Blog

  • Spicejet: “মনে হচ্ছিল আকাশেই উল্টে যাবে বিমান…”, এখনও আতঙ্কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্পাইসজেটের যাত্রীরা

    Spicejet: “মনে হচ্ছিল আকাশেই উল্টে যাবে বিমান…”, এখনও আতঙ্কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্পাইসজেটের যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আছে, অজয় দেবগণ অভিনীত ছবি ‘রানওয়ে ৩৪’ (Runway 34)-এর কথা। যেখানে খুবই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে একটি বিমান। কিন্তু বিমানচালকের কুশলী ক্ষমতায় বিমানটিকে ঠিক মতো অবতরণ করানো যায়। ঠিক এরকমই রবিবার মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে পড়ল স্পাইসজেটের (Spicejet) একটি বিমান। মুম্বই-দুর্গাপুর (Mumbai-Durgapur flight SG-945) দৈনিক বিমানটি দুর্গাপুরের অণ্ডাল (Andal airport) বিমানবন্দরের রানওয়েতে সঠিক ভাবে অবতরণ করার আগে এই দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। ঝড় ও বৃষ্টির জন্য প্রবল ঝাঁকুনি লাগে বিমানে। আহত হন ১৭ জন যাত্রী। ডিজিসিএ-র (DGCA) তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৪ জন যাত্রী এবং তিন জন বিমানকর্মী। স্পাইসজেটের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘অবতরণের পরই ওঁদের চিকিৎসা করানো হয়। আপাতত সকলেই সুস্থ। কয়েক জনের চোট একটু গুরুতর ছিল।’’

    তথ্য বলছে, ঝড়ের সময় এক ধাক্কায় ১২ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে ৮ হাজার মিটার উচ্চতায় নেমে আসে বিমানটি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সওয়া ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ক্রমাগত তিন বার ঝাঁকুনির পর ধীরে ধীরে নীচে নামতে শুরু করে বিমানটি। শেষ পর্যন্ত অণ্ডাল বিমানবন্দরে সাবধানেই অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে।

    এক যাত্রী বলেন, ‘‘বিমানসেবিকা আমাদের বলেছিলেন সিট বেল্ট পরে নিতে। কিন্তু ঝাঁকুনিতে সেই বেল্ট ছিঁড়ে যায়। মাথায় চোট পেয়েছি।’’ আর এক যাত্রী মহম্মদ ইকবাল বলেন, ‘‘মনে হচ্ছিল, বিমানটা এ দিক থেকে ও দিক পর্যন্ত হেলে যাচ্ছে। সিটে বসে থাকা যাচ্ছিল না। উপরের লাগেজ কেবিন থেকে কারও কারও ব্যাগও পড়ল মাথায়।’’ আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছিল আকাশেই বোধ হয় বিমানটা উল্টে যাবে।’’

    ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি হঠাৎ করে নেমে যাওয়ার সময় অভ্যন্তরে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিমানের ভিতরেও যেন ‘ঝড়’ বয়ে যায়। বিমানটিকে ঠিক মতো অবতরণ করানোর চেষ্টায় ছিলেন বিমানচালক। কিন্তু হঠাৎ ঝাঁকুনিতে এলোমেলো হয়ে যায় বিমানের অভ্যন্তর। জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যেতে দেখা যায়। ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। বিমানসেবিকা উপর থেকে অক্সিজেন মাস্ক নামিয়ে নিতে বলেন যাত্রীদের। এক যাত্রীর কথায়, ‘‘অবতরণের সময় তিন বার ঝাঁকুনি হয়। গাড়িতে ঝাঁকুনি হলে যে রকম অনুভূতি হয়, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ছিল ওই ঝাঁকুনি।’’ ডিজিসিএ-র তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।  

     

  • Katra Theme Park: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে কাটরা থিম পার্ক

    Katra Theme Park: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে কাটরা থিম পার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ করে রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে পুরাণ কেন্দ্রিক একটি থিম পার্ক। পর্যটন মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীরের  আরও একটি দিক তুলে ধরবে কাটরা থিম পার্ক এমনটাই দাবি প্রশাসনের। 

    ওই পার্ক তৈরির জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ওই পার্ক তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে এমন সংস্থার খোঁজ চলছে। ডিজনির ধাঁচে ওই পার্ক তৈরি করা হবে। এখানে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি প্রশাসনের। শিক্ষা এবং বিনোদনের মিশেলে তৈরি হবে এই পার্ক।

    পর্যটন শিল্প কাশ্মীরের অর্থনৈতিক ভিত্তি। এখানকার পর্যটন শিল্পের কর্তারাও দাবি করেন, সীমান্ত সমস্যা নানা সংশয় জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও দেশের পর্যটন মানচিত্রে বরাবরই উজ্জ্বল বিন্দু জম্মু-কাশ্মীর। এখানকার কাটরায় একটি প্রাচীন গুহার ভেতরে অবস্থিত প্রাচীন বৈষ্ণোদেবী মন্দির। বহু দূর থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। মনে করা হয় মাতা বৈষ্ণো দেবীর কাছে একবার কোনও জিনিস চাইলে মা সবসময় তাঁর ভক্তদের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করেন। যে ভক্তরা এখানে মন্দির দর্শন করতে আসবেন, তাঁদের কাছে এই থিম পার্ক আরেকটি আকর্ষণ হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পার্ক সেখানকার অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রও হতে পারে। 

  • Yasin Malik: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    Yasin Malik: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ বছরের পুরনো একটি সন্ত্রাসের মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার (plead guilty) করল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী (JKLF) নেতা মহম্মদ ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসের ঘটনায় (2017 Terrorism Case) মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২০বি এবং ১২৪এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (criminal conspiracy) এবং দেশদ্রোহিতার (treason) মামলা রুজু হয় মালিকের বিরুদ্ধে।

    তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোনও আইনজীবী ছিল না মালিকের। এমনকী নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেনি মালিক। দিল্লির একটি আদালতের সামনে তিনি সন্ত্রাসবাদী (terrorism) কার্যকলাপে যুক্ত থাকা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে তাঁর যোগসাজশের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। আদালতে মালিক জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে সে আদালতে লড়াই করবে না।

    ইয়াসিন ছাড়াও কাশ্মীরের আরও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা যেমন ফারুক আহমেদ দার, শাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নইম খান, নাভাল কিশোর কাপুর, বশির আহমেদ ভাটদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে এই আদালত। গত মার্চ মাসে চার্জগঠনের সময় আদালত প্রাথমিক তদন্তে জানায় শাব্বির শাহ, ইয়াসিন মালিক, রশিদ ইঞ্জিনিয়ার, আলতাফ ফান্টুশ-সহ হুরিয়ত নেতৃত্ব সরাসরি সন্ত্রাস কার্যকলাপে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল তারা। উপত্যকায় বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে এরা। যার ফলে হিংসা-অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে। 

    আদালত জানিয়েছে, মালিক গোটা বিশ্বে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত। সেই টাকা দিয়ে ভূস্বর্গে হিংসা-হানাহানি, বিক্ষোভ এবং বেআইনি কার্যকলাপ করা হত। সেই অপরাধমূলক কার্যকলাপকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম দিয়েছিল ইয়াসিন মালিক, এমনটাই দাবি আদালতের। বিশেষ আদালতের বিচারক প্রবীন সিং মামলাটি আবার ১৯ মে শুনবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সাজা ঘোষণা করা হতে পারে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাবাস। 

     

     

  • Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympic Games) যাতে ভারতে (India) আসে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। মূলত আমেদাবাদ (Ahmedabad) কেই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসের জন্য। ভারতের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। শুধুমাত্র সমর্থনই করেনি, অলিম্পিক ডিং ও গেমস আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তারা জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (International Olympic Committee) ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতকে দেয়, তাহলে তা আয়োজনে রাশিয়া বড় সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) ফলে রাশিয়াকে বহু দেশ বয়কট করেছে। খেলার জগতেও রাশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত। ফলস্বরূপ,  রাশিয়া ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। বুধবার ভারত সফরে এসে রুশ ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ মাতিস্তিন (Oleg Matytsin) বলেছেন, “ভারতকে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে সহায়তা করতে পারলে রুশ বিশেষজ্ঞরা খুব খুশি হবেন।“  তিনি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এর সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা ( Narinder Batra) ২০২১ সালের থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনিই প্রস্তাবে জানিয়েছেন, আমেদাবাদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। গুজরাটের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এখনও পর্যন্ত কিছুই ঠিক না হলেও গুজরাটের অ্যাডভোকেট জেনারেল কামাল ত্রিবেদী (Kamal Trivedi) হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা এখন থেকেই ২০৩৬ অলিম্পিক্সের আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে এবং অলিম্পিক কমিটি ২০২৫ সালে সাইট পরিদর্শন করতে আসবে। 

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    ভারতে এসে নারিন্দার বাত্রার সঙ্গে দেখা করে ওলেগ বলেন, “যদি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নে আরও একটি বড় দিক উঠে আসবে। আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য ও নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত, এবং আমরা অনেক বার এমনটা করেছি। ফলে যদি ভারতে অলিম্পিক্স হওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, তাহলে রুশ বিশেষজ্ঞরা ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি হবে।“

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যেই অলিম্পিক্স-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। এমন সময়েই নিজেদের ক্রীড়াক্ষেত্রকে ঠিক রাখতেই ভারতকে খেলার জগতে সাহায্য করতে রাশিয়া আগ্রহী হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

  • Lunar eclipse: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের আগের রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল চাঁদ

    Lunar eclipse: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের আগের রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল চাঁদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : বছরের ‌প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে  চলতি মাসের ১৬ তারিখ। ২০২২ সালে দু’‌টি চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে এবং উভয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে। কিছুদিন আগেই ৩০ এপ্রিল গোটা বিশ্ব আংশিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থেকেছে। আর তার ১৫ দিন পরই ১৬ মে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন হবে চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণ সবসময় পূর্ণিমাতে হয়।

    ১৬ মে চন্দ্রগ্রহণটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকার মতো দেশগুলি থেকে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হবে। এদিন চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা ২ মিনিট থেকে এবং তা শেষ হবে দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে।  যদিও এই গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে না। 

    পূর্ণিমার সময়, কখনও কখনও পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর আংশিক বা সম্পূর্ণ পড়ে, যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। গ্রহণের সময় চাঁদের রং মর্চে পড়া লোহার মতো লাল হয়ে যায়। যাকে মানুষ ব্লাড মুন (Blood Moon) বলে। সাধারণত, যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর চার দিক থেকে চলে গিয়ে চাঁদের ওপর পড়ে তখন চাঁদ লাল দেখায়। পৃথিবীর ছায়ার কারণে যখন সূর্যের আলো চাঁদকে লাল রঙ দেয়, তখন তাকে ব্লাড মুন বলে। আগামী ১৫ মে গ্রহণের আগের রাতে আকাশে চাঁদ থাকবে লাল। বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে ৮ নভেম্বর, ২০২২।

  • Mobile Price: সুখবর! এবছরের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম

    Mobile Price: সুখবর! এবছরের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  যাদের মোবাইল ফোনের অনেক শখ বা যারা এর মধ্যেই নতুন মোবাইল ফোন কিনতে চলেছেন তাঁদের জন্য সুখবর। কারণ এবারের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম। আর সবচেয়ে খুশীর বিষয় হল মোবাইলের দাম অনলাইন ও অফলাইন, উভয় জায়গা তেই কমতে চলেছে, বাজারের বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন। কারণ, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং তার জেরে স্মার্টফোনের চাহিদা কমে গিয়েছে যার জন্যে প্রতিটি ফোন তৈরি করার কোম্পানিরই ফোনের স্টক বেড়ে গিয়েছে। তাই সেই স্টক ফাঁকা করার জন্যই মোবাইল ফোনের দাম কমতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ২০২২-এর উৎসবের মরশুমে ভারতীয় বাজারে মোবাইল ফোনের জন্য ধামাকাদার ছাড় আসতে চলেছে। এমনকি অনলাইনে ডিসকাউন্টের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হবে।

    একটি তথ্যে জানা যায়, ভারতের দ্বিতীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা Samsung-এরই প্রায় ৫০ বিলিয়ন স্মার্টফোন স্টকে  রয়েছে। যদিও সংস্থার তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। চলতি বছরের প্রথমের দিকে মুদ্রাস্ফীতি-সহ আর্থিক অবনতির কারণে মোবাইল ফোনের তেমন বিক্রি হয়নি । এবার সেই ঘাটতিই পূরণের চেষ্টা করে চলেছে মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।  ডিসকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে ইএমআই-এ স্মার্চফোন কেনার সুযোগ করেছে কোম্পানীগুলো। 

    আরও পড়ুন: সাধের ফোনটিকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? এই রইল উপায়

    এক বিশেষজ্ঞ জানান, চাইনিজ ফোনেরও তেমন বিক্রি হয়নি এখনও পর্যন্ত। ফলে তারও স্টক আছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, প্রায় ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন হ্যান্ডসেট অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে চাইনিজ ফোনের একটা বড় স্টক ভারতের বাজারে আসতে পারে। তবে এটাও ঠিক, ভারতীয় বাজারে অবিক্রিত স্মার্টফোনের পুরোটাই বিক্রি হবে না। যদিও আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে তেমন বিক্রি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে যে,  বিভিন্ন ডিসকাউন্টের জন্য এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোনের চাহিদা ও বিক্রি  দুইই বৃদ্ধি  পেতে পারে।

  • Coronavirus: হাসপাতালই দায়ী! রোগী-ভর্তির সঠিক ব্যাখ্যা নেই, তাই মিলছে না করোনা-বিমার টাকা

    Coronavirus: হাসপাতালই দায়ী! রোগী-ভর্তির সঠিক ব্যাখ্যা নেই, তাই মিলছে না করোনা-বিমার টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুটো বছর ধরে চলছে করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে (Covid19) আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ফ্লোরিনা ভ্যারিয়েন্টের হানায় সাঁড়াশি চাপের মতো অবস্থা গিয়েছে মানুষের। ইতিমধ্যেই করোনার চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ বিমা (Covid Health Insurance) করিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বিমা করিয়ে রেখেও মেলেনি টাকা। অনেক ক্ষেত্রেই করোনা বিমাতে টাকা পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে দায়ী করছে বিমা সংস্থাগুলি।

    বিমা সংস্থাগুলির তরফে বলা হয়েছে, অনেককেই হাসপাতালে দেখে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া যেত, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বহু ব্যক্তিকে হাসপাতালে কেন ভর্তি করা হয়েছে বা তাঁদের কী বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই অনেকক্ষেত্রেই বিমার টাকা পাননি রোগী বা তাঁর পরিবার। সহজে বিমার টাকা পেতে হলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভালভাবে রোগীর বিষয়ে জানাতে হয় নাহলেই সমস্যা দেখা দেয়,বলে দাবি বিমা সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিমার টাকা মেলেনি কোভিড টিকাকরণের ক্ষেত্রেও। কোভিড -টিকা না নেওয়া থাকলে বা যথাযোগ্য শর্ত না মানা হলে বিমার টাকা দেওয়া যায়নি। হোটেলে বা কোনও বিশেষ কোরেন্টাইন সেন্টারে থাকলে বিমা সংস্থা সে টাকাও দিতে পারেনি। কারণ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনও জায়গার টাকা মেটানো বিমা-বিধির আওতায় নয়।

    প্রসঙ্গত, দেশে আবারও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। যদিও শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪০ জন। শুক্রবারের থেকে ৮.১ শতাংশ কমল সংক্রমণ। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৭৭৯। দৈনিক সুস্থতার হার ৪.৩৯ শতাংশ। এক দিনে ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৫৮ শতাংশ।

     

  • LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়াকে (Malaysia) লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft) বা এলসিএ (LCA) বিক্রির বরাতের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি (New Delhi) পিছনে ফেলে দিয়েছে চিন (China) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।

    জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যবহৃত রুশ সুখোই এসইউ ৩০ (Sukhoi Su-30) যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসপত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতের এই বরাতের মধ্যে। ভারত তার তেজস এলসিএ-র (Tejas LCA) জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে মালয়েশিয়া সরকারকে। জানিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে এটি মালয়েশিয়ার এসইউ ৩০ জেট বিমানের সমতুল্য হতে পারে তেজস।

    আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চুক্তির জন্য অন্য দুই প্রতিযোগী দেশ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ভারত। কারণ তাদের সুখোই ফাইটারগুলিতে কাজ করতে রাশিয়ান নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার ১৮টি এসইউ ৩০ এমকেএম ফাইটার রয়েছে। এগুলি মূলত এমকেআই সংস্করণের মতো। যা ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্যাকেজ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের সরকারের আলোচনার শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    আরও পড়ুন : “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে রাশিয়ার (Russia) ওপর জারি হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে প্রভাবিত হয়েছে মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী ১৮টি নতুন লাইট ফাইটার জেটের সন্ধান করছে। তাই ভারতীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তার স্বল্প অধিগ্রহণ খরচ এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত রেটিং দিয়ে চিন ও কোরিয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।

    সাউথব্লক একটি আধুনিক এইএসএ রাডার সহ তেজস এমকেওয়ানএ (Tejas Mark 1A) সংস্করণটির প্রস্তাবও দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বর্ষীয়ান কয়েকজন সদস্যের একটি দল ভারত সফর করে গিয়েছে। অর্ডার ধরতে ভারত মালয়েশিয়ায় এলসিএ বহরের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভারতীয় এলসিএ-র দাম ইউনিট প্রতি ৪২ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

  • P Chidambaram High Court: রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে এসে হাইকোর্টে বিক্ষোভের মুখে চিদম্বরম 

    P Chidambaram High Court: রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে এসে হাইকোর্টে বিক্ষোভের মুখে চিদম্বরম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। এমনকি চারবারের এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এক আইনজীবী ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দালাল” বলেও কটাক্ষ করেন। আদালত চত্বরে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান  কংগ্রেসি আইনজীবীরা। ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থারও অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকারের তরফে মেট্রো ডেয়ারির (Metro Dairy) শেয়ার বিক্রির মামলা লড়তে কলকাতায় আসেন পি চিদম্বরম (P Chidambaram News)। মামলাটি দায়ের করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। কংগ্রেসি আইনজীবীদের অভিযোগ, মেট্রো ডেয়ারিতে (Metro dairy) কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মানুষের টাকা নিয়ে কেন তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন চিদম্বরম? বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে হাইকোর্ট চত্বরে।      

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন কোর্ট চত্বরে? মেট্রো ডেয়ারির মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সওয়াল করায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস আইনজীবী সেলের সদস্যরা। কোর্ট চত্বরের বাইরেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীরা। অধীরের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি চিদম্বরমকে ‘মমতার দালাল’বলে কটাক্ষ করেন। একইসঙ্গে এক মহিলা আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রীর 
    কালো কোটটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সুমিত্রা নিয়োগী নামে ওই মহিলা আইনজীবী প্রথমে চিদম্বরমের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ। সেই থেকে আদালত চত্বরে সমস্যার সূত্রপাত। 

    উল্লেখ্য, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির মামলায় এর আগে CBI-এর তরফে জানানো হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ থাকলে তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা লড়তে প্রস্তুত। ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি করে নামমাত্র দামে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরের সংস্থার কাছে। মেট্রো ডেয়ারির প্রায় ৪৭ শতাংশ শেয়ার বেআইনিভাবে বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। আর এদিকে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেসের আইনজীবীরা। আদালত চত্বরেই তাঁর উপর চড়াও হয় একদল কংগ্রেসি আইনজীবী। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বর্ষীয়ান আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই ধরণের আচরণে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল।   

  • Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রুশ সেনারা প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন, অল্পের জন্য বেঁচে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করে ইয়ারমাক জানান, রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন।  

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান ঘোষণার পরের দিন জেলেনস্কি আর তাঁর স্ত্রী  ওলেনা জেলেনস্কার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে জানায় যে বোমাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি বুঝতে পারেন যে তিনিই হামলার লক্ষ্য এবং প্রেসিডেন্টের অফিস আর  নিরাপদ নয়। জেলেনস্কি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল যে একটি রাশিয়ান দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা বা বন্দি করার জন্য কিয়েভে নামছে।

    কীভাবে প্রেসিডেন্টের গার্ড কম্পাউন্ডটি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। তিনি বলেন, “সেই রাতের আগে, আমরা কেবল সিনেমাতেই এসব দেখেছি।” পিছনের প্রবেশদ্বারের একটি গেট পুলিশ ব্যারিকেড এবং প্লাইউড বোর্ডের স্তূপ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম রাতে, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কম্পাউন্ডের ভেতরের রক্ষীরা জেলেনস্কি এবং তাঁর সহযোগীদের জন্য বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আসেন। ওই রাতে রাশিয়ান সেনারা দুইবার কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময়  জেলেনস্কি এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভেতরেই ছিলেন বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। 

LinkedIn
Share