Blog

  • Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক (Single Use Plastic) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পনা করার পরে অবশেষে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এবার থেকে বন্ধ হতে চলেছে প্লাস্টিকের উৎপাদন, সরবরাহ, জমানো এবং বিক্রি। তবে এবার শুধুমাত্র প্লাস্টিক বন্ধ করেনি, যদি কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থাকে প্লাস্টিক সরবরাহ করতে দেখা যায় তবে তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই এবার থেকে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা।

    আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো? এক

    [tw]


    [/tw]

    তাই প্লাস্টিক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বলতে গেলে দুঃখের খবর। কিন্তু প্লাস্টিক ছাড়াও এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রথমেই যেই জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটি হল পাট (Jute)। তবে পাটজাতীয় যে সকল পণ্য বাজারে রয়েছে, সেই সমস্ত পণ্যের দাম প্লাস্টিকের চেয়ে অনেকটা বেশি। এছাড়া প্লাস্টিকের মত সহজে ব্যবহার করাও যায় না। কিন্তু পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে এখন থেকে পাটের তৈরি ব্যাগের ওপরই নির্ভর করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    শুধুমাত্র প্লাস্টিক ব্যাগ নয়, সিঙ্গল-ইউজড প্লাস্টিকের তৈরি মিষ্টির বাক্স, কাপ, চামচ, ছুরি, বাটি, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাঠি— সবই নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা হয়েছে। ফলে পাটের তৈরি ব্যাগ ছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের বিকল্পগুলো হল-

    • পাটের তৈরি ব্যাগ।
    • খাদি ব্যাগ।
    • বাঁশের তৈরি স্ট্র ও বাসনপত্র।
    • প্লাস্টিক বোতলের বদলে স্টিলের ও কপারের বোতল।
    • কাপড়ের ব্যাগ।
    • প্লাস্টিকের তৈরি বাক্সের বদলে স্টিলের বাক্স।

     

     

     

     

     

     

     

  • Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) নন, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মসনদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। কে হবে মহারাষ্ট্রের রাজা, এই নিয়ে মসনদে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবারই শিন্ডে মুম্বাই ফিরেছেন। আর এদিনই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। রাজ্যের বিধানপরিষদের নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির পরই একনাথ মহারাষ্ট্র ছাড়েন। প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চলে যান আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে। শিন্ডের দাবি তিনি ও তাঁর অনুগামীরাই আসল শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের আসল উত্তরসুরী। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারপেই সেই পদে বসেছেন একনাথ।  

    আরও পড়ুন: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাত্র এক মাসে প্রচারের চড়া আলোয় চলে আসা কে এই একনাথ শিন্ডে?  
     
    দুদশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রচারের আলোয় সেভাবে কখনই আসেননি। চারবারের বিধায়ক শিন্ডে সামলেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে একসময় অটোও চালিয়েছিলেন। ৫৮ বছরের সেই একনাথ শিণ্ডেই এবার মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে। থানেতে মহারাষ্ট্রের ভিত শক্ত করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল শিন্ডের। ২০০৪ সালে শিবসেনার থানে জেলা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।   

    ১৯৬৪ সালে সাতারাতে জন্ম একনাথের। একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৮০ সালে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবসেনা যোগ দেন। সেই সময় একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন একনাথ। একদা থানে শহরের অটো ড্রাইভার শিণ্ডে ধীরে ধীরে দলে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আসেন। ১৯৯৭ সালে থানে পুরনিগমের কর্পোরেটর পদে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    ২০০১ সালে থানে পুরনিগমের দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ অবধি ওই পদে ছিলেন শিন্ডে। ২০০৪ সালে বিধানসভার টিকিট পান। বড় ব্যবধানে জেতেন সেবার। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন ওই একই কেন্দ্র থেকে। ২০১৯ সালে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে। 

    মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক সীমান্ত সমস্যার প্রতিবাদের কারণে ৪০ দিন জেলেও কাটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র দাঙ্গার সময় তিনি এক মা-ছেলেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছে দেন। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ একনাথ শিন্ডে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বৃহস্পতিবারই তিনি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

     

     

  • Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, নূপুর শর্মাকে সমর্থন। আর তাই প্রাণ গেল এক দরজি যুবকের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে করা হল মুণ্ডচ্ছেদ। খুনের ভিডিও শেয়ার করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নৃশংসতা লঙ্ঘন করল সমস্ত সীমা। ভয়ঙ্করতায় আঁতকে উঠল গোটা দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur) শহরের ধানমণ্ডি এলাকায়। পুরো বিষয়টির জন্যে গেহলট (Ashok Gehlot) সরকারের তোষণের রাজনীতিকেই দুষলেন রাজস্থানের প্রাক্তন এবং বিজেপি নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)।     

    রাজস্থানের শিরশ্ছেদের (Udaipur beheading) ঘটনায় অশোক গেহলট সরকারের নীতির নিন্দা করে বসুন্ধরা রাজে বলেন, “উদয়পুরে নিরপরাধ যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে রাজ্য সরকারের প্ররোচনা ও তোষণের কারণে অপরাধীদের মনোবল এখন তুঙ্গে। কংগ্রেস সরকারের ভুল নীতির কারণেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা এবং সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে সত্বর প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘হিংসায় ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না’, মুসলিম সমাজকে আবেদন মৌলবীদের

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দরজিকে হত্যা করেছে দুই যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দরজির মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। হত্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করতেও দেখা গিয়েছে হত্যাকারীদের। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, হত্যার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ  

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে সেই দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।    

    মৃত যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগে নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে ওই যুবক একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।  

    যুবক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদয়পুর শহরে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, সেই আশঙ্কায় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের এলওপি (LOP) গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, “এই ঘটনা কোনও ব্যক্তি বিশেষের নয়, কোনও সংগঠনের বলেই অনুমান করা হচ্ছে।”  

     

  • Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ‘ধূসর’ তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান (Pakistan)। বিশ্বের সুনজরে আসতে ‘মৃত’ ঘোষণা করা জঙ্গিকেও ‘গ্রেফতার’ করে আরও বিতর্কে জড়াল ভারতের এই প্রতিবেশি দেশ। সম্প্রতি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ড লস্কর-ই-তইবার (LeT) জঙ্গি (Terrorist) সাজিদ মীরকে (Sajid Mir) গ্রেফতার করার দাবি করেছে পাকিস্তান। গোটা বিশ্বই এই কুখ্যাত জঙ্গিকে ধরতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই জঙ্গির মাথার দাম ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান এতদিন দাবি করে এসেছে এই জঙ্গি বেঁচেই নেই। কিন্তু হঠাতই সেই দাবি থেকে সরে এসে মুম্বাই হামলার ১৪ বছর পরে সাজিদ মীরকে গ্রেফতারের পাকিস্তানের এই ঘোষণাকে কেউই ভালো চোখে দেখছেন না। অনেকেই মনে করছেন দেশের নামের আগে ধূসর তকমা মুছতে মীরের গ্রেফতারি পাকিস্তানের নয়া নাটক। 

    আরও পড়ুন: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ  

    লস্কর-ই-তইবা একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে মীরের উপস্থিতি অস্বীকার করে গিয়েছে। এমনকি একবার এও দাবি করেছে যে সে মারা গিয়েছে। সাজিদ মীর এফবিআই (FBI)-র মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। বহু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই মীরকে খুঁজছে। 

    জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের সামাজিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার সক্রিয় সদস্য ছিল সাজিদ। ২৬/১১ হামলার আর এক চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে সেই যোগাযোগ রাখত। প্রসঙ্গত, লস্করের হয়ে ২৬/১১ হামলার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে একাধিক বার ভারতে এসেছিল হেডলি। পরে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। 

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ। 

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান।

  • Income Tax Raid: তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?

    Income Tax Raid: তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত এক আইনজীবী এবং চার্টার্ড ফার্মের কর্ণধারের বাড়ি ও অফিসে তিনদিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। উদ্ধার হয়েছে নগদ কয়েক কোটি টাকা। ওই দুজনের বাড়ি ও অফিস থেকে পাওয়া নথিপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ থেকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    এই দুই ব্যক্তি শাসক দলের মুখপত্র, দলীয় তহবিল এবং কয়েকটি আরও গোপন লেনদেনের হিসাব দেখতেন বলে আয়কর অফিসারদের একাংশ দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের দিল্লি থেকে আসা বিশেষ দল এই তল্লাশি চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কলকাতার আয়কর দফতরে এতটাই প্রভাব রয়েছে যে মন্ত্রক স্থানীয় অফিসারদের উপর ভরসা করেনি বলে জানা গিয়েছে। 

    কেন ওই দুই ব্যক্তি আয়কর দফতরের নজরে এসেছেন?

    আয়কর দফতর সূত্রের একাংশের দাবি, নোটবন্দির সময় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদ্বয়ের যোগাযোগ বাড়ে। আগে যে সংস্থা শাসক দলের হিসাব পরীক্ষার কাজ করত নোটবন্দির পর তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শাসক দলের প্রভাবশালীদের। তারপরই ক্ষমতার অলিন্দে প্রভাব বাড়তে থাকে এই আইনজীবীর। 

    আয়কর কর্তাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনুমোদন না করলে শাসক দলের দুই প্রভাবশালী কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নাকি ইদানীং নেন না। এহেন ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা এবং নথিপত্র-নগদ উদ্ধার নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।

    আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, শাসক দলের মুখপত্রের তহবিলেই সারদা-রোজভ্যালির মতো চিটফান্ডের মালিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কিনে টাকা জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের বয়ান আগেই রেকর্ড করেছে সিবিআই।

    শাসক দলের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের খবরাখবর রাখতেন, সেই কারণেই কি ওই ব্যক্তির বাড়িতে আয়কর তল্লাশি চালানো হল-এমন চর্চাও বিভিন্ন মহলে চলছে। কারণ, ভবানীপুর এলাকায় নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো থেকে অভিজাত ক্লাবের পরিচালক হিসাবে বসে থাকা ওই আইনজীবী শহরের গণ্যমান্যদের মধ্যেই পড়েন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলত্যাগী রাজ্যসভার এক প্রাক্তন সাংসদের সম্পর্কও সর্বজনবিদিত।
      
    যদিও আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরনো একটি বেনামি সংস্থার নামে এন্ট্রি অপারেশনের কাজে গোলমাল ধরা পড়েছে। সে জন্য তল্লাশি। তা ছাড়া অন্য নানা সংস্থার বিরুদ্ধেও তল্লাশি চলছে। নথিপত্রে যদি শাসক দলের সঙ্গে বেআইনি কারবারের যোগ মেলে তখন তারও তদন্ত হবে। এটা তদন্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘটনাচক্রে কলকাতার দুই ব্যক্তির সঙ্গে শাসক দলের দুই প্রভাবশালীর যোগাযোগ থাকায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতুহল দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে আয়কর তল্লাশির কারণও খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকে।

    কৌতুহল বাড়ছে এর পর কী হয় তা জানারও। কারণ আয়কর দফতরের তল্লাশির পরেই কয়লা কাণ্ডের জাল বহুদূর বিস্তার লাভ করেছে। বৃহস্পতিবারই কলকাতার ইডি দফতরে কোলের শিশুকে নিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পত্নী রুজিরাকে। তাই অনেকের প্রশ্ন, এবারের আয়কর হানার অনুবর্তী পদক্ষেপও কি রোমহর্ষক হবে? আয়কর কর্তাদের জবাব, এখন নথি যাচাই চলছে। কিছু বলা যাচ্ছে না। 

  • Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। তবে তাঁর সঙ্গে দ্রৌপদীর লড়াই হবে আদর্শের। এমনই জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিজেপি-বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বিরোধীদের ভোটের পাশাপাশি বিজেপির কিছু ভোটও পাবেন বলে আশাবাদী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী প্রাক্তন রাজ্যপাল বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যাতে সর্বসম্মত হয়, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজনাথ সিংকে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ হন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যে তিনটি নাম নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে এগিয়েছিলেন, সেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ও কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী সাফ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তাঁরা নেই। এর পরেই বেছে নেওয়া হয় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহাকে। তৃণমূলের এই ভাইস প্রেসিডেন্টকেই প্রার্থী করেন বিরোধীরা।

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীই। এনডিএর পাশাপাশি বিজেডি এবং নীতীশ কুমারের দলের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এতদসত্ত্বেও আশা ছাড়তে রাজি নন যশবন্ত স্বয়ং। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপি রয়েছেন, তাঁদের ভোটও পাব। আমি জানি, বিজেপির লোকও বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। গোপন ব্যালটে ভোট হবে। তাই বিষয়টি গোপনই থাকবে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    বস্তুত, এই হিসেব কষেছে তৃণমূলও। যশবন্ত যেহেতু বিজেপির প্রাক্তনী, তাই তিনি কিছু ভোট ভাঙাতে পারবেন। অন্তত এমনই ভেবেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পাওয়ার, আবদুল্লা এবং গান্ধী না করে দিতেই যশবন্তের নামে পড়ে শিলমোহর।

    কোন ইস্যুতে ভোট চাইবেন? সংবাদ মাধ্যমের এহেন প্রশ্নের জবাবে যশবন্ত বলেন, ভারতের সংবিধান রক্ষা করাই আমার সব চেয়ে বড় কাজ। যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাই, তাহলে এই কাজই করব।এই সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে মানছে না। রাষ্ট্রপতি ভবনে যদি রাবার স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে এই সরকার তার সুযোগ নেবে এবং রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কর্তব্য পালন করতে দেবে না।

    যশবন্তের রাইসিনা হিলসে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা, সেটাই দেখার।

          

  • Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ‘৭৭৭ চার্লি’ (777 Charlie) নামে দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সিনেমা হলে। এই সিনেমায় একজন মানুষ ও কুকুরের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    ছবিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে কুকুরটি (Dog) এসে মানুষটির জীবনকেই বদলে দেয়। পোষ্যকে দত্তক নেওয়ার গুরুত্ব নিয়েও দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছে এই ছবিটি। এর মাধ্যমে বহু রাস্তার কুকুরের জীবন বাঁচানো সম্ভব, তাও দেখানো হয়েছে। এককথায় বাড়িতে পোষ্য রাখার ভালো দিকগুলিও দেখানো হয়েছে সিনেমাতে।

    কিন্তু এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত ট্রেন্ড দেখা যায়। এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। এর চাহিদা বাড়ার ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর দামও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ল্যাব্রাডর (Labrador) প্রজাতির কুকুরের দাম ৯ হাজার টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে ১২-১৩ হাজার টাকা হয়েছে।

    বাড়িতে পোষ্য রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বিভিন্ন পোষ্যের মধ্যে অনেকেই কুকুরকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র সিনেমার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অনেক পশুপ্রেমীরাই এটিকে ভালো চোখে দেখছেন না।

    আরও পড়ুন: খাঁচা গলে বাইরে শিম্পাঞ্জি, তারপর…?

    এমনই এক পশুপ্রেমী দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিনেমাটি সমাজে এক বিপরীত প্রভাব ফেলেছে এবং ‘৭৭৭ চার্লি’ পর্দায় আসার পর থেকেই হঠাৎ ল্যাব্রাডর কুকুরের চাহিদা বেড়েছে। ফলে সিনেমাটির প্রধান উদ্দেশ্যই যেন হারিয়ে গিয়েছে। এই কুকুরের চাহিদা এতই বেড়ে গিয়েছে যে শহরে মানুষ এখন বেআইনিভাবে ব্রিডারদের থেকে এই প্রজাতি কিনছেন। তিনি আরও জানান, মাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ল্যাব্রাডর কুকুর নিতেই আগ্রহী। এত চাহিদার ফলে কুকুর স্থানীয়ভাবে পাওয়া না গেলে, অন্য শহর থেকেও আনানো হচ্ছে।

    ওই পশুপ্রেমীর মতে, কীভাবে রাস্তার সারমেয়কেও পোষ মানানো যায় ও রাস্তার তাদের পোষ্য করার একটি দারুণ গল্প সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু মানুষ এটিকে অন্যভাবে নিয়েছে। ফলে আজ এই পরিণতি।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    এর আগেও দেখা গিয়েছিল যে ভোডাফোনের বিজ্ঞাপনে পাগ (Pug) প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার ফলে তখনও ওই প্রজাতির কুকুরের চাহিদা ও দাম দুইই বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউনের সময় দেখা গিয়েছিল, মানুষ নিজেদের একঘেয়েমিতা কাটাতে বাড়িতে পোষ্য রাখতে শুরু করছে। আবার লকডাউন শেষ হলে তারা পোষ্যদের নয় রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে, নয় অন্যদের দিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন কাজ করায় পশুপ্রেমীরা এই বিষয়টির নিন্দা করেছেন। তাঁদের আক্ষেপ, মানুষের এমন অমানবিক আচরণের জন্য নিরীহ জীবজন্তুদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিস্ফোরণ ও বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের মতো ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

    গত সপ্তাহে পাণ্ডবেশ্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ৩০ জুন বীরভূমে প্রচুর পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সোমবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাঘারপুর রমনা এলাকায় প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। মৃত্যু হয় সিরাজুল শেখ নাম বছর সাতাশের এক যুবকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে হাত উড়ে গিয়েছে তার সঙ্গী নাজমুল শেখের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছিল। পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুন : আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    এই প্রথম নয়, জানুয়ারি মাসে বেলডাঙায়ও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। এরকম একের পর এক ঘটনার কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) , মালদহ (Malda) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Pargana) নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    শুভেন্দু বলেন, গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে ২৪ হাজার কোটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ কাদের মারফত পাচার হয়েছিল, আর কোথা থেকে এল, তা জানতেই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও চিঠিতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপে রয়েছে। জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করছেন তদন্তকারীরা। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ই-মেইলও করেছি। একের পর এক ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চাই।

     

  • Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের (Kids) মধ্যে। ১২ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের করোনা প্রতিষেধক (Corona Vaccine) দেওয়া হয়নি। সেই সব শিশুদের মধ্যেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিশুদের স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন কলকাতার(Calcutta) শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকদের প্রতি তাঁদের আবেদন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সেই শিশুকে যেন কয়েকদিনের জন্য স্কুলে না পাঠানো হয়।

    দিন কয়েক ধরে গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে সোমবারের পর থেকে সেটা কিছুটা কমেছে। অবশ্য সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শিশুদের মধ্যে মূলত ধুম জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেটের গন্ডগোলও হচ্ছে। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে তা কোনওভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক নয়।

    আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল ভারতে। সেই সময় শ্বাসকষ্ট ছিল অন্যতম মূল উপসর্গ। সেবারও শিশুরা সংক্রমিত হয়েছিল। তবে তখন সংক্রমিত শিশুদের সিংহভাগকেই ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। সিএমআরআই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শতরূপা মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব কম শিশুর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গতবার যেটা খুব বেশি ছিল। তিনি বলেন, ১২ বছরের শিশুরা যেহেতু টিকাপ্রাপ্ত নয়, তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জ্বর বা কাশি হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না।

    আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    কলকাতার বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, এবার সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়েছে। কিন্তু যেহেতু রোগীরা মূলত মৃদু উপসর্গেই সংক্রমিত, তাই জরুরি কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবারের মূল উপসর্গ মৃদু জ্বর ও সর্দিই। এই সংক্রমণের জেরে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। সংক্রমণ বাড়লেও, স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন আর এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায়। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। কারণ এর ফল মারাত্মক। শিশুরা প্রায় দু বছর স্কুলে যায়নি। তাই তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতেই হবে। মাস্ক পরতে বাধ্য করা, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের স্কুলে না পাঠানো, ঘেঁষাঘেঁষি না করে বসার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন। এর মধ্যে কলকাতায়ই সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৭ জন।

     

  • IND vs ENG 5th Test: সিরিজ জয় অসম্পূর্ণ! ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হার ভারতের

    IND vs ENG 5th Test: সিরিজ জয় অসম্পূর্ণ! ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার এড়াতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। এজবাস্টন টেস্টে যশপ্রীত বুমরার ভারতকে হারিয়ে ৭ উইকেটে জিতল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনের খেলা যেখানে শেষ করেছিলেন,পঞ্চম দিন সকালে সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাট্সম্যান জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টো। এক দিনের মেজাজে ব্যাট করে মধ্যহ্নভোজের বিরতির আগেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন তাঁরা। ৩ উইকেট হারিয়েই শেষ ইনিংসে প্রয়োজনীয় ৩৭৮ রান তুলল ইংল্যান্ড। কোনও প্রত্যাঘাত করতে পারল না ভারতীয় দল (India Edgbaston)। মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই মঙ্গলবার হার মানল ভারত।

    ৩৭৮ রান করতে হবে, সেই লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের (England) দুই ব্যাটসম্যান জো রুট (১৭৩ বলে ১৪২) ও জনি বেয়ারস্টো (১৪৫ বলে ১১৪) মিলে সহজে রান তুলে দিয়েছেন। দুই ব্রিটিশ তারকাকে দু’দিনে আউটই করতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা। কেন ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানো হল না, তা নিয়েও প্রশ্নও উঠছে। সমালোচনা চলছে বুমরার (Jasprit Bumrah) অধিনায়কত্ব নিয়েও। সময়মতো বোলিং পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন বুমরা। এমনকি ফিল্ড পজিশনেও গলদ ছিল বলে অভিমত ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের। প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাট করেও ছন্দ ধরে রাখতে পারল না ভারত। 

    ২০০৭ সালের পর আশা করা হয়েছিল ফের ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতবে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের শুরুতে সে সম্ভাবনা থাকলেও,  ম্যাচের শেষ দিনে এসে পুরো চিত্রটাই যেন পাল্টে গেল। বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতকে হারিয়ে কার্যত ইতিহাস রচনা করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এই জয়ের ফলে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। এর আগে কখনই টেস্টে ৩৬০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এ দিন এজবাস্টনে সেই রেকর্ড ভেঙেই জিতল বেন স্টোকসের দল। অন্যদিকে এই প্রথমবার ভারতের বিরুদ্ধে ৩৪০ রানের বেশি তাড়া করে জিতল ব্রিটিশ ব্রিগেড। সেইসঙ্গে পাঁচ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়ে গেল। 

LinkedIn
Share