Blog

  • CBSE Compartment Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল, দেখবেন কী করে?

    CBSE Compartment Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল, দেখবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২২ সালের দশম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল (CBSE Compartment Result 2022) ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীরা cbse.gov.in.– এই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পাবেন সেই ফলাফল। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল, দেখবেন কী করে?

    কী করে দেখবেন এই ফল?

    • অফিসিয়াল ওয়েবসাইটcbse.gov.in.-এ যান। 
    • হোম পেজে ক্লাস ১০ কম্পার্টমেন্ট রেজাল্ট লিঙ্কে ক্লিক করুন। অথবা উপরে দেওয়া সরাসরি লিঙ্ক একটি নতুন উইন্ডো খুলবে।
    • নিজের তথ্য দিন এবং সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। 

    যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা কম্পার্টমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তারা ‘ডিজিলকার’ থেকে দশম শ্রেণির সংশোধিত মার্কশিট ডাউনলোড করতে পারবেন। কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে, স্কুলের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফ থেকে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা কম্পার্টমেন্ট পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তারা পরের বছর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ওই বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন।  

    এছাড়া সিবিএসই মার্কস ভেরিফিকেশন এবং রি-ইভ্যালিউশনের তারিখও প্রকাশ করেছে। মার্কস ভেরিফিকেশনের জন্যে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর। শেষ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর। প্রতি বিষয়ের মার্কস ভেরিফাই করতে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন এই বিষয়গুলি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) কয়েকদিন আগেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির টার্ম ২-র চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২২ জুলাই ফলাফল ঘোষণা করছে বোর্ড। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মোট পাশের হার ৯৪.৪০ শতাংশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় মোট পাশের হার ৯২.৭১ শতাংশ। 

    ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে শুরু হবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা (CBSE Exam 2023)। এবছরের পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরেই এমনটা জানিয়েছে বোর্ড। এ বছরের মতো দুটি টার্মে নয়, সামনের বছর একটিই বার্ষিক পরীক্ষা নেবে বোর্ড। সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু পরিবর্তন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Queen Elizabeth II: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    Queen Elizabeth II: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ব্রিটেনের (London) রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল (Balmoral retreat in the Scottish highlands) প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন রানি। আজ, শুক্রবার তাঁর দেহ লন্ডনে নিয়ে আসা হবে। টানা ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ বসেছেন মোট ১৫ জন। মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। অসুস্থতার জন্য প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি  দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

    বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রানি। ভালোভাবে চলাফেরাও করতে পারতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি বুঝে বালমোরে ছুটে আসেন যুবরাজ চার্লস, রাজকুমারী অ্যান, উইলিয়াম, হ্যারি ও তাঁদের স্ত্রী। নবতিপর রানির শেষকৃত্য কীভাবে হবে তা নাকি বহুদিন আগেই ঠিক করে রেখেছে রাজ পরিবার। তেমনটাই দাবি করেছিল মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘পলিটিকো’। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে জল্পনা চলছে। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, রানির শেষকৃত্য সংক্রান্ত সম্পূর্ণ গোপন পরিকল্পনার নাম ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’। কিন্তু বৃহস্পতিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রয়াত হয়েছেন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে। তাই স্কটল্যান্ডের প্রতীক ইউনিকর্নের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে রানির প্রয়াণ পরবর্তী করণীয়গুলি। তৈরি হয়েছে সপ্তাহব্যাপী শোকপালনের কর্মসূচি।

    তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, ‘রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আমাদের সময় প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই দুঃখের দিনে তাঁর পরিবার ও ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    এর সঙ্গেই অপর ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, ‘২০১৫ ও ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় আমার সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বৈঠক হয়েছিল। তাঁর উদারতা ও দয়াশীলতা কোনওদিন ভুলব না। তিনি আমায় একটি রুমাল দেখিয়েছিলেন। সেই রুমালটি তাঁর বিয়েতে মহাত্মা গান্ধী তাঁকে দেন। সেই মুহূর্তটা চিরদিন মনে থাকবে।’

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোকজ্ঞাপন করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্টজনেরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আছেন। বিশ্বনেতারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতার প্রতি সম্মান জানান। জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করার কথা জানান। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AAP Bus Scam: বাস দুর্নীতিতে আপ সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের

    AAP Bus Scam: বাস দুর্নীতিতে আপ সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এবার বাস কেনায় দুর্নীতির (CBI Investigation for Bus Scam) অভিযোগে দিল্লির বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে শাসক দল আমি আদমি পার্টির (AAP) বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা (Delhi Lieutenant Governor Vinai Kumar Saxena)। জানা গিয়েছে, গত মাসেই আপের বিরুদ্ধে বাস দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে সরব হয় গেরুয়া শিবির (BJP)। এরপরে মুখ্যসচিব নরেশ কুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে হাজারটি বাস কেনা ও তার রক্ষনাবেক্ষনের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। আপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কেন জানেন?        
     
    দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (Delhi Transport Corporation) সম্প্রতি হাজারটি লো ফ্লোর বাস কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। টেন্ডার দেওয়া হয় একটি সংস্থাকে। অভিযোগ, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রীকে টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। গত জুন মাসে এই নিয়ে উত্তাল হয় বিরোধী দল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ে। দিল্লির মুখ্যসচিব রিপোর্ট জমা দিলে দেখা যায়, সেই রিপোর্টে তিনি বেনিয়মের কথাই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি টেন্ডারেও ত্রুটি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পরে ওই বাস কেনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
     
    এদিকে বাস কেনার বেনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, “যে বাসের কথা বলা হচ্ছে তা কেনার প্রক্রিয়া আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গত দেড় বছরে এই মামলায় সিবিআই কিছুই বেনিয়ম খুঁজে পায়নি।” পাশাপাশি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আপের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নিজের ওপর ওঠা অভিযোগগুলি থেকে দৃষ্টি সরাতে এখন বাসের প্রসঙ্গ টানছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।” 

    আরও পড়ুন: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    সিবিআই ইতিমধ্যেই এই বাসগুলি কেনা এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তিগুলি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত চালাচ্ছে। তার মধ্যেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর নতুন অভিযোগগুলিকেও যুক্ত করার জন্য সিবিআই-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিজের সাফাইয়ে আপ জানিয়েছে, ‘‘বাস কখনও কেনাই হয়নি, দরপত্রও বাতিল করা হয়েছিল।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Lumpy Skin Disease: চোখ রাঙাচ্ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, সংক্রমিত হতে পারে মানুষও?

    Lumpy Skin Disease: চোখ রাঙাচ্ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, সংক্রমিত হতে পারে মানুষও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভাইরাস (Virus)। নাম লাম্পি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease)। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমণে ভারতে (India) মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজার গবাদি পশুর (Cattle)। সম্প্রতি এ খবর জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। রোগটি থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নয়া এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৫.২১ লক্ষ গবাদি পশু। দেশের সাতটি রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সংক্রমণ। এই রাজ্যগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং দিল্লি।

    যেহেতু এটি সংক্রমক ব্যাধি, তাই লাম্পি স্কিন ডিজিজে  সংক্রমিত পশুকে পালের অন্য পশুদের থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরামর্শ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সংক্রমণ যাতে দ্রুত না ছাড়ায়, তাই এই ব্যবস্থা। আরও জানা গিয়েছে, লাম্পি স্কিন ডিজিজ সব চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে রাজস্থান এবং গুজরাটে। পরিস্থিতি বিচার করে এই দুই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কেবল অগাস্টেই এই দুই রাজ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিজে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি গবাদি পশুর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে। দাবি জানিয়েছেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার। গুজরাট সরকার সংক্রমিত ১৪টি জেলায় গবাদি পশু পরিবহণে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির মতে, লাম্পি স্কিন জিজিজ একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এটি পশুদেহে সংক্রমিত হয়। রক্তচোষা পোকামাকড় যেমন মশা, মাছি প্রভৃতির মাধ্যমে এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর দেহে সংক্রমণ ছড়ায়। কোনও পশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে সংক্রমিত হলে তার জ্বর হবে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গজাবে আব। নাক এবং চোখ দিয়ে জল গড়াবে। কমে যাবে দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা। খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা দেখা দেবে। রোগের কারণে গর্ভপাত হতে পারে সংক্রমিত পশুর। মারণ ভাইরাস কেড়ে নিতে পারে পশুর প্রাণও। তবে আশার কথা একটাই। সেটি হল, গবাদি পশু থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয় না মানবদেহে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Queen Elizabeth II: ১৯ সেপ্টেম্বর রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকল লালকেল্লায়

    Queen Elizabeth II: ১৯ সেপ্টেম্বর রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকল লালকেল্লায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাষ্ট্রীয় শোক দিবস৷ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সরকারের তরফে এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই দিল্লির লালকেল্লায় অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর দিনটি জাতীয় শোক দিবস (one day state mourning) হিসেবে পালন করা হবে। তাই আজ লালকেল্লা এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

    রানি প্রয়াত হওয়ার পরদিনই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে একটি ট্যুইটে জানানো হয় যে, “গ্রেট ব্রিটেনের ইউকে এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের হার ম্যাজেস্টি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা (Queen Elizabeth II) গিয়েছেন৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১১ সেপ্টেম্বর দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে৷”

    আরও পড়ুন: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    আজ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন স্কটল্যান্ডের ব্যালাটার গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত রানি এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো চলছে। তাঁর মরদেহ এখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে (Westminster Abbey in London) রানির শেষকৃত্য হবে বলে শনিবার জানিয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেস (Buckingham Palace) ৷

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল (Balmoral retreat in the Scottish highlands) প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি। দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। এরপর রানির মৃত্যুর দুদিন পরেই ব্রিটেনের রাজা হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে তৃতীয় চার্লসের (Charles III)। শনিবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিটেনের নতুন রাজা হিসাবে দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্থলাভিষিক্ত হলেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র চার্লস। ৭৩ বছর বয়সে যুবরাজ থেকে রাজার গদিতে বসেছেন তৃতীয় চার্লস। ফলে চার্লসের উত্তরাধিকারী হবেন উইলিয়াম এবং তিনি হবেন প্রিন্স অব ওয়েলস। মায়ের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজা হিসেবে সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।

  • Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত (India) ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি জানান, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (CII) হিসেবেই উঠে এসেছে এই তথ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে গঠনগত ও কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে ভারত দ্রুত সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির হিসেবেই জানা গিয়েছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমরা একটি উন্নতিশীল দেশ। এ দেশ তার প্রতিটি নাগরিকের প্রতি খেয়াল রাখে।

    দেশের জন্য তিনি যে গর্ব অনুভব করেন, এদিন তাও উঠে এসেছে পীযূষের গলায়। তিনি বলেন, বিশ্বের সব গণতন্ত্রের মা ভারতকে নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের একটি সক্রিয় বিচার ব্যবস্থা আছে, আইনের শাসন আছে, সদা সতর্ক মিডিয়া আছে এবং স্বচ্ছ সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে। ২০৪৭ সালে ভারত বিশ্ব অর্থনীতির পাওয়ার হাউস হিসেবে উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আমরা শুরু করেছি। আমাদের এই নয়া যাত্রায় শামিল হোন আপনারাও। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেখুন, আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারত কোথায় যায়। আগামী পঁচিশ বছর ভারতের অমৃতকাল বলেও মনে করেন গোয়েল। ভারতে বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও এদিন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, ভারতে সুবিশাল জনসংখ্যার একটি সুবিধা রয়েছে। আমাদের রয়েছে যুব সম্প্রদায়, উচ্চাকাঙ্খী মানুষ। এটা একটা বিরাট সুযোগ। এই যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গোয়েল বলেন, এটাই ভারতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের এই নয়া যাত্রার শরিক হতে আমি আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করা হল। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে যে তাদের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫ (MNREGA) এর অধীনে টাকা পেতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছেন “MNREGA তহবিলের ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে।” কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারিতেই টনক নড়ে রাজ্যের। দ্রুত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়  ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। এঁরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে ঘিরে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকারি কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকলে তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসে মনরেগা তহবিল আটকানোর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যে গিয়ে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার সত্যতাও পেয়েছেন। একশো দিনের কাজে রুল নম্বর ২৭ অনুযাযী যদি কোনও রাজ্য কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে না চলে সে ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের বকেয়া অর্থ আটকে দেওয়ার অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে লিখেছি যে আমাদের তহবিলের কোনও অভাব নেই, তবে তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনও আর্থিক অনিয়ম কাম্য নয়। রাজ্যগুলি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ করেছে তা আমরা অক্টোবরে খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মন্ত্রী আরও বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে MNREGA-তে আরও স্বচ্ছতা আনতে বলেছি এবং এর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন কমিশনারদের পরিদর্শন, রিয়েল-টাইম উপস্থিতি, একটি সক্রিয় লোকপাল, সামাজিক অডিট, একটি জাতীয় মোবাইল পর্যবেক্ষণ।” একটি অ্যাপের সাথে পুরো সিস্টেমটি যোগ করার কথাও বলেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে রয়েছে রাজ্য। তাই স্বচ্ছতা দেখাতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: প্রায় ন’বছর পরে নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটছে না। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন (West Bengal state medical council election) নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জটিলতা চলছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেই নির্বাচন শুরু হবে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে, যে দাবিতে চিকিৎসকদের একাংশ সরব হয়েছিলেন, সেটা কতখানি বাস্তব আকার নেবে, সে নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ, আদৌ স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন যেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি এবারেও অপরিবর্তিত। এ বছরেও সব চিকিৎসক ভোটাধিকারের সুযোগ পাবেন কিনা, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। চিকিৎসক নেতা শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ব্যালট পেপার হাসপাতালের অধ্যক্ষ অথবা সুপারের কাছে যায়। তিনি সেগুলো প্রত্যেককে দেন। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক যা অবস্থা, তাতে কোনও ব্যালট পেপার বিলি হবে না।” তাঁর আশঙ্কা, “হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তা, যাঁরা আসলে তৃণমূলের লোক, তাঁরাই ব্যালট খুলে ভোট দিয়ে দেবেন। আসলে সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তারা ভাবেননি, চিকিৎসকরা এমন নিম্নরুচির কাজ করতে পারেন।” তাঁর আশঙ্কা, এ বছরেও মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন হবে লোক দেখানো। তার মধ্যে গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শ ছিটেফোঁটাও থাকবে না। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, ঠিকমতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি করা, ভুয়ো চিকিৎসকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো এবং মানুষ ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। এই কাউন্সিলের দায়িত্ব কে সামলাবে, তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হয়। চিকিৎসকরাই নির্বাচিত করেন কাউন্সিলের সদস্যদের। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    ২০১৩ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাঝি (Nirmal Majhi)। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই মতো ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের আয়োজন হয়। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ব্যালট পাননি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছে যাবে। তিনি পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। ডাকে মুখ বন্ধ খামে তাঁর ব্যালট আবার কাউন্সিলে ফেরত যাবে। কিন্তু অভিযোগ, ২০১৮ সালে অধিকাংশ চিকিৎসক ব্যালট পাননি। অনেকেই খালি খাম পেয়েছেন। ডাক বিভাগ থেকে চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছনোর আগেই কীভাবে ভিতরের ব্যালট পেপার উধাও হয়ে গেল, সে নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের নির্বাচনে কতখানি স্বচ্ছতা থাকবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, “কাউন্সিলের স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল। সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে। তবে, সেই কমিটির ৫ জন সদস্যেরই সরাসরি শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। ফলে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন স্বচ্ছ করার কতখানি সদিচ্ছা সরকারের আছে, এই ঘটনাই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।”

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি নির্মল মাঝির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। কখনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে দামি জীবনদায়ী ওষুধ চুরির আবার কখনও ভুয়ো চিকিৎসককে রেজিস্ট্রেশন পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ হয়েছে। অপর দিকে শাসক দলের আরেক চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের (TMC Rajya Sabha MP Shantanu Sen) বিরুদ্ধেও চিকিৎসক মহলে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। বিশেষত স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ গড়মিলে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। তাই শাসক দল, এবার নির্মল মাঝি ও শান্তনু সেন এই দুই চিকিৎসক নেতাকেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছেন। এবছর শাসক দলের মুখ সুদীপ্ত রায়।

    নেতা বদল হলেও পরিস্থিতি বদলাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে দুটো প্যানেলে নির্বাচন হয়। একটি মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসের, যেখানে মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদাধিকারী থেকে অধ্যাপক পদে কর্মরত চিকিৎসকরা ভোট দেন। আরেকটি প্যানেল নন-টিচিং ডাক্তারদের। প্রত্যেক প্যানেল থেকে ৭ জন সদস্য নির্বাচিত হন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    আজ মঙ্গলবার নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৭ সেপ্টেম্বর নমিনেশন ভেরিফিকেশন হবে। যেগুলোতে ভুল আছে, তা বাতিল হবে। তারপরে প্রত্যেক দল, তাদের মনোনিত ৭ জন করে সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা ঘোষণা করবেন। সাধারণত, প্রত্যেক দলের ১০-১২ জন সদস্য নমিনেশন পেপার জমা দেন। কারণ, অনেকের ভেরিফিকেশনের সময় বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু শাসক দল ৭ জন সদস্যই নমিনেশন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচনে কারা দাঁড়াবেন, সেটাও দল ঘোষণাও করে দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, “এই ঘটনায় বোঝাচ্ছে, নমিনেশন, ভেরিফিকেশন এগুলো সব লোক দেখানো। শাসক দলের এসব কিছুর করার প্রয়োজন নেই? তারা কোনও ভুল করবেন না?” 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্বত্র শাসক দল নিজেদের পেশি শক্তির প্রকাশ করতে চাইছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজের মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো কাজ না করলে স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও তার প্রভাব পড়বে। যার জেরে সাধারণ মানুষকেও নাজেহাল হতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hijab Row: যেখানে ইউনিফর্ম রয়েছে, পড়ুয়ারা কি ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    Hijab Row: যেখানে ইউনিফর্ম রয়েছে, পড়ুয়ারা কি ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে কি পড়ুয়ারা ইচ্ছে মতো পোশাক পরে আসতে পারে? মঙ্গলবার হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) মামলাকারীকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কের জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল কর্নাটকের পাশাপাশি গোটা দেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। আর কিছু মামলা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলাকালীনই জনৈক মামলাকারীকে এই প্রশ্ন করে আদালত।

    বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও শুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ এদিন মন্তব্য করেন, প্রস্তাবিত ইউনিফর্ম নিয়ে কর্নাটক সরকারের যে নির্দেশ রয়েছে, তা শিক্ষার অধিকারকে অমান্য করে না। বিচারপতি গুপ্ত বলেন, আপনারা বলেন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও নিয়ম জারি করতে পারে না। কিন্তু রাজ্যের নির্দেশে যেখানে ড্রেসকোড রয়েছে, সেখানে কি কোনও পড়ুয়া মিনিস্কার্ট, মিডি কিংবা যা খুশি তা পরে আসতে পারে?

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    প্রত্যেকের যে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে, তাও মেনে নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালাত। বেঞ্চ বলে, এটা সত্য যে প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার রয়েছে তাঁর নিজের ধর্ম পালনের। কিন্তু বিষয়টা হল, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে এটা করা যায় কি? বেঞ্চের মন্তব্য, আপনার ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে আপনি তা করতে পারেন না। আপনি হিজাব কিংবা স্কার্ফ পরতেই পারেন। কিন্তু যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রয়েছে, সেখানে কি আপনি তা করতে পারেন? যেহেতু রাজ্যের এ ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে, তাই নির্দিষ্ট পোশাক পরেই আসতে হবে। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে ফের এই মামলার শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM-SHRI Scheme: প্রধানমন্ত্রীর নয়া প্রকল্পে দেশ জুড়ে ১৪,৫০০টি স্কুলে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত

    PM-SHRI Scheme: প্রধানমন্ত্রীর নয়া প্রকল্পে দেশ জুড়ে ১৪,৫০০টি স্কুলে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক দিবসে (Teachers’ Day) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) দেশের স্কুলগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন। প্রধানমন্ত্রী স্কুল ফর রাইজিং ইন্ডিয়া (PM-SHRI) এই নয়া প্রকল্পের অধীনে দেশ জুড়ে ১৪,৫০০টি স্কুলের উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্কুলগুলিকে জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প স্কুলগুলিকে একটি বিকল্প, আধুনিক, রূপান্তরিত শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করবে ৷ অর্থাৎ আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটাল মাধ্যমে লেখাপড়া, খেলাধুলায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার সহ একাধিক, আধুনিক পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হবে।

    এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘আজ শিক্ষকদিবসে আমি একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত৷ প্রধানমন্ত্রী স্কুল ফর রাইজিং ইন্ডিয়া যোজনার অধীনে ভারত জুড়ে ১৪,৫০০টি স্কুলের উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এগুলি মডেল স্কুলে পরিণত হবে।’  

    আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও বার্তা ট্যুইট করেন। তাঁর কথায়, ‘মা আমাদের জন্ম দেন, কিন্তু শিক্ষক আমাদের জীবনদান করেন। আমরা ভাল শিক্ষক পেলে, ভাল বৈজ্ঞানিক পেলে, ভাল ডাক্তার পেলে, মনে রাখতে হবে তাঁদের পিছনে ভাল শিক্ষক ছিলেন।’ 

    প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ ছাত্র ছাত্রী উপকৃত হবে। মোদী লেখেন, “জাতীয় শিক্ষা নীতি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। আমি নিশ্চিত যে নয়া প্রকল্পে (PM-SHRI) শিক্ষার্থীরা আরও উপকৃত হবে।” আগামী দিনে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোয় উন্নতির জোয়ার আসবে, বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share