Blog

  • New GST Rule: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    New GST Rule: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাস থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি (GST) নিয়মে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী, যেসব ব্যবসায় টার্নওভার বছরে ১০ কোটি টাকারও বেশি, তাদের বি-টু-বি (B to B) লেনদেনের জন্যে ১ অক্টোবর থেকে ইলেকট্রনিক ইনভয়েসস সংক্ষেপে ই-ইনভয়েস (e-Invoice) তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস, সংক্ষেপে সিবিডিটি (CBDT) এবং কাস্টমস (Customs)। চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে সেই সব কোম্পানির জন্য ই-ইনভয়েস বাধ্যতামূলক, যাদের বছরে টার্নওভার ১০ কোটি টাকারও বেশি।

    মার্চের আগে পর্যন্ত যাঁদের বছরে টার্নওভার ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা—সেই সকল করদাতা রেজিস্ট্রেশনের এই সুবিধা পেতেন এবং লগ-ইন করতে পারতেন। ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় বোর্ড জিএসটি ই-ইনভয়েসিংয়ের সীমা ৫০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটিতে নিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে যেসব কোম্পানির বছরে টার্নওভার ৫০ কোটি টাকার বেশি ছিল, তাদের বি-টু-বি ইনভয়েস তৈরি করতে হত। সেটাই এখন ১০ কোটি টাকার বেশি টার্নওভারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    আরও পড়ুন : জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    প্রশ্ন হল, কেন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল?  করদাতারা যাতে ট্যাক্স এড়িয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্যই সরকার জিএসটিতে নানা পরিবর্তন এনেছে। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সেসব কোম্পানির বছরে টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকার বেশি, তাদের বি-টু-বি ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ই-ইনভয়েসের প্রয়োজন।

    এখন এই সীমাই হয়েছে ২০ কোটি টাকা যেটা ১ অক্টোবর থেকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস কমিয়ে করেছে ১০ কোটি টাকা। যাঁদের জিএসটি দিতে হবে, তাঁরা অনলাইনে ই-ইনভয়েস রেজিস্ট্রেশন পোর্টালের মাধ্যমে এটা পাঠাতে পারেন। মনে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে করদাতাদের তাঁদের ইন্টারনাল সিস্টেমের মাধ্যমে বিল তৈরি করতে হবে। তার পরেই ইনভয়েস রেজিস্ট্রেশন পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে রিপোর্ট করতে হবে।

    আরও পড়ুন : চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

  • Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অসমে প্রায় ১ হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৭৮৮টি। আনুমানিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসাগুলিতে পড়ে। বহু মাদ্রাসাতেই বেআইনি এবং দেশবিরোধী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় দেশবিরোধী কাজে মদত দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সদ্য বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে অসমে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুফতি মোস্তাফা নামের মরিগাঁও এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। মোস্তাফা এখন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন Ansar ul Bangla Team (ABT)-র সদস্য বলে পুলিশের দাবি। অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ওই জঙ্গি সংগঠন মরিগাঁও এলাকা নিজেদের ‘মডিউল’ গড়ে তুলছিল। মোস্তাফাকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। 

    অসমের পুলিশের স্পেশাল ডিজি জিপি সিং (GP Singh) জানান, “মুফতি মোস্তাফা যে ‘জিহাদি ট্রেনিং’ দেখাতেন, তা তার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলিতে পাওয়া গিয়েছে। আমরা এখন দেখতে চাইছি, তাঁর ওই ভিডিয়োগুলি কতজন দেখেছেন। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ওপরে সেগুলির কী প্রভাব পড়েছে, তাও আমরা দেখতে চাইছি।” জিপি সিং বলেন, “ওই মাদ্রাসার শিক্ষক যে ভিডিয়োগুলি দেখাতেন, সেখানে তালিবানদের ট্রেনিং নেওয়ার বিষয়টিও আছে। সেগুলি দিয়ে তিনি ওই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের প্রভাবিত করতেন।” তিনি জানান, একাধিক মাদ্রাসা তাঁদের ‘স্ক্যানারে’ আছে। 

    আরও পড়ুন: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “পুলিশের সর্ববৃহৎ অভিযানে ধরা পড়েছে একঝাঁক জেহাদি। মৈরাবাড়িতে একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য এই প্রথম কোনও ধর্মীয় মাদ্রাসার শিক্ষককে জেহাদি-যোগের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরপেটাতেও বড়সড় জঙ্গি মডিউল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি  অভিযান চলছে।”

    অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু (Ranoj Pegu) বলেন, “অসমে কোনও সরকারি মাদ্রাসা নেই। আমরা একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে সেখানের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হবে।” ইতিমধ্যেই অসমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫০টি মাদ্রাসা, বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

  • Income Tax e-Verification: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    Income Tax e-Verification: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে ৩১ জুলাই। সময়সীমা বাড়ায়নি কেন্দ্র। এবার ই-ভেরিফিকেশনের (e-Verification) সময়সীমাতেও পড়ল কোপ। ১২০ দিন থেকে কমিয়ে করা হল ৩০ দিন। অর্থাৎ, ৩১ অগাস্টের (August) মধ্যে শেষ করতে ই-ভেরিফিকেশনের কাজ। অর্থাৎ, এই সময়সীমার মধ্যে ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না করলে, আপনার আয়কর রিটার্ন খাতায় কলমে অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা খারিজ হবে। 

    এই ই-ভেরিফিকেশনের কাজ বিভিন্ন উপায়ে করতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে করবেন ই-ভেরিফিকেশনের কাজ—

    আধার নির্ভর ওটিপি: আধার নির্ভর ওটিপি ব্যবহার করে ই-ভেরিফিকেশন করার আগে আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার আধারের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে নিন। প্যানের সঙ্গেও থাকতে হবে আধার সংযুক্তিকরণ। এবার ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে ‘I would like to verify using OTP on mobile number registered with Aadhaar’ সিলেক্ট করুন। এবার ‘Continue’ ক্লিক করুন। স্ক্রিনে পপ-আপ আসবে। ‘I agree to validate my Aadhaar details’ লেখা টিক বক্স ক্লিক করুন। এরপর ‘Generate Aadhaar OTP’ লেখার ওপর ক্লিক করুন। ছয় সংখ্যার একটি ওটিপি এসএমএস আসবে মোবাইলে। মনে রাখবেন, এই ওটিপি কেবলমাত্র ১৫ মিনিটের জন্য বৈধ থাকবে। যে ওটিপি পেলেন, তা নির্দিষ্ট বক্সে টাইপ করুন। এরপর ‘Submit’ বটনে ক্লিক করুন। সব পদ্ধতি ঠিকঠাক হলে জানবেন আপনার আয়কর রিটার্ন ভেরিফায়েড হয়ে যাবে। 

    আরও পড়ুন : আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    নেট ব্যাংকিং: দ্বিতীয় পদ্ধতি হল নেট ব্যাংকিং। ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে ‘Through Net Banking’ সিলেক্ট করুন। ক্লিক ‘Continue’। সেই ব্যাংকটি তালিকা থেকে সিলেক্ট করুন যার মাধ্যমে আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। আবার ক্লিক করুন ‘Continue’। স্ক্রিনে পপ-আপ ভেসে উঠবে। তাতে একটি ডিসক্লেমার থাকবে। পড়ে ‘Continue’-তে গিয়ে ক্লিক করুন। 

    ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: তৃতীয় পদ্ধতি হল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। কোনও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়ে একটি ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড (EVC) জেনারেট করুন। এই নম্বরটি মনে রাখুন। এর জন্য একটি বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আয়কর রিফান্ডের জন্য এই বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্য প্রয়োজন। 

    ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট: আয়কর ই-ভেরিফিকেশনের আর একটি পদ্ধতি হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে  ‘Through Demat Account’ সিলেক্ট করুন এবং ‘Continue’-তে ক্লিক করুন। ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড জেনারেট হবে। 

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?
    আপনার নথিভুক্ত মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডিতে চলে যাবে ইভিসি কোড। এবার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল ও ই-মেলে পাওয়া ইভিসি সংযুক্ত করুন এবং ক্লিক করুন e-Verify। 

    ব্যাংক এটিএম: ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়েও ইভিসি জেনারেট করা যাবে। এই সুবিধা মিলবে অ্যাক্সিস ব্যাংক, কানাড়া ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাংক, আইডিবিআই ব্যাংক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায়। ব্যাংক এটিএমে গিয়ে কার্ড সোয়াইপ করুন। এটিএম পিন নম্বর দিন। ‘Generate EVC for Income tax filing’ সিলেক্ট করুন। ই-ফাইলিং পোর্টালের সঙ্গে নথিভুক্ত মোবাইলে এবং ইমেল আইডিতে ইভিসি নম্বর আসবে। 

    সেন্ডিং সাইন্ড আইটিআর-ভি: ওপরের কোনও একটি বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে যদি আপনার ই-ভেরিফিকেশন না হয়, তাহলে একটা স্বাক্ষরিত কপি আইটিআর-ভি আয়কর বিভাগে ডাকের মাধ্যমে পাঠান।

  • Asia Cup: প্রতীক্ষার অবসান! এশিয়া কাপের ক্রীড়াসূচি ঘোষিত, ২৮ অগাস্ট মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    Asia Cup: প্রতীক্ষার অবসান! এশিয়া কাপের ক্রীড়াসূচি ঘোষিত, ২৮ অগাস্ট মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের শেষ রবিবার মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। এ বারের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022) শুরু ২৭ অগস্ট থেকে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এ বছর শ্রীলঙ্কাতে (Sri Lanka) এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা থাকলেও সে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE)। টুর্নামেন্টের তিনটি ম্যাচ হবে শারজায়। বাকি সমস্ত ম্যাচ আয়োজিত হবে দুবাই স্টেডিয়ামে। সবকটি ম্যাচ হবে স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টায়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। আর পরের দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারত নামবে বাবর আজমের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    এদিন টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করে বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহ লেখেন, “অপেক্ষার অবসান। এশিয়া কাপের সূচি জানিয়ে দিল ACC। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এই টুর্নামেন্ট দারুণ প্ল্যাটফর্ম হতে চলেছে।” গ্রুপ এ-তে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সেই গ্রুপে আরও একটি দল আসবে যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে। সেই দলের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ ৩১ অগাস্ট। ফাইনাল হবে ১১ সেপ্টেম্বর। গ্রুপ পর্বে ভারতের দু’টি ম্যাচই হবে দুবাইতে। ফাইনালও দুবাইয়ে। বি গ্রুপের দলগুলি হল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ৩০ আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। সুপার ফোরের ম্যাচ শুরু হবে ৩ সেপ্টেম্বর। চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। 

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য, মণিপুরের জেরেমি

    ১৫তম এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছে দলগুলি। শেষ বার ২০১৮ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফের দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই। প্রথমে ঠিক ছিল ২০২০ সালে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে। কিন্তু পাকিস্তানে খেলতে আপত্তি জানায় ভারত। এরই মধ্যে করোনা মহামারীও আঘাত হানে। যার ফলে সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তরিত করা হয় টুর্নামেন্ট। ঠিক করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে এশিয়া কাপ আয়োজন করা হবে। কিন্তু তখনও করোনার জেরে তা আয়োজন সম্ভব হয়নি। তারপর অনেক ভাবনা চিন্তার পর এ বছর বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মার্চে সেই সিদ্ধান্তে সরকারি সিলমোহরও পড়ে। এবার অপেক্ষা ঢাকে কাঠি পড়ার।
  • Partha Chatterjee: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা

    Partha Chatterjee: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলাসবহুল জীবন এখন অতীত! এসি তো ইতিহাস! মাথার উপর ধীরে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়াই সম্বল। এমনকী বিছানাটাও নেই। কম্বল পেতে মেঝেয় শুয়ে রাত কাটাতে হল বর্তমানে সাসপেন্ড হওয়া একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা তথা প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

    এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) শুক্রবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall court)। এরপরই, দুজনকে স্থানান্তর করা হয় জেলে। একদিকে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail)। অন্যদিকে, আলিপুর জেলে (Alipore Jail) নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতা।

    জেলের প্রথম রাত কেমন কাটাল দুজনের? এই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে ঘোরাফেরা করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে দুই নম্বর সেলে রয়েছেন পার্থ। ওষুধও খেয়েছেন সময়মতো। প্রাক্তন মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল ২টো কম্বল। সেগুলো পেতে মেঝেয় শুয়েছেন। শনিবার সকালে চা-বিস্কুট দেওয়া হয় পার্থকে। রাতে একবার জেল হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। ইডি-র (ED) তরফে দেওয়া হয়েছে পোশাক ও বই।

    আরও পড়ুন: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের 

    অন্যদিকে, আলিপুর জেলের (Alipore Jail)  ২ নম্বর ঘরে রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদারকি করছেন জেলের সুপার। ভালো আচরণ করার জন্য বন্দিদের যে ঘরে রাখা হয়, তারই একটি ঘর অর্পিতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলে আসার পর কান্নাকাটি করেন অর্পিতা। রাতে খাবার দেওয়া হলেও খাননি। সকালে তাঁকেও চা-বিস্কুট দেওয়া হয়। খবর সূত্রের।

    গতকাল আদালতে শুনানিতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, অর্পিতাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হলে তাঁর প্রাণসংশয় রয়েছে। তাই তাঁকে জল ও খাবার দেওয়ার আগে, যেন পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়। এর পর, আদালতের নির্দেশে অর্পিতার জন্য ২৪-ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁকে খাবার, জল দেওয়ার আগে, ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

    এদিকে, গতকাল সকালে, আদালতে পেশ করার আগে, পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকার ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে দেখেন, গত ১২ দিন ইডি হেফাজতে থাকার ফলে, প্রাক্তন মন্ত্রীর ওজন ১১১ কেজি থেকে তিন কেজি কমে ১০৮ হয়েছে। যদিও, দ্রুত এতটা ওজন কমার পিছনে কোনও অসুখ নয়, জানিয়েছে জোকার ইএসআই হাসপাতাল। গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা নেই বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।  

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে।  

    ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে কী কী করবেন (Prevention)?

    পরিষ্কার জল পান করুন 

    পানীয় জল যেন পরিষ্কার হয়। ভালো ব্র্যান্ডের ইউভি, ক্যান্ডেল যুক্ত ফিল্টার ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের ও বিশ্বাসযোগ্য রিটেলারের জল পান করুন।   

    রাস্তার ধারের খাবার এড়িয়ে চলুন 

    রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ফলের রস, মিল্কশেক। 

    স্যালনে গেলে সাবধান থাকুন 

    নাপিতের দোকান, বিউটি স্যালনে যেন ভালোভাবে স্টেরিলাইজ না করে একই ক্ষুর, মেটাল স্ক্র্যাপার একাধিক ব্যক্তির ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর ফলে সংক্রমণের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।  

    সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস

    এইচসিভির তুলনায় হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণ বেশী হয়। সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। 

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ থেকে সচেতনতা  

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ ব্যবহার ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সূচ দিয়ে ড্রাগ নেন একাধিক ব্যক্তি। এর ঝুঁকি সম্পর্কে নিজের সন্তানদের সচেতন করুন। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    টিকা  

    হেপাটাইটিস এ ও বি টিকার দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার দ্বারা প্রতিরোধক্ষম একমাত্র ক্যান্সার হল হেপাটাইটিস বি-র ফলে হওয়া লিভার ক্যান্সার। 
     
    শনাক্তকরণ

    এইচবিভি ও এইচসিভিকে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। উভয় ভাইরাসের জন্যই কার্যকরী চিকিৎসা উপলব্ধ আছে। ঠিক সময় শনাক্ত করা না গেলে, এর থেকে লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। 
     

  • Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। হল তারই তিন বছর পূর্তি।  তার পর থেকে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে ভূস্বর্গের। একদিকে উপত্যকায় যেমন কমেছে পাথর ছোড়া, জঙ্গিপনা (Terrorist Act) সহ নানা অশান্তিমূলক কাজকর্ম, তেমনি হচ্ছে উন্নয়ন (Development)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং উপত্যকার লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Monaj Sinha) নিরন্তর প্রচেষ্টায় নয়া রূপে সাজছে ভূস্বর্গ।

    ২০১৯ সালের ৫ তারিখে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই গেল গেল রব ওঠে বিরোধী শিবিরে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের রক্তস্নাত হবে উপত্যকা। বাড়বে জঙ্গি হানার ঘটনাও। যদিও গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এমন কিছুই ঘটেনি, যা নিয়ে হইচই করতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ইদানিং ঘটছে কাশ্মীরের কিছু জায়গায়। এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কার্যকলাপ। সেই কারণেই ঘটছে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাসে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তি নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৯এর আগের তুলনায় ঢের কমেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বিধানসভার মর্যাদা ফেরাতে হবে নির্বাচন। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজও। সেই কাজ শেষের পরে শুরু হয়েছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজও। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। এককথায়, ভূস্বর্গের সর্বত্র স্পষ্ট সুশাসনের ছাপ।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা ছাড়েননি কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, জানাল সরকার

    গত ৭০ বছর ধরে কার্যত বঞ্চনার শিকার হয়েছিল উপত্যকা। এখন অবশ্য সে ছবি বদলে গিয়েছে বেবাক। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এসইএইচএটি স্কিমের সুযোগও পাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ফি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাচ্ছেন কাশ্মীরবাসী।

    কেবল সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের ছবি নজরে পড়ছে অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই ১২০০ স্টার্টআপ রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে। এর মধ্যে ফান্ডিং করে ফেলেছে ২০০। উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকার নয়া প্রোজেক্টও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ফি বছর আট থেকে ন হাজার প্রজেক্ট কমপ্লিট হত। এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজারের ওপর। যা প্রমাণ করে সরকারি কাজে গতি এসেছে, এসেছে স্বচ্ছতাও। উন্নয়নের গতি নজরে পড়ে অন্যত্রও। আগে যেখানে প্রতিদিন ছ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হত, এখন সেখানে তৈরি হয় ২০ কিলোমিটার। ব্যবসা করার জন্য দুশোরও বেশি প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিরন্তর চেষ্টায় উপত্যকায় যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলেছে, তার উদাহরণ রয়েছে আরও। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার কোটি লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে শিল্প দফতর। শিলান্যাস হয়েছে ৩৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হয়েছে এই শিলান্যাস। ভূস্বর্গের বাস্তুতন্ত্রের কথাও মাথায় রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে উপত্যকায় ব্যাপক দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পে উৎসাহ দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটভাটা, স্টোন ক্র্যাশার এবং আয়রণ ও স্টিল প্ল্যান্ট।

    ৩৭০ ধারা রদের পরে এভাবেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ!

     

  • GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে ভারতের জিএসটি (GST) সংগ্রহ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পণ্য এবং পরিষেবা করের কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গতমাসে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম মাসে বৃদ্ধি অব্যহত। আগের বছরের জুলাই মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাসে ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ।  

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

     
    ₹1,48,995 crore gross GST revenue collected in the month of July 2022

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১১, ৬৩৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া এক মাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর আদায়ের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে মোট জিএসটি সংগ্রহে কেন্দ্রীয় জিএসটির অবদান ছিল ২৫৭৫১ কোটি টাকা৷   

    রাজ্য জিএসটির অবদান ছিল ৩২,৮০৭ কোটি টাকা এবং ইন্ট্রা জিএসটির অবদান ছিল ৭৯,৫১৮ কোটি টাকা৷ এছাড়া ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে মোট ১০,৯২০ কোটি টাকা এসেছে।   

    ৭৯,৫১৮ কোটি টাকার আইজিএসটিএ আমদানির ফলে ৪১,৪২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে ১০,৯২০ কোটি টাকার মধ্যে সেস আমদানির ফলে এসেছে ৯৯৫ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আজ থেকে লাগু হয়েছে জিএসটির নতুন রেট, কোন খাতে বাড়ল খরচ?

    গত পাঁচ মাসে জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের কর আদায়। গত মাসে সরকার আমদানি কমাতে বেশ কিছু কর আরোপ করেছে কেন্দ্র সরকার। এতে যে দেশের অর্থনীতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তা জিএসটির এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। 

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হবে। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হবে। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল। 

  • National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্রের অফিসে হানা ইডির (ED)। এদিন দিল্লির (Delhi) আরও ১১টি জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি (National Herald Scam) মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)  ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। এবার ওই মামলায় ইডি হানা দিল দিল্লিরই ১২টা জায়গায়।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোনিয়ার কাছে মূলত তিনটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে ন্যাশনাল হেরাল্ড অধিগ্রহণের সময় সোনিয়া ও কংগ্রেস নেতারা কাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন? দ্বিতীয়ত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া। ন্যাশনাল হেরাল্ডের পাওনাদারদের বকেয়া মেটাতে হবে, এটা কী তিনি জানতেন না? তৃতীয়ত, অধিগ্রহণের পর কীভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বিলি করা হয়েছিল?

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ইডির এক আধিকারিক জানান, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এদিন তল্লাশি চালানো হয়। অতিরিক্ত তথ্য জোগাড় করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এদিন তল্লাশির সময় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ উত্তর রেড্ডি বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

  • Coochbehar Accident: পিক-আপ ভ্যানে শর্ট-সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোচবিহারে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

    Coochbehar Accident: পিক-আপ ভ্যানে শর্ট-সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোচবিহারে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিক-আপ ভ্যানে বাজছিল ডিজে। পাশেই ছিল জেনারেটর। কখন যে তাতে শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে, তা টেরই পাননি কেউ। তাতেই ঘটল বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। 

    রবিবার গভীর রাতে চ্যাংরাবান্ধায় (Changrabandha) ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে প্রায় ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী একটি পিক-আপ ভ্যানে চেপে জল্পেশের দিকে যাচ্ছিলেন। চ্যাংরাবান্ধার ধরলা সেতু পার হওয়ার পর  ময়নাগুড়ি-মাথাভাঙা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জেনারেটর থেকে সেই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয় বলে জানান কয়েকজন পুণ্যার্থী। আহত এক পুণ্যার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা গাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে ডিজে বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জেনারেটর থেকে গাড়িটিতে শর্টসার্কিট হয়ে যায়। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন। চালক অসুস্থদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

    আরও পড়ুন: গাড়ি ভর্তি টাকা! হাওড়ায় আটক ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত

    জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ ৩৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনার পরই ৭ জন অন্য গাড়িতে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ১৪ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে রাতে চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে যান মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিত পাল চৌধুরী, ওসি রাহুল তালুকদার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।

    মৃতদের বাড়ি শীতলকুচিতে। ঘটনার জেরে এলাকায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির ছেলেকে আর ফিরে পাবেন না ভাবতেই পারছেন না মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কোন গাফিলতিতে অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

    প্রশ্ন উঠছে গাড়িতে এমনিতেই ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। তার ওপরে জেনারেটর সেট গাড়িতে রাখা হয়েছে যেটা অত্যন্ত বিপদজনক। এছাড়াও গাড়িতে ডিজের অপারেটর থাকলেও জেনারেটর সেটের কোনও অপারেটর ছিলেন না। যাঁরা গাড়িতে ছিলেন তাঁরাও জেনারেটর পরিচালনায় দক্ষ নন। ফলে জলে ভিজে  কি বিপদ হতে পারে তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না গাড়িতে সওয়ার যাত্রীদের। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবার মেখলিগঞ্জে যান পুলিশের ডিআইজি সি সুধাকর। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী।

    আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

LinkedIn
Share