Blog

  • Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল (Taj Mahal) নাকি হিন্দুদের মন্দির, এমনই দাবি নিয়ে তদন্তের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। তাজমহলের অন্দরে থাকা ২০টি ঘর খুলে পরীক্ষার দাবি করলেন তিনি। কী ছিল আগ্রায় (Agra)? ফের মাথাচারা দিল সেই বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ওই বিজেপি নেতার দাবি, তাজমহলের অন্দরে হিন্দু দেবদেবীর (Hindu idols) বহু মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের একাধিক নির্দশন (Hindu inscriptions) রয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad HC) লখনউ বেঞ্চে পিটিশন দায়ের করেছেন বিজেপির অযোধ্যা (Ayodhya) জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রজনীশ সিং (Rajneesh Singh)। তাঁর দাবি, তাজমহলের অন্দরে ২০টি তালাবন্ধ ঘর রয়েছে। সেখানে প্রচুর হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের নিদর্শন লুকিয়ে রাখা আছে। তাই তাঁর আর্জি, প্রত্নতত্ব বিভাগকে (ASI) ওই ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দিক আদালত। তাহলেই সত্যিটা সামনে আসবে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।

    আবেদনকারী রজনীশ সিং জানিয়েছেন, তাজমহল নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভিতরে ২০টি ঘর তালাবন্ধ। কাউকে সেখানে ঢুকতেও দেওয়া হয় না। মনে করা হয়, সেই ঘরগুলিতে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি রয়েছে। লুকিয়ে রয়েছে সনাতন ধর্মের বহু নির্দশন। তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে আবেদন করেছি যাতে তারা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দেয়। ওই ঘরগুলি খোলা হলে কোনও সমস্যা নেই। যদি সেখানে কিছু না থাকে, তাহলে সমস্ত বিতর্কের অবসান হবে।”

    পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, রাজ্য সরকারকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিক আদালত, যারা ওই ঘরগুলি পরীক্ষা করে দেখবে যে সেখানে কোনও হিন্দু ধর্মের নিদর্শন রয়েছে কিনা। বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিহার বলেন, তাজমহল নয়, আগ্রায় যমুনার তীরে একমাত্র তেজোমহলের অস্তিত্ব থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই সাংসদ একসময়ে দাবি করেছিলেন, আগ্রায় যেখানে আজ তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে তেজোমহল বলে একটি হিন্দু মন্দির ছিল।

     

  • Aryan Khan Drugs Case: আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা! প্রাক্তন এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Aryan Khan Drugs Case: আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা! প্রাক্তন এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলার (Drugs case) যখন স্বস্তিতে খান পরিবার তখনই বিড়ম্বনা বাড়ল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) প্রাক্তন অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede)। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র চোখে নির্দোষ আরিয়ান খান (Aryan Khan)। শাহরুখ (Shah Rukh Khan)-পুত্রের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।

    চার্জশিট পেশ হতেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। এনসিবি-র (NCB) প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিল সরকার। সূত্রের খবর ভুয়ো মামলা সাজানোর জন্য এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    গত বছর অক্টোবর মাসে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় (Cordelia Cruise) এনসিবি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীরই। সেখান থেকেই মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুদের। একাধিকবার তাঁর জামিন না-মঞ্জুর করে আদালত। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান বলিউড-বাদশার ছেলে। তার পরেও নিয়মিত এনসিবি দফতরের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হত তাঁকে। অবশেষে শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ান নির্দোষ।

    আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস শাহরুখ পুত্র, আমেরিকার পথে আরিয়ান

    সূত্রের খবর, এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Union Home Ministry) তরফে নির্দেশ গিয়েছে অর্থ মন্ত্রকের (Ministry of Finance) কাছে। শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগে তদন্ত চালানোর দায়ে সমীরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই মাদক-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ-সহ তদন্তের ভার ছিল এনসিবি মুম্বই শাখার উপরে। তার নেতৃত্বে ছিলেন সমীরই।

    পরে ওই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকায় তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্র-নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে। ভুয়ো তদন্ত, তদন্তে প্রভাব খাটানো-সহ একাধিক অভিযোগে পদ থেকে সরতে হয় সমীরকে। আরিয়ান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এবার শাস্তির মুখে প্রাক্তন এনসিবি কর্তা।

    মুম্বইয়ের এই মাদক মামলায় প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন সমীর। এনসিপি নেতা নবাব মালিক (Nawab Malik) আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘বলিউড বাদশা’র থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার জন্যই এই মামলা সাজিয়েছেন সমীর। তাঁর বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিটেক দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও ওঠে। 

    এভাবে মাদক মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকেই টাকা তুলতেন সমীর, বলে অভিযোগ। অনেকের দাবি, নভি মুম্বাইয়ে জাল লাইসেন্স নিয়ে বার এবং রেস্তোঁরা চালাতেন সমীর। যদিও সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

  • Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : কাশীপুরের (Cossipore) বিজেপি (BJP) কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার (Arjun Chaurasia) মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের ‘সিট’  (SIT probe) তৈরি করল রাজ্য সরকার (Bengal government)। চিৎপুর থানা ও হোমিসাইড বিভাগের চার সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হল বিশেষ তদন্তকারী দল। রবিবারই অর্জুনের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সংগ্রহ করা হয় অর্জুনের ইমেল পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বরও। গত শুক্রবার কাশীপুরের এক পরিত্যক্ত আবাসন থেকে মেলে অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিজেপি যুব মোর্চার (BJPY) সংগঠক অর্জুনকে গত পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই টার্গেট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা। আজ সোমবারই শেষকৃত্য হওয়ার কথা অর্জুনের।
    অর্জুনের মা লছমিনা চৌরাশিয়ার ও তাঁর ভাইয়ের দাবি, অর্জুনের মৃত্যুর আগের দিন, বৃহষ্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত কাশীপুর রেলওয়ে কলোনীতে তাঁদের বাড়ির কাছে, একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ঘরে ফিরেই আবার বেরিয়ে যায় অর্জুন। যদিও তখন বাইরে কাউকেই দেখেননি তিনি। অর্জুনের মায়ের দাবি, পরে একটা কথা কাটাকাটি কানে আসে। কেউ যেন বলছে, “মেরে গুম করে দেব। কেউ খুঁজে পাবে না।” লছমিনার অভিযোগ তাঁর ছেলেকেই কেউ হুমকি দিয়েছিল।
    তদন্তকারী সিটের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ, কোন সে রহস্যময় গাড়ি, যা গভীর রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার বাড়ির সামনে? কে বা কারা ছিল সেই গাড়ির আরোহী? তারাই কি হুমকি দিয়েছিল অর্জুনকে? তদন্তকারীরা এখন কিছুই বলতে রাজি নন। পোস্টমর্টেমের চূড়ান্ত রিপোর্ট মিলবে  এসপ্তাহেই। তখনই অনেক রহস্যের জট খোলার সম্ভাবনা।  

     

     

  • Dawood Ibrahim: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    Dawood Ibrahim: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার(gangster) ছোটা শাকিলের(Chota Shakeel) এক সাগরেদকে আটক করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গীদের খোঁজে সোমবার সকালে মুম্বইয়ের (Mumbai) একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। সেই সময়ই আটক করা হয় ছোটা শাকিলের সাগরেদ সালিম কুরেশি ওরফে সালিম ফ্রুটকে। সালিম ছোটা শাকিলের বোনের স্বামী। এদিন দক্ষিণ মুম্বইয়ের ভেন্ডি বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় তাকে।

    দাউদের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইয়ের অন্তত ২০টি জায়গায় এদিন দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে বান্দ্রা, নাগাপোড়া, বোরিভেলি, গোরেগাঁও, পারেল, সান্তাক্রুজের মতো অভিজাত এলাকাগুলি। কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের চক্রের খোঁজের নাগাল পেতে তল্লাশি চালানো হয়েছে মাদক পাচারকারী, হাওয়ালা অপারেটর, রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার সহ দাউদের একাধিক সাগরেদের বাড়িতে। তল্লাশির ব্যাপারে এদিন বিবৃতি জারি করে এনআইএ। বিবৃতিতে বলা হয়, বেশ কয়েকটি হাওয়ালা অপারেটর এবং মাদক ব্যবসায়ী দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যুক্ত ছিল। এনআইএ ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যাপারে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। সোমবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।

    দেশে নানা অপরাধ ও অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে দাউদের সাগরেদদের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের হয় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও (UAPA)। দাউদ গোষ্ঠীর অপরাধ চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে এবং অপরাধীদের নাগাল পেতে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তবে কেবল দাউদ নয়, ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, টাইগার মেনন, ইকবাল মির্চিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। প্রথমে দাউদের হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ও সম্পত্তির লেনদেন খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে ইডি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ইডি-র আধিকারিকরা মুম্বই ও আশপাশের এলাকার ১০ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। 

    এদিকে, আর্থিক জালিয়াতিকাণ্ডে দাউদের ভাই ইকবাল কাসকারকে (Iqbal Kaskar) হেফাজতে নিয়েছে ইডি (ED)। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার (1993 Mumbai blasts) নেপথ্যে থাকায় ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় রয়েছে দাউদ। ভারত থেকে পালিয়ে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী আশ্রয় নেয় পাকিস্তানে। দাউদ যে সে দেশে রয়েছে ২০২০ সালের অগাস্টে তা স্বীকারও করে পাক সরকার।

     

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

  • Ranil Wickremesinghe: আগামী কয়েকমাস শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে কঠিন সময় , ট্যুইট নয়া প্রধানমন্ত্রীর

    Ranil Wickremesinghe: আগামী কয়েকমাস শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে কঠিন সময় , ট্যুইট নয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারের ভাঁড়ার প্রকৃত অর্থেই খালি জেনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। দ্রুত আন্তর্জাতিক মহল এবং ব্য়ক্তিগত স্তরে বিত্তশালীদের সাহায্য না মিললে শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে কোনওরকম ধোঁয়াশায় না রেখে ট্যুইটবার্তায় তাঁদের সামনে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরলেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। 

    দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রথমেই বিক্রমাসিঙ্ঘে লেখেন, “আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মাস হতে চলেছে। এই বিষয়ে দেশবাসীর কাছে কোনও তথ্য গোপন রাখতে চাই না আমি। এই তথ্য বা পরিসংখ্যান ভয়ের হলেও বাস্তব।” এই মর্মে দেশের মাথায় থাকা ঋণের ভার থেকে শুরু করে জ্বালানি ভাণ্ডার, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে ওষুধ– প্রতিটি জরুরি পণ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন রনিল। 

    [tw]


    [/tw]

    বাজেট: দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। পূর্বতন সরকার বাজেটে ২.৪ ট্রিলিয়ন শ্রীলঙ্কান মুদ্রা রাজস্বের কথা বলেছিলেন বাস্তবে তা ১.৬ ট্রিলিয়ন বলে ট্যুইটবার্তায় জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। ঘাটতির পরিমাণ অনেক। যা কোষাগারকে শূন্য করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    ঋণ: প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ২০১৯-এর নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখন ট্রেজারিতে ১ মিলিয়ন ডলার খুঁজে পাওয়া চ্যালেঞ্জের। ভারত-চিন সহ অন্যান্য দেশগুলির কাছ থেকে এখন ঋণ চাইতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। 

    [tw]


    [/tw]

    মজুত জ্বালিনি: নগদ আর্থিক সঙ্কটে থাকা ওই দেশে পেট্রল (petrol) ফুরিয়েছে। দেশের কাছে মাত্র একদিনের গ্যাসোলিন মজুত রয়েছে বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের সহায়তায় শীঘ্রই দেশে পেট্রল ও ডিজেলের দুটি করে মোট চারটি শিপমেন্ট এসে পৌঁছবে। তাতে পরের কয়েকটা দিন চললেও তারপর কী হবে, জানা নেই। শ্রীলঙ্কার জলসীমায় নোঙর করা অপরিশোধিত তেল এবং ফার্নেস অয়েল সহ তিনটি জাহাজের মূল্য পরিশোধের জন্য খোলা বাজারে ডলার অর্জনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের ক্রেডিট লাইন ব্যবহার করেও পেট্রল ও ডিজেলের সঙ্কট রয়ে গিয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিদ্যুৎ পরিষেবা: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির প্রয়োজন। দেশে জ্বালানিই মজুত নেই। আগামী দিনে দেশবাসীকে হয়ত বা দিনে ১৫ ঘণ্টা অন্ধকারে কাটাতে হতে পারে। জ্বালানি-সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে সরকার। জ্বালানি সহজলভ্য হলেই বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো যাবে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্যাস: গ্যাসের জন্য হাহাকার শোনা যাচ্ছে চারিদিকে। গ্যাসের সমস্যা মেটাতে  অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই প্রয়োজন মেটাতে আমরা কথাবার্তা চালাচ্ছি। 

    [tw]


    [/tw]

    ওষুধ: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ১৪ টি প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, অস্ত্রোপচারের উপকরণ সবরেই খামতি রয়েছে। সরবরাহকারীরা প্রায় চার মাস ধরে তাঁদের বকেয়া পাননি। তা মেটানোর মতো অর্থও এখনই সরকারের কাছে নেই।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও বর্তমান সঙ্কট বেশিদিনের নয়। খুব শীঘ্রই তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে, বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে।  তিনি বলেন, “এর জন্য আমাদের অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় পরিষদ বা রাজনৈতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে,” বন্ধু দেশগুলির সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাদের থেকে সাহায্যের আশ্বাসও মিলেছে দাবি নয়া প্রধানমন্ত্রীর।

    এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার লোকসান রোধ করতে এবং শূন্য ভাঁড়ার ভরাতে জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে, বলে খবর। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য এই পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি বেতন প্রদানের জন্য টাকাও ছাপতে বাধ্য হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তবে যাই হোক কোনওভাবেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরবেন না বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। নতুন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, দেশ ও দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালনে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। 

  • Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ পার হয়নি বিজেপির সংকল্প যাত্রার। ৫ মে ঘটা করে বর্ষপূর্তি পালন করেছে তৃণমূলও। এই আবহেই আরেক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও একবার সামনে চলে এল।

    শুক্রবার কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক যুবকের। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। পরিবারেরও দাবি, অর্জুন বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অর্জুনকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে খুন হন বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ও কর্মী। এর সিংহভাগই পদ্ম শিবিরের বলে দাবি বিজেপির।  ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে রাজ্য বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল, তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদেই বুধবার রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    সেই যাত্রার কর্মসূচি পালনের পরে পরেই ৫ মে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জোড়া কর্মসূচির রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, অর্জুন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে গামছায় অর্জুনের দেহ ঝুলছিল, সেটি চৌরাসিয়া পরিবারের কারওর নয় বলেই দাবি সদস্যদের। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, অর্জুন তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

  • SpiceJet Horror: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    SpiceJet Horror: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবতরণের আগে রবিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী (Norwester Kalbaisakhi) ঝড়ের কবলে পড়া স্পাইসজেটের (Spicejet) মুম্বই-অণ্ডালগামী (Mumbai-Durgapur flight SG-945)  বিমানের দুই পাইলট-সহ অন্য কর্মীদের আপাতত বসিয়ে (Grounded) দেওয়া হল। রেডারে বজ্রগর্ভ মেঘ দেখা সত্বেও বিমানচালক কেন পথ পরিবর্তন করেননি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্পাইসজেট বিমান সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই ঘটনার সময় কিছুক্ষণ বিমানটি অটোপাইলট (Autopilot) মোডে ছিল। বিমানটিকে উড়তে অনুমতি দেওয়ার কারণে বসিয়ে দেওয়া হল আরও দুই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি, বি৭৩৭-৮০০ (Boeing 737-800)  বিমানটির উড়ানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (DGCA) ওই বিমানের দুই পাইলট-সহ সমস্ত কর্মীকেই ‘বসিয়ে’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমানটির ওড়ায় ছাড়পত্র দেওয়া রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনিয়ার এবং ওই সময় স্পাইসজেটের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিকেও। রবিবারের ঘটনার পর স্পাইসজেটের সমস্ত বিমানেরই পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ। এরই পাশাপাশি, বি৭৩৭-৮০০ বিমানটিও আর উড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

    ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ঝড়ের কবলে পড়ে ওই বিমানের ১৪ জন যাত্রী এবং তিন জন কর্মী আহত হয়েছেন। কারও মাথায়, কারও পিঠে, ঘাড়ে ও মুখে চোট লেগেছে। এখনও তিন জন যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মাথায় ও পিঠে গুরুতর চোট লাগায় তাঁদের মধ্যে দু’জন আপাতত দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি। বিমানটিতে ১৯৫ জন যাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনার কথা মনে পড়লে এখনও আতঙ্কে যাত্রীরা।

  • Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে-র পর বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) দেখা গিয়েছিল, তা অন্য কোনও ভোটে হয়নি। এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) বললেন, তৃণমূল (TMC) জমানায় বাংলায় (West Bengal) বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। 

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (2021 Assembly elections) পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। 

    এরপর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি।

    শুভেন্দুর মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই সময় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । তাঁর প্রশ্ন, শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার যদি জেল হতে পারে তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের জেল কেন হবে না?

    আসন্ন অমিত শাহর রাজ্য সফর প্রসঙ্গেও বলেছেন শুভেন্দু। বললেন, বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি।

    পাশাপাশি, আগামী ৮ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। ১১ মে দেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

     

  • Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেনাপ্রধানের (Indian Army Chief) দায়িত্বভার গ্রহণ করেই চিনের (China) উদ্দেশ্য়ে কড়া বার্তা দিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande)। তিনি জানিয়ে দিলেন, সীমান্ত এলাকায় চিনকে কোনও পরিস্থিতিতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না।

    গত সপ্তাহে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (MM Naravane)। তাঁর জায়গায় দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। একটি সাক্ষাৎকারে চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, স্থিতবস্থায় কোনওরকম পরিবর্তন আমরা হতে দেব না। আর কোনও ভাবেই জমি খোয়াব না।’’

    মনোজ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তে (India China border) যে অবস্থা রয়েছে তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ সেনাপ্রধানের দাবি, ‘‘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual control) বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের সেনাও (Indian Army) কৌশলগত সঠিক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশীর নিয়মিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকা এখন শান্ত।’’

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কথাবার্তাই একমাত্র সমাধান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমরা অতিরিক্ত সরঞ্জাম মোতায়েন করেছি। আমাদের লক্ষ্য হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমিত করা। সেনার কার্যকারিতা এবং শক্তিবৃদ্ধির জন্য বর্তমানে যে সংস্কার চলছে সেটাতেই নজর দিতে চাই।” একইসঙ্গে ইন্টার-সার্ভিস সমন্বয় বাড়ানোর গুরুত্বের ওপরও জোর দেন নতুন সেনাপ্রধান।

    অন্যদিকে, পাকিস্তান সীমান্ত (Pakistan Border) নিয়েও নিজের মুখ খুলেছেন সেনাপ্রধান। মনোজ পাণ্ডে জানান, আগের তুলনায় সংঘর্ষের পরিমাণ কমেছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Control) দুদিকেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা হলেও ভাল আছেন। তবে, তিনি এ-ও জানান, পাকিস্তানের দিক থেকে সন্ত্রাস ও মাদক পাচার (drug smuggling) দুই-ই চলছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ কমলেও, কাশ্মীরের অভ্যন্তরে নাশকতা কার্যকলাপ (terrorism) বেড়ে গিয়েছে। 

     

     

LinkedIn
Share