Blog

  • CUET Score 2022: কুয়েট স্কোরের মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় 

    CUET Score 2022: কুয়েট স্কোরের মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রোগ্রামে কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার (CUET 2022) মাধ্যমে ভর্তির জন্য পোর্টাল (Portal) চালু করেছে। সেই পোর্টালে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা একটি ফর্ম পূরণ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধিনস্থ কলেজগুলিতে ভর্তি হওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারেন। ফর্মের জন্যে শিক্ষার্থীকে দিতে হবে ২৫০ টাকা। প্রতিটি বিভাগে আবেদন করার জন্যে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবার সংরক্ষিত উপজাতির পড়ুয়াদের জন্যে ৩০% আসন সংরক্ষিত রেখেছে। শিক্ষক ফোরাম সংরক্ষিত বিভাগের অধীনে ভর্তির বিবরণ চাওয়া এবং সংরক্ষিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে জেইই অ্যাডভান্সডের ফল, জয়জয়কার বাংলার

    দেশজুড়ে প্রায় ৬.১৪ লক্ষ পড়ুয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার আবেদন করেছেন। পোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে CSAS-2022। তিনটি ধাপে পরিচালিত হবে এই পোর্টাল। প্রথম ধাপে, শিক্ষার্থীদের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে অগ্রাধিকার পূরণ হবে এবং তৃতীয় ধাপে আসন বরাদ্দ-কাম-ভর্তি।   

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের CSAS-2022 আবেদনপত্রের মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে। CSAS-2022-এ আবেদনের ক্ষেত্রে CUET (UG)-2022-এর আবেদন নম্বর বাধ্যতামূলক। CUET (UG)-2022-এর সময় আবেদনকারীর জমা দেওয়া ব্যক্তিগত বিবরণ, ছবি এবং স্বাক্ষর ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে CSAS-2022-এর আবেদনপত্রে চলে আসবে। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন

    ইসিএ এবং স্পোর্টস কোটার শিক্ষার্থীদের ট্রায়াল ১০ অক্টোবরের পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং সম্ভবত ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। 

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক যোগেশ সিং, CSAS-2022 পোর্টাল চালু করার সময় জানিয়েছিলেন, যে এই বছর ৬৭টি কলেজ/বিভাগ/কেন্দ্র জুড়ে ৭৯টি ইউজি প্রোগ্রামে ভর্তি করা হবে, যার মধ্যে ২০৬টি কম্বিনেশন রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিএ প্রোগ্রাম। এই প্রথম কুয়েট স্কোরের মাধ্যমে ভর্তি নিচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

    ভিসি যোগেশ সিং বলেন, “আমরা এমনভাবে নীতিমালা তৈরি করেছি যাতে জটিলতা কমানো যায়, তবুও আমরা মিড-এন্ট্রির ব্যবস্থাও করেছি যাতে কোনও কারণে বাদ পড়া আবেদনকারীরাও সুযোগ পেতে পারে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে (Political Parties) নিয়ে এক বড় ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মোট ৮৬টি নথিভুক্ত অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে “Non-existent” বা “অস্তিত্বহীন” বলে ঘোষণা করা হয়েছে ও এই দলগুলোকে তালিকা থেকে সরানো হল। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে ২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় (Inactive) বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এই রাজনৈতিক দলগুলো কোনও নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেনি।

    কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা বলা হয়েছে যে, এই দলগুলো ২০১৪ সাল থেকে কোনও বিধানসভা ও সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বা কমিশনের পাঠানো ১৬টি নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Chief Election Commissioner Rajiv Kumar) এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের (Election Commissioner Anup Chandra Pandey) তরফে জানানো হয়েছে যে, বিহার, দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৫৩টি দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরেই মঙ্গলবার এতগুলি দলের বিরুদ্ধে এই বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, “২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় তালিকায় রাখা হয়েছে। কারণ তারা, তাদের কাছে পাঠানো নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি এবং ২০১৪ ও ২০১৯-এর কোনও বিধানসভা বা সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এগুলোর মধ্যে তামিলনাড়ুর অন্তত ১৪ টি, উত্তর প্রদেশের ৩৪, দিল্লির ৩৩টি , তেলেঙ্গানার ৯টি এবং কর্ণাটকের ৬টি রাজনৈতিক দল আছে।“ এছাড়াও ৮৬ টি দলের কোনও অস্তিত্বই নেই বলে এদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল এও জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রতীক আদেশ অনুসারে, ১৯৬৮-এর অধীনে এই নিষ্ক্রিয়র তালিকায় থাকা দলগুলিকে কোনও ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে না। এছাড়াও ২৫৩টি দলের মধ্যে ৬৬টি দল তাদের প্রার্থীদের প্রতীকের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বলে জানিয়েছে ইসি। এর আগেও চলতি বছরের মে ও জুন মাসে মোট ১৯৮ টি রেজিস্টার করা দলকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজনৈতিক দলের মোট সংখ্যা হয়েছে ২৮৪টি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka Hijab Row: বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট 

    Karnataka Hijab Row: বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের কোরানের ব্যাখ্যা করার অধিকার নেই। হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবি করল মুসলিম পক্ষ। এর উত্তরে সুপ্রিম কোর্ট কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) পাশে দাঁড়িয়ে (Supreme Court on Hijab ban case) বলে, “বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে। মামলাকারীরাই মামলায় হিজাবের পক্ষে সওয়াল করার সময় কোরানের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।” মুসলিম তরফে বলা হয়েছে, কোরান অনুযায়ী হিজাবের (Hijab Row) আবশ্যকতা বিচার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নিজের সম্মান এবং পরিচয় বজায় রাখতে কেউ যদি হিজাব পরতে চায়, তাহলে তার অধিকারে বাধা দেওয়া উচিত কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা উচিত। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য পোশাক পরা যাবে না। ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অন্য কোনও পোশাক পরতে দেওয়া যায় না।  

    আরও পড়ুন: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    মুসলিম পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ মুছালা সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “অমৃতধারী শিখ মহিলারা পাগড়ি পরেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পাগড়ি পরা থেকে তাঁদের আটকানো হয় না। সেই কথা মাথায় রেখেই মুসলিম পড়ুয়াদের হিজাব পরার অধিকার দেওয়া উচিত।” একই সঙ্গে কোরানের অর্থ বিবেচনা করে হিজাবের গুরুত্ব বুঝতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিজাব পরার গুরুত্ব রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে বিচার করার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।” তার উত্তরেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “নেহাত বাধ্য হয়েই কোরান প্রসঙ্গ টেনে আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে।”

    বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, “আপনাদের ধর্মাচরণের অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু তা কি স্কুলে দেখানো যায়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পোশাকই সকলকে পরতে হয়?” এমনকি বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্নও তোলে, “তাহলে কি পড়ুয়ারা স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে মিনি, মিডি যা খুশি পরে আসতে পারে? রাজ্য কারোর পোশাক পরার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে না। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    এই প্রসঙ্গে মুসলিম পক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ এইচ মুছালা এবং সলমন খুরশিদ বলেন, “আদালত আরবি ভাষায় দক্ষ নয়। যে কারণে হিজাব নিয়ে কোরানের ব্যাখ্যা বুঝতে অসুবিধে হয়েছে। কোরানেও কিন্তু হিজাবকে মহিলার অধিকার রক্ষার পোশাক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।”

    এর আগে মুসলিম পক্ষ হিজাবকে ইসলামে অপরিহার্য বলে দাবি করেছিল। সোমবার বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করেন। বুধবারও চলবে হিজাব মামলার শুনানি।

    ভারত ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফ্রান্স এই পোশাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সেখানে নারীবাদী সংগঠনগুলি নারীর অধিকারের লড়াই চালাচ্ছে। 

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক (Karnataka) সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই সেই রাজ্যে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Hyderabad Fire: হায়দ্রাবাদে শো-রুমে বিধ্বংসী আগুন, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত ৮, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    Hyderabad Fire: হায়দ্রাবাদে শো-রুমে বিধ্বংসী আগুন, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত ৮, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দ্রাবাদে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হায়দ্রাবাদের সেকেন্দ্রাবাদের মার্কেট থানা এলাকার একটি ইলেকট্রিক বাইকের শো-রুমে প্রথমে আগুন লাগে এবং ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে শো রুমের উপরে থাকা হোটেলেও। এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লিডিংটির নিচতলায় ইলেকট্রিক স্কুটারের শোরুমে প্রথমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং শীঘ্রই প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রুবি নামক হোটেলে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই ওপরের হোটেলে অন্তত ২৫ জন ছিলেন। আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত নটার পর আগুন লাগে হোটেলের একতলায় থাকা ই-স্কুটারের শোরুমে। এরপরেই একে আশেপাশের জায়গাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। 

    ডেপুটি কমিশনার চন্দনা দিপ্তি জানিয়েছেন, যেখানে ইলেকট্রনিক স্কুটারগুলো পার্ক করা ছিল, সেখান থেকেই আগুন লেগে যায়। ফলে অনুমান করা হয়েছে, বেশ কিছু ইলেকট্রিক স্কুটারে ওভার-চার্জিং-এর ফলেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরও জানা গিয়েছে, এই বিল্ডিং-এর ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার সিস্টেমও কাজ করছিল না। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ কী, তা নিয়ে খতিয়ে  দেখছেন তাঁরা।

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকল। তারপর দমকল কর্মীরা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আহত ব্যক্তিদের তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধোঁয়ার ফলেই শ্বাসরোধ হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    রাতেই ঘটনাস্থলে যান তেলেঙ্গনারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি (Home Minister Mohammad Mehmood Ali)। এই অগ্নিকাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দমকলকর্মীরা হোটেল থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে কিছু লোকের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন তিনি।

  • WhatsApp Scam: হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার! মুহূর্তে গায়েব কোটি কোটি টাকা? কী করবেন, জানুন…

    WhatsApp Scam: হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার! মুহূর্তে গায়েব কোটি কোটি টাকা? কী করবেন, জানুন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে যেবাবে প্রতারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে নিজেদের এই জাল থেকে দূরে রাখা খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মাধ্যমে প্রতারকরা এই জাল পেতে চলেছে। প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে ব্ল্যাকমেল করে, কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা শোনা যায়। সাধারণ মানুষ তো এই প্রতারণার কথা বুঝতে না পেরে অনেক সময় প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েই দেয়, তবে এবারে এরকম ঘটনা ঘটল এক বড় সংস্থার সঙ্গেও, আর এদিকে হুশ নেই সংস্থার মালিকের।

    ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’ (এসআইআই) থেকে এক কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। রবিবার জানা যায় যে, কিছু অজানা ব্যক্তি সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার থেকে এক কোটি টাকার প্রতারণা করেছে, পরে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা আদর পুনাওয়ালা সেজে ভুয়ো মেসেজ পাঠায় এসআইআই-এর অর্থ বিভাগের পরিচালক সতীশ দেশপান্ডের হোয়াটসঅ্যাপে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দ্রুত ট্রান্সফারের জন্য বলে। দেশপাণ্ডে ওই মেসেজ সত্যিই আদর পুনাওয়ালা পাঠিয়েছেন এই ভেবে তিনি ১,০১,০১,৫৫৪ কোটির বেশি টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন যে এসআইআই প্রতারিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে সেক্স ট্র্যাপ, ভিডিও কলের ফাঁদে ৫.২৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মুম্বইবাসী

    তবে আদর পুনাওয়ালার সঙ্গে ঘটা ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সরকারী সংস্থার কর্মচারীদের সঙ্গেও এমন প্রতারণা করা হয়েছে ও বিগত কয়েক মাস ধরে একাধিক সরকারী বিভাগ এই প্রতারণার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এমন অনেক সময়ে দেখা গিয়েছে প্রতারকরা যাকে টার্গেট করছে তাদের পরিচিত কারোর ছবি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে হোয়াটসঅ্যাপে টাকা চাওয়া হয়।

    তবে এমন অবস্থার শিকার হলে আপনাদের কী করা উচিত, জানেন?

    প্রথমত, হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে আপনার পরিচিত কারোর ছবি থাকুক না কেন, টাকা চাইলেই প্রথমে সেই ব্যক্তির নম্বর চেক করুন। আর যদি দেখতে পান যে নম্বরটি অন্য, তখনই সেই নম্বরে রিপ্লাই করা বন্ধ করুন। আর এই রকম সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে http://cybercrime.gov.in- পোর্টালে অভিযোগ দায়ের করুন।

  • Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সম্প্রতি দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এদিন তাঁকেই কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, কেবল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলাম আর চারজন নেতার সঙ্গে চা খেলাম, এতে আম জনতার কিছু আসে যায় না। তাই নির্বাচনেও এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    এক সময় নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডেই ছিলেন পিকে (PK)। পরে নীতীশের সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন তিনি। এদিন নীতীশকে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ভোটে লড়ার ক্ষমতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে শুধু বৈঠক করে কী হবে? বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন নীতীশ। ঘটনাটি, প্রশান্ত কিশোরের মতে, রাজ্যের ঘটনা। অন্য কোনও রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মহারাষ্ট্রে মহাজোট সরকার ছিল। এখন সেখানে এনডিএ সরকার চলছে। বিহারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। জেডিইউ দলের প্রাক্তনী প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কোনও প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়েনি।

    আরও পড়ুন :আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ২০১৫ সালে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মহাজোটের পক্ষে। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে মানুষ তাদের জেতায়নি। বিহার রাজনীতির এই ধাক্কা এবং দুই ভোটের ফল দেশের সাধারণ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী দশ দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আদৌ কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করেন ভোট কুশলী। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন নীতীশ। তাই শুরু করেছেন সলতে পাকানোর কাজ। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে, এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করেন প্রশান্ত কিশোর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা লোন-অ্যাপ (Chinese Loan App) সংক্রান্ত প্রতারণার একটি মামলার তদন্তে নেমে এবার কলকাতার (Kolkata) পরিবহণ ব্যবসায়ীর (Transport Businessman) বাড়িতে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। এবারও সন্ধানকারী সংস্থার নাম এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। 

    এদিন সকাল থেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি (ED)। মূল তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। একটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে, বাকি দুটির একটি মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে। এর মধ্যে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেষোক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি টাকা। এখনও পর্যন্ত তার বাড়িতে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার। ব্যাংক থেকে লোক ডাকা হচ্ছে। প্লাস্টিকের থলিতে মোড়া ৫০০ টাকার অসংখ্য নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলও।

    আরও পড়ুন: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    শনিবার সকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে নিসার খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশিতে নামে ইডি। এই পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকে মোড়ানো ব্যাগে বিপুল টাকা পাওয়া গেছে। গোনার জন্য মেশিন আনা হচ্ছে। বাড়ির আনাচেকানাচে আরও টাকা রয়েছে কিনা তা দেখতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার ঢোকা ও বেরোনোর মুখও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

    কে এই নিসার খান? 

    জানা গিয়েছে, নিসার আগে কলকাতা বন্দরে (Kolkata Port) কন্টেনার কাটাইয়ের ব্যবসা করতেন। এখন পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর  টাকা গচ্ছিত থাকে তাঁর কাছে। সেই টাকা ব্যবসায় খাটাতেন তিনি। 

    কী করে নিসারের সন্ধান পেল তদন্তকারীরা?

    মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে সারা দেশে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে যে তল্লাশি চলছে সেই সূত্রেই কলকাতার আমির খানের যোগাযোগ পেয়েছে ইডি। আমিরের যোগসূত্রে আসে নিসার খানের সন্ধান। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ওখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ নিসারের?

    সূত্রের খবর, ওই টাকার উৎস কী সেই সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। এমনকি, ওই টাকার কোনও বৈধ নথিপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি বলে সূত্রের দাবি। সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এক হেভিওয়েটের সঙ্গে নিসারের ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়েছে ইডি। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সবদিক খতিয়ে দেখছে ইডি। 

  • Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসতি এলাকায় রাস্তায় কুকুরদের (Stray Dogs) যাঁরা খেতে দেন বা যাঁরা পথ-কুকুরদের ভালবাসেন, তাঁরাই পথ-কুকুরদের দায়িত্ব নিক। তাঁদের নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। ওই কুকুর কোনও সাধারণ ব্যক্তিকে কামড়ালে বা আঁচড়ালে তাঁদের চিকিৎসার দায়ভার নিক। এমনই অভিমত শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)। কেরলে (Kerala) কুকুরের কামড়ে এক ১২ বছরের ছেলে মৃত্যু নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই অভিমত ব্যক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট

    আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক

    বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চে কেরলে পথকুকুরের হামলা নিয়ে মামলার পিটিশন চলাকালীন এই কথা উল্লেখ করা হয়। বিচারপতি খান্না জানান, তিনি নিজে পশু প্রেমী, তাই তার মনে হয়, পথ কুকুরদের সমস্যা দূর করতে একটি বিশেষ পদক্ষেপ করা উচিত। তিনি বলেন, যাঁরা রাস্তায় কুকুরদের খেতে দেন তাঁরাই নিজেদের অঞ্চলে কুকুরদের চিহ্নিত করে ভাগ করে নিন। এক এক জন কয়েকটি কুকুরের দায়িত্ব নিক। সেই নির্দিষ্ট কুকুরদের শুধু খেতে দেওয়াই নয় উপযুক্ত টিকাকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে ওই ব্যক্তিকেই। সেই কুকুরের দ্বারা কেউ আহত হলে তাঁর চিকিৎসাও করাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    আদালতের তরফে বলা হয়, দায়িত্ব নিলে পথ-কুকুরদের (Street Dogs) নিয়ে সমস্যা অনেকটা কমানো যাবে। বেঞ্চ জানায়, শুধু পশুদের ভালবাসলেই হবে না, দায়িত্বও নিতে হবে। নইলে সাধারণ মানুষ বা নিরীহ পথচারীরাও বিপদে পড়তে পারেন। এর ফলে অসহায় পশুদের উপরও ক্ষুব্ধ হতে পারেন বাসিন্দারা। তাই যাঁরা পশু ভালবাসেন তাঁরাই উদ্যোগী হন। অনেক সময়ই দেখা যায়, কুকুররা হিংস্র হয়ে ওঠে। খাবারের অভাবে বা কোনও অসুখের কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এর ফলে ছোট বাচ্চা, নিরীহ পথচারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যা কখনওই কাম্য নয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় বোধনের অনুষ্ঠান হয় কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় বোধনের অনুষ্ঠান হয় কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ষষ্ঠী (Durga Shasthi)। এই সময়টা দেবতাদের রাত্রি। তাই তাঁরা ঘুমোন। সেই কারণেই  এই সময়ে দেবীকে জাগ্রত করতে হয়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী সেই উৎসবকে বলে বোধন। যেহেতু এই সময়টা স্বয়ং মহামায়ারও (Goddess Durga) বিশ্রামের সময়, তাই তাঁকে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কারণে একে বলা হয় অকাল বোধন (Akal Bodhon)।

    রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভের জন্য এই সময় দুর্গাপুজো করেছিলেন দশরথ পুত্র রামচন্দ্র স্বয়ং। তিনি পুজো করেছিলেন অকালে। তাই একে অকাল বোধন বলা হয়। রামচন্দ্রের আগে দুর্গাপুজো করার চল ছিল চৈত্র মাসে। যাকে আমরা বাসন্তী পুজো বলেই জানি। এজন্য বাসন্তী পুজোয় দেবীকে জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন নেই। তাই ওই পুজোয় আমন্ত্রণ এবং অধিবাস থাকলেও বোধন থাকে না। কারণ তখন দেবতারা জেগেই থাকেন। রামচন্দ্র যে দুর্গার পুজো করেছিলেন, তিনি ছিলেন মহিষমর্দিনী। সিংহারূঢ়া দেবী দশভুজা ত্রিশূল দিয়ে বধ করছেন মহিষাসুরকে। পরবর্তীকালে সিংহবাহিনী দুর্গার সঙ্গে পুজো শুরু হল লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক ও গণেশের। কারণ এই চার দেবদেবী হলেন চতুবর্গের প্রতীক। চতুবর্গ হল ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ। প্রতিটি মানুষ এই চারটি বর্গই কামনা করেন। তবে এই চতুবর্গ কামনা করেন গৃহীরা, সন্ন্যাসীরা নন।

    আমরা জানি, মা লক্ষ্মী দেন অর্থ। সিদ্ধিদাতা গণেশ দেন ধর্ম। কার্তিক দেন কাম। তাই সন্তান কামনায় এদেশে কার্তিক পুজো এবং কার্তিক ব্রত পালন করেন গৃহী মানুষ। আর সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তিনি দেন মোক্ষ। বিদ্যালাভ হলে জ্ঞান অর্জন হয়। জ্ঞান লাভ হলে বহুতে অভেদ দর্শন হয়। এই অভেদ জ্ঞান লাভ হলে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয়। কারণ শঙ্করাচার্য স্বয়ং বলেছিলেন, ব্রহ্ম সত্য জগন্মিথ্যা, জীব ব্রহ্মৈব না পর। ব্রহ্মই এক মাত্র সত্য, এ জগৎ মিথ্যা। জীবই ব্রহ্ম স্বরূপ। এই জ্ঞান লাভের জন্য সরস্বতী পুজোর প্রয়োজন। সেই কারণেই এখন মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার সঙ্গে এঁদেরও পুজো হয়। তবে এঁদের পুজো হয় সপ্তমীর দিন। ষষ্ঠীতে কেবলই পুজো হয় জগন্মাতার। তিনি যে মহামায়া স্বরূপ।   

     

LinkedIn
Share