Blog

  • RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান কারেন্সি রুবেলকে এদেশের মুদ্রা রুপিতে রূপান্তরিত করে চলবে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এবার তাতে সম্মতি দিল আরবিআই (RBI)। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত। শুধু রাশিয়া নয় রুপির সঙ্গে যে কোনও দেশই এই বিনিময় করতে পারবে। এর ফলে ইরান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের লেনদেন সহজ হবে।

    রাশিয়া ইউক্রেনে (Russia Ukraine) সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রুবেলের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে পশ্চিমী দেশগুলি। এমতাবস্থায় ভারত স্থানীয় মুদ্রা (রুপি বা রুবেল) ব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করার জন্য ভাবনা চিন্তা করে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০.৮ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মোট বাণিজ্যের থেকে ১.৫ শতাংশ কম। রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমের দেশগুলি। যা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সরবরাহকে ব্যহত করে ও ফলে দাম বৃদ্ধি পায় নানা আমদানি করা পণ্যের। যা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের পরিস্থিতিকে ঘোরালো করে তুলেছে। তাই নয়া এই নীতি গ্রহণ করা হল, বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। 

    ভারতীয় টাকা বা রুপির (Rupee) পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে সর্বকালের সর্বনিম্নস্তরে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় টাকা (Indian Rupee)। দেখা যায়, ৭৯.৫৫-র স্তরে চলে গিয়েছে রুপি (Rupee)। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভে পতন, ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস বা এফআইআই (FII)-এর বহির্গমন এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় টাকা বেশ চাপের মধ্যেই রয়েছে। তাই আরবিআইয়ের এই প্রয়াস বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

  • India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরই বিশ্বের সব থেকে জনবহুল (Most Populous) দেশ হতে চলেছে ভারত। গতকাল এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশ। ভারতের (India) জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে কিছু ভালো দিক।

    আরও পড়ুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ (UN Security Council Membership) পেতে পারে ভারত।  ইউএন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (DESA) এর জনসংখ্যা বিভাগের প্রধান জন উইলমোথ সোমবার বলেন, ভারত সব থেকে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে প্রমাণিত হলে, অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে। 

    তিনি জানান, ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশের খেতাব পেলে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ পাওয়ার তাদের দাবি আরও জোরদার হবে। 

    জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে দু বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯২ এবং সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১-১২ ও ২০২১-২২ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। কিছুদিন আগেই চলে যায় সেই অস্থায়ী সদস্য পদ।  

    জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি।

    জনসংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখনও চিনের জনসংখ্যার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তার মধ্যে চিন এবং ভারতে ১৪০ কোটির বেশি জনসংখ্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।

     

  • Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কেনার কথা ছিল টেসলার (Tesla) মালিক ইলন মাস্কের (Elon Mask)। কিন্তু সেই চুক্তি (Agreement) বাতিল করেছেন বিশ্বের এই ধনীতম ব্যবসায়ী। ধনকুবেরের অভিযোগ, ভুয়ো ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে তাঁকে কোনও তথ্য দেখাতে পারেনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তাই ট্যুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ইলন মাস্ক।

      আরও পড়ুন: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    গত ২৫ এপ্রিল ট্যুইটারের মালিকানা পান ইলন। প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে এই সংস্থাটি কেনেন তিনি। সংস্থাটি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও নেন। ঋণ পরিশোধ করতে শেষ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটারও আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, খরচ কমানোর জন্যে সংস্থার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মীর বেতন কমানোও হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদতে বানচাল হয় সব পরিকল্পনা। 

    আরও পড়ুন: ভুয়ো অ্যাকাউন্টের জের! ট্যুইটার কেনা আপাতত স্থগিত, জানালেন ইলন মাস্ক

    ইলন মাস্কের আইনজীবী জানান, ট্যুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্মে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে একাধিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন তাঁর মক্কেল। 

    ইলন মাস্কের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলো জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। অর্থাৎ, এর ফলে আমেরিকার ধনকুবের এবং সান ফ্রান্সিসকোর সংস্থার মধ্যে দীর্ঘ আইনি লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা।  

    ট্যুইটার অভিযোগ করে, ইলন মাস্ক ইচ্ছাকৃত চুক্তি বাতিল করেছেন। ট্যুইটারের তরফ থেকে ধনকুবেরকে কোনও রকম অসহযোগীতা করা হয়নি। 

    ট্যুইটারের তরফ থেকে একটি  চিঠিতে বলা হয়েছে, “ইলন মাস্কের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ভুল এবং অবৈধ। নিয়ম মেনে চুক্তি বাতিল করা হয়নি। ব্যাঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি পত্র এবং ইক্যুইটি প্রতিশ্রুতি পত্র কার্যকর থাকবে। মাস্ক এবং তাঁর সহকারী সংস্থাগুলি যেন তা মেনে চলে।”  

     

  • India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী। রাজনৈতিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতে সক্রিয় ভারত। তাই সামুদ্রিক সীমান্তে হোভারক্রাফ্ট, বিমান এবং টহলদারি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অনুপ্রবেশ রোখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তামিলনাড়ু উপকূল থেকে কেরালা উপকূলের কিছু অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, উপকূলরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। তারা সর্বদা সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা
     
    দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পরপরই নজরদারি ক্রমে বাড়ানো হয়। গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। বিক্ষোভকারীদের জন্যে ঘর-ছাড়া খোদ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)। পদ ছেড়েও স্বস্তিতে নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে লোক ঢুকে গিয়েছে।  খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) মধ্যে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অনেকেই তামিলনাড়ু ও কেরল উপকূল দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়, বলেই স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু যেকোনও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেই সদা সতর্ক ভারত। তামিলনাড়ু উপকূলীয় পুলিশ কঠোরভাবে পাহাড়া দিচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় সমুদ্র উত্ত্বাল হয়ে উঠবে। তাই এই অবস্থায় ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহার করার চেষ্টা করলে খুব একটা সুবিধে হবে না। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে প্রকৃতি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে,  ডর্নিয়ার সার্ভিল্যান্স এয়ারক্রাফ্ট সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয়। মায়ানমারের মান্দালেতে মোতায়েন করা হোভারক্রাফ্ট ইউনিটগুলিও নজরদারি চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • Kaali poster row: কালী পোস্টার বিতর্কে আদালতের সমন লীনাকে! নিজের মন্তব্যে অনড় পরিচালক

    Kaali poster row: কালী পোস্টার বিতর্কে আদালতের সমন লীনাকে! নিজের মন্তব্যে অনড় পরিচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পোস্টার বিতর্কে আরও সমস্যায় লীনা মণিমাকেলাই (Kaali filmmaker Leena Manimekalai)। কালী তথ্যচিত্রের নির্দেশক লীনার বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করল দিল্লির এক আদালত। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার জেরে এ বার পরিচালককে তলব করল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। সমন গিয়েছে লীনা মণিমেকলাইয়ের নামে। পাশাপাশি অবিলম্বে এই ছবি বন্ধের নির্দেশ মিলেছে উপরমহল থেকে। তবে বিচারক অভিষেক কুমার জানান, আদালত এ নিয়ে কোনও আদেশ দেওয়ার আগে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। তাই আগামী ৬ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

    হিন্দু দেবী মা কালীর অপমানের অভিযোগ উঠেছে Kaali তথ্যচিত্রের পরিচালকের উপর। ছবির পোস্টারে দেখা গিয়েছে কালীর (Kaali Movie Row) বেশে এক তরুণী, তাঁর হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। এই তথ্যচিত্রের পোস্টার নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। এই পোস্টারের বিরুদ্ধে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী রাজ গৌরব। তাঁর দাবি, কালী তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালী বেশী অভিনেত্রীর ধূমপানের ছবি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: পোস্টার বিতর্কের মধ্যেই মোদির মুখে কালীকথা, তৃণমূলকে জবাব?

    হিন্দু দেবীকে অশালীন ভাবে চিত্রিত করার অভিযোগে লীনার তৈরি তথ্যচিত্রের পোস্টার এবং প্রচার ভিডিয়োর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও। পোস্টারে ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট, হাতে এলজিবিটি-র সাতরঙা পতাকাধারী ‘কালী’কে মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় হিন্দু সমাজ। তাঁরা ভক্তিরসে সিক্ত এবং অসুর নিধনে ব্যস্ত দেবী কালীরই আরাধনা করেন। 

    গত ২ জুন ট্যুইটারে নিজের ডকুমেন্টারির এই পোস্টার ট্যুইট করেছিলেন লীনা। বিতর্কের মধ্যেও নিজের মন্তব্যে অনড় তিনি। প্রতিদিন এই বিতর্কের জেরে অন্তত ২ লাখ অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পাচ্ছেন বলে দাবি করেন কানাডা নিবাসী চিত্র পরিচালক। লীনা ট্যুইটে দাবি করেন, “আমার কালী ভিন্ন। তিনি একজন মুক্ত চিন্তাধারার মানুষ। তিনি সকলকে কাছে টেনে নিতে জানেন।” 

  • Agnipath Syllabus: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    Agnipath Syllabus: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। এই নিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে সেনাকর্মী, বায়ুসেনা কর্মী ও নৌসেনা কর্মী নিয়োগ করা হবে।  প্রকল্পের আওতায় তরুণ-তরুণীদের ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুসারে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সীদের বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। অষ্টম শ্রেণী বা দশম বা দ্বাদশ ঊত্তীর্ণ প্রার্থীরা সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বার্ষিক বেতন ৪.৭৬ লক্ষ টাকা থেকে ৬.৯২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আয়ের ৩০ শতাংশ সেবা নিধিতে জমানো যাবে। সমপরিমাণ টাকা দেবে সরকারও। চার বছরের মেয়াদ শেষে কাজের ভিত্তিতে ২৫ শতাংশকে দেওয়া হবে সেনার স্থায়ী কমিশন পদে চাকরি।

    ভারতীয় সেনা (Indian Army), বায়ুসেনা (Indian Air Force) এবং নৌসেনায় (Indian Navy) চাকরির জন্যে এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রার্থী। ইতিমধ্যেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বিভাগের এই তিন দফতর। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    যারা এখন অনলাইনে আবেদন করবেন, তাঁদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপ অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু করবে ভারতীয় সেনা। প্রথম ব্যাচের কমবাইন্ড প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৬ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষেই ট্রেনিং শেষ করে কাজে যোগ দেবে প্রথম ব্যাচ। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

    অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে নৌসেনাও। চলতি মাসের ১৫-৩০ তারিখের মধ্যেই খুলে যাবে অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো। লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই বছরেই ৩ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ২৪ জুন থেকেই অগ্নিবীর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। বায়ুসেনায় আবেদন প্রক্রিয়া চলেছে ৫ জুলাই অবধি। ২৪-৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন পরীক্ষা নেবে ভারতীয়  বায়ুসেনা। ডিসেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এবার পরীক্ষার পাঠক্রম (Syllabus) প্রকাশ করল ভারতীয় বায়ুসেনা। https://agnipathvayu.cdac.in/AV/img/upcoming/AGNIVEER_VAYU.pdf -এই লিঙ্কে গিয়ে ডাউনলোড করতে পারবেন পিডিএফ (PDF)। 

    কী পদ্ধতিতে নেওয়া হবে পরীক্ষা?

    বিজ্ঞান এবং আরও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেবে বায়ুসেনা।

    কোন পদের জন্যে আবেদন করছেন তার ওপর নির্ভর করবে পাঠক্রম। 

    দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি, অঙ্ক এবং ভৌত বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হবে পরীক্ষা।

    যারা বিজ্ঞানের ছাত্র নন, তাঁদের জন্যে ইংরেজি, রিজনিং এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন করা হবে।

    প্রতি প্রশ্নে ১ নম্বর করে থাকবে।

    ভুল প্রশ্ন প্রতি ১/৪ নম্বর করে কাটা হবে।

    কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিলে কোনও নম্বর কাটা হবে না।

    যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ডাকা হবে।

    পাঠক্রমের পিডিএফটি কী করে ডাউনলোড করবেন? 

    প্রথমে agnipathvayu.cdac.in – এই লিঙ্কে যান। 

    নীচের ‘নোটিফিকেশন’ বাটনটিতে যান। 

    এরপর ‘সিলেবাস’ বলে লিঙ্কটিতে যান।

    তারপর ডাউনিলোড করুন। 

    একটি প্রিন্টআউট নিজের কাছে রাখুন।

     

     

     

  • Mahua Moitra Kali Row: কালী বিতর্কে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে দল থেকে বহিষ্কারের পক্ষেই সওয়াল সিংহভাগ ভারতীয়ের

    Mahua Moitra Kali Row: কালী বিতর্কে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে দল থেকে বহিষ্কারের পক্ষেই সওয়াল সিংহভাগ ভারতীয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী বিতর্কে (Kaali Row) তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra) দল থেকে বহিষ্কারের পক্ষেই সওয়াল করলেন সিংহভাগ ভারতীয় (Indians)। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। সম্প্রতি হিন্দুদের দেবী কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। সেই কারণেই উঠেছে তাঁর বহিষ্কারের দাবি।

    পরিচালক লীনা মণিমেকলাই একটি ছবির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টারে দেবী কালীর সাজে একজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে। ছবিতে তাঁকে সিগারেট খেতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর হাতে রয়েছে ত্রিশূল। সেইসঙ্গে দেবীর হাতে রয়েছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পতাকা। এই পোস্টার মুক্তি পেতেই ভারত তথা বিশ্বজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। অভিযোগ ওঠে ছবি নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন।

    আরও পড়ুন : মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, মা কালী আমার কাছে একজন মাংসভোজী, মদ্যপায়ী দেবী। মহুয়া বলেছিলেন, “আপনি যখন সিকিম যাবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে তাঁরা দেবী কালীকে হুইস্কি দেয়। কিন্তু আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে যান এবং আপনি যদি তাঁদের বলেন যে আপনি দেবীকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি নিবেদন করেন, তাহলে তাঁরা আপনাকে অধার্মিক বলবে।” তাঁর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা হয় দেশজুড়ে। তোপ দাগেন বিরোধীরা। বিপদ আঁচ করে সাংসদের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    আরও পড়ুন : ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার

    এই ঘটনায় দেশবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে সমীক্ষা করে সিভোটার-ইন্ডিয়া ট্র্যাকার নামে একটি সংস্থা। সেখানেই দেখা যায়, দেশবাসীর সিংহভাগ অংশই মহুয়াকে দল থেকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। যাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে শতকরা ৬৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন মহুয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। ৩৪ শতাংশ মানুষ এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। শহর এবং গ্রামের একটা বড় অংশের ভোটারও তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

     

     

  • Hindus Helpline Numbers: পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    Hindus Helpline Numbers: পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে (Amaravati Murder) উমেশ কোলহে এবং রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur killing) কানহাইয়া লালকে (Kanhaiya Lal) নৃশংসভাবে খুন করেছে উগ্র মৌলবাদীরা। এই হত্যাকাণ্ডের পর, হিন্দুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad) এবং বজরং দল (Bajrang Dal)। এক ট্যুইট বার্তায় ভিএইচপি-র (VHP) তরফে জানানো হয়েছে, ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা ইসলামিক মৌলবাদীদের (Islamic fundamentalism) বিরুদ্ধে হিন্দু (Hindu) সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে।

    ট্যুইটবার্তায় জানানো হয়, হিন্দুরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে কোনও ‘হুমকিমূলক’ বার্তা বা কল পায় তবে তাঁদের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ট্যুইটারে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হল। হিন্দু সংগঠনগুলি কর্নাটক, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, বিহার, ওড়িশা এবং অন্যান্য রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভিএইচপি হেল্পলাইন নম্বরের তালিকাও ট্যুইট করে। যদিও পরে ট্যুইটটি মুছে দেওয়া হয়।

    উত্তরপ্রদেশের কাশীপ্রান্তের ১৮ টি জেলার হিন্দুদের সহায়তার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর (9198942004) জারি করা হয়েছে এই দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে। ভিএইচপির কাশী (Kashi) প্রদেশের নেতা অশ্বনী কুমার (Ashwani Kumar) বলেছেন, ‘ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা কাশী লাগোয়া জেলাগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে৷ যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পোস্টের জন্য “ইসলামী মৌলবাদীদের” কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছেন, তাঁরা দেরি না করে স্থানীয় থানায় বা জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করুন।’ তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের অমরাবতী এবং রাজস্থানের উদয়পুরে হত্যাকাণ্ডগুলি হিংসা ছড়ানোর জন্য এবং দেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি ভিএইচপি বা বজরং দলের কাছ থেকে কোনও ধরনের সহায়তা চায় তবে আমরা তাদের সর্বাত্মক সাহায্য করব।’

     

  • Antim Panghal: লক্ষ্য অলিম্পিক, এটা সবে শুরু! বললেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী অন্তিম পাঙ্ঘাল

    Antim Panghal: লক্ষ্য অলিম্পিক, এটা সবে শুরু! বললেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী অন্তিম পাঙ্ঘাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় ইতিহাস গড়লেন অন্তিম পাঙ্ঘাল। প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে (U-20 world wrestling championships) সোনা জিতলেন তিনি। হরিয়ানার ১৮ বছর বয়সী অন্তিম ৫৩ কেজি বিভাগে, কাজাখাস্তানের কুস্তিগীরকে হারিয়ে সোনা জেতেন। ৩৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভারতীয় কুস্তিগীর হিসেবে এই খেতাব জিতলেন অন্তিম।

    হরিয়ানার হিসারের মেয়ে অন্তিম ৫৩ কেজি বিভাগে কাজাখস্তানের আলটিন শাগায়েভাকে ৮-০ ব্যবধানে হারান। অন্তিম এই টুর্নামেন্টে প্রথম বাউটে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটিতে (১১-০) হারিয়ে দেন জার্মানির আ্যমোরি অলিভিয়া আ্যন্ড্রিচকে। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারান জাপানের আয়াকা কিমুকাকে। এরপর ইউক্রেনের নাতালিয়া ক্লিভচুটস্কাকে (১১-২) হারিয়ে ফাইনালের উঠেছিলেন অন্তিম।

    ইতিহাস গড়ার জন্য অন্তিমকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “সোনা জয়ের মুহূর্ত গর্বের। ইতিহাস তৈরির জন্য এবং অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা হওয়ার জন্য অন্তিম পাঙ্ঘালকে অভিনন্দন। ভারত তোমার কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা, উজ্জ্বল থেকো।”

    আরও পড়ুন: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    সোনার মেয়ে অন্তিমের দাবি, রেকর্ডের ব্যপারে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, “ফাইনালে জেতার পর আমার কোচের কাছ থেকে জানতে পারি, আমি প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর, যে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলাম। সকলের জন্যই এটা গর্বের মুহূর্ত। আমাকে কুস্তিতে মনোনিবেশ করতে দেওয়ার জন্য আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে আমি আমার দিদিকে (সরিতা) ধন্যবাদ জানাতে চাই। ও আমাকে বরাবর সমর্থন করে গেছে।”  নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে স্থির ১৮ বছরের তরুণী। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে অলিম্পিকে পদক জেতা। এটা তার শুরু।”

     

  • Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসলেন বিজেপি (BJP) বিরোধী দলের সাংসদরা। অধিবেশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও ছিলেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্নায় বসবেন সাংসদরা। মহিলা এবং প্রবীণ সাংসদরা শিফট ওয়াইজ যোগ দেবেন ধর্নায়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, আচরণ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা চাইলে তবেই সাপসেনশন তুলে নেওয়া হবে। এদিকে, সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে।সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রণকৌশল স্থির করতে এদিন বৈঠকেও বসেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টির কেউ অবশ্য যোগ দেননি ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    খাড়্গের অভিযোগ, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয়। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জোশী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে সরকার রাজি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ফের অফিস আসা শুরু করেছেন। বিরোধীরা চাইলেই আমরা আলোচনা শুরু করতে রাজি। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রাজ্যসভায় এক সঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসেপন্ড করা হয়নি। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা ধর্নায় বসেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।

     

LinkedIn
Share