Blog

  • Sita Ram Goel Book: দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ভারতে ভাঙা হয়েছে ১৮০০-র বেশি মন্দির?

    Sita Ram Goel Book: দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ভারতে ভাঙা হয়েছে ১৮০০-র বেশি মন্দির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শতাব্দীতে ভারত আক্রমণকারী মহম্মদ ঘোরির সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবকের (পরবর্তীকালে দিল্লির সুলতান) হাতেই না কি প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল কাশীর আদি বিশ্বনাথ মন্দির। কয়েক বছর পর কাশীর বাসিন্দারা সংস্কার করেন মন্দিরটি। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সপ্তদশ শতকে (১৬৬৪ থেকে ’৬৯-এর মধ্যে) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। আর সেই জমির একাংশে গড়ে তুলেছিলেন বর্তমান জ্ঞানবাপী মসজিদ। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও মসজিদ চত্বরে মন্দির থাকার নানা প্রমাণ পেয়েছে।

    তবে শুধু বাবরি মসজিদ, জ্ঞানবাপী মসজিদ বা মথুরার শাহী ইদগাহ নয়— ইসলামিক শাসকরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন, বলে দাবি করেছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সীতারাম গোয়েল। তাঁর লেখা “Hindu Temples: What Happened to Them” বইতে এবিষয়ে তিনি বিশদ তথ্য দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভারতের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত অঞ্চল জুড়েই মন্দির ধ্বংসের চিহ্ন রয়েছে। অরুণ শৌরি, হর্ষ নারায়ণ, জয় দুবাসী, রাম স্বরূপ এবং সীতারাম গোয়েল এই ঐতিহাসিক গ্রন্থটি রচনা করেন। বইটি দুই ভাগে বিভক্ত। গোয়েল ওই বইয়ে ১ হাজার ৮০০টি এরকম স্থাপত্যের উদাহরণ দেন, যেগুলি মন্দির ভেঙে তৈরি হয়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সীতারাম গোয়েল তাঁর বইয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তার এক ঝলক—

    অন্ধ্রপ্রদেশ: দক্ষিণের এই রাজ্যে এরকম ১৪২টি স্থান রয়েছে বলে নিজের বইতে দাবি করেছেন গোয়েল। তিনি লিখেছেন, অনন্তপুরের জামি মসজিদ, পেনুকোন্দার শের খাঁ-র মসজিদ, বাবিয়া দরগাগুলি তৈরি হয়েছে ইভারা মন্দির ভেঙে। এছাড়াও এই রাজ্যের নানা জায়গায় আরও নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, আলিয়াবাদের মামিন চুপ দরগাও মন্দির ভেঙেই হয়েছে। বেনুগোপালস্বামীর মন্দির ভেঙে তৈরি হয় রাজামুন্দ্রির জামি মসজিদ। ১৭২৯ সালে তৈরি গাছিনালা মসজিদও মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল বলে নিজের বইয়ে লিখেছেন সীতারাম গোয়েল।

    আসাম: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, কামরূপ জেলার হাজোতে মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল পোয়া মসজিদ এবং সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মাজার।

    পশ্চিমবঙ্গ: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, বাংলায় এরকম ১০২টি মসজিদ, দরগা, মুসলিম স্থাপত্য, দুর্গের খোঁজ মেলে যেগুলি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয়েছে। বইতে তিনি লিখেছেন, বেনুগোপালের মন্দির ভেঙে লোকপুরে গাজি ইসমাইল মাজার তৈরি করা হয়। বীরভূমের মখদুম শাহ দরগায় মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া যায়। গৌরে হিদু-রাজার রাজধানীর উপর ভিত্তি করেই মুসলিম শহর নির্মাণ করা হয়। ছোট সোনা মসজিদ, তাঁতিপারা মসজিদ, লাটান মসজিদ, মখদুম আঁখি সিরাজ চিস্তির দরগাও হিন্দু মন্দিরের উপর তৈরি বলে বইয়ে লিখেছেন গোয়েল।

    বিহার: বইতে গোয়েল লেখেন, এখানে এরকম ৭৭টি মুসলিম স্থাপত্য রয়েছে যার ভিত্তি হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান। ১৫০২ সালে ভাগলপুরে হজরত শাহাবাজের দরগা, ১৬১৭ সালে গয়ার নাদিরগঞ্জে শাহি মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে। জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয় চম্পানগরের বেশ কয়েকটি মাজার। নালন্দায় বৌদ্ধবিহার নষ্ট করে তৈরি করা হয় বিহারশরিফ। এছাড়াও নানা উদাহরণ রয়েছে।

    দিল্লি: গোয়েলের বইয়ে নানা প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে কুতুব মিনার-সহ প্রায় ৭২টি জায়গায় মন্দির  গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ, দরগা, মাজার। পত্তন করা হয়েছিল নতুন নতুন নগরের।

    দিউ: গোয়েল লেখেন, এই শহরে ১৪০৪ সালে যেখানে জামি মসজিদ তৈরি হয় সেখানে আগে মন্দির ছিল। এর ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে।

    গুজরাট: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, গুজরাটে এরকম ১৭০টি জায়গার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আসাভাল, পাটন এবং চন্দ্রাবতীর মন্দিরগুলি ধ্বংস করে মুসলিম শহর আহমেদাবাদ তৈরি হয়। ভদ্রের প্রাসাদ এবং দুর্গ, আহমদ শাহের জামে মসজিদ, হাইবিত খান কি মসজিদ, রানি রূপমতি কি মসজিদ সবকিছু নির্মাণেই মন্দিরের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছিল।

    গোয়েল লেখেন, ঢোলকা জেলায় বাহলোল খান গাজির মসজিদ ও মাজার এবং বরকত শহিদের মাজার মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়। ১৩২১ সালে, ভারুচের হিন্দু ও জৈন মন্দিরগুলি ধ্বংসের পর, তার উপকরণ ব্যবহার করেই জামি মসজিদ তৈরি করা হয়। ১৪৭৩ সালে দ্বারকায় মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়। রান্দার থেকে জৈনদের বিতাড়িত করে তাঁদের মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। 

    হরিয়ানা: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, ইতিহাসবিদরা হরিয়ানায় মোট ৭৭টি এরকম জায়গার খোঁজ পেয়েছেন। ১৬০৫ সালে ফরিদাবাদে, জামে মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়।  ১৩৯২ সালে নুহতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ১২৪৬ সালে কাইথালে, বলখের শেখ সালাহুদ-দিন আবুল মুহাম্মদের দরগা তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের টিলায় যে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়, সেখানেও মন্দির ছিল। ফিরোজ শাহ তুঘলক আগ্রা থেকে আনা মন্দির সামগ্রী ব্যবহার করে হিসার তৈরি করেছিলেন। 

    হিমাচল প্রদেশ: গোয়েল লেখেন, হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় জাহাঙ্গির গেটটি মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল।

    কর্ণাটক: বইতে গোয়েল লিখেছেন, দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট ১৯২টি জায়গা রয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। বেঙ্গালুরুর ডোড্ডা বল্লাপুরে মুহিউদ্দিন চিস্তির দরগা, কুদাছিতে মখদুম শাহ ওয়ালির দরগা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়। প্রাচীন হিন্দু শহর বিদার ও বিজাপুরকে মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত করা হয়। 

    কেরল: গোয়েলের মতে, ভারতের শেষপ্রান্তের এই রাজ্যে টিপু সিলতানের দুর্গ এবং কোলামে জামে মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের ইঁট, কাঠ, পাথর ব্যবহার করা হয়।

    লাক্ষাদ্বীপ: তিনি লেখেন, লাক্ষাদ্বীপে এখন মুসলিম জনসংখ্যাই বেশি। কিন্তু একদা এখানে হিন্দুদের প্রাধান্য ছিল। এখানকার মহিউদ্দিন পালি মসজিদ, প্রতপালি মসজিদ নির্মাণ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

    মধ্যপ্রদেশ: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশে এরকম ১৫১টি জায়গার সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তিনি লেখেন, কুদসিয়া বেগম ভোপালে যেখানে জামে মসজিদ তৈরি করেন সেখানে একসময় সভামন্ডলা মন্দির ছিল। দামোহে গাজী মিঞার দরগা আগে মন্দিরের জায়গা ছিল। ধর ছিল রাজা ভোজ পরমারের রাজধানী। এটি মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়। কামাল মওলা মসজিদ,লাট মসজিদ,আদবুল্লাহ শাহ চাঙ্গালের মাজার ইত্যাদিতে তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন হিন্দু শহর মান্ডুকে একটি মুসলিম শহর তৈরি করা হয়। জামে মসজিদ,দিলাওয়ার খান কি মসজিদ,ছোট জামে মসজিদ, মতি মসজিদ ইত্যাদি তৈরিতেও মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। 

    মহারাষ্ট্র: গোয়েল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে রয়েছে ১৪৩টি জায়গা, যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয় বা মসজিদ তৈরিতে মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে, আহমেদনগরের অম্বা যোগী দুর্গ, গগ-এর ইদগাহ, করঞ্জের আস্তান মসজিদ, রিতপুরে ঔরঙ্গজেবের জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য। মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দিরকে ভেঙে তৈরি করা হয় ময়না হাজ্জামের মাজার। মুম্বইয়ের জামে মসজিদটিও একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। লাতুরে, মিনাপুরী মাতার মন্দির ভেঙে হয় মাবসু সাহেবের দরগা। সোমেভরা মন্দিরকে ভেঙে সঈদ কাদিরির দরগা, রামচন্দ্র মন্দিরকে ভেঙে পাউনারের কাদিমি মসজিদ তৈরি হয়।

    ওড়িশা: গোয়েলের মতে, সমুদ্রপাড়ের এই রাজ্যে মোট ১২টি মুসলিম স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের চিহ্ন পেয়েছেন ঐতিহাসিকেরা। বালেশ্বরে চণ্ডি মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয় জামে মসজিদ। কটকের শাহী মসজিদের জায়গাতেও আগে মন্দির ছিল।

    পঞ্জাব: গোয়েল লিখেছেন, এখানে ১৪টি ইসলামিক স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে। ভাতিন্ডায় বাবা হাজি রতনের মাজার, লুধিয়ানায় দর মসজিদ, পাতিয়ালায় বাহাদুরগড় দুর্গের ভিতর মসজিদ তৈরি হয় মন্দিরের জায়গায়। জলন্ধরে বৌদ্ধ বিহারের উপর তৈরি হয় সুলতানপুরের বাদশাহি সরাই।

    রাজস্থান: রাজস্থানে এরকম ১৭০টি জায়গার উল্লেখ রয়েছে সীতারাম গোয়েলের বইয়ে। তিনি লিখেছেন, হিন্দু রাজার রাজধানী ছিল আজমের, যা পরবর্তীতে মুসলিম স্থাপত্য রীতির অনুকরণে তৈরি করা হয়। মন্দিরের জায়গাতেই ১২৩৬ সালে মুইনুদ্দিন চিস্তির দরগা তৈরি হয়। ঊষা মন্দির ভেঙে হয় বায়নার নোহারা মসজিদ। বিষ্ণু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয় ভিটারি-বাহারি মহল্লার মসজিদ। শেরগড়ে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করেই হয় শেরশাহ সুরির দুর্গ। লোহারপুরায় পীর জহিরুদ্দীনের দরগা, মাজার, নাগৌরে বাবা বদরের দরগা, সালাওতানের মসজিদ মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। 

    তামিলনাড়ু: গোয়েলের দাবি, দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৭৫টি স্থানের কথা বলা হয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। তিরুচিরাপল্লীতে, নথর শাহ ওয়ালীর দরগা তৈরি হয় একটি শিব মন্দির ভেঙে। কোয়েম্বত্তুর, আন্নামালাই দুর্গ মেরামতের জন্য টিপু সুলতান মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করেছিলেন। চিংলেপুটের আচারওয়াকে শাহ আহমদের মাজার, কোভালামের মালিক বিন দিনারের দরগা একটি মন্দিরের উপর নির্মিত হয়। পাঁচ পদ্মমালাই পাহাড়ের নতুন নামকরণ করা হয় মওলা পাহাড়। একটি প্রাচীন গুহা মন্দিরের কেন্দ্রীয় হলটি মসজিদে পরিণত হয়। 

    উত্তর প্রদেশ: গোয়েলের দাবি, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, মথুরার শাহী ইদগাহ-সহ এই রাজ্যে ২৯৯টি স্থান রয়েছে যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ বা ইসলামিক স্থাপত্য নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। বইয়ে বলা হয়েছে, আগ্রার কালান মসজিদ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। আকবরের দুর্গে,ননদীর তীরবর্তী অংশটি জৈন মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়। আকবরের মাকবারা একটি মন্দিরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইলাহাবাদে আকবরের দুর্গ, মিয়া মকবুল ও হোসেন খান শহিদের মাজার মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। পাথর মহল্লায় মসজিদটি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরকে ভেঙে তৈরি হয়।

    তিনি লেখেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল রাম জন্মভূমির উপর। যা এখন দেশের শীর্ষ আদালতও মেনে নিয়েছে। শাহ জুরান ঘুরির মাজার একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। স্যার পাইগম্বর এবং আইয়ুব পইগম্বরের মাজার একটি বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়, যেখানে বুদ্ধের পায়ের চিহ্ন ছিল। পাভা কারবালাও একটি বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত। গোরখপুরের ইমামবাড়া, লখনউতে  তিলেওয়ালি মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। 

    তিনি আরও লেখেন, মেরঠের জামে মসজিদটি একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে। নৌচণ্ডীর দরগা ছিল নৌচণ্ডী দেবীর মন্দির। বারাণসীতে,জ্ঞানব্যাপি মসজিদটি বিশ্বেশ্বর মন্দিরের উপাদান ব্যবহার করে মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি বিতর্কিত কাঠামোতে একটি শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মথুরার শাহী ইদগাহ কৃষ্ণের জন্মভূমির উপরেই তৈরি, বলে বইতে দাবি করা হয়েছে।

    গোয়েল তার বইয়ে লিখেছেন যে তাঁর উল্লেখ করা তালিকাটি অসম্পূর্ণ। এটা শুধু একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ মাত্র। 

  • Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja) গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী। বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই এই পুজো করে থাকেন মহিলারা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পুজো করে থাকেন।

    আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। রথযাত্রা (Rath Yatra) থেকে উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। এবছর, ২ জুলাই শনিবার এবং ৫ জুলাই মঙ্গলবার পালন করা হবে এই বিপত্তারিণী ব্রত।

    বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। তবে, বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা নিয়ম নিষ্ঠা করে পালন করতে হয়। তবে না জেনে এই বিপত্তারিণী পুজো করলেই হতে পারে চরম বিপদ। 

    আরও পড়ুন: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

    বিপত্তারিণী পুজোর নিয়মবিধি—

    • বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়। 
    • এই দুদিন নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এমনকি, বাড়ির সকল সদস্যেরও নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত। 
    • যারা ব্রত পালন করবেন, পুজোর দিন চালের জিনিস যেমন ভাত, চিড়ে, মুড়ি একদমই খাওয়া উচিত নয়। 
    • বিপত্তারিণী ব্রত পালনের জন্য ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি, ১৩টি এলাচ সহ নৈবেদ্যের প্রয়োজন হয়।
    • বিপত্তারিণী পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল তাগা বা ডুরি। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডুরি (চলিত কথায় ডোর) তৈরি করতে হয়।
    • এই ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করতে হয়। বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।  
    • পুজো শেষের পর খাদ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও ১৩টি খাবার খেতে হবে, যেমন – ১৩টা লুচি, ১৩ রকমের ফল, ইত্যাদি। 
    • পুজো চলাকালীন পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। এর ফলে দেবী রেগে যেত পারে। বাড়িতে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
    • বিপত্তারিণী পুজোর সময় কিছু ভুল হলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। 
    • ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দিতে হয়। পুজোর পরে শুনতে হবে বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। 
    • বিপত্তারিণী পুজোর সময়ে কাউকে অপমান করবেন না। ভুল করে কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হন।
    • বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। বিশ্বাস, এদিন চিনি দিলে সংসারে অশান্তি ও আর্থিক সংকট দেখা যায়।
    • কোনও অন্ধকার-অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। এতে দেবী রুষ্ট হন এবং ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়।
    • বিপত্তারিণী পুজোর দিন নিকট সদস্য ছাড়া কাউকে টাকা ধার দেবেনও না, নেবেনও না। বিশ্বাস করা হয় যে, এই সময় প্রদত্ত অর্থ ফেরত আসে না।

    আরও পড়ুন: যোগিনী একাদশী কবে জেনে নিন, ব্রত পালনের নিয়মবিধি জানেন তো?

  • International Yoga Day: “যোগ জীবনে শান্তি আনে” আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভিমত মোদির

    International Yoga Day: “যোগ জীবনে শান্তি আনে” আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভিমত মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাসন জীবনের অংশ নয়, উপায় হয়ে উঠেছে। অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (8th International Day of Yoga) কর্নাটকের মাইসুরু প্যালেস (Mysuru Palace) থেকে এই বার্তাই দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করেন তিনি। মঙ্গলবার কর্নাটকের (Karnataka) মাইসুরু প্যালেসে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে উপস্থিত ছিলেন মোদি। উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Vasavaraj Bommai), ছিলেন সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। যোগ দিবসের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

    এদিন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (World Yoga Day) শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই ভাষণে যোগাসনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন সকলকে অবহিত করেন। জনগেণর উদ্দেশে তিনি বলেন, “যোগাসন আমাদের জীবনে শান্তি আনে। এই শান্তি শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, যোগব্যায়াম আমাদের সমাজ, দেশ, বিশ্ব এবং মহাবিশ্বে শান্তি আনে।” এরপর মোদি যোগ দেন যোগব্যায়াম কর্মসূচিতে।

    [tw]


    [/tw]

    এবারের যোগ দিবসের থিম ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি’ (Yoga for humanity)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যোগা সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয়।”  যোগ শক্তি বিশ্ব স্বাস্থ্যকে দিশা দেখাচ্ছে। বর্তমানে যোগব্যায়াম বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন যোগব্যায়াম মানুষকে সুস্থ জীবনের আস্থা দিচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘গার্ডিয়ান রিং অফ যোগ’-এর ব্যবহার এখন সারা বিশ্বে করা হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে এবং সূর্যের গতিবিধির সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ যোগব্যায়াম করছে। শুধু মাইসুরু প্যালেস নয়, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে দেশের ৭৫টি জায়গায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে।

    দেশের ৭৫টি ঐতিহাসিক স্থানে যোগাভ্যাস করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। দিল্লির লোটাস টেম্পলে এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar), যন্তর মন্তরে নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman), নাগপুরে নিতিন গডকড়ি (Nitin Gadkari), জয়সলমেরে গজেন্দ্র শেখাওয়াত। এছাড়াও দিল্লিতে রবিশঙ্কর প্রসাদ, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ও হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

  • Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) পাঠানো নিয়ে বড় ঘোষণা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space Research Organisation)। পরের বছরেরই অর্থাৎ ২০২৩ সালে গগনযান পাঠাবে ইসরো। এই প্রথমবার ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। এই মিশনে ভারতের তিনজন মহাকাশচারী থাকবেন। ২০২০ সালেই গগনযান পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে এটি বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবারে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) জানিয়েছেন যে, পরের বছরেই ইসরোর গগনযান মহাকাশে পাঠানো হবে। এই প্রথমবার মহাকাশচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। গগনযানের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পৃথিবার কক্ষপথে মানুষ পাঠানো। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন কর্মসূচিতে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ২০২৩ সালে গগনযান পাঠানোর আগে চলতি বছরেই তিনটি পরীক্ষামূলক যান পাঠানো হবে। এই তিনটি পরীক্ষামূলক যান হবে মানবহীন, তবে এতে একটি মহিলা রোবট পাঠানো হবে। এই ‘হাফ-হিউম্যানয়েড’ (মানব) রোবট ভ্যোমিত্র (Vyommitra) মহাকাশ থেকে ইসরোকে নানান তথ্য পাঠাবে। এছাড়াও জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে, ইসরো একটি ‘স্পেস ডকিং পরীক্ষা’ চালাবে। দুটি পৃথকভাবে উৎক্ষেপিত মহাকাশযানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকেই স্পেস ডকিং বলা হয়েছে। মহাকাশচারীদের সুবিধার জন্যে এবার মহাকাশে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করতে চায় ভারত। ২০২০ সালে ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান কে সিভান (K Sivan) জানিয়েছিলেন, এই গগনযান মিশন শুরু হওয়ার পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই মহাকাশে ভারতীয়দের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করা হবে। যার ফলে ভারতীয় মহাকাশচারীরা পৃথিবীর নীচের দিকের কক্ষপথে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবে।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    ২০২৩ সালে এই গগনযান পাঠানো ছাড়াও আরও দুটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এবং আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এই দুটি মহাকাশযানের একটি চাঁদের উদ্দেশ্যে ও অন্যটি সূর্যকে লক্ষ্য করে যাবে। আদিত্য এল-১ এটি ভারতের প্রথম সৌর মিশন হতে চলেছে। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করেছে। ২০২৩ সাল ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন নজির গড়ে তুলতে চলেছে। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্যই হল মিশন ‘গগনযান’।

     

     

  • Ambubachi 2022: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    Ambubachi 2022: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi)। লোককথা অনুসারে, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় চরণ শেষ হলে ধরিত্রী মাতা ঋতুমতী হন। এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এই সময় মাটি কাটা, জমিতে লাঙ্গল চালানো যায় না। এই সময় সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এই তিন দিন বিশেষভাবে নিত্য পূজা সম্পন্ন হলেও মন্দিরের দরজা কখনও জনসাধারণের জন্য খোলা হয় না।

    চলতি বছর অম্বুবাচীর তারিখ (Ambubachi Mahotsav 2022)

    অম্বুবাচী শুরু- ২২ জুন ২০২২ (৭ আষাঢ় ১৪২৯)

    অম্বুবাচী সমাপ্ত- ২৬ জুন ২০২২ (১১ আষাঢ় ১৪২৯)

    ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ  আসামের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya Devalaya)। যেখান থেকেই এই অম্বুবাচী পালনের সূত্রপাত। অম্বুবাচীর সময় আসামের কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম এই কামাখ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। একান্নটি খন্ডে বিভক্ত হওয়া দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল এখানে। এর ইতিহাস সুদূরপ্রসারী। 

    অম্বুবাচীর প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। অম্বুবাচীর প্রবৃত্তির তিনদিন পর হয় অম্বুবাচী নিবৃত্তি।

    পঞ্জিকা মতে আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ গ্রামবাংলায় এই আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পিঠে-পায়েস বানানোর রীতি আছে এই সময়। বিধবা মহিলারা এই সময় তিন দিন ধরে ব্রত পালন করে থাকেন।

    আরও পড়ুন: বাড়িতে তুলসী মঞ্চ সঠিক নিয়মে রেখেছেন তো? নয়তো হতে পারে অমঙ্গল!

    শাস্ত্র অনুসারে, অম্বুবাচীর তিন দিন যেকোনও মাঙ্গলিক কার্য বা শুভ কর্ম, যেমন – বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, উপনয়ন, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজও এই সময় বন্ধ থাকে। জমিতে কোনও রকম খোঁড়াখুড়ি থেকে বিরত থাকা হয়। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর নিবৃত্তির পর আবার জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়। 

    মনে করা হয়, বৈদিক যুগে কৃষিকাজ ছিল সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তি। তাই ধরিত্রীকে মাতৃরূপে পুজো করা হত। বর্ষায় সিক্তা পৃথিবী নতুন বছরে নতুন ফসল উত্পাদনের উপযোগী হয়ে ওঠে। তাই এই সময় কিছুদিন চাষাবাদ বন্ধ রাখা হয়। আষাঢ় মাসের শুরুতে পৃথিবী বা মাতা বসুমতি যখন বর্ষার নতুন জলে সিক্ত হয়ে ওঠে তখন তাকে ঋতুমতি নারী রূপে গণ্য করা হয়। তাই ধর্মীয় আচার হলেও অম্বুবাচীর সঙ্গে প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থা জড়িয়ে রয়েছে। অম্বুবাচী একটি কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠানও। এর অর্থ ধরিত্রীর উর্বরাকাল।

    এই সময় মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। অম্বুবাচীর এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। এই সময় মহিলারা সন্তান প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন মাতৃমন্দিরে বিশেষ করে কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা করে থাকেন।

  • Amarnath yatra 2022: অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়

    Amarnath yatra 2022: অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল তুষারতীর্থ অমরনাথ যাত্রার (Amarnath yatra) প্রস্তুতি। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশ প্রশাসন। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রশাসন। প্রতিটি যাত্রীকে এবার আধারকার্ড (Aadhar Card) নম্বর জমা দিতে হবে।

    অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। অমরনাথ যাত্রীদের আধার কার্ড নম্বর জমা করতে হবে। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আধারকার্ড ফর গুড গভর্নেন্স রুলস ২০২০-র রুল ৫ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে, যেসব তীর্থযাত্রী অমনাথ যাত্রায় অংশ নিতে চান, তাঁদের কাছে আধার কার্ড থাকতে হবে বা আধারের প্রমাণ দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    করোনা আবহে দু বছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবার ফের হচ্ছে। যাত্রা শুরু ৩০ জুন। চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারই অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    প্রশাসনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। যাত্রার নিরাপত্তার জন্য আধিকারিকদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সময় মতো আধিকারিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। পরিবহণ, থাকার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্য, দোকান, খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে পঞ্চতরণী পর্যন্ত হেলিকপ্টার চালানো হবে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে। এই পঞ্চতরণী থেকে ৬ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছতে হবে অমরনাথ গুহায়। আগাম বুকিং ছাড়া কেউ অমরনাথ যেতে চাইলে জম্মু ও শ্রীনগরে গিয়ে বুকিং করতে পারবেন। পারমিটের জন্য পেমেন্ট করা যাবে অনলাইনে। আধারকার্ড ছাড়াও যাত্রীদের সঙ্গে থাকতে হবে চলতি বছরের ২২ মার্চের মধ্যে চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ৪টি পাশপোর্ট সাইজের ছবি। বয়সের ক্ষেত্রেও রয়েছে কড়াকড়ি। যাত্রায় অংশ নিতে পারবে না ১৩ বছরের নীচের কেউ। ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বেও কেউ যেতে পারবেন না তুষারতীর্থ দর্শনে। যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না ছ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী কোনও মহিলাও।

     

  • Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi murmu)। রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর জয়ে উল্লসিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা পা রাখতে চলেছেন রাইসিনা হিলসে (Raisina Hills)। দ্রৌপদীর ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

    রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএর প্রার্থী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। যশবন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন। বৃহস্পতিবার ফল বেরিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মমতা। শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু অভিনন্দন জানাতে চাই। সংবিধানের আদর্শ রক্ষা করার জন্য ও গণতন্ত্রের রক্ষক হওয়ার জন্য দেশ আন্তরিকভাবে আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখবে। দেশের গণতন্ত্র যখন একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে তখন আপনার ওপরে মানুষের আশা অনেক।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, দুই টিএমসি সাংসদ ও একজন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। দুই টিএমসি সাংসদ ও ৪ জন বিধায়কের ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী ঐক্যের স্ব-নিযুক্ত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর নিজের বিধায়কদের ওপরই রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, ভয় দেখানো সত্ত্বেও সমস্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধায়ক শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    এদিকে, দ্রৌপদীর জয়ে উল্লসিত জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, এদিকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধামসা-মাদল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্তকে প্রার্থী করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। শরদ পাওয়ার, ফারুখ আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি না হওয়ায় শেষমেশ যশবন্তকে প্রার্থী করা হয়। ভোটের ফলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন যশবন্ত। শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির দ্রৌপদী।

  • Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর জল শুকিয়ে গিয়ে প্রায় ৩৪০০ বছরের পুরনো  প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হল ইরাক থেকে। ঘটনাটি ইরাকের কুর্দিস্তানের (Kurdistan ) কেমুন(Kemune)নামক শহরের। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেড়েছে ,ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে ইরাকের সবচেয়ে বড় নদী টাইগ্রিসের (Tigris River) জল কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে প্রাচীন এই শহর।

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষগুলি ব্রোঞ্জ যুগের বলেই ধারণা করা হয়েছে। টাইগ্রিস নদীর জল খরায় শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ব্রোঞ্জ যুগের প্রায় অনেক ধ্বংসাবশেষই এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান (German) ও কুর্দি (Kurdish) প্রত্নতাত্ত্বিকদের (archaeologist) একটি দল সেখানে খনন কাজ করেছে। গবেষকদের ধারণা, এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের  (Mittani Empire) আমলের ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। জার্মানির (Germany) ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের  (University of Freiburg) প্রত্নতাত্ত্বিকরা ও অধ্যাপক ইভানা পুলজিজ (Dr Ivana Puljiz) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে, শহরটি সরাসরি টাইগ্রিসের উপর অবস্থিত হওয়ায়, মিত্তানি সাম্রাজ্যের মূল অংশ বর্তমান উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সঙ্গে এর পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    এর আগেও এই অঞ্চলের খননকার্য শুরু হলেও জলাশয়ের জল বেড়ে যাওয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেটি তখন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু এবারে জলাধারের জলের স্তর অনেকটাই নেমে যায়, তারপরেই গবেষকরা এই হারিয়ে যাওয়া শহরের সন্ধান পান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানায়, প্রাচীন শহরটির সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধ্বংসাবশেষটিকে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন এবং স্থানটিকে নুড়ি দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছিলেন যাতে কাদামাটির দেওয়াল রক্ষা করা যায়। তবে বর্তমানে জলের স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং শহরটি এখন আবার ডুবে গেছে। আবার কবে এই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস জেগে উঠবে, তা এখন সময়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

  • India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সীমান্তে। ভারতের সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। তার পরেও প্রায়শই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। এভাবেই ভারতীয় সেনা ও দেশের নিরাপত্তার উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন বলে অনুমান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। সেনা সূত্রে খবর, চিনা বাহিনী বহুবার পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, গত তিন থেকে চার সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনের বিমান ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। বায়ুসেনা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তারা বাড়তে দেবে না বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এই এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা দেখার উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, “জে-১১ সহ চিনা ফাইটার জেটগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি উড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে ১০ কিলোমিটার কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার (সিবিএম) লাইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এই উস্কানিগুলির একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিগ-২৯ এবং মিরাজ ২০০০ সহ সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমানগুলিকে উন্নত ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করেছে যেখান থেকে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে চিনা কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়। তবে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। সীমান্তের কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখতে পেলেই তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে ভারতীয় বায়ুসেনা। আঘাত হলে তার প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে বলে দাবি বায়ুসেনার।

  • Gautam Adani: বিল গেটসকে টপকে  বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আদানি, দশম স্থানে মুকেশ 

    Gautam Adani: বিল গেটসকে টপকে  বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আদানি, দশম স্থানে মুকেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চতুর্থ ধনী (Rich) ব্যক্তি কে জানেন? তিনি থাকেন এই ভারতেই (India)। বিশ্বের এই অন্যতম ধনকুবেরের নাম গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তাঁর সম্পত্তির বহর ছাপিয়ে গিয়েছে মার্কিন ধনকুবের মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের (Bill Gates) সম্পত্তিকেও।

    প্রতিবছর বিভিন্ন ধন কুবেরের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে ফোরবেস রিয়্যাল টাইম। বৃহস্পতিবার তাদের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায় চার নম্বরে নাম রয়েছে ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা। ধনী ব্যক্তিদের ওই তালিকায় নাম রয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসেরও। তবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আদানির চেয়ে কম। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতার সম্পত্তির পরিমাণ ৮ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও এক ভারতীয়ের। তবে তিনি রয়েছেন তালিকার দশম স্থানে। তিনি আর কেউ নন, রিলায়েন্স জিওর মুকেশ আম্বানি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন : বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    আদানি চতুর্থ স্থানে থাকলেও, প্রথম স্থানে নেই কোনও ভারতীয়। ধনকুবেরদের এই তালিকায় প্রথম স্থানটি দখল করেছেন টেলসা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার কোটি টাকায় ট্যুইটার কিনে নেওয়ার কথা হয়েছিল মাস্কের। এই তালিকায় মাস্কের পরে রয়েছেন আরও দুজন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আদানি। বর্তমানে বন্দর, খনি ও গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে তাঁর। গত তিন বছরে আদানি সাতটি বিমানবন্দর ও ভারতের এয়ার ট্রাফিকের এক চতুর্থাংশ জায়গায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। তাঁর গ্রুপ দেশের সব চেয়ে বড় বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক ও শক্তি উৎপাদক। এদিকে, গ্যাডটের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ইজরায়েলের একটি বন্দরের টেন্ডার পেয়েছেন বলে জানান আদানি।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

     

LinkedIn
Share