Blog

  • Parag Agrawal: কফি পরিবেশন করছেন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, হল টা কী?

    Parag Agrawal: কফি পরিবেশন করছেন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া ভূমিকায় ট্যুইটারের (Twitter) সিইও (Twitter Chief Executive Officer) পরাগ আগরওয়াল (Parag Agrawal)। জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইটের এই শীর্ষস্থানীয় কর্তাকে দেখা গেল, কফির কাউন্টারে অর্ডার নিতে। কয়েক লক্ষ ডলারের মালিক, যার অধীনে কাজ করছেন লক্ষ লক্ষ কর্মচারী, তিনি কিনা শেষে কফি পরিবেশন করছেন! ব্যাপারটা কী?

    আরও পড়ুন: টুইটার অধিপতি মার্কিন ধনকুবের মাস্ক,সরতে হতে পারে সিইও পরাগকে   

    সম্প্রতি এরকমই একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ট্যুইটারের লন্ডন অফিসে কর্মীদের কফি পরিবেশন করছেন।       

    বিষয়টি এবার বুঝিয়ে বলা যাক। আদতে গত সপ্তাহে ব্যবসায়িক কাজে লন্ডন গিয়েছিলেন পরাগ। যুক্তরাজ্যে পা দিয়েই ট্যুইটারের লন্ডন অফিসে যান তিনি। সেখানেই কফি পরিবেশন করে খাওয়ান নিজের অধস্তন কর্মচারীদের। আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তনীর সঙ্গে সেখানে কফি পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছে সংস্থার ব্রিটেনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দারা নাসারকেও (Dara Nasr)। এই দুজনের পাশাপাশি কুকিজ পরিবেশন করছিলেন কর্পোরেশনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, নেড সেগাল (CFO Ned Segal)। পরে একটি স্ট্যান্ডআপ কমেডিতেও অংশ নেন পরাগ। কর্মচারীদের প্রতি সংস্থার প্রধানের এই আচরণে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    [tw]


    [/tw]

    অধস্তনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে পরাগের বিরুদ্ধে। এর আগে চাকরি থেকে একাধিক জনকে বরখাস্ত করার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে গত মে মাসে সংস্থার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন পরাগ। সে সময় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদেও শামিল হন কর্মীরা। 

    গত বছর নভেম্বরে ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোর্সে অবসর নেওয়ার পর, সংস্থার দায়িত্ব পান প্রবাসী ভারতীয় পরাগ। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে ট্যুইটার কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন টেসলা এবং স্পেসএক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক। তখন মাস্ক-পরাগের মতানৈক্যের খবরও সামনে আসে। শোনা যায় চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন পরাগ। শেষ পর্যন্ত ট্যুইটার কেনেননি ইলন। চাকরিতেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরাগ আগরওয়াল। 
     

  • National Statistics Day: কেন ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে হিসেবে পালিত হয় প্রশান্ত মহলনাবিশের জন্মদিন?

    National Statistics Day: কেন ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে হিসেবে পালিত হয় প্রশান্ত মহলনাবিশের জন্মদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে (National Statistics Day)। জাতীয় পরিসংখ্যান (Statistics) দিবস। দৈনন্দিন জীবনে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ফি বছর ২৯ জুন দিনটি পালিত হয় ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স ডে হিসেবে। এদিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশ (PC Mahalanobis)। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে বিখ্যাত এই পরিসংখ্যানবিদের জন্মদিনটিকেই।  

    আরও পড়ুন : আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    রাজ্য কিংবা দেশ। সর্বত্রই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাহায্য করে পরিসংখ্যান। জাতীয়স্তরে যে বিশেষ দিনগুলি ঘটা করে পালন করা হয়, তার মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য। করোনা অতিমারির জেরে এবার অবশ্য দিনটি পালন করা হবে ভিডিও কনফারেন্সিং বা ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে। পরিসংখ্যান প্রক্রিয়ার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কোনও একটি বিষয়কে এদিন আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়। এটাই হল থিম। চলতি বছর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স দিবসের থিম হল ডেটা ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশ। তাঁর পিতার নাম প্রবোধ চন্দ্র মহলনাবিশ। ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নেন। স্নাতক হন ১৯০৮ সালে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। মহলানবিশ ১৯১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক হন। উচ্চ শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে পরের বছর পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে।

    মহালনাবিশ ছিলেন পরিসংখ্যানবিদ। মুক্ত ভারতের দ্বিতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের। তিনিই হলেন ভারতের আধুনিক পরিসংখ্যানের জনক।

    এদিনের অনুষ্ঠানে অ্যাপ্লায়েড ও থিওরিটিক্যাল ফিল্ডে উচ্চমানের গবেষণা কীভাবে অফিসিয়াল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সিস্টেমের কাজে লেগেছে, তা তুলে ধরা হবে। এদিনই অফিসিয়াল স্ট্যাটিসটিক্সে পি সি মহলানবিশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এবং অধ্যাপক সিআর রাও ন্যাশন্যাল অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং স্ট্যাটিসটিসিয়ানের নাম ঘোষণা করা হবে।

     

  • ONGC chopper emergency landing: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    ONGC chopper emergency landing: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ করল অয়েল অ্যান্ড ন্যাচরাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেড (ONGC)-এর  হেলিকপ্টার ( (ONGC Chopper)। জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে দু’জন পাইলট-সহ মোট নজন ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ওএনজিসির চার কর্মীর। পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। জুহু বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এ কে ভার্মা (Juhu airport director A K Verma) জানান, মৃত চার জন ওএনজিসির কর্মীর মধ্যে একজন ঠিকাদার কর্মীও রয়েছেন। তাঁদের দেহ কুপার হাসপাতালে (Cooper Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটিতে ছ’জন ওএনজিসি কর্মী এবং ঠিকাদারের সংস্থার অধীনে কর্মরত আরও এক কর্মী ছিলেন। হেলিকপ্টারটি মুম্বই উপকূল থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে বম্বে হাই (Arabian Sea) এলাকায় অবস্থিত ‘সাগর কিরণ রিগে’অবতরণ করে। রিগের ল্যান্ডিং জোন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে পড়েছিল কপ্টারটি। এটি ,পবন হংস (Pawan Hans) চালিত একদম নতুন কপ্টার। এতে কেন বিপত্তি ঘটল তা জানতে নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা এমআরসিসি মুম্বইয়ের তরফে একটি ভেসেল মালভিয়া-১৬ কে উদ্ধার অভিযানে নামানো হয়। উদ্ধারকারী নৌকার সাহায্যে পুরোদমে চলে উদ্ধারকাজ। দমন এয়ারবেস থেকেও একটি এয়ারক্র্যাফ্ট পাঠানো হয়। ওএনজিসি’র তরফে টুইটে জানানো হয়েছে,কপ্টারে থাকা প্রত্যেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন ওএনজিসির কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করতে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

     প্রসঙ্গত, এ বছরের ১৫ জানুয়ারি ভারতের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ বিপিন রাওয়াত একটি হেলিকপ্টারে যাচ্ছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই কপ্টার মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় সস্ত্রীক রাওয়াত-সহ ১৩ জনের।

  • Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট! বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। আস্থা ভোটে যোগ দেবেন শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেরও ( Eknath shinde)। রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আস্থাভোটের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উদ্ধব শিবির।

    এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডের। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে গুজরাটে এসে শিন্ডে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    এর পরে পরেই উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব অনুগামী বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উদ্ধবের পক্ষে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল। তাই এখনই পরীক্ষায় যেতে চাইছেন না তাঁরা। উদ্ধর ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের দেওয়া আস্থা ভোটের নির্দেশ বেআইনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও রাজ্যপাল মিলে আস্থা ভোট করানোর চেষ্টা করছে। তাঁর আশা, ন্যায় বিচার মিলবে সুপ্রিম কোর্টে। তিনি জানান, বিধায়কদের নিয়ে যে মামলা চলছে, সে সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হবে রাজ্যপালকে। সঞ্জয় বলেন, আস্থাভোটের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। এখনও শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুতরাং এই আস্থা ভোট বেআইনি। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছেন দলের চিফ হুইপ সুনীল প্রভু।

    আরও পড়ুন : ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে গিয়ে রাজ্যাপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তার একটি হল, পুরো আস্থাভোট পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। রাজ্যপাল সাফ জানিয়েছেন, এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি আস্থা ভোট। তা কোনওভাবেই স্থগিত করা যাবে না।

    এদিকে, আস্থাভোটের আগে উদ্ধবের চিন্তা বাড়িয়েছেন এনসিপির দুই বিধায়ক। সূত্রের খবর, তাঁরা দুজনেই সংক্রমিত হয়েছেন কোভিডে।

    অন্যদিকে, গুয়াহাটির হোটেল থেকে দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফেরার কথা শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের। এদিন কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শিন্ডেবাহিনী। সেখানেই তিনি জানান, দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফিরছেন তাঁরা।

     

  • Reliance Retail: আকাশের পর ইশা! রিলায়েন্স রিটেইলের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকেশ-কন্যা?

    Reliance Retail: আকাশের পর ইশা! রিলায়েন্স রিটেইলের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকেশ-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হচ্ছে রিলায়েন্স গ্রুপের ব্যাটন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানির হাতে রিলায়েন্স জিওর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, এবার কোম্পানির খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্স রিটেইলের (Reliance Retail) দায়িত্ব যেতে পারে মুকেশের কন্যা ইশা আম্বানির হাতে। শীঘ্রই এই ঘোষণা করতে পারে রিলায়েন্স বোর্ড।

    ব্যবসায়িক মহলে জল্পনা, ইশা অম্বানিকে রিলায়েন্স রিটেলের চেয়ারপার্সন করা হতে পারে। রিলায়েন্স রিটেলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের খুচরো ব্যবসা ইশা আম্বানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোম্পানি ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, উত্তরসূরিদের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করেছেন মুকেশ আম্বানি। সেই কারণেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গিয়েছেন তিনি। মুকেশ কন্যা ইশা ইয়েল এবং স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৫ সালে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন তিনি। জিও প্যাটফর্ম (Jio Platforms), জিও লিমিটেড (Jio Limited), রিলায়েন্স খুচরো ব্যবসা (Reliance Retail Ventures)-এর বোর্ডে রয়েছেন ইশা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে, ব্যবসায়ী অজয় পিরামলের ছেলে আনন্দ পিরামলের সঙ্গে ইশার বিয়ে হয়।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    মঙ্গলবার ২৭ জুন আকাশ অম্বানিকে দেশের বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিওর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আকাশ অম্বানি ২০১৪ সালে রিলায়েন্স জিওর বোর্ডে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, ২৭ জুন রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডের একটি সভা হয়েছিল। সেই বৈঠকে আকাশ অম্বানিকে কোম্পানির চেয়ারম্যান করার বিষয়ে অনুমোদন দেয় বোর্ড।

    সম্প্রতি রিলায়েন্স জিও তার বোর্ড মিটিংয়ে পঙ্কজ মোহন পাওয়ারকে ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এর জন্য শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন লাগবে। এছাড়াও কোম্পানির অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসাবে রামিন্দর সিং গুজরাল ও কেভি চৌধুরীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আকাশ,ছাড়াও মুকেশ আম্বানির আরও দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর মধ্যে একজন হলেন ইশা আম্বানি। যিনি আসলে আকাশ আম্বানিরই যমজ বোন। এছাড়া রয়েছেন ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানি। উল্লেখ্য, গত বছর মুকেশ বলেছিলেন, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Industries) নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে। পরের প্রজন্ম আরও দায়িত্ব নিচ্ছে। তিনি বলেন, “সন্তানদের মধ্যে আমি সেই প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, যা রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) মধ্যে ছিল।” তিনি আশা করেন, ধীরুভাইয়ের মতোই ভারতের আর্থিক বিকাশে অবদান রাখবে আম্বানি পরিবারের আগামি প্রজন্ম।

  • BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA) বাজি বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি  ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের কাছেও। সেই মতো দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল বঙ্গ বিজেপি। চিঠির নীচে সই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী। নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত হন সেজন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজনাথ। তার পরেও বিজেপিকে মাত দিতে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি বিরোধী দল। প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম কোনও জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আমরা চাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকেই নির্বাচিত করুন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দ্রৌপদী অনেক এগিয়ে।এডিএর শরিক নয়, এমন কয়েকটি দলও দ্রৌপদীকেই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তাই দ্রৌপদীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মমতা সহ রাজ্যের সব বিধায়ক ও তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সাংসদদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আপনার কাছে তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ের কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

     

  • Tarun Majumdar: চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার 

    Tarun Majumdar: চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগের অবসান ঘটল।

    ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি, তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বোগরায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। পড়াশোনা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে সিনেমার বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর নজর ছিল পরিচালনায়৷ পরবর্তীকালে তাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন।

    আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার

    শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে তৈরি করেছিলেন যাত্রীক নামে একটি সংস্থা। এই যাত্রীকের ব্যানারেই ১৯৫৯ সালে তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় প্রথম মুক্তি পেল উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’৷ তবে তাঁকে প্রথম জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘কাঁচের স্বর্গ’৷

    এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি।  পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তরুণ মজুমদার। এ ছাড়াও রয়েছে ৭টি বিএফজেএ পুরস্কার, ৫টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড৷ পদ্মশ্রী সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু

    কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকাহত টলিউড৷ বর্ষীয়ান চিত্র পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পরিচালক গৌতম ঘোষ থেকে শুরু করে অভিনেতা প্রসেনকিৎ চট্টোপাধ্যায়।  গৌতম ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা অভিভাবক হারালাম। চল্লিশ বছর ধরে ব্যক্তিগত পরিচয়। শিক্ষিত বাঙালি সমাজের জন্য পরিচ্ছন্ন ছবি নির্মাণ করেছেন। আমরা আর ওরকম ছবি পাব না। তাঁর ছবি বাঙালি আপন করে নিয়েছিল। হলভর্তি করে লোক, তিনটে-চারটে করে শো।’ শোকপ্রকাশ করেন অভিনেতা প্রসেনকিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। বললেন, ‘শেষ মানুষ যাঁকে নিজে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গুরু মানি, তিনি তরুণ মজুমদার।’

     

  • WhatsApp New Feature: মেসেজ ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ানে’ নতুন বদল আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ

    WhatsApp New Feature: মেসেজ ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ানে’ নতুন বদল আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। নিয়মিতভাবে কয়েক কোটি মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে চলেছে। ফলে ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করে মেটা (Meta) মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা। WABetaInfo-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারে মেসেজ ডিলিট ফর এভরিওয়ান (Message Delete For Everyone) ফিচারে নতুন আপডেট আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর আগেও অনেক নতুন ফিচার অন্তর্ভুক্ত করেছিল এই প্ল্যাটফর্মটি। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও একটি নতুন ফিচার নিয়ে চলে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

    আরও পড়ুন:কী করে লুকোবেন হোয়াটসঅ্যাপের অনলাইন স্টেটাস? জেনে নিন

    হোয়াটসঅ্যাপের একটি সুবিধা ছিল যে এতে ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ান’ এই ফিচারটি রয়েছে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপে কোনও মেসেজ ভুল করে পাঠালে তা ডিলিট করা সম্ভব হত, তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এর জন্য বর্তমানে সময় রয়েছে এক ঘণ্টা, আট মিনিট, ষোলো সেকেন্ড। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে যাকে মেসেজ করা হয়েছে তার কাছ থেকে টেক্সট, ইমেজ বা ভিডিয়ো ডিলিট করা সম্ভব। সেই সময় শেষ হয়ে গেলে তারপর আর ডিলিট করা সম্ভব নয়।

    কিন্তু নতুন আপডেট অনুযায়ী, এবার থেকে দুদিনেরও বেশি সময়ের মধ্যে ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ান’ (Delete For Everyone) ফিচারটি ব্যবহার করা সম্ভব। নতুন আপডেটে এর সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। WABetaInfo-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর সময়সীমা বাড়িয়ে ২ দিন ১২ ঘন্টা করা হবে। এই ফিচারটি গ্রুপ মেসেজ করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। অনেকের জন্যই এই ফিচারটি অনেক সুবিধাজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: এক মাসে ১৯ লক্ষের বেশি হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান ভারতে ! কারণ জানলে অবাক হবেন

    রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, ইতিমধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের এই ফিচারটি বর্তমানে কিছু বিটা টেস্টারদের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে সমস্ত ব্যবহারকারীরা এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবে সেবিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি সংস্থার তরফ থেকে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি আসতে পারে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

     

  • Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের ঘটনায় এক সুর কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP)। পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সেখানেই একযোগে নিন্দা করা হয় নৃশংস ওই ঘটনার। রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে এই দুই প্রধান জাতীয় দল।

    আরও পড়ুন : উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক দর্জি বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন কিছুদিন আগে। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল কানাইয়ালালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও বাঁচানো যায়নি কানাইয়ালালকে।

    হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় রাজস্থানজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় সর্বদলীয় বৈঠক। জয়পুরে আয়োজিত ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেখানেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। আবেদন জানান শান্তি বজায় রাখারও। মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    কানাইয়ালাল খুনের ঘটনাকে সর্বদলীয় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তকমা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ওই বৈঠকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে বিজেপিও। সব দলের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে শান্তি বজায় রাখার। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, এনআইএ-র পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। তদন্তে রাজস্থান পুলিশ তাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করছে। সাইবার ক্রাইম রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টের ওপর নজরদারি চালাতে একটি শক্তপোক্ত সাইবার ইনটেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি করার প্রস্তাবও ওই বৈঠকে দেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশী।

     

  • Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) হাত ধরে নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছিল গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে কন্টেসার স্বত্ব, এস জি কর্পোরেট মোবিলিটিকে (SG Corporate Mobility) বিক্রি করতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্স।   

    অ্যাম্বাসেডরের ভারতের রাস্তায় ফেরার খবরে ভারতে গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। ইলেকট্রিক চালিত নতুন কন্টেসা ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা ছিল ভারতীয় সংস্থাটি। 

    ১৯৮০-৯০ -এর দশকে ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াত এই গাড়ি। বিলাসবহুল গাড়ি হিসাবেই দেশের মানুষের মন জয় করেছিল কন্টেসা। এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে। 

    আরও পড়ুন: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা! 

    কিন্তু ২০০২ সালে বেশি মাইলেজ দেওয়া, হাল্কা গাড়ি জায়গা করে নেয় ভারতের বাজারে। আস্তে আস্তে কন্টেসা তৈরি করা কমিয়ে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। পেট্রলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লো মাইলেজের গাড়ি কন্টেসার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় ভারতীয় ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।  

    হিন্দুস্তান মোটর্সের ডিরেক্টর উত্তম বোস জানান,”অ্যাম্বাসেডরকে আবার নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় বাজারে। আরও যুগোপযোগী করে তুলতে বদলানো হবে ইঞ্জিনের ধরন।”  

    ধারণা করা হচ্ছে কন্টেসাও আবার ফিরবে বীর বিক্রমে। এই গাড়ির ভাগ্য নিয়ে কী পরিকল্পনা করে রেখেছে এস জি কর্পোরেট মোবিলিটি তা সময়ই বলবে। 

     

LinkedIn
Share