Blog

  • Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহে অভিযান (Venus Orbiter Mission) চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান (Spacecraft) প্রস্তুত করছে ইসরো। সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এছাড়াও পরিকল্পিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্রের পৃষ্ঠে ঘটে চলা প্রক্রিয়াগুলির সন্ধান, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির হটস্পট এবং লাভা প্রবাহ সহ অগভীর উপ-পৃষ্ঠের স্তরবিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের গঠন এবং গতিশীলতা অধ্যয়ন। এছাড়াও ভেনুসিয়ান আয়োনোস্ফিয়ারের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) বলেছেন, “শুক্র মিশনটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য় তহবিলের বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে।” সোমনাথ উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “শুক্র গ্রহের জন্য একটি মিশন তৈরি করা এবং স্থাপন করা ভারতের পক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। ভারতের কাছে এখন সেই সামর্থ্য আছে।”

    তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুক্র গ্রহের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের পর আবার এই ধরনের সুযোগ আসবে ২০৩১ সালে। শুক্রগ্রহে অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। মার্স বা চাঁদে যেরকম সফল অভিযান চালানো হয়েছিল শুক্রের ক্ষত্রেও তেমনই হবে, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল এই গ্রহ। অনেক বিজ্ঞানী একে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখানে প্রাণীরা বাস করতে পারে না এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই গ্রহকে নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ।

  • CIA News: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    CIA News: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ (Central Intelligence Agency)-এর  শীর্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নন্দ মুলচন্দানি (Nand Mulchandani)। সদ্য সিআইএ মুখ্য প্রযুক্তি আধিকারিক (Chief Technology Officer) নামে একটি নতুন পদ তৈরি করেছে। সেই পদেই সর্বপ্রথম দায়িত্ব পেলেন দিল্লির স্কুলে পড়াশোনা করা নন্দ। CIA-এর সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করা হয়। একটি ব্লগে সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আনেন ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস (William J Burns)। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সিলিকন ভ্যালিতে প্রতিরক্ষা বিভাগের (Department of Defense) গুরুত্বপূর্ণ পদে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নন্দর। CIA-এর পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

    অন্যদিকে, ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস জানিয়েছেন, “আমি যেদিন থেকে সংস্থার দায়িত্ব পেয়েছি, সেদিন থেকেই প্রযুক্তিগত দিকটিকে আরও উন্নত করার বিষয়ে মনোনিবেশ করেছি। আমাদের নতুন এই CTO পদটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নন্দ যে আমাদের সঙ্গে যোগদান করেছেন, তাতে আমি ভীষণ খুশি। ওঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমাদের সংস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
    CIA-এর ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, নবনিযুক্ত CTO-কে প্রধানত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করতে হবে। গোটা বিশ্বে নিত্যনতুন যা কিছু আবিষ্কার করা হচ্ছে (প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত) সেই সমস্ত বিষয়গুলি কাজে লাগিয়ে কীভাবে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার কর্মপদ্ধতি আরও ভালো করা যায়, সেদিকেই নজর দিতে হবে নন্দকে। নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে নন্দ জানিয়েছেন, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা যাতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে, তা নিশ্চিত করবেন তিনি। CIA-তে যোগ দেওয়াটা তাঁর কাছে অত্যন্ত সম্মানের বলে জানিয়েছেন নন্দ মুলচন্দানি।

    প্রসঙ্গত, দিল্লির স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ের পড়াশোনা করার পর কম্পিউটার সায়েন্স এবং অঙ্ক নিয়ে স্নাতকস্তরের পাঠ শেষ করেন নন্দ। পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি লাভ করেন। পাশাপাশি, হার্ভার্ড থেকেও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার ডিগ্রি করেন নন্দ। CIA-তে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত DoD (Department of Defense)-এর CTO পদেই ছিলেন তিনি। ফলে অভিজ্ঞ এই ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব দিয়ে লাভবান হবে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা, এমনটাই অনুমান।

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

  • The Kashmir Files: “প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না”, অক্ষয় কুমার প্রসঙ্গে কেন একথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    The Kashmir Files: “প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না”, অক্ষয় কুমার প্রসঙ্গে কেন একথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। কাশ্মীরের গণহত্যা এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) ভিটে-মাটি হারানোর গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি সাড়া ফেলেছিল গোটা দেশে। ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বলিউড (Bollywood) থেকে শুরু করে গোটা দেশ। প্রায় একই সময়ে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ‘বচ্চন পাণ্ডে’ (Bachchan Pandey)। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবরে পড়ে ‘খিলাড়ি’ কুমারের ছবি। কাশ্মীর ফাইলসের ঝড়ে উড়ে যায় অক্ষয়ের স্টারডম। এত কিছুর পরেও বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন অক্ষয়। 

    এই ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় দুমাস। হঠাতই অক্ষয়ের প্রশংসা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। তিনি বলেন, ‘১০০ জন মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আমার ছবি কেন চলছে, ওঁর ছবি কেন চলছে না বা আমার ছবি কেমন লেগেছে? সেই সময়ে প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না। তাই নিরুপায় হয়ে অক্ষয় আমার ছবিকে ভালো বলেছেন। ভোপালের যে অনুষ্ঠানে তিনি প্রশংসা করেছেন, সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম।’

    সম্প্রতি বিবেকের পোস্ট করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে অক্ষয় একদিকে যেমন বিবেকের ছবির প্রশংসা করছিলেন অন্যদিকে আবার হেসে বলেন সেই ছবি তাঁর ছবিকে ডুবিয়ে দিল। সেই ভাইরাল ভিডিওর জেরে ওড়িশার এক মাল্টিপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বচ্চন পাণ্ডের স্ক্রিনিং। জোর করে বিক্ষোভ করে বন্ধ হয়েছিল অক্ষয়ের ছবি। কিন্তু তাঁর দুমাস পরে কেন অক্ষয়ের প্রতি তোপ দাগলেন পরিচালক? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 

    [tw]


    [/tw]

    ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে যেভাবে নির্মম অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই গল্প নিয়েই তৈরি সিনেমাটি। চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার, পল্লবী জোশিরা। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই এই সিনেমা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকেই সিনেমাটিকে ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকেই সিনেমাটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে। আজ মুক্তি পাওয়ার দুমাস পরেও এই সিনেমা নিয়ে বিতর্ক অব্যহত। 

     

  • Sri Lanka: পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাংসদরা? “মিথ্যে”, জবাব ভারতীয় হাই কমিশনের

    Sri Lanka: পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাংসদরা? “মিথ্যে”, জবাব ভারতীয় হাই কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ব্যাপক হিংসায় ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন পাঁচজন বিক্ষোভকারী। এদিকে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার রাজধানী কলম্বো (Colombo) ছেড়ে ত্রিনকোমালিতে (Trincomalee) একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) জেরে ক্রমেই পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। সরকারি দলের সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি।

    দিন দুই আগে মাহিন্দার পৈতৃক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাকে দেখা মাত্র গুলি (Shoot at Sight) করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, যে বা যারা কাউকে মারধর করবে কিংবা অন্যের সম্পত্তি নষ্ট করবে, তাদের দেখা মাত্রই গুলি করতে হবে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ৩৬ ঘণ্টার জন্য গোটা দেশে কার্ফু জারি করেছিল সরার। তা উপেক্ষা করেও এদিন যত্রতত্র বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে সরকার বিরোধীদের।

    মাহিন্দা, তাঁর স্ত্রী শিরন্তি এবং তাঁদের কনিষ্ঠ পুত্র রোহিত ও তাঁর পরিবার মঙ্গলবার ভোরে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সুরক্ষিত নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। মাহিন্দার দ্বিতীয় পুত্র ইয়োসিথা, যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সচিবও ছিলেন, সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন তিনিও। দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা অবিলম্বে সংসদ তলব করার জন্য রাষ্ট্রপতি তথা মাহিন্দার ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষকে (Gotabaya Rajapaksa) অনুরোধ করেছেন। এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের অনেক সংসদ সদস্য দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে পড়শি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই খেপে যান বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার তাঁরা বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে অবরোধ করেন।

    আরও পড়ুন : প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    তবে শ্রীলঙ্কার শাসক দলের কয়েকজন সাংসদ সদস্য সপরিবারে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে কলম্বোয় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন (India in Sri Lanka)। কমিশনের তরফে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে,  শ্রীলঙ্কার আইনপ্রণেতা ও তাঁদের পরিবার আশ্রয়ের জন্য ভারতে পালিয়ে যাওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে, তা মিথ্যা। ভারত সরকারের মতামত না নিয়েই এধরনের খবর পরিবেশন করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Al-Qaeda: পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    Al-Qaeda: পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়গম্বরকে (Prophet) নিয়ে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জের। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতার হুমকি দিল জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা (Al-Qaeda)। মহম্মদকে অবমাননার ‘বদলা’ নিতে একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার (Suicide Attack) হুমকি দিল তারা।

    ৬ জুন একটি হুমকি চিঠিতে আল-কায়দা জানিয়েছে, “নবী মহম্মদের সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে।” ইতিমধ্যেই শহরগুলিকে সতর্ক করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের তরফে শহরগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। 

    জঙ্গি সংগঠনের চিঠিতে লেখা হয়েছে, “হিন্দুত্ববাদীরা আল্লার শরিয়ত বিরোধী। ভারতীয় চ্যানেলে মহম্মদ ও তাঁর স্ত্রীকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাঁদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি 

    চিঠিতে আরও লেখা হয়, “বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে তাঁদের হত্যা করব। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।” 

    সম্প্রতি হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। বিষয়টি নিজের হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেন আরেক বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল। বিতর্ক দানা বাঁধতেই নূপুরকে সাসপেন্ড এবং নবীনকে বহিষ্কার করে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে কাশ্মীরে খতম স্থানীয় হিজবুল কমান্ডার

    পয়গম্বরকে নিয়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীর মন্তব্য নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি সরকার। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে আরবের দেশগুলি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নূপুর শর্মা এবং নবীনকুমার জিন্দালকে বিজেপি ‘শাস্তি’ দিলেও বিতর্ক থামেনি। প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ভারতকে বয়কটের হুমকি দিয়েছে কুয়েত।    
      

  • Akshay Kumar: সিগারেট কি তামাকজাত নয়, ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি! বিতর্ক অব্যাহত অক্ষয়কে নিয়ে

    Akshay Kumar: সিগারেট কি তামাকজাত নয়, ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি! বিতর্ক অব্যাহত অক্ষয়কে নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞাপনে Akshay Kumar! দেখেই চমকে উঠেছিল অভিনেতার ভক্তরা। আর এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। নিন্দার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে বৃহস্পতিবার অক্ষয় কুমার ওই বিজ্ঞাপন থেকে সরে এসেছেন। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, কোনওদিনও তিনি তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করেননি। আর ভবিষ্যতেও করতে চান না। কিন্তু, এতেও শেষরক্ষা হল না। নেট নাগরিক খিলাড়ির বেশ কিছু পুরনো বিজ্ঞাপনের ছবি খুঁজে বের করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অক্ষয়কে সিগারেট এবং বিদেশি মদের প্রোমোশন করতে দেখা যাচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    এক নেটিজেন ওই ছবিগুলি আপলোড করে লেখেন, “আপনি কোনওদিনও তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন করেননি? মিথ্যা কথা বলছেন! সিগারেট কি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হয়? আপনি শুধু সিগারেট নয়, মদের বিজ্ঞাপনও করেছেন অতীতে” একটি কোল্ডড্রিঙ্ক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে অক্ষয়ের ছবি আপলোড করে তিনি আরও বলেন, চিনি ভর্তি কোলাও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আপনি তো তারও বিজ্ঞাপন করেছেন! আপনি এই দেশের রোল মডেল। আমার মতে, সেটা এই দেশের দুর্ভাগ্য।”

    [tw]


    [/tw]

    অপর টুইটার ইউজার অক্ষয়ের পুরনো সিগারেটের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে লেখেন, “আপনি পানমশলার বিজ্ঞাপন না হয় করেই ফেলেছেন। কিন্তু, সেই ভুল শুধরে যে বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে অন্তত সত্যি কথা বলুন।”
    আরও একজন লেখেন, “আপনি তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করেননি বলবেন না। দয়া করে সত্যিটা বলুন। এক নামী সিগারেট কোম্পানির পোস্টার বয় ছিলেন আপনি!”

    [tw]


    [/tw]

    কিছু নেটাগরিক তো অক্ষয়কে বয়কটের ডাক পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু, প্রিয় অভিনেতার ওপর ভক্তরা কেন এতটা চটলেন? আসলে গত সপ্তাহে অজয় দেবগন এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে একটি এলাচের বিজ্ঞাপনে অক্ষয় কুমারকেও দেখা গিয়েছিল। আর ওই বিজ্ঞাপন দেখেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল তাঁর ভক্তরা। কারণ, এই একই ধরণের বিজ্ঞাপন করার জন্য ২০১৮ সালে অক্ষয় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্য তারকাদের সমালোচনা করেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “আমাকে অনেক পানমশলা কোম্পানি বিজ্ঞাপনের জন্য অফার দেয়। এর জন্য বিরাট অঙ্কও অফার করা হয়। কিন্তু, টাকাটাই সব নয়। যাঁরা টাকার জন্য ওই কাজ করছেন, তাঁরা ভুল কাজ করছেন।” তাঁর সংযোজন, “আমি চাই, ভারত সুস্থ থাকুক। দেশবাসীর জন্য কোনও ভুল উদাহরণ তৈরি করতে চাই না আমি। কারণ, মানুষ আমাদের অনুসরণ করে। ভুল কাজ করাটা আমাদের মানায় না।”

  • IMF on India economy: কোভিডের মতোই ইউক্রেন সমস্যা সামাল দিতে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত, জানাল IMF

    IMF on India economy: কোভিডের মতোই ইউক্রেন সমস্যা সামাল দিতে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত, জানাল IMF

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine war) প্রভাবে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক পতনের (Global economic fallout) মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সেই সময় এই সমস্যার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত। এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)। 

    ২০২২ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির (Economic growth) হার ৮.২ শতাংশের অনুমান করেছে আইএমএফ। তাদের মতে, বিশ্বের সার্বিক এবং বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির তুলনায় ভাল জায়গায় থাকবে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অবস্থান।

    আইএমএফ-এর এক শীর্ষ কর্তা স্বীকার করেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ও ভারত তার অর্থনীতিকে বিশ্বের তুলনায় অনেকটা ভালভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। ওই কর্তার কথায়, ভারত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, ভারত ভ্যাকসিন রফতানি করে মহামারী চলাকালীন বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার উদাহরণ তৈরি করেছে। এর ফলে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

    সংগঠনের দাবি, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে থাকবে ভারত। সেখানে, চিনের আনুমানিক বৃদ্ধির হার ৪.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ভারতের বৃদ্ধির হার চিনের দ্বিগুণেরও বেশি বলে অনুমান করেছে আইএমএফ। পাশাপাশি, বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশ  বলে অনুমান করেছে আইএমএফ। 

    আইএমএফ-এর মতে, ভারতের উচ্চ বৃদ্ধির হার শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই সুখবর। সংগঠন জানিয়েছে, ভারত এমন কয়েকটি অর্থনীতির মধ্যে একটি, যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামান্য নিম্নগতি সত্ত্বেও, এই বছর প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ভারতের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের জন্য ইতিবাচক, যেখানে প্রবৃদ্ধির মন্থরতা একটি বড় ফ্যাক্টর।

    ক্রয় ক্ষমতা সমতার (PPP) নিরিখে মোট বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৭% প্রতিনিধিত্ব করে ভারত। বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। এর ফলে, বিশ্ব অর্থনীতির (World economy) সার্বিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।

     

     

  • Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবার বাড়ল কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন দু’হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৪৭ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। দিল্লিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

    সংক্রমণের জেরেই আবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মাস্ক। বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হল এই কথা। বলা হল, আবার মাস্ক পরতেই হবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল দিল্লিতে। এভাবেই আপাতত চতুর্থ ঢেউ আটকানোর কথা ভাবছে সরকার। তার সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণেও।

    তবে এর মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল কি আবার বন্ধ হবে?

    এখনই তার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই বলা হয়েছে। স্কুল খোলাই থাকবে। ক্লাসও হবে নিয়ম করে। আগামী সময়ে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে রাস্তায় বেরোতে গেলে তো বটেই স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেও পরে থাকতে হবে মাস্ক। নতুবা জরিমানা দিতে হবে। মাস্ক না পরা অবস্থায় কাউকে দেখা গেলেই ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

    ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই, দেশের পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এই রাজ্যগুলি থেকেই ভারতের মোট কেসলোড এবং উচ্চ হারে সংক্রমণের খবর আসছে। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণের বিস্তারের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার এবং কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মের উপর বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    রাজ্যগুলিকে কোভিডের টিকাকরণের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে।  ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভূষণ আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনও বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্বেগজনক ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষনিক ফলোআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি । উদ্বেগ বেড়েছে কেরলকে নিয়েও। কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। সে রাজ্যে এক দিনে ৪৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

  • VVSS Chief On Gyanvapi: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    VVSS Chief On Gyanvapi: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) চত্বরে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে আবেদন করলেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (Vishwa Vedic Sanatan Sangh) প্রধান জিতেন্দ্র সিং বিষেণ। মসজিদ চত্বর হিন্দুদেরকে (Hindu) হস্তান্তর করার পাশাপাশি নিয়মিত পুজো করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। আবেদনের বাদি করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী কিরণ সিংকে।

     

    বিষেণের দাবি, আদালত বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (VVSS) আবেদন গ্রহণ করেছে। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৫ মে। পাশাপাশি, জ্ঞানবাপীর ৫ প্রধান মামলাকারী মহিলার দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিষেণ। জ্ঞানবাপি প্রাঙ্গনে শৃঙ্গার গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান এবং নন্দীর প্রতিদিনের পুজো এবং আচার অনুষ্ঠানের অনুমতি মামলা করেন ৫ মহিলা।

    এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) নিত্যপুজোর অনুমতি চেয়ে এদিনই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্ত কুলপতি তিওয়ারি।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে গড়ে তোলা হয় মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বেশ্বরের বর্তমান মন্দিরটি গড়ে তোলেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর মূর্তি উপহার দেন নেপালের রাণা। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্তের দাবি,  শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরে অনাদিকাল থেকেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। প্রাচীরের উত্তর দিকে জ্ঞানবাপী কূপ রয়েছে। এরই পশ্চিমে রয়েছে নন্দী। বহু আগে থেকেই। তাঁর দাবি, মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের পিছনে তিনটি দোকান ছিল। সেখানে একজন চা বিক্রেতা ও একজন মুসলিম মহিলা থাকতেন। তিনি চুড়ি বিক্রি করতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় মন্দিরের মোহন্ত পান্না শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে ফোয়ারা।

    আরও পড়ুন : বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদের এই বিবাদ গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয় মসজিদের ওজুখানার জলাধারে। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে মসজিদে নমাজ পড়তে পারে জেলা প্রশাসনকে সেই ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন :ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের প্রধান বিষেন মসজিদ চত্বরে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন আদালতে। হিন্দুদের মসজিদ হস্তান্তরের দাবিও জানান তিনি। নিয়মিত পুজো করার অনুমতিও চেয়েছেন বিষেন।

     

LinkedIn
Share