Blog

  • Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। 

    রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ। 

    বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের

    পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।

    আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

    [tw]


    [/tw]

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।    
     

     

  • Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) ব্যক্তিগত সচিবের (personal secretary) বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অভিযোগ এসেছে দলের ভিতর থেকেই! এক দলিত মহিলা কংগ্রেস কর্মীই এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিগত সচিব পিপি মাধবন (PP Madhavan) তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মাধবন। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুন দিল্লির উত্তমনগর (Delhi Uttam Nagar) থানায় পিপি মাধবনের নামে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। আইপিসি সেকশন ৩৭৬ এবং ৫০৬  ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দলিত মহিলার স্বামী দিল্লির কংগ্রেস অফিসে কাজ করতেন। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সূত্রেই ওই মহিলা কংগ্রেস অফিসে যাতায়াত শুরু করেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাধবনের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    নির্যাতিতার অভিযোগ, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস অফিসে যান। ২১ জানুয়ারি তাঁকে ইন্টারভিউ-র জন্যে ডাকা হয়। ইন্টারভিউ নেন মাধবন। তখনই তিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরে একদিন মাধবন তাঁকে নিজেই গাড়িতে নিতে আসেন। একটা জায়গায় ড্রাইভারকেও বলেন, গাড়ি থামিয়ে বেরিয়ে যেতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানেই মাধবন ধর্ষণ করেন তাঁকে। এরপর মাঝ রাস্তায় তাঁকে নামিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

    সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়ছে কংগ্রেস। যদিও, সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উড়িয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। হাত শিবিরের দাবি, যেহেতু অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস, তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি তাঁদের ভয় দেখাতে চাইছে।    

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    একের পর এক গুরুতর অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে হাত শিবির। সম্প্রতি, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার (National Herald Magazine) তহবিল তছরুপের মামলায় সোনিয়া গান্ধী (Sonia  Gandhi) ও রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। প্রথমবার গত ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ইডির থেকে সময় চেয়ে নেন সোনিয়া গান্ধী। তবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।  এখন দলের শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।

     

     

  • Rath Yatra 2022: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    Rath Yatra 2022: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়। এইবছর রথযাত্রা পালিত হবে ১ জুলাই।

    ‘রথ’ শব্দের আবিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।

    রথযাত্রার পৌরাণিক ইতিহাস

    রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সত্যযুগে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান।

    আরও পড়ুন: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়।

    দরজার আড়ালে শুরু হয় কাঠের মূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় শিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

    তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    রথের বিশেষত্ব

    পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।

    বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

  • Presidential Elections: রাষ্ট্রপতিপদে মনোনয়ন দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু, সঙ্গে কারা ছিল জানেন?

    Presidential Elections: রাষ্ট্রপতিপদে মনোনয়ন দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু, সঙ্গে কারা ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মনোনয়নপত্র দাখিল করার পালা। আজ, শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। এদিন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ নেতা, সাংসদ এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতারাও। এনডিএর শরিক না হলেও, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন ওড়িশা সরকারের দুই মন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হলে অন্তত ৫০ জন সাংসদ কিংবা সমান সংখ্যক বিধায়ককে প্রস্তাবক হতে হয়। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দ্রৌপদীর প্রস্তাবকের তালিকায় প্রথম নামটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার পরে পরেই রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার নাম। বাংলা থেকে দ্রৌপদীর প্রস্তাবকের তালিকায় রয়েছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, হবিবপুরের বিধায়ক জয়েল মুর্মু এবং তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু।

    ২৬ জুন জার্মানিতে জি-৭ বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি সেরে ফেলতে চাইছিলেন তিনি। সেই কারণেই এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন দ্রৌপদী।

    এদিকে, বৃহস্পতিবারই দিল্লি উড়ে আসেন দ্রৌপদী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তার পরেই মোদির ট্যুইট, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়াকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব সেরে দ্রৌপদী দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। শাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে মুর্মুর নাম ঘোষণা হওয়ায় আদিবাসী সমাজ উচ্ছ্বসিত।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    এর আগে নাড্ডা জানিয়েছিলেন, ২০ জনের নামের তালিকা থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীর নাম। সেই ঐক্য প্রদর্শন করতে এনডিএ-র শীর্ষ নেতাদেরও উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন নাড্ডা। এনডিএ-তে নেই ওড়িশার শাসক দল বিজেডি। তবে দ্রৌপদী যেহেতু ‘ঘরের মেয়ে’, তাই তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ট্যুইট করে তিনি জানান, আমার মন্ত্রিসভার দুই সতীর্থ জগন্নাথ সরাকা ও টুকানি সাহু মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর প্রতিপক্ষ বিজেপি বিরোধী ১৭টি জোটের যশবন্ত সিনহা। তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন ২৭ জুন। ১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন।

     

  • Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীর ছেড়ে তাপী নদীর ধার। সেখান থেকে সটান ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়করা! পশ্চিমের বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujrat) ছেড়ে কেনই বা তাঁরা উড়ে গেলেন উত্তর-পূর্বের আসামে (Assam)?  বিশেষত রাজ্যটি যখন বন্যা কবলিত। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে কেন দলবল নিয়ে হাজির হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানকার এক রাজকীয় হোটেলে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার অন্য বিধায়করা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। বুধবার সকালে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা পৌঁছানোর আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় পূর্ব নির্ধারিত হোটেলে। প্রশ্ন হল, কেন গুজরাট ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিলেন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা? বিশেষ করে, দুটি রাজ্য যখন দেশের দুপ্রান্তে অবস্থিত?

    আরও পড়ুন : সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাটের দূরত্ব আসামের চেয়ে ঢের কম। তাই বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুজরাটে ছিলেন, তখন শিবসেনার তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। এই বিদ্রোহীদের টোপ দিয়ে দলের মূল স্রোতে ফেরাতে পারলেই শিন্ডের বিদ্রোহে জল ঢালা হয়ে যেত। তা এড়াতেই মধ্যরাতের বিমানে গুজরাট ছাড়েন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। 

    দ্বিতীয়ত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দক্ষ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। তাই তাঁর ওপরই ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমন্তের চালে শিবসেনা-বিরোধীদের মাত দেওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন পদ্ম নেতারা। সেই কারণেই হিমন্তের রাজ্যের হোটেলে ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। কড়া নিরাপত্তার বলয় ভেঙে যে হোটেলে ঢুকতে পারবে না কাকপক্ষীও। 

    সর্বোপরি, রয়েছে হিমন্তের ওপর বিজেপির অশেষ আস্থা। কংগ্রেস ভেঙে আসা হিমন্ত আসামের একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয় এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং নির্বাচনেও বিরোধীদের দুরমুশ করে দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন উত্তর-পূর্বের এই নেতা। তাই মধ্যরাতের বিমানে হিমন্তের ডেরায় পাঠানো হয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

  • Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election)। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি (BJP) প্রার্থী ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। অন্যদিকে বিরোধীদের পছন্দ অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha)। ২১ জুলাই ভোটগণনা। শেষ পর্যন্ত কে হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, তার জন্য অপেক্ষা করত হবে গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত।  তবে, সংখ্যাতত্বের হিসেবে বা রাজনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু। 

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১২ হাজারের কাছাকাছি ভোট। রাষ্ট্রপতি পদে ওড়িশার ভূমিকন্যা তথা জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে দাঁড় করিয়ে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেডির (BJD) ৩২ হাজার ভোট নিশ্চিত করে ফেলে বিজেপি। বুধবার দুপুরে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ট্যুইট করে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নির্দেশ দেন, পার্টি লাইনের উর্ধ্বে উঠে ওড়িশার কন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করতে। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভায় একটা সময় সদস্য ছিলেন তৎকালীন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী। নবীন বলেন, ওড়িশা থেকে এই প্রথম কেউ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তাই রাজ্যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হলেও, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঘরের মেয়ের দিকেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে বিজু জনতা দল।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিও জানিয়েছেন তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে। এরপর এবার বিজু জনতা দল। এনডিএ-র বাইরে থাকা দুই রাজ্যের দুই শাসক দলের সমর্থন পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪৯ শতাংশ ভোট আছে এনডিএ-র কাছে।  ফলে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত করতে আরও অন্তত দু  শতাংস এনডিএ-র বাইরের দলের সমর্থন প্রয়োজন ছিল দ্রৌপদী-র। এবার এনডিএ-র বাইরের দুই দলের সমর্থন পেয়ে আরও ৫ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করলেন দ্রৌপদী মুর্মু।  

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে দেশের প্রথম নাগরিক সাঁওতালি কন্যা?

    কংগ্রেসের শরিক ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম-ও রাজ্যের জনজাতি সমাজের কথা মাথায় রেখে দ্রৌপদীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রৌপদীর সমর্থনে সরব হয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং-ও।  বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় নীতীশ কুমারের প্রাক্তন সতীর্থ ছিলেন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। কিন্তু তাঁর দল জেডিইউ এনডিএ পদপ্রার্থীকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন নীতীশ।  টিআরএস, আম আদমি পার্টি, অকালি দল, বিএসপি এখনও জানায়নি তারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাকে সমর্থন করছে। তবে এই দলগুলির অবস্থান যা-ই হোক সংখ্যাতত্বের হিসেবে এখনই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে অ্যাডভান্টেজ দ্রৌপদী মুর্মু।

  • Rambai Dadi: ১০৫ বছর বয়সে ১০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড ভাঙলেন হরিয়ানার ‘রামবাই দাদি’

    Rambai Dadi: ১০৫ বছর বয়সে ১০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড ভাঙলেন হরিয়ানার ‘রামবাই দাদি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫.৪০ সেকেন্ডেই বাজিমাত। হয়ে গেলেন দেশের ‘সুপার গ্র্যান্ডমা’। বয়স যে শুধুই সংখ্যা বই আর কিছুই না, তা আরও একবার প্রমাণিত। এক মিনিটের কম সময়ে ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়লেন হরিয়ানার ১০৫ বছরের রামবাই। সবার কাছে তিনি পরিচিত ‘রামবাই দাদি’ (Rambai Dadi) নামে।   

    যারা মনে করেন ৩০-৩৫ বছর বয়সেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে, কর্মক্ষমতা হারাচ্ছেন তাঁদের জন্যে রামবাইয়ের দৌড়ের ভিডিওটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। মনের জোর যে প্রকৃতিকেও হার মানায়, তার প্রমাণ রামবাই। মনের  জোরে বয়সকে হার  মানিয়েছেন এই ‘সুপার গ্র্যান্ডমা’। ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন (Athletics Federation of India) আয়োজিত ন্যাশনাল ওপেন মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (National Open Masters Athletics Championships) এক অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি। ৪৫.৪০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে ভাঙলেন জাতীয় রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: “যোগ জীবনে শান্তি আনে” আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভিমত মোদির

    ১৫ জুন ভদোদরায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের ১০০ মিটার দৌড়ের প্রতিযোগিতায় রামাবাই একাই দৌড়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে ৮৫ বছরের বেশি বয়সী মাত্র একজন প্রতিযোগীই এখানে অংশ নিতে পারেন। সেই কারণে রামাবাই কোনও প্রতিযোগীকে পাশে পাননি। তিনি একা ৪৫.৪০ সেকেন্ডে দৌড় সম্পূর্ণ করেন এবং জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দেন। প্রতিযোগিতায় ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন রামবাই দাদি।

    আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    এর আগে এই রেকর্ড ছিল মন কৌরের নামে, যিনি ৭৪ সেকেন্ডে দৌড় সম্পূর্ণ করেছিলেন। রামবাই- এর লক্ষ্য এখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর এদিন রামবাই বলেন, “খুব ভালো একটা অনুভূতি। আমি আবার দৌড়তে চাই।” রামাবাইয়ের নাতিকে তাঁর খাবার ও জীবনযাপন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, রামবাই একেবারে খাঁটি নিরামিষাশী। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ গ্রাম ঘি এবং ৫০০ গ্রাম দই খান। সেই সঙ্গে দিনে দুবার ৫০০ মিলিলিটার করে বিশুদ্ধ দুধ খান।        

     

  • Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) তিন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিহত হয় সাত জঙ্গি। সোমবার কাশ্মীরের জেনারেল পুলিশ ইন্সপেক্টর (IGP) বিজয় কুমার (ViJay Kumar) জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তারা। নিহতদের তিনজন পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক বলে জানা যায়।

    আরও পড়ুন:শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    তিনি আরও জানান, রবিবারেই কুপওয়ারায়(Kupwara) এনকাউন্টারে (Encounter) মারা যায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba ) দুই জঙ্গি। সোমবার সকালে আরও একজন পাকিস্তানি জঙ্গি ও সোপিয়ান (Shopian) থেকে আরেক স্থানীয় জঙ্গি, সওকাত(Showkat) সংঘর্ষে নিহত হয়। অন্যদিকে পুলওয়ামা(Pulwama) থেকে লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি ও কুলঘাম (Kulgham) থেকে জইশ-ই-মোহাম্মদের (Jaish-e-Mohammed) এক জঙ্গি ও লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গিকে গুলি করে নিকেশ করা হয়। সাত জঙ্গিকে খতম করা হলেও এখনও আরো তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারার পুলিশ সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অ্যান্টি-টেরোরিস্ট অপারেশন (Anti-Terrorist Operation) শুরু করেছে।

    কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলওয়ামার ছাটপোরা (Chatpora) এলাকা ও কুলঘামের ডিএইচ পোরা(DH Pora) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। গত কয়েকদিনে বেশ অনেকজন স্থানীয় বাসিন্দাকে জঙ্গিরা খুন করে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।

    আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) জম্মুতে দু-দিনের সফরে গিয়ে ঘোষণা করেছেন যে জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) পরের মাস থেকেই বিধানসভার ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি এদিন আরও জানান যে, কাশ্মীরে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে পাকিস্তানের হাত রয়েছে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া খুনের জন্যও অন্য দেশের ষড়যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের ছককে বানচাল করবে কেন্দ্র সরকার।

    সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতারে উপত্যকা জুড়ে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ-সেনার যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে,  এর ফলেই গতকাল রাত থেকে কুপওয়ারা, কুলগাম এবং পুলওয়ামায় মোট সাত জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় এবং অভিযান এখনও চলছে।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

  • mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের (mRNA vaccine) আপৎকালীন ব্যবহারে  ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। পুনের (Pune) ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মা করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেওয়া যাবে। 

    এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন mRNA ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হয়, কিন্তু জেনোভার  প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিনটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে রাখলেও নষ্ট হবে না। ফলে এই ভ্যাকসিন  সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। জেনোভার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে এই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই ডোজগুলি ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা  হবে। গত শুক্রবার, করোনা মোকাবিলায় এই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল, যা  মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা অনুমোদিত হয়। 

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ, অ্যাডমিট ডাউনলোড কীভাবে?

    ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ফেজ-২ ও ফেজ-৩ ট্রায়ালে ৪ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। মেসেঞ্জার আরএনএ হল এক ধরনের আরএনএ যা শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।  mRNA ভ্যাকসিন অন্যান্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দেওয়া হয়। এটি শরীরের ভিতরে পৌঁছে কোষে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ওপরেও স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায়। যখন শরীরে প্রোটিন তৈরি হয়, তখন আমাদের কোষগুলি এমআরএনএ ভেঙে তা সরিয়ে দেয়। এরপর আমাদের কোষের স্পাইক প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে এবং স্পাইক প্রোটিন ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনও ধ্বংস হয়ে যায়। 

    দেশীয় mRNA ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়াও মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল সিরাম ইনস্টিটিউটের  কোভোভ্যাক্স (Covovax) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে৷ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।

  • Maharashtra crisis: “আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি…”, বিদ্রোহীদের আবেগঘন আবেদন উদ্ধবের

    Maharashtra crisis: “আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি…”, বিদ্রোহীদের আবেগঘন আবেদন উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে একবার শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা প্রধানের সেই আবেদনে কান দেননি একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) অনুগামী বিধায়করা। উল্টে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সবক শেখাতে চেয়েছেন শিন্ডে বাহিনীকে। তার পরেও বিদ্রোহীদের দমাতে না পেরে ফের আবেদনের রাস্তায় হাঁটলেন উদ্ধব। বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বার্তা, ফিরে আসুন, আলোচনা করে পথ খুঁজে বের করা যাবে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে উদ্ধব-শিন্ডে বিবাদ শুরু। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তাতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এর পরে শিবসেনারই দুই নেতার বিরোধ ওঠে চরমে। ঘটনার জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত উত্তর পূর্বের রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন তাঁরা।

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    শিন্ডের সঙ্গে ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন তাঁদের উদ্দেশে আবেগঘন আবেদন করেন উদ্ধব। বলেন, আপনারা দিন কয়েক ধরে গুয়াহাটিতে আটকে রয়েছেন। আপনাদের সম্পর্কে প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর পাচ্ছি। আপানারা এখনও শিবসেনায়ই রয়েছেন। আপনাদের কয়েকজনের পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা আমার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। শিবসেনা পরিবারের প্রধান হিসেবে আমি আপনাদের আবেগকে সম্মান জানাই। মন থেকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। আলোচনা করি। নিশ্চয়ই একটা পথের সন্ধান মিলবে।

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৩৯ জন রয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। উদ্ধব গড়ে রয়েছেন বাকিরা।

    এদিকে, শীঘ্রই মুম্বইয়ের উড়ান ধরেতে চলেছেন শিন্ডে। তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীকে নয়া চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। শিন্ডে বলেন, গুয়াহাটিতে আমার সঙ্গে ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় এসেছেন। আমরা খুব শীঘ্রই মুম্বই যাব।

     

LinkedIn
Share