Blog

  • Horoscope Today, 27 May 2022: আজ প্রেমে শুভ কোন কোন রাশির? দেখুন আজকের রাশিফল

    Horoscope Today, 27 May 2022: আজ প্রেমে শুভ কোন কোন রাশির? দেখুন আজকের রাশিফল

    মেষ: আজ পরিশ্রমের কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারেন। বেশ কিছু কঠিন কাজ করতে হতে পারে। প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। হেরে যাবেন না। ক্ষুদ্র ব্যবসায় আজকে লাভ আসতে পারে। আজকে অনেকের থেকেই আনন্দ পেতে পারেন। 

    বৃষ: আজ আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে। অর্থভাগ্য ভাল হলেও পরিশ্রম থাকবে প্রচুর। প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য থাকতে পারে। কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে। রাগ বা জেদের কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    মিথুন: পড়াশোনার জন্য সুযোগ মিলতে পারে। পাওনা অর্থ আদায়ে দেরি হতে পারে। কোনও উপহার পেতে পারেন। শারীরিক কষ্ট বাড়তে পারে। স্ত্রীর জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি। বাড়তি খরচ হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

    কর্কট: আজ বাড়িতে কোনও খারাপ খবর আসতে পারে। সংসারের কোনও বিবাদ কাজের প্রতি অনীহা আনতে পারে। প্রেমের জন্য বড়দের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে। পিতার সঙ্গে কোনও বিশেষ আলোচনা হতে পারে। শত্রুর ব্যাপারে সাবধান থাকুন। 

    সিংহ: আজ ব্যবসায় বাধা আসতে পারে। দুপুরের পরে বাড়তি কোনও ব্যবসায় ভাল খবর পেতে পারেন। পূজা-পাঠের জন্য খরচ বাড়তে পারে। কোনও লোকের উপকার করতে গিয়ে সুনাম পাওয়ার সম্ভাবনা। সন্তানের কোনও কাজের জন্য আনন্দ লাভ হতে পারে। আঘাত থেকে সাবধান।

    কন্যা: আজ কোনও কাজের জন্য মানসিক চঞ্চলতা বাড়তে পারে। পড়াশোনার জন্য ভাল সুবিধা পেতে পারেন। বিবাহ ব্যাপারে কোনও যোগাযোগ আজ না করাই ভাল হতে পারে। ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে। বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে। 

    তুলা: আজ আজ কোনও প্রতিভার জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেন। কর্মস্থানে কোনও মহিলার সঙ্গে পরিচয় হতে পারে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। ব্যবসার বিষয়ে দুর্ভাবনা না করাই ভাল। ব্যয় বৃদ্ধির যোগ। পিতা-মাতার সঙ্গে তর্কের সম্ভাবনা। 

    বৃশ্চিক: আজ কোনও নিকটজনের ফাঁদে পড়তে পারেন। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। খাদ্যের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে শারীরিক অসুস্থতার যোগ। ব্যবসায় মনোবল থাকলে বাধা কাটার সম্ভাবনা। চঞ্চল মনোভাবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সম্ভাবনা। 

    ধনু: আজ প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারে। সংসারে সুখ ফিরতে পারে। পরিশ্রম সত্ত্বেও সংসারে অভাব অনটন থাকবে। যানবাহন চলাচল খুব সাবধানে করতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। 

    মকর: আজ অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা বাড়ার সম্ভাবনা। মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা না দেওয়াই ভাল। ঋণ ফেরত পাবেন, কিন্তু তার জন্য বেগ পেতে হবে। বিপদে আত্মরক্ষা নিজেকেই করতে হবে।

    কুম্ভ: আজ পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে দিনটি খুব শুভ হতে পারে। আজ বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটতে পারে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য সংসারে অবহেলা বা অশান্তি হতে পারে। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। মা বা বাবার শরীর নিয়ে বিশেষ চিন্তা বাড়তে পারে।

    মীন: আজ চাকরির ক্ষেত্রে সুখবর আসতে পারে। সংসারে অশান্তি মিটে যেতে পারে। আজ কারও কাছে অপদস্থ হতে পারেন। ভাল কাজের পরিবর্তে উপহাস জুটতে পারে। কর্মস্থলে সমস্যা মিটে যেতে পারে। আজ বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

  • Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত জনপ্রিয়তা কমছে পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সরকারের। কংগ্রেসকে হারিয়ে তিন মাসেরও কম সময়ে পঞ্জাবের (Punjab) ক্ষমতায় এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। তার পরেই নানা কারণে দলের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনের পর যা বিশাল আকার ধারণ করেছে।

    দিনকয়েক আগে খুন হন সিধু। তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করে মনপ্রীত সিং নামে একজনকে। মাদক পাচারকারী মনপ্রীতের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচার, খুনের চেষ্টার অভিযোগ, গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন :আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মনপ্রীতকে গ্রেফতার করা হলেও জনতার ক্ষোভের আঁচ নেভেনি একটুও। তার কারণ ভগবান মানের (Bhagwan Mann)  সরকার। মাস তিনেক আগে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে পঞ্জাবের কুর্সিতে বসে আম আদমি পার্টি। বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির বাইরে প্রথম পঞ্জাবে পা রাখে তারা। সরকার হয় ভগবান মানের নেতৃত্বে।

    কুর্সিতে বসেই ভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন মান। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে লাভ হবে দু’দিক থেকে। এক, ভিআইপিদের নিরাপত্তায় অকারণে টাকা খরচ করতে হবে না। দুই, ওই পুলিশ কর্মীদের লাগানো যাবে প্রশাসনিক কাজে। ভিআইপি নয়, পুলিশ সেবা করবে আম আদমির। সেই মতো সিধু সহ ৪২৪ জন ভিআইপির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে মান সরকার। সিদ্ধান্তের ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই খুন হন সিধু। তার পরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে পঞ্জাবজুড়ে। সরকারের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তরুণরা। সাধারণ মানুষেরও বক্তব্য, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে মান সরকার।

    পঞ্জাবে বিশেষত তরুণ সমাজের কাছে সিধুর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাই আপ বিধায়ক, কর্মী এবং সরকারি কর্মীরা যাতে সিধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ না দেন, সে ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কারণ তাঁরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

    আরও পড়ুন : সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    এদিকে সিধু খুনে এনআইএ (NIA) কিংবা সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস। বুধবার পঞ্জাব কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানায়।প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। মান যে সরকার চালাতে ব্যর্থ, এদিন তা দাবি করেছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও। তাঁরা বলেন, ভগবন্ত মান কেবল অযোগ্যই নন, পঞ্জাবে কি ঘটছে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি কাজ করছেন দিল্লির নির্দেশে।

     

     

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলার (gyanvapi case) পরবর্তী শুনানি হবে ৪ জুলাই। বিচারপ্রার্থীরা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে ৮০ বছরের পুরনো একটি মামলার রায়কে হাতিয়ার করছেন। ১৯৪২ সালে ওই রায়ে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বাদী ও বিবাদী— দু’পক্ষই তাদের নিজ নিজ যুক্তি সমর্থনে ওই রায়ের বিভিন্ন অংশকে তুলে ধরছেন।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরের বাইরের দেওয়ালে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে আবেদন করেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। তাঁদের দাবি, ১৯৩৭ সালে সাক্ষীদের বক্তব্য প্রমাণ করে যে বিতর্কিত প্রাঙ্গণে হিন্দু দেবতার মূর্তি পুজো করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন : “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    জ্ঞানবাপী মসজিদটি পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। এই কমিটি মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের যুক্তি, আদালত ঘোষণা করেছে যে মসজিদটি যে জমিতে গড়ে উঠেছে, সেটি ওয়াকফ সম্পত্তি। ‘রাখি সিং বনাম উত্তরপ্রদেশ’ দেওয়ানি মামলায় ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে আদালত বলেছে যে মসজিদের সম্পত্তিটি ওয়াকফ সম্পত্তি নয়।

    মামলাকারীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) নির্দেশেই ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও মুসলিমপক্ষের দাবি, ওই জায়গায় মসজিদ ছিল অনেক আগে থেকেই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    বর্তমান দেওয়ানি মামলায় আবেদনকারীরা ন’টি বিবৃতি তালিকাভুক্ত করেছেন। তারই একটি হল, ১৯৩৭ সালে দায়ের হওয়া “দীন মহম্মদ ও অন্যান্য বনাম সেক্রেটারি অফ স্টেট” মামলা। বর্তমান আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ১৯৩৭ সালে মামলার সাক্ষীরা প্রমাণ করেছেন যে মা শৃঙ্গার গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান এবং দৃশ্যমান ও অদৃশ্য দেবতার ছবি এবং প্রতিদিনের পুজোর অনুষ্ঠান হত একই জায়গায়।

    তাঁদের আরও যুক্তি, এই বিবৃতি মুসলিমদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। কিন্তু, হাইকোর্ট ১৯৪২ সালের রায়ে বলেছিল, যে কিছু সাক্ষী শ্রদ্ধেয় ছিলেন অবশ্যই। কিন্তু, তাঁদের নির্দিষ্ট অভিপ্রায় ছিল। উপরন্তু, তাঁরা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেননি।

    অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, সাক্ষীদের ব্যক্তিগত বক্তব্যের ওপর এখন নির্ভর করা যায় না। পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি ছিল, মসজিদ চত্বরও যে জমিতে রয়েছে সেটিও ওয়াকফ সম্পত্তি। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই যুক্তিও খারিজ করে দিয়েছিল।

    ১৯৪২ সালের ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিভিল জজ এই মসজিদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছেন এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। যে মন্দির সপ্তদশ শতাব্দীতে ভেঙে দিয়েছিলেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব। তাই মসজিদের উৎপত্তির প্রশ্নে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। 

  • Asia Cup Hockey 2022: মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেও এশিয়া কাপ হকি ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত

    Asia Cup Hockey 2022: মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেও এশিয়া কাপ হকি ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022) হকিতে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে (Ind vs Mas) ৩-৩ ব্যবধানে ম্যাচ ড্র করল ভারত (India)। এশিয়া কাপ হকির সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে আটকে গেল ভারত। অল্পের জন্য সরাসরি ফাইনালে পৌঁছতে পারল না টিম ইন্ডিয়া।

    তবে শনিবার সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়ে জাপানকে পরাজিত করে ভারত।জাপানের কাছে একবার পরাজিত হওয়ার পর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে তাদের থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যেন হারের যোগ্য জবাব দেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে আটকে গেল ভারত।

    এদিন ম্যাচের ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ভারত লিডে ছিল। কিন্তু মালয়েশিয়ার প্লেয়ার রাজি রহিম শেষ মুহূর্তে গোল করে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করে। প্রথম কোয়ার্টার থেকেই ভারত পিছিয়েছিল। কোনও গোলই করতে পারেনি ভারত। অন্যদিকে ১২ মিনিটে গোল করেন রহিম। ছ’মিনিটে একটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল মালয়েশিয়া। রহিম ১২, ২১ ও ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার পেয়েছিল। অন্যদিকে ভারত দুটি গোল খেয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ১৬-০! ইন্দোনেশিয়াকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ হকির ‘সুপার ৪’-এ ভারত

    দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে ফের গোল করে মালয়েশিয়া। এবারও পেনাল্টি কর্নার থেকে দলকে এগিয়ে দেন রহিম। ভারত দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও গোল করতে পারেনি। পেনাল্টি কর্ণার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ভারত।

    এরপর তৃতীয় কোয়ার্টারের ৩২ মিনিটে বিষ্ণুকান্ত সিংহের গোলে এগিয়ে আসে ভারতীয় দল। এরপর ৩৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল মিস করে ভারত। তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ভারত।

    এরপর চতুর্থ কোয়ার্টারে এসভি সুনীল ৫৩ মিনিটে গোল করেন। ২ মিনিট পর নিলাম সঞ্জীপ ৫৫ মিনিটে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, খেলা শেষের ঠিক তিন মিনিট আগে গোল করে ভারতের বিরুদ্ধে সমতা ফেরায় মালয়েশিয়া।

    আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া ইমামির, নাখুশ সমর্থকদের একাংশ

    মঙ্গলবার সুপার ফোরের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে ভারতকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে।প্রসঙ্গত, সুপার ফোরের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া জাপানকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে এবং প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া মালয়েশিয়ার সাথে ২-২ এ ড্র করেছে। বেশি গোলের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সুপার ফোর তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।

  • Agartala Kolkata bus service: দুবছর পর ফের চালু হচ্ছে আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা বাস পরিষেবা, কবে থেকে? জেনে নিন

    Agartala Kolkata bus service: দুবছর পর ফের চালু হচ্ছে আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা বাস পরিষেবা, কবে থেকে? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চালু হচ্ছে ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা বাস পরিষেবা (Agartala Kolkata bus service)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ত্রিপুরা (Tripura) সরকার। করোনার জন্যে দু’বছর বন্ধ ছিল এই বাস পরিষেবা। আগামী ১০ জুন ফের তা চালু হচ্ছে। 

    গত ২৮ এপ্রিল মাস থেকে এই বাস পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, যান্ত্রিক কিছু ত্রুটির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”আগামী ১ জুন থেকে কৃষ্ণনগরে ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট মিলবে। যাত্রীদের বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকতে হবে।” আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা (Agartala To Kolkata via Dhaka) বাস পরিষেবার জন্য যাত্রীপিছু ভাড়া লাগবে ২৩০০ টাকা। এর মধ্যে ট্র্যাভেলিং ট্যাক্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ত্রিপুরা থেকে ঢাকার ভাড়া ১০০০ টাকা। 

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    টিআরডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ কুমার দাস জানান, “এই রুটে বাস চালানোর জন্য দুই দেশের যে অনুমোদন দরকার তা পাওয়া গিয়েছে। এই বাস চালুর জন্য সীমান্তে শুল্ক ও অন্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। তাই এবার আর বাস চলাচল শুরু হতে কোনও সমস্যা হবে না।” 

    এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা পুনরায় চালু করার প্রস্তাব জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক এবং সেদেশে ভারতীয় হাইকমিশনকে (Indian High commission in Bangladesh) চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং। অন্যদিকে, সীমান্তে বাস পরিষেবা চালু করার জন্য নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) যুগ্ম সচিবের কাছে একটি পৃথক চিঠি লেখেন রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব এস চৌধুরীও।  

    আরও পড়ুন: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    এই আন্তর্জাতিক বাস চলাচল শুরু হলে লাভবান হবেন ত্রিপুরাবাসীরা। কলকাতায় আসতে হবে অনেক বেশি বিমানের ভাড়া গুনতে হয় তাঁদের। অন্যদিকে, আসামে ধসের কারণে অনেকগুলি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে বা তাদের রুট বদলানো হয়েছে। আগরতলা থেকে ওই বাসে ঢাকা হয়ে কলকাতা আসতে সময় লাগবে প্রায় ১৯ ঘণ্টা। এই দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলমিটার। কিন্তু গুয়াহাটি হয়ে ঘুরে আসতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা। অর্থাৎ এই পরিষেবা চালু হলে প্রায় অর্ধেক সময় লাগবে। অতিমারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করা হয় এই পরিষেবা।

     

        

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর!

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) দফায় দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তে ময়দানে নামতে চলেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। ফলে, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও যে বাড়তে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    কিন্তু, ইডি কেন তদন্ত করছে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত। তা হল, এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা কার কার কাছে পৌঁছেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় সিবিআই (CBI) দফতরে ইমেল করা হয়। তাতে সিবিআইয়ের কাছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দায়ের করা ৪টি এফআইআরের কপি ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা যা উঠে এসেছে তা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট আকারে চেয়েছে ইডি। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। ইতিমধ্যেই, দুই মন্ত্রী এবং এসএসসি-র নিয়োগ কমিটির আধিকারিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। এবার অর্থের তছরূপ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি (ED)। 

  • Sri Lanka Crisis: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?

    Sri Lanka Crisis: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। বিক্ষোভকারীদের জন্যে ঘর-ছাড়া খোদ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)। শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু পদ ছেড়েও স্বস্তিতে নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যেই  শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা (Sri Lankan Protesters) রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ (Mansion) থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেছে, উদ্ধার হওয়া অর্থ নিরাপত্তা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার সকালেই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksha) সরকারি বাসভবন বা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিয়েছে। এমনকি সুইমিং পুল ও রান্নাঘরের দখল নিয়েও সেখানকার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তারপরই রাজাপক্ষের দেশ ছাড়ার একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার নৌ বাহিনীর বিশেষ জাহাজে করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কলম্বো বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জাহাজে তিন জন বড় বড় সুটকেস তুলছে। যেগুলি রাজাপক্ষের বলে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কলম্বো বন্দরের (Colombo Port) হারবার মাস্টার (Harbour Master) বলেছেন, একটি দল এসএলএনএস সিন্দুরালা (SLNS Sindurala) ও এসএলএনএস গজবাহুতে (SLNS Gajabahu) চড়ে বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তিনি এখন কোথায় গিয়েছেন তার হদিশ মেলেনি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিক্ষোভ চলাকালীন তিনি শ্রীলঙ্কা সেনা হেডকোয়ার্টারে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।

    [tw]


    [/tw]

    এই বিক্ষোভে পথে নেমেছেন শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya) ও রোশন মহানামা (Roshan Mahanama)। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নিয়ে সরব হয়েছেন। ট্যুইটারে #gohomegota লিখে প্রতিবাদ করছেন ও শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিিতির জন্য অনেকটাই চিন দায়ী। ২০১০ সাল থেকেই শ্রীলঙ্কায় আর্থিক দুর্দশা দেখা যায় এরপর ২০১৯ সালে তা চরম সঙ্কটের মুখে পড়ে। কলম্বো ও হাম্বানটোটা বন্দরকে ১০০ বছরের জন্যে চিনের কাছে লিজে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে চিন এই দেশকে ঋণ কূটনীতির ফাঁদে (Debt Trap Diplomacy) ফেলেছে যাতে শ্রীলঙ্কার ওপর পুরো কন্ট্রোল নেওয়া যায়। চিন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম ঋণদাতা (Lender)। আর এই দ্বীপ রাষ্ট্রের মোট ঋণের ১০ শতাংশ এসেছে বেজিংয়ের থেকে। এই ঋণে ভারসাম্য না-থাকার কারণেই সঙ্কট মারাত্মক আকার নিয়েছে। সমস্যা মেটানোর জন্য বিদেশি সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর ফলে চিনের উপর দেশটির নির্ভরতা বেড়েছে, যে কারণে ঋণের বোঝাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর পরিস্থিতিও খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। চিনের ঋণ ফাঁদ ছাড়াও সরকার চালানোয় অক্ষমতা, স্পষ্টতার অভাব ইত্যাদির কারণে শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। চিনের কাছে শ্রীলঙ্কার মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি ডলার, যা তার মোট বৈদেশিক ঋণ ৪৫০০ কোটি ডলারের প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ। এই বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে চিনের পাওনা প্রায় ১৫০ কোটি থেকে ২০০ কোটি ডলার। ভারত শ্রীলঙ্কাকে ঋণের থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা করে থাকলেও শ্রীলঙ্কা এমনই ঋণ ফাঁদে পড়েছিল যে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরেও এই দেশের অবস্থা ঠিক করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন যে, চিন নিজেই শ্রীলঙ্কাকে ঋণের ফাঁদে ফেলে পরে সাহায্য করতে আসলেও তা সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করছে। ‘ঋণ কূটনীতি’ ব্যবহার করেই বিশ্ব জুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের উপর আরও নির্ভরশীল করে তুলছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং অনেক দেশেরই এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, চিন কীভাবে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ ফাঁদের জালে ফেলে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে।

  • Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    পরে, ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে দাবি করেন শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অখিল ভারত হিন্দু কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মার দাবি, যেহেতু ইদগাহটি ছিল ভগবান কৃষ্ণের গর্ভগৃহ, তাই এখানে আজান হওয়া ঠিক না। তিনি বলেন, মসজিদের আশেপাশে যাঁরা বসবাস করেন, আজানের ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।দীনেশ বলেন, যেহেতু লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই এখানেও মাইকে আজান না হওয়াই উচিত।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণের মন্দিরও রয়েছে, কাটরা দেব মন্দির। মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। এর মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মথুরার মসজিদ বিতর্ক।

  • Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরার (mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ (Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah mosque controversy) মামলায় মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা (status quo) চেয়ে আবেদন জমা পড়ল সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে। শুক্রবার তিনটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরই একটিতে মসজিদ (mosque) প্রাঙ্গনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque)। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মপালনের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থান দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    বিচারক জ্যোতি সিংয়ের এজলাসে আবেদনপত্রগুলি জমা দেওয়া হয়। আবেদন করেন দেবতা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান এবং লখনউ নিবাসী মণীশ যাদব। এই মণীশই নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করেন। ২০২০ সালে মসজিদ স্থানান্তরিত করার দাবিও তুলেছিলেন ইনিই।

    আবেদনকারীদের দাবি, কাটরা কেশব দেবের ১৩.৩৭ একর জমির একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এর আগে মসজিদে জরিপের আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। গ্রীষ্মাবকাশের পর আদালত খুললে ১ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    জেলা সরকারি কাউন্সেল (সিভিল) সঞ্জাই গৌর বলেন, তিনটি নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে, দুজন সহকারী অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করতে হবে এবং অ্যাডভোকেট কমিশনার যখন মসজিদ পরিদর্শন করবেন, তখন ঘটনাস্থলে জেলাস্তরের আধিকারিকদের থাকতে হবে।

    স্থিতাবস্থা চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে হিন্দুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মসজিদের ভিতরে চাপা দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের আশঙ্কা, এই প্রমাণগুলি বিকৃত করা হতে পারে। তাই স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।

     

LinkedIn
Share