Blog

  • Gyanvapi Mosque: ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

    Gyanvapi Mosque: ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) কি আদতে মন্দির? প্রায় তিন দশক ধরে চলা এই বিতর্ক এখন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি, শেষ হয়েছে  আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) লাগোয়া এই মসজিদের ভিডিওগ্রাফি জরিপের (videography survey) কাজ। গোটা বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। 

    ১৯৯১ সালে স্থানীয় কয়েকজন পুরোহিত দাবি করেন, মসজিদ তৈরি করবেন বলে মন্দিরের কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। পরে মালওয়া রাজ্যের মহারানি অহল্যাবাই হোলকার মন্দির পুননির্মাণ করেন। ওই পুরোহিতরা জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো করার অনুমতিও চেয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তি রয়েছে। এর পরে বিভিন্ন সময় আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের মীমাংসা হওয়ার পর ফের হইচই হয় বিষয়টি নিয়ে। ফের হয় মামলা। তার জেরেই আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল তিনদিন ব্যাপী মসজিদে জরিপের কাজ। ইতিহাসবিদদের একাংশ ঔরঙ্গজেবের মন্দির ধ্বংসের তত্ত্ব আওড়ালেও, অন্য একটি অংশের মতে মন্দির এবং মসজিদ পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল পাশাপাশিই। তাঁদের দাবি, মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর দীন-ই-ইলাহি নীতি সম্পর্কে জন সচেতনতা ছড়াতে একই চত্বরে গড়ে তুলেছিলেন মন্দির এবং মসজিদ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    তবে লেখক অড্রি ত্রুশকে তাঁর “ঔরঙ্গজেব: দ্য ম্যান অ্যান্ড দ্য মিথ” নামক গ্রন্থে লিখেছেন,  “আমার ধারণা যে জ্ঞানবাপী মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি পুরানো বিশ্বনাথ মন্দিরের কাঠামোকে অন্তর্ভুক্ত করে। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ধ্বংস করা হয়েছিল মন্দিরটি। মসজিদটি ঔরঙ্গজেবের আমলের, তবে আমরা জানিনা কে এটি তৈরি করেছেন। এই সব বিতর্কের (mosque-temple controversy) অবসানেই আদালতের নির্দেশে মসজিদে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। অবশ্য এই ভিডিওগ্রাফির কাজ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে মসজিদ চত্বরে জরিপ করা যাবে না বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলমান সম্প্রদায়ের কয়েকজন। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিলে নির্বিঘ্নেই শেষ হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ।

     

  • Life Insurance: মেয়াদী জীবনবিমা নাকি আজীবনবিমা কোনটা আপনার জন্যে বেশি লাভজনক?  

    Life Insurance: মেয়াদী জীবনবিমা নাকি আজীবনবিমা কোনটা আপনার জন্যে বেশি লাভজনক?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনের যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে সুরক্ষা দেয় জীবনবিমা। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকেই জীবনবিমা করার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। এক বা একাধিক জীবনবিমায় টাকা রেখে আমরা সবাই নিশ্চিন্ত হতে চাই। যেকোনও জীবনবিমায় টাকা রাখলেই তো হবে না, পরিশ্রমে অর্জিত টাকা রাখতে হবে ভেবেচিন্তে। জানতে হবে কোন জীবনবিমায় টাকা রাখলে আপনি সব থেকে বেশি লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারবেন। 

    বাজারে বিভিন্ন রকমের জীবনবিমা রয়েছে। অনেক সময়ই আমরা বুঝতে পারি না কোথায় বিনিয়োগ করব। মেয়াদী জীবনবিমা, আজীবনবিমা, মানিব্যাক, এনডাওমেন্ট, শিশুদের জন্য বিমা, অবসরকালীন সময়ের জন্য বিমা — এরকম আরও বহু বিমার কথা আমরা অহরহ শুনতে পাই।   

    মেয়াদী বিমায় (Term Life Insurance) পলিসিহোল্ডারের মৃত্যুতে নমিনি একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পান। কিন্তু পলিসিহোল্ডার বিমার মেয়াদ পেরনো অবধি জীবিত থাকলে তিনি কোনও টাকা পাবেন না। এই সমস্যার সমাধান করতে বহু বিমা কোম্পানি এই বিমার সঙ্গে টাকা ফেরত পাওয়ার সুবিধা যুক্ত করেছে। তাতে কিছু বাড়তি টাকা গুনতে হবে পলিসিহোল্ডারকে। 

    এনডওমেন্ট বিমায় (Endowment Insurance) পলিসিহোল্ডার মৃত্যুর পর টাকা তো পাওয়াই যাবে, উপরন্তু সঞ্চয়ের সুযোগও করে দেয় এই বিমা। বিমার মেয়াদের শেষে মোটা অঙ্কের একটি টাকা পান পলিসিহোল্ডার। বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের খরচার হাত বেশি এবং একদম সঞ্চয় করতে পারেন না তাদের জন্যে আদর্শ এই বিমা।  

    আজীবনবিমায় (Whole Life Insurance) ১০০ বছরের কভারেজ পান পলিসিহোল্ডার। নির্দিষ্ট সময় অবধি প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। তারপরে আজীবনের জন্যে সুরক্ষিত পলিসিহোল্ডার। ধরুন, কেউ যদি প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে প্রিমিয়াম দিয়ে একটি ১৫ লক্ষ টাকার বিমা করেন। তাহলে তার প্রথম দিন থেকেই ১৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় নিশ্চিত। তারপরে বছর বছর সেই টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে। 

    প্রতিটি বিমারই কিছু সুবিধে কিছু অসুবিধে রয়েছে। তাই আপনার কী প্রয়োজন সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে আর সেইমতো বিমা নির্বাচন করতে হবে।  

     

  • Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চার ঘণ্টার জেরা। তাই বোধহয় ধকল সইতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata mandal)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তিনি চলে যান নিজাম প্যালেসে, সিবিআই(cbi) দফতরে। সেখানেই গরু পাচারকাণ্ডে(cow smuggling scam) জেরা করা হয় তাঁকে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অনুব্রত সটান চলে যান এসএসকেএমে(sskm)।

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল জেরার সময় বেশ কয়েকবার অনুব্রতর নাম করেছে। সেই কারণেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করা জরুরি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই জেরাই হল বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিন সকালে ১০টা বাজার ঢের আগেই অনুব্রত হাজির হয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিলে সাড়ে ১০টায়। আগাম চলে যাওয়ায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় গেস্ট রুমে। সাড়ে ১০টা বাজাতেই ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিন দফায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জেরা চলে ঘণ্টা চারেক ধরে। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। যদিও বুকে ব্যথা অনুভব করায় নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানে ফের উডবার্ন ওয়ার্ডে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গত ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন বলে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বের হন অনুব্রত। সেদিনও বুকে ব্যথা অনুভব করায় তিন সোজা চলে যান এসএসকেএমে। পরে ভর্তি হন উডবার্ন ওয়ার্ডে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রত জানান ২১ মে-র পর তিনি সিবিআই দফতরে যেতে পারেন। তার দু দিন আগেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।  

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    অসুস্থ হলেও, অনুব্রত যে সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পাবেন না, তা আগেই জানিয়ে ছিলেন বিজেপির(bjp) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)। তিনি বলেছিলেন, জেলে থাকলে ঠিক আছে, হাসপাতালে থাকলে তাঁর(অনুব্রতর) বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এনি হাউ তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারও।

     

  • IIT Kharagpur: স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম কী হওয়া উচিৎ? সমীক্ষা চালাল আইআইটি খড়গপুর 

    IIT Kharagpur: স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম কী হওয়া উচিৎ? সমীক্ষা চালাল আইআইটি খড়গপুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইভেট গাড়ির বাড়বড়ন্তে নাজেহাল জনজীবন। চিন্তিত সরকারও। যানজট থেকে পরিবেশ দূষণ এসবেতেই বড় ভূমিকা পালন করে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেট গাড়িগুলি (Private Car)। এই পরিস্থিতিতে দূষণ ও জানযট রোধে সকলকে নিজ নিজ গাড়ি না বের করে শেয়ার গাড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা। 

    সবচেয়ে ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় “শেয়ার্ড” পরিবহন (Shared Vehicle) মাধ্যম হল স্কুল বাস (School Bus)। কলকাতার বুকে এই স্কুল বাসগুলির সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে গত পাঁচ বছর ধরে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছিল আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur)। সম্প্রতি তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। 

    স্কুল বাসগুলি ঠিক কতটা সুবিধাজনক, পরিবেশের ওপর তার কী প্রভাব, সময় কতটা বাঁচে, নিরাপত্তা, কর্মচারীদের ব্যবহার, সুরক্ষা, অভিভাবকদের কাছে জনপ্রিয়তা এসব কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। 

    সব মিলিয়ে স্কুল বাস ব্যবহারের পক্ষেই সওয়াল করেছে ওই প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলকাতার  মতো জনবহুল এলাকায় স্কুল বাস অনেকাংশেই উপযোগী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

    অভিভাবকরা কী চাইছেন সেটা বুঝতে সমীক্ষা (Survey) চালানো হয়। কর্মচারী, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলে বিশেষজ্ঞদের কমিটি। ১২ হাজার অভিভাবকের সঙ্গে সমীক্ষার বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার প্রশ্নের উত্তর দেন।  

    দুটি পর্যায়ে করা হয় সমীক্ষাটি। প্রথম পর্যায়ে জানতে চাওয়া হয় কী কী পরিবর্তন আনতে হবে যানজট বা পরিবেশ সংক্রান্ত অসুবিধে এড়াতে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে জানতে চাওয়া হয় তাদের পছন্দের পরিবহন মাধ্যম কী এবং তাতে কী পরিবর্তন আনতে হবে?  

    সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, স্কুল বাসের ব্যবহারে ৫-৭% প্রাইভেট কারের ব্যবহার কমবে। প্রাইভেট কারের মালিকাধীন অভিভাবকদেরও খরচ ২-৩% কমবে। এবং যানজট থেকেও অনেকাংশেই মুক্তি পাবে এই শহর। এক্ষেত্রে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টর এবং বাস মালিকরা সবাই নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বা এসওপি অনুসরণ করার পরামর্শ  দিয়েছেন। যা সব স্কুলের বাসে ক্ষেত্রেই এক থাকবে।  
     
    সব চালক এবং কন্ডাক্টরদের যাবতীয় তথ্য থাকা উচিৎ পুলিশের কাছে, এমনটাই মনে করছেন অভিভাবকরা। প্রতিটি চালকের অন্তত ৫ বছর গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা উচিৎ। সরকারের তরফ থেকে গাড়ির গতির বেঁধে দিতে হবে। প্রতিটি গাড়ির তথ্য রাখবে পুলিশ। অভিভাবকরাও চাইলে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স খতিয়ে দেখতে পারেন বা তার কপিও রাখতে পারেন।

    এছাড়া, ওই রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয়েছে– অভিভাবকরা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চাকার পরিস্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে পারেন। সিট বেল্ট না থাকলে সেই বাসে সন্তানকে ছাড়তে আপত্তিও জানাতে পারেন অভিভাবক। মদ্যপান বা গুটখা সেবন করে ড্রাইভার গাড়ি চালাবেন না। পুলিশের সব নির্দেশ মানতে হবে। বাচ্চাদের একা ছাড়া যাবে না। নিয়মাবলীতে এই বিষয়গুলির সুপারিশ করা হয়েছে আইআইটি খড়গপুরের সমীক্ষায়।   

     

     

     

     

     

  • Thomas Cup: প্রথমবার জয়ী টমাস কাপ জিতে ইতিহাস রচনা ভারতের, বিজয়ীদের ফোন প্রধানমন্ত্রীর

    Thomas Cup: প্রথমবার জয়ী টমাস কাপ জিতে ইতিহাস রচনা ভারতের, বিজয়ীদের ফোন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিদাম্বি শ্রীকান্তের (Kidambi Srikanth) শটটা বিপক্ষের কোর্টে আছড়ে পড়ার পরেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা ছুটে এলেন। অবিশ্বাস্য মুহূর্ত তাইল্যান্ডের ব্যাংককে। বিশ্বসেরা ভারত। তারপরে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতে গমগম করে উঠল ব্যাংকক। ফাঁকা পেলেই গোটা স্টেডিয়ামে আওয়াজ, ভারত মাতা কি জয়। বাজছে ঢোল, তালে তালে জন-গণ-মন। সত্যিই এটা ব্যাংকক তো? নাকি দিল্লি বা কলকাতা? বোঝা যাচ্ছিল না। 

    ব্যাডমিন্টনে সোনার দিন ভারতের। প্রথমবার টমাস কাপ (Thomas Cup) জিতে ইতিহাস গড়লেন শ্রীকান্তরা। ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপ বলা যায় টমাস কাপকে। টমাস কাপের ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার জিতল ভারত। অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব ব্যাডমিন্টন, সব জায়গায় পদক থাকলেও এই একটি প্রতিযোগিতায় কিছুতেই দাপট দেখাতে পারছিল না ভারত। সেই অভাব মিটে গেল রবিবার, প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হল দেশ। ব্যাংককের নোনথাবুড়ির ইম্প্যাক্ট অ্যারেনাতে ফাইনালে পরিষ্কার ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল ১৪ বারের বিজয়ী ইন্দোনেশিয়াকে।

    প্রথম ম্যাচে লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen) প্রথম গেমে পিছিয়ে পড়েও জেতেন। প্রথম গেমে ৮-২১ ব্যবধানে হেরে যান লক্ষ্য। বলা যায় জিনটিং উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু সেখান থেকে দেখা গেল মরিয়া লড়াই। গ্যালারি থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ চিৎকার উদ্বুদ্ধ করছিল লক্ষ্যকে। তাঁর মরিয়া লড়াই দেখা গেল শেষ দু’টি গেমে। লক্ষ্যর নাছোড় মনোভাবই জয় এনে দিল ভারতকে। খেলার ফল ৮-২১, ২১-১৭, ২১-১৬। ফিরে আসার লড়াই দেখালেন লক্ষ্য। তাঁর জয় চাগিয়ে দিল চিরাগদের (Chirag Shetty)।

    দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল ডাবলসের লড়াই। চিরাগ শেট্টি এবং সাত্ত্বিকসাইরাজ (Satwiksairaj) মুখোমুখি হয়েছিলেন মহম্মদ এহসান এবং সুকামুলিয়োর। লক্ষ্যর মতো চিরাগরাও প্রথম গেম হেরে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হার মানেননি তাঁরা। শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জেতে ১৮-২১, ২৩-২১, ২১-১৯ ফলে। তৃতীয় ম্যাচে নেমেছিলেন শ্রীকান্ত। আশা-ভরসা ছিল তাঁর উপরেই। টানা তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতলেন শ্রীকান্ত। বিশ্বের আট নম্বর জোনাথন ক্রিস্টিকে হারালেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে কিদম্বি শ্রীকান্ত জিতলেন ১৫-২১, ২২-২০ পয়েন্ট। পাঁচ ম্যাচের বাকি দুটির আর প্রয়োজন হয়নি।

    ৪৩ বছর পর সেমিফাইনালে পা রাখা, তারপর ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে নামা, এবং সেখানে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন, গতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং প্রতিযোগিতার ফেবারিট ইন্দোনেশিয়াকে, পাঁচ ম্যাচের লড়াইয়ে প্রথম তিন ম্যাচেই উড়িয়ে দিয়ে। সত্যিই স্বপ্নের মতো লাগছে। টমাস কাপকে বলা যেতে পারে ছেলেদের ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপ, তাই ইন্দোনেশিয়া-কে হারিয়ে এই জয় ৮৩-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কে হারিয়ে ক্রিকেটে প্রথম বিশ্বজয়ের সমতুল্য বা ব্যাডমিন্টনে তার চেয়েও অনেক বেশি। 

    একটা সময় ছিল যখন ভারতকে টমাস কাপের যোগ্যতা অর্জন করতেই অনেক কষ্ট করতে হত। কিন্তু গত কয়েকবছরে সেই ছবিটা বদলেছিল। কিন্তু সাফল্য কোনওবারই ধরা দিচ্ছিল না। ইন্দোনেশিয়া, জাপান, চিন, মালেশিয়া, ডেনমার্ক, ব্যাডমিন্টনের ‘বড়দা’দের কাছে কুলীন হয়েই থাকতে হচ্ছিল ভারতকে।

    কিন্তু এবার কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের বিজয়ী মালয়েশিয়াকে হারিয়ে, সেমিফাইনালে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি অংশ নেওয়া ডেনমার্ককে হারিয়ে, যে দলে ছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী তথা এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ভিক্টর অ্যাক্সেলসেন, আর ফাইনালে ব্যাডমিন্টনের ‘অস্ট্রেলিয়া’, ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে, কিদম্বি শ্রীকান্ত, লক্ষ্য সেনরা দেখিয়ে দিলেন, তাঁরাও কোনও অংশে কম নন। 

    খেলা শেষে বিজয়ী দলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা বলেন প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে। সকলকে অনুপ্রাণিত করেন। বিজয়ী দলকে ১ কোটি আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    ভারতীয় ছেলেদের এই জয় ব্যাডমিন্টনকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিল। লক্ষ্য কিদম্বি দেখিয়ে দিলেন ব্যাডমিন্টনে তাঁরাও বিশ্বশাসন করতে পারেন। শুধু ভারতীয় ব্যাডমিন্টন নয়, ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে আজকের দিনটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। 

  • Punjab Congress: “আলবিদা কংগ্রেস”,  ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    Punjab Congress: “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : পঞ্জাবে (Punjab) ফের একবার জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress)। রাজস্থানের উদয়পুরে চলছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির (Chintan Shivir)। এই সময়ই ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে দল ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখর (Sunil Jakhar)। সদ্যই কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে পঞ্জাবের (Punjab) রাশ। তার পর ফের একবার রামধাক্কা খেল সোনিয়া গান্ধীর দল।

    পঞ্জাবে পরাজয়ের পর খোলনলচে বদলাতে উদ্যোগী হয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঢেলে সাজানো হয় দলীয় সংগঠন। দলের সব পদ থেকে অপসারণ করা হয় প্রবীণ নেতা সুনীল জাখরকে। কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে সোনিয়ার অনুমোদন সাপেক্ষে অপসারণ করা হয় তাঁকে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট। যার জেরে কংগ্রেসেই রয়ে যান সুনীল।

    এই নিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিতে ছাড়েননি সুনীল। তিনি বলেন, আমি তো কেবল প্রচার কমিটির প্রধান পদে ছিলাম। নির্বাচনের পর তো সেই পদই নেই। তাছাড়া সাংসদ থাকার দরুণ সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিতে ছিলাম। সাংসদ পদ খোয়ানোর পর সেই পদেও আমি নেই। কারণ আমি কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলাম না। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কোন পদ থেকে দল আমাকে অপসারণ করল?

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অপমানের জবাব দিতেই এদিন ফেসবুক লাইভ করে কংগ্রেস ছাড়েন জাখর। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস (Showcause notice) দিয়েছিল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন তারিক আনোয়ার (Tariq Anwar)। জাখর বলেন, তারিক আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। পরে ফিরেও এসেছেন। এক সময় দল এবং সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    ফেসবুক লাইভ চলাকালীন অম্বিকা সোনিকেও (Ambika soni) কটাক্ষ করেন জাখর। তাঁর প্রশ্ন, সোনি কীভাবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য হতে পারেন? জাখর বলেন, ১৯৭০ সালে অম্বিকা সোনি কোথায় ছিলেন যখন কংগ্রেসের সদস্যদের সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল? তিনি ছিলেন তাঁর দায়িত্ব থেকে দূরে। জাখরকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বলেছিলেন সোনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন সেই কারণেই সোনিকে নিশানা করেন জাখর।

    তিনি যে কংগ্রেসের শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী, তা জানিয়ে দেন জাখর। তিনি বলেন, আমি কংগ্রেসের দাস নই, বরং একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী। প্রবীণ এই কংগ্রেস কর্মী বলেন, গত ৫০ বছর ধরে আমি দলের একজন সুশৃঙ্খল কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। এদিন ফেসবুক লাইভ করে সম্পর্কের সেই সুতোটাই ছিঁড়ে ফেললেন জাখর।

     

  • IAF Officer Honey Trapped: যৌনতার ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআই-কে তথ্য পাচার! গ্রেফতার বায়ুসেনার আধিকারিক

    IAF Officer Honey Trapped: যৌনতার ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআই-কে তথ্য পাচার! গ্রেফতার বায়ুসেনার আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) সুন্দরীর জালে (Honey Trap) ধরা দিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগ উঠল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তদন্তে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে ধরা পড়লেন বায়ুসেনার ৩২ বছর বয়সী ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিসট্যান্ট’ (Administrative Asistant) দেবেন্দ্র নারায়ণ শর্মা (Devender Narayan Sharma)। দেবেন্দ্র দিল্লির সুব্রত পার্কে বায়ুসেনার রেকর্ড বিভাগে কাজ করতেন।

    এর আগেও বহুবার ভারতের সুরক্ষা (National Security) সংক্রান্ত তথ্য আদায় করতে যৌনতার ফাঁদ পেতেছে পাকিস্তান। এর আগেও বহু সামরিক আধিকারিক এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। বায়ুসেনার সার্জেন্ট পদে কর্মরত দেবেন্দ্রও সেই ফাঁদে পা দেন বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, যৌন ফাঁদে পা দিয়ে দেশের গোপন তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন বায়ুসেনার কোন এক আধিকারিক। তদন্ত কিছুটা এগোতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় দেবেন্দ্র শর্মার নাম। 

    তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে তথ্য। পুলিশের দাবি, দেবেন্দ্র স্বীকার করে নেন যে, পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে শরীরী প্রেমে মজে দেশের বিভিন্ন গোপন তথ্য তুলে দিয়েছেন আইএসআই- এর হাতে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও তথ্য পাঠাতেন বলেও জানিয়েছেন ধৃত বায়ুসেনা আধিকারিক। দেবেন্দ্র তথ্য পাচার করে অর্থ উপার্জনও করেছেন বলে ধারণা তদন্তকারী অফিসারদের।  

    গত ৬ মে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police ) ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন বায়ুসেনার ওই আধিকারিক। গ্রেফতারের সময় তাঁর সমস্ত পরিচয়পত্র এবং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গত বছর জুলাইতেও একই অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে (Official Secret Act) এক সেনাকর্মী সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তিও আইএসআই এজেন্টদের সরকারি তথ্য পাচার করছিলেন। পোখরানের বেস ক্যাম্প থেকে ৩৪ বছর বয়সী এক সবজি বিক্রেতাকে পাকড়াও করার পর বিষয়টি সামনে আসে। ওই সেনাকর্মীর থেকে তথ্য নিয়ে ওই সবজি বিক্রেতাই আইএসআই এজেন্টকে দিতেন। 

     

  • iPod: আর নয় আইপড জানাল অ্যাপেল, স্মৃতিমেদুর নেটপাড়া

    iPod: আর নয় আইপড জানাল অ্যাপেল, স্মৃতিমেদুর নেটপাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দশক আগে আইপড ছিল স্টেটাস আইকন। এক দশক আগেও এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে আইপড ছিল স্বপ্ন। পকেটে আইপড থাকলে বন্ধুদের কাছে গুরত্বও বেড়ে যেত অনেক। একটি ছোট যন্ত্রে ভরা থাকত রবীন্দ্রসংগীত থেকে রক মিউজিক। একগুচ্ছ গান শুনতে শুনতে পথ চলা শুরু। “দিনের শেষে,ঘুমের দেশে” হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গীও ছিল আইপড। কিন্তু এখন স্মার্ট ফোনের যাদুতে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসছে আইপডের আধিপত্য। মুঠোফোনে গান শোনা থেকে সিনেমা দেখা সবই হয়ে যাচ্ছে। তাই আকর্ষণ হারাচ্ছে আইপড। তাই আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপেল ঘোষণা করেছে যে,আর আইপড টাচ তৈরি করবে না তারা। বন্ধ করা হচ্ছে আইপডের বিক্রি। এটিই লেটেস্ট আইপড ছিল। 

    প্রথম আইপড লঞ্চ হয়েছিল ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর। আইপড প্রথম বাজারে এনেছিলেন  স্টিভ জোবস। সেসময় বিশ্বের বাজারে অ্যাপল কোম্পানির অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। সেই দুর্দশার মাঝে অ্যাপলের হাল ফিরিয়েছিল আইপড। iPod অ্যাপলকে একটা প্রায় দেউলিয়া সংস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থায় পরিণত করেছিল। তবে সে দিন আর নেই। অ্যাপলের আইফোন বাজার দখল করে নিয়েছে। তাই কোম্পানি জানিয়েছে আপাতত যে টুকু স্টক আছে, তা থেকেই আইপড টাচ বিক্রি হবে। স্টক ফুরিয়ে গেলেই বিক্রি শেষ।

    ২১ বছরের ব্যবধানে, অ্যাপল আইপডের বেশ কয়েকটি নতুন নতুন ভার্সান এনেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে আইপডের সমস্ত কাজ স্মার্টফোনেই উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আর আলাদা করে আইপডের চাহিদা নেই। ক্লিক হুইল-সহ আইপড ক্লাসিক ২০১৪ সালেই বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাপেল। এরপর ২০১৭ সালে, অ্যাপেল iPod Nano এবং iPod শাফল তৈরি বন্ধ করে দেয়।

    অ্যাপলের আইপডের শেষ মডেলটি ২০০৭ সালে বেরিয়েছিল। সেই মডেলের নাম ছিল ‘আইপড টাচ’। টাচ স্ক্রিনের সেই আইপডে শুধু গান নয়, থাকত ভিডিও, ছবি ও বিভিন্ন অ্যাপের বন্দোবস্ত। ৬৪ গিগাবাইট জায়গা ছিল সেই আইপডে। আইপড টাচ বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারে রেখেছিল অ্যাপেল। শখের কারণে অনেকে এখনও আইপড কিনতেন। তবে ধীরে ধীরে তার সংখ্যা কমেছে। তাই এবার বিদায়ের পালা।
     

  • Camel Auction: নিলামে উটের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ কোটি! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সরগরম নেটপাড়া

    Camel Auction: নিলামে উটের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ কোটি! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সরগরম নেটপাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রমজানের আগে একটি নিলামের (Auction) ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি উটকে (Camel) ১৪ কোটি টাকায় বিক্রি হতে দেখে তাক লেগে যায় অনেকেরই। কোথায় হচ্ছে এই নিলাম! কেনই বা এত দাম উটটির! এসব প্রশ্ন জাগে অনেকেরই মনে। জানা গেছে নিলামের দৃশ্যটি সৌদি আরবের (Saudi Arabia)। নিলামে উতটির দাম ওঠে সাত মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৬২ টাকা। 

    [tw]


    [/tw]

    সে দেশের একটি স্থানীয় নিউজ পোর্টাল আল মারাদ তাদের প্রতিবেদনে এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, এই উটের জন্য সার্বজনীন নিলামের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই নিলামের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি নিলামের জন্য দর হাঁকছেন। উটটির প্রাথমিক দাম ধার্য করা হয়েছিল পাঁচ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম দাড়ায় ১০ কোটি ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৮০ টাকা। দাম বাড়তে বাড়তে থামে সাত মিলিয়ন সৌদি রিয়ালে। সেই দামেই বিক্রি করা হয় উটটি। কে কিনলেন উট, তা এখনও জানা যায়নি।

    প্রসঙ্গত, সৌদি আরবেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ উট উৎসবের আয়োজন করা হয়। উটের জন্যই তৈরি হয়েছে ক্যামেল ক্লাব নামে একটি সংগঠন, যাদের উদ্দেশ্য সৌদি আরব-সহ উপসাগরীয় দেশসমূহ এবং ইসলামিক সংস্কৃতিতে উটের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। 

     

  • Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: : বিরোধীদের দাবির জেরে পিছু হঠল সরকার! তামিলনাড়ুতে (tamilnadu) অনুমতি দেওয়া হল পত্তিনা প্রবেশম (Pattina Pravesam) প্রথা পালনে। সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় খুশি তামিলনাড়ুবাসী।  

    বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় মঠাধীশকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। বিভিন্ন মঠ কর্তৃপক্ষ আলাদা আলাদা দিনে এই প্রথা (Palanquin Ritual) পালন করে। কয়েক যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন তামিলনাডু় সরকার।

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। মাইলাদুথুরাই জেলায় এই উৎসবের আয়োজন করতে উদ্যোগী হয় ধর্মপূরণ অধিনাম (Dharmapuram Adheenam) নামের একটি মঠের ভক্তরা। ২২ মে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলেই বিপত্তি বাঁধে। যুগ যুগ ধরে চলে আসায় এই প্রথায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এই প্রথা। তাই চলতে দেওয়া যায় না। শৈবদের অন্যতম প্রধান উৎসবের আয়োজনে প্রশাসন জল ঢেলে দেওয়ায় খেপে যান ভক্তরা। এম কে স্ট্যালিন (M K stalin) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি সহ বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও অবশ্য শান্ত করা যায়নি বিরোধীদের।

    মঠাধ্যক্ষদের তীব্র আপত্তি ও বিরোধীদের প্রবল চাপ এই জোড়াফলায় জেরবার স্ট্যালিন সরকার। শেষমেশ রবিবার রাতে সরকার ঘোষণা করে প্রথা পালনে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল স্থানীয় সরকার, তা তুলে নেওয়া হল। সরকারি এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিরোধী মহলে।

    আরও পড়ুন : পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা এবারও পালন করা যাবে। যেহেতু ভক্তরা স্বেচ্ছায় পালকি বহন করেন, তাই এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও বিষয় নেই। তাই প্রথা পালনে কোনও অসুবিধাও নেই।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দল বিজেপিও এই যুক্তিই দেখিয়েছিল। তার পরেও সরকার ওই অনুষ্ঠানে নিষাধাজ্ঞা তোলেনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেষমেশ বিরোধীদের সম্মিলিত চাপের কাছেই নতিস্বীকার করল সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই খুশি তামিলনাড়ুর তাবৎ ভক্তকুল।

     

LinkedIn
Share