Blog

  • DA Case: এবার ডিএ মামলায় ধাক্কা রাজ্যের! ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    DA Case: এবার ডিএ মামলায় ধাক্কা রাজ্যের! ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার সেই হাইকোর্ট। আরও একটি মামলা। আরও একবার ধাক্কা খেল মমতা (Mamata) সরকার। এবার ইস্যু রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা বা ডিএ (DA)। শেষমেশ স্যাটের (SAT) রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) ডিভিশন বেঞ্চ।

    কেন্দ্রীয় হারেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। ডিএ মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। আদালত বলেছে, ‘‌সরকারি কর্মচারীরা আপনার শত্রু নন। আপনি তাঁদের অভিভাবক।’‌ 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    আদালতে রাজ্য জানিয়েছিল, তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের এই যুক্তি গ্রাহ্য করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত তাদের নির্দেশে জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (State Administrative Tribunal)-এর রায় কার্যকর করতে হবে। ‘ডিএ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। ডিএ না পেলে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়’, মামলার শুনানিতে মন্তব্য করে আদলত। 

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে মামলাটি হয়েছিল ২০১৬ সালে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট-এ মামলা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা মামলার পর স্যাট রাজ্য সরকারী কর্মীদের পক্ষেই রায় ঘোষণা করে। বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেয় স্যাট। যদিও রাজ্য সরকার স্যাটের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে মালাল করে। সেই মামলাতেই এবার স্যাটের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    অবশ্য জানা যাচ্ছে যে, এরপর রাজ্যের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।

     

  • NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! বিয়ের পর মেয়েরা বাড়িতেই থেকে যায়। আর ছেলেদের যেতে হয় শ্বশুরবাড়ি। এমন রাজ্যও আছে আমাদের দেশে।  উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে (Meghalaya) ঘটে এমনই বিচিত্র ঘটনা। পাহাড় ঘেরা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি নানা দিক থেকে আশ্চর্যজনক। আর তার অন্যতম কারণ এখানে খাসি ও গারো (Khasi, Garo) নামে দুটি মাতৃতান্ত্রিক উপজাতির উপস্থিতি। সারা পৃথিবীতে যখন কন্যাভ্রূণ হত্যা এক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, তখনও এই দুই উপজাতিতে কন্যা সন্তান জন্মালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেক সন্তান থাকলে মেয়েটির অধিকার থাকে সবার আগে। এমনকী এখানে বিয়ের পর ছেলেদেরই শ্বশুরবাড়িতে আসতে হয়।

    সারা দেশে পুত্রসন্তানের চাহিদা বেশি থাকলেও মেঘালয়ের মায়েরা কিন্তু চায় মেয়ে হোক, এই তথ্যই উঠে এসেছে সর্বশেষ জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (National Family and Health Survey)। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, মণিপুর, বিহার-সহ উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তান কাম্য। কিন্তু মেঘালয়ের ছবিটা পুরোপুরি অন্যরকম।

    মেঘালয়ের মাতৃপ্রধান সমাজে মেয়ের ভূমিকা প্রধান। পরিবারের সব সম্পত্তির অধিকারও পান বাড়ির ছোট মেয়ে। সন্তানেরাও মায়ের উপাধি নেয়। কোনও পরিবারে কন্যা সন্তান না হলে তাঁরা একজন মহিলাকে দত্তক নেয় এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার তাকে হস্তান্তর করেন। কন্যা সন্তানের জন্ম হলে উৎসবও পালন করা হয়। ছোট-বড় সব ব্যবসায়ের দায়িত্বই নেন মহিলারা।

    এনএফএইচএস-এর পঞ্চম নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্য়ায় এখন ‘পুরুষ-নারী অনুপাত’ (লিঙ্গ অনুপাত বা ‘সেক্স রেশিও’) ১০০০ : ১০২০। অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১,০২০ জন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৭০৭ টি জেলার ৬,৫০,০০০টি বাড়িতে চালানো হয়েছিল ওই নমুনা সমীক্ষা। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে সংখ্যার হিসেবে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলারা। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বার। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য বেছে নিয়ে করা ওই নমুনা সমীক্ষার ফল সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Yashwant Sinha: মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা? 

    Yashwant Sinha: মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতি। রাষ্ট্রপতি (President) পদে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সেই যশবন্ত সিনহাই (Yashwant Sinha) ভোট চাইতে পশ্চিমবাংলায় নাও আসতে পারেন। যে ঝাড়খণ্ড তাঁর নিজের রাজ্য, সেখানেও তিনি যাবেন না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। বৃহস্পতিবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রচার করছেন বিজেপি বিরোধী ১৮টি দলের প্রার্থী যশবন্ত। 

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী, জানেন কি আসল কাহিনি?

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নামে সিলমোহর দেয় এনডিএ। রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন, তাই রাজনাথ সিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। বিজেপি নেতৃত্ব পদ্ম-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পরেও চিঁড়ে ভেজেনি। বিরোধীরা পাল্টা সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন যশবন্ত সিনহার নাম। তবে তার আগে একপ্রস্ত নাটক হয়। বিরোধীরা প্রথমে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, পরে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং তারও পরে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন। এই তিনজনের কেউই প্রার্থী হতে চাননি। অতএব, শিকে ছেঁড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্তের কপালে। প্রার্থী হওয়ার আগে অবশ্য তৃণমূল ছাড়তে হয় তাঁকে। এদিকে, বিজেপি দ্রৌপদীকে প্রার্থী করতেই খেলা ঘুরে যায়। দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তাই তাঁর বিরোধিতার ফল ভোটবাক্সে পড়তে পারে ভেবে দোটানায় পড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীই জিতবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর হয়ে সওয়াল মমতার

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজনীতির অঙ্কে বাংলায় জনসমর্থন মিলবে না ভেবেই বাংলায় ভোট প্রচারে নাও আসতে পারেন যশবন্ত। তাঁর খাসতালুক ঝাড়খণ্ডেও যাবেন না বলেই খবর। কারণ ইতিমধ্যেই দ্রৌপদীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও। জানা গিয়েছে, এদিন উত্তর প্রদেশ সফরে গিয়েছেন যশবন্ত। তার পরের দিনই যাবেন গুজরাটে। সেখান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার কথা তাঁর। ভূস্বর্গবাসীর সমর্থন আদায় করতেই তাঁর উপত্যকায় যাওয়ার কথা।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, যশোবন্ত যা-ই করুন না কেন, রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ এনডিএ ছাড়াও তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীদের অনেকেই। তাই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে যে যশবন্তের চেয়ে দ্রৌপদী কয়েক যোজন এগিয়ে, তা বলাই বাহুল্য।

     

  • KK Demise: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    KK Demise: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে (singer K K)। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অস্বস্তি বোধ করেন। এর পরই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। সন্ধ্যের দিকে অসুস্থ বোধ করেন। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (Krishnakumar Kunnath) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।    

    জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ এ মঞ্চে ওঠেন তিনি। যখন থেকে তিনি গান গাইতে উঠেছিলেন তখন থেকে অন্য রকম লাগছিল গায়ককে। শারীরিক অস্বস্তির সঙ্গে বার বার ঘাম হচ্ছিল তাঁর। গানের ফাঁকে স্টেজের পিছনে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁর গানের মাঝেও তাঁর যে অস্বস্তি হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছিল।  প্রথম  থেকেই তাঁকে অন্যরকম লাগছিল। গানের মাঝে অনেকটা সময় নিচ্ছিলেন।   

    সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনই কেকে-র কলকাতায় লাইভ কনসার্ট ছিল। প্রথম দিন বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চেই অনুষ্ঠান করেন তিনি। গতকালও সেখানেই তাঁর অনুষ্ঠান ছিল। গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য গতকাল তিনি মঞ্চে ওঠেন। কিন্তু খানিক পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    গায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তা রাজনৈতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) লিখেছেন, “গায়ক কেকে-র অকাল প্রয়াণে শোকাহত। সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান। তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে তাঁকে আমরা মনে রাখব। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।” 

    [tw]


    [/tw]

    দেশের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু (M Venkaiah Naidu), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur), অরুনাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা কুন্ডু (Prema Kundu), রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje Scindia), কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত গায়কের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

  • Asani Update: শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পরিণত নিম্নচাপে, কোথায় কেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    Asani Update: শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পরিণত নিম্নচাপে, কোথায় কেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর নিম্নচাপে (Deep depression) পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone)। ওড়িশা (Odisha) উপকূলের কাছে এসেই শক্তি হারাবে ‘অশনি’। সমুদ্রের মধ্যেই ক্রমশ শক্তি হারিয়ে ফেলে ওই ঘূর্ণিঝড়। তাই ল্যান্ডফলের (Landfall) আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তাই ঝড়ের তাণ্ডব থেকে এ যাত্রায় মুক্তি পাওয়ার কথাই শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস। শেষ ছয় ঘণ্টায় শক্তিক্ষয় করে ছয় কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড় না হলেও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ইতিমধ্যই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্দ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার বিভিন্ন জেলায়।

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। কালো মেঘে দুপুরেই যেন আঁধার নেমেছে শহর কলকাতায় (Kolkata)। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহানগরের বিভিন্ন দিকে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে তাদের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটা বরোর জন্য একটা করে মোট ১৬টা দল তৈরি করা হয়েছে। যারা সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে। রাস্তায় গাছ পড়ে গেলে তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। শহর যাতে জলমগ্ন না হয় তার জন্য অন্তত ৯৫ শতাংশ পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে জেনেরেটর প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কলকাতা ছাড়াও নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়  বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে মানা করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফের (NDRF) টিম। দিঘায় পৌঁছেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য রয়েছে কড়া নজরদারি। চলছে মাইকে প্রচার। আজ থেকে মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    বিশাখাপত্তনমে সমুদ্র উত্তাল। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। দুর্যোগের জেরে চেন্নাই বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, জয়পুর, মুম্বই থেকে আসা ১০টি বিমান। বিশাখাপত্তনমেও বেশ কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম,পূর্ব গোদাবরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে। ‘অশনি’র প্রভাবে ওড়িশাতেও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওড়িশার খুরদা, গঞ্জাম, পুরী, কটক, ভদ্রকে বৃষ্টি চলছে। ‘অশনি’ পরিস্থিতিতে ওই চার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    গঞ্জামের সুনাপুরের কাছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মৎস্যজীবীদের নৌকা সমুদ্রে আটকে পড়েছিল। বুধবার গঞ্জা, খুরদা, পুরী, জগৎসিংপুর, কটকে বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার পুরী, জগৎসিংপুর, কটক, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে।” 

    ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) ও কোনারক মন্দিরে (Konark Temple)। ২০১৯ সালে সাইক্লোন ফণী (Fani) যখন আছড়ে পড়েছিল, তখন ক্ষতি হয়েছিল জগন্নাথ মন্দিরে। একইসঙ্গে ২০২০ সালে আমফান (Amphan) এবং ২০২১ সালে ইয়াসের (Yass) সময়ও জোরদার সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল পুরীর মন্দিরে। ঝড়ে যাতে মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • Suvendu Thanks Yogi: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    Suvendu Thanks Yogi: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় (UP Assembly) চাঁচাছোলা ভাষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi)। উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুক্রবার বিধানসভার ভাষণে যোগী বলেন, “উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করতে বাংলা থেকে এক দিদি এসেছিলেন। বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হয়েছে ১২,০০০। বাংলায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসনে হিংসার ঘটনা ঘটে। বাংলার জনসংখ্যা উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। উত্তরপ্রদেশে ভোট চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি।”  

    অখিলেশ যাদবকেও (Akhilesh Yadav) এদিন একহাত নেন যোগী। তিনি বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য মেনে নিতে অস্বীকার করছে অখিলেশ যাদবের দল। বিজেপির জয়ও অস্বীকার করছে। তারা জিতলে সব ঠিক আছে। কিন্তু বিজেপি জিতলে ইভিএমে (EVM) কিছু ত্রুটি আছে। এটা আসলে মানুষের অপমান।”

    যোগীর এদিনের মমতাকে কটাক্ষ করার ঘটনায় খুশি এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। ট্যুইট করে যোগীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, “যোগী আদিত্যনাথকে বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের নির্মম চিত্র তুলে ধরার জন্য আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।”

    [tw]


    [/tw]
     
    যোগী এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেন, “বাংলায় ১৪২টি আসনে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৫ হাজার বুথ প্রভাবিত হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসার কারণে বিজেপির প্রায় দশ হাজার কর্মী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। খুন হয়েছেন ৭৫ জন।” এর পরেই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টেনে বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা অর্ধেক। রাজ্যের  লোকসংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে ও পরে কোনও হিংসার ঘটেনি। এই হল সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার উদাহরণ।”  

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে সরব হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। মামলাও হয় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিবিআই। এদিন সেই প্রসঙ্গই বিধানসভায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমণ শানালেন যোগী আদিত্যনাথ।  

     

  • Asteroid Collision: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা  

    Asteroid Collision: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে প্রায় ৬.৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল এক প্রকাণ্ড গ্রহাণু (Asteroid)। আর তার জেরেই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল সমগ্র ডাইনোসরকুল (Dinosaurs)।  ১৮ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে ডাইনোসররা। গ্রহাণুর ধাক্কাতেই লুপ্ত হয়েছিল সেই প্রজাতি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কোথায় আছড়ে পড়েছিল সেই গ্রহাণু, এই মুহূর্তের তাই খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।  

    গ্রহাণুটির আনুমানিক ব্যাস ছিল ১০.৬ থেকে ৮০.৯ কিলোমিটার। ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটালেও মানবকুলের জন্যে গ্রহাণুটি ছিল এক আশির্বাদ। ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটে আসে এক নতুন যুগ, সভ্যতার যুগ। 

    তথ্য অনুসারে ইউকাটান উপদ্বীপের কাছে মেক্সিকোর চিকজুলুবে আছড়ে পড়েছিল গ্রহাণুটি। সমুদ্রকে উত্তাল করার পাশাপাশি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্ত সৃষ্টি করেছিল সেই গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এর ফলে পৃথিবীর বহু উপাদান মহাকাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং পৃথিবীতে তুষার যুগের সূচনা হতে পারে। অথবা ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির মতো বিপর্যয়ও নেমে আসতে পারে পৃথিবীর বুকে। এইসবকেই ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ হিসেবে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

    গ্রহাণুটির উৎস সম্পর্কেও অনেকটাই নিশ্চিত হতে পেরেছেন গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝামাঝি স্থানে জন্ম হয়েছিল রাক্ষুসে গ্রহাণুটির। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতেও একটি গ্রহাণু আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীর বুকে। তখন মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এবং গ্রহাণুর মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।  

     

  • Maharashtra Crisis: আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ফড়নবিশের, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিন্ডে?

    Maharashtra Crisis: আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ফড়নবিশের, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি ফিরে আসব…”। আড়াই বছর পর মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) তখতে ফিরতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। সূত্রের খরব, আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ডেপুটি সিএম বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM) হতে চলেছেন উদ্ধব-সরকারের পতনের প্রধান কাণ্ডারি একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)।

    প্রথমে জানা গিয়েছিল, আজ সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে যাবেন ফড়নবিশ-শিন্ডে জুটি। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। কিন্তু, পরে জানা যায়, আজ সন্ধ্যা ৭টায় শপথ বাক্যপাঠ করাবেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Koshyari)। একইসঙ্গে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন একনাথ শিন্ডে। এদিনই, বিজেপির পাঁচ ও শিন্ডে গোষ্ঠীর তিন বিধায়কও শপথ নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    ইতিমধ্যেই গোয়া থেকে মুম্বাই পৌঁছেছেন শিন্ডে। বিদ্রোহীদের নিয়ে উদ্ধব সরকারের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোট ছেড়ে চলে আসার পর থেকেই একনাথ দাবি করছিলেন, তার সঙ্গে শিবসেনার (Shivsena) দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক রয়েছেন। ফলে, তারাই হচ্ছেন আসন শিবসেনা। এদিন মুম্বই নেমে প্রথমেই শিবাজি পার্কে গিয়ে বালাসাহেব ঠাকরেকে শ্রদ্ধা জানান একনাথ। এর পর, ফড়নবিশ সহ বিজেপি নতৃত্বের সঙ্গে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

    আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বুধবারই উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhave Thackeray) নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার আগে গতকাল রাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে প্রমাণ করা অসম্ভব, তা কার্যত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    দেখে নেওয়া যাক বর্তমান মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কার শক্তি কত?

    বিজেপি-শিবসেনা (শিন্ডে) – ১৬৮। এর মধ্যে বিজেপি – ১০৬। শিন্ডে গোষ্ঠী – ৩৯। নির্দল – ১৩। অন্যান্য – ১০।
    মহা বিকাশ আঘাড়ি – ১১৯। এর মধ্যে এনসিপি – ১১৯। শিবসেনা – ১৬। কংগ্রেস – ৪৪। অন্যান্য – ৬।

  • IAF Agnipath Recruitment: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    IAF Agnipath Recruitment: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের অর্থাৎ ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) আবেদন জমা করার তিন দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) অফিসে জমা পড়ল ৫৬ হাজার ৯৬০টি আবেদন। রবিবার এই বিষয়টি বায়ুসেনার তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়। ট্যুইটে লেখা আছে ‘৫৬,৯৬০! অগ্নিপথ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতের ‘অগ্নিবীর’দের (Agniveer) তরফে এতগুলো আবেদন পাওয়া গেছে।‘

    [tw]


    [/tw]

    গত ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর পরেই একাধিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্র সরকারকে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় যুবকরা। তার মধ্যেই ২৪ জুন থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় বায়ুসেনায় অগ্নিবীর নিয়োগের জন্য প্রথম প্রক্রিয়া শুরু হয় অনলাইনে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৫ জুলাই পর্যন্ত। রবিবার পর্যন্ত অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের অধীনে ৫৬,৯৬০টি আবেদন জমা পড়েছে। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এই অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন এবং এর অধীনে সমস্ত সেনাদের অগ্নিবীর (Agniveer) বলা হবে জানিয়েছেন তিনি। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের অধীনে  স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা— এই তিন বিভাগেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সিদের চার বছরের জন্য সেনায় নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর তাঁদের মাত্র ২৫ শতাংশকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য সেনায় চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। এই ঘোষণায় বিক্ষোভ শুরু হতেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ২৩ করে দেয় কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    অগ্নিবীরদের বায়ুসেনাতে ভর্তি হতে হলে বিভিন্ন যোগ্যতার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতাও গুরুত্বপূর্ণ। আগ্রহী অগ্নিবীরদের দশম শ্রেণীর ও দ্বাদশ শ্রেণীর সার্টিফিকেট দরকার ও সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার ফাইনাল বছরের সার্টিফিকেটও লাগবে।

    বায়ুসেনাতে যোগদান করতে প্রথমে অনলাইন টেস্ট, অ্যাডাপটিবিলিটি টেস্ট দিতে হবে, এছাড়াও ফিজিক্যাল ফিটনেস দেখা হবে। এছাড়াও সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, অগ্নিবীরদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আধা সামরক বাহিনী ও নিরাপত্তার বিভিন্ন বিভাগের চাকরিতে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো তাঁদের পুলিশে চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন।

LinkedIn
Share