকে দেওয়া হল প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা।   

    আরও পড়ুন : দেউলিয়ার পথে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক?   

    টাকা পেলেও, অভিযোগের অন্ত নেই নবান্নর। রাজ্যের দাবি, জিএসটি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ঢের বেশি। কেন্দ্রের তরফে টাকা পাওয়ার পর রাজ্য সরকার হিসেব করে এই বাবদ আরও টাকা চাইতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।

    মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যগুলি যাতে তাদের সম্পদ এবং মূলধন ব্যয় মসৃণভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি থাকা সত্ত্বেও সরকার পুরো অর্থ দিয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ কেন্দ্রের নিজস্ব সম্পদ, সেস সংগ্রহের মুলতুবি থাকা অর্থ থেকে দেওয়া হয়েছে।

    মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটির মধ্যে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্ষতিপূরণ বকেয়া ছিল। ফেব্রুয়ারি-মার্চের জন্য বকেয়ার পরিমাণ ২১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। আর এপ্রিল-মে মাসে বকেয়ার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যগুলির সুরক্ষিত রাজস্ব ১৪ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। অথচ সেস সংগ্রহ একই অনুপাতে বাড়েনি। রাজ্যগুলিকে টাকা দিতে কেন্দ্র ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা এবং পরের অর্থবর্ষে ১.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ছেড়ে দিয়েছে সেস আদায়ের ঘাটতির অংশও। কেন্দ্র ঘাটতি মেটাতে তহবিল থেকে নিয়মিত জিএসটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় সেস সহ মোট মাসিক জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

     

LinkedIn
Share