Blog

  • 5G Network: ৫-জি-এর অপেক্ষা শেষ, আজই শুরু স্পেকট্রাম নিলামের প্রক্রিয়া

    5G Network: ৫-জি-এর অপেক্ষা শেষ, আজই শুরু স্পেকট্রাম নিলামের প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ৫-জি পরিষেবা। আজ থেকেই অর্থাৎ ২৬ জুলাই থেকে ৫-জি স্পেকট্রাম নিলাম করা শুরু হবে। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যাতে ফাইভ-জি মোবাইল পরিষেবা শুরু করতে পারে, তাই ৫-জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হচ্ছে। ৪ জি নেটওয়ার্কের থেকে দশগুণ বেশি ইন্টারনেটের গতি হবে ৫-জি নেটওয়ার্কে। আজ বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলি নিলামে অংশগ্রহণ করবে বলে, এইদিকেই আজ জনগণের নজর।

    সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫-জি প্রযুক্তির নেটওয়ার্কের গতি, ৪-জি নেটওয়ার্কের থেকে ১০ গুণ ও ৩-জি নেটওয়ার্কের থেকে ৩০ গুণ বেশি। অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে ৫-জি পরিষেবা চালু করার লক্ষ্য করেছে কেন্দ্র। আজ নিলাম শুরু হলে আগামী ২০ বছরের জন্য সেই সংস্থাকে ৫জি স্পেকট্রামের দায়িত্ব দেওয়া হবে। যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে ফাইভ জি পরিষেবা চালু হতে চলেছে। স্পেকট্রাম নিলাম প্রক্রিয়া মিটলেই বাকি কাজ দ্রুতগতিতে মিটবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেশের পাঁচটি শহর থেকে প্রথম চালু হচ্ছে সরকারের ই-কমার্স সেক্টর

    জিও (Jio), এয়ারটেল (Airtel) ও ভোডাফোন-আইডিয়ার (Vodafone-Idea) মতো টেলিকম সংস্থাগুলি, আদানি গ্রুপ (Adani Group) স্পেকট্রাম নিলামের বিডিং প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করবে। এই সংস্থাগুলি মোট ২১,৪০০ কোটি টাকা জমা করেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম সংস্থা রিল্যায়েন্স জিও-এর তরফে ১৪০০০ কোটি দেওয়া হয়েছে। এয়ারটেল ৫৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। আবার আদানি গ্রুপ ১০০ কোটি এর জন্য দিয়েছে। ভোডাফোন দিয়েছে ২২০০ কোটি। সুতরাং বিডারদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে রিল্যায়েন্স জিও গ্রুপ।

    তবে অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঠিক করে দেওয়া এই ডেডলাইনের মধ্যে স্পেকট্রাম নিলাম কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল টেলিকম সংস্থায়। কারণ ৫-জি স্পেকট্রামের ‘অত্যধিক দাম’ বলে বারেবারেই অভিযোগ করেছে দেশের টেলিকম সংস্থাগুলি। পরিষেবা প্রথমে বড় শহর যেমন,  দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ পাবে। প্রসঙ্গত আগে ৩-জি তে কোনও কিছু ডাউনলোড করতে গেলে যেখানে ২ ঘন্টা ও ৪-জি তে ৪০ মিনিট লাগত, সেখানে ৫-জি তে মাত্র ৩৫ সেকেন্ড লাগবে।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

  • Monkey Pox: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তিনজন বর্তমানে সুস্থ, জানালেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    Monkey Pox: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তিনজন বর্তমানে সুস্থ, জানালেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona) আবহের মধ্যেই যখন নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox) মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, তখন কেরল (Kerala) থেকে একটি খবর পাওয়া গেল। যা শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সাধারণ মানুষ। কেরলে যে তিনজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা তিনজনই বর্তমানে রোগমুক্ত ও সুস্থ। এমনটাই জানালেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ (Veena George)। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ভাইরাস নিয়ে আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ রাজ্যে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগীর হদিশ আর পাওয়া যায়নি।

    মাঙ্কি পক্সের ফলে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল তা এই খবর সামনে আসতেই কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও কেরলের পর গতকালেই রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) থাবা বসিয়েছে মাঙ্কিপক্স। সেখানে এক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল যিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি কখনও বিদেশে যাননি। ফলে আরও উদ্বেগ বেড়েছে। কেরলে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের তিনজনই বিদেশ ফেরত ছিলেন।

    আরও পড়ুন: দেশে চতুর্থ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ, এবার দিল্লিতে

    ইতিমধ্যেই গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলে ঘোষণা করলেও কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সেখানে এখনও মাঙ্কিপক্স সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েনি। তাই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই এবং রাজ্যও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্ক হতে বলেছেন। বিমানবন্দরেও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং কারোর কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁকে টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছে।

    বীণা জর্জ আজ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতার কথা বলতে গিয়ে বলেন মাঙ্কিপক্স নিয়ে তেমন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা সংক্রামক হলেও মারণ নয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে করোনার মতোই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে মাঙ্কিপক্স, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

     

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বাড়ি ছিল মিনি ব্যাঙ্ক। সেখানে টাকা জমা করে রাখা হত। কিন্তু সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না তাঁর। ইডির জেরায় এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডির জেরায় একথা জানান পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে টাকা রাখা থাকলেও, সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদেরই ছিল। আমার ফ্ল্যাটের একটি ঘরে থাকত ওই সমস্ত টাকা। কিন্তু ওই ঘরে প্রবেশের অধিকার আমার ছিল না।”

    ইডি সূত্রে খবর, ক্রমশ মুখ খুলছেন অর্পিতা। একে একে ইডি আধিকারিকদের তথ্য দিতে শুরু করেছেন তিনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। অর্পিতা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা। এক বাঙালি অভিনেতার মারফত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের হাতে কখনওই কোনও টাকা ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেননি। সমস্ত টাকাই আসত তাঁর সঙ্গী-সাথীদের মারফত।

    আরও পড়ুন: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    জানা গিয়েছে, অর্পিতার আইনজীবী এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই আগামী শুনানিতে তাঁর জামিনের জন্য লড়াইয়ে নামবেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। ইডির আধিকারিকরা অর্পিতার বাড়ি থেকে একটি কালো ডাইরিও উদ্ধার করেছেন। ওই ডাইরিতে কী রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ওই ডায়েরিতেই দুর্নীতির টাকার বিস্তারিত হিসাব লিখে রাখতেন অর্পিতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই টাকা এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার টাকা এবং এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এরপরেই পার্থ এবং অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আপাতত ৩ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁরা দুজনেই ইডির হেফাজতে থাকবেন। 

  • Yashwant Sinha: তৃণমূলে ফিরছেন না, নির্দল হয়েই থাকতে চান ‘হেরো’ যশবন্ত!

    Yashwant Sinha: তৃণমূলে ফিরছেন না, নির্দল হয়েই থাকতে চান ‘হেরো’ যশবন্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করব না। সাফ জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential polls) পরাজিত প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি যে নির্দল (Independent) হিসেবে থাকতে চান, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যশবন্ত।   

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর বাজি ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী হন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য বিরোধীরা প্রথমে যে কটি নাম নিয়ে ভেবেছিলেন, সেখানে যশবন্তের ঠাঁই হয়নি। তাঁরা এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ত্রয়ী রাজি না হওয়ায়ই শিকে ছেঁড়ে যশবন্তের ভাগ্যে। তবে দ্রৌপদীর কাছে বিপুল ভোটে পরাস্ত হন এই প্রবীণ রাজনীতিক।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, তৃণমূলে ফিরছেন যশবন্ত। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যশবন্ত, তবে তিনি জোড়াফুল শিবিরে ফিরছেন না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। যশবন্ত স্বয়ং বলেন, আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, আমিও কারও সঙ্গে বলিনি। তিনি বলেন, আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করব না। আজীবন নির্দল হিসেবেই থাকব।

    বিজেপি ছেড়ে যশবন্ত তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। পরে তাঁকে দলের সহ সভাপতি করা হয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন যশবন্ত। বলেছিলেন, বাংলাই আগামিদিনের পথ প্রদর্শক হবে। ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেও বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই দূর থেকে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতেই তৃণমূলে যোগদান। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেন প্রবীণ রাজনীতিক যশবন্ত। বলেন, মোদি শাহের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। বাজপেয়ী জমানার বিজেপির সঙ্গে যে এখনকার বিজেপির আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যশবন্ত।

    দ্রৌপদীর কাছে পরাজয়ই কি যশবন্তকে ঠেলে দিল  রাজনৈতিক সন্ন্যাসের পথে?

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপেও এবার বানাতে পারবেন নিজের ‘ডিজিটাল অবতার’, শীঘ্রই আসতে চলেছে এই ফিচার

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপেও এবার বানাতে পারবেন নিজের ‘ডিজিটাল অবতার’, শীঘ্রই আসতে চলেছে এই ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন ফিচার হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)! জানা গিয়েছে এবারে ‘অবতার’ (Avatar) সেকশনের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এরকম নিজের অবতার বানানো যায় ফেসবুক (Facebook), স্ন্যাপচ্যাটে (Snapchat)। এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও এই মজাদার ফিচারটি আসতে চলেছে। বর্তমানে এই অবতার বানানোর ট্রেন্ডটি তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ইউজারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায়শই একাধিক ফিচার যুক্ত করে থাকে। এর মধ্যে অনেক ফিচার বেশ মজাদারও হয়। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে, মেটা (Meta) মালিকানাধীন কোম্পানিটি এবার আনতে চলেছে ডিজিটাল অবতার ফিচার। এছাড়াও আরও জানা গিয়েছে এই ফিচারে ভিডিও কলের সময় অবতারের ছবিটি মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে ব্যবহারকারীরা। এবং পরে এটিকে স্টিকার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে আপডেটের মাধ্যমে এই ফিচার মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডিলিট করা মেসেজও পড়া যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! এই নয়া ফিচার সম্পর্কে জানেন কী?

    সেকশনটিকে ইতিমধ্যেই সংস্থার অ্যান্ড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২২.১৬.১১-এ দেখা গেছে যা গুগল প্লে (Google Play) বিটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপলব্ধ। এই ফিচারটি যুক্ত করা হলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের অবতার তৈরি এবং কাস্টমাইজ করার পাশাপাশি সেগুলিকে স্টিকার হিসেবে ও ভিডিও কলে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। জানা গিয়েছে এখনও ফিচারটি ডেভেলপমেন্টের পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি এখনও বিটা টেস্টারদের জন্যও উপলব্ধ হয়নি ফিচারটি। এই ফিচারটি হোয়াটসঅ্যাপের জন্য একেবারেই নতুন। তাই এটি হোয়াটসঅ্যাপে অন্তর্ভুক্ত হতে প্রায় অনেকটাই সময় লেগে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে একাধিক নতুন নতুন ফিচারের ওপর কাজ করে চলেছে। অ্যাপটিকে আরও আকর্ষিত করার জন্যে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা একের পর এক বৈশিষ্ট যোগ করছে। এছাড়াও এটি ইউজারদের নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। তাই তো হেয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তবে এবারের ফিচারটি একেবারে নতুন, তাই ইউজাররা এই ফিচার ব্যবহার করার জন্যে যথেষ্ট উৎসুক।  

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসে এবারে শেয়ার করুন ‘ভয়েস নোট’, নতুন ফিচার লঞ্চ সংস্থার

     

     

     

  • Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। অথচ এখনও সম্প্রসারণ হয়নি মন্ত্রিসভার। শেষমেশ এবার সম্প্রসারিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন শিন্ডে শিবিরের ১৫-১৬ জন মন্ত্রী। বাকি আসন ভাগ হবে বিজেপি (BJP) এবং নির্দলদের মধ্যে।

    শিবসেনা (Shiv Sena) , কংগ্রেস (Congress) এবং এনসিপিকে (NCP) নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে উদ্ধরের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে শিন্ডের। অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান একনাথ। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন একনাথ। এর পরেই আসল শিবসেনা কে, তা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় উদ্ধব-শিন্ডে শিবিরের। শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক পেতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিন্ডে শিবির। আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয় উদ্ধব শিবিরের পক্ষ থেকে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    ইতিমধ্যেই গড়িয়ে গিয়েছে এক মাসের কাছাকাছি। এখন সম্প্রসারিত হয়নি শিন্ডে মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা সর্বাধিক মন্ত্রী হতে পারবেন ৪২ জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফাঁকা রয়েছে মন্ত্রিসভার ৪০টি আসন। জানা গিয়েছে, শিবসেনা থেকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন ১৫-১৬ জন। এঁদের মধ্যে যে ন’ জন মন্ত্রী বিদ্রোহের শুরু থেকেই শিবসেনার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই জায়গা পেতে পারেন নয়া মন্ত্রিসভায়। এই ন’ জনের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন পূর্ণমন্ত্রী, বাকি চারজন প্রতিমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    জানা গিয়েছে, ৬৫-৩৫ ফর্মুলায় বিলি হবে মন্ত্রীদের দফতর। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পাবে বিজেপি, বাকিটা শিবসেনার। এই সূত্র অনুযায়ী, শিন্ডে মন্ত্রিসভায় বিজেপি পেতে পারে ২৪-২৫টি আসন। আর ১৫-১৬টা পাবে শিন্ডে শিবির। কয়েকটি ছোট দল এবং কয়েকজন নির্দলেরও ঠাঁই হতে পারে মন্ত্রিসভায়।

     

  • Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-ই সন্তানের একমাত্র স্বাভাবিক অভিভাবক (Natural Guardian)। তাই সন্তানের পদবি (Surname) কী হবে তা ঠিক করার অধিকার মায়ের আছে। এমনই যুগান্তকারী রায় দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায়ে উঠে আসে কোনও মহিলার দ্বিতীয় বিবাহের প্রসঙ্গ। বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় জানায়, “একজন মহিলা দ্বিতীয় বিবাহের পরে যদি তাঁর প্রথম বিবাহের সন্তানকে দ্বিতীয় স্বামীর পদবি দিতে চান, তাহলে তা তিনি করতেই পারেন। পদবি শুধু মাত্র কোন বংশের ইঙ্গিত নয়, এর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি শিশুদের অনুভূতির সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে।”

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন? 

    শীর্ষ আদালত এও জানায়, “দ্বিতীয় স্বামীর নাম সন্তানের সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করার উচ্চ আদালতের রায় নিষ্ঠুর। এতে শিশু মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।” 

    উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের অন্ধপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়। যেখানে বাবার পদবি যেন শিশু ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে মামলা করেছিল এক মহিলার প্রথম স্বামীর পরিবার। ওই মহিলার প্রথম স্বামী ২০০৬ সালে মারা যান। তখন তাঁর সন্তানের বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ২০০৭ সালে। কিন্তু ওই শিশুটির জৈবিক পিতার পরিবারের তরফ থেকে আদালতে আবেদন করা হয় যেন শিশুটি তার জৈবিক পিতার পদবি ব্যবহার করে। আদালত রায় দেয়, “ওই শিশুটির পিতার নামের জায়গায় তার জৈবিক পিতার নাম লিখতে হবে।  আর তা না করলে ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত   

    তখন শিশুটির মা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের শিশুটির সৎ বাবা শিশুটিকে দত্তক নেন। এবার এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট  জানায়, “একজন সৎ বাবা হিসেবে ওই মহিলার স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার হাইকোর্টের এই রায় নিষ্ঠুর। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু মা সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক। তাই এক্ষেত্রে তিনিই ঠিক করবেন তাঁর সন্তান কোন পদবি নেবেন।”   

  • Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে একই সময় পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতে পাঠানো হল তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। 

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া প্রায় নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা। এরপরই, এই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে পার্থ ও অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। ইডি-র মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, বেআইনি নিয়োগের এই দুর্নীতি-চক্রে বহু প্রভাবশালীই জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।

    ফলে, তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে পার্থর আবেদন খারিজ করেন বিচারক। মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। শুনানির সময় আদালতের লক-আপেই ছিলেন অর্পিতা। রায় বেরনোর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইডি লক-আপে রাখা হয় অর্পিতাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS Bhubaneswar) যাওয়া পার্থকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। এদিনই, ভুবনেশ্বর এইমসে যাওয়া পার্থকে ‘ফিট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর যা সমস্যা রয়েছে তা ক্রনিক। যে ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই কারণ, ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়। 

    হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পার্থকে আজই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় বিশেষ আদালতের রায় বের হতে দেরি হওয়ায়, রাতে ভুবনেশ্বরেই থাকতে হয় পার্থকে। মঙ্গলবার, ভোরের বিমানে করে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থ-র বিমান। 

  • MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা (Navy)। এবার সমুদ্রে চিন ও পাকিস্তানকে (China and Pakistan) টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেল নৌসেনা। প্রতিরক্ষা ক্ষত্রে আরও একধাপ এগিয়ে  সাবমেরিন ধ্বংসকারী MH-60R হেলিকপ্টার এসে গেল ভারতে। দুটি এমএইচ ৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) থেকে ভারতে এল। ভারতের নৌসেনায় যে ২৪ টি হেলিকপ্টার সংযোজনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই হেলিকপ্টারগুলি তার মধ্যে অন্যতম। এই চপারগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সি সেভেন্টিন হেভিলিফ্ট এয়ারক্রাফ্ট থেকে উড়ে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিক্রান্ত হাতে পেল নৌসেনা! জানুন কবে থেকে কাজ করবে এই রণতরী

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে ২৪ টি লকহিড মার্টিন (Lockheed Martin-Sikorsky) এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতীয় নৌসেনায় অ্যান্টি সাবমেরিন ও অ্যান্টি সারফেস যুদ্ধে (anti-submarine/anti-surface warfare) এই বিশেষ চপার কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে। সমুদ্রের যত গভীরেই শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ঘাপটি মেরে থাকুক না কেন, সেগুলিকে খুঁজে বার করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলি। এই নয়া হেলিকপ্টারগুলি ব্যাবহার করে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রথম তিনটি এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টার নৌসেনার কর্মীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপর ৩ টি হেলিকপ্টার কোচিতে এসে পৌঁছনোর কথা। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুটি হেলকপ্টার ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। এরপর পরবর্তী হেলিকপ্টার ২২ অগাস্ট ভারতে আসার কথা। জানা গিয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৪ টি হেলিকপ্টারের মধ্যে আরও যে বাকি  হেলিকপ্টারগুলি রয়েছে সেগুলি ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে এসে পৌঁছবে। 

LinkedIn
Share