Blog

  • Jammu-Kashmir: কাশ্মীরে ব্যাংক ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত জঙ্গি নিহত

    Jammu-Kashmir: কাশ্মীরে ব্যাংক ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত জঙ্গি নিহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার (Vijay Kumar) নামে কুলগামের (Kulgam) ব্যাংক ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত-সহ দুই লস্কর-ই-তৈবা (Laskar-e-Taiba) জঙ্গিকে খতম করল পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ (Jammu-Kashmir) সূত্রে খবর, রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে দুই লস্কর জঙ্গি।

    কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার ট্যুইট করে জানান, দুই নিহত জঙ্গির একজন হল জান মহম্মদ লোন। শোপিয়ানের (Shopian) বাসিন্দা এই যুবক জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার নামে কুলগামের এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের খুনে অভিযুক্ত এই জঙ্গি।

    [tw]


    [/tw]

    মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনার যৌথবাহিনী এবং আধাসেনা শোপিয়ানের কানজুল্লার গ্রামে তল্লাশি চালায়।  গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল, এলাকায় কিছু জঙ্গি ডেরা রয়েছে। এই খবর পেয়েই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। এরপর তাঁরা জঙ্গিডেরায় ঢুকে পড়ে। এদিকে, সেনার উপস্থিতি টের পেতেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা এবং নিরাপত্তা বলয় ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে বলে সূত্রের খবর। যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি চালানো হয়। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    মধ্যরাতেই কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, রাতভর গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জান মহম্মদ নামে এক জঙ্গিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কুলগামের আরে গ্রামে রাজস্থান নিবাসী ব্যাংক ম্যানেজারকে খুনে জড়িত ছিল এই জান মহম্মদ। দ্বিতীয় জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি।

    প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan) বাসিন্দা বিজয় কুমার এল্লাকুয়াই-দেহাতি ব্যাংকের ম্যানেজার পদে ছিলেন। এই ব্যাংকের সদর শ্রীনগরে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অধীন এই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে গত ২ জুন খুন করে জঙ্গিরা। তার চারদিন আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

  • Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : আনুমানিক এক হাজার বছর পর আবার চারটি গ্রহ একসঙ্গে , একই লাইনে রয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সূর্যোদয়ের আগে, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি-সহ চারটি গ্রহ পূর্ব দিগন্ত থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে সরল রেখায় দৃশ্যমান ছিল। আগামী ৩০ এপ্রিল তথা শনিবার আবার এই ঘটনা ঘটবে। গ্রহগুলি পৃথিবীর কাছে থাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।
    সূর্যোদয়ের ঠিক আগে শনিবার দিগন্ত রেখা বরাবর  আকাশে চোখ রাখলে শুক্র এবং বৃহস্পতি গ্রহকে একসঙ্গে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। শুক্র বৃহস্পতির ০.২ ডিগ্রি দক্ষিণে থাকবে। এর আগে ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল দূরবীন বা টেলিস্কোপ ছাড়াই বৃহস্পতি, শুক্র, মঙ্গল এবং  শনিকে এক লাইনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের পাঠানি সামন্ত প্ল্যানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, এই ধরনের ঘটনা প্রায় ১,০০০ পর ঘটল। বেশ বিরল। এর আগে ৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষবার এমন হয়েছিল। এই ধরণের ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’ নামে পরিচিত। সৌরজগতের গ্রহগুলি আকাশের একই অঞ্চলে এক সরলরেক্ষায় সারিবদ্ধ হলে এমনটা বলা হয়। 
    জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতি নীচে বামদিকে সবার প্রথমে থাকবে। এর পরে শুক্র, তারপর মঙ্গল এবং তারপর শনি থাকবে। এই সময়ে, বৃহস্পতিকে দেখা সবচেয়ে কঠিন হতে পারে কারণ এটি দিগন্ত রেখার ঠিক উপরে থাকবে এবং সেখানে সাধারণত গ্রহের আলো কমে যায়। 
    শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, “সাধারণত তিন ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড হয় ৷ সূর্যের একপাশে একাধিক গ্রহ সাধারণত তিনটি গ্রহ একটি রেখাতেই থাকে ৷ এই মহাজাগতিক সমাবেশ প্রায়শই হয়ে থাকে ৷ বছরের অনেক দিন এমনটা দেখা যায় ৷” তিনি জানান, চারটি গ্রহের একই লাইনে থাকাটা হয় বছরে একবার ৷ পাঁচটি গ্রহের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে প্রতি ১৯ বছরে একবার ৷ আটটি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করার বিরল ঘটনা ১৭০ বছরে একবার হয়ে থাকে ৷ এ বিষয়ে পট্টনায়ক বলেন, “দ্বিতীয়ত প্ল্যানেট প্যারেড, একই সময়ে আকাশের একটি ছোট্ট অংশে একাধিক গ্রহ জমায়েত করে ৷ পৃথিবী থেকে তাদের দেখা যাক বা না যাক, আমরা একেও প্ল্যানেট প্যারেড বলি ৷ এরকমটা শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল এবং ২০২০ সালের জুলাইতে ৷ সেবার সৌরজগতের সবক’টি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করছিল ৷ সন্ধ্যার আকাশে খালি চোখেই তা দেখা গিয়েছিল ৷”
    তৃতীয় প্ল্যানেট প্যারেড প্রসঙ্গে পট্টনায়ক বলেন, “এক্ষেত্রে চারটি গ্রহ খুব কাছাকাছি একই জায়গায়, এক রেখায় থাকে। এর ফলে গ্রহগুলি উজ্জ্বল দেখায়। ২০২২-র এপ্রিলে শুক্র,মঙ্গল,বৃহস্পতি এবং শনির এক সারিতে অবস্থানটি তৃতীয় ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড ৷ এরকমটা হয়েছিল ৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে, প্রায় এক হাজার বছর আগে ৷”

     

  • Modi on Yoga Benefits: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    Modi on Yoga Benefits: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day)। তার আগে দেশের জনগণকে যোগ সাধনার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ যোগ। এই গতিশীল বিশ্বে, এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং শান্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।”   

    [tw]


    [/tw]

    ‘যোগা ইন আওয়ার ডেইলি লাইভস’ নামের একটি সিনেমাও নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “শেষ কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যোগ ব্যয়াম। কোম্পানির সিইও, অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়, সবাই দৈনিক যোগাভ্যাস করেন।” 

    আরও পড়ুন: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে রবিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আগামী দিনে গোটা বিশ্ব পালন করবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। আমি সবাইকে এই দিনটি পালন করার অনুরোধ করব। যোগকে নিজের জীবনের অংশ করে নিন।”

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগে বরফের মাঝে যোগ, অনুশীলনে ITBP

    এবছর অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এবছরের থিম ‘মানবতার জন্যে যোগ’। কোভিড মহামারীর সময়ে কী ভাবে মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে যোগ, তা বর্ননা করা হয়েছে এবছরের থিমে। থিমটি বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক। গোটা বিশ্ব জুড়েই পালিত হবে যোগ দিবস। মূল প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটি হবে কর্নাটকের মাইসুরুতে।      

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এবছরের যোগ দিবসের থিমের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি। গত বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম ছিল ‘সুস্থতার জন্য যোগ’। 

    ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। তারপর থেকেই প্রতিবছর পালন হয়ে আসছে এই বিশেষ দিনটি। ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যোগ সাধনা। এখন এই সাধনা ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে সমাদৃত। এই ঐতিহ্যকেই বিশ্ব দরবার আরও জনপ্রিয় করতেই কেন্দ্রের এই প্রয়াস।

  • 5G Spectrum: স্পেকট্রাম নিলামের অনুমতি মন্ত্রিসভার, ভারতে আসছে ৫জি?

    5G Spectrum: স্পেকট্রাম নিলামের অনুমতি মন্ত্রিসভার, ভারতে আসছে ৫জি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ৫জি (5G) স্পেকট্রাম নিলাম (spectrum auction) আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হল টেলি যোগাযোগ দফতরকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই অনুমতি দিয়েছে। এই নিলামের মাধ্যমেই দেশে ৫জি পরিষেবা (5G service) শুরুর দায়িত্ব বিলি করা হবে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে।

    সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে মোট ৭২, ০৯৭.৮৫ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রাম নিলাম করা হবে। মন্ত্রিসভার দাবি, ৫জি পরিষেবা পুরানো ৪জি পরিষেবার তুলনায় ১০ গুণ গতি সম্পন্ন হবে। এই নিলামে ভোডাফোন (vodafone), এয়ারটেল  (Airtel) এবং জিও (Jio) অংশ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ঠিক কবে থেকে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : স্থানীয় পরীক্ষা করে তবেই ভারতে ছাড়া হবে ৫জি স্মার্টফোন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    বর্তমানে দেশে মিলছে ৪জি পরিষেবা (4G service)। তাই নিলামের তারিখ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না কবে থেকে মিলবে ৫জি পরিষেবা। বেশ কিছু দিন আগে একবার টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Baishnaw) জানিয়েছিলেন, অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে চালু হয়ে যাবে ৫জি পরিষেবা। স্পেকট্রাম নিলাম প্রক্রিয়া মিটলেই বাকি কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ৫জি এলে খরচ আগের তুলনায় ঢের বাড়বে বলেও শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন : আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি

    ৫জি নিলামের (5G spectrum auction) তারিখের অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল দেশের মোট ১৩টি শহরে প্রাথমিকভাবে চালু হবে এই পরিষেবা। এই শহরগুলি হল, কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, গুরগাঁও, পুণে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, লখনউ, হায়দ্রাবাদ, জামনগর, আহমেদাবাদ এবং গান্ধীনগর। ইতিমধ্যেই ওই শহরগুলিতে ট্রায়াল সাইট বসানো হয়েছে। এই ১৩টি শহরে কাজ শেষ হওয়ার পরেই আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।  

    প্রসঙ্গত, ৫জি কার্যকর করতে বছর তিনেক ধরে লাগাতার কাজ করে চলেছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে রয়েছে দিল্লি আইআইটি, বম্বে আইআইটি, কানপুর আইআইটির মতো নামী প্রতিষ্ঠানও।

     

  • Supreme Court: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি  নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদ, রক্ষণাবেক্ষণ ও খোরপোশ সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন আইন নিয়ে মামলার পিটিশন জমা পড়ে। এরপরই বেঞ্চ বলে যে এটা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অনেক দিক। এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন কেন্দ্র হলফনামা দাখিল করে। 

    শীর্ষ আদালতে দাখিল করা পিটিশনগুলিতে দত্তক এবং অভিভাবকত্ব, অভিন্ন উত্তরাধিকার এবং বিবাহের অভিন্ন বয়স সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। পিটিশনগুলির মধ্যে একটিতে লিঙ্গ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে দাম্পত্য জীবনের নানা সমস্যায় বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভরনপোষণের  কী ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ও আরেক আবেদনকারী লুবনা কুরেশি বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের জন্য যে বর্তমানে বিয়ে, ডিভোর্স, উত্তরাধিকারের ভিন্ন আইন রয়েছে সেটা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিপাত করেন।

    আরও পড়ুন: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে হিন্দু, খ্রিস্টান ও পার্সিদের বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে, যদিও মুসলিমদের সেই নিয়ম নেই। আবার হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কারণ হতে পারে বন্ধ্যত্ব কিন্তু ক্রিস্টান ও পার্সিদের ক্ষেত্রে সেই আইন খাটবে না। একই ভাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুদের নির্দিষ্ট আইন আছে কিন্তু অন্য ধর্মে তা নেই। সব ধর্মের মহিলাদেরও সমান অধিকার থাকা উচিত বলে আবেদন করেন উপাধ্যায়। তিনি পিটিশনে বলেন, স্বাধীনতার বহু বছর পর এবং সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসেবে ভারতের উত্থানের পরও বিবাহ বিচ্ছেদ ও খোরপোশ সংক্রান্ত আইনগুলি খুব জটিল। এই আইনগুলি সংবিধানে উল্লেখিত সমতা, যৌক্তিকতা, এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। বৈষম্যমূলক রক্ষণাবেক্ষণ এবং খোরপোশ নারীদের কাছে পুরুষতান্ত্রিক ধারণাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে। এরপরই আদালত বলে,অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কি আদৌ সম্ভব? তা নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র তার মতামত জানাক। তারপর শীর্ষ আদালত আইনের বিষয়টি দেখবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Supreme Court: চেক বাউন্স হলে কে দায়ী, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: চেক বাউন্স হলে কে দায়ী, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেক বাউন্সের ঘটনা নিয়ে এবার এক জরুরী ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বলা হয়েছে, চেকের ফর্ম ফিল আপ যেই করুক না কেন, যিনি চেকে সই করেছেন, তিনিই সেই চেকের দায়িত্বে থাকবেন। সেক্ষেত্রে চেক বাউন্স হলেও সেটির সমস্ত দায়ভার স্বাক্ষরকারীর।

    অনেক সময়ই চেক বাউন্সের ঘটনা সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সই করেছেন একজন ও ফর্ম ফিলাপ করেছেন অন্যজন। এই ক্ষেত্রে চেক বাউন্স হলে কে তার দায়ভার নেবে এই নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছিল, এবার এই বিতর্ক শেষ করে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চে একটি চেক বাউন্সের মামলা চলছিল। আর এই মামলা চলাকালীন তাঁরা জানালেন, চেক বাউন্স হলে দায়িত্ব স্বাক্ষরকারীর।

    এই মামলায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, তিনি একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক কেবল সই করে দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর সেই চেক বাউন্স হলে পরে দিল্লি হাই কোর্ট এক হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞকে চেকটি পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়। চেকটি ফিল আপ ও সই একজনই করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়।

    আরও পড়ুন: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    আর এরপরেই আসল সত্য জানা গেল, চেকটি যে ফিল আপ করেছেন আর যে স্বাক্ষর করেছেন, দুজনেই আলাদা। আর এই প্রসঙ্গেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, রিপোর্ট অনুসারে চেকটি ফিল আপ যদি অন্য কেউও করে থাকেন কিন্তু যিনি সেটিতে সই করেছেন, তাঁকেই এই চেকটির দায় নিতে হবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, চেকটিতে যিনি স্বাক্ষর করেছেন এবং সেটি তিনি অন্য কাউকে দিয়েছেন, ফলে এই ক্ষেত্রে তিনিই দায়বদ্ধ হবেন।

    উল্লেখ্য, মে মাসেই সুপ্রিম কোর্ট তিনজন বিচারপতি এ নাগেশ্বরা রাও (L Nageswara Rao), বিআর গাভাই (BR Gavai), এস রবীন্দ্র ভাট (S Ravindra Bhat)-দের নিয়ে একটি বিশেষ আদালত গঠন করে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে অনেক চেক সংক্রান্ত মামলা জমে রয়েছে। তাই এই মামলাগুলি দ্রুত শেষ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এই পদক্ষেপ নেয়। চেক বাউন্সের এই মামলাগুলি তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্যে এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট অনেকগুলি নির্দেশিকা জারি করেছিল। এবং কেন্দ্রকেও অনুরোধ করেছিল যে এমন ধরণের মামলার ক্ষেত্রে এক নিশ্চিত আইন তৈরি করতে হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Apple iPhone 2007: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    Apple iPhone 2007: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা তো আইফোন বলতেই পাগল। তবে আপনি কী অ্যাপেলের ফাস্ট ভার্সনের আইফোন এখন কিনতে ইচ্ছুক? সম্প্রতি এই আইফোন কেনার ঘটনাই জানা গেল। তবে এই ফোনটি হাজার হাজার টাকায় কেনা হয়নি। কেনা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকায়। জানা গিয়েছে, অ্যাপেল আইফোনের (Apple IPhone) ফার্স্ট জেনারেশন ২০০৭-এর একটি সিলড প্যাক ৩৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হল আমেরিকার একটি নিলামে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ।

    ২০০৭ সালের ৯ই জানুয়ারি, সান ফ্রান্সিসকোতে অ্যাপলের সিইও স্টিভ জোবস, এই টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই ফোনটিতে টাচ স্ক্রিন, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিসুয়াল ভয়েস মেল ও একটি ওয়েব ব্রাউজার ছিল। ২০০৭ সালে আমেরিকাতে এই মোবাইলটি লঞ্চ করা হয়েছিল। তখন ৪ জিবির এই ফোনটির দাম ছিল ৪৯৯ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার ও ৮জিবি মেমরির এই ফোনের দাম ছিল ৫৯৯ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮ হাজার।

    আরও পড়ুন: চিন নয়, এবার ভারতেই আইফোন-১৪ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল অ্যাপেল

    জেডডি নেটের (ZDNet) সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, ওই ফোনের ৮জিবি মেমোরির মডেলটি ৩৫,৪১৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৭৯ টাকা। নিলাম কর্তৃপক্ষ, আরআর অকশন (RR Auction) থেকে বলা হয়েছে, ফোনের বাক্সে অনেক বড় করে ফোনটির একটি ছবি আছে এবং ১২টা আইকনেরও ছবি দেওয়া আছে।

    এই নিলামে কম্পিউটার হার্ডওয়ারের নিলাম ছিল, যার মধ্যে প্রায় ৭০টি জিনিস বিক্রি হয়েছে। ১৮ অগাস্ট নিলাম বন্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি এই নিলামে একটি অ্যাপল ওয়ান সার্কিট বোর্ডও দেখানো হয়েছিল, যেটি ৬৭৭,১৯৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। একটি অব্যবহৃত প্রথম জেনারেশনের ৫ জিবির অ্যাপল আইপডও  ২৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৭ই সেপ্টেম্বর অ্যাপেল আরেকটি ফোন অ্যাপেল ১৪ লঞ্চ করতে চলেছে। 

    আরও পড়ুন: হ্যাক হতে পারে অ্যাপল ওয়াচ, টিভি এবং ম্যাক! সতর্কবার্তা জারি কেন্দ্রীয় সংস্থার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Visakhapatnam: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    Visakhapatnam: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় বিপত্তি বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam)। গ্যাস লিক করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অন্তত ৫০ জন কর্মী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের কাছে, আনাকাপাল্লে জেলার ব্র্যান্ডিক্স নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কাপড়ের কারখানায়। অসুস্থ কর্মচারীদের সকলেই মহিলা। তাঁদের মধ্যে অনেকে গর্ভবতীও। তাঁদের হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত দু’মাসে ওই শিল্পাঞ্চলে এটি দ্বিতীয় গ্যাস লিকের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন টি রামারাওয়ের কন্যা কে উমা মাহেশ্বরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

    আনাকাপাল্লের পুলিশ সুপার জানান, ব্র্যান্ডিক্স নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে। ওই শিল্পাঞ্চলে কাজ করেন কয়েক হাজার মহিলা। কারখানায় কাজ চলাকালীন আচমকাই কর্মীরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সকলেই বমি করতে থাকেন। তখন গ্যাস লিকের ব্যাপারটি নজরে আসে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসুস্থ কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না-হওয়ায় অন্তত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার পরই দ্রুত সিল করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। বাইরের সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্বে আটকে দিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অন্ধ্রপ্রদেশ পলিউশন বোর্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার তদন্ত করে দেখবেন।

    আরও পড়ুন: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    গত ৩ জুনেও ওই শিল্পাঞ্চলে একটি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছিল। অন্তত ২০০ জন মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়েছিলেন সেই ঘটনায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর আধিকারিকেরা জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মে বিশাখাপত্তনমে বন্ধ কারখানা থেকে স্টাইরিন গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাজারেরও বেশি। এই বিপর্যয় মনে করিয়ে দিয়েছিল ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি। ১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর মিথাইল আইসোসায়ানাইড গ্যাস লিক হয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মৃত্যু হয় মোট ৩,৭৮৭ জনের। অসুস্থ হয়েছিলেন ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

  • Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আবাসনেই চারটি ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটিই বেনামি (Benaami)। কিন্তু আবাসনের সকলেই জানতেন চারটি ফ্ল্যাটের মালকিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির তদন্তে সব তথ্যই জমা পড়েছে। যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছে বা নথিভূক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসূত্র কী তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, পুরো আবাসনে একমাত্র এই চারটি ফ্ল্যাটে কারা আসছেন, কোনও গাড়ি ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে তা নিরাপত্তা রক্ষীরা রেকর্ড রাখতে পারতেন না। কোনও এক অজানা হাত আবাসনের নিরাপত্তা সুপারভাইজারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে ‘মাই গেট’ অ্যাপ (My Gate App) থেকে এই চারটি ফ্ল্যাটকে বাদ রাখা হয়েছিল। ইডির তদন্তে সেই প্রসঙ্গটিও আতসকাচের নীচে চলে এসেছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে চারটি ফ্ল্যাট ছিল। টাওয়ার-২’তে ১এ নম্বরের ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং কল্যাণ ধরের নামে। টাওয়ার-২তে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দুটি রয়েছে অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টসের নামে। একই টাওয়ারে ১৯আই নম্বরের ফ্ল্যাটটি আশুতোষ শি এবং শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নামে নথিভূক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    ইডি (ED) জেনেছে, বিভিন্ন জনের নামে ফ্ল্যাটগুলি কেনা থাকলেও আসলে সেগুলির নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্পিতা। তদন্তকারীদের সামনে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বেনামি মালিকদের সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সেই সূত্রেই বেলঘরিয়া, চিনার পার্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে লুকনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে ইডি।

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেনামি ফ্ল্যাট কেনা টাকা ঘোরানোর সহজ পথ। কিন্তু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্ল্যাট রাখার মধ্যে অপরাধমূলক মানসিকতা রয়েছে। ইডির দাবি, বহুতল আবাসনের সুরক্ষার জন্য ‘মাই গেট’ নামে অ্যাপ খুবই উপযোগী এবং জনপ্রিয়। এই অ্যাপ আবাসিকদের কাছে থাকে। কোনও ভিজিটর ফ্ল্যাটে আসতে চাইলে মাই গেট অ্যাপের মাধ্যমেই আবাসনের গেট থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি চান। এটা অনেকটা ব্যাঙ্কিং ওটিপি পাঠানোর মতো। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনুমতি দিলে তবেই আবাসনের ভিতর কোনও ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন বা গাড়ি ঢুকতে পারে।

    ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?
     
    তদন্তে নেমে ইডি যখন মাই গেট অ্যাপে অর্পিতার চারটি ফ্ল্যাটে ভিজিটরদের রেকর্ড চান, তখন নিরাপত্তা সুপাইভাইজার জানান, ওই চারটি ফ্ল্যাটে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, কোন গাড়িতে আসছেন তা রেকর্ড রাখা বা জানার অধিকার তাঁদের ছিল না। অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বলে আসলে যা বলা হচ্ছে তা যে আসলে বেনামি তা এবার স্পষ্ট। ইডির তদন্ত শুরু এখান থেকেই। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) টাকা নাকি তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলের কিছু অংশ মিলেছে ডায়মন্ড সিটির (Diamond City) ফ্ল্যাট থেকে। তা হলে পার্থ-অর্পিতাতেই (Partha-Arpita) তদন্ত থামছে না। আরও উপরে উঠবে সেই তদন্ত, এমনই আভাস।

LinkedIn
Share