Blog

  • Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) হাত ধরে নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছিল গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে কন্টেসার স্বত্ব, এস জি কর্পোরেট মোবিলিটিকে (SG Corporate Mobility) বিক্রি করতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্স।   

    অ্যাম্বাসেডরের ভারতের রাস্তায় ফেরার খবরে ভারতে গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। ইলেকট্রিক চালিত নতুন কন্টেসা ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা ছিল ভারতীয় সংস্থাটি। 

    ১৯৮০-৯০ -এর দশকে ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াত এই গাড়ি। বিলাসবহুল গাড়ি হিসাবেই দেশের মানুষের মন জয় করেছিল কন্টেসা। এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে। 

    আরও পড়ুন: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা! 

    কিন্তু ২০০২ সালে বেশি মাইলেজ দেওয়া, হাল্কা গাড়ি জায়গা করে নেয় ভারতের বাজারে। আস্তে আস্তে কন্টেসা তৈরি করা কমিয়ে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। পেট্রলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লো মাইলেজের গাড়ি কন্টেসার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় ভারতীয় ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।  

    হিন্দুস্তান মোটর্সের ডিরেক্টর উত্তম বোস জানান,”অ্যাম্বাসেডরকে আবার নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় বাজারে। আরও যুগোপযোগী করে তুলতে বদলানো হবে ইঞ্জিনের ধরন।”  

    ধারণা করা হচ্ছে কন্টেসাও আবার ফিরবে বীর বিক্রমে। এই গাড়ির ভাগ্য নিয়ে কী পরিকল্পনা করে রেখেছে এস জি কর্পোরেট মোবিলিটি তা সময়ই বলবে। 

     

  • CUET 2022: ‘কুয়েট’ স্নাতক প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন ঘোষণা এনটিএ-র, বিশদে জেনে নিন

    CUET 2022: ‘কুয়েট’ স্নাতক প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন ঘোষণা এনটিএ-র, বিশদে জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্নাতক পর্যায়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার বা কুয়েট ২০২২ (CUET 2022)- এর দিন ঘোষণা করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। এনটিএ নোটিস জারি করে জানিয়েছে আগামী ১৫ জুলাই থেকে নেওয়া হবে কুয়েট-২০২২- এর পরীক্ষা।  

    দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির পথ সহজ করতে এ বছর থেকে এনটিএ একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনা করতে চলেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট (CUCET) বা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (CUET)। এখন আর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা পরীক্ষা দিতে হবে না। 

    [tw]


    [/tw]

    কবে কবে নেওয়া হবে পরীক্ষা?

    পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ জুলাই। পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫,১৬,১৯,২০ জুলাই এবং অগাস্টের ৪,৫,৬,৭,৮,১০ তারিখ। 

    পরীক্ষার প্যাটার্ন কি হবে?

    পরীক্ষাটি দুটি শিফটে নেওয়া হবে। প্রথম শিফটে প্রার্থীরা একটি ভাষা, দুটি ডোমেন-নির্দিষ্ট পেপার এবং সাধারণ পরীক্ষা দেবেন। দ্বিতীয় শিফটে অবশিষ্ট চারটি ডোমেন-নির্দিষ্ট বিষয় এবং ফরাসি, আরবি, জার্মান ইত্যাদি সহ যে কোনও একটি ঐচ্ছিক ভাষায় পরীক্ষা দেবেন। কাগজে একাধিক পছন্দের প্রশ্ন মানে মাল্টিপিল চয়েজ বেসড কোয়েশ্চেন (MCQ) থাকবে। দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা একটি লিখিত পরীক্ষা, কমিউনিকেশন স্কিল পরীক্ষা এবং লজিক্যাল রিজনিং নিয়ে গঠিত। কোর্স অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন ভিন্ন হবে, যার সম্পূর্ণ তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে। পরীক্ষাটি ১২ ক্লাসের সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে হবে। 

    আরও পড়ুন: কুয়েট পরীক্ষায় আবেদন ১১ লক্ষ পরীক্ষার্থীর, জানাল ইউজিসি 

    বোর্ড পরীক্ষার স্কোরের উপর কী কোন গুরুত্ব থাকবে?

    কোনও সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নম্বরকে গুরুত্ব দেবে না। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট (CUCET) পরীক্ষার স্কোরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। 

    ভারতে মোট ৪৪টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, হেমবতী নন্দন বহুগুনা গাড়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ানা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, অসম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইত্যাদি। সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩টি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়, ১২টি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং  ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হবে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট (CUCET) ভিত্তিতে। পরীক্ষাটি হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম, উর্দু, অসমীয়া, বাংলা, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া এবং ইংরেজিতে হবে। দেশের মোট ৫৫৪টি শহরে এবং দেশের বাইরে মোট ১৩টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে এই পরীক্ষা। প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসার জন্যে আবেদন করেছেন।  

     

  • House Rent Agreement: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?

    House Rent Agreement: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি ভাড়ায় (House on Rent) নিয়ে অনেকেই থাকেন। আবার অনেকেই নিজের বাড়ি ভাড়াও দেন। আগে মুখের কথায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলেও, এখন বাড়ি ভাড়ার চুক্তি (Agreement) আবশ্যিক। ভবিষ্যতে কোনওরকম অশান্তি এড়িয়ে যেতে এখন সকলেই চুক্তি করিয়ে রাখেন। এর ফলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন বাড়ির মালিক, ভাড়াটে দুজনেই।   

    এরকম বহু ঘটনা রয়েছে ইতিহাসে। যেখানে ভাড়াটেকে ওঠাতে কালঘাম ছুটেছে বাড়িওলার। বিগত ৫০ বছর ধরে একই ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন ভাড়াটে, এরম উদাহরণও নেহাত কম নেই। আবার বহু বছর একই ভাড়াটে রেখে দেওয়ায় তাঁকে সম্পত্তির অংশ দিতে হয়েছে এমন ঘটনাও ভুরি ভুরি। তাই চুক্তি করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

    আরও পড়ুন: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?  

    ভারতে সাধারণত ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। কখনও ভেবে দেখেছেন এই চুক্তি ১১ মাসেরই কেন! বেশি বা কম নেয় কেন?

    ১১ মাসের চুক্তি করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

    ১। এর একটি বড় কারণ হল, ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮- এর সেকশন ১৭ (ডি) অনুযায়ী, এক বছরের কম কোনও বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করলে আলাদা করে রেজকিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন পড়ে না। রেজিস্ট্রেশন  প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ মেয়াদী এবং জটিল। ফলে বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটে কাউকেই এই ঝামেলার মধ্যে যেতে হয় না। 

    ২। ১১ মাসের চুক্তি থাকলে ভাড়াটে- বাড়িওয়ালার মধ্যে কোনও আইনি লড়াই হলে জটিলতা এড়ানো যায়। কারণ বাড়িওয়ালার কাছে ১১ মাসের চুক্তির প্রমাণ থাকে। ফলে ভাড়াটের সেই সম্পত্তিতে কোনও অধিকারের প্রশ্নই ওঠে না।

    আরও পড়ুন: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    ৩। রেজিস্ট্রেশন করতে হয় না বলে রেজিস্ট্রেশন ফি থেকেও বেঁচে যান বাড়ির মালিক- ভাড়াটে উভয়েই।  

    ৪। এক বছরের কম সময়ের বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির টাকাও অনেকটাই কমে আসে। 

    শুধুমাত্র মুম্বাইতেই ৫ বছরের জন্যে বাড়ি লিজ দেওয়ার চল রয়েছে। দিল্লি বা বাংলার মতো দেশের বহু রাজ্যেই ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। দেশের বাইরেও দীর্ঘ দিনের বাড়ি ভাড়ার চুক্তির রেওয়াজ উঠে গিয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও যদি কোনও ভাড়াটে থেকে যান, তাহলে ধরে হয় যে সে জোর করে আছেন বা পুনরায় চুক্তি করা হয়েছে। 

     

  • Student Toilet Child Birth: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    Student Toilet Child Birth: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অদ্ভুত ঘটনা। হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ায় শৌচালয়ে (Toilet) গিয়ে সন্তানের জন্ম (Give Birth) দিলেন যুক্তরাজ্যের (United Kingdom) এক তরুণী। সন্তান জন্মের পরের দিনই ২০ বছরে পদার্পণ করলেন এই তরুণী মা। 

    পরদিনই রাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা। আগের রাতে পেটে ব্যথার কারণে শৌচালয়ে যান সাউথঅ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ে  ইতিহাস ও রাজনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জেস ডেভিস ( Jess Davis)। আর সবাইকে হতবাক করে জন্ম দেন সন্তানের। এমনকি সন্তান যে ধীরে ধীরে তাঁর গর্ভে বেড়ে উঠেছে এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না ডেভিসেরও। ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসীরাও। জেস ডেভিস নামের ওই ছাত্রী ব্রিস্টলের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা তা বুঝতেই পারেননি। কয়েকদিন ধরে পেটে যে ব্যথা অনুভব করছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন ঋতুস্রাবের কারণেই হয়তো ব্যথা। 

    সন্তানসম্ভবনা হওয়ার কোনও উপসর্গও দেখা যায়নি ডেভিসের শরীরে। এমনকি ‘বেবি বাম্প’ – এর চিহ্ন মাত্র ছিল না। তাঁর ঋতুস্রাবও অনিমিয়ত হওয়ায় ঋতুস্রাব যে বন্ধ হয়েছে তাও জানাননি কাউকে। ১১ জুন মাত্র ২০ বছর বয়সেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা 

    বাচ্চাটি জন্মানোর পরেই ডেভিস এবং শিশুকে প্রিন্সেস অ্যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটিকে একটি ইনকিউবেটরে রাখেন ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি ৩৫ সপ্তাহেই জন্ম নিয়েছে ডেভিসের শিশু। মা ও শিশু এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের   

    শিশুর ওজন ৩ কেজি। শৌচালয়ে গিয়ে এভাবে সন্তানের জন্ম দিয়ে নিজেও হতবাক ডেভিস। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি যে, তাঁর পেট থেকে সন্তানের জন্ম হচ্ছে। কাঁদতে দেখার পর ভ্রম ভাঙে তাঁর। ওই দিন আচমকাই সকাল থেকে প্রবল পেটে ব্যথা শুরু হয়েছিল তাঁর। শুতে পারছিলেন না তিনি, ফলে বার বার শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন। 

    পরদিন ছিল ডেভিসের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে বাড়িতেই সারা রাত পার্টির আয়োজন হয়েছিল। সেই রাতেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই পরিস্থিতির পর প্রিয় বন্ধু লিভ কিংকে ফোন করেন ডেভিস। তিনি এসে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যান মা এবং সদ্যজাতকে। সন্তানকে আপাতত প্রিন্সেস অ্যান হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।     

     

  • CCPA Guidelines: হোটেল খেতে গিয়ে ‘সার্ভিস চার্জ’ নিচ্ছে? কোথায় অভিযোগ জানাবেন, জেনে নিন…

    CCPA Guidelines: হোটেল খেতে গিয়ে ‘সার্ভিস চার্জ’ নিচ্ছে? কোথায় অভিযোগ জানাবেন, জেনে নিন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেল-রেস্তোরাঁয় (Hotel and Restaurants) ক্রেতাদের থেকে আর সার্ভিস চার্জ (Service Charge) নেওয়া যাবে না, সম্প্রতি একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘোষণায় স্বস্তি পেয়েছেন ক্রেতারা। কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক (Central Consumer Protection Authority) (CCPA) সোমবার ৪ জুলাই নতুন একটি নির্দেশিকা (Guidelines) জারি করে জানিয়েছে যে, এবার থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সার্ভিস চার্জ নিলে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন ক্রেতারা।

    এর আগেও কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে হোটেল-রেস্তোরাঁয় নেওয়া সার্ভিস চার্জ “বেআইনি”। জাতীয় রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনকে  এই নিয়ম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় এবারে কড়া নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে যদি কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁ কেন্দ্রের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে ক্রেতাদের থেকে সার্ভিস চার্জ নেয় তাহলে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ক্রেতারা অভিযোগ জানাতে পারবেন। জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক থেকে যেসব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেগুলো হল- 

    আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ ‘সার্ভিস চার্জ’ নিচ্ছে? তাহলে জেনে রাখুন এই সরকারি নিয়ম

    • কোনও হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভুলবশতও সার্ভিস চার্জ যোগ করতে পারবে না।
    • অন্য কিছুর নাম করেও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না।
    • হোটেল ও রেস্তোরাঁ জোর করেও ক্রেতাদের থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না । উপভোক্তাদের জানিয়ে দিতে হবে যে সার্ভিস চার্জ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
    • খাবারে বিলের সঙ্গেও অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা চলবে না।

    এই নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করলে উপভোক্তারা কীভাবে অভিযোগ করতে পারবেন?

    • প্রথমে উপভোক্তারা হোটেল বা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে বিল থেকে সার্ভিস চার্জ সরানোর আবেদন করতে পারেন।
    • এরপরেও না মানলে ক্রেতারা জাতীয় ক্রেতা হেল্পলাইনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন ও ১৯১৫ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করতে পারেন।
    • এছাড়াও http://www.edaakhil.nic.in. এই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ করা যাবে।
    • অন্যদিকে যে জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গার জেলা শাসকের কাছেও অভিযোগ করা যাবে। আবার কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের মেল অ্যাকাউন্টেও ccpa@nic.in. মামলা দায়ের করতে পারেন।

    এই কেন্দ্রীয় নির্দেশে এও বলা হয়েছে, অনেক গ্রাহকই আছেন যাঁরা খুশি হয়ে রেস্তোরাঁয় এখনও টিপস দেন। বকশিস বা টিপস দেওয়া কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আলাদা ভাবে কোনও ক্রেতার থেকে টাকা আদায় করা যাবে না। সুতরাং এইসব নির্দেশ না মানলে ক্রেতারা যদি অভিযোগ করে থাকেন তবে হোটেল বা রেস্তোরাঁর বিরূদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • Modi in Andhra Pradesh: অল্পের জন্য বাঁচলেন মোদি! প্রধানমন্ত্রীর কপ্টারের সামনে গ্য়াসবেলুন

    Modi in Andhra Pradesh: অল্পের জন্য বাঁচলেন মোদি! প্রধানমন্ত্রীর কপ্টারের সামনে গ্য়াসবেলুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় বড় ফাঁক। অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে ফেরার পথে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হেলিকপ্টারের সামনে উড়ল কালো বেলুন। বিজয়ওয়াড়া হেলিপ্যাড চত্বরে শোনা গেল ‘মোদি গো ব্যাক’ স্লোগান। কিন্তু এ কেমন প্রতিবাদ! বিপজ্জনক! যার জন্য ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনাও। বিপদের হাত রেখে রক্ষা পেলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কপ্টারের সামনে গ্যাস বেলুনের ঝাঁক ওড়ালেন কংগ্রেসের প্রতিবাদীরা। বিজয়ওয়াড়ায় সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’ জনকে।  এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মীকে আটকও করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     সূত্রের খবর, সোমবার সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের তরফে প্রতীকী প্রতিবাদ স্বরূপ এই কালো বেলুন ওড়ানো হয়। আর তার জেরেই বিঘ্নিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর চপার আসা-যাওয়ার রুটকে সম্পূর্ণভাবে ‘নো-ফ্লাই জোন’ করে দেওয়া হয়। বেলুন, ড্রোন এমকী ঘুড়ি ওড়ানোয় পর্যন্ত নিষিদ্ধ। সে ক্ষেত্রে এদিনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী করে একটি নো-ফ্লাই জোনে এভাবে কালো বেলুন ওড়ানো গেল? অন্ধ্রপ্রদেশের ভীমাভরমে এদিন মোদি আল্লুরি সীতারাম রাজুর (Alluri Sitarama Raju) মূর্তি উন্মোচন করতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথেই ঘটে এই বিপত্তি। 

    আরও পড়ুন: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    আল্লুরি সীতারাম ১৯২২ সালে শুরু হওয়া রাম্পা বিদ্রোহের (Rampa Kranti) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষ তাঁকে ‘মান্যম ভিরুডু’ (জঙ্গলের নায়ক) নামেই চেনেন। মোদি এদিন বলেন, “যখন আমাদের যুবক, আদিবাসী, মহিলা, দলিত এবং নিপীড়িতরা দেশকে নেতৃত্ব দেবে তখনই ‘নতুন ভারত’ তৈরি করা থেকে কেউ বাধা দিতে পারবে না।” এদিন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত পাসলা কৃষ্ণ মূর্তির পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর কন্যা পাসলা কৃষ্ণ ভারতীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ৯০ বছর বয়সী পাসলা কৃষ্ণ ভারতী হুইলচেয়ারে বসেই প্রধানমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করেন।

  • Maharashtra Political Crisis: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    Maharashtra Political Crisis: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহও হয়নি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (CM) পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। আজ, সোমবার মহারাষ্ট্র (maharashtra) বিধানসভায় (assembly) আস্থা ভোট (floor test)। তার আগে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) কটাক্ষ করলেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। নতুন সরকার কত দিন টিকবে তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের ‘স্ট্রংম্যান’। রবিবার সন্ধ্যায় এনসিপির বৈঠকে পওয়ার বলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই পতন হতে পারে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের। সে কারণে মহারাষ্ট্রে অসময়ে নির্বাচনও হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই সকলকে প্রস্তুত থাকার আবেদন করেছেন। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল

    রবিবার এনসিপির বিধায়ক এবং অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাওয়ার। সেই সময় তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের নবগঠিত সরকারের পতন হতে পারে ৬ মাসের মধ্যেই। সেই কারণে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য তৈরি থাকতে হবে। পাওয়ারকে উদ্ধৃত করে বৈঠক শেষে এক এনসিপি নেতা বলেছেন, ‘‘শিন্ডেকে যাঁরা সমর্থন করেছেন, সেই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কের অনেকেই খুশি নন। এ কথা বলেছেন পওয়ার। তাঁর মতে, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের পরই অসন্তোষ বাড়বে। যার ফলে সরকার পড়ে যাবে।’’ ওই নেতার কথায়, পাওয়ার জানিয়েছেন, একনাথ শিন্ডের পরীক্ষা ব্যর্থ হবে এবং এর ফলে অনেক বিদ্রোহী তাঁদের পুরোন দলে ফিরে আসবেন। তিনি বলেছেন, হাতে মাত্র ছয়মাস সময় রয়েছে, সেই কারণে এনসিপি বিধায়কদের নিজের নিজের বিধানসভা এলাকায় আরও বেশি করে সময় দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনায় উদ্ধব-জমানার শেষ?

    বিজেপির (BJP) সঙ্গে জোট বেঁধে শিন্ডে শিবির মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছে। সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন একনাথ। উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে সঙ্ঘাতের পারদ ক্রমশ চড়ছে। শিবসেনার অন্দরে জটিলতা রোজই বাড়ছে। এই অবস্থায় পওয়ারের মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে, রাজনৈতিক মহল।

     

  • Rajdhani Express: গতি বাড়ল রাজধানী এক্সপ্রেসের, হাওড়া থেকে দিল্লি মাত্র ১৪ ঘণ্টায়

    Rajdhani Express: গতি বাড়ল রাজধানী এক্সপ্রেসের, হাওড়া থেকে দিল্লি মাত্র ১৪ ঘণ্টায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবারে হাওড়া থেকে দিল্লি যাওয়ার রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express) ট্রেনটির গতি বাড়ানো হল। ফলে হাওড়া  (Howrah) থেকে দিল্লি (Delhi) যেতে আগের তুলনায় এখন আড়াই ঘন্টা কম সময় লাগবে। ট্রেনটির গতি বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার করা হয়েছে।

    ভারতীয় রেলে (Indian Railways) রাজধানী এক্সপ্রেসের এক অন্যতম গুরুত্ব রয়েছে। এই ট্রেনটির চলতি বছরে ৫৩ বছর পূর্ণ হল। ১৯৬৯ সালের ১ মার্চে প্রথমবারের জন্য রাজধানী এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে দিল্লির দিকে ছুটেছিল। এই ট্রেন আজও ভারতীয় রেলওয়ের জন্য এক অন্যতম গর্ব। হাওড়া থেকে দিল্লি যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ট্রেনটির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: এবার রেল-সূত্রে ভারতের সঙ্গে বাঁধা পড়তে চলেছে ভুটানও?

    এতবছর পরেও ভারতীয় ট্রেনের তালিকায় এই ট্রেনটি প্রিমিয়াম ট্রেনের তালিকায় রয়েছে। ১৯৬৯ সালে ১ মার্চ হাওড়া জংশন স্টেশন থেকে নয়া দিল্লি জংশনের দিকে ছুটে গিয়েছিল দেশের প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেস। বিকেল ৪ টে বেজে ৫০ মিনিটে এই ট্রেন ছেড়েছিল ও সেটি পরের দিন সকাল ১০ টা বেজে ৫ মিনিটে দিল্লিতে গিয়ে পৌঁছেছিল। তখন ট্রেনের টিকিটের ভাড়া ছিল মাত্র ২৮০ টাকা। অন্যদিক থেকে একই সঙ্গে ট্রেনটি ১ মার্চ নিউ দিল্লি থেকে ছেড়েছিল হাওড়ার উদ্দেশ্যে। সেটি বিকেল ৪ টে বেজে ৫০ মিনিটে ছেড়েছিল। পরের দিন সকাল ৯ টা বেজে ৫৫ মিনিটে  হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে ছিল। আগে এই ট্রেনটির যেতে সময় লাগত ১৭ ঘণ্টা ১৫ মিনিট, সেটিই এখন কমে হয়েছে ১৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। অর্থাৎ এখন ১৫২৫ কিলোমিটারের দূরত্বে এই রাজধানী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে  যাতায়াত করতে সময় লাগবে ১৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

    তবে বর্তমানে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন আসলেও রাজধানী এক্সপ্রেসের কোনো তুলনা হয়না। হাওড়া থেকে দিল্লি পৌঁছতে হলে এখনও এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে সকলের প্রথম পছন্দ ৫৩ বছরের পুরনো ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’-ই।  

    আরও পড়ুন: ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে 

     

  • G7 Summit: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    G7 Summit: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি চলছে গ্রুপ ছবি তোলার। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হঠাতই  মোদিকে পিছন থেকে কাঁধে হাত দিয়ে ডাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট  (US President) জো বাইডেন (Joe Biden)! একটু চমকে গেলেও বাইডেনকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ভাইরাল জি-৭ বৈঠকের সেই ভিডিও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই আচরণ ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। 

    জি-৭ বৈঠকে (G7 summit) যোগ দিতে দু দিনের সফরে জার্মানির (Germany) মিউনিখে গিয়েছেন মোদি। সেখানে নানা দেশের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন প্রধানমন্ত্রী। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মোদিকে দূর থেকে দেখতে পেয়ে সেখানে হাজির হন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রীও বাইডেনকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুই শীর্ষ নেতার একাত্মতা। ক্যামেরা বন্দি হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের বুনট। 

    [tw]


    [/tw]

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। ভারত সেখানে গুরুত্ববপূর্ণ স্থান দখল করে। ভারত প্রযুক্তির কেন্দ্র। বিশেষত ভারতে ক্রেতাদের বিপুল বাজার রয়েছে। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির জিনিসও সেখানে তৈরি হয়। তাই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত করতে চায় আমেরিকা। এশিয়া মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ভারত অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে। চিন হোক বা আমেরিকা, সকলেই ভারতের এই সক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে আটকাতে গেলে, ভারতকে পাশে পাওয়াটা যে  জরুরি তা জানেন বাইডেন। তাই নিজে এগিয়ে এসে বন্ধুত্বের ভিত মজবুত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশে থাকার বার্তা দিল ভারতও। 

    আরও পড়ুন: দুই বন্ধুর চায়ে পে চর্চা! জি-৭ বৈঠকে আলাপচারিতায় মোদি-মাক্রঁ

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে  আমেরিকা সহ ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলির যত চাপই থাক না কেন, নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসবে না নয়াদিল্লি জি-৭ বৈঠকেও সে কথা বুঝিয়ে দেন মোদি। শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের গরিব দেশগুলির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য এই মুহূর্তে আমেরিকা এবং পশ্চিমের কিছু দেশের চাপ রয়েছে ভারতের উপর। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমের দেশগুলিকে শুনিয়ে এদিন মোদি বলেন, “আপনারা আশা করি সবাই একমত হবেন, শক্তি শুধুমাত্র ধনীদেরই হাতের মুঠোয় থাকবে এটা হতে পারে না। আর এখন ভূকৌশলগত কারণে যখন জ্বালানির দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন এই কথাটা মনে রাখা আরও জরুরি।” সোমবার মিউনিখে জি-৭ বৈঠকে পরিবেশ, শক্তি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অধিবেশনে ভারতের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন মোদি। 

  • Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet Muhammad) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। কিন্তু এবার নূপুর শর্মার হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিরোধিতায় কলম ধরলেন ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার  (Bureaucrats)।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের   

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পাদ্রিওয়ালা রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন নূপুর শর্মাকে। দেশেজুড়ে হিংসার জন্য তাঁকেই দায়ী করেন তাঁরা। বিচারপতিরা বলেন, “সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পাদ্রিওয়ালা।

    আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ  

    নূপুর শর্মা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এফআইআরগুলি একত্রিত করে দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন জানান। আদালত ১ জুলাই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নূপুর শর্মার ‘লাগামহীন জিভ’ হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।   

    এই মন্তব্য ঠিক নয় বলে খোলা চিঠিতে জানান ১১৭ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁরা লেখেন, “ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, চেতনা এবং সারমর্মের উপর এই মন্তব্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি কোনও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য নয় এবং সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতা এবং সম্মানকে প্রভাবিত করে এই মন্তব্য।”   

    চিঠিতে আরও লেখা হয়, “দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় দুর্ভাগ্যজনক ও নজিরবিহীন। এই মন্তব্যের সঙ্গে দেশের বিচারবিভাগের কোনও সামঞ্জস্য নেই। ইতিহাসের পাতা ওল্টালেও এমন তথ্য পাওয়া যাবে না। ইস্যুটির সঙ্গে পর্যবেক্ষণগুলির কোনও সংযোগ নেই।” 

    প্রাক্তনদের চিঠিতে নূপুর শর্মাকে কেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি প্রশাংসা পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। নূপুর শর্মা ইস্যুতে মন্তব্য সর্বোচ্চ  আদালতের পবিত্রতা আর সম্মানকে প্রভাবিত করবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।    

    এই চিঠিতে মোট ১১৭ জন স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ক্ষিতিজ ব্যাস, গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএম সোনি, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএস রাঠোর, প্রশান্ত আগরওয়াল, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএন ধিংরা। প্রাক্তন আইএএস অফিসার আরএস গোপালন এবং এস কৃষ্ণ কুমার, প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ অফিসার এসপি বৈদ এবং পিসি ডোগরা, অবসরপ্রাপ্ত  লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে চতুর্বেদী ও প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এসপি সিং।

     

LinkedIn
Share