Blog

  • I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্ব-রাজনীতি। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণও। তাই তৈরি হচ্ছে নয়া গোষ্ঠী। এমনই একটি গোষ্ঠীর চার সদস্য রাষ্ট্র হল ভারত (India), আমেরিকা (US), ইসরায়েল (Israel) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)। নয়া এই গোষ্ঠীর নাম আই২ইউ২ (I2U2)। এই গোষ্ঠীর প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক হতে চলেছে জুলাই মাসে। যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনাই প্রাধান্য পাবে ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তা আরও গতি পেয়েছে। এই আবহেই গড়ে উঠেছে নয়া জোট আই২ইউ২। আই২ বলতে ইন্ডিয়া ও ইসরায়েলকে বোঝাচ্ছে। আর ইউ২ বলতে বোঝানো হচ্ছে ইউএই এবং ইউএস-কে।

    বৈঠকের কথা স্বীকার করছে হোয়াইট হাউস-ও। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনের।

    আরও পড়ুন : প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত

    গত বছর অক্টোবর মাসে ভারত, আমেরিকা, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তখন এই চার দেশের জোটকে বলা হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন। তবে এবার আই২ইউ২ নামের এই নয়া গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই।  

    এদিকে, ১৩ থেকে তিন দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার কথা। এই সময় ইসরায়েল  ছাড়াও বাইডেন যাবেন সৌদি আরব সফরে। এই সময়ই হতে পারে আই২ইউ২-র ভার্চুয়াল সম্মেলন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার জেরে বিশ্বজুড়ে দর বেড়েছে জ্বালানির। এমতাবস্থায় সৌদি আরব সফরে গিয়ে বাইডেন সে দেশকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলতে পারেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।   

     

  • Amit Shah on Agniveer: আধা-সামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে নিয়োগে অগ্রাধিকার ‘অগ্নিবীর’দের

    Amit Shah on Agniveer: আধা-সামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে নিয়োগে অগ্রাধিকার ‘অগ্নিবীর’দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ‘ (Agnipath) প্রকল্পের আওতায় দেশের যুব সম্প্রদায়কে চার বছরের জন্য তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence)। প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের পরে তাঁরা ‘অগ্নিবীর’ (Agniveer) হিসাবে পরিচিত হবেন। চার বছরের জন্য এই পদে থাকবেন তাঁরা। চার বছর পর অন্য চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন অগ্নিবীররা। আধা-সামরিক বাহিনী (Central para military forces) ও আসাম রাইফেলসে (Assam Rifles) নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ‘অগ্নিবীর’-রা। তাঁদের দেওয়া হবে বাড়তি সুবিধা, বুধবার ট্যুইট বার্তায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যুব প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। সেই প্রেক্ষিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ করা অগ্নিবীরদের সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (CAPF) এবং আসাম রাইফেলসে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

    আরও পড়ুন: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মঙ্গলবার ভারতের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়া ‘অগ্নিপথ’ মডেলের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande, বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী (ACM VR Chowdhury) এবং নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar)। সেই ‘অগ্নিপথ’ মডেলের আওতায় দেশের যুব সম্প্রদায়কে চার বছরের জন্য তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের পরে তাঁরা ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে পরিচিত হবেন। চার বছর চাকরির পর একাংশকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তাঁদের দেওয়া হবে মোটা অঙ্কের ‘প্যাকেজ’।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে সেনাদের গড় বয়স ৩২ বছর ৷ সরকারের লক্ষ্য আগামী ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে এই গড় বয়স ২৬ বছরে নামিয়ে আনা ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) সূত্রে খবর, অগ্নিবীরদের একাংশকে পরিবহণ মন্ত্রক, শুল্ক দফতরের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থায় নিয়োগ করার বন্দোবস্ত করবে সরকার। অবসরের পর ব্যবসা করতে চাইলে অগ্নিবীররা পাবেন ব্যাংক ঋণের বিশেষ সুবিধা। কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও অগ্নিবীর আহত বা নিহত হলে তিনি বা তাঁর পরিবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এক জন সদস্যের সমান ক্ষতিপূরণ, ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পাবেন, বিনামূল্যে ৪৮ লক্ষ টাকার জীবনবিমাও।

    দু’বছর ধরে দেশে সেনা নিয়োগ বন্ধ। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) দেড় লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি (Cabinet Committee on Security) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরে ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। তাঁদের জন্য ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের আওতায় সেনার নিয়ন্ত্রণে তৈরি হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি বাহিনী। নতুন বাহিনীর উর্দি হবে ভারতীয় সেনার ধাঁচেই। তবে থাকবে চিহ্নিতকরণের জন্য পৃথক ব্যাজ ও রঙের ‘ইনসিগনিয়া’। তবে এ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ল করোনায় (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ। ৯ হাজারের গণ্ডি পেরনো আর পলকের অপেক্ষা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৮২২ জন। গতকাল সেই সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের কিছুটা বেশি। একদিনে কিছুটা কমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৩,৬৩৭। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়েছে ২ শতংশ। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। 

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    সংক্রমণ সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ইতিমধ্যেই চার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তালিকায় মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং দিল্লি। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। মুম্বাইয়ে বেশ কয়েকজনের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। মুম্বাইয়ের বাইরেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫৬ জন। মারা গিয়েছেন ৪ জন। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮০০০।       

    মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি করোনা দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কেরল এবং কর্নাটকে। এদিকে নোরোভাইরাসের (Norovirus) সংক্রমণও দেখা দিয়েছে কেরলে। দক্ষিণী এই রাজ্যকে সব রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কর্নাটক সরকারকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরীক্ষা এবং নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য নতুন করে করোনা বিধিতে (Covid guidelines) কড়াকড়ি করেছে। মাস্ক পরা নিয়েও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ফ্লাইটে। করোনার টিকাকরণেও (Corona vaccination) জোর দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে বুস্টার ডোজের (Booster dose) টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। জুন মাসেই করোনার চতুর্থ ঢেউ (Fourth wave) আছড়ে পড়তে পারে, এমনটা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন গবেষকরা। দেশের দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। 

  • What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ভারতের ঐতিহ্য। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন জটিল এবং দুরারোগ্য অসুখেও আয়ুর্বেদ কাজ করে। ভারতে এসে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে এবার থেকে বিদেশিরা বিশেষ সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন ভিসা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই ভারত চালু করতে চলেছে আয়ুষ ভিসা। সম্প্রতি গান্ধীনগরে তিন দিনের জন্য চলা গ্লোবাল আয়ুষ ইনভেস্টমেন্ট এবং ইনোভেসন সামিট (Global AYUSH Investment and Innovation Summit)-এর উদ্বোধন করতে এসে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,”নতুন এই ভিসার বিষয়ে এগোচ্ছে ভারত।” ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য এটি একটি অভিনব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    AYUSH কাকে বলা হয়?
    ভারতের প্রাচীন পাঁচটি চিকিৎসা পদ্ধতিকে একসঙ্গে আয়ুষ বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ,যোগাসন, নেচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি।

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এই আয়ুষ নিয়ে দেশের তো বটেই বিদেশের মানুষের মধ্যেও আকর্ষণও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই বিদ্যাচর্চার জন্য এবং এগুলির সাহায্য নিতে এখন বহু মানুষ ভারতে আসছেন। আর সেই কারণেই এই ভিসার কথা ভাবা হয়েছে সরকারের তরফে। কোভিড-কালে এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান মোদী। এই সময়ে ‘আয়ুষের কাড়হা’ এবং অন্যান্য অনুরূপ পণ্যগুলি মানুষকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। দেশ থেকে হলুদ রপ্তানিও করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক বছর বহু মানুষ কেরলে যান এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে। এগুলি ভারতের নিজস্ব বিদ্যা। এগুলিকে ঠিক করে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা গেলে দেশের উপকার হবে, সুনাম বাড়বে, বিদ্যাগুলি বহু মানুষের কাজে লাগবে এবং এগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে চর্চা বাড়বে। এদিন তাঁর ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, যে আয়ুষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সীমাহীন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আয়ুষ ওষুধ, পুষ্টিপরিপূরক এবং প্রসাধনী উৎপাদনে একটি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। এবার আমরা একটি বিশেষ আয়ুষ হলমার্ক তৈরি করার পথে রয়েছি। এই হলমার্কটি ভারতে তৈরি সর্বোচ্চ মানের আয়ুষ পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।’ঔষধি গাছের চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের সহজেই বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবিধা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদী। এর জন্য, সরকার আয়ুষ ই-মার্কেটপ্লেসের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।

  • India US Relation: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    India US Relation: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে (Pentagon) কোনও বিশেষ এককর্টের (Escort) সাহায্য ছাড়াই এবার প্রবেশ করতে পারবে ভারত (India)। দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা বিশ্বাস ও সহযোগিতার কারণেই এই সম্মানজনক অধিকার দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। অবশ্য কেবল ভারতের ডিফেন্স অ্যাটাশেই (Defence Attache) আমেরিকার (America) দেওয়া এই বিশেষ অধিকার ভোগ করতে পারবেন।

    স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বর্ষে দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করে ভারত। ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে পালিত হয় ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। তার পরে পরেই আমেরিকার কাছে ভারত পেল মার্কিন সামরিক শক্তির আঁতুড়ঘর পেন্টাগনে আন এসকর্টেড প্রবেশাধিকার। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানান মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ এক আধিকারিক ফ্র্যাঙ্ক কেন্ডিল। কেন্ডিল মার্কিন বায়ুসেনার সেক্রেটারি। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন :আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    পেন্টাগন হল মার্কিন সেনার হেড কোয়ার্টার। বছরভর চব্বিশ ঘণ্টাই এলাকাটি দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া থাকে। উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অধিকার না পেলে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না কোনও মার্কিন নাগরিকও। সেখানেই এবার থেকে এই অধিকার পেতে চলেছেন ভারতের ডিফেন্স অ্যাটাশে। কেন্ডিল বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আন এসকর্টেডভাবে পেন্টাগনে প্রবেশাধিকার কোনও বড় ঘটনা নয়, তাহলে জেনে নিন আমিই আন-এসকর্টেড হয়ে পেন্টাগনে প্রবেশ করতে পারি না। তিনি বলেন, ভারত এমন একটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমরা আরও যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে পারি। অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতের সঙ্গে আমরা এটা বারংবার করতে পারি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মজবুত। একে আরও শক্তপোক্ত করতে আগ্রহী আমরা। তিনি বলেন, আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাতে এই অঞ্চল তো বটেই, গোটা বিশ্বেই আমরা একটি সুসংহত শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারি।

    আরও পড়ুন : ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

     

  • Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতা হতে পারে, এই অশঙ্কায় সক্রিয় হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) পুলিশ। পাক সীমান্ত এলাকায় চলছে একাধিক জায়গায় জঙ্গি-বিরোধী অভিযান। সেই অভিযান চলার সময়, অস্ত্রবোঝাই একটি পাকিস্তানি ড্রোনকে (Pak Drone) গুলি করে নামাল নিরাপত্তা বাহিনী।

    কাশ্মীরের (Kashmir) হীরানগর সেক্টরের কাঠুয়ার তাল্লি হারিয়া চক এলাকায় উড়ে আসে ড্রোনটি। দেখামাত্রই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। সেটি ভেঙে পড়তেই ড্রোনটির পে-লোড অর্থাৎ তাতে কী কী বহন করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডকে ডাকা হয়। তাঁরাই ভেঙে পড়া ড্রোন থেকে সাতটি ম্যাগনেটিক বোমা (Magnetic bomb) এবং সাতটি আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (UBGL) উদ্ধার করেন। 

    অমরনাথ যাত্রার আগে সীমান্তে তল্লাশি বৃদ্ধি করেছে পুলিশ ও সেনা। তার জেরেই ওই ড্রেনের সন্ধান মিলল। এমনটাই মনে করছে জেলা প্রশাসন। জম্মু এডিজি জানিয়েছেন, গুলি করার পর ড্রোনটি এসে পড়ে সীমান্তের তাল্লা হারিয়া চক এলাকায়। কাঠুয়ায় এসএসপি আর সি কোতওয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, রুটিন তল্লাশিতে নেমেছিল রাজাবর পুলিস। তখনই ওই ড্রোনের দেখা মেলে। 

    গোটা ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের প্রবল আশঙ্কা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতার ছক কষেই বিস্ফোরক আসছিল সীমান্তের ওপার থেকে। আদতে কোন ঠিকানায় সেগুলি আসছিল, তা খতিয়ে দেখতে কাঠুয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনীও।

    অন্য দিকে পুলওয়ামায় অভিযান চলার সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা স্থানীয় জঙ্গি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ দু’টি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। ৪৩ দিনের এই যাত্রায় এবার দু’টি রুটের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। পহেলগামের (Pahalgam) চিরাচরিত ৪৮ কিমি রুটের পাশাপাশি গান্দেরবাল (Ganderbal) এলাকার ১৪ কিমির রুট দিয়েও পৌঁছনো যাবে অমরনাথ মন্দিরে। দু’টি রুটেই আগাম কড়া নজরদারি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রা শুরুর মাসখানেক আগে কাঠুয়ার ড্রোন-কাণ্ড চিন্তা বাড়াল প্রশাসনের।

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে শান্তি বজায় রাখতে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। তার পরেই আঁটসাঁট করা হয়েছে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    এদিন মালিককে যখন সাজা দেওয়া হচ্ছিল, তখনই উপত্যকায় বৈঠকে বসেন জম্মু-কাশ্মীর (jammu  kashmir) প্রশাসনের শীর্ষকতার্রা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং সেনাবাহিনীর (Indian Army) কর্তারা।

    উপত্যকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলার সমস্যা পর্যালোচনা করতেই ওই বৈঠক হয়। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। মালিকের সাজার আঁচে যাতে উপত্যকায় অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য কাশ্মীরের একাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    এদিন শ্রীনগরের (srinagar) একটি বড় অংশের ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন‍্‍ধ পালন করেন। তবে এর বাইরে গোটা উপত্যকা মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই ছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানীর ভিতরে ও বাইরে এদিন যথারীতি চলেছে সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন।

    মালিকের সাজা ঘোষণার সময় তার পৈত্রিক ভিটে মাইসুমা এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন। আজাদির পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের একটি দলের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা যায় তাদের। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এই ঘটনায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মাইসুমা ও তার আশপাশ এলাকায় লোকজনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য পুলিশ ও সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    এদিকে, মালিকের সাজা ঘোষণায় জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (Gupkar) এবং জাতীয় বাম দলগুলির সহযোগীদের মতে, মালিককে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দুর্ভাগ্যজনক। শান্তি উদ্যোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশনের (PAGD) প্রধান মুখপাত্র এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারগামি বলেন, এনআইএ আদালত রায় দিয়েছে, কিন্তু ন্যায়বিচার করেনি। বিজেপি এবং কর্পোরেট মিডিয়া যে জয়জয়কার প্রদর্শন করছে, তার উল্টোটা প্রমাণিত হতে বাধ্য।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিনকে আটকে কাশ্মীরের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না…ট্যুইট আফ্রিদির

    মালিকের সাজার নিন্দা করেছে মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের (Hurriyat conference) জোটও। তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (ইয়াসিন মালিকের দল) ১৯৯৪ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

    অবশ্য এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে না, বিশেষ করে মালিকের দ্বারা নির্যাতিতদের। দলের নেতা নির্মল সিং এবং কাবিন্দর গুপ্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, জেকেএলএফের (JKLF) নেতাকর্মীরা যাঁদের আত্মীয়দের খুন করেছিল, তাঁরা আশা করেছিলেন যে আদলত মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেবে।  

     

  • Boris Johnson spins Charkha: ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে গান্ধীর চরকায় সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

    Boris Johnson spins Charkha: ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে গান্ধীর চরকায় সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পট পরিবর্তন।  তখন সময়টা ছিল ১৯৩০। ভারত তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পরাধীন রাষ্ট্র। মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশী আন্দোলনে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল এই চরকা। পরে, যা স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। গান্ধীর চরকা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ব্রিটিশদের। অচিরেই, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল এই দেশ।

    এখন ২০২২। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করছে মহা ধুমধামের সঙ্গে। আর ভারতে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদেশে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আগমন নতুন কিছু নয়। তবে, জনসনের এই সফর, অনেক দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য বটে।  কারণ, এই প্রথম কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে পা রাখলেন। তার চেয়েও বড় কথা, যে চরকা একদিন ব্রিটিশদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল, যে চরকা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত গড়ে দিয়েছিল, এখন সেই সবরমতী আশ্রমে সেই চরকার সামনে পা মুড়ে বসে সুতো কাটলেন এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ছবিও তুললেন। 

    স্বাধীনতা উত্তর ভারতের এই ছবি, যেন ১৩৩ কোটি দেশবাসীর কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। যে ছোটখাটো মানুষটির অহিংস আন্দোলন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে, আজ তাঁরই ঘরে পা দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আজ থাকলে হয়তো খুব খুশি হতেন মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী। 

    বৃহস্পতিবার, আহমেদাবাদ হয়ে দু’দিনের ভারত সফর শুরু করার পরে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রথম গন্তব্যই ছিল মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এবং আশ্রমের ট্রাস্টি কার্তিকেয় সারাভাই সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রায় আধ ঘণ্টা আশ্রমে ছিলেন জনসন। গান্ধী যেখানে থাকতেন, সেই ‘হৃদয় কুঞ্জ’, গান্ধীর বিদেশিনি শিষ্যা মীরাবেন (মেডেলিন স্লেড)-এর বাসস্থান ‘মীরা কুটির’ ঘুরে দেখেন তিনি। গান্ধীর মূর্তিতে মালা দেন। চলে যাওয়ার ঠিক আগে বরিস বসে পড়েন চরকায়।  পাশে বসে এক মহিলা তাঁকে শিখিয়ে দেন, কী ভাবে চালাতে হয় চরকা। 

    ১৯১৭ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত গুজরাতের এই সবরমতী আশ্রমই ছিল মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর ঠিকানা। এখান থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিলেন গান্ধী। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গান্ধীকে ‘হাফ ন্যাকেড ফকির’ বলে সম্মোধন করেছিলেন। আজ তাঁর উত্তরসূরীর কথায় গাঁধী ছিলেন ‘এক অসামান্য মানুষ’। এদিন সবরমতী আশ্রম ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখানকার ভিজিটার্স বুকে জনসন লেখেন, ‘‘এই অসামান্য মানুষটি কীভাবে দুনিয়ায় বদল আনতে সত্য ও অহিংসার সহজ নীতিকে কাজে লাগিয়েছিলেন, এখানে এসে তা বুঝতে পেরে সমৃদ্ধ হলাম।’’

    এদিন তাঁর হাতে সবরমতী আশ্রম প্রিজ়ার্ভেশন অ্যান্ড মেমোরিয়াল ট্রাস্টের তরফে দু’টি বই তুলে দেন বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের পুত্র কার্তিকেয়। আর দেওয়া হয় একটি চরকার প্রতিরূপ। আশ্রমের মুখপাত্র বিরাট কোঠারি বলেন, ‘‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া দু’টি বইয়ের একটি হল, ‘গাইড টু লন্ডন’। এটি গান্ধীর লেখা প্রথম বই, যা কখনও প্রকাশিত হয়নি। লন্ডনে কী ভাবে থাকতে হয়, তা নিয়েই গান্ধী এখানে নিজের মতামত লিখেছিলেন। তাঁর রচনাবলি থেকে লেখাটি সংগ্রহ করে সেটিকে আলাদা বইয়ের চেহারা দিয়েছি আমরা।’’ অন্য বইটি মীরাবেনের আত্মজীবনী— ‘দ্য স্পিরিট’স পিলগ্রিমেজ’। 

    ভারতে পা দিয়েই জনসন টুইট করেছিলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে এসে দারুণ লাগছে। একসঙ্গে আমাদের দুই দেশ বিরাট সম্ভাবনা ছুঁতে পারে। আমাদের অংশীদারিত্বেই আসবে চাকরি, বৃদ্ধি, সুযোগ। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও মজবুত করতে চাই।’’ বিমানবন্দরে জনসনকে স্বাগত জানান গুজরাতের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, মুখ্যমন্ত্রী পটেল-সহ অন্য কয়েক জন মন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তারা। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরে জনসনের ঠিকানা পাঁচতারা হোটেলটি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার ধারে গোটা চল্লিশেক মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যখন যাচ্ছে, তখন সেই মঞ্চগুলিতে আঞ্চলিক নাচগান করছিলেন শিল্পীরা। বিমানবন্দর থেকে দফনালা, রিভারফ্রন্ট হয়ে আশ্রম রোডের হোটেলে পৌঁছন জনসন। একটু পরেই যান গান্ধী আশ্রমে। সেখান থেকে আহমেদাবাদ-লাগোয়া শান্তিগ্রামে আদানি গোষ্ঠীর সদর দফতরে এসে বৈঠকে বসেন শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে।

    গুজরাতি শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক বা সবরমতী আশ্রমে তাঁর সফর ব্রিটেনে বসবাসকারী গুজরাতিদের মন গলাতে সাহায্য করবে, বলে মনে করে কুটনৈতিক মহল। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ৫০ শতাংশ গুজরাতি বংশোদ্ভূত। জনসনকে ক্ষমতায় আনার জন্য পরোক্ষভাবে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়েরা সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হয়।

     

  • TMC Agitation at Calcutta HC: বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী হাইকোর্ট, এবার তৃণমূলের রোষে খোদ বিচারপতি

    TMC Agitation at Calcutta HC: বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী হাইকোর্ট, এবার তৃণমূলের রোষে খোদ বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বর্তমান শাসক শিবিরের রোষের মুখে বারবার পড়তে হয়েছে বিরোধী দলগুলিকে। এটা নতুন কিছু নয়। বিরোধিতা করায় অনেক শিল্পী থেকে বুদ্ধিজীবীকেও হুমকি-হুঁশিয়ারি সহ্য করতে হয়েছে। এমনকী, অপ্রিয় সত্য খবর লেখার জন্য রাজ্য সরকারের শ্যেনদৃষ্টির সামনা-সামনি হতে হয়েছে ও হতে হচ্ছে সংবাদমাধ্যমকেও। 

    কিন্তু, ১৩ এপ্রিল এই সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল তৃণমূলের ‘দাদাগিরি’।  এবার রাজ্যের শাসক শিবিরের রক্তচক্ষুর সামনে খোদ বিচারপতি! বলা ভাল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা ঘিরে বেনজির দৃষ্টান্তের সাক্ষী থাকল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কিন্তু, কেন হঠাৎ এই বিচারপতিকে টার্গেট করা শুরু করল তৃণমূল? বিচারপতি আবার কী ‘দোষ’ করলেন? আসলে এই যে রাজ্যে একের পর এক মামলা বা ঘটনার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে সিবিআইয়ের হাতে, এটাই ঘটনার মূল কারণ। 

    ভাদু শেখ থেকে বহটুই, তপন কান্দু থেকে হাঁসখালি — গত দশ দিনের মধ্য়ে রাজ্য পুলিশের অধীনে থাকা পাঁচটি মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে উচ্চ আদালত। আর সবকটিই নির্দেশই দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বলা বাহুল্য, এতে রাজ্য সরকারের মুখ  যারপরনাই পুড়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলার ওপর আদালতের একেবারেই ভরসা নেই। 

    এই সব মামলার নির্দেশের ফলে, তৃণমূল যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল, তা প্রমাণিত। এর ওপর তাতে ঘৃতাহুতি পড়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশ্যে দেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টান্ত-স্থাপনকারী নির্দেশ। 

    কিছুদিন আগে, গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। হাজিরার দিন, সিবিআই দফতর না পৌঁছে অনুব্রত সটান গিয়ে ভর্তি হয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে।

    এমন ঘটনা যে প্রথম তেমনটা নয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে সিবিআই তলব করতেই, তৃণমূলের একাধিক নেতা অসুস্থ হয়ে গিয়ে এই এসএসকেএমের দ্বারস্থ হয়েছেন। অনুব্রতর ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। আদালত তা নজরে রেখেছিল।

    এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানোর জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই প্রক্ষিতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। এমনকী, তিনি এসএসকেএমে ভর্তিও হতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    এই নির্দেশের ফলেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের রোষে পড়েন। যার নিটফল হল হাইকোর্টে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ-প্রদর্শন। যাঁদের মূল দাবি, বিচারপতি পরপর একপেশে নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চ বয়কটের দাবি তোলেন তাঁরা। 

    তবে, রোষের মুখেও অবিচল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দুর্নীতি দেখলে চুপ থাকতে পারবেন না। এজলাসে বিক্ষোভকারীদের তিনি কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন। বিক্ষোভকারী তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপনার হয়তো রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে। কিন্তু দুর্নীতি দেখলে আদালত চুপ থাকবে না। যে দুর্নীতি করবে, সে যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন ছেড়ে দেওয়া হবে না।” 

    প্রবল বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েও নিজের সিদ্ধান্তে অটল এই দৃঢ়চেতা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমার মাথায় বন্দুক ধরতে পারেন। মরতে রাজি। কিন্তু দুর্নীতি দেখে চুপ থাকবে না আদালত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে!” 

    সাম্প্রতিককালে, রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনাপ্রবাহে তৃণমূলের পায়ের তলার জমি ক্রমশ সরে যাচ্ছে। তা রাজ্যের শাসক দল ভালই টের পাচ্ছে। ফলস্বরূপ, দলের মধ্য়েও শুরু হয়েছে কোন্দল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এমনকী, খোদ দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলাতে শোনা গিয়েছে একাধিক হঠকারী ও বিতর্কিত মন্তব্য। 

    তার ওপর আদালতের পরের পর নির্দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। অতএব, এসব বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তৃণমূলের লক্ষ্য এখন সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করা। সেটা না করতে পেরে নৈরাশ্যের চরম উদাহরণ তুলে ধরছে রাজ্যের শাসক দল।

  • IPL 2022: রাজস্থানের কাছে হারলেও খুশি নাইট অধিপতি শাহরুখ

    IPL 2022: রাজস্থানের কাছে হারলেও খুশি নাইট অধিপতি শাহরুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের কাছে কেকেআর হারলেও খুশি দলের মালিক শাহরুখ খান। ওই ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স ও ওপেনার ফিঞ্চ। যত ক্ষণ তাঁরা ক্রিজে ছিলেন তত ক্ষণ মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতে যাবে কেকেআর। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। কিন্তু তাঁরা দু’জন আউট হতেই খেলার ছবি বদলে যায়।
    আইপিএলে (IPL)রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals)কাছে হারের পরেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রশংসা শোনা গেল নাইটদের দলের অন্যতম মালিক শাহরুখ খানের গলাতেও। তাঁর বার্তা, হারলে এ ভাবেই হারা উচিত। টুইট করে দলের ক্রিকেটারদের বার্তা দিয়েছেন শাহরুখ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘খুব ভাল খেলেছ। শ্রেয়স আয়ার, অ্যারন ফিঞ্চ ও উমেশ যাদব দারুণ চেষ্টা করেছে। সুনীল নারাইনকে ১৫০তম ম্যাচের জন্য ও ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে ১৫ বছর আগের ওই ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা। জানি আমরা হেরেছি। কিন্তু যদি হারতেই হয় তবে এ ভাবে হারা উচিত। নিজেদের মাথা উঁচু রাখ।’
    সোমবার ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাট করে ২১৭ রান তোলে রাজস্থান। এ বারের আইপিএলের দ্বিতীয় শতরান করেন জস বাটলার। ভাল খেলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমেয়ার। নারাইন ছাড়া কলকাতার কোনও বোলার ছন্দে ছিলেন না।

    [tw]


    [/tw]
    তবে সেই রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত ব্যাটিং করেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স ও ওপেনার ফিঞ্চ। যত ক্ষণ তাঁরা ক্রিজে ছিলেন তত ক্ষণ মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতে যাবে কেকেআর। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। কিন্তু তাঁরা দু’জন আউট হতেই খেলার ছবি বদলে যায়। এক ওভারে হ্যাটট্রিক-সহ চার উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চহাল। শেষ পর্যন্ত সাত রানে ম্যাচ হারে কলকাতা।

LinkedIn
Share