Blog

  • Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার রাজধানী কাবুলের (mosque in Kabul) একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত অন্তত ৪০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের (IS) হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, হামলায় সিদ্দিকি মসজিদের ইমাম আমির মহম্মদ কাবুলিরও মৃত্যু হয়েছে।  তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। তালিবানের (Taliban) এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, সিদ্দিকি মসজিদে হওয়া হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনার তদন্ত করছে তালিবানি গোয়েন্দারা। 

    কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে, আশেপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তোলা ছবি ও ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (IS) হামলায় মৃত্যু হয় তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু শেখ রহিমুল্লা হাক্কানির। ফলে আফগানিস্তান দখল করলেও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।  গত অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও।

     

  • SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে  শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই তদন্তে মিলেছে বেশ কিছু প্রমাণ। আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। জানা যাবে অনেক নতুন তথ্য। সিবিআইয়ের এই যুক্তি মেনে নিয়েই এসএসসির দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং অশোক সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। তাঁদের আরও ৬ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ফলে ২২ অগস্ট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে। বুধবার, আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালতে শুনানি হয়। গত ৭ দিনের জেরায় নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে এদিন আলিপুর আদালতে জানিয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাঁদের আরও দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের হদিশ পেতে উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে আরও জেরা প্রয়োজন। 

    আজ, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ কোন এক্তিয়ারে চাকরির সুপারিশ করতেন?’ তিনি আরও প্রশ্ন করেন ‘তাঁকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছিল?’ সুপারিশের চিঠির হস্তাক্ষর আর শান্তিপ্রসাদ সিনহার হাতের লেখার নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। কার নির্দেশে এই সুপারিশ তারা করত, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    ইতিমধ্যে এসএসসি ভবনের এক কর্মীকে তলব করে সিবিআই। এসপি সিনহার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরাও করা হয়। সেখান থেকেই শান্তিপ্রসাদের প্রভাবের কথা জানা যায়। ফলে এই দুই উপদেষ্টাকে জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। 

    গত বুধবার সকালেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই জেরা করা হচ্ছিল তাঁদের। অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের দু’জনকে নিজাম প্যালেসে রাখা হয়েছে।

  • Manasa Puja 2022: কেন গ্রাম বাংলায় পালিত হয় মনসা পুজো, এর তাৎপর্য জানেন কি? 

    Manasa Puja 2022: কেন গ্রাম বাংলায় পালিত হয় মনসা পুজো, এর তাৎপর্য জানেন কি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষে সর্প পুজো একটি প্রাচীন অনুষ্ঠান। মনসা সাপের দেবী। তিনি মূলত লৌকিক দেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

    অনেকের মতে, সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে মাটির সরায় দুধ-কলা দিয়ে দেবী মনসাকে পুজো করা হয়। সারাদিন উপোস করে পুজো শেষে সাবু-দুধ-কলা দিয়ে মনসার পুজো সম্পন্ন করে তবে উপবাস ভাঙেন মহিলারা। সমাজে এই পুজোর প্রচলিত হওয়ার জন্য রয়েছে প্রচলিত পুরাণ কাহিনি।

    মনসা দেবীর মাহাত্ম্য

    পুরাণ অনুসারে, মনসার হলেন শিবের স্বীকৃতকন্যা ও জরৎকারুর পত্নী। জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মনসার মা চণ্ডী (শিবের স্ত্রী পার্বতী) তাঁকে ঘৃণা করতেন কিন্তু পরবর্তীতে মাতা চণ্ডী মনসাকে নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কোনও কোনও ধর্মগ্রন্থে বলা আছে যে শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বলে বর্ণনা করা হলেও, যিনি তাঁর পুজো করতে অস্বীকার করেন, তাঁর প্রতি তিনি নির্দয় হয়ে থাকেন।

    মনসার উৎপত্তি বিষয়ে নানা কাহিনি শোনা যায়। সর্পদংশনের ভয় থেকে মানুষের পরিত্রাণের জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা কশ্যপমুনিকে একটি মন্ত্র বা বিদ্যাবিশেষ আবিষ্কার করার আদেশ দেন। ব্রহ্মার আদেশ পেয়ে কশ্যপ যখন মনে মনে এই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন, তখন তাঁর মননক্রিয়া থেকে আবির্ভূত হন এক স্বর্ণবর্ণা দেবী। যেহেতু তিনি মানসজাতা, মন থেকে তাঁর জন্ম, তাই তিনি ‘মনসা’। এই দেবী ‘কামরূপা’, অর্থাৎ ইচ্ছানুযায়ী রূপধারণ ও রূপপরিবর্তন করতে পারেন।

    মনসা পুজোর প্রতিমাতেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সিজ বৃক্ষের শাখায়, ঘটে বা সর্প-অঙ্কিত ঝাঁপিতে মনসার পুজো হয়। তবে কেউ কেউ মনসা প্রতিমা বানিয়ে পুজো করে থাকে। আবার কেউ কেউ পঞ্চ সর্পের ফণা যুক্ত প্রতিমার পুজো করেন। গোত্র ও অঞ্চল ভেদে প্রথার ওপর ভিত্তি করে মনসা দেবী বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রূপে তার ভক্তদের দ্বারা পূজিত হয়ে থাকেন। সরস্বতীর মতো দেবী মনসার বাহনও হংস। বাহনকে দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে মনসাও জ্ঞানযুতা, জ্ঞানলক্ষণা। মনসার ১২টি নাম আছে। এগুলি হল— জরৎকারু, জগদেগৌরি, মনসা, সিদ্ধ যোগিনী, বৈষ্ণবী, নাগ ভগিনী, শৈবী, নাগেশ্বরী, জরৎকারু-প্রিয়া, আস্তিক-মাতা, বিষহরী, মহাজ্ঞানযুতা।

    মনসা পুজোর তাৎপর্য

    বাংলা অঞ্চলেই মনসার পুজো সর্বাধিক জনপ্রিয়। এই অঞ্চলে অনেক মন্দিরেও বিধিপূর্বক মনসার পুজো হয়। বর্ষাকালে যখন সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়, তখন মনসার পুজো মহাসমারোহে হয়ে থাকে। নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের কাছে মনসা একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন দেবতা। তাঁরা বিবাহের সময় ও সন্তানকামনায় মনসার পুজো করেন। 

    আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ) তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজ গাছ স্থাপন করে মনসা পুজো করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী পর্যন্ত পুজো করার বিধান আছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একমাস যাবত্‍ পুজো করা হয়। শুধুমাত্র শেষ দিনে পুরোহিত দ্বারা পুজো করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে পুরো শ্রাবণ মাস মনসা পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে হয় পালাগান ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হল — পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গল। সারা রাত ধরে গায়ক দোয়ারপি -সহ পালা আকারে ‘সয়লা’ গান গায়। পুরুলিয়ায় মনসা পুজোয় হাঁস বলি দেওয়া হয়। রাঢ়বঙ্গ বাঁকুড়ায় জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দশহরা ব্রত পালন করে মনসা পুজো করা হয়। তখন এখানে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।

    মনসা পুজার অঙ্গ হল অরন্ধন। রাঢ়ে চৈতন্য দেবের সময়ে মনসাকে মা দূর্গার এক রূপ মনে করা হত। তাই কোনও কোনও জায়গায় পুজোয় বলি দেওয়া হত। আজও অনেক পুজোয় পাঁঠা বলি হয়।

    ২০২২ সালের মনসা পুজোর দিন-তারিখ

    মা মনসা পুজো পড়েছে শ্রাবণ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ, বুধবার ১৭ অগাস্ট।

    মনসা পুজোর উপকরণ:

    সিঁদুর, ঘট, মনসা গাছ বা তাহার ডাল, পুজোর শাড়ি ১, মধুপর্কের বাটি ১, দুধ, মধু, ঘৃত, দধি, তিল, হরিতকি, পুষ্প, দূর্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ, বড় নৈবেদ্য ১, অষ্টনাগের নৈবেদ্য ৮, কুচা নৈবেদ্য ১, উচ্ছে, ফল।

     

  • Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় নেতৃত্ব ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “অনুগ্রহ করে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। কয়েক দশক ধরে ভারত অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব মঞ্চে নিজের অধিকারেই ভারত যথাযথভাবে মর্যাদা উপভোগ করে এবং বিশ্বের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”  

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    পুতিন লেখেন, “আমি নিশ্চিত যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার স্বার্থে যৌথভাবে আমরা আমাদের জনগণের সুবিধার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করে তুলব।”  

    পুতিন বলেন, “রুশ-ভারত (Russia) সম্পর্ক আরও বিকশিত হচ্ছে। মস্কো এবং নয়াদিল্লি সফলভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে সহযোগিতা করছে।” একই সঙ্গে জাতিসংঘ, ব্রিকস, এসসিওসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক বৈঠকে দু দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। দু দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথাও এদিন বলেন পুতিন। 

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    পুতিন বলেছেন, “রাশিয়া এবং ভারতের একে অপরকে সহযোগীতায় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, শান্তিপূর্ণ পরমাণু ও মহাকাশ অনুসন্ধান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি আত্মবিশ্বাসের সাথে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদেরকে তাঁদের জাতীয় ছুটির দিনে অভিনন্দন জানাই। আমরা আপনাদের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নতুন সাফল্য কামনা করি!” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যও কামনা করেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।     

  • Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পর সিয়াচেনে (Siachen) বরফের মাঝখান থেকে উদ্ধার হল হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় জওয়ানের দেহ! ১৯৮৪ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন (Siachen) থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই জওয়ান। জানা গেছে, জওয়ানের নাম চন্দ্রশেখর হারবোলা (Chandrashekhar Harbola)। ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার রানিক্ষেতের সৈনিক গ্রুপ সেন্টার মৃতদেহটিকে সনাক্ত করেছে।

    সূত্রের খবর, ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ২০ জন সদস্যের জওয়ানদের একটি দল পাঠানো হয়েছিল সিয়াচেনে। তিনি সেই দলেরই সদস্য ছিলেন ও অপারেশন মেঘদূত (Operation Meghdoot) নামে সেনার একটি বিশেষ অপারেশনের অংশ ছিলেন। সেনাসূত্রে খবর সিয়াচেনে টহলদারি করার সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জনের এই দলটি। বরফঢাকা সিয়াচেনের প্রতিকূল পরিবেশে তুষারঝড় থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরেননি ২০ জনের কেউই। অতিকষ্টে ১৫ জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হলেও,  বাকি পাঁচজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে চন্দ্রশেখর হারবোলা ছিলেন একজন। এরপর ৩৮ বছর কেটে গেছে ও এরপর হঠাৎ একদিন বরফে ঢাকা একটি পুরনো বাঙ্কারে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেই জওয়ানকে এখনও সনাক্ত করা যায় নি।

    চন্দ্রশেখর হারবোলার স্ত্রী শান্তি দেবী জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তিনি আরও জানান, চন্দ্রশেখর হারবোল যখন নিখোঁজ হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। বিয়ের নয় বছরের মাথায় তিনি স্বামীকে হারান। ১৯৮৪ সালে চন্দ্রশেখর হারবোলের নিখোঁজ হওয়ার সময় দুই মেয়েও ছিল খুব ছোট। একটির বয়স ছিল চার, আরেকটির দেড় বছর। শান্তি দেবী আর বিয়ে করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর আত্মত্যাগের জন্য তিনি গর্বিত।

    শান্তি দেবী বর্তমানে সরস্বতী বিহার কলোনিতে থাকেন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার চন্দ্রশেখর হারবোলের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হালদওয়ানির সাব-কালেক্টর মনীশ কুমার এবং তহসিলদার সঞ্জয় কুমা জানিয়েছেন, মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

     

  • Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শেষলগ্নে দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দেশের প্রভূত ক্ষতি করছে দুর্নীতিও। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশে গরিবরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, আর এক শ্রেণির মানুষের চুরি করা টাকা রাখার জায়গা কুলোচ্ছে না। মোদি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে, যেখানে একদল মানুষের থাকারই জায়গা নেই, সেখানে আর একটি দল চুরি করা মাল রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’’ মোদি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় কোনও বিশেষ রাজ্য, বা নেতা বা মন্ত্রীর নাম করেননি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। গত আট বছরে আমরা সে কাজে সফলও হয়েছি।’’ মোদির কথায়, ‘‘‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’-এর সাহায্যে আধার-মোবাইল এবং অন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করে লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। এমনকি, সেই টাকা দেশের ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    মোদি বলেছেন, ‘‘যারা আগের সরকারে ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা দেশের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরাতে বাধ্য করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে, এখন দেশে দুর্নীতি-বিরোধী একটা মনোভাবও তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু তাঁর অনুযোগ, অনেকে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কেউ কেউ দুর্নীতিবাজদের ‘সমর্থন’ও করছেন। যা কোনও দেশে শোভা পায় না।

  • Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার শিকার এমন নির্যাতিতার জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মত অনেক ঘটনাই প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে আসে। যাদের সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের মধ্যে অনেকেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে না সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে, চাপে পড়ে। আর যারাও সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তাদের মধ্যে অনেকেই ন্যায়-বিচার পায় না। এছাড়াও বিচারের আশায় পুলিশ স্টেশন, আদালতে গেলে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, যার মুখোমুখি হয়ে উত্তর দেওয়ার মানসিক শক্তি অনেক মহিলারই থাকে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এমন ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতের অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। বিচার প্রক্রিয়া যাতে আরও সহানুভূতিশীল হয়, তেমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    এক মামলার শুনানিতে শুক্রবার নিম্ন আদালতগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী বা নির্যাতিতার ক্ষেত্রে এই বিচার প্রক্রিয়া যাতে কঠিন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে আদালতগুলিকে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ এই মামলা সমাধান করতে না পারলে সেক্ষেত্রে আদালতের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।

    সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত

    • যেসব মামলার ক্ষেত্রে দরকার একমাত্র সেখানেই ক্যামেরার সামনে বিচার করা যাবে।
    • আদালতকে নিশ্চিত করতে হবে, নির্যাতিতা যাতে কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে দেখতে না পান।
    • নির্যাতিতার বয়ান নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে আদালত কক্ষের বাইরে বের করে দিতে হবে।
    • নির্যাতিতার যৌনজীবন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা যাবে না।
    • যদি কোনও নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই আঘাত পেয়ে থাকে, এমন ক্ষেত্রে আদালতের উচিত অভিযোগকারীকে আরও চাপ না দেওয়া এবং তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার জেরেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ও নিম্ন আদালতের তরফেও বলা হয়েছিল, ওই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই। অভিযোগকারিকেই প্রমাণ জোগাড় করতে বলা হয়েছিল। এর পরেই মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় প্রমাণ জোগাড় ও তদন্তের ক্ষেত্রে এর দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে।

     

  • Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশের সব প্রান্তে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে এই বিশেষ দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করে সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। তারই একটি হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। এই অনুষ্ঠান পালন করতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পর পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। বহু ভারতীয়ের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসের মত এই বিশেষ দিনে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে।

    “নির্দয় সমালোচনা এবং স্বাধীন চিন্তা, বিপ্লবী চিন্তার দুটি প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য।” – ভগৎ সিং

    “চোখের বদলে চোখ সমগ্র বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।” – মহাত্মা গান্ধী

    “পুঁজিবাদী সমাজের শক্তিগুলিকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দারিদ্রতার স্বীকার হবে।” – জওহরলাল নেহরু

    “কোনো সম্প্রদায়ের অগ্রগতি আমি সেই সম্প্রদায়ের নারীর অগ্রগতির নিরিখে পরিমাপ করি।” – ভীম রাও আম্বেদকর

    “অন্যায় ও অন্যায়ের সাথে আপস করাটাই যে সবচেয়ে বড় অপরাধ, একথা ভুললে চলবে না। এই চিরন্তন সত্যি মনে রাখবে: কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবেই।” – সুভাষ চন্দ্র বসু

    “শত্রুর গুলির সম্মুখীন আমরাই হব, স্বাধীন ছিলাম, স্বাধীনই থাকবো” – চন্দ্র শেখর আজাদ

    “আমাদের হৃদয় ত্যাগের আবেগে পূর্ণ, খুনীদের বাহুতে কতটা জোড়, সেটাই দেখার বিষয়” – রামপ্রসাদ বিশমিল

    “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি সেটা অর্জন করবই” – বাল গঙ্গাধর তিলক

    “আমরা গভীর আন্তরিকতা, বক্তৃতায় আরও সাহস এবং কর্মে আন্তরিকতা চাই।” – সরোজিনী নাইডু

    “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
        জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
        আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
        বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
        যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
        উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
        দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
        অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
        যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
        বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
        পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
        তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
        নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
        ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

  • Agniveer Vayu Result 2022: অগ্নিবীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল বায়ুসেনা, দেখবেন কী করে?

    Agniveer Vayu Result 2022: অগ্নিবীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল বায়ুসেনা, দেখবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিবীর (Agniveer Vayu) পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। যারা প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা agnipathvayu.cdac.in – এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারবেন পরীক্ষার ফলাফল। 

    জুলাইয়ের ২৪- ৩০ তারিখের মধ্যে হয়েছিল অগ্নিপথ বায়ুর এই পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীকে নিজের লগইন আইডি দিয়ে দেখতে হবে পরীক্ষার ফল। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    কী করে দেখবেন ফল?

    • প্রথমে agnipathvayu.cdac.in – এই ওয়েবসাইটটিতে যান।
    • এরপর হোমপেজে গিয়ে ‘Candidate Login’ – এই ট্যাবটিতে ক্লিক করুন। 
    • এবার ইমেল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। 
    • তাহলেই আপনার ‘অগ্নিবীর বায়ু’ – এর ফল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। 
    • ফল ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্যে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখুন।
    • পরের ধাপের পরীক্ষায় প্রয়োজন পড়বে এই ফলের হার্ড কপি। তাই খুব যত্নে রাখুন।

    ফেজ ২ অনলাইন পরীক্ষার পরে বাছাই করা প্রার্থীদের ফিটনেস এবং মেডিক্যাল টেস্ট নেওয়া হবে। প্রায় ৭ লক্ষ চাকরি প্রার্থী ‘অগ্নিবীর বায়ু’- পরীক্ষার জন্যে আবেদন করেছিলেন। সর্বশেষ ফল ঘোষণা করা হবে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর।  

    আরও পড়ুন: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে

    প্রশিক্ষণের মেয়াদ সহ চার বছরের চাকরিতে সেনাদের নিয়োগ করা হবে। এই অগ্নিবীরদের আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে নিয়োগ করা হবে এবং প্রার্থীরা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে যেখানেই নির্দেশ দেওয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কিমের অধীনে নথিভুক্ত অগ্নিবীররা কোনও ধরনের পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না। 

    বেতন ১ম বছর- মাসিক ৩০,০০০ টাকা, ২য় বছর– মাসিক ৩৩,০০০ টাকা, ৩য় বছর- মাসিক ৩৬,৫০০ টাকা, ৪র্থ বছর- মাসিক ৪০,০০০ টাকা। চার বছর শেষে করবিহীন এককালীন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এই অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন এবং এর অধীনে সমস্ত সেনাদের অগ্নিবীর (Agniveer) বলা হবে জানিয়েছেন তিনি। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের অধীনে  স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা— এই তিন বিভাগেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সিদের চার বছরের জন্য সেনায় নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর তাঁদের মাত্র ২৫ শতাংশকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য সেনায় চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। এই ঘোষণায় বিক্ষোভ শুরু হতেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ২৩ করে দেয় কেন্দ্র। 

     

LinkedIn
Share