Blog

  • Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Tripura bypoll) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন চার আগরতলা, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর আর সুরমা কেন্দ্রে উপনির্বাচবন হবে। ২৬ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

    কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, উপনির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ জুন । মনোনয়ন স্ক্রুটিনী হবে ৭ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৯ জুন। ২৩ তারিখ হবে ভোটগ্রহণ এবং ২৬ জুন হবে ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার কেন্দ্রে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। 

    বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা দলত্যাগ করায় যথাক্রমে ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা ও বরদোয়ালি আসন দুটি। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে, প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মারা যাওয়ায় যুবরাজনগর আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    উপনির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷  বিজেপির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ বিনোদ সোনকর ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক সেরেছেন। আগামী বছর দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই উপনির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। 

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন ত্রিপুরার নব-নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Tripura CM Manik Saha)। সম্প্রতি, বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই উপনির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। 

    নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ত্রিপুরার মানুষ খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। তা সত্ত্বেও, উপনির্বাচনে যে তৃণমূল লড়াই করতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সাংসদ তথা উত্তর পূর্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷’ তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷

    ত্রিপুরার (Tripura) চার কেন্দ্রের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মাকুর, দিল্লির রাজিন্দর নগর এবং ঝাড়খণ্ডের মাদার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসনের ভোটগ্রহণও হবে ২৩ তারিখেই।

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মুখ পুড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission)। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের (CBI probe) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁকে মন্ত্রী পদ সরানোর জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত অনুরোধ করেছে। একইসঙ্গে তদন্তের খাতিরে মামলার সঙ্গে জড়িত যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের স্বাধীনতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

    রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment) মামলায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। 

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। 

    কিন্তু, সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন আদালত যখন রায় দিচ্ছে, তখন মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। সূত্রের খবর, নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ফলে, ৮টার মধ্যে তিনি যে কলকাতায় হাজির হচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। 
    তবে, এদিনই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। 

    তার আগে, আদালতের রায় নিয়ে পরেশকে প্রশ্ন করা হলে, রায় সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরেশ বলেন, ‘‘এ প্রসঙ্গে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়নি। যে হেতু কোর্টের বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে কোনও উত্তর দিতে পারছি না। কোর্টের কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না। যা কিছু বলা হচ্ছে, সে তো একতরফা ভাবে বলা হচ্ছে। কোর্টের কাগজ হাতে পাওয়ার পরে নিশ্চয়ই জবাব দেব।’’

    এদিকে, নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পরেশকে ফোন করা হলেও সে সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ফোন বন্ধ করা ছিল বলে দাবি। এর পর সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রীকে মেসেজ করেন। তাতে জানতে চাওয়া হয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তিনি কখন কলকাতায় সিবিআই দফতরে আসছেন? ওই সূত্র মারফত খবর, পরেশের জন্য রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    পরেশ অধিকারীর মেয়ের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জালিয়াতির মামলা কোন দিকে এগোয়, এখন দেখার সেটাই।

  • Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের (Udaaipur Tailor Murder) সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। উদয়পুর দর্জি খুন নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা এবং রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। বৃহস্পতিবার সচিন বলেন, “এরা মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। খুনের নৃশংসতায় সবাই হতবাক। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তাদের বিচার হবে এবং খুব শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। বিষয়টি গোটা দেশের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।” 

    আরও পড়ুন: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে 

    জয়পুরে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই এমন মন্তব্য করেছেন সচিন পাইলট। উদয়পুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবারই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিন সচিন জানান, রাজস্থান পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দর্জি খুনের ঘটনায় পাকিস্তান যোগ রয়েছে, এই দাবি আগেই করেছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন্দ্র যাদব ৷ 

    সচিন পাইলট এদিন আরও বলেন, “পাঞ্জাব, কাশ্মীরের মতো রাজস্থানও সীমান্ত রাজ্য। এই ঘটনায় সীমান্তের ওপারের যদি কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা বিষয়টির শেষ অবধি যাব। অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদেরও রেয়াত করা হবে না।” 

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা মৃতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই বিষয়ে কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে বর্ষীয়ান আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

    নুপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে  কানহাইয়া লাল সাহু নামের এক দর্জিকে দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতিরা। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও- ও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।  

    ঘটনাকে জঙ্গি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot)। তিনি জানিয়েছেন, “এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন জড়িত ৷ দোষীদের অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে এবং সে বিষয়ে কোনও দেরি করা হবে না।”

     

  • Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে এবার আদিবাসী কোনও মহিলাকে বসিয়ে চমক দিতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ফের কোনও মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে পারে দেশ।

    ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে রামনাথ কোবিন্দের। তাই শাসক তো বটেই বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উজিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলতিভাবে যাতে প্রার্থী দেয়, সেই জন্যই ওই তৎপরতা।

    বিরোধীরা যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা টের পেয়েছে দেশের শাসক দলও। হাত গুটিয়ে বসে নেই তারাও। একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কয়েকদফা আলোচনা শেষে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নামের একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি ওড়িষার বিজেপি নেত্রী। এক সময় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বিরোধীদের আদিবাসী-বিরূপতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে বিজেপি। তাছাড়া, চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাত সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দ্রৌপদীকে রাইসিনা হিলসে পাঠানো গেলে ওই রাজ্যগুলির আদিবাসী ভোট এসে পড়বে গেরুয়া ঝুলিতে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যার সুফলও ফলবে বলে দাবি শাসক শিবিরের।

    দ্রৌপদী ছাড়া আরও একজন রয়েছেন রাইসিনা হিলসের দৌড়ে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল। বর্তমানে তিনি যোগীরাজ্যের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন। তবে চব্বিশের মহারণের আগে দ্রৌপদীকেই রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

  • Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পুলিশ কেন হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে? সোমবারই তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) মামলা দায়ের করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিনা নোটিসে তাঁর অফিসে কেন পুলিশি হানা? প্রশ্ন তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার হবে এই মামলার শুনানি।

    শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনকড়

    পদমর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসে হানা দিতে গেলে আগাম নোটিশ জারি প্রয়োজন। অথচ রবিবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। কার্যালয়ে থাকা লোকজন বাধা দিলেও, পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, আগাম নোটিস, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হানা দেয়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বাজি ধরে শুভেন্দুকে। একদা বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে ‘হেরে’ যান মমতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার(opposition leader) দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কার্যালয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেত্রীরই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। সেই কারণেই সার্চ ওয়ারেন্ট এবং আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হানা দেওয়া হয়েছে তাঁর কার্যালয়ে।

    আরও পড়ুন : ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

     

     

  • Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships 2022) ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী (Tokyo Olympics) নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সোনা। রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নীরজকে। তবে কোনও পদকই তাঁকে তৃপ্ত করে না বরং জেতার নেশা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানালেন ২৪ বছরের নীরজ। এবার রুপো পেলেও সামনেরবার বুদাপেস্টে বসবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানে আরও ভাল খেলে সোনাজয়ই পাখির চোখ নীরজের। 

    আগামী মাসেই নীরজ নামবেন কমনওয়েলথ গেমসে। তবে রয়েছে চোট-শঙ্কাও। নীরজ বলেন, “এদিন চতুর্থ থ্রো আরও দূরত্বে যেতে পারতো। কিন্তু জ্যাভলিন ছুড়তেই উরুর কাছে, কুঁচকিতে যন্ত্রণা অনুভব করি। সে কারণে পরের দুটি থ্রোয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারিনি।” উরুতে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে রেখেছেন শক্ত করে। ঠিক কী হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে, নীরজের আশা, এই চোট তাঁর কমনওয়েলথ গেমসে নামার পথে বাধা তৈরি করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    এদিনের খেলা প্রসঙ্গে নীরজ বলেন, “পরিস্থিতি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সামনের দিক থেকে হাওয়া আসছিল। একে কঠিন প্রতিযোগীরা রয়েছেন, সেই সঙ্গে আবহাওয়ার এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেয়। তবে আমি মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, ভালো থ্রো আসছেই। আমি প্রথম তিনটি ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বড় থ্রো আসেনি। ফলে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও যেভাবে কামব্যাক করেছি তাতে ভালো লাগছে।” ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি নীরজ। এর আগে ২০০৩ সালের প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপে লং-জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ (Anju Bobby George)। 

    নীরজ জানান, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও চাপ অনুভব করেননি। সেরাটা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। নিজের সেরা সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি ট্র্যাকে নামেন।  প্রতিবার কোনও অ্যাথলিটই সোনা জিততে পারেন না। কিন্তু নিজের সেরাটা উজাড় করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়, বলে জানান নীরজ। 

     

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে। যদিও ভারতে (India) এখনও থাবা বসাতে পারেনি এই বিরল ভাইরাল রোগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মতো ছোঁয়াচে নয় এই রোগ। তাই গোটা বিশ্বের এই রোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।

    কোভিড (Covid-19) কার্যকরী কমিটি এনটাগি-র (NTAGI) চেয়ারপার্সন ডাঃ এনকে আরোরা এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই রোগ তা চিন্তার বিষয়। যদিও ভারতে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না সেদিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। ডাঃ আরোরা বলেন, “কোভিড ১৯- এর মতো এই রোগের ওপর নজরদারি চালাতেও বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্য কোনও রোগ আছে তাদের জন্যে মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে এই রোগ।” 

    মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে এমন কোনও দেশ থেকে ভারতে আসছেন যাঁঁরা, তাঁদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আরোরা। তিনি বলেন, “মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এমন দেশ থেকে যাঁরা এদেশে আসছেন তাঁদের বিষয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে।” 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ধীরে ধীরে ‘কোভিড’ নামের অভিশাপ থেকে সেরে উঠছে বিশ্ব। তার মধ্যেই আবার এক নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বাড়ছে।

    সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে। মাঙ্কিপক্সের প্রথম কেসটি ধরা পড়েছিল ৭ মে। লন্ডনে এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই কেসটি ধরা পড়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রোগের আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই রোগ আফ্রিকায় দেখা গেলেও তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ফের করোনার মতোই ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে। 

     

  • Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল চতুর্থ কোয়াড সম্মেলন (Quad Summit)। জাপানের রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)।

    বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে প্রধান ছিল করোনা (Covid-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific Ocean Region) চিনের মোকাবিলা। বৈঠকের শেষে চিনের (China) বিরুদ্ধে একজোট হলেও রাশিয়ার (Russia) ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত কোয়াড। পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও জাপান সরব হলেও, চুপ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত (India)।

    বৈঠকের শুরুতেই বাইডেন জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যাতে বিভিন্ন দেশ অবাধে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে কোয়াড। তাঁর কথায়, “ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলা দেখিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কত জরুরি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে ধ্বংস করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কখনও ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।”

    অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গে চুপ থেকে কোয়াড বৈঠকে মোদি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে কোয়াড। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চায় এই গোষ্ঠী এর ফলে সকলেই বুঝতে পারবে, কোয়াড (QUAD) মানুষের কল্যাণ চায়।” পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে আছে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং অর্থনীতি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করেছে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে আরও সাহায্য করবে। তার ফলে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।” 

    তবে, বৈঠকের শেষে রাশিয়া-প্রসঙ্গে চার দেশের তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইনগুলি মেনে চলা। কখনওই তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। যাবতীয় বিভেদ মেটাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথই শ্রেয়, বলে মনে করে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে একমত হতে না পারলেও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেওয়ার কথা জানায় চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা যদি চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কোয়াড সম্মেলনে। করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রসঙ্গেও চিনের সমালোচনা করেন তিনি।

LinkedIn
Share