Blog

  • Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি গরমেই ফের এক বার গোটা বিশ্ব করোনার ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইজরায়েলের (Israel) বেন-গুরিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ben-Gurion University) গবেষকেরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ (Science of The Total Environment) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি। তাতে বেন-গুরিয়েনের ভাইরোলজির (Virology) একদল গবেষক বলেছেন, সাধারণত ভাইরাসের কোনও প্রজাতি যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তা পূর্ববর্তী প্রজাতিকে ধ্বংস করেই নিজের বিস্তার ঘটায়। ডেল্টার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুতে ইজরায়েলের বির-শিবা শহরের নিকাশির জলে পাওয়া করোনাভাইরাসের নমুনায় দেখা গিয়েছে, সেখানে ওমিক্রনের পাশাপাশি রয়েছে ডেল্টা প্রজাতিও। নিজেদের মডেল অনুযায়ী গবেষকদের অনুমান, ওমিক্রনের উপস্থিতি কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত মুছে যাবে। কিন্তু তখনও ডেল্টা প্রজাতি নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখবে। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে ডেল্টার হানায় নতুন করে বড় মাপের সংক্রমণের শিকার হতে পারে অনেক দেশই।

    এই মডেলিং স্টাডিতে বলা হয়েছে যে গরমের কারণে ওমিক্রনের (Omicron) সমস্যা হয়তো কমতে পারে। কিন্তু ডেল্টা বা অন্যান্য নতুন কোনও স্ট্রেন এক্ষেত্রে তৈরি করে দিতে পারে সমস্যা। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একটা নতুন স্ট্রেন আসলে পুরনো স্ট্রেন ধ্বংস হয়ে যায়। ডেল্টার (Delta) ক্ষেত্রে প্রথমে তাই হয়েছিল মনে হলেও পরে দেখা যায় তা সত্যি নয়। এমনকী ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি আসার পরও ঘটনা ঘটেছে অন্যরকম। এই গবেষণায় বিভিন্ন দিক দেখা হয়েছে। এমনকী মডেলিং-এর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে যে সমস্যা হতে পারে ঠিক কোন ভাইরাসের জন্য। এবার সেই গবেষণায় বলা হচ্ছে, যখন ডেল্টা এসেছিল, তখন আগের সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের পাঠ চুকে যায়। অপরদিকে ওমিক্রন (Omicron) কিন্তু ডেল্টার দিকে এই কাজটা করতে পারেনি। তাই এবার গরমেও ডেল্টার বাড়াবাড়ি হতেই পারে।

    তাই এখনই করোনার প্রকোপ কনতে পারে বা এটি স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশির রূপ নেবে ভাবলে ভুল করবে সাধারণ মানুষ, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। দেশেও প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তাই সকলকে সতর্ক থাকার আবেদন জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তরফে কোভিড-বিধি মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে।

    কোভিশিল্ড টিকার নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা মনে করছেন, করোনা নিয়ে ভীতি অনেকটা কমে যাওয়ার জন্য বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারও মেনে নিয়েছে যে, প্রথম দু’টি ডোজের টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, সতর্কতামূলক (বুস্টার) ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। এই প্রসঙ্গে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে এত দ্রুত আত্মতুষ্টিতে ভোগা উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে, অতিমারি এখনও শেষ হয়নি। তাই বছরে অন্তত একটি বুস্টার নেওয়া উচিত প্রত্যেকের।’’ পুনাওয়ালার দাবি, দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে বুস্টার ডোজ অনেক বেশি কার্যকর।

  • Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভিসা মামলায় বিপাকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে কার্তিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সিবিআই সদর দফতরে ঢোকার সময় কার্তি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই ভুয়ো। তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভুয়ো।’’

    সিবিআই সূত্রের খবর, চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।

    এই অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শুধু তাই নয়, কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্করমণকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভাস্করমণকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কার্তিকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

    যদিও কংগ্রেস (Congress) সাংসদের সাফ কথা, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আমি জীবনে একজন চিনা নাগরিককেও ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করিনি।” কার্তির অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বলেই কেন্দ্র সরকার তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছে।

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    প্রসঙ্গত, এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। তার আগে ২০১৭ সালে সিবিআই ওই মামলায় কার্তিকেও গ্রেফতার করেছিল।

  • Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতের তরফে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life term) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার (Act of war) অভিযোগ এনে ইয়াসিন মালিকের ফাঁসির দাবি করেছিল এনআইএ। ফাঁসি না হলেও ওই অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বুধবার প্রাক্তন জেকেএলএফ (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেন, ‘কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির হত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তার জোরেই আমি যে কোনও মন্তব্য করতে পারি। আমি কোনও ক্রিমিনাল নই।’ 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, সেই তালিকায় রয়েছে– কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়ন। ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকজন অফিসারকে হত্য়া। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকালপে মদত। জঙ্গিদের আর্থিক মদত। হুরিয়ত কন্ফারেন্স, হিজবুল মুজাহিদিন, দুক্তার-ই-মিল্লাত এর মতো সংগঠন উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা তুলেছিল। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ইয়াসিনের।

    এনআইএ-র দাবি, হুরিয়ত (Hurriyat) নেতাদের সঙ্গে মালিক তৈরি করেছিল জয়েন্ট রেজিস্টান্স নামে একটি সংগঠন। তারাই কাশ্মীরে বন‍্‍ধ, প্রতিবাদ সভা, রাস্তা রোখার মতো কার্যকলাপ করত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই টাকা ইয়াসিন বিলি করত পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে। এনআইএর চার্জশিটে নাম রাখা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। 

    আরও পড়ুন: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। দেশের ৭ প্রধানমন্ত্রীর সময়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে অস্ত্রত্যাগের পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি মেনে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই এগিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতিরই অংশ আমি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ করুক কোনও হিংসার বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে আমি জড়িত কিনা! রাজনীতি থেকে অবসর নেব, মৃত্যুদণ্ডও মাথা পেতে নেব।”

    এদিকে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে কাশ্মীরে বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোথাও যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় সেকারণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়।  ইতিমধ্য়েই কাশ্মীরের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। মান্যতা দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে।

    এসএসসি-র নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিন সেই নির্দেশকেই সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সাতটি মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত এবং অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

    এদিন এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই। এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার কোনটাই এসএসসির পক্ষে যায়নি। এদিন রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, সরকারি নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে৷ এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হয়নি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ৷ এমনকি, বিতর্কিত ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ করা বা ফেরত দিতে বলার সিদ্ধান্তেও কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

     

  • Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Case) ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে। রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি উদয়পুর হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুর শহরের ধানমান্ডি এলাকায় দোকানে ঢোকে কুপিয়ে খুন করা হয় কানহাইয়া লাল তেলিকে ৷ গোটা ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া ৷ এই খুনের দায়ে ধৃত মহম্মদ গাউসের সঙ্গে যোগ ছিল পাকিস্তানের চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামের। 

    ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে দাওয়াত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা ইলিয়াস আত্তারি। সুন্নি মুসলিমদের এই সংগঠন নিজেদের নবী মহম্মদের বাণী প্রচারকারী একটি অলাভজনক সংস্থা বলে দাবি করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৯৪টি দেশে এই সংগঠন ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তারি যোগ করেন। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজও তার নামের সঙ্গে আত্তারি ব্যবহার করেন।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান থেকে এই সংগঠনের প্রতিনিধি দল ভারতে প্রবেশ করে। আলোচনার মাধ্যমে ভারতে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে মুম্বই ও দিল্লিতে এই সংগঠনের দফতর ছিল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা সৈয়দ আরিফ আলি আত্তারি ভারতে প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা করছে। দাওয়াত-ই- ইসলামির মতাদর্শ প্রচারের জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। মাদানি নামের এই টেলিভিশন চ্যানেলে উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলাতে অনুষ্ঠান প্রচার করে। নবীর জন্মদিনে এই সংগঠনটি মুসলিম প্রধান অঞ্চলে মিছিল বের করে।

    গত তিন দশকে দাওয়াত-ই-ইসালামির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই সংগঠন শরিয়া প্রচারের জন্য ৩২টি ইসলামিক কোর্স চালু করেছে। এই কোর্সগুলো অনলাইনেও করা যায়। অভিযোগ, এই কোর্সের মাধ্যমে দাওয়াত-ই-ইসলামি ধর্মান্তরিত করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়। কট্টর মুসলিম তৈরি করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত এই সংগঠনের উগ্র প্রচারক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। খুনের পর দুই অভিযুক্ত আজমির শরিফ যাচ্ছিল বলে সন্ত্রাস দমন শাখার পুলিশ জানিয়েছে।

  • Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-৭ বৈঠকে (G7 summit) যোগ দিয়ে পশ্চিমের দেশগুলিকে ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বার্তা, গত শতাব্দীতে জার্মানি (Germany) এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। ভারত তখন পরাধীন ছিল। সেই কারণে সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে (4th Industrial revolution) পিছিয়ে থাকবে না ভারত। তারাই এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার সকালে জার্মানি পৌঁছেছেন মোদি (Modi in Germany)। এ বারের বৈঠকের জন্য জার্মানিতে দু’দিন কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গেও মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।

    রবিবার, মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার  প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী কংগ্রেসকে (Congress) আবার কোণঠাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এদিন বলেন, “ভারতীয়দের ডিএনএতে রয়েছে গণতন্ত্র। কিন্তু ৪৭ বছর আগে জরুরি অবস্থা (1975 Emergency) জারি করা ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন।” তাঁর কথায়, “আজকের ভারত হল উন্নয়নের ভারত।” মোদি বলেন, “ভারত এখন প্রস্তুত, প্রস্তুত এবং অধৈর্য। ভারত অধৈর্য, ​​উন্নতির জন্য, উন্নয়নের জন্য। আজকের ভারত ‘চলছে-চলবে’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজকের ভারত করছি-করতে হবেতে বিশ্বাস রাখে।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের প্রায় সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কোভিডের (COVID-19) ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভারতের ভ্যাকসিন (Indian vaccine) গোটা পৃথিবীকে দিশা দেখিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এছাড়াও ডিজিটাল টেকনলজিতে দেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গেও কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে জানান, গত ২ বছর ধরে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। দেশের গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায় খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদি বলেন, “আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি গ্রাম সড়কপথে সংযুক্ত। আজ ভারতের ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে রান্নার জন্য গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আজ ভারতের প্রতিটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। ” এদিন ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্রময় ভারতের বার্তা দেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেন। এইসঙ্গে উন্নয়নের খতিয়ান দেন।

    জলবায়ু, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসাম্য এবং গণতন্ত্র-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠক  হয়। ভারত এই গোষ্ঠীর দেশ নয়। অন্য কয়েক বছরের মতো, এ বছরও পর্যবেক্ষক বা আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে অংশ নিয়েছে ভারত। এ বছর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ ( German Chancellor Olaf Scholz)। সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মোদির। মঙ্গলবার জার্মানি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

  • Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পড়াশোনা করতে আফগানিস্তানের ছাত্রদের ভিসা পুনরায় দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাবে তালিবান। আফগান ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের এই আশ্বাস দিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছাত্রদের তিনি আশ্বাস দেন তাঁরা শীঘ্রই ভারতে এসে নিজেদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। এ বিষয়ে দ্রুত ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলবে তালিবান,  জানিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। 
     
    বর্তমানে ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৩ হাজার আফগান ছাত্র পড়াশোনা করে। করোনার কারণে ভারত থেকে তাদের মধ্যে ২ হাজার জন আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যায়। তালিবানরা দেশ দখল করে। ফলে ভারত সরকার আফগান ছাত্রদের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। করোনার সময় ক্লাস চলছিল অনলাইনে। তাই অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। তাই,অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছে আফগান ছাত্ররা।

    আরও পড়ুন: দলাই লামাকে মোদির ফোন! জন্মদিনে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর দীর্ঘায়ু কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোভিডের পর ভারত সরকারের তরফ থেকে ই-ভিসার কথা ঘোষণা করা হলে বহু আফগান পডুয়া আবেদন জানায়। আজ প্রায় সাত মাস হল, ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিচ্ছে না বলে দাবি আফগান ছাত্রদের। ই-ভিসা দিতে দেরি করায় কয়েকদিন আগে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় শতাধিক পড়ুয়া। তাদের সকলের হাতেই ছিল পোস্টার। ছাত্রদের দাবি,পড়াশোনার সঙ্গে রাজনীতি করা উচিত নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ পড়ুয়ার মতে, আফগানিস্তানে যেহেতু শাসন ক্ষমতায় বদল ঘটেছে, সে কারণে ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিতে দেরি করছে। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    গত আট মাস ধরে কয়েক হাজার আফগান পড়ুয়া ভারতে আসতে পারছেন না। তাই এই বিষয়ে তালিবান সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন ছাত্ররা।  বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানান, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁদের শিক্ষার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে শীঘ্র কথা বলা হবে। 

  • Shaadi.com: বিয়ের বাজারে সবথেকে বেশি চাহিদা কোন পাত্রের জানেন? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Shaadi.com: বিয়ের বাজারে সবথেকে বেশি চাহিদা কোন পাত্রের জানেন? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএএস, আইপিএস নয়, শাদি ডট কমে (Shaadi.com) সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ‘কি ওয়ার্ড’ কী জানেন? স্টার্টআপ ফাউন্ডার। নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন এমন মানুষদেরই নাকি এখন বিয়ের বাজারে দর সবথেকে বেশি। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। 

    ডিজিটাল ইডিয়া সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে তিনি জানতে পেরেছেন শাদি ডট কমে সবথেকে বেশি স্টার্টআপ ব্যবসায়ী পাত্রদের খোঁজ চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “খুব বিশ্বস্ত এক জায়গা থেকে জানতে পেরেছি শাদি ডট কমে আইপিএস, আইএএস, টাটা-বিড়লায় চাকুরে নয়, খোঁজা হচ্ছে স্টার্টআপ কোম্পানির মালিকদের (Startup Founder)।”

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    যদিও মন্ত্রী মজা করেছেন না, সত্যিই এই কথা বলেছেন তা জানা যায়নি।

    [tw]


     [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi ) গুজরাটের গান্ধীনগরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২ (Digital India Week 2022)- এর সূচনা করেছেন। এর মূল ভাবনা ভারতের কারিগরি কৌশলকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা করেন। প্রযুক্তির সহজ লভ্যতা ও সহজে পরিষেবা প্রদান করে জীবনযাত্রার মান সহজ করতে এবং স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগগুলি চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা, স্টার্টআপ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মন্ত্রী পল স্কালির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব চন্দ্রশেখর। এই সাক্ষাৎ পর্বে মূলত নতুন ভারতের স্টার্টআপস এবং ব্যবাসায়িক উদ্যোগে নতুন নতুন যে ভাবনা-চিন্তার আমদানি হয়েছে এবং তার জেরে যে সাফল্য এসেছে সে বিষয়ে কথা হয়। এছাড়াও স্টার্টআপ-এর এই যুগে কীভাবে প্রযুক্তি একটা নির্ভরযোগ্য ও দিশা বদলে দেওয়ার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে তাও তুলে ধরা হয় এই আলোচনায়।     

     

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

  • Professor: করোনাকালে ক্লাস হয়নি, বিবেকের তাড়নায় মাইনে ফেরালেন অধ্যাপক

    Professor: করোনাকালে ক্লাস হয়নি, বিবেকের তাড়নায় মাইনে ফেরালেন অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেত্রিশ মাস না পড়ানোর যন্ত্রণা! বেতনের (Salary) ২৪ লাখ ফেরালেন অধ্যাপক (Professor)। বললেন, যে পরিশ্রম করিনি, তার পারিশ্রমিক নেব কেন?

    করোনা (Corona) অতিমারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে বন্ধ ছিল শিক্ষাদান পর্ব। কোথাও কোথাও হাতে গোণা কিছু দিনের জন্য অনলাইনে ক্লাস হয়েছে ঠিকই, তবে তা নাম-কা-ওয়াস্তে। কোথাও স্মার্ট ফোনের অভাবে ক্লাস করতে পারেনি পড়ুয়া, কোথাও আবার অনলাইনে ক্লাস করাতে অনীহা খোদ শিক্ষকেরই! ক্লাস না হওয়ায় পড়ুয়াদের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। অথচ নিয়মিত মাইনে পেয়েছেন শিক্ষকরা। হ্যাঁ, অবসর যাপন করেই!

    আরও পড়ুন : পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

     ডক্টর লালন কুমার। বিহারের মুজফফরপুরের নীতিশ্বর কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। বিবেকের তাড়নায় কলেজের রেজিস্ট্রারের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজের ২ বছর ৯ মাসের বেতন বাবদ পাওয়া প্রায় ২৪ লাখ টাকা। ওই অধ্যাপক বলেন, দু বছর ন মাস ধরে আমি ক্লাস করিনি। পড়ুয়াদের ক্লাস নিইনি। তাই বেতন নিতে পারব না। সেইজন্যই কলেজকে ফিরিয়ে দিয়েছি বেতন বাবদ পাওয়া ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের গল্প এখন ফিরছে লোকের মুখে মুখে।

    আরও পড়ুন : ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    কাজ না করেই যেখানে মাইনে তোলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে একশ্রেণির শিক্ষকের, সেখানে এই শিক্ষকের বিবেকের তাড়না দেখে অভিভূত নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান সমাজে এমন ঘটনা বিরলতম। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক যখন কলেজের রেজিস্ট্রারকে টাকা ফেরত দিতে গিয়েছেন, তখন তিনি প্রথমে রাজি হননি চেক নিতে। শেষমেশ অধ্যাপকের জোরাজুরিতে চেক নেন তিনি। 

    কলেজের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই অধ্যাপক। বলেন, কলেজে নিয়োগের পর থেকে এখানে পড়াশোনার পরিবেশ আমি দেখিনি। হিন্দি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা ১১০০। অথচ তাদের উপস্থিতি শূন্য। করোনা অতিমারির সময় অনলাইন ক্লাস চালু হলেও, পড়ুয়ারা তাতে অংশ নেয়নি। বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন।

    শাস্ত্রে বলে, বিদ্যা বিনয়ং দদাতি। সেই বিনয়ের বেনজির দৃষ্টান্ত গড়লেন বিহারের লালন কুমার! মাস্টারমশাই হয়ে বেতের আঘাত করলেন সমাজের বিবেকে! 

LinkedIn
Share