Blog

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার হুমকির মোকাবিলায় আরও প্রস্তুত হতে এবং দেশের সাইবার ইকোসিস্টেমকে (Digital Ecosystem) সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ চলবে ১০ দিন, যার দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাইবার সুরক্ষা’ (Cyber Suraksha)।

    কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কী? (Cyber Suraksha)

    এমন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল জাতীয় স্তরের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাইবার হুমকি প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একশোরও বেশি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, যাঁরা প্রত্যেকেই সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

    কী শেখানো হয় এই প্রশিক্ষণে? (Cyber Suraksha)

    এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের (Digital Ecosystem) আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার হুমকি কীভাবে সনাক্ত ও প্রতিহত করতে হয়, তা হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। এছাড়া জটিল সাইবার হুমকিগুলোর মোকাবিলা কীভাবে করতে হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার ব্যবহার নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    দক্ষতা বৃদ্ধি পেল অংশগ্রহণকারীদের (Cyber Suraksha)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রশিক্ষণের ফলে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সাইবার হামলার সময় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। মনে করা হচ্ছে এমন প্রশিক্ষণের (Cyber Suraksha) ফলে দেশের সামরিক ও অসামরিক দুই ক্ষেত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে।

    বাড়ছে সাইবার অপরাধ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়মিতভাবেই আয়োজন করা হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বের সাইবার পরিকাঠামো যত উন্নত হচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার অপরাধ ও হুমকির সম্ভাবনা। ভারতের ক্ষেত্রেও সাইবার সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Daily Horoscope 18 June 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 June 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

     

     

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 383: ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি

    Ramakrishna 383: ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি

    রাবণকে একজন বলেছিল, তুমি সব রূপ ধরে সীতার কাছে যাও। রামরূপ ধরো না কেন? রাবণ বললে, রামরূপ হৃদয় একবার দেখলে রম্ভা তিলোত্তমা এদের চিতার ভস্ম বলে বোধ হয়। ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়। পরস্ত্রীর কথা তো দূরে থাক (Ramakrishna)।

    সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের। শুদ্ধ আধার না হলে ঈশ্বরের শুদ্ধাভক্তি হয় না। এক লক্ষ্য হয় না, নানাদিকে মন থাকে।

    (নেপালি মেয়ে- ঈশ্বরের দাসী সংসারির দাসত্ব)

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মনমোহনের প্রতি)- তুমি রাগই করো আর যাই করো। রাখালকে বললাম ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি।

    নেপালের একটি মেয়ে এসেছিল। বেশ এসরাজ বাজিয়ে গান করলে হরিনাম গান। কেউ জিজ্ঞাসা করলে, তোমার বিবাহ হয়েছে? তা বললে আবার কার দাসী হব! এক ভগবানের দাসী আমি। কামিনী কাঞ্চনের ভিতর থেকে কী করে হবে। অনাসক্ত হওয়া বড় কঠিন (Ramakrishna)। একদিকে মেগের দাস, একদিকে টাকার দাস আর একদিকে মনিবের দাস। তাদের চাকরি করতে হয়।

    এক ফকির বনে কুটির করে থাকত। তখন আকবর শা দিল্লির বাদশা। ফকিরটির কাছে অনেকে আসত। অতিথি সৎকার করতে তার বড় ইচ্ছা হয়। একদিন ভাবলে যে টাকা কড়ি না হলে কেমন করে অতিথি সৎকার হয়। তবে যাই একবার আকবর শার কাছে (Ramakrishna)। সাধু ফকিরের অবারিত দ্বার। আকবর তখন নামাজ পড়ছিলেন। ফকির নামাজ ঘরে গিয়ে বসল। দেখলে আকবর শা নামাজের শেষে বলছে হে আল্লা ধন-দৌলত দাও! আরও কত কী! এই সময় নামাজের ঘর থেকে চলে যাবার উদ্যোগ করতে লাগল ফকির। আকবর শা ইশারা করে বসতে বললেন। নামাজ শেষ হলে বাদশা জিজ্ঞাসা করলেন আপনি এসে বসলেন, চলে যাচ্ছেন কেন? ফকির বললে সে আর মহারাজের জেনে কাজ নেই। আমি চললুম (Kathamrita)। বাদশা অনেক জিদ করাতে ফকির বললে, আমার ওখানে অনেকে আসে, তাই কিছু টাকা প্রার্থনা করতে এসেছিলাম। একবার বললে (Kathamrita) তবে যাচ্ছিলেন কেন? ফকির বলে যখন দেখলাম তুমিও ধন দৌলতের ভিখারি। তখন মনে করলাম যে ভিখারির কাছে চেয়ে আর কী হবে? চাইতে হয়ত আল্লার কাছে চাইব।

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা খিদিরপুর (Khidirpur) বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” মঙ্গলবার কলকাতার খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় খিদিরপুর বাজার। মঙ্গলবার সকালেই সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পোড়া বাজারে দাঁড়িয়েই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর তোপ (Suvendu Adhikari)

    বলেন, “কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও দামি জমিগুলিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সেগুলি গরিব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বড় বড় প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার।” এদিন তিনি নাম করেই আক্রমণ শানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসুকে। শুভেন্দু বলেন, “রাত ১টায় আগুন লাগে, দমকল আসে ভোর ৪টেয়। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। কিন্তু আগুন নেভাতে নয়, পুলিশ ও দমকলকে বলেছেন ঘর ভেঙে দাও।” এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোটা খিদিরপুর বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” টিএমসির অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “টিএমসি এখন টাকা মারা কোম্পানি। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও। আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম। কী হবে ওই জায়গায়? শপিং মল, বিউটি পার্লার! গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।”

    মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা তো বলেছিলেন, বাংলার মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। তাহলে কেন তাঁকে হাজার পুলিশ দিয়ে আপনাদের ধমকাতে হয়েছে? তিনি গরিব ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। জমি রক্ষার আন্দোলনে আমি ডক্টরেট। নন্দীগ্রামে আমি সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছিলাম। মমতাকে হারিয়ে ভবানীপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি।” শুভেন্দু বলেন, “বগটুই হোক বা ঢাকুরিয়া সরকারি ভ্রান্তনীতির জন্যই আগুন লাগছে (Khidirpur)। সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ!” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। জমি রক্ষার লড়াইয়ে যা যা করার, করব।” জমি ও গরিব ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনের বার্তাও দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কোনও ঝান্ডা নয়, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, হকের দাবিতে সবাইকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।” তিনি বলেন, “বিকল্প জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসলে গোটা এলাকাটাই বেচে দিয়েছেন।”

    ৮০ শতাংশই হিন্দু ব্যবসায়ী

    এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান হিন্দু ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত হত। মুসলমান অধ্যুষিত খিদিরপুরের এই দোকানপট্টির হঠাৎ এবং সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, কে এই ঘটনা থেকে লাভবান হচ্ছে? এই অগ্নিকাণ্ড কি আদৌ দুর্ঘটনা জনিত (Suvendu Adhikari)? বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই জমি কালিম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হবে – একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যারা তৃণমূলের নেতাদের (Khidirpur) ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, বাজারটি একটি কৌশলগত বাণিজ্যিক অঞ্চলে অবস্থিত, সেটি বহুবার পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিষয় ছিল – এমন প্রস্তাবগুলি বহু দশক ধরে হিন্দু ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করে আসছিলেন, কারণ তাঁরা জায়গা খালি করতে অস্বীকার করেছিলেন।” মালব্যর অভিযোগ, বামপন্থীরা চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে পরিকল্পনাটি সফল হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে (Suvendu Adhikari)।

    ব্যবসায়ীদের দোষারোপ!

    মালব্যর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্ত্রীকে জবাবদিহি করেননি, যদিও ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ মন্ত্রী সুজিত বসুকে দু’ঘণ্টা দেরি ও প্রস্তুতির অভাব সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যাঁর পুরসভার আওতায় বাজারটি পড়ে, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এই বাজারের অগ্নি নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং, খবরে বলা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেছেন (Khidirpur), তাঁরা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করেননি বলে (Suvendu Adhikari)।

  • Big Data In Indian Sports: খেলা শুধু মেধার বিষয় নয়, তথ্যেরও! ‘ডেটা ড্রিভেন’ চ্যাম্পিয়ন তৈরির জন্য প্রস্তুত ভারত

    Big Data In Indian Sports: খেলা শুধু মেধার বিষয় নয়, তথ্যেরও! ‘ডেটা ড্রিভেন’ চ্যাম্পিয়ন তৈরির জন্য প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ক্রীড়াজগতে (Big Data In Indian Sports) এখন এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। আর সেই বিপ্লবের নাম ‘বিগ ডেটা’। একসময় প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়ার উপায় ছিল কোচের চোখ, অভিজ্ঞতা, আর কিছুটা ভাগ্য। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যের বিশ্লেষণ মিলে বদলে দিচ্ছে খেলোয়াড় নির্বাচন এবং প্রশিক্ষণের ধরণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI in Sports) থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি—আধুনিক ক্রীড়া জগতে প্রযুক্তির (Technology in Sports) প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। প্রযুক্তি এখন ক্রীড়ার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি ক্রীড়ায় একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা খেলোয়াড়দের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।

    কী এই ‘বিগ ডেটা’?

    বিভিন্ন সূত্র থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করাই হল ‘বিগ ডেটা’। খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স, ম্যাচের ভিডিও, ফিটনেস ডেটা, এমনকি মানসিক আচরণ—সবকিছুই এখন বিশ্লেষণের আওতায় পড়ে। যেমন, একজন ক্রিকেটারের ব্যাটিং অ্যাভারেজ, স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক রেট, এমনকি চাপের মুহূর্তে হৃদস্পন্দনের মাত্রা পর্যন্ত নথিভুক্ত করা যায় এখন। গ্রামীণ স্তরেও এখন কিছু অ্যাকাডেমিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিডিও অ্যানালাইসিস, জিপিএস ট্র্যাকার। অন্যদিকে, জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের ঘুম, রিকভারি টাইম, ক্লান্তি—সবকিছুই ট্র্যাক হচ্ছে স্মার্ট ওয়্যারেবল দিয়ে।

    কীভাবে বদলে যাচ্ছে প্রতিভা অন্বেষণ পদ্ধতি?

    পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে প্রযুক্তির সাহায্য: আগে কোচরা ট্রায়াল বা কয়েকটি ম্যাচ দেখে খেলোয়াড় বেছে নিতেন। এখন ফুটবল ক্লাব যেমন বেঙ্গালুরু এফসি বা কেরালা ব্লাস্টার্স তাদের অ্যাকাডেমিতে খেলোয়াড়দের দৌড়, পাসিং অ্যাকুরেসি, স্ট্যামিনা সব কিছুই বিশ্লেষণ করছে প্রযুক্তির সাহায্যে।

    চোট প্রতিরোধ: খেলোয়াড়দের চোট ভারতে এক বড় সমস্যা। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI) এখন বায়োমেট্রিক মনিটরিং চালু করেছে, যাতে চোটের আগেই শনাক্ত করা যায় ক্লান্তি বা অতিরিক্ত ট্রেনিংয়ের প্রভাব।

    মানসিক প্রস্তুতি ও আচরণগত বিশ্লেষণ: খেলোয়াড়রা কতটা চাপ নিতে পারেন, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা—এসব কিছুই এখন সাইকোলজিকাল টেস্ট দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। কিছু প্রাইভেট অ্যাকাডেমি ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

    দূরবর্তী প্রতিভা খোঁজার সুযোগ: ডিজিটাল ভিডিও, অনলাইন ডেটাবেসের মাধ্যমে এখন মফস্বল বা গ্রামের প্রতিভাদের পারফরম্যান্সও উঠে আসছে জাতীয় স্তরে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির আওতায়। যেমন ড্রিম১১, খেলো ইন্ডিয়া প্রজেক্ট—সবই এখন ডেটা-ভিত্তিক স্কাউটিং শুরু করেছে।

    কী কী সুবিধা দিচ্ছে বিগ ডেটা ও এআই?

    মানবিক পক্ষপাত কমানো: গ্রাম বা শহরের পার্থক্য নেই, পারফরম্যান্সই মুখ্য।

    খরচ বাঁচানো: খেলোয়াড়দের সরাসরি দেখতে না গিয়েও ভিডিও ও ডেটা বিশ্লেষণে অনেকটা এগোনো সম্ভব হচ্ছে। কোন খেলোয়াড় ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মানের হতে পারেন, বা কে চোটপ্রবণ—এমন তথ্য আগেই জানিয়ে দিতে পারে এআই।

    প্রতিপক্ষের দুর্বলতা ধরতে: প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিপক্ষের দুর্বলতাও ধরা যায়। হাজার হাজার খেলা স্ক্যান করে প্যাটার্ন দেয় এআই। আমরা প্রতিপক্ষের খেলা অধ্যয়ন করতে পারি। এটি প্রস্তুতিতে সাহায্য করে।

    চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে

    প্রযুক্তির সীমিত প্রবেশ: বেশিরভাগ স্কুল, স্থানীয় ক্লাবে এখনও প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটেনি। নেই নানা ধরনের ডিভাইস বা সফটওয়্যার।

    বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষকের অভাব: ডেটা আছে, কিন্তু যারা সেটা খেলার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করবেন, এমন মানুষ খুব কম।

    প্রাইভেসি ও নৈতিকতা: খেলোয়াড়, বিশেষ করে নাবালকদের স্বাস্থ্য বা মানসিক তথ্য কিভাবে ব্যবহৃত হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য

    বিসিসিআই: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বাইশ গজে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে সবচেয়ে এগিয়ে। জাতীয় ও অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের চোট ও ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণে ডেটা বিশ্লেষণ হচ্ছে নিয়মিত। প্রতিভা অন্বেষণ, খেলোয়াড় তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক পদ্ধতি।

    আইএসএল ফুটবল ক্লাব: ভারতের ফুটবল ময়দানে জিপিএস ভেস্ট, ভিডিও অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে নতুন তারকাদের তুলে আনছে আইএসএল খেলা ক্লাবগুলো। সাহাল আবদুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপা এর অন্যতম উদাহরণ।

    খেলো ইন্ডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট: ডিজিটাল পারফরম্যান্স ডেটাবেস তৈরি করে ভবিষ্যতের প্রতিভা গড়ে তুলছে সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্প এর মধ্যে অন্যতম।

    প্রযুক্তি প্রয়োগে সমতার প্রয়োজন

    এআই এখন সবচেয়ে আলোচিত শব্দ। অগমেন্টেড রিয়েলিটি ক্রীড়ায় ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। এটি ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে এবং এটি ভালোভাবে কাজ করছে। তবে প্রশ্ন হলো, এটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে। এআই পারফরম্যান্সে সাহায্য করে। খেলোয়াড়রা (Big Data In Indian Sports) এটি ব্যবহার করে নিজেদের উন্নত করছে। আগামী দিনে এটি আরও বেশি শোনা যাবে। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারে সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একজন ক্রীড়াবিদকে গড়ে তোলার সময় সঠিক জিনিস দরকার। প্রযুক্তি ঘাটতি বোঝাতে সাহায্য করে। তবে প্রযুক্তি সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতি হওয়া উচিত নয় যে কিছু মানুষের প্রযুক্তি আছে আর অন্যদের নেই। এটি সবার জন্য সমান হওয়া দরকার।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া

    কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সময় থেকেই ভারতে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে (Technology in Sports) আগামীর পথ দেখাবে রিয়েল-টাইম ডেটা, এআই-ভিত্তিক বিশ্লেষণ, ও ডিজিটাল স্কাউটিং। এমনকি এআর বা অগমেন্টেড রিয়ালিটির মাধ্যমে লাইভ ম্যাচেই দেখা যাবে খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান। প্রযুক্তি হল মূলত ডেটার অ্যাক্সেস। এটি দুর্বলতা এবং শক্তি পরিমাপে বড় ভূমিকা নেয়। প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতির জন্য এটি ভালো। কিন্তু প্রযুক্তি এবং তার অ্যাক্সেস একসঙ্গে চলা উচিত। প্রযুক্তি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে এটি ক্রীড়াবিদদের জন্য বড় সুবিধা হতে পারে, অভিমত ক্রীড়াবিদদের। এআই এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির মতো উদ্ভাবন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বাড়াতে এবং কোচদের কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করছে। তবে এর ব্যবহারে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। প্রযুক্তি ডেটা সরবরাহ করে, কিন্তু সাফল্য নির্ভর করে তার প্রয়োগের ওপর। প্রযুক্তি ক্রীড়ায় অনেক সুবিধা এনেছে। এটি খেলোয়াড়দের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে, প্রতিপক্ষের কৌশল বোঝাতে এবং প্রশিক্ষণকে আরও কার্যকর করতে সাহায্য করে। প্রযুক্তির প্রসারে বাংলার গ্রাম কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও উঠে আসবে আগামী দিনের তারকা, এমনই মনে করছে ক্রীড়ামহল। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে এখন তথ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। একসময় যাদের বেছে নেওয়া হতো অভিজ্ঞ কোচের চোখে, এখন তাদের খুঁজে বের করছে ডেটা ও প্রযুক্তি। শুধু ভাগ্যের জোরে নয় পরবর্তী প্রজন্মের ভারতীয় তারকারা এবার উঠে আসবে ডেটার বলেই।

  • Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর লম্বা হবে না ট্রেনের (Indian Railway) ওয়েটিং লিস্ট। এবার ভারতীয় রেল বেঁধে দিল এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা। সাধারণত দূরপাল্লা বা মাঝারি দূরত্বে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা অনেক আগেই টিকিট কাটেন। রেলের (Railway) নিয়ম অনুযায়ী, দুই মাস আগে থেকেই সংরক্ষিত টিকিট কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, বুকিং শুরুর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই টিকিট একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়।

    কত টিকিট কাটা যাবে?

    এবার আর ইচ্ছেমতো টিকিট কাটা যাবে না (Indian Railway)। নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় রেল, ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যাবে। ভারতীয় রেলের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, যে কোনও শ্রেণির কামরায়, সে স্লিপার হোক বা এসি মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট ওয়েটিং লিস্টে কাটা যাবে। তৎকাল টিকিটের (Indian Railway) ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। রেলসূত্রের খবর, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।

    দালাল চক্র রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত

    তবে কেন এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে? এ বিষয়ে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক এজেন্ট মোটা টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কেটে দেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, সেই টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রায় থাকে না। এই দালালচক্রের মোকাবিলা করতেই এবার ওয়েটিং লিস্ট সীমিত করা হচ্ছে। সাধারণত অতীতে ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যেতে পারে, এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা ছিল না। কোথাও ৩০০, কোথাও আবার ৪০০ পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টে টিকিট কাটা যেত। তবে এবার তা আর সম্ভব হবে না। জালিয়াতি ঠেকাতে আরও কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)।

    তৎকাল টিকিটে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    তৎকাল টিকিট কাটার নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে হলে যাত্রীদের আধার কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ তৎকাল টিকিট (Railway) কাটতে গেলে এবার আধার কার্ড লাগবেই। আগামী ১ জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম। শুধু অনলাইনের ক্ষেত্রেই নয়, স্টেশনের কাউন্টারে গিয়েও যাঁরা তৎকাল টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও আধার কার্ড দেখাতে হবে।

  • Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের কানাডা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডার কার্নি সরকারের আমন্ত্রণে এই সফরে তিনি গিয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী কানাডার মাটিতে পা রাখার পরেই আন্দোলনের নামে ‘নোংরামি’ করতে শুরু করেছে কানাডার জল-হাওয়ায় আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক খালিস্তানপন্থী (Khalistanis) শিখ সংগঠন।

    বিক্ষোভকারীদের আপত্তিকর স্লোগান (Khalistanis)

    কানাডার অ্যালবার্টায় বসেছে জি৭-এর শীর্ষ বৈঠক। সোমবার সেখানেই যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ক্যালগারি শহরে প্রতিবাদ র‍্যালি করে খালিস্তানপন্থী নেতারা। বিক্ষোভের সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা আপত্তিজনকভাবে ‘মোদিকে খুন করো’ স্লোগান দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্যালগেরি সিটি হলের বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। তারা খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা ওড়াচ্ছিল। পোস্টারগুলিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দে করা হয়েছে। একটি পোস্টারে তাঁকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এবং অন্যটিতে জেলের ভেতরে দেখানো হয়। পোস্টারের নীচে লেখা, আমি নিজ্জরকে হত্যা করেছি, যিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন শিখস ফর জাস্টিসের একশোরও বেশি সদস্য। সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বকশিস সিং সান্ধু বলেন, “কানাডায় মোদির উপস্থিতি ছিল ভারতকে দায়ী করার একটি সুযোগ।” খালিস্তান গণভোটের বিষয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি জি৭ নেতাদের আহ্বানও জানান। তাঁর দাবি, এটি পাঞ্জাবের ওপর কথিত দখলদারিত্ব শেষ করার একটি পদক্ষেপ।

    শিশুদের লেলিয়ে দিল খালিস্তানপন্থীরা!

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে (Khalistanis), ভারতকে অপমান করতে খালিস্তানপন্থীরা এগিয়ে দিয়েছে শিশুদের। তারা ভারত বিরোধী প্রচার করছে। অবমাননা করছে ভারতের জাতীয় পতাকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজন নাবালককে। ভিডিওর ছবি থেকেই স্পষ্ট, খালিস্তানপন্থীরা ফ্রেমের বাইরে দাঁড়িয়ে শিশুদের উৎসাহিত করছে ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবিকে অপমান করতে। সব মিলিয়ে মোট ৬ জন শিশু এই ঘটনায় জড়িত। অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী মঞ্জিন্দর সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করার শপথ নিচ্ছেন।

    লজ্জিত ভারতীয় শিখরা

    কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের এহেন আচরণে যারপরনাই লজ্জিত ভারতে বসবাসকারী শিখরা। বিজেপির শিখ নেতা মঞ্জিন্দর সিং সিরসা বলেন, “কানাডায় যা ঘটছে, যেখানে শিখ শিশুদের ঘৃণা ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দেখে প্রতিটি শিখ গভীরভাবে ব্যথিত ও লজ্জিত।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত অবাক করার মতো ঘটনা। কীভাবে কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করছে। তাদের এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা তালিবানি প্রোপাগান্ডার মতো মনে হচ্ছে।” সিরসা বলেন, “বিশ্ববাসীর কাছে এটি শিখ শিশুদের ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বের চোখে শিখদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের চরমপন্থী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে গুরু গ্রন্থ সাহিব জি-র শিক্ষার ও শিখ ধর্মের মূলনীতির বিরোধী। এই ধর্ম আলাপ আলোচনা ও মানবসেবার ওপর জোর দেয় (Khalistanis)।”

    মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টার বক্তব্য

    অল ইন্ডিয়া অ্যান্টি-টেররিস্ট ফ্রন্টের সভাপতি মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টা বলেন, “যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়, তখন কীভাবে ভারতের শিখ সম্প্রদায় নীরব থাকে?” আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং বলেন, “আমি মনে করি আজকাল যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে বাচ্চারা যা করছে, তার অনেক কিছুই তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না। তাই এটা আমাদের, মানে বড়দের এবং পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের বুঝিয়ে বলা আসলে কী ঘটছে। যা ঘটেছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।” তক্ত শ্রী হরমন্দির সাহিবের সেক্রেটারি, হরবংশ সিং বলেন, “এটি দেখে এবং শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। যা ঘটেছে, আমরা তা সমর্থন করি না (PM Modi)। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি যা করছেন, তিনি তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন (Khalistanis)।”

    শিশুদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে

    সর্দার ত্রিলোচন সিং বলেন, “এরা অন্য একটি দেশের শিশু, যাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে, এবং তারা ভারতের মানুষের অনুভূতিকে উসকে দিচ্ছে। তাদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে, যা কোনও অ্যাঙ্গেল থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডা সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে এভাবে অপমান করা একেবারেই ঠিক হয়নি। তিনি শিখ সম্প্রদায়, দেশ এবং বিশ্বের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।”

    কানাডায় লালিত হচ্ছে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন

    দেশ এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর অপমানে যখন ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় শিখরা, তখন কানাডায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় একাধিক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এদের মধ্যে সব চেয়ে পুরানো হল ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন। ১৯৮১ সাল থেকে এই সংগঠনটি কানাডা থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনে অর্থায়ন করে। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কনিষ্ক’ বিমানে বোমা হামলার নেপথ্যে ছিল এই সংগঠনই। এই সংগঠনটিই হত্যা করেছিল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বেন্ট সিংকে। এর প্রধান নেতা ওধওয়া সিং বাব্বর বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে (Khalistanis)।

    ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ একাধিক সংগঠন

    ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন’ও। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং কানাডায় এদের শাখা রয়েছে। সেই সব দেশ থেকেই পরিচালিত হয় এই সংগঠনের কাজকর্ম। এদের মূল লক্ষ্য হল ‘খালিস্তান’ গঠন করা। এই সংগঠনকে টাকা জোগায় কানাডার বাসিন্দা জঙ্গি মানবীর সিং দুহদা। খালিস্তানপন্থী আর একটি গোষ্ঠী হল ‘শিখ লিবারেশন ফ্রন্ট’। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এর কার্যকলাপের ওপর সবসময় নজর রাখে। বর্তমানে এর কাজকর্ম পরিচালনা করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা মনিন্দর সিং বুয়াল। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ও। এরা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শিখ যুবকদের খেপিয়ে দেয় এবং তাদের দিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে (PM Modi)।সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে চলেছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’। এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুপতওন্ত সিং পান্নু। এর কাজকর্ম পরিচালিত হয় আমেরিকা থেকে। ইউএপিএ আইনে মোদি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এই সংগঠনকেও। এরা প্রায়ই ভারতের মানচিত্র বিকৃত করে এবং ভারতীয় নেতাদের হত্যার হুমকি দেয়।

    জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন

    হিংসার মাধ্যমে খালিস্তান গঠনের লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল ‘খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সে’র। এর নেতা ছিল পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই সংগঠনের (Khalistanis)। কানাডায় মাথা তুলেছে ভারতে নিষিদ্ধ আরও একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এরা হল ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এর প্রতিষ্ঠাতা জগতার সিং তাড়া। এক সময় সে ছিল বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। পরে গড়ে নিজস্ব সংগঠন। ১৯৯৫ সালের ৩১শে অগাস্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল জগতার সিং তাড়া। ২০১৫ সালে তাইল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে (PM Modi)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার এই ঘটনার (ভারত ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান) পর জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিত কানাডার কার্নি সরকারের। কারণ বর্তমানে যে বিষবৃক্ষের চারা তারা লালন করছে, সেই গাছে ফল ধরলে কিন্তু কানাডার হাল হবে পাকিস্তানের মতোই (Khalistanis)।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • Eshan Chattopadhyay: তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক সাফল্য, বাঙালি বিজ্ঞানী ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেলেন গডেল পুরস্কার

    Eshan Chattopadhyay: তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক সাফল্য, বাঙালি বিজ্ঞানী ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেলেন গডেল পুরস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি-উদ্ভাবনীর যুগে কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিশেষ সম্মান পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি গবেষক ঈশান চট্টোপাধ্যায় (Eshan Chattopadhyay)। নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ঈশান চট্টোপাধ্যায় ২০২৫ সালের গডেল পুরস্কার জিতে নিলেন। এই পুরস্কারটি (Godel Prize in Maths) তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ সম্মানগুলোর একটি, যা যুগান্তকারী গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়। এই কৃতী বিজ্ঞানী এমন একটি সমস্যা সমাধান করেছেন, যা প্রায় ৩০ বছর ধরে গবেষকদের ভাবিয়ে রেখেছিল। দুইটি দুর্বল র‍্যান্ডম উৎস থেকেও কীভাবে নির্ভরযোগ্য র‍্যান্ডম সংখ্যা তৈরি করা যায়, সেই সমস্যারই যুগান্তকারী সমাধান এনে দিয়েছেন ঈশান।

    ঈশানের সাফল্যের যাত্রা

    ভারতে বড় হয়ে ওঠা ঈশান পড়াশোনা করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান আইআইটি কানপুরে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিনে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণার পথপ্রদর্শক ছিলেন বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডেভিড জুকারম্যান। পরবর্তী সময়ে তিনি ইউসি বার্কলে, মাইক্রোসফট রিসার্চ এবং প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে গবেষণা করেছেন। ২০১৮ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ঈশান। ২০২৪ সালে সেখানে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হন।

    গডেল পুরস্কার, কেন এত মর্যাদাপূর্ণ?

    বিশ্ববিখ্যাত গণিতজ্ঞ কার্ট গডেলের নামানুসারে এই পুরস্কারটি প্রদান করে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর এসআইজিএসিটি এবং ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর থিওরেটিকাল কম্পিউটার সায়েন্স। এই পুরস্কার এমন গবেষণাকে স্বীকৃতি দেয়, যা কম্পিউটিংয়ের মৌলিক চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলে। একজন গবেষকের শীর্ষস্থানীয় অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এই সম্মান।

    ঈশানের কাজের গুরুত্ব

    ঈশান (Eshan Chattopadhyay) এমন একটি এলগরিদম তৈরি করেছেন, যা দুইটি দুর্বল বা অসম্পূর্ণ র‍্যান্ডম উৎস থেকেও শক্তিশালী র‍্যান্ডম সংখ্যা তৈরি করতে পারে। এই কাজ শুধু তাত্ত্বিক নয়, ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও বিপ্লব আনবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে ক্রিপ্টোগ্রাফি, সিকিওর কমিউনিকেশন এবং ডেটা কম্প্রেশন-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে এই গবেষণা প্রভাব ফেলবে। বহু বছর ধরে গবেষকরা মনে করতেন, এই শর্তে নির্ভরযোগ্য র‍্যান্ডমনেস তৈরি করা সম্ভব নয়। ঈশান সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে সাহসী গবেষণা কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

    ডেভিড জুকারম্যান-ই প্রেরণা

    ঈশানের (Eshan Chattopadhyay) গবেষণা তাঁর পিএইচডি গাইড ডেভিড জুকারম্যানের তত্ত্ব ও ভাবনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। দুজন মিলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করেছেন। গডেল পুরস্কার (Godel Prize in Maths) ছাড়াও ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন স্লোয়ান রিসার্চ ফেলোশিপ (Sloan Research Fellowship) এবং এনএসএফ কেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড (NSF CAREER Award)। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বিষয় পড়ান এবং ছাত্রদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন। তার গবেষণা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (FOCS, STOC, SODA) স্থান পায়।

    ভারতীয়দের জন্য গর্ব

    এই পুরস্কার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকদের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। যদিও আজকের দিনে প্রযুক্তি জগতের আলোচনায় এআই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, ঈশানের অর্জন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মৌলিক তাত্ত্বিক গবেষণা আজও প্রযুক্তির ভিত নির্মাণে অপরিহার্য। ঈশানের কৃতিত্ব বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে।

LinkedIn
Share