Blog

  • CBI Recruitment: সিবিআইয়ে নিয়োগ, পদ সংখ্যা চার, পারিশ্রমিক ৪০ হাজার 

    CBI Recruitment: সিবিআইয়ে নিয়োগ, পদ সংখ্যা চার, পারিশ্রমিক ৪০ হাজার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে সেন্ট্রাল ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (CBI)। পরামর্শদাতা হিসেবে চার অবসরপ্রাপ্তকে ‘Pairvi Officer’ পদে নিয়োগ করবে সিবিআই। ৩১ জুলাইয়ের আগে আবেদন করতে হবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের।  

    আরও পড়ুন: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    ধানবাদ (Dhanbad) অফিসে চার চুক্তিভিত্তিক পরামর্শদাতা অফিসার নিয়োগ করবে সিবিআই (CBI Recruitment 2022)। মূলত অবসরপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি এবং পুলিশ ইন্সপেক্টরদের এই পদে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ১ বছরের জন্যে চুক্তি করা হবে। কিন্তু ওই পদে নতুন লোক না আসা অবধি বহাল থাকবেন ওই অফিসাররা। পারিশ্রমিক দেওয়া হবে মাসে ৪০ হাজার টাকা। শূন্যপদের সংখ্যা ৪। 

    আরও পড়ুন: জুনিয়র রিসার্চ ফেলো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ডিআরডিওর, জানুন বিস্তারিত 

    সিবিআই এবং অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর ধানবাদ অফিসে কর্মরত থাকবেন এই পরামর্শদাতা অফিসাররা। মাসিক পারিশ্রমিক ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বা ওই ব্যক্তির অবসরের সময়ের সর্বোচ্চ বেতন থেকে অবসরকালীন ভাতা বিয়োগ করে যে পরিমাণ টাকা হয়, সেই সমান টাকা দেওয়া হবে। www.cbi.gov.in– এই লিঙ্কে গিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: চাকরির সুযোগ, বহু শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত  

    কী করে আবেদন করবেন?

    প্রথমে www.cbi.gov.in– এই লিঙ্ক থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে।

    সেই আবেদন পত্র ফিল-আপ করে সিবিআই-এর ঠিকানায় পাঠাতে হবে। 

    ঠিকানাটি হল,সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ, কারমিক নগর, ধানবাদ, ঝড়খণ্ড- ৮২৬০০৪ 

    আবেদনপত্রটি ৩১ জুলাইয়ের আগে সিবিআইয়ের অফিসে পৌঁছতে হবে। তা না হলে বাতিল করা হবে আবেদনপত্র। 

    আরও পড়ুন: বিপুল সংখ্যক ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি নিয়োগ করতে চলেছে কোল ইন্ডিয়া, কীভাবে আবেদন করবেন?  

    এছাড়াও ফরেন্সিক এক্সপার্ট পদে দিল্লির অফিসে কর্মী নিয়োগ করবে সিবিআই। শূন্য পদের সংখ্যা ২। বিই বা বিটেক -এ স্নাতক হতে হবে। বা থাকতে হবে এমএসসি বা এমসিএতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী। আবেদনের শেষ তারিখ ২৬ জুলাই। www.cbi.gov.in-এই লিঙ্কে আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা। 

     

  • Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩২ বছর ধরে দেশসেবা। অংশগ্রহণ করেছে ‘অপারেশন তালওয়ার’ ও ‘অপারেশন পরাক্রম’ অভিযানে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘ডিউটি’। এবার অবসরের পথে আইএনএস অক্ষয় (INS Akshay) এবং আইএনএস নিশাঙ্ক (INS Nishank)। এই দুই যুদ্ধজাহাজকে ‘ডিকমিশন্ড’ (decommissioned) করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian navy)।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে হয় ডিকমিশনিং প্রক্রিয়াটি। রক্তরাঙা সূর্যাস্তের সময় শেষবারের মতো নামানো হয় জাতীয় পতাকা,  নৌসেনার পতাকা এবং দুটি জাহাজের ডিকমিশনিং পেন্যান্ট। আইএনএস নিশাঙ্ক একটি উচ্চগতির মিসাইল ক্রাফট (High speed missile craft)। ১৯৮৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দেশসেবায় যুক্ত হয়। এর এক বছর পর নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস অক্ষয়। আইএনএস নিশাঙ্ক এবং আইএনস অক্ষয় যথাক্রমে ২২ মিসাইল ভেসেল স্কোয়াড্রন ও ২৩ পেট্রল ভেসেল স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। মহারাষ্ট্র নেভাল এরিয়ার ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিংয়ের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল এই দুই যুদ্ধজাহাজ।

    আরও পড়ুন : সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

    নৌসেনা জানিয়েছে, জাহাজগুলি ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয়ভাবে নৌ-পরিষেবায় যুক্ত ছিল। কার্গিল যুদ্ধের সময় অপারেশন তালওয়ার এবং ২০০১ সালে অপারেশন পরাক্রম সহ বেশ কয়েকটি নৌ অভিযানে অংশ নিয়েছিল। উরি হামলার পরে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন নিশাঙ্ককেও মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar)।

    ১৯৯৫-৯৬ সাল পর্যন্ত আইএনএস নিশাঙ্ক ছিল তাঁরই অধীনে। উপস্থিত ছিলেন এম গোপীনাথও। ১৯৯৬ সালের মে মাসে আইএনএস অক্ষয়-এর কমান্ড নিয়েছিলেন তিনিই। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন গোপীনাথ। বলেন, আমি আমার বাবাকে একজন নৌ-অফিসার হিসাবে আইএনএস অক্ষয়ে আসতে দেখেছি। আমার স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল। আমিও একজন নৌ-অফিসার হয়েছিলাম।

    গত সপ্তাহেই ৩৪ বছর চাকরি করার পর অবসর নিয়েছিল আইএনএস গোমতী। এদিন নিল আরও দুই জাহাজ। তবে নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুসারে, দেশের সেবায় অক্লান্ত থাকেন সৈনিকরা। এই জাহাজরাও সৈনিক। তাই কোনও যুদ্ধজাহাজ ডিকমিশন্ড করা হলে নতুন দুই জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয় একই নামে।

    সৈনিকদের যে মৃত্যু নেই!

     

  • TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিষয়টা পুরোটাই রাজনৈতিক। কিন্তু শাসক দলের রাজনৈতিক সভা ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে যে ব্যস্ততা, যে সাজ সাজ রব লেগেছে, তা তাজ্জব করার মতো। 

    বৃহস্পতিবার ঘটা করে একুশের সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইতিমধ্যেই, রাজ্যজুড়ে তার তোড়জোড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক শিবির। তবে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দল যে মাতামাতি করবে, যাবতীয় আয়োজন করবে তা বলা বাহুল্য। কিন্তু, একুশের সভা ঘিরে প্রশাসনিক ব্যস্ততা— শাসক দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা পুলিশের ‘ASL Meeting’-কে ঘিরে। কী এই ASL বৈঠক? পুরো অর্থ, অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজোঁ। কোনও ভিভিআইপি, সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সফরের আগে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আগে গিয়ে সফরস্থলের ময়না করে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এবং গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে।

    কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলা দলীয় সুপ্রিমোর নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানায় বসেছিল এধরনের এএসএল বৈঠক। তৃণমূলের সাফাই, সাম্প্রতিককালে মমতার (Mamata) বাসভবনে ঢুকে পড়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পাকড়াও হওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, প্রকাশ্য জনসমাবেশের ক্ষেত্রে এধরনের বৈঠকের তাৎপর্য কী?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    শুধু যে মমতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম উড়েছে তা নয়। এখন শাসক দলের কর্মসূচিকে সফল করতে কোনও কসুর রাখছেন না কর্তাব্যক্তিরা। তার প্রমাণ মিলল রাজ্যের পূর্ত দফতরকে লেখা পুরসচিবের চিঠি। সেখানে অনুষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় আলো বসানোর জন্য বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী করতে হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দেওয়া হয়েছে। 

    আবার, শহরের যে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সভা করার অনুমতি দেয় না পুলিশ, সেখানেই তৃণমূলের সমাবেশের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভার কাছে পাঠানো হয়েছে একগুচ্ছ প্রস্তাব ও আবেদন। তাতে বলা হয়েছে— 

    কোন কোন জায়গায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। 

    কোন কোন জায়গায় গাছ কাটতে হবে।

    কোন কোন জায়গায় ডাস্টবিন রাখতে হবে।

    কোথায় ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে।

    কোথায় খোলা তার রয়েছে, যাতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলার সিইএসসি দফতর ও কেসি দাসের মধ্যবর্তী স্থলে রাস্তার মাঝে থাকা সব রেলিং তুলে দিতে হবে। মঞ্চে ড্রাই স্যানিটাইজেশন করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র 

    মঞ্চমুখী একাধিক রাস্তা স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি, সমর্থকরা যেখানে থাকবেন, তার প্রত্যেকটিতে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

    পাশাপাশি, শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের তরফে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্তও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২১ তারিখ শহরের একাধিক ব্যস্ত রাজপথ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে শুরু করে বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিং স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী প্রভৃতিতে ভোর চারটে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আবার পুর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা যাতে সঠিকমতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তার জন্য পুরসচিবের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিরোধীদের বলছে, ক্ষমতায় থেকে সরকারি অর্থের অপচয় ও পরিকাঠামোর অপব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এর চেয়ে আর কি-ই বা হতে পারে! একুশের সমাবেশ ঘিরে শাসক দলের এই ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “আমরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এনে এর চেয়েও বড় সভা করি, করবও। সমস্ত আয়োজন দলীয়ভাবেই করা হয়। ২১ জুলাই নিয়ে যেভাবে পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূল এক হয়ে গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর প্রশাসনের উপর কোনও আস্থ থাকবে না। শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে সমস্ত বিভাজন রেখা মুছে গিয়েছে। সরকারি অর্থে এবং প্রয়াসে তৃণমূলের সভা সফল করতে নেমেছে পুলিশ। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন দরকার।”

  • Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Coronavirus)। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হতেই রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক (Mask wearing compulsory) করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। এপ্রিলের পর শুক্রবার রাজ্যে একদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়, আক্রান্তের সংখ্যাও এদিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার।

    ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা (Covid guidelines) জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের সব জেলাগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন খোদ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, “ভিড় জায়গায়, ট্রেন, বাস, সিনেমা, অডিটোরিয়াম, অফিস, হাসপাতাল, স্কুল এবং কলেজে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।” সংবাদমাধ্যমকে প্রদীপ ব্যাস জানান, রাজ্যে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   

    অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আরও জানান, “গত কয়েক মাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফের রুদ্ররূপ ধারণ করতে শুরু করেছে করোনা। তিন মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার পার করেছে। যা চিন্তার বিষয়। গত সপ্তাহে রাজ্যের নয় জেলায় সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ কয়েক জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।”  

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    দেশজুড়ে আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ৪ হাজারের গণ্ডি। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবিষয়ে বলেছেন, “সম্ভবত এটাই করোনার চতূর্থ ঢেউ (Corona 4th wave)। ভারত সরকার নিশ্চিত না করা অবধি কিছু বলা যাচ্ছে না।” রাজ্যবাসীকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখনই ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। সরকার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।” 

    রবিবারই মহারাষ্ট্রে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪৯৪। এদিন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এযাবৎ এরাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮,৯৩,১৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১,৪৭,৮৬৬ জনের।

     

     

     

     

     

     

     

  • Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ২০ সপ্তাহের পর অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতে বাধার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ২৩ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওই অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    হাইকোর্ট জানায়, বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে যে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধিত), ২০২১ আইন আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেবে না আদালত। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন গর্ভপাত করা হলে তা কার্যত ভ্রূণ (Foetus) হত্যার সমান হবে। তাই আদালতের পরামর্শ, আবেদনকারী মহিলাকে কোথাও নিরাপদে রাখা হবে যতক্ষণ না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আগত সন্তানকে পরবর্তীতে দত্তক দেওয়া যেতে পারে।

    দিল্লি হাইকোর্ট আরও বলে, “আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটিকে কোথাও নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং সে প্রসব করতে পারে। দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছে। আমরা শিশুটিকে হত্যা করার অনুমতি দেব না। আমরা খুবই দুঃখিত। এটি কার্যত ভ্রূণ হত্যার সমান।” 

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং অবিবাহিত। তাঁর সঙ্গী বিয়ে করতেও অস্বীকার করেছেন। তাই কোনওভাবেই সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটিকে দ্রুত শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলার আইনজীবী।   

  • Horoscope Today, 06 June 2022: এই রাশির জাতক হলে আজ পেতে পারেন নতুন চাকরির প্রস্তাব

    Horoscope Today, 06 June 2022: এই রাশির জাতক হলে আজ পেতে পারেন নতুন চাকরির প্রস্তাব

    মেষ: চাকরিজীবীদের দিনটি স্বাভাবিক কাটতে পারে। ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকার সম্ভাবনা। আজ আপনি নিজের জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেতে পারেন। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় পেটের রোগ হতে পারে। 

    বৃষ: চাকরিজীবীদের উন্নতি হতে পারে। পদোন্নতি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। পারিবারিক জীবনে সুখ-শান্তি থাকার সম্ভাবনা।  জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য শুভ দিন। শেয়ারে বাড়তি বিনিয়োগ চিন্তা বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। সন্তানের কাজে মুখ উজ্জ্বল হতে পারে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। 

    মিথুন: জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য শুভ দিন। শেয়ারে বাড়তি বিনিয়োগ চিন্তা বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। সন্তানের কাজে মুখ উজ্জ্বল হতে পারে। চাকরিজীবীদের আজকের দিনটি মোটামুটি যাবে। ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্য মোটামুটি থাকবে।

    কর্কট: সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেতে পারেন। বাড়ির পরিবেশ ভাল থাকতে পারে। অফিসের কাজে মনোযোগ দিন। ব্যবসায়ীদের লাভ হতে পারে। স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি হতে পারে। ভিটামিনের অভাবে শরীরে অনেক রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    সিংহ: চাকরিজীবীদের আজকের দিনটি তেমন ভাল কাটবে না। ব্যবসায় ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে। ঘরের পরিবেশ শান্ত থাকার সম্ভাবনা। আর্থিক পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকতে পারে। শরীরে কোথাও আঘাত লাগার সম্ভাবনা আছে। পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    কন্যা: চাকরিজীবীদের উপর কাজের বোঝা বাড়তে পারে। মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যেতে পারে। ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। পিঠে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও আর্থিক অবস্থার খুব একটা উন্নতির সম্ভাবনা নেই। স্বাস্থ্য ভাল থাকবে না। সঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ হওয়ার সম্ভাবনা। 

    তুলা: চাকরিজীবীরা আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। অফিসে দায়িত্ব বেশি থাকবে। ব্যবসায়ীরা আজ ভাল লাভ করতে পারেন। পরিবারের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন। দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ। অর্থ সংক্রান্ত চিন্তা বাড়তে পারে। সুস্থ থাকতে হলে অহেতুক দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করুন। 

    বৃশ্চিক: চাকরিজীবীদের আজকের দিনটি মোটামুটি কাটার সম্ভাবনা। ব্যবসায় বৃদ্ধি হতে পারে। আর্থিক অবস্থাও মজবুত হতে পারে। উচ্চশিক্ষার ভাল যোগ আছে। বাড়ির সকলকে নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। পারিবারিক জীবনে কোনও সমস্যা হতে পারে। আজ খুব বুঝে না চললে অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ধনু: চাকরিজীবীদের আজ বড় দায়িত্ব নিতে হতে পারে। ব্যবসায়ীরা আজ বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। অসৎ কোনও লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে। ঘরের পরিবেশ ভাল থাকার সম্ভাবনা। স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। 

    মকর: ব্যবসায়ীদের আজ দীর্ঘ যাত্রা না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চাকরিজীবীদের অফিসে বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি লাভের যোগ আছে। হারানো কোনও জিনিস উদ্ধার হতে পারে। আর্থিক দিক দিয়ে আজকের দিনটি ভাল কাটতে পারে। স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

    কুম্ভ: চাকরিজীবীদের আজকের দিনটি খুব ভাল কাটতে চলেছে। আজ আপনার সমস্ত কাজ কোনও বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হবে। শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আজ আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  আজ পরিবারে কোনও সুখবর আসতে পারে। 

    মীন: যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি খুঁজছেন, আজ তাঁরা ভাল সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে পারেন। আগের দিনের থেকে ব্যয় বাড়তে পারে। সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে। সংসারে শান্তি বজায় থাকতে পারে। অপরের উপকার করতে গিয়ে বিপদের আশঙ্কা। 

  • Pakistan Economic Crisis: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    Pakistan Economic Crisis: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) কোষাগার গড়ের মাঠ! তলানিতে এসে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার (Foreign Exchange Reserve)। ১০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। অবিলম্বে বৈদেশিক তহবিল থেকে ঋণ না পেলে, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মতোই মুখ থুবড়ে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি।

    চলতি সপ্তাহে ৩৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা কমেছে পাক সরকারের। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক। অগাস্ট থেকে যা প্রায় ৫০ শতাংশ পতন। যা অর্থ আছে তা দিয়ে মাত্র ২ মাসের আমদানির টাকা পরিশোধ করা যাবে। করোনা অতিমারীর জেরে পাক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। রফতানির তুলনায় আমদানি বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের চাইতে অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর রাজনৈতিক ডামাডোলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তান কার্যত দেউলিয়া।

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    দেনা শোধ করতে অপারগ হওয়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনের হাতে তুলে দিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। এমন খবরও সামনে আসে। এই অবস্থায় ফের পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে চিন (China)। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানিয়েছেন, “পাকিস্তানকে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে চিনের ব্যাংকগুলি। কোন শর্তে ওই টাকা দেওয়া হবে সেই আলোচনাও শেষ হয়েছে এবং সমস্ত শর্ত চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। দুদিক থেকে কিছু নিয়মমফিক সম্মতিপত্র প্রদানের কাজ শেষ হলেই পাকিস্তানের হাতে টাকা আসা শুরু হবে। এর ফলে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার কিছুটা বাড়বে।”

    ভারতের বিরোধিতা সত্বেও সাত বছর ধরে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। এই প্রকল্পের বিপুল খরচের ফলে ক্রমবর্ধনশীল ঋণের বোঝায় কার্যত কবরের নীচে পাক সরকার। গতবছর এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তৎককালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। 
      
    এই চিন-পাকিস্তান করিডর নিয়ে কয়েক বছর আগে বেশ হইচই হয়েছিল পাকিস্তানে। প্রচারও হয়েছিল বিস্তর। বলা হয়েছিল এর ফলে পাকিস্তানের বার্ষিক আয় ২.৫ শতাংশ বাড়বে। পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই আদেও প্রকল্পগুলি কখনই আর শেষ করা যাবে কি না, তাই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। ফের আরও একবার চিনের কাছে হাত পেতেছে পাক সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

     

  • Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য দেশ নয় ভারত (India)। তবে ভারতের মতো একটি ‘মূল্যবান প্রার্থী’র (Worthy Candidate) জন্য  জোরালো সওয়াল করল রাশিয়া (Russia)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ভারত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। মূল্যবান প্রার্থী। তাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন তার।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন : ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এর আগে বক্তৃতা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে কীভাবে আরও বেশি করেন গণতান্ত্রিক করা যায়, মস্কো সে ব্যাপারে সচেষ্ট। তারা চাইছে, এর সদস্য হোক আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ থেকেও। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর শান্তির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন। কূটনৈতিক পথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে। এবং ভারতের অবস্থান তাই থাকবে। প্রসঙ্গত, চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না ভারত। যদিও পরিষদের বাকি চার দেশ চায় অস্থায়ী নয়, ভারত হোক স্থায়ী সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Akshay Kumar: ইতিহাসের পাতায় গুরুত্ব পাননি পৃথ্বীরাজ চৌহান, আপশোস অক্ষয় কুমারের

    Akshay Kumar: ইতিহাসের পাতায় গুরুত্ব পাননি পৃথ্বীরাজ চৌহান, আপশোস অক্ষয় কুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ (Samrat Prithviraj)। ভারতের পরাক্রমী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের (Prithviraj Chauhan) জীবনের গল্প নিয়েই তৈরি ছবিটি। এই কিংবদন্তী যোদ্ধা ভারতকে রক্ষা করতে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এহেন বীর যোদ্ধা ইতিহাসে যোগ্য জায়গা পাননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেন অক্ষয় কুমার।

    একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহান সম্পর্কে মাত্র ২-৩ লাইন লেখা রয়েছে। খলনায়কদের কথা বেশি উল্লেখ করা হয়েছে বইগুলিতে। আমাদের সংস্কৃতি, মহারাজাদের সম্পর্কে তেমন কিছুই বলা হয়নি আমাদের ইতিহাস বইগুলিতে।”

    [tw]


    [/tw]

    কেন ইতিহাসের পাতায় পৃথ্বীরাজ চৌহানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। জানান, তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আবেদন করতে চান। অক্ষয় বলেন, “আমি আরও বেশি করে পৃথ্বীরাজ চৌহান সম্পর্কে জানতে চাই। পৃথ্বীরাজ চৌহানের ইতিহাস সম্পর্কে লেখার কেউ নেই। মুঘলদের সম্পর্কে আমাদের জানা উচিৎ। কিন্তু আমাদের রাজাদের সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। তাঁদেরও বীরত্বের উদাহরণও কম নেই।”

    আরও পড়ুন: অক্ষয় কুমারের ছবি পৃথ্বীরাজ, সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন অমিত শাহ

    ছবিটির পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী বলেন, “বিষয়টি শুধু হিন্দুত্বের নয়। এটি নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা করার বিষয়। হিন্দু সংস্কৃতিকে সম্মান করায় কোনও অপরাধ নেই।”

    [tw]


    [/tw]

    সম্রাট পৃথ্বীরাজ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। সঙ্গে রয়েছেন মানসী চিল্লার, সঞ্জয় দত্ত, সোনু সুদ, আশুতোষ রানা এবং সাক্ষী তানওয়ার। পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর তৈরি এই ছবির বাজেট বলা হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা। প্রযোজনা করেছে যশ রাজ ফিল্মস। ৩ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পায় সম্রাট পৃথ্বীরাজ।

    আরও পড়ুন: সিগারেট কি তামাকজাত নয়, ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি! বিতর্ক অব্যাহত অক্ষয়কে নিয়ে

  • PM Modi: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি 

    PM Modi: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তি। এবার খুব শীঘ্রই আমেরিকা (America), ইউনাইটেড কিংডম (United Kingdom) এবং সিঙ্গাপুরের (Singapore) মতো বিশ্বের আর্থিক প্রাণকেন্দ্রগুলির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারতও (India)। শুক্রবার এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগের ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টারর্স অথরিটির (International Financial Service Centres Authority) প্রধান কার্যালয়ের শিলান্যাস করেন মোদি। সেখানেই ওই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, এটা একবিংশ শতাব্দী। এখন অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং সফট্ওয়্যার ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপক দক্ষতা অর্জন করেছে। তাঁর দাবি, গোটা বিশ্বের রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্টের ৪০ শতাংশই হয় ভারতে। এদিন তিনি ইন্টারন্যাশনাল বুলিয়ন এক্সচেঞ্জেরও উদ্বোধন করেন। এনএসই আইএফএসসি-এসডিএক্সের সংযুক্তিকরণও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ রেকর্ড করেছে।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    মোদির দাবি, গত আট বছরে ভারতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন গতি এসেছে। দেশের দরিদ্রতম ব্যক্তিও যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। আজ যখন দেশের একটা বিরাট অংশ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, তখন সময়ের দাবি হল সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর একযোগে পদক্ষেপ করা। ইদানিং কালে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এজন্য সরকার বিভিন্ন নীতির সংস্কার করেছে। তার জেরেই বেড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। প্রসঙ্গত, এদিনই সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি এই একই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের শেয়ারের মূল্য বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ৭৬-এ। এদিন জিআইএফটি সিটির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নয়া আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বৃদ্ধির সুযোগের ক্ষেত্রে কাজ করবে অনুঘটকের।    

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, জিআইএফটি সিটিতে উদ্বোধন হল ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টারর্স অথরিটির। ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল অথরিটি অ্যাক্টের অধীনে তৈরি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

     

LinkedIn
Share