Blog

  • Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জের। গোটা দেশে প্রবলভাবে সমালোচিত তৃণমূলের (Trinamool) সাংসদ (MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মঙ্গলবার মা কালীকে (Smoking Kali Controversy) নিয়ে একটি বিবৃতি দেন সাংসদ। কিন্তু সেই মন্তব্যের দায় নেয়নি দল। অভিমান হয়েছে মহুয়ার। দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করেছেন তিনি। এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের হল। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে শুরু করে বউবাজার থানা প্রতিটি জায়গাতেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার  

    দেবী কালী নিয়ে মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কালীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে বিজেপি ৷ এই নিয়ে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা।

    সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আজ বিজেপির তরফে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় । পাশাপাশি মোট ৫৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সেই সময় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি না থাকায়, আজ বিকেলে বিজেপির তরফে জানানো অভিযোগগুলির নম্বর তাদের দেওয়া হবে। এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। কালী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা৷ এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী জানান, “আমরা গোটা রাজ্যজুড়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।”

    লীনা মণিমেকলাইয়ের একটি তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এতে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টারে দেবী কালীর হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা যায়। এই পোস্টার বিতর্কের মাঝেই মহুয়া বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।” মহুয়ার এই মন্তব্যের পরেই তাঁর পাশ থেকে সরে যায় তৃণমূল। সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলে,  মন্তব্যের দায় দলের নয়। এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল ট্যুইটারে আনফলো করেন মহুয়া। 

    মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে তৃণমূল। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ নেবেন।”       

    বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে তৃণমূল দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল যদি সমর্থন না করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহুয়াকে সাসপেন্ড করা উচিত দল থেকে।

    কৃষ্ণনগরের সাংসদ এদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে নিজের মতামত থেকে সরে এসে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না।’ ট্যুইটে মহুয়া আরও লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ভোপালেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহুয়ার মন্তব্যে আপত্তি তোলার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং হিন্দু দেব-দেবীর অবমাননা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবে না।” এরপরই ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার খবর জানান ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার শৈলেন্দ্র চৌহান।   

    মহুয়ার এই দুর্দিনে তিনি কাছে পাননি বন্ধু দল কংগ্রেসকেও। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি (Avishek Singhvi) সাংসদের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।    

  • Viral Video: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয়

    Viral Video: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইরে খেতে যেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু যেতে পারছেন না বৃষ্টির জন্য? তাই বাড়িতে বসেই খাবার অর্ডার করছেন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা থেকে! কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন যারা খাবার সরবরাহ করছে তাঁদেরকেও এই ঝড়-বৃষ্টি পেরিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে হচ্ছে। ফলে এক ডেলিভারি বয় এই জলমগ্ন রাস্তায় খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে এক অবাক কাণ্ড করে বসলেন, যার ফলে তিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    বৃষ্টির ফলে রাস্তায় জমেছে জল। গাড়ি আটকে যাচ্ছে জলে। কিন্তু কর্তব্য পালন তিনি অনড়। সময়ের মধ্যেই কাস্টমারের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা দিয়ে যখন বাইক নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না, তখন একটা উপায় তো বের করতেই হবে। তখন তিনি এক অভিনব উপায় বের করলেন। ওই ডেলিভারি বয় গাড়ির বদলে ঘোড়া নিয়ে ছুটলেন খাবার পৌঁছে দিতে।

    [tw]


    [/tw]

    যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও, অনেকেই প্রশংসা করেছেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে ছুটছে ঘোড়া। তার ওপরে বসে রয়েছেন ওই যুবক ও তাঁর পিঠে জনপ্রিয় খাবার সরবরাহকারী সংস্থা ‘সুইগি’-র (Swiggy) ব্যাগ। আর এই ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। ঘটনাটি মুম্বইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট করে কেউ লিখেছেন, ‘একেই বলে শাহি ডেলিভারি।’ আর একজন লিখেছেন, ‘আশা করি পিৎজা ডেলিভারি করছেন না এই ছেলেটি।’

    আরও পড়ুন: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, হাসপাতালে সিরিঞ্জে করে মদ নিয়ে গিয়ে গলায় দিলেন মেয়ে

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (Indian Meteorological Department) শহরে বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে। অবিরাম বৃষ্টির জন্যে কালবাদেবী (Kalbadevi) ও সিয়ন (Sion) এলাকায় দুটি বাড়ি ভেঙেও পড়েছে। যদিও এতে কেউ আহত হননি এবং কিছু ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  আর এর মধ্যেই সুইগি ডেলিভারি বয়ের এই কাণ্ড নেট দুনিয়ায় ভাইরাল । নেটিজেনরাও হতবাক।

  • Loudspeaker in mosques: মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার মৌলিক অধিকার নয়, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Loudspeaker in mosques: মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার মৌলিক অধিকার নয়, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদে আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার মৌলিক অধিকার নয়। শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানি ছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেখানেই এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানান হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন এহেন মামলা খারিজও করে দেওয়া হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে। খাজির করে দেওয়া হয়েছে মসজিদে লাউডস্পিকার লাগানোর দাবিও।

    উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁ জেলার ধোরানপুর গ্রামের নুরি মসজিদে লাউড স্পিকার লাগানোর অনুমতি চেয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে সেই অনুমতি দেননি জেলাশাসক। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ইরফান নামে এক ব্যক্তি অতিরিক্ত জেলাশাসকের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। আদালতের দ্বারস্থ হন তিনিও। আবেদনকারী আদালতে জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। লাউডস্পিকার লাগাতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি বলেও হাইকোর্টে দাবি করা হয়। বিচারপতি বিবেককুমার বিড়লা এবং বিচারপতি বিকাশের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। একাধিকবার হয় সওয়াল জবাবও। তার পরেই শুক্রবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, মসজিদে আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার কখনওই মৌলিক অধিকার নয়।

    মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। দিনকয়েক আগে মহারাষ্ট্রে এব্যাপারে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রাজ ঠাকরে। বলেছিলেন, অবিলম্বে মসজিদগুলি থেকে লাউডস্পিকার খুলতে হবে। না হলে যে সব মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানো হবে, সেখানে বাজানো হবে হনুমান চালিশা। হুঁশিয়ারির জেরে রাজের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে রুজু হয়েছে মামলাও। এমতাবস্থায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এদিকে, যে রাজ্যের হাইকোর্টের এহেন পর্যবেক্ষণ, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি অবশ্য ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের পক্ষপাতী। তবে তা করতে হবে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে। এবং লাউডস্পিকারের শব্দের সীমা থাকতে হবে উপাসনাস্থল চত্বরের মধ্যে। তিনি অবশ্য জানান, নতুন করে কাউকে লাউড স্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

    প্রসঙ্গত, যোগীর নির্দেশ মেনে উত্তর প্রদেশের ১৭০০ মন্দির-মসজিদে কমানো হয়েছে লাউডস্পিকারের সাউন্ড।

     

     

  • Supreme court: জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও

    Supreme court: জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্চর্য সমাপতন!জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি করছেন যাঁরা, তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার ফয়সালায়ও। দুই মামলার ব্যবধান কয়েক বছরের। অথচ কী অদ্ভুতভাবে দুই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) দুই বিচারপতি।

    ২০১৯ সালের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার। অযোধ্যার যে জায়গায় এখন রামলালা মন্দির গড়ে উঠছে, এক সময় সেখানেই ছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, রামলালার মন্দির ভেঙেই মুঘল আমলে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ। যদিও বাবরি মসজিদ কমিটির দাবি ছিল, রামলালা নয়, মসজিদ যেখানে রয়েছে, সেখানেই ছিল দীর্ঘকাল। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট রামলালার মন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায়দান করে। বাবরি মসজিদ কমিটিকে সম পরিমাণ জমি দেওয়া হয় অন্যত্র। এভাবেই ইতি পড়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা মামলায়। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলায় যুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়(Dhananjaya y chandrachud)। ওই মামলায় অংশ নিয়েছিলেন পিএস নরসিমাও(P S Narasimha)। ২০১৯ সালে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন ওই মামলার। সেই বেঞ্চে ছিলেন চন্দ্রচূড়ও। আর নরসিমা ওই বছর বিচারক ছিলেন না ঠিকই, তবে তিনি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি। ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনিও। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হয়ে মামলা লড়ছিলেন তিনি। এই মামলায় চন্দ্রচূড়ের যে বেঞ্চ, সেই বেঞ্চের সামনে যুক্তিজাল বিস্তার করেন তিনি। ওই মামলার রায়দানের পরে কেটে গিয়েছে দু’ বছরেরও বেশি সময়। সরযূ নদী দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। আরও একটি মামলায় যুক্ত হয়েছেন চন্দ্রচূড় ও নরসিমা। এই মামলাও উত্তর প্রদেশের। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় এক সময় ছিল কাশী শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি তাদের। আর জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) কমিটির দাবি, মসজিদ রয়েছে দীর্ঘকাল। নমাজও পড়া হয় নিয়মিত।

    এই মামলাও উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায়ও জড়িয়ে গিয়েছেন চন্দ্রচূড় এবং নরসিমা। এঁরাই মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিডিওগ্রাফির বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির একটি আবেদন বিবেচনা করেন। এই কমিটিই বারাণসী সিভিল কোর্ট নির্দেশিত সমীক্ষায় স্থগিত চেয়েছে। মন্দির-মসজিদ বিতর্কের(temple mosque controversy) অবসানে ফের কাটো কোটটা গায়ে চড়াবেন এই দুই বিচারপতি! 

    আরও পড়ুন : ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

  • Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) যে বহাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim), তা অনেক আগেই জানা ছিল। এবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকেই এখনও ভারতে বসবাসকারী নিজের ভাই বোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন।

    আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই  মামলায়  বেশ কয়েকজন সাক্ষীকে জেরা করেছে তারা। কিছুদিন আগেই আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মালিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এক সাক্ষী জেরায় স্বীকার করেছে যে, ইকবাল কাসকর (Iqbal Kaskar) একবার তাকে বলেছিল, তার দাদা দাউদ প্রতিমাসে তাদের বোন হাসিনাকে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায়। 

    ইডি বলেছে, খলিদ উসমান শেখ নামে ওই সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী, পরিচিতদের মাধ্যমে দাউদ টাকা পাঠায়। কাসকরও প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পেত। বেশ কয়েকবার, দাউদের থেকে প্রাপ্ত টাকাও দেখিয়েছিল কাসকর। ইডি জানিয়েছে, খালিদের দাদা ছিল কাসকরের বাল্যবন্ধু। গ্যাং ওয়ারে মারা যায় সে। সেই দাদার সঙ্গে আবার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের (Haseena Parkar) গাড়িচালক তথা দেহরক্ষী সলিম প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইডি-র দাবি, জেরায় খালিদ জানিয়েছে, প্যাটেল তাকে জানিয়েছিল – সে আর হাসিনা দাউদের নামে টাকা আদায় করত, সম্পত্তি কব্জা করত। মুম্বইয়ের কুর্লাতে এমনই একটি সম্পত্তি কব্জা করেছিল পার্কার-প্যাটেল। পরে তা নবাব মালিককে বেচে দেওয়া হয়।

    মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    এর আগেও, বিভিন্ন মামলায় একাধিক সাক্ষী স্বীকার করেছে যে, দাউদ রয়েছে পাকিস্তানেই। সেই তালিকায় যেমন কাসকর রয়েছে, তেমনই রয়েছে হাসিনা পার্কারের ছেলে আলিশাহ। কাসকর জানিয়েছিল, দাউদের স্ত্রীর নাম মেহজাবীন। পাঁচ সন্তান রয়েছে। এক ছেলে, নাম মঈন। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার আলিশাহ জানিয়েছে, ইদ-দীপাবলির মতো উৎসবের সময় মেহজবীন তাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করত। 

    আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের (1993 Bombay Blasts) পর থেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ভারত। অনেকবারই হাতের নাগালে এসেও ফসকে গিয়েছে এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া। সম্প্রতি দাউদকে খুঁজতে আবার কোমর বেঁধেছে এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। ‘ডি কোম্পানি’-র বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় (Money Laundering Case) মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিককে আগেই গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।  

  • Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ধর্মীয় আচারে লাগল রাজনীতির রং!

    মঠাধীশকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় ইতি টানল একটি সরকারি নির্দেশিকা। যার জেরে তপ্ত হয়েছে তামিলনাডুর রাজনৈতিক আবহ। শাসক দলের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বিরোধী দলগুলির।

    ফি বছর মঠাধ্যক্ষকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। তামিলনাড়ুতে এই প্রথা পত্তিনম প্রবেশম নামে খ্যাত। প্রতি বছর মাইলাদুথুরাই জেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মপূরম অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষ। শৈবদের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র এটি। চলতি বছরে এই ধর্মীয় আচার পালনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অশান্তির সূত্রপাত তা নিয়েই।

    ২২ মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। প্রথা অনুযায়ী, মঠাধ্যক্ষকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে নগর পরিভ্রমণ করা হয়। প্রশাসনের যুক্ত, ধর্মপূরম মঠের এই প্রথা মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই প্রথা চলতে দেওয়া যায় না। প্রথা পালন করতে গিয়ে হতে পারে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিও। সেটাও প্রথা রদের একটা কারণ বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।

    প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এম কে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায়ই সরব হয়েছে বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেও অবশ্য প্রশমিত হয়নি বিরোধীদের ক্ষোভ।

    ডিএমকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি নিজেই মঠাধ্যক্ষের পালকি বহন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মপূরম মঠের পাশে দাঁড়িয়েছে মাদুরাই অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষও। এই মঠের মঠাধীশ বলেন, প্রাচীন এই মঠের ধর্মীয় প্রথাকে সম্মান জানানো উচিত। এর বিরোধিতা করা ঠিক হবে না। চলতি বছরেও যাতে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।  

     

  • Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে সবারই কোনও না কোনও সমস্যা দেখা যায়। একদিকে যেমন শারীরিক ক্লান্তি থেকে শুরু করে শক্তির অভাব, মাথা ব্যথা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তেমনি অ্যাসিডিটি বা বদহজম প্রায়ই অস্বস্তি তৈরি করে। গরমকালে খাবার হজম করা খুবই কঠিন, ফলে হজমের গোলমাল বেশিই দেখা যায়।

    ছোটবেলায় আপনার যখন হজমের সমস্যা দেখা যেত, মনে করে দেখুন তো, আপনার মা দ্রুত স্বস্তির জন্য কী কী করতেন। সাধারণত খাবারে দই-ভাত, খিচুড়ি খেতে দিতেন। আপেল, কলা কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা নিয়ে বলতেন। সম্ভবত ঠাকুরমা কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিতেন। সেইসঙ্গে বাবাও ফাস্টফুড না খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

    এবারে জেনে নেওয়া যাক আপনার খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার থাকলে বদহজম থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হচ্ছে যা আপনার গ্যাসের সমস্যা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্য়াসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সবরকমের সমস্যা দূর করে সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করবে।

    ১) যেসব ফলে কম পরিমাণ ফ্রুক্টোজ রয়েছে সেসব ফল খাওয়া উচিত। যেমন- আঙুর, আপেল, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। কারণ কম ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফল গ্যাস, স্ফীতভাবের সমস্যার প্রবণতাকে কম করে। বেশি ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফলগুলি হল- আম, তরমুজ, চেরি, কলা ইত্যাদি।

    ২) উপযুক্ত পরিমাণে শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে- দিনে তিনবার শস্যজাতীয় খাবার খেলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। 

    ৩) বেশি করে সবুজ শাকসবজি যেমন- পালং শাক,বাঁধাকপি খাওয়া উচিত। এই ধরণের শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখতে উপকারি ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াগুলি কীভাবে কাজ করবে তা আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে।

    ৪) খাদ্যে প্রোবায়োটিক যা কার্যকরী খাদ্য নামে পরিচিত সেগুলি বৃহদান্ত্রের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক খাবার যেমন- দই, চিজ ইত্যাদি। 

    দই- বাড়িতে তৈরি দই, বাটারমিল্ক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    কেফির – কেফিরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী।
     
    চিজ-খাদ্যতালিকায় চিজ রাখা উচিত কারণ এর প্রোবায়োটিক শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

    ৫) শেষে যার কথা না বললেই নয়, তা হল জল। জল ছাড়া সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয়। জল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।  তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ৬-৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত।

    এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো উচিত। পুষ্টিকর খাদ্য় খাওয়া উচিত। সঙ্গে ব্যায়ামও করা উচিত। আবার সময়মত ডাক্তারের পরামর্শও নেওয়া উচিত।

     

  • Bahmani fort:  বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    Bahmani fort: বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi mosque) পর এবার খবরের শিরোনামে কর্নাটকের (Karnataka) বিখ্যাত বাহমানি দুর্গ (Bahmani fort)। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই দুর্গের ভিতরে মিলেছে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের (Lord Somalingeshwara) হদিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাদের দাবি, দুর্গের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে ভগবান সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির। মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের দাবিও জানান তাঁরা।

    কর্নাটকের কালবুর্গি জেলায় রয়েছে বাহমানি দুর্গ। বাহমানি সালতানাতের শাসক হাসান গাঙ্গু শাহ ওই দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বাহমানি শাসকরা সোমলিঙ্গশ্বরের মন্দিরের ওপর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ৭০ একরেরও বেশি জমি জুড়ে রয়েছে দুর্গের বিস্তার। এই দুর্গের ভিতরেই নির্মিত হয়েছিল জামিয়া মসজিদ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের কর্মীরা বিশ্বাস করেন, সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরটি দ্বাদশ শতকে কল্যাণী চালুক্য রাজবংশের সময় নির্মিত হয়েছিল। পরে আক্রমণ করে বাহমানি সুলতান। তারাই ধ্বংস করেছিল সব। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির অভিযোগ, শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস সম্বলিত সোমেশ্বর মন্দিরটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা অবহেলিত হয়েছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কার করা। তাদের হুঁশিয়ারি, সরকার যদি আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shingar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে।

    ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    এই আবহেই বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের হদিশ মেলার খবরে সরগরম কর্নাটক। প্রসঙ্গত, রবিবারই এই রাজ্যেরই ম্যাঙ্গালুরুর এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা।

     

     

  • gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের পিছিয়ে গেল বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। ২৬ মে, বৃহস্পতিবার এই মামলায় মসজিদ কমিটির আবেদন শুনবে বলে জানিয়েছে বারাণসী জেলা আদলত। আদালত উভয় পক্ষকেই কমিশনের প্রতিবেদনে আপত্তি জানাতে ও এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।  

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) নির্দেশে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। ১৮০০ শতকে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর একটি মূর্তি উপহার দেন নেপালের রানা। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    এই জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাঁচ মহিলা। সেই আবেদনের শুনানির পরে সোমবার পর্যন্ত নির্দেশ সংরক্ষিত রেখেছিলেন জেলা বিচারক এ কে বিশ্বাস। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালতে।

    মসজিদ পরিচালনা করে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (anjuman intezamia masjid committee)। এই কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতেই বারাণসী দায়রা আদালত থেকে ওই স্পর্শকাতর মামলা সরানো হয়। সোমবার মসজিদ কমিটির তরফে মসজিদ চত্বর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনটির শুনানি আগে করার আবেদন জানানো হয় বারাণসী জেলা আদালতে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    তারও আগে মসজিদে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। ভিডিওগ্রাফির পর্বে নজরদারি করার জন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে। মসজিদে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির (Videography survey) রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় সরানো হয়েছিল অজয় কুমারকে। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিল মসজিদ কমিটি।

    সোমবার দুপুরে বিচারক বিশ্বাসের এজলাসে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। তার আগেই অবশ্য আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (ISI) বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত ওজুখানা ও তহ্খানা সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায় বহাল রাখলেও, মসজিদে কোনও অবস্থায়ই নমাজ পাঠ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সোমের পর মঙ্গলবারও ফের হয় শুনানি। হিন্দুদের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু জৈন বলেন, আদালত দু পক্ষকেই কমিশনের রিপোর্টের ওপর অবজেকশন ফাইল করতে বলেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

  • Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীর নিত্য উপাসনার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তাঁরা এখন খবরের শিরোনামে। এঁদের মধ্যে চারজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই মহিলাদের পরিচয়।

    বিয়ের আগে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন লক্ষ্মী দেবী। বিয়ের পরে চলে আসেন বারাণসীতে। তাঁর স্বামী সোহনলাল আর্য। বারাণসী প্রান্তের ভিএইচপির সহ-সভাপতি। তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার ভিতরে পাওয়া কালো পাথরের কাঠামোটি আদতে একটি শিবলিঙ্গ। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন লক্ষ্মীদেবী। বলেন, আইনি লড়াইয়ে যোগ দিতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম স্বামীর কাছে। বছর ছেষট্টির এই মহিলা বলেন, আমি ও বারাণসীর অন্য মহিলারা নিয়মিত মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো করতে পারছিলাম না। বিশ্বেশ্বরের বাহন নন্দীর মূর্তি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। প্রসঙ্গত, ১৮০০ সাল নাগাদ নেপালের রানা বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মামলার আরও এক ‘পার্টি’ হলেন সীতা সাহু। বছর চল্লিশের সীতা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মা প্রভাবতী দেবী এক সময় উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে বিজেপির টিকিটে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বালগোপাল সাহু একটি জেনারেল স্টোরের মালিক। বিজেপির স্থানীয় মহানগর ইউনিটের সদস্য। তিনি বলেন, সীতা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিয়ের আগে যোগ দিয়েছিলেন আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবিরে। সীতা বলেন, নবরাত্রির সময় শৃঙ্গার গৌরী চত্বরে যাওয়ার সময় আমরা প্রতিদিন প্রার্থনা করতে পারতাম না। আমরা কেবল চত্বরটা দেখতে পেতাম।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    রেখা পাঠকের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুরোটাই বারাণসীতে। তিনি বারাণসীর অতিপরিচিত লাট ভৈরব মন্দিরের মহন্ত দয়াশঙ্কর ত্রিপাঠীর মেয়ে। তিনি বলেন, দেবতার প্রতি ভালবাসা আমার রক্তে রয়েছে। দয়াশঙ্কর বলেন, আমরা শুধু সম্মান চাই। হিন্দুত্বের জন্য মরতেও প্রস্তুত আমরা। নবরাত্রির সময় পুজো করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে রেখার। বলেন, সব মন্দিরে নবরাত্রির সময় যেভাবে পুজো করা হয়, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরেও সেইভাবেই করা উচিত।

    ছোট্ট একটি বিউটি পার্লারের মালিক মঞ্জু ব্যাস। স্বামী বিক্রম ব্যাসকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তাঁর। কিরোশী মেয়ে বারাণসী শহরের বাইরে পড়াশোনা করে। মঞ্জু বলেন, অনেকেই আমাদের সম্পর্কে জানতে চায়। আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।

    পিটিশন দাখিল করেছিলেন রাখি সিংহও। তবে তিনি ঠিক কে, তা জানা যায়নি। দিল্লিতে থাকলেও, তিনি কখনও বাকিদের সঙ্গে দেখা করেননি। রেখা বলেন, দয়া করে ওঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমরা এখন চারজন। 

     

LinkedIn
Share