Blog

  • Gold Price India, Sept 7: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    Gold Price India, Sept 7: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে সাজতে পারেন সোনার গয়নায় (Gold)। দেশে দাম পড়ল (Gold Price) সোনার। বুধবার ২২ ক্যারট সোনার ১০ গ্রামে ৫০০ টাকা দাম কমেছে। মুম্বইয়ে এদিন  ১০ গ্রাম ২২ ক্যারট সোনার দাম এদিন ছিল ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রামে দাম ৫০০ টাকা কম ছিল। চেন্নাইয়ে দাম ছিল ৪৬ হাজার ৯৫০ টাকা। দিল্লিতে ছিল ৪৬ হাজার ৫৫০টাকা। ২৪ ক্যারট সোনার দাম ১০ গ্রাম প্রতি কমেছে ৫৪০ টাকা। এদিন ২৪ ক্যারট সোনার দাম ছিল ৫০ হাজার ৬২০টাকা। তবে দাম কম হলেও সোনা কিনতে গেলে এর উপরে আপনাকে দিতে হবে জিএসটি। তাই দোকানে গয়না কেনার সময় দাম একটু বাড়লে অবাক হবেন না।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কলকাতায় রেকর্ড দাম বেড়েছিল সোনার। ২২ ক্যারট, ২৪ ক্যারট এবং ২২ ক্যারট হলমার্কযুক্ত সোনার দামে বদল এসেছিল। রেকর্ড ৫২ হাজার টাকা ছাপিয়ে ৫৪ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল দর। কিন্তু, বর্তমানে সেই দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ওঠাপড়া আছে।

    আরও পড়ুন: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন? 

    এদিন দেশের বাজারে সোনার দাম কম হওয়ার পেছনে বিশেষজ্ঞদের নানা মত রয়েছে। তাঁদের মতে সোনার দাম কম হওয়ার পেছনে মার্কিন ডলারের সঙ্গে টাকার ফারাক হয়েছে। সোনাকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চাহিদার থেকে জোগান বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই কমে হলুদ ধাতুর দাম। দেশীয় অর্থনীতির উন্নতি ঘটায় বিনিয়োগকারীরা উচ্ছ্বসিত এবং তারা আবারও তাদের অর্থ ইক্যুইটির মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ করছে যা অনেক বেশি লাভজনক। ফলে এটা বলা যেতেই পারে যে বিনিয়োগকারীরা সোনা এবং সরকারি বন্ডে তাদের বিনিয়োগ কম করছে এবং বিনিয়োগের জন্য অন্যান্য বিকল্পগুলিকে বেছে নিচ্ছে। তাই সোনা কেনার জন্য বাজারে হাহাকার পড়ছে না। হলুদ ধাতুর জোগান ঠিক থাকছে। তাই মধ্যবিত্তের নাগালে আসছে সোনার দাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asia Cup 2022: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত দল, দাবি রোহিতের! এশিয়া কাপে কার্যত বিদায় ভারতের

    Asia Cup 2022: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত দল, দাবি রোহিতের! এশিয়া কাপে কার্যত বিদায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ পর্বে ভাল শুরু করেও সুপার ফোরে ব্যাক-টু ব্যাক হারে এশিয়া কাপ থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত ভারতের। তবু দল সম্পর্কে আশাবাদী ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবরেই অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়া বিশ্বযুদ্ধে এই দল নিয়ে ভারত কী পারবে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে? অধিনায়ক রোহিত জানালেন তিনি উদ্বিগ্ন নন।  রোহিত বলেন,”দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নই আমরা। ওটা একটা অন্য সিরিজ। লড়াইটা শুরু হবে শূন্য থেকে।” তাঁর কথায়, “গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অনেক ম্যাচ জিতেছি। আমরা এখন ৯০ ভাগ সেট হওয়া দল। হয়তো কিছু পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এই দলটা খুবই উন্নত।” 

    দলের উপর ভরসা থাকলেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোক্ষম সময়ে রান করতে না পারাকেই দুষলেন ভারত অধিনায়ক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর রোহিত শর্মা বলেছেন,”আসলে আমরা ব্যাট হাতে ইনিংস ঠিক জায়গায় শেষ করতে পারিনি। দুটো ইনিংসেই আমাদের ১০-১২ রান কম ছিল।” ভারতের স্কোরবোর্ডে আরও রান দরকার ছিল বলে মনে করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপরাও। 

    ভারতের পরাজয়ে হতাশ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। ট্যুইটবার্তায় প্রসাদ জানান, এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দলের অনেকগুলো দুর্বল জায়গা রয়েছে। তা ঠিক করা প্রয়োজন। নতুবা সামনে সমস্যায় পড়তে হবে।

    এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মার ৭২ এবং সূর্যকুমারের ৩৪ রানে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে। রান পেলেন না কোহলি (virat kohli)। মিডল অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দ্বীপরাষ্ট্র। এদিনও শেষের দিকে অতিরিক্ত রান দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। মিস ফিল্ডিং, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়াইড বল, নানা ছোট ছোট ভুলে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে গেল। শেষ ওভারে পঞ্চম বলে রান আউট মিস করলেন পন্থ। 

    আরও পড়ুন: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    এশিয়া কাপ থেকে ভারতের বিদায় কার্যত নিশ্চিতই হয়ে গেছে! এখন ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা তাদের নিজেদের হাতে নেই। বাকি ম্যাচের ফলাফলের ওপর তাকিয়ে থাকতে হবে। পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের কাছে হারে, আর শ্রীলঙ্কা যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতে তবেই সম্ভাবনা থাকবে ভারতের ফাইনালে খেলার। এজন্য অবশ্য ভারতকে জিততে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (NASA) দুই মহাকাশযান ভয়েজার ১ (Voyager 1) ও ভয়েজার ২ (Voyager 2) পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল মহাকাশে। কিছুদিন আগেই ভয়েজার ২ মহাকাশে ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে, এরপর ভয়েজার ১, ৫ সেপ্টেম্বর ৪৫ বছর পূর্ণ করল। ১৯৭৭ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল এই দুটি মহাকাশযান।

    এই দুটি মহাকাশযানের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্ব অপরিসীম। মানবসভ্যতার পাঠানো প্রথম দুই মহাকাশযান ভয়েজার-১ এবং ভয়েজার-২, রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTGs) দ্বারা চালিত, যা প্লুটোনিয়ামের প্রাকৃতিক ক্ষয় দ্বারা উৎপাদিত তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এই দুটি যানই মহাকাশে ঘণ্টায় ৩০ হাজার মাইলেরও বেশি গতিবেগে এগিয়ে চলছে।

    আরও পড়ুন: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    ভয়েজার-১ যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আর তার ‘যমজ’ ভয়েজার-২ যাত্রা শুরু করেছিল তার ১৬ দিন আগে, ১৯৭৭-এর ২০ অগাস্ট। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে টাইটান IIIE-সেন্টার রকেটে ( Titan IIIE-Centaur rocket) চাপিয়ে এই দুটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভয়েজার ২ পৃথিবী থেকে ২৩.৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ও ভয়েজার ২ প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। উভয়েরই ওজন প্রায় ৮০০ কেজি এবং এতে ১১টি যন্ত্র রয়েছে যার সাহায্যে মহাকাশের বিভিন্ন জিনিসের ছবি তোলা এবং বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    তবে এক দশক আগে, ২০১২ সালের ১ অগাস্ট ভয়েজার ১ সূর্যের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ও প্রবেশ করেছে ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’-এ অর্থাৎ আন্তর্নক্ষত্রমণ্ডলের এলাকায়। দু’টি নক্ষত্রের মাঝের অঞ্চলকেই ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’ (Intersteller Space) বলা হয়। এর আগে আর কোনও মহাকাশযানই সূর্যের হেলিওস্ফিয়ার ছেড়ে ইন্টারস্টেলার স্পেসে যেতে পারেনি।

    এছাড়াও এটি বৃহস্পতির চারপাশে একটি পাতলা বলয় আবিষ্কার করেছে এবং এর দুটি নতুন জোভিয়ান চাঁদ- থিবে এবং মেটিস- এবং শনির চারপাশে পাঁচটি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছে। ভয়েজার ১-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনির চাঁদ টাইটানের বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পৃথিবী ছাড়াও অন্য পৃথিবীতে তরল থাকতে পারে এবং নাইট্রোজেন, মিথেন এবং আরও জটিল হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতিতে প্রিবায়োটিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে ভয়েজারের মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ও সুস্থভাবে বাঁচতে বিশ্বের প্রায় সব মানুষই চান। অনেকে তো আবার ১০০ বছর পর্যন্তও বেঁচে থাকতেন চান। কিন্তু কতজনই বা বাঁচেন। খুব বেশি হলে ৯০, এর বেশি বয়সেও মানুষ বেঁচে আছেন এমনটা খুব কমই দেখা যায়। তবে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে ২০২১ সালে সারা বিশ্ব থেকে ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়সী ৫০০,০০০ এরও বেশি লোক ছিল।

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশ করে যে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯৭,০০০ শতবর্ষী বাস করে,  সুতরাং এখানেই বেশি শতবর্ষী মানুষ বাস করে। এরপরে জাপানের স্থান। এখানে ৭৯০০০ শতবর্ষী বাস করেন। ১১৯ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন জাপানের এক বসবাসকারী। যার নাম ছিল কেন তানাকা। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিলে তানাকার মৃত্যুর পর, লুসিল র‌্যান্ডন নামে এক সন্ন্যাসী যিনি সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি ১১৮ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। ফলে তাঁর নাম যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    সুতরাং বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায়। তবে মেনে চলতে হবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

    1. দীর্ঘ জীবন যাপনের চাবিকাঠি হল সুস্থ জীবনযাপন করা। অবশ্যই, একটি ফিট, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ডায়েট এবং ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সিস্টার আন্দ্রে থেকে কিছু অনুপ্রেরণা নিতে বলা হয়েছে। কারণ তিনি প্রতিদিন এক গ্লাস রেড ওয়াইন ও চকোলেট খেতেন। তাই মনে করা হয়েছে, তাঁর দীর্ঘায়ুর পেছনে চকোলেট ওরেড ওয়াইনের অবদান থাকতে পারে।
    2. একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ব্যক্তিরা খুব হাঁটা-চলা করা যায় এমন এলাকায় বসবাস করেন তাদের বয়স ১০০-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং সামাজিক এবং পরিবেশগত কারণগুলিও দীর্ঘায়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।
    3. জীবনে সবসময় পজিটিভ বা ইতিবাচক থাকতে হয়, দীর্ঘ জীবনের পেছেনে এই পজিটিভিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    4. বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার জন্য চিনাবাদামের গুরুত্ব অনেক। কারণ একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চিনাবাদাম খেয়ে থাকেন, তাঁদের তাড়াতাড়ি মৃত্যুর সম্ভবনা কমে যায়।
    5. দীর্ঘায়ুর জন্য সবসময় ফিট থাকতে হবে। আর ফিট থাকার জন্য কোনও না কোনও অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকা উচিত। বিভিন্ন খেলা টেনিস, ফুটবল, সুইমিং, দৌড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাক্টিভ থাকা যায় ও বেশিদিন পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • Durga Puja 2022: কলাবউ গণেশের স্ত্রী নন, তিনি কে জানেন? 

    Durga Puja 2022: কলাবউ গণেশের স্ত্রী নন, তিনি কে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠীর (Sasti) দিন বোধনের পরে দেবী উঠলেন জেগে। গ্রহণ করলেন আমন্ত্রণ। সপ্তমীর (Saptami) সকালে হবে তাঁর গৃহপ্রবেশ। সনাতন হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ এভাবেই যুগে যুগে বরণ করে নিয়েছেন দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga)। এই সপ্তমীর সকালে জলাশয় থেকে ঘটে করে নিয়ে আসা হয় জল। সেই জলেই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই ঘটের সঙ্গেই নিয়ে আসা হয় নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে। নবপত্রিকা স্নান লোকমুখে কলাবউ স্নান হিসেবে পরিচিত।

    দেবী দুর্গার পরে যিনি সচরাচর লোকের চোখে পড়ে, তিনি কলাবউ। সাধারণ মানুষ ভাবেন, তিনি গণেশের স্ত্রী। আসলে তা নন। কারণ, নবপত্রিকা থাকেন গণেশের ডান দিকে। হিন্দু মতে, স্ত্রী থাকবেন পুরুষের বাম পাশে। অর্থাৎ নবপত্রিকার সঙ্গে গণেশের কোনও সম্পর্কই নেই। আসলে নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা, দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু, দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ, দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী, দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল, শিবার প্রতীক, বেদানা, রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক, শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা, চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান, লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে এক সঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    আসলে দেবী দুর্গা এক অর্থে প্রকৃতির পুজো। যেসব প্রাকৃতিক গাছগাছড়া যুগে যুগে মানুষের উপকারে লেগে আসছে, বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতীক হিসেবে তাদের পুজো করা হয়। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রকৃতিই স্বয়ং শক্তি। মানবীর মতো তিনিও হন রজঃস্বলা। জন্ম দেন সন্তানের। সেই কারণেই দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে পুজো হয় নবপত্রিকার। অনেক পরিবারে কেবল নবপত্রিকায়ই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। সেখানে প্রতিমা হয় না।

    কোনও কোনও শাস্ত্রবিদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমা রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও। যেহেতু তিনি মহামায়ারই অংশ, তাই তিনি গণেশের স্ত্রী নন, বরং মা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • OTT Play Awards: ওটিটি প্লে অ্যাওয়ার্ডসে চাঁদের হাট, কারা জিতলেন কোন পুরস্কার, দেখে নিন তালিকা

    OTT Play Awards: ওটিটি প্লে অ্যাওয়ার্ডসে চাঁদের হাট, কারা জিতলেন কোন পুরস্কার, দেখে নিন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ছিল ওটিটি প্লে অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ (OTT Play Awards 2022) -এর অনুষ্ঠান। ভারতের নানা রাজ্যের শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এই অনুষ্ঠানে সেরা ওয়েব সিরিজ, সেরা অভিনেতা, সেরা ডায়লগ- সহ একাধিক বিভাগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই সর্বপ্রথম প্যান-ইন্ডিয়া ওটিটি পুরস্কার দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল সারা দেশ থেকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ওটিটি সিনেমা, শো, অভিনেতা এবং সিনেমা নির্মাতাদের পুরস্কার দিয়ে তাঁদের সম্মান জানানো। আর সেখানে পিছিয়ে নেই বাংলাও। বাংলা ভাষা থেকেও অনেকে নমিনেশনে এসেছে ও পুরস্কারও জিতেছে। ওটিটি প্লে অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কৃত হয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় । সেইসঙ্গে ‘আরণ্যক’-এর গোটা টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।  ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যাওয়ার্ডসে কে পেল সেরা সিরিজ, সেরা সিনেমার পুরস্কার, কেই বা হলেন সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী, একনজরে দেখে নেওয়া যাক…

    সেরা ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম (জনপ্রিয়) – জয় ভীম, শেরশাহ।

    সেরা ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম(জুরি) – দাসভি।

    সেরা ওয়েব সিরিজ (জনপ্রিয়) – দ্য ফ্যামিলি ম্যান।

    সেরা ওয়েব সিরিজ (জুরি) – তাব্বার।

    ওটিটি প্লে রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: সেরা সিরিজ – ভিলাঙ্গু।

    সেরা পরিচালক (চলচ্চিত্র)– সুজিত সরকার (সর্দার উধম)।

    সেরা পরিচালক (সিরিজ) – রাম মাধবনি, বিনোদ রাওয়াত, কপিল শর্মা (আর্য 2)

    দশকের চলচ্চিত্র নির্মাতা – পা. রঞ্জিত।

    আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরার শিরোপা সুরিয়া-অজয় দেবগনের, জয়জয়কার অভিযাত্রিকের

    সেরা অভিনেতা পুরুষ (জনপ্রিয়) (চলচ্চিত্র) – কার্তিক আরিয়ান (ধামাকা)।

    সেরা অভিনেত্রী (জনপ্রিয়) (চলচ্চিত্র) -তাপসী পান্নু (হাসিন দিলরুবা)।

    সেরা অভিনেতা পুরুষ (জুরি) (চলচ্চিত্র) – আর্য (সরপত্তা পরমবাই), ফারহান আখতার (তুফান)।

    শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মহিলা (জুরি) (চলচ্চিত্র)– বিদ্যা বালান (জলসা)

    সেরা অভিনেতা পুরুষ (জনপ্রিয়)(সিরিজ)– তাহির রাজ ভাসিন (ইয়ে কালি কালি আঁখিন)।

    শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মহিলা (জনপ্রিয়)(সিরিজ) – রাভিনা ট্যান্ডন (আরণ্যক)।

    সেরা অভিনেতা (জুরি)(সিরিজ) – মনোজ বাজপেয়ী (দ্য ফ্যামিলি ম্যান)।

    সেরা সাপোর্টিং অভিনেতা পুরুষ (সিরিজ) – পরমব্রত চ্যাটার্জি (আরণ্যক)।

    সেরা সহ-অভিনেতা মহিলা (সিরিজ) – কঙ্কনা সেন শর্মা (মুম্বাই ডায়েরি 26/11)।

    সেরা গল্প (চলচ্চিত্র) – মহেশ নারায়ণন (মালিক)।

    সেরা সংলাপ (চলচ্চিত্র) – কনিকা ধিল্লন (হাসিন দিলরুবা)।

    সেরা গল্প (সিরিজ) – চারু দত্ত (আরণ্যক)।

    সেরা চিত্রনাট্য (সিরিজ) – পুষ্কর, গায়ত্রী (সুজল)।

    সেরা সংলাপ (সিরিজ) – অনির্বাণ (মান্দার)। ওটিটি-এর সেরা অনস্ক্রিন কাপল- ধ্রুব সেহগাল, মিথিলা পালকার (লিটল থিঙ্কস)।

    ব্রেকথ্রু পারফরম্যান্স অফ দ্য ইয়ার পুরুষ – গুরু সোমসুন্দরাম (মিনাল মুরালি)।

    ব্রেকথ্রু পারফরম্যান্স অফ দ্য ইয়ার মহিলা – সারা আলী খান (আতরঙ্গি রে)।

    ওটিটি পারফর্মার অফ দ্য ইয়ার – রাজেন্দ্র প্রসাদ (সেনাপতি)।

    নিউ ওয়েভ সিনেমায় অগ্রণী অবদান – রাজ বি শেট্টি ও রিশব শেট্টি।

  • G20 Summit: আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ বৈঠক

    G20 Summit: আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বসতে চলেছে জি-২০ (G20 Summit) বৈঠকের আসর। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের অর্থাৎ আগামী বছর ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এদিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত এক বছরে সারা দেশে ২০০ টিরও বেশি জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করবে । প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়া বসতে চলেছে জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    ১৯৯৯ সালে জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর গঠন করা হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এই গোষ্ঠীর সদস্য। গোটা বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে  জি-২০ গোষ্ঠী। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির নাগরিক। প্রথম থেকেই ভারত এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য। বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকেই ভারত এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে এবং ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো জি-২০ রাষ্ট্রনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে। এই সময় ভারতে জি-২০গোষ্ঠীর ২০০টিরও বেশি বৈঠক হবে দেশের নানা প্রান্তে। তামিলনাড়ু থেকে জম্মু-কাশ্মীর নানা জায়গায় বৈঠকে বসবেন রাষ্ট্রনেতারা। 

    আরও পড়ুন: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল দুদেশের জওয়ান! চিন-সীমান্তে প্রস্তুত ভারত, বললেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

     জি-২০ গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে,আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। অতিথি দেশ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাশাপাশি আইএসএ (ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স), সিডিআরআই (কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এবং এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক)। স্পেন এই জোটের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর (Anchor)। তার মোক্ষম জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) সহ বেশ কয়েকজন।

    ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর। তাঁর দাবি, ব্রিটিশ শাসনকালেই ভারতের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। ফক্স নিউজের ওই অ্যাঙ্করের নাম টাকার কার্লসন। তিনি বলেছিলেন, ব্রিটিশ জমানার আগে ভারতে কোনও চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য গড়ে ওঠেনি। তাঁর মন্তব্যকে বর্ণবাদী এবং চরমভাবে অজ্ঞাত আখ্যা দিয়েছেন বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন টেনিস তারক মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাও।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল টাকার কার্লসন টুনাইট। ওই অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর ভারতে ব্রিটিশ শাসন কালের প্রশংসা করার পাশাপাশি ওই শাসনকালকে তিনি কেবল গণহত্যার চেয়েও ঢের বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেন। কার্লসনের একটি ট্যুইট বার্তা ভাইরাল হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী দেশগুলি দুর্বল দেশগুলিকে দমিয়ে রাখে। এই ধারা একটুও বদলায়নি। অন্তত ইংরেজরা তাদের ঔপনিবেশিক দায়িত্ব পালন করেছিল ঠিকঠাকভাবে। তিনি বলেন, আমরা (আমেরিকা) আফগানিস্তান ছেড়ছি, এয়ারস্ট্রিপ ছেড়েছি, অস্ত্র ছেড়েছি এবং বন্দুকও।

    যখন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে গেল, তখন রেখে গেলে একটা সভ্যতা, ভাষা, লিগ্যাল সিস্টেম, স্কুল, চার্চ, পাবলিক বিল্ডিং, এখনও পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে। এর পরেই শুরু হয় ট্যুইটার যুদ্ধ। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লেখেন, আমার মনে হয় ট্যুইটারের একটি অপশন আছে কোনওকিছু দাপিয়ে রাখতে, যখন তুমি কোনও প্রতিক্রিয়া না দাও। এখন আমি নিজেকে শান্ত রাখব। এর পরেই তিনি দুটো রাগত মুখের ইমোজি দিয়েছেন। আমেরিকার ওই অ্যাঙ্করকে শশী থারুরেরই ‘ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন নাভ্রাতিলোভা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: বিদেশি সংস্থাগুলো আসতে চাইছে ভারতে! উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে বণিকমহলকে উৎসাহ নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: বিদেশি সংস্থাগুলো আসতে চাইছে ভারতে! উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে বণিকমহলকে উৎসাহ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে শিল্প আনা এবং বিনিয়োগের জন্য সরকার সব কিছু করবে। এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Finance Minister Nirmala Sitharaman)। মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজিত মাইন্ডমাইন সামিটের ১৫- তে (Mindmine Summit 15) বক্তৃতা রাখেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, “অনেক  কোম্পানি নিজেদের উৎপাদন প্রক্রিয়া চিন থেকে সরিয়ে নিতে চাইছে এবং ভারতে আসতে চায়। আমরা উৎপাদন সংক্রান্ত ইনসেন্টিভ স্কিমও দিয়েছি। ভারতীয় সংস্থাগুলির (Indian Inc) কাছে জানতে চাই আপনারা কেন এগিয়ে আসছেন না?” 

    আরও পড়ুন: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, দাবি সরকারি সূত্রের  

    নির্মলা সীতারমন আরও বলেন, “বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আসছে এবং বিভিন্ন দেশ মনে করে যে ভারত বিনিয়োগের জন্য সঠিক স্থান। আরবিআই সম্প্রতি একটি ব্যবস্থা ঘোষণা করার পর অনেক দেশ ভারতীয় মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

    অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার করেন, ভারতীয় সরকার শিল্পজগতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রবল আগ্রহী। তিনি বলেন, ”কোনও নীতিই নিজে নিজেই চূড়ান্ত হয় না। যত আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব তত এটা আরও বেশি করে বিকশিত হতে থাকে। শিল্পের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অবিকল তাই।”

    আরও পড়ুন: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে? 

    অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের ব্যবসায়ী তথা কর্পোরেট সংস্থাগুলির তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার ব্যাপারে ভাবার সময় চলে এসেছে। এটা অনেকটা হনুমানের মতো? আপনারা আপনাদের নিজের ক্ষমতাকে বিশ্বাস করেন না?” তিনি বলেন, “চিনের বিকল্প হিসাবে নানা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এখন ভাবছে যাতে ভারতে বিনিয়োগ করা যায়। কারণ এখানকার অর্থনীতি আরও বেশি আকর্ষণীয়। ভারতের যুবশক্তিই দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তুলে ধরবে।”

    প্রসঙ্গত এসবিআইয়ের গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত অর্থনীতির সূচকে ২০২৯-এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জায়গায় পৌঁছতে চাইছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Mukul Rohatgi: ফের একবার! অ্যান্টর্নি জেনারেল হচ্ছেন মুকুল রোহতাগি

    Mukul Rohatgi: ফের একবার! অ্যান্টর্নি জেনারেল হচ্ছেন মুকুল রোহতাগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার দেশের সরকারি আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা যাবে মুকুল রোহতাগিকে (Mukul Rohatgi)।  আগামী ১ অক্টোবর তিনি ভারতের সরকারি আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে অনুরোধ পাওয়ার পরেই তিনি এই দায়িত্ব নিতে সম্মত হন। ২০১৪-১৭ সালে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকারের আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন মুকুল রোহতাগি।

    আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে কেকে বেণুগোপালের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, এবার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিযুক্ত হতে পারেন রোহতাগি। বেণুগোপাল সরকারকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকতে চান না। বেণুগোপাল ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তিন বছরের জন্য ভারতের ১৫ তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়। তাঁর বয়স ৯১ বছর। বয়সের জন্য তাঁকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বেণুগোপাল। 

    আরও পড়ুন: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল সেনা! পূর্ব সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি ভারত বললেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা

    রোহতাগি দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে বসবেন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই সরকারের শীর্ষ আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি এর আগে অতীতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে অব্য়াহতি নেওয়ার পরও ৩৭০ ধারা অবরোধ সহ একাধিক সংবেদনশীল ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিল সরকার। মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ানের হয়ে সওয়াল জবাব করেছিলেন মুকুল রোহতাগি। আরিয়ান ওই মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়। সরকারের শীর্ষ আইনজীবী হিসেবে আবারও দেখা যেতে চলেছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আইনজীবীকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share