Blog

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 23 January 2025: সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 January 2025: সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে এবারও বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পাড়ে জ্বলে উঠল এক লক্ষ প্রদীপ। শুধু তাই নয়, বেনারস থেকে এসেছেন পুরোহিত। গঙ্গার মতো আত্রেয়ীর তীরে চলেছে আরতি ও বন্দনা। অপরপাশে আত্রেয়ীর বক্ষেই বসেছে ৫০ ফুটের রামের মূর্তি। চলছে বাজি প্রদর্শনী থেকে শুরু করে শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাবতীয় অনুষ্ঠান মূলত বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে সদর ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Ram Mandir)

    বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন আবার বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম (Ram Mandir) সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গঙ্গা আরতি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আয়োজন নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে বালুরঘাটে গত বছরের মতো এবারও এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আত্রেয়ী নদীর তীরে এই প্রদীপের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের চমক রয়েছে । রামলালার আলো আত্রেয়ী তীরে জ্বালো, এই মন তো নিয়েই আমরা এবারও প্রদীপ প্রজ্বলন করলাম। আমি নিজেও আছি।”

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    এক লক্ষ প্রদীপে সেজে উঠল আত্রেয়ী নদী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের (Ram Mandir) আত্রেয়ী নদীকে গঙ্গারূপে পুজো করেন বাসিন্দারা। তাই আত্রেয়ীর সদর ঘাটই এই লক্ষ প্রদীপে সাজানোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকালে বালুরঘাট শহরের থানা মোড়ের কাছে মিউজিয়ামের সামনে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়েছে। কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম সাজো প্রতিযোগিতাও হয়েছে। দুই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিশেষ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এদিন সন্ধ্যায়ই সদরঘাটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হল। তার পাশেই বেনারসের একঝাঁক পুরোহিত যজ্ঞ ও আত্রেয়ীতে আরতি করলেন। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে আরও বড় করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একলক্ষ প্রদীপে সদর ঘাট সাজানো হয়েছিল। যা দেখতে শহরের বহু মানুষ ভিড় করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! মূলত, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রাইসেনে অবস্থিত পতৌদি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮-এর অধীনে বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তাদের ওপর জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

    হাইকোর্টের কী বক্তব্য? (Saif Ali Khan)

    ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর যাঁরা পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাঁদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি (Ancestral Property) ভারত সরকার “শত্রু সম্পত্তি” হিসেবে ঘোষণা করে। ভোপালে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) পৈতৃক সম্পত্তির একটি অংশ এই আইন অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানের বড় বোন আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সইফ আলি খানের সম্পত্তি নিয়ে শুরু হওয়া মামলায় সম্প্রতি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালে আদালত সইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানকে সম্পত্তির আইনি উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আবিদা সুলতানের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কারণে তাঁর অংশের জমি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে, তাঁর অংশের সম্পত্তি এই আইনের আওতায় পড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিচারপতি বিবেক আগরওয়ালের বেঞ্চ সইফের আবেদন খারিজ করে দেয় এবং তাঁকে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত সইফ বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সইফের পৈতৃক সম্পত্তি

    ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবি কা বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস এবং কোহেফিজা এলাকা। সইফ (Saif Ali Khan) তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসে। এসব সম্পত্তির মধ্যে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের রায় সইফের পক্ষে যায়নি। তাঁর পরিবার এখনও ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার সুযোগ পেতে পারে। তবে, বিষয়টি দ্রুত না মেটালে কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের পরিবার থেকে আসা সইফ আলি খান একদিকে যেমন বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, তেমনই তাঁর রাজকীয় ঐতিহ্য ও পৈতৃক সম্পত্তি সবসময় আলোচনায় থেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani YouTubers Abduction: ভারতের প্রশংসা করাই কাল, পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার দুই ইউটিউবার

    Pakistani YouTubers Abduction: ভারতের প্রশংসা করাই কাল, পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার দুই ইউটিউবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বলতে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের প্রশংসা করেছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে বহু ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন ইউটিউবে। এমনই দুই পাকিস্তানি ইউটিউবারকে অপহরণ করে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে খবর। নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় দুই পাক ইউটিউবার শোয়েব চৌধুরী ও সানা আমজাদ। সম্প্রতি তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। গুঞ্জন উঠেছিল তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু না প্রাণহানি হয়নি। তবে তাঁদের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

    কী অপরাধ

    রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনগণের সাক্ষাৎকার ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া এবং পরে তা ইউটিউবে আপলোড করার জন্য পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সানা এবং শোয়েব। তাঁদের চ্যানেলের দর্শক ছিলেন অনেক ভারতীয়ও। শোয়েবের চ্যানেলের নাম ‘রিয়্যাল এন্টারটেনমেন্ট’। অন্য দিকে সানা চ্যানেলের নাম রেখেছিলেন নিজের নামে। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জনমত নিয়ে ভিডিয়ো বানাতেন তাঁরা দু’জনেই। তাঁদের সেই ভিডিয়োয় মাঝেমধ্যেই উঠে আসত ভারতের প্রসঙ্গ। সানা এবং শোয়েব— দু’জনেই তাঁদের ভিডিয়োয় সে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং আর্থিক সঙ্কটের জন্য পাক প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন। নিজের দেশের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ভারতের। এ জন্য তাঁদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

    ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা

    পাক ইউটিউবার শোয়েব বলেন, “রাত ২টোর দিকে সশস্ত্র লোকজন আমার বাড়িতে হানা দেয়। আমার চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।” পরবর্তী তিন সপ্তাহে শোয়েব শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন ভয় পেতাম, মনে হতো আজই হয়তো শেষ দিন।” তাঁর কথায়, “তারা আমায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি আত্মসমর্পণ করিনি। আমি সত্য বলতে থাকব।” ফিরে এসে সানা আমজাদ তাঁর ভিডিওতে জানান, তাঁর মা’র ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “তারা মায়ের ওপর অত্যাচার করেছে, মাকে ঘরের মধ্যে ভয় দেখিয়েছে, মায়ের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। মায়ের প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও তারা শান্ত হয়নি।” সানা আরও বলেন, “পাকিস্তানে ভারতের প্রশংসা করাটাই যেন অপরাধ। কিন্তু যদি প্রধানমন্ত্রীই সেটা করতে পারেন, তাহলে আমি কেন তা করতে পারব না?”

    আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    ভবিষ্যতের চিন্তা

    শোয়েব ও সানা তাঁদের সমর্থকদের এবং ভারতীয় মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সানা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “ভারতীয় মিডিয়া আমাদের পাশে দাঁড়াল, কিন্তু পাকিস্তানের মিডিয়া নীরব ছিল। এটি আমাদের স্বাধীন মতামতের ওপর আক্রমণের কথা বলে।” নিজেদের ভবিষ্যত নিয়েও চিন্তিত দুই ইউটিউবার। শোয়েব বলেন, “আমার জীবন এখনও বিপদে, তবে তারা আমায় হত্যা করতে পারে। কিন্তু সত্যকে তারা কখনও হত্যা করতে পারবে না।” সানা বলেন, “আমায় নীরব করা হলেও, আমার ভিডিওগুলো থাকবেই।”..

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। আবার এই যোগ আসবে ১৪৪ বছর পর। কারণ ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। পূর্ণকুম্ভ হয় ১২ বছর অন্তর। এবার প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মহামিলন মেলা। সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাচক্রে এদিনই হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কন্যাকুমারীতে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্যান করেছেন কেদারনাথে গিয়েও। এবার তিনি সারবেন কুম্ভস্নান।

    কুম্ভস্নানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    চলতি বছর কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে আসছেন মানুষ, অমৃতস্নান করবেন বলে। পঞ্জিকা মতে, অমৃতস্নানের (একেই আগে শাহি স্নান বলা হত) যোগ পাঁচটি। প্রধানমন্ত্রী যে দিন স্নান করবেন, সেদিন অমৃতস্নানের যোগ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি মেলায় ভিড় কম হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে কে, কবে

    কুম্ভস্নান সেরে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৭ জানুয়ারি পুণ্যস্নান করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নানে যাবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মাঝে ৫ তারিখে কুম্ভস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুন: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাস দেড়েকের মেলায় অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। একটি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে চারটি। এগুলি হল, ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। এই দিনগুলিতে কয়েক কোটি ভক্ত কুম্ভস্নান করবেন পুণ্যলাভের আশায়। তাই এই দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি অমৃতস্নানে গেলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ পুণ্যার্থীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কারণেই অমৃতস্নানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন সাধারণ একটি দিন। প্রসঙ্গত, প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। প্রয়াগরাজ (Mahakumbh) ছাড়াও সেগুলি হয় হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জ্বয়িনীতে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করতে জিনতত্ত্বের নতুন প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বার্কিনা ফাসো ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেও নাকি সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। ‘নেচার’ জার্নালেরই একটি বিভাগ ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ এই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে ধ্বংস করবে ম্যালেরিয়ার মশার বংশ? (Malaria)

    এমনিতেই হাজার চেষ্টা করেও ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করা যায়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা যে রক্ষাকবচ তৈরি করেছেন, তা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস মশারা দিনে দিনে তাদের চরিত্র বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। রাসায়নিক স্প্রে, কীটনাশক প্রয়োগ করে সাময়িক ভাবে তাদের রুখে দেওয়া হয়তো সম্ভব, কিন্তু তাতে সুদূরপ্রসারী ফল মেলে না। রাসায়নিকের প্রভাব কেটে গেলে ফের স্বমহিমায় ফিরে আসে তারা। তাই মশা মারতে আর কামান না দেগে বরং জিনবিদ্যাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর নতুন পদ্ধতিটি আগের পদ্ধতিগুলির চেয়ে অনেকটাই আলাদা। জানা গিয়েছে, এমন কিছু ছত্রাক আছে, যারা মাটিতে বা জলে জন্মায় এবং কীটপতঙ্গের শরীরে ঢুকলে বিষক্রিয়া করতে পারে। এদের বলে ‘এন্টোমোপ্যাথোজেনিক ফাঙ্গাস’। এই প্রজাতির কিছু ছত্রাককে নিয়েই গবেষণাটি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছত্রাকগুলিকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। এর পর সেগুলিতে জিনগত বদল ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যাতে সেগুলি প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করতে পারে। পুরুষ মশার শরীরে এই ছত্রাকের রেণু ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে! ‘জেনেটিক মিউটেশন’-এর কারণে ছত্রাক কেবল বিষই তৈরি করবে না, পুরুষ মশার শরীরে ঢুকে তাদের চরিত্রও বদলে দেবে। পুরুষ মশার শরীরে ঢুকবে মারণ ছত্রাকের রেণু। তাই বয়ে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী মশাদের আকৃষ্ট করে প্রেমের জালে ফাঁসাবে পুরুষেরা। মিলন হলেই সর্বনাশ। সঙ্গমের পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্ত্রী মশারা।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন গবেষকরা?

    গবেষকরা বলেন, “ছত্রাক পুরুষ মশার শরীরে তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ, পুরুষ অ্যানোফিলিস মশা বাহকের (Malaria) কাজ করবে। ছত্রাক বয়ে নিয়ে গিয়ে তারা স্ত্রীদের আকৃষ্ট করবে। সঙ্গমের পরেই স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার শরীরে ঢুকে যাবে সেই ছত্রাকের রেণু। আর এর পরেই রোগ ছড়াবে দ্রুত। ছত্রাক শরীরে ঢোকার ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হবে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার।” আমেরিকা ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এই পরীক্ষা করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতি সম্পর্কে চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের মত, “জিনগত রূপান্তর ঘটিয়ে মশার বদল আগেও করা হয়েছে। যদিও সার্বিকভাবে সব জায়গায় এর প্রয়োগ হয়নি। মারণ ছত্রাক ঢুকিয়ে মশার সঙ্গম ঘটানোর প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে তা হল প্রথম বিষয়, দ্বিতীয়ত সেই মশা কামড়ালে মানুষের শরীরে কী প্রভাব পড়তে পারে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। গবেষণাটি পরীক্ষার স্তরেই আছে। সেটির বাস্তব প্রয়োগ শুরু না হলে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    এর আগেও পরীক্ষায় কী ফল মিলেছিল?

    জিনগত প্রযুক্তি (Malaria) ব্যবহার করে এর আগেও মশা (Mosquito) ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল ব্রাজ়িল সরকার। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল অবধি চলেছিল ওই পরীক্ষা। একটি ব্রিটিশ সংস্থা ব্রাজ়িল সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ওই শহরে সাড়ে চার লক্ষ পুরুষ মশা ছাড়ত, যাদের জিনগত রূপান্তর ঘটানো হয়েছিল। ফলে, ওই পুরুষ মশার সঙ্গে সঙ্গম করলে স্ত্রী মশা বংশবিস্তারের ক্ষমতা হারাবে। যদি বা অপত্যের জন্ম দিতে পারে, তা বেশি দিন বাঁচবে না। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হয়নি। প্রথম প্রথম স্ত্রী মশারা ফাঁদে পড়লেও পরে নাকি সতর্ক হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানান, জিনগত ভাবে রূপান্তরিত পুরুষ মশাদের এড়িয়ে চলত স্ত্রী মশারা। তবে এ বার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পূর্বের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের এই উপায় এবার সফল হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর পরই মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আদালত তথ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করে রায় দিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর এই অতি উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে অভয়ার বাবা-মা এই ঘটনায় হতবাক। বিরোধীরাও এই অতি উৎসাহের পিছনে প্রকৃত দোষীদের যে মুখ্যমন্ত্রী আড়াল করার চেষ্টা  করছেন তার অভিযোগ তুলেছে। কারণ, সঞ্জয়ের ফাঁসি হয়ে গেলে সমস্ত কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে। তাই, মমতা এতটা সক্রিয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। খোদ অভয়ার বাবা- মাও মুখ্যমন্ত্রীর অতি সক্রিয়তা ভালোভাবে নেননি। 

    বিচারকের রায়কেও মুখ্যমন্ত্রী মানছেন না! (RG Kar Incident)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) রায় বের হওয়ার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “আরজি কর মামলার রায়ে রাজ্য উচ্চ আদালতে যাবে। সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চাইছে রাজ্য। ফাঁসি হলে সান্ত্বনা পেতাম। আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসির সাজা দেওয়া হত।” সাধারণত, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা-মায়ের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কারণ, তিনি তাঁদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন। কিন্তু, বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা বলেছেন, “তাহলে কি উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) শিয়ালদা আদালতের বিচারককেও মানছেন না? বিচারক যে রায় দিলেন সেটা তিনি মানছেন না? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই। তাহলে তিনি বিচারকের বিরুদ্ধেই তদন্ত করুন। সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দিতেই হবে এই মনোভাব প্রথম দিন থেকেই কেন? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে চাই। পিছনে যারা জড়িত রয়েছে সেটাকে বের না করে সঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন, কারণটা কী? ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অন্য লোকও উপস্থিত ছিল। সিএসএফএল (ফরেন্সিক রিপোর্ট)- ও বলেছে ওইরকম জনবহুল জায়গায় একজনের পক্ষে ঢুকে গিয়ে একটা মেয়েকে ওভাবে মেরে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। উনি কি ফাঁসি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চান যে আমরা বিচার দিয়ে দিলাম। আমরা চাইছি আরও তদন্ত হোক, যারা যারা জড়িত তাদের সামনে এনে কঠোরতম শাস্তি হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে, ঠিক করে তদন্ত হোক

    অভয়ার মা (RG Kar Incident) বলেন, “সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে। যে চারজনের সঙ্গে আমার মেয়ে ডিউটিতে ছিল তাদের সিবিআই বা পুলিশ (যে চারদিন ছিল) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। পাঁচজন একসঙ্গে ডিউটি করছে, হঠাৎ হাসপাতালে ডিপার্টমেন্টের মধ্যে একজন ধর্ষণ, খুন হয়ে গেল, আর কেউ কিছু জানল না, এটা তো কেউই বিশ্বাস করবে না। আমিও করি না, প্রথম দিন থেকেই। আমাদের তাড়াতাড়ি আসতে বলে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। এদিকে ভিতরে সিপি, এসিপি সবাই উপস্থিত। পরে ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়,অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, দেবাশিস সোম সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাচ্ছিলেন। আমার মেয়ের দেহ যেখানে ছিল সেখানে সবাই উপস্থিত। কোনও কর্ডন নেই। মাছের বাজার হয়ে গিয়েছিল। এগুলো তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরই অংশ। তদন্তটা ঠিক করে হোক। কারা কারা যুক্ত সেটা সামনে আসুক।”

    ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

    অভয়ার মা আরও বলেছেন, “আমরা মেয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলাম। আমাকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে গ্রিন করিডর করে মেয়ের দেহ (RG Kar Incident) বাড়ি নিয়ে গেল। আমরা তখন টালা থানায় বসে। পুলিশ আমাদের গাড়ি থেকে নামতেও দেয়নি। এফআইআর লিখতেও দেয়নি। প্রথমে ৭ জন পুলিশ ছিল। পরে প্রায় ২০০ পুলিশ হয়ে গিয়েছিল। পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি চলে এসো। নাহলে ওকে শ্মশানেই নিয়ে চলে যাব। বাড়ি গিয়েও কিছু করতে পারিনি। ২ কিলোমিটার অবধি পুলিশ। আমাদের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিল। দ্রুত দেহ শ্মশানে নিয়ে লোকাল এমএলএ, লোকাল কমিশনার তাঁরা দেহ চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেন। লোকাল এমএলএ লোকাল কমিশনারের পিঠ চাপড়ে বলছিলেন ‘ওয়েল ডান বয়’। এটা কি কারও নির্দেশ ছিল? কারও নির্দেশ ভালোভাবে পালন করা হচ্ছিল বলেই কি ‘ওয়েল ডান বয়’ বলা হচ্ছিল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের রয়ে গিয়েছে। কোথাও একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এই অদৃশ্য শক্তিটা আমরা বের করতে চাই। তারপর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

    কাদের আড়াল করতে সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার ফাঁসির দাবি প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সঞ্জয়ের চরম শাস্তি আমরাও চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত তাড়া কেন? কারণটা, খুবই পরিষ্কার। সঞ্জয় যেন মুখ খুলতে না পারে। সঞ্জয় বারবার এক আইপিএসের কথা বলছে। যদি সঞ্জয় বিবেক কুমারের নাম বলে, সন্দীপ ঘোষের নাম বলে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়ে যাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না সঞ্জয় মুখ খুলুক। সে কারণেই সঞ্জয়কে তড়িঘড়ি ফাঁসিতে ঝোলাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: কালীঘাটে পুজো দিলেন গম্ভীর, ইডেন থেকেই ভালো দিনের আশা ভারতীয় দলের

    Gautam Gambhir: কালীঘাটে পুজো দিলেন গম্ভীর, ইডেন থেকেই ভালো দিনের আশা ভারতীয় দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুঃসময় কাটাতে ঈশ্বরের শরণাপন্ন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বুধ-সন্ধেয় ক্রিকেটের নন্দনকাননে একটি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন গম্ভীর। তার আগে মায়ের আশীর্বাদ নিতে ছুটে গেলেন কালীঘাট মন্দিরে। আইপিএলে কেকেআরের মেন্টর হিসেবে যাত্রা শুরু করার আগেও কালীঘাটে পুজো দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবারও সেই ধারা বজায় রাখলেন।

    কালীঘাটে আরতি গম্ভীরের

    মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে ইডেনে ভারতীয় দলের প্র্যাকটিস ছিল। তার আগে কালীঘাটে মা কালীর মন্দিরে হাজির টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। সঙ্গে কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ। হাত জোড়‌ করে, চোখ বন্ধ করে, মনোযোগ দিয়ে দেবীর আরাধনা করতে দেখা যায় গম্ভীরকে (Gautam Gambhir। এরপর দু’হাতে মা কালীর মূর্তি ছুঁয়ে প্রণাম করেন। তারপর করেন আরতি। শেষে মা কালীর মূর্তিতে মাথা ঠুকে প্রণাম করেন গম্ভীর। ইডেন গার্ডেন থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। আইপিএলে ক্রিকেটার, অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, মেন্টর হিসেবেও ট্রফি জেতেন। রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরির দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে গম্ভীরের জীবনে বড় অবদান রেখেছে কলকাতা। 

    ভালো দিনের আশা

    দ্রাবিড় পরবর্তী যুগে বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পাশাপাশি এই সিরিজে কোচ গম্ভীরের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর থাকবে বোর্ডের। ইতিমধ্যেই লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা কোচ রাখার দাবি উঠেছে। যা গম্ভীরের কানেও হয়তো গিয়েছে। মুখে স্বীকার না করলেও, যথেষ্ট চাপে আছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। জানেন, ইংল্যান্ড সিরিজ জেতা ছাড়া গতি নেই। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ শুরুর আগে তাই পুজো সারলেন গৌতি। 

    গম্ভীরের অস্ত্র

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি পরখ করে নেওয়ার জন্য আজ, ইডেনে নামবে ভারত-ইংল্যান্ড (India vs England)। ইতিমধ্যেই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট, জস বাটলার, হ্যারি ব্রুকের মতো মারকুটে ব্যাটারদের পাশাপাশি ৫ বোলার নিয়ে নামবে ইংল্যান্ড। তিন পেসার এবং দুই স্পিনারে দল সাজিয়েছে তারা। দীর্ঘদিন পর চোট সারিয়ে ভারতীয় দলের জার্সিতে নামবেন মহম্মদ শামি। তবে নজর থাকবে কেকেআরের দুই তারকা রিঙ্কু সিং এবং বরুণ চক্রবর্তীর দিকে। ইডেনের চেনা পিচে গম্ভীরের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন তাঁরা।

    কখন শুরু ম্যাচ?

    বুধবার অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ম্যাচ শুরু হবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে।

    কোথায় দেখানো হবে?

    টেলিভিশনে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে সরাসরি দেখা যাবে ম্যাচ। স্টার স্পোর্টস ১ (এসডি এবং এইচডি) চ্যানেলে দেখা যাবে ম্যাচ। তাছাড়াও স্টার স্পোর্টস হিন্দি ১ (এসডি এবং এইচডি) -এও সরাসরি সম্প্রচার হবে ম্যাচের। ওটিটি প্লাটফর্মে হটস্টার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিমিং হবে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share