Blog

  • Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।

    এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। 

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • Shehbaz Sharif: পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল দেশদ্রোহিতার অভিযোগ! কেন জানেন?

    Shehbaz Sharif: পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল দেশদ্রোহিতার অভিযোগ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার (Treason) অভিযোগ! সম্প্রতি এই মর্মে পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিধানসভায় পাশ হয়েছে একটি রেজলিউশন। তাতে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (PM Shehbaz Sharif) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার জেরে ফের একবার তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশটির রাজনৈতিক আবহ।

    দিন কয়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁরই শেষকৃত্যে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছেন শেহবাজ। অভিযোগ, সেখানে তিনি দেখা করেছেন তাঁর পলাতক ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে। এই নওয়াজ তিন দফায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শেহবাজের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের নয়া সেনা প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

    পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ এবং সহযোগী পিএমএলকিউয়ের জোট সরকার। সম্প্রতি এই সরকারই একটি রেজিলিউশন পাশ করেছে। তাতেই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুই তৃতীয়াংশ ভোটে সেই রেজলিউশান পাশও হয়েছে। পাঞ্জাবের সংসদীয় মন্ত্রী বাসারত রাজা শেহবাজের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ওই রেজলিউশন নিয়ে আসেন। সেখানে সংবিধানের ৬ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। রেজিলিউশনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দিন দুই আগে দেখা করেছিলেন। সেখানে নয়া সেনা প্রধান নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। এটা সংবিধান বিরোধী। শুধু তাই নয়, দেশের সেনা বাহিনীর পক্ষেও অপমানজনক।  

    আরও পড়ুন :মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডন চলে যান নওয়াজ শরিফ। সেই সময় লাহোর হাইকোর্ট মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে তাঁর আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছিল। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আল জাজিরা দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জামিন পেয়ে চলে যান লন্ডন।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরে অবসর নেবেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার জানিয়েছিল ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল শেহবাজের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ranna Puja 2022: অরন্ধন কী? কেন পালন করা হয়? জানুন এই উৎসবের তাৎপর্য

    Ranna Puja 2022: অরন্ধন কী? কেন পালন করা হয়? জানুন এই উৎসবের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সারা বছর ধরেই বাঙালিদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। এরই মধ্যে একটি পার্বণ হল অরন্ধন উৎসব বা রান্না পূজা। এই পুজোর প্রধান নিয়মই হল ভাদ্র মাসে রান্না করে আশ্বিনে খাওয়া। আবার এদিন মনসা পূজাও করা হয়। এই মনসা পূজারই একটি অংশ হল এই রান্না পূজা। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে অমাবস্যা থাকে, আর এই অমাবস্যার রাতেই এই পুজো করা হয়। এইদিন সারা রাত ভরে রান্না ঘরে বিভিন্ন খাবার রান্না করা হয় ও পরের দিন বাসি খাবার খাওয়া হয়।

    সাধারণত এই অরন্ধন উৎসব বছরে দুবার পালন করা হয়। একবার অরন্ধন উৎসব হয় মাঘ মাসে, সরস্বতী পুজোর পরের দিন। ঐদিন থাকে শীতল ষষ্ঠী। ঐদিন শিলনোড়া পুজো করা হয়। এইদিন বাড়িতে গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতিও রয়েছে। আর একবার হয় আজ, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে। আর এই ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতেই মা মনসার পুজো করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনন্ত চতুর্দশী কবে জানেন? কেন পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? কী এর মাহাত্ম্য?

    এদিন রান্নাঘরে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রাতেই রান্না করে পরের দিন খাওয়ার রীতি রয়েছে। এই দিন রান্নাঘরের সমস্ত জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করে ফণীমনসার ডাল অথবা শালুক গাছের ডাল দিয়ে মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মা মনসার পুজো করা হয়। পুজোতে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় মরশুমি শাক, সবজি, মাছ ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ভোগ দেওয়া হয়, কোথাও আমিষ বা কোথাও আবার নিরামিষ। যার মধ্যে পান্তা উল্লেখযোগ্য। নিরামিষ ভোগের ক্ষেত্রে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ অন্যতম ও নিরামিষের ক্ষেত্রে নানা রকমের ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক ইত্যাদি।

    দেবীপক্ষের আগে রান্না পুজোই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর মহালয়ার পরেই শুভক্ষণে উৎসব শুরু হয়। যদিও এই অরন্ধন উৎসব বা রান্না পুজোর রীতিনীতি এখন আর বেশি দেখা যায় না। তবে শহরে কম হলেও, গ্রামে  এখনও এই উৎসব ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনহীন মাদ্রাসারগুলির (Madrasa) উপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সমীক্ষা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। এ নিয়ে মুসলিম মহলে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এবার উল্টো সুরে কথা বলল উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের দারুল উলুম। দেওবন্দের দারুল উলুমের (Darul Uloom Deoband) অধ্যক্ষ মৌলানা আরশাদ মাদানি (Maulana Arshad Madani) এই সমীক্ষায় কোনও অন্যায় দেখছেন  না। বিভিন্ন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি রবিবার দারুল উলুমের কনভেনশনে অংশ নেন। সেখানে এই সমীক্ষার বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। সেই আলোচনার পর মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলির উপর সমীক্ষা করার অধিকার সরকারের রয়েছে। তাই তাদের সমীক্ষাটি শান্তিতে করতে দিন। আমি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছি না।” অবশ্য মৌলানা আরশাদ মাাদানি দাবি করেন, মাদ্রাসাগুলোতে কোনও ধরনের অবৈধ কাজ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “জমি দখল করে যদি কোনও মাদ্রাসা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার যদি তা ভেঙে দেয় তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের কিছু বলার নেই।”     

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম   

    তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে সরকারকে তথ্য দিতে মুসলিম সমাজের কোনও সমস্যা নেই। সরকার জাতীয় স্বার্থে সব কিছু করতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের নিশানা করা করা উচিত নয়। যদিও দেশজুড়ে সর্বত্র এমন একটি বার্তা পাঠানো হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে যে আমরা মাদ্রাসার উপর সমীক্ষার বিরোধিতা করছি।” মৌলানা মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলো হাজার হাজার বছর ধরে জ্ঞানার্জন ও ভালোবাসা কেন্দ্র। আমাদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণের জন্য মাদ্রাসাগুলো আছে। লক্ষ লক্ষ মসজিদের জন্য ইমামদের প্রয়োজন। তারা এসব মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। মাদ্রাসাগুলিকে বলেছি, সরকারের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মাদ্রাসার জমি বৈধ হওয়া উচিত। মাদ্রাসা যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলিতে যেন স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টিকে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত।         

    আরও পড়ুন: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য (Chandigarh University MMS Row)। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব (Punjab) সহ গোটা দেশ। ফলে ক্যাম্পাসে অশান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস ও পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ও ভিডিও-কাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মেয়েদের হস্টেলের ওয়ার্ডেন রাজবিন্দর কৌরকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

    স্নানের সময় তোলা ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে দাবি করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। আর এরই মধ্যে এই ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে সিমলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও একজন ৩১ বছর বয়সি যুবককে পুলিশ আটক করেছে। ফলে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম সানি মেহেতা। সে সিমলার রহুর মহকুমার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রঙ্কজ বর্মা নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ভিডিওই পাওয়া গিয়েছে ও ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটি অভিযুক্ত ছাত্রীর, যার বিরুদ্ধে বাকি পড়ুয়াদের স্নানের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অন্য কোনও ভিডিও এখনও মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের।

    চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (Chandigarh University Protest) অব্যাহত থাকায়, রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) জিএস ভূল্লার। তিনি বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখা একান্ত প্রয়োজন। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তদন্ত চলছে।“ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলতে থাকে, ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরে পুলিশের উপস্থিতিতে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” (We Want Justice) স্লোগান দেয়। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পড়ুয়ারা।

    অন্যদিকে দাবি করা হয় যে, পড়ুয়াদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ছাত্রীরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ কে মেনে নেয়নি। পাশপাশি পুলিশের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও, পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অন্তত ৮ জন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একজন মারা গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ৭ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া বলেন, ”৬০ জন ছাত্রীর এমএমএস বানানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন। এমনকী আট জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে এই ব্যাপারটিও গুজব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অসমে ছুকছে জঙ্গিরা। অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছে। গত ১০ বছরে অসমে ১১৪টি জেহাদি-যোগ চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চলতি বছরে এখনও অবধি ৪০ জনকে জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরৎ অধিবেশনের প্রথম দিনে এই কথা জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হিমন্ত বলেন, গ্রেফতার হওয়া অনেকেই মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষক। 

    মুখ্যমন্ত্রী যে খুব একটা ভুল বলেনি, তা বোঝা গেল সোমবারও। এদিনও রাজ্যে আরও দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইমামও রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ তথা ‘আনসার বাংলা’র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই দুই সন্ত্রাসবাদীর। সোমবার অসমের মরিগাঁও জেলার মইরাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুসাদিক হোসেনকে এবং নগাঁও জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইমাম ইকরামুল ইসলামকে। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরপর জঙ্গিদের গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন প্রতিরক্ষা মহল। প্রশ্ন উঠছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে কতটা শিকড় ছড়িয়েছে জেহাদি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’টি? উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মইরাবাড়ি এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ওই মাদ্রাসাটির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার (Al-Qaeda) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। আল কায়দা যোগের অভিযোগে ক’দিন আগে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে দেড় হাজার যুবক নাম লিখিয়েছে। তবে, সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি যুবককে জঙ্গি সংগঠন থেকে জীবনের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। হিমন্তের কথায়, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১৫৬১ জন যুবক বিভিন্ন জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে। অন্যদিকে সরকারের সাফল্য হিসেবে তিনি বলেছেন, ৭হাজার ৯৩৫ জন যুবককে সন্ত্রাসের পথ থেকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে। অসম বিধানসভায় বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া শর্মার প্রশ্নের উত্তরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানান হিমন্ত। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    মাদ্রাসা ভাঙা নিয়ে অনেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁকে মুসলিম-বিরোধীও আখ্যআ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। BJP চায় ভারতকে নতুন করে নির্মাণ করতে। হিন্দু আমাদের ডিএনএ। কিন্তু মুসলমানদের বাদ দিয়ে ভারত নয়। আমরা মুসলিম বিরোধী নই। আমরা চাইছি মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতি করতে।” তিনি জানান, রাজ্যে যে সমস্ত মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলির সঙ্গে যুক্ত আছে আল কায়দা এবং বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED Filed Chargee sheet on SSC Case)। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে রয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।পার্থ-অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। দু দফায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারি‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    ইডির পেশ করা চার্জশিট সম্পর্কে এই বিষয়গুলি জেনে নিন:

    • মোট ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।
    • ট্রাঙ্কে ভরে নথি নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
    • চার্জশিটে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম।
    • নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০৩ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে বলে হয়েছে।
    • ৪০ টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি। যার মোট মূল্য ৪০.৩৩ কোটি টাকা।
    • মোট ৪৮.২২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যাতে টাকার পরিমান ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা রয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, জমি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
    • বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে অনেকগুলিই রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। এ ছাড়া শেল কোম্পানির নামেও রয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি।
    • গত ২৭ ও ২৮ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনা ও গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। তাঁর প্রয়াণে বলিউড থেকে রাজনৈতিক মহল, সর্বত্রই শোকের ছায়া। প্রায় দেড় মাসের লড়াই শেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তিনি। তাঁর রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ার পর থেকেই তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে জানেন কী, এই বিখ্যাত ‘কমেডি কিং’-এর অনুরাগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও বলিউডের বিগ বি (Big B)।

    আগের এক সাক্ষাৎকারে রাজু জানিয়েছিলেন, তিনি অমিতাভ বচ্চনের সবচেয়ে বড় ভক্ত। তিনি সবার সামনে স্বীকার করেছিলেন যে কীভাবে তিনি তাঁর শৈশবের দিনগুলিতে বিগ বিকে অনুকরণ করতেন। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ (Deewar) দেখার পর থেকে মিমিক্রি এবং কমেডির ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাঁর পোস্টার কিনে আমার বাড়িতে লাগাতাম। আমি তাঁর মত চুলের স্টাইল করে তাঁকে অনুকরণ করতে শুরু করেছিলাম। তখন লোকেরা আমাকে বিগ বি বলে সম্বোধন করত।”

    তবে শুধুমাত্র রাজু বিগ বি-এর ভক্ত ছিলেন না। অমিতাভ বচ্চনও রাজুর অনুরাগী ছিলেন। ফলে তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধুও হয়ে উঠেছিলেন।। জানা যায়, রাজু যখন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন, তখন রাজুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তাঁকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বিগ বি। রাজুকে পাঠানো ভয়েস মেসেজে তিনি বলেছিলেন, “রাজু এবার তো ওঠো। এখনও অনেক কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: থেমে গেল হাসি, প্রয়াত জনপ্রিয় কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    শুধুমাত্র বলিউড অভিনেতাদের কাছে নয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও ব্যাপকভাবে প্রিয় ছিলেন রাজু। ২০১৭ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাঁর অনুকরণ উপভোগ করেন। রাজু জানিয়েছিলেন, মোদিজি নিজে চেয়েছিলেন তাঁর অনুকরণ যাতে তিনি করেন। কারণ মোদিজি মনে করেন, কাউকে অনুকরণ করাও একটি শিল্প।

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানপুরে জন্ম হয় রাজু শ্রীবাস্তবের। বাবা রমেশচন্দ্র শ্রীবাস্তব ছিলেন কানপুরের প্রখ্যাত কবি। ছেলের নাম তিনি রেখেছিলেন সত্যপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু রাজু নামেই সকলে ডাকতেন। ছোটবেলা থেকেই চেনা মানুষজনের নকল করতে পারতেন। তবে রাজু শ্রীবাস্তবের এত অনুরাগী থাকলেও তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই কাজকে আত্মীয়রা ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু তিনি সব কটুক্তি, বাধাকে সম্মুখীন করে তাঁর নিজের লক্ষ্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আমদানি আটানি খরচা রুপাইয়া, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া-সহ বেশ কিছু বলিউড ছবিতে কাজ করেন। এমনকি ‘বিগবস’ থেকে শুরু করে ‘কপিল শর্মা’র শো– এ সবেই নিজের অবদান রেখেছেন রাজু। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’জ লাফটার চ্যাম্পিয়ন’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

  • Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকের সংখ্যা যাই হোক উচ্চতর বেঞ্চ অর্থাৎ হায়ার বেঞ্চের রায় প্রাধান্য পাবে, সম্প্রতি এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিচারকের সংখ্যা নির্বিশেষে একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ই সবসময় গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী, কোনও মামলা চলাকালীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে একরকম রায় দিল। তখন সেই মামলায় হেরে  যাওয়া পক্ষ  বৃহত্তর বেঞ্চে অর্থাৎ সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন করতে পারে। সাত বিচারপতির বেঞ্চে যদি ওই মামলার রায় ৪:৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে ৭ বিচারকের বেঞ্চের রায় সর্বসম্মতভাবে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের উপর প্রাধান্য পাবে। 

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এম এম সুন্দ্রেশ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ একটি মামলা চলাকালীন এই মত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য,  অনুচ্ছেদ ১৪৫(৫) অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সম্মতিই আদালতের রায় হিসাবে দেখা হয়। ২০১৭ সালে বিচারপতি আরএফ নরিমান এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের সমন্বয়ে গঠিত দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে কী খারিজ হয়ে যাবে?

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    যদি সর্বসম্মতিক্রমে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ৭ বিচারপতির বেঞ্চ দ্বারা বাতিল করা হয়, যেখানে চারজন বিজ্ঞ বিচারক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে কথা বলেন এবং তিনজন বিজ্ঞ বিচারক বিপক্ষে তাহলে দুজন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ও পাঁচজন বিচারপতির রায়ের কাছে বাতিল হতে পারে। অর্থাৎ সবসময় যে কোনও মামলায় হায়ার বেঞ্চের রায়ই প্রাধান্যপাবে বলে মত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share