Blog

  • S Jaishankar: ভোট রাজনীতি দেশের স্বার্থকে প্রভাবিত করবে, সেই দিন আর নেই, বললেন এস জয়শঙ্কর 

    S Jaishankar: ভোট রাজনীতি দেশের স্বার্থকে প্রভাবিত করবে, সেই দিন আর নেই, বললেন এস জয়শঙ্কর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে ভোটের রাজনীতি বিদেশনীতি (Foreign Policy) ঠিক করত। এখন আর সেই দিন নেই। ইজরায়েল তার প্রমাণ। নিজের বইয়ের গুজরাতি সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে বিরোধ বহু বছর ধরে চলে আসছে। আমাদের কিছু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে। আমরা আর ইজরায়েলের সঙ্গে নেই। নরেন্দ্র মোদিই (Narendra Modi) ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ইজরায়েলে গিয়েছেন। গোটা দেশ যানে সেই সম্পর্ক থেকে আমাদের কত লাভ হতে পারত। কিন্তু ভোট রাজনীতি দেশের স্বার্থকে প্রভাবিত করবে সেই দিন আর নেই।” 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধি অতি দ্রুত কমছে। এর অন্যতম কারণ শিক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা। দিন দিন আমাদের দেশে পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে। এটা বিবর্তনের একটা অংশ। জোর করে জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ ভয়ঙ্কর। আমরা অনেক দেশেই দেখি লিঙ্গ ভারসাম্য নেই। এতে সমাজের কোনও উপকার হয় না। গণতন্ত্রের কিছু সমস্যাও রয়েছে। মানুষ কখনও কখনও হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক অসুবিধা থাকলেও অগণতন্ত্রের থেকে গণতন্ত্র যেকোনও মুহূর্তে ভালো। জনসংখ্যার মতো বিষয়গুলিকেও গণতান্ত্রিকভাবে দেখতে হবে। যারা জোর করেছে তারা এখন পস্তাচ্ছে।”

    তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান, তখন সেই দেশের উন্নয়ন দেখেন। দেখেন কী কাজ হচ্ছে। ট্রেন, বুলেট ট্রেন তারই ফসল। উনি খেয়াল করেছেন কীভাবে সাউথ কোরিয়া দুষিত নদী পরিষ্কার করে। উনি যখন সিঙ্গাপুরে ছিলেন, তখন বার্লিন রেলওয়ে স্টেশনে যান। সেখান থেকে স্মার্ট সিটির পরিকল্পনা নিয়ে আসেন। সরকারের ভাবনা বদলেছে। বাইরের দেশে ভালো যা ঘটছে আমরা তা আমাদের জনগণের সামনে এনে হাজির করছি।” 

    আরও পড়ুন: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    এদিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়া থেকে পণ্য কেনার বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মানুষ ভারতের অবস্থা বুঝবে না। এখানকার আয়-ব্যয়ও বুঝবে না। রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে বিদেশ নীতির থেকেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি জনগণের সুবিধায়। নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ ছিল দেশবাসীর বিষয়ে আমাদের আগে ভাবতে হবে।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখনই ওজন কমানের কথা আসে তখনই বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের কথা বলে থাকেন। কেউ বলেন কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত আবার কেও বলেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন আমাদের ডায়েটে রাখা উচিত। সুতরাং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এক-একজনের এক-একরকমের মতামত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে ডায়েটে সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।

    বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। শস্য, ফল এবং সবজিতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়,  ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে সেগুলো হল-

    ব্রকলি

    ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি উভয়ই ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ব্রকলিতে প্রতি কাপে পাঁচ গ্রাম ফাইবার থাকে। এই সবজি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    পালং শাক

    এই শাক চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। পালং শাক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

    সবুজ মটর

    সবুজ মটর সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়াও, সবুজ মটর দিয়ে রান্না করাও সহজ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ঢেঁড়শ

    এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ধরণের খনিজ উপাদান রয়েছে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, লেডিফিঙ্গার অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।

    কুমড়ো

    এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং কে এর একটি ভাল উৎস। এটি মিষ্টি এবং স্বাদযুক্ত উভয় জিনিস তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কুমড়ো ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

    ফুলকপি

    এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই সবজিটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

    বেগুন

    দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবারের পাওয়ার হাউস হল বেগুন। বেগুনের খোসা অদ্রবণীয় ফাইবার ও বেগুনের ভেতরের অংশ দ্রবণীয়। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • IPL Rights: দর উঠল ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা! কে পেল আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব?

    IPL Rights: দর উঠল ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা! কে পেল আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের (IPL) ভারতীয়-উপমহাদেশের টেলিভিশিন স্বত্ব থাকল সেই স্টারের (Star) হাতেই। একই এলাকার ডিজিটাল স্বত্ব পেল ভায়াকম ১৮ (Viacom 18)। সবমিলিয়ে চারটি সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে ৪৮,৩৮০ কোটি টাকা তুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। মঙ্গলবার বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah) ট্যুইট করে জানান বিষয়টি।

    ট্যুইটে জয় শাহ এদিন লেখেন, “আইপিএলের শুরুর দিন থেকে বৃদ্ধি শব্দটা সমার্থক। আজ ব্র্যান্ড আইপিএলের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটের রেড-লেটার ডে। ই-নিলামের মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। প্রতি ম্যাচের দামের নিরিখে আইপিএল এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সবচেয়ে দামী লিগ।” 

    [tw]


    [/tw]

    মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনের নিলাম শেষ হয়েছে গতকাল। এর আগে বিসিসিআই ১৬,৩৪৭,৫০ কোটি টাকায় ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ককে মিডিয়া রাইটস (IPL Media Rights) বিক্রি করেছিল। এবার প্রায় তিনগুণ লক্ষ্মীলাভ। বিসিসিআই-এর প্রত্যাশা থেকে অনেকটাই ছাপিয়ে গেল আয়ের অঙ্ক। দু’টি ভিন্ন সম্প্রচারকারী সংস্থা নিলামে লড়াই করে বাজিমাত করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকায়।  ভারতীয় উপমহাদেশে টিভি সত্ব বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায়। এই প্রথমবার টিভি স্বত্বকে পিছনে ফেলল ডিজিটাল স্বত্ব।

    আরও পড়ুন: আইপিএলের স্বত্ব কেনার লড়াই থেকে সরে দাঁড়াল অ্যামাজন!

    দেখে নেওয়া যাক কোন স্বত্ব কত টাকায় বিক্রি হল?   

    টিভি স্বত্ব: ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা (ম্যাচ পিছু ৫৭.৪০ কোটি টাকা)

    ডিজিটাল স্বত্ব: ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (ম্যাচ পিছু ৫০ কোটি টাকা)

    ডিজিটাল (নন এক্সক্লুসিভ ১৮টি ম্যাচ): ৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা (ম্যাচ পিছু ৩৩.২৪ টাকা)

    বিদেশি স্বত্ব: ১০৫৮ কোটি টাকা (ম্যাচ পিছু ২.৬ কোটি টাকা)

    শুধু ভারতীয় উপ-মহাদেশের একটি বিশেষ ডিজিটাল স্বত্ব প্যাকেজ ‘ডি’-র একাংশ জিতেছে ভায়োকম ১৮। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রিটেনের ডিজিটাল স্বত্বও জিতেছে তারা। বাকি বিশ্বের স্বত্ব কিনে নিয়েছে টাইমস ইন্টারনেট। সব মিলিয়ে ১,৩০০ কোটি টাকার বেশি অর্থে প্যাকেজ ‘ডি’-র স্বত্ব বিক্রি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোন দল কতবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জানেন? দেখুন তালিকা      

    আইপিএলের প্রথম ১০ বছরের স্বত্ব কিনেছিল সোনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বত্ব কিনতে তখন ৮,২০০ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল তাদের। পরের পাঁচ বছরের স্বত্ব ১৬,৩৪৭.৫ কোটি টাকায় কিনেছিল স্টার। তখন আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচের মূল্য ছিল ৫৪.৫ কোটি টাকা। এবার তা প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিটি ম্যাচের মূল্য ১১৪ কোটি টাকায় (১৪.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঠেকেছে। যা অঙ্কের নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে। শীর্ষে আছে এনএফএল (১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।     

     

  • Rana Kapoor: প্রিয়াঙ্কার থেকে ২ কোটি টাকা দিয়ে হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন, দাবি ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তার

    Rana Kapoor: প্রিয়াঙ্কার থেকে ২ কোটি টাকা দিয়ে হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন, দাবি ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার (priyanka gandhi) কাছ থেকে এমএফ হুসেনের পেইন্টিং (MF Hussain painting) কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। কংগ্রেস নেত্রীর  বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন আর্থিক তছরুপ মামলায় (money laundering case) অভিযুক্ত ইয়েস ব্যাঙ্কের (Yes bank) সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর (Rana Kapoor)। চার্জশিটে এমনটাই দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি।

    বর্তমানে রাণা কাপুর রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। ইডির কাছে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছ থেকে মকবুল ফিদা হুসেনের একটি ছবি জোর করে কেনানো হয়েছিল তাঁকে দিয়ে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তাঁর কাছ থেকে পাওয়া দু কোটি টাকা ব্যবহার হয়েছিল নিউইয়র্কে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) চিকিৎসায়। 

    আর্থিক তছরুপ মামলায় মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার জানিয়েছেন, তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুরলী দেওরা ও আহমেদ পটেল তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ছবি না কিনলে তাঁর সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক গড়ে উঠবে না এবং এর ফলে তাঁর ‘পদ্মভূষণ’ পাওয়া আটকে যাবে। 

    যদিও, কংগ্রেসের তরফে দাবি খারিজ করে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত একজনের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী আর আশা করা যেতে পারে। আর ওই ব্যক্তি এমন সব লোকেদের কথা বলছেন, যাঁরা বেঁচে নেই।

     

  • NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর (Comet) সন্ধান দিল নাসার (NASA) হাবল টেলিস্কোপ (Hubble telescope)।  এতদিন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ধূমকেতুগুলির মধ্যে এর দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। যা শুনলে চমকে উঠবে যে কেউ। 

    এই ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল,তা ভেঙে গিয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271। সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ গুণ বেশি! আমেরিকার দ্বীপ রোদে আইল্যান্ডের থেকেও বড় এটি। প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানার দিকে।
    কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। 

    এই ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩০০ কোটি মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার। আশ্চর্য এই ধূমকেতুকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। 

    নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের কাছে এলেও ধূমকেতুটি তার থেকে অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। তাই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।

     

  • IIT Kharagpur:ভারত-সেরা বাংলার খড়গপুর আইআইটি জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে, পিছিয়ে নেই যাদবপুরও

    IIT Kharagpur:ভারত-সেরা বাংলার খড়গপুর আইআইটি জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে, পিছিয়ে নেই যাদবপুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে। বিশ্বের দরবারে ফের জায়গা করে নিল খড়গপুর আইআইটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। খড়গপুর আইআইটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি ৫০০ সেরা প্রযুক্তিগত শিক্ষাক্ষেত্রের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় উপরের দিকেই স্থান পেয়েছে বাংলার এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে।
    খড়গপুর আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০১ নম্বরে রয়েছে। বিশ্বের সেরা ৫০০-র মধ্যে ১০১ নম্বরে থাকা বিরাট সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। আর যাদবপুরও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। কলা ও হিউম্যানিটসের বিচারে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ৫০০-র মধ্যে একটি। একমাত্র রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়।
    কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ব়্যাঙ্কিংয়ের হিসাবে পঠন-পাঠন বিষয় অনুযায়ী খড়গপুর আইআইটি দেশের শ্রেষ্ঠ তিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে একটি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির নিরিখে দেশের তিনটি শ্রেষ্ঠ কলেজের মধ্যে একটি হল খড়গপুর আইআইটি। আর আর্টস ও হিউম্যানিটিসের বিচারে দেশের সেরা পাঁচে রয়েছে বাংলার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
    খড়গপুর আইআইটি ১৯টি বিষয়ে বিশ্বের সেরা ১০০-র মধ্যে নিজের স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিনারেল অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং। এই বিভাগে খড়গপুর আইআইটির ব়্যাঙ্কিং ৩৭। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগে খড়গপুর আইআইটির ব়্যাঙ্কিং ছিল ৯০। এখন তারা উঠেছে এসেছে ৮০-তে।
    খড়গপুর আইআইটি বড় চমক দিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বহু বিভাগেই সেরা। এগ্রিকালচাল ও ফরেস্টিতে খড়গপুর আইআইটি-র স্থান এক নম্বরে। শুধু এগ্রিকালচাল ও ফরেস্টিই নয়, স্ট্যাটিস্টিক্স ও অপারেশনাল রিসার্চেও খড়গপুর আইআইটি প্রথম স্থান অর্জন করে রয়েছে দেশের বুকে। মিনারেল ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পরিবেশবিদ্যাতেও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে খড়গপুর আইআইটি।

  • Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার তৃণমূল নেত্রীর (TMC supremo Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বুধবার আরও একবার প্রবীণ এই নেতা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের (Anti BJP Front) ভাবনা ধোপে টিকবে না। এর আগেও একাধিকবার একথা জানিয়েছিলেন পাওয়ার। এদিন তৃণমূল নেত্রীর স্বপ্ন যে নেহাতই দিবাস্বপ্ন নাম না করে ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিলেন পাওয়ার।
     
    বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। গত বছর তৃণমূলের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠানে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী ঐক্যের ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে পরেই বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়ার সলতে পাকানোর কাজ শুরু দেন তিনি। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে মহারাষ্ট্র পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। সেবার পিকে বর্ষীয়ান এই নেতার মন বোঝার চেষ্টা করেই রণে ভঙ্গ দেন। এর কিছুদিন পরে দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। ওই বৈঠকে পাওয়ার জানিয়ে দেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়। পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পিকে আলাদা করে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকেই ফোনে পিকে কথা বলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-বিরোধী জোটে যেতে চাননি মমতা। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট গড়ার তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে তেড়ে আক্রমণও করা হয়। জোটের সলতে পাকাতে তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং গিয়ে হাজির হন রাজধানীতে। সেখানে তিনি প্রায় ১৫টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে ওই বৈঠক করেছিলেন মমতা। বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকলে যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে সেদিনও পাওয়ার মমতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। 

    পাওয়ার যে নেহাৎ মিথ্যে বলেননি, তার প্রমাণ মেলে সাম্প্রতিক ত্রিপুরা পুরনির্বাচন এবং গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে। দুই ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে সবক শেখাতে মমতা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। যোগী রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হারে অখিলেশরা।

    এদিন ফের একবার পাওয়ার জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে (Congress) বাদ দিলে বিজেপি-বিরোধী জোটের পালে লাগবে না সুবাতাস। তাই ‘২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha elections) পার হওয়া যাবে না ভোট বৈতরণী। তাছাড়া ওই জোটের নেতৃত্ব দিতে তিনি রাজি নন বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই এনসিপি নেতা। 

    তৃণমূল নেত্রী শুনতে পাচ্ছেন?
       

     

     

  • Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১০টি রাজ্যে কি হিন্দুদের (Hindu) সংখ্যালঘুর তকমা (Minority Status) দেওয়া যায়? এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক শুনানিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জন্য কেন্দ্রকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী তিনমাসের মধ্য়ে রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণি ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (National Commission for Minorities) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু। 

    ২০১১ সালের জনগণনা (Census) অনুযায়ী, ভারতে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাঁদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হোক। এই রাজ্যগুলি হল  লক্ষদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর ও পঞ্জাব। মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না। 

    শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। যার অর্থ, কোনও রাজ্য চাইলে হিন্দুদের আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা পরামর্শ করতে চায় কিনা? যদি সেটা চায়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত।

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছিল। তাঁর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালতে নিজের অবস্থান রেকর্ড করতে বলেছিল সরকারকে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তার কারণ এই সিদ্ধান্তের ‘‌সুদূরপ্রসারী’‌ প্রভাব রয়েছে। 

    মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, যে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে, তবে এবিষয়ে রাজ্য এবং সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই সংখ্যালঘু সনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাঁর জন্য আরও সময় দরকার।

    জবাবে, কেন্দ্রকে দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, কেন্দ্রের আবেদন মেনে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালত আরও তিন মাস সময় দিয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মোদি (Modi) সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এই সব ইস্যুতে আলোচনা প্রয়োজন। সব কিছুর বিচার করা যায় না।”

     

     

     

  • India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিনেক ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতপাকিস্তানের (India Pakistan) বাণিজ্য। তাতে সমস্যা এতদিন কিছু ছিল না। তবে এখন ফের উঠছে সেই প্রশ্ন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য (Trade) কী আবার চালু হবে? এই মুহূর্তে প্রশ্ন ওঠার কারণও অবশ্য একটা রয়েছে। তা হল, ভয়াবহ বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য অবোলা জীবেরও। এহেন পরিস্থিতিতে বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারত থেকে আনাজ আমদানির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী (Pak Finance Minister)। তার পরেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন, তাহলে কি ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়িক লেনদেন। দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মফতাহ ইসমাইল বলেছিলেন, শুল্কমুক্ত সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে স্থলপথে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করবে। বন্যার কারণে দেশে দেখা দেওয়া খাদ্যসংকটের মোকাবিলা করতেই আমদানির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।    

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?

    দেশের অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবধকতার কারণেই শরিফকে এটা করতে হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিপদের দিনেও পাক সরকারের এহেন মনোভাবে যারপরনাই বিস্মিত ভারত। তাই ভারত-পাক বাণিজ্য চালু নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ নয়াদিল্লি। তারা বল গড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। পাক সরকার উদ্যোগী হলে তবেই ফের চালু হবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক লেনদেন।

    এখন কোন পথে হাঁটে শাহবাজ শরিফের সরকার, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) উচিত শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকাও (USA)। রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম, সংক্ষেপে “সুইফট” (SWIFT) থেকে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে মস্কো (Moscow)।

    একশো দিনের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। যুদ্ধের কারণ, ন্যাটোতে (NATO) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। তার সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই ইউক্রেন আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পরে পরেই কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা। অন্যদিকে রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলি।

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ভারতকেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে না বলেছিল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। বাইডেনের সেকথা কানে তোলেনি ভারত (India)। তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল সহ নানা বিষয়ে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।

    এদিকে সুইফট থেকে বেরিয়ে গেলে যেকোনও দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন করতে গিয়ে বিষম সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তখন আর মার্কিন ডলারে লেনদেন করা যায় না। এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মস্কো। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার পাশ থেকে সরে গেলেও, ভারত যায়নি। এখনও ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    তবে কীভাবে পরিশোধ করা হবে মূল্য? দুই দেশই ঠিক করেছে “রুপি-রুবল”-এর (Rupee Ruble mechanism) মাধ্যমে চলবে লেনদেন। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত।

LinkedIn
Share