Blog

  • Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships 2022) ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী (Tokyo Olympics) নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সোনা। রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নীরজকে। তবে কোনও পদকই তাঁকে তৃপ্ত করে না বরং জেতার নেশা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানালেন ২৪ বছরের নীরজ। এবার রুপো পেলেও সামনেরবার বুদাপেস্টে বসবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানে আরও ভাল খেলে সোনাজয়ই পাখির চোখ নীরজের। 

    আগামী মাসেই নীরজ নামবেন কমনওয়েলথ গেমসে। তবে রয়েছে চোট-শঙ্কাও। নীরজ বলেন, “এদিন চতুর্থ থ্রো আরও দূরত্বে যেতে পারতো। কিন্তু জ্যাভলিন ছুড়তেই উরুর কাছে, কুঁচকিতে যন্ত্রণা অনুভব করি। সে কারণে পরের দুটি থ্রোয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারিনি।” উরুতে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে রেখেছেন শক্ত করে। ঠিক কী হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে, নীরজের আশা, এই চোট তাঁর কমনওয়েলথ গেমসে নামার পথে বাধা তৈরি করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    এদিনের খেলা প্রসঙ্গে নীরজ বলেন, “পরিস্থিতি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সামনের দিক থেকে হাওয়া আসছিল। একে কঠিন প্রতিযোগীরা রয়েছেন, সেই সঙ্গে আবহাওয়ার এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেয়। তবে আমি মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, ভালো থ্রো আসছেই। আমি প্রথম তিনটি ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বড় থ্রো আসেনি। ফলে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও যেভাবে কামব্যাক করেছি তাতে ভালো লাগছে।” ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি নীরজ। এর আগে ২০০৩ সালের প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপে লং-জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ (Anju Bobby George)। 

    নীরজ জানান, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও চাপ অনুভব করেননি। সেরাটা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। নিজের সেরা সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি ট্র্যাকে নামেন।  প্রতিবার কোনও অ্যাথলিটই সোনা জিততে পারেন না। কিন্তু নিজের সেরাটা উজাড় করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়, বলে জানান নীরজ। 

     

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে। যদিও ভারতে (India) এখনও থাবা বসাতে পারেনি এই বিরল ভাইরাল রোগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মতো ছোঁয়াচে নয় এই রোগ। তাই গোটা বিশ্বের এই রোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।

    কোভিড (Covid-19) কার্যকরী কমিটি এনটাগি-র (NTAGI) চেয়ারপার্সন ডাঃ এনকে আরোরা এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই রোগ তা চিন্তার বিষয়। যদিও ভারতে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না সেদিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। ডাঃ আরোরা বলেন, “কোভিড ১৯- এর মতো এই রোগের ওপর নজরদারি চালাতেও বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্য কোনও রোগ আছে তাদের জন্যে মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে এই রোগ।” 

    মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে এমন কোনও দেশ থেকে ভারতে আসছেন যাঁঁরা, তাঁদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আরোরা। তিনি বলেন, “মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এমন দেশ থেকে যাঁরা এদেশে আসছেন তাঁদের বিষয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে।” 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ধীরে ধীরে ‘কোভিড’ নামের অভিশাপ থেকে সেরে উঠছে বিশ্ব। তার মধ্যেই আবার এক নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বাড়ছে।

    সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে। মাঙ্কিপক্সের প্রথম কেসটি ধরা পড়েছিল ৭ মে। লন্ডনে এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই কেসটি ধরা পড়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রোগের আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই রোগ আফ্রিকায় দেখা গেলেও তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ফের করোনার মতোই ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে। 

     

  • Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল চতুর্থ কোয়াড সম্মেলন (Quad Summit)। জাপানের রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)।

    বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে প্রধান ছিল করোনা (Covid-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific Ocean Region) চিনের মোকাবিলা। বৈঠকের শেষে চিনের (China) বিরুদ্ধে একজোট হলেও রাশিয়ার (Russia) ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত কোয়াড। পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও জাপান সরব হলেও, চুপ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত (India)।

    বৈঠকের শুরুতেই বাইডেন জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যাতে বিভিন্ন দেশ অবাধে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে কোয়াড। তাঁর কথায়, “ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলা দেখিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কত জরুরি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে ধ্বংস করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কখনও ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।”

    অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গে চুপ থেকে কোয়াড বৈঠকে মোদি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে কোয়াড। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চায় এই গোষ্ঠী এর ফলে সকলেই বুঝতে পারবে, কোয়াড (QUAD) মানুষের কল্যাণ চায়।” পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে আছে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং অর্থনীতি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করেছে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে আরও সাহায্য করবে। তার ফলে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।” 

    তবে, বৈঠকের শেষে রাশিয়া-প্রসঙ্গে চার দেশের তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইনগুলি মেনে চলা। কখনওই তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। যাবতীয় বিভেদ মেটাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথই শ্রেয়, বলে মনে করে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে একমত হতে না পারলেও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেওয়ার কথা জানায় চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা যদি চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কোয়াড সম্মেলনে। করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রসঙ্গেও চিনের সমালোচনা করেন তিনি।

  • Piyali Basak: এভারেস্টের পর লোৎসে, পরপর জোড়া শৃঙ্গ জয় বঙ্গকন্যার

    Piyali Basak: এভারেস্টের পর লোৎসে, পরপর জোড়া শৃঙ্গ জয় বঙ্গকন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এভারেস্ট (Mt Everest) ছুঁয়েই একছুটে লোৎসে (Mt Lhotse)। পৃথিবীর শীর্ষতম বিন্দু থেকে চতুর্থ শীর্ষ বিন্দুতে। আশা-আশঙ্কার মধ্যেই সফল লক্ষ্য। এভারেস্টের (8849m) পর লোৎসেতে (8516m) পা রাখলেন চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। পরপর দুটি শৃঙ্গ জয় করে নজির গড়লেন হুগলির পিয়ালি।

    অতিরিক্ত অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া এভারেস্ট-লোৎসে জোড়া শৃঙ্গ অভিযান লক্ষ্য ছিল পিয়ালির। ধৌলাগিরিতে পিয়ালি উঠেছিলেন অক্সিজেন ছাড়াই। কিন্তু রবিবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য ৮৪৫০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছে বকি পথটুকু অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারে বাধ্য হন বছর একত্রিশের পিয়ালি। পরিকল্পনা ছিল, এভারেস্ট সামিট শেষে চার ক্যাম্প ফোর-এ ফিরে যত দ্রুত সম্ভব লোৎসের দিকে এগোবেন। 

    সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ ক্যাম্প ফোর থেকে বেরিয়েছিলেন পিয়ালি। এভারেস্ট থেকে নামার পর ‘স্নো ব্লাইন্ডনেস’ হয় তাঁর। এরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোৎসে জয় বঙ্গকন্যার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন নম্বর বেস ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন পিয়ালি। এভারেস্টের থেকেও আরও জটিল এবং আরও কঠিন অভিযান ছিল লোৎসে। অনেকেই চেষ্টা করেন। সবাই পারেন না। অসাধ্য সাধন করেছেন পিয়ালি, অভিমত পর্বতারোহীদের।

    ছোট থেকেই পাহাড় টানে পিয়ালিকে। ছবি আঁকা তাঁর শখ। যেমন তেমন নয় রীতিমত অয়েল পেইন্টিং। পিয়ালির রঙ-তুলি ক্যানভাসের স্ট্রোকেও শুধু বরফ আর পাহাড়ের হাতছানি। দীর্ঘদিন ধরেই এভারেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পিয়ালি। তবে তাঁর যাত্রার পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ। বাড়ি বন্ধক রেখে এবং নিজের যাবতীয় সঞ্চয় একত্র করেও ১৮ লাখ টাকার বেশি হচ্ছিল না। এ দিকে, এভারেস্ট অভিযানের জন্য দরকার ছিল ৩৫ লাখ। নেপাল সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, পুরো টাকা না পেলে এভারেস্ট অভিযান করতে দেবে না তারা।

    এই অবস্থায় ফেসবুকে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের আবেদন করেন পিয়ালি। সেখান থেকে আরও পাঁচ লাখের মতো টাকা ওঠে। তখনও দরকার ছিল ১২ লাখ। এমন সময় পিয়ালির সাহায্যে এগিয়ে আসে তাঁর এজেন্সি। তারাই আপাতত বাকি টাকা দিয়ে দেবে বলে জানায়। ফলে শেষ মুহূর্তে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি পান পিয়ালি। রবিবার সকালেই তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোৎসে জয় করে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেন এই বঙ্গকন্যা। জীবনধারা পরিবর্তন করা তাঁর লক্ষ্য। পাহাড়ের চূড়াতেও মেয়েদের অধিকারের বার্তা দেন পিয়ালি।

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) রয়েছে, সেখানে এক সময় মন্দির ছিল। ১৯৩৬ সালের একটি হলফনামায় এই তথ্য মিলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরেই ছিল হিন্দু উপাসনার স্থান।

    হলফনামা অনুযায়ী, মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত পিপুল গাছের নীচে আমরা গঙ্গেশ্বরের পুজো করি। এরপর আমরা রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পুজো করি। ভিয়াস যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমরা আবার প্রাঙ্গনে আসি। গৌরীশঙ্কর নামে পরিচিত শিব এবং দশরথের যুগল মূর্তিও পুজো করি।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    পিটিশনের একটি অংশে লেখা, এর পরে আমরা গৌরী শঙ্করের মূর্তির কাছে তারকেশ্বর, তার পরে নন্দ কেশবস, তারপর মহাকালেশ্বর চবুতরের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পিপুল গাছের নীচে, তারপর জ্ঞানবাপী কূপ, তার পর মাদাদি পঞ্চ বিনায়ক নামে পরিচিত গণেশজির পুজো করি। তারপর তৃতীয় পিপুল গাছের নীচে মহেশ্বর, তারপরে মুক্তেশ্বর যা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি লুকানো জায়গা, তারপরে আমরা শ্রীঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করি…।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    সিভিল মামলায় এই এলাকাটি ওয়াকফ (Wakf) সম্পত্তির অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে তৈরি করা কোনও কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ভারতে মুসলমান শাসনের শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি ও মন্দিরের উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকারও নোটে উল্লেখ করেছিল, অমুসলিমরাও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ওই জমি ব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court) শুনানি শেষ হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi Viswanath temple)-জ্ঞানবাপী মসজিদ  মামলার। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

    প্রসঙ্গত, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদ কমিটির দাবি, দীর্ঘকাল মসজিদটি এই এলাকায়ই রয়েছে। যদিও হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বনাথের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। সম্প্রতি মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তির দাবি, ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষা (Videography survey) করার সময় মসজিদের ওজুখানার (Wuzukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে। তার পরেই ওজুখানা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আনেননি সনিয়া অথবা রাহুল গান্ধীর নাম। মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি এক বারও। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে ফের একবার পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জপুরে  বিজেপির দলীয় সম্মেলনে মোদি বলেন, “যে দলগুলির ভিত্তি পরিবারতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে তারা দেশের মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পরিবারের জন্যই তোলা থাকে। পরিবারের স্বার্থেই কাজ করেন তাঁরা। দেশের স্বার্থ তাঁদের কাছে গৌন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনের আট বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়কালকে দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য উত্সর্গ করেন মোদি। তিনি বলেন, “২০১৪-এর পরে দেশে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জনগণের হারানো বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই আট বছর সরকার সেবা, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এনডিএ আমলের এই আট বছর প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের সময় ছিল।” 

    আরও পড়ুন: ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য দেশের গর্ব, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি জানান, এটা থেমে থাকার সময় নয়।  তিনি বলেন, “বিজেপির জন্যও আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য ঠিক করার এবং অবিরাম কাজ করে চলার সময় এটা। সারা বিশ্ব এখন বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” দলের কর্মীদের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যেতে হবে। বিরোধীরা অনেক ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে আমল দিলে চলবে না বলে জানান মোদি। তাঁর তোপ, ” বিরোধীদের লক্ষ্যই হল ছোট ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করা।”

    এদিন ফের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে মোদি বলেন, “বংশ পরম্পরার রাজনীতি দেশের স্বার্থ সবার উপরে রাখার বদলে ‘আমি এবং আমার’ ভাবনাকে পোক্ত করে। রাজনৈতিক দুর্নীতির এটি বড় কারণ। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। পারিবারিক রাজনীতির পরম্পরা রক্ষা শুধু গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে না, দুর্বলও করে দেয়।’’ বিজেপি শুরু থেকেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধী বলে জানান মোদি। 

  • Modi Meets Adityanath: “বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    Modi Meets Adityanath: “বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। যোগী মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, বিশ্রামের সময় নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। জনগণের সেবায় রাজ্যের মন্ত্রীদের উৎসর্গ করা উচিত বলেও সোমবার জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে এদিন নেপালের (Nepal) লুম্বিনিতে গিয়েছিলেন মোদি। বিকেলে ফেরেন লখনউতে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। ব্রেনস্টর্মিং এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র সুশাসনই পথ খুলে দেয় ক্ষমতায় ফেরার। মন্ত্রীদের জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার নির্দেশ দেন। মোদি বলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই সকলের উচিত প্রস্তুতি শুরু করা। বিশ্রামের কোনও সময় নেই।”

    বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। অপরাধ দমনে যোগী সরকারের বুলডোজার (Bulldozer drive) অভিযানেরও প্রশস্তিও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। যোগী-জমানায় যে উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়ে দেন মোদি। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানান। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তারও প্রশংসা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়।

    লোকসভা নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। তাই এখন থেকেই শুরু করতে হবে প্রস্তুতি। যোগী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আরও বেশি করে তাঁদের বিধানসভা এলাকায় সময় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার পরামর্শও দেন তিনি। সরকারি প্রকল্পগুলি যোগ্য উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা, তাও তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে। মোদি বলেন, কেবল সুশাসনই ক্ষমতায় ফেরার পথ। দলের সঙ্গে সরকারকে সমন্বয় রেখে চলার পরামর্শও এদিন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করা প্রয়োজন। কারণ উভয়ই একে অপরের পরিপূরক।

    দেশের সব চেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০৩টি। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যাও বেশি। এই উত্তরপ্রদেশের রাশ যার দখলে থাকে, তারাই কেন্দ্রে সরকার গড়ে। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। অতএব, লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় যে বিজেপি-ই (BJP) ফিরছে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। বিজেপি যাতে আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে, এদিন যোগী রাজ্যের মন্ত্রীদের সেই দাওয়াই-ই দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।

     

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে (Kashmir) অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় বিহার (Bihar) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মৌলবীরা (Maulvi)। উপত্যকায় ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাসের (Hybrid Terrorism) জন্য তারাই দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা তথ্যে (intel note)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরি যুবকদের বিভ্রান্ত করতে তারা গোপনে কোরান সম্পর্কে তাদের সীমিত জ্ঞানকে কাজে লাগায়।

    নয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই অশান্তির আঁচ পুড়তে থাকে কাশ্মীর। হিন্দু পণ্ডিতদের নির্বিচারে নিধন করে উপত্যকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। উনিশের ভোটের পর কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরে ক্রমেই নিভতে থাকে অশান্তির আঁচ। সম্প্রতি ফের কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাস। আর এই সন্ত্রাসের শিকড় খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই জানা যায়, উপত্যকার তরুণদের ‘মাথা খাচ্ছে’ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীদের একাংশ।

    প্রকাশ্যে আসা গোয়েন্দা নোট থেকে জানা যাচ্ছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা জীবিকার খোঁজে কাশ্মীরে যান। সেখানে অনায়াসেই মিলে যায় ইমামের চাকরি। তারপরেই শুরু হয় আসল খেলা। ধর্মশিক্ষার নামে তৈরি হতে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি (hybrid terrorist)।

    হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী কারা? গোয়েন্দাদের মতে, যারা জঙ্গি-তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও একটি জঙ্গি হামলার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের বলা হয়ে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি। এর সুবিধা হল, এভাবে সহজেই নিরাপত্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দেওয়া যায়।

    গোয়েন্দাদের ওই নোটে বলা হয়েছে, এই মৌলবীরা প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে ওই তরুণদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। পরে ‘ভাল মুসলিম’ না হওয়ার জন্য তরুণদের উপহাস করে। পরে জেহাদের জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    এই মৌলবীরা (maulvis) যে তরুণদের মাথা খাচ্ছে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে নোটে কাশ্মীরের শাঙ্গুশের উল্লেখ করা হয়েছে। এক সময় অনন্তনাগের এই তহশিল ছিল অন্যতম শান্তিপূর্ণ এলাকা। এলাকার তরুণরা সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী সহ সরকারি নানা বিভাগে কাজ করত। ২০১২-১৩ সালে এখানকার মসজিদে ‘বহিরাগত’ মৌলবীদের নিয়োগ করা হয়।

    নোটে বলা হয়েছে, তার জেরে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিংস্র হয়ে ওঠে শাঙ্গুস। পরে পুলিশ ওই মৌলবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে জেলার বাইরে পাঠায়। তার জেরে আপাতত শান্ত ওই এলাকা। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে পুলওয়ামা, ওয়াচি, কুলগাম এবং শোপিয়ানেও।

     

  • Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও (MNREGA) ব্যাপক দুর্নীতি করছে তৃণমূল (TMC)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) তিনপাতার চিঠি লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। 

    বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana), ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অনতিবিলম্বে যাতে সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা।  পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ-ও দাবি করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

    ঠিক ২ দিন পর, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি অনুরোধ করলেন, টাকা দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। শুভেন্দু জানালেন, রাজ্য সরকার যাতে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখে ও যাবতীয় প্রটোকল মেনে চলে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের চিঠিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) নাম বদলে দিয়ে “বাংলা আবাস যোজনা” (Bangla Awas Yojana) বলে রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালাচ্ছে। এমনকি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি বসাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানিয়েছেন, এহেন কাজ শুধু যে নীতিবিরুদ্ধ তাই নয়, যে কৃতিত্বের দাবিদার রাজ্য নয়, তার দাবিও করা হচ্ছে। 

    ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই বিধায়ক। শুভেন্দুর মতে, ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের যে টাকা বকেয়া বলে দাবি উঠছে, সেই কাজে শাসকদল তৃণমূলের অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বেনিয়ম চলে। তাই সেই টাকা যাতে কেন্দ্রের তরফে ঠিকঠাক বণ্টন হয়, সেদিকেও প্রধানমন্ত্রীকে নজর দিক। চিঠিতে এই আবেদনও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

LinkedIn
Share