Blog

  • Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এক এক ঘূর্ণিঝড়ের আবার এক এক নাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন হয়? সম্প্রতি যে ঘূর্ণিঝড়গুলি ভারতের পূর্ব উপকূলে বিশেষ দাগ কেটেছে, সেগুলি হল ‘আয়লা’, ‘আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘ফণী’।
     
    ইতিমধ্যেই ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহল চাড়া দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় এর অর্থ ‘ক্রোধ’। রবিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। 

    রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)-র তথ্য অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে বা বিশ্বজুড়ে একসময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। আর, এই ঘূর্ণিঝড়গুলির জেরে দুর্যোগ একসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে তৈরি ঝড়কে, দুর্যোগের পরিমাণ অনুমান করতে, ঝুঁকি বোঝাতে, কতটা সচেতনতার দরকার তা বোঝাতে, ব্যবস্থাপনা বোঝাতে এবং প্রশমনের সময়কাল বোঝাতেই আলাদা নাম দেওয়া হয়। নাম তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় যে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন। যাতে এই নাম সহজে রেলস্টেশন, উপকূলীয় ঘাঁটি, সমুদ্রে থাকা জাহাজের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীরা ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পেতে পারেন। আর, সেই অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। 

    জটিল অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সনাক্তকরণের যে পদ্ধতি আগে চালু ছিল, তার চেয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে ঝড়ের সম্পর্কে মানুষকে জানানো বা সচেতন করা অনেক সহজ হয়েছে। শুরুর দিকে ঝড়ের নামকরণ করা হত ইচ্ছেমতো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ঝড়ের মেয়েলি নাম ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা পরবর্তীতে আরও সংগঠিত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    ১৯৫৩ সাল থেকে অতলান্তিক নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারে তৈরি তালিকা অনুযায়ী। এমনটাই জানিয়েছে ডব্লিউএমও। বর্তমানে বিশ্বে ছ’টি আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। 

    ভারতের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) হল আরএসএমসিগুলির মধ্যে একটি। স্বভাবতই একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্ব তারও রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরে যখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, আর তার বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন আইএমডি সতর্কবার্তা জারি করে। আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়-বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়।

    বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের এই তালিকাটি লিঙ্গ, রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো দেশগুলোর দেওয়া নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তাইল্যান্ড অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় আসে, তার নাম বদলানো হয় না।

    একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। নামকরণের সময় মাথায় রাখা হয়, সর্বোচ্চ আটটি অক্ষর থাকতে পারবে। কোনও সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে সেই নামগ্রহণ করা হয় না। কোনও জনগোষ্ঠীর আবেগ যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, ঝড়ের নামকরণে সেটাও মাথায় রাখেন আবহাওয়াবিদরা। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে।  

    ভারত থেকে যে নামগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘মেঘ’, ‘আকাশ’। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘হেলেন’ এবং ‘ফণী’। পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’। ‘অশনি’র পর যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নাম হবে ‘সিত্রং’। এই নামটি তাইল্যান্ড দিয়েছে। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’।

     

  • Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবে (Punjab) গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের (Sidhu Moosewala Murder) পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভগবন্ত সিং মানের আপ সরকার (AAP Government)। প্রশ্ন উঠেছে, উপযুক্ত নিরাপত্তা না থাকার কারণেই কি এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল মুসেওয়ালার। যেদিন সিধুর হত্যা হয় তার ঠিক একদিন আগেই পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের ৪২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তা কাটছাঁট করেছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যার জেরেই নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হল ভগবন্ত সিং মানের (Bhagwant Singh Man) সরকার। বাকি ৪২৩ জন বিশিষ্টকে আগের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত ২৯ মে দুই বন্ধু গুরবিন্দর এবং গুরপ্রীতকে নিয়ে বারনালাতে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala)। তখনই রাস্তায় মানসার কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর দেহে ২০টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক একদিন আগেই মুসেওয়ালার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকার। তার পরই এই ঘটনা ঘটায়, আপ সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। শুধু মুসেওয়ালাই নন। গত শনিবারই পাঞ্জাব সরকার খরচ কমাতে ৪২৪ জন ‘ভিআইপি’র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে। এই ব্যাপারে মান সরকারের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান চান, তাই এই সিদ্ধান্ত। যদিও পাঞ্জাব প্রদেশের ডিজিপি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন ছিল তাই নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    অবশেষে জনসাধারণের চাপে, বৃহস্পতিবার আপ সরকারের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জুন থেকে যাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ওপি সিং হাইকোর্টে এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

     

  • Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ দিন, ৬৫ ঘণ্টা, ২৫টা মিটিং।  সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) তিনদিনের ইউরোপ সফরসূচি। 

    তিনদিনের এই ঝটিকা ইউরোপ সফরে (Modi in Europe) তিন দেশের তিন রাজধানীতে তিন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তালিকায় যেমন আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজ, তেমনি আছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসন এবং অবশ্যই আছেন মোদির পুরনো বন্ধু তথা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমান্যুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron), যিনি দ্বিতীয়বার জিতে ফের ফ্রান্সের ক্ষমতায়। 

    ব্যক্তিগত ট্যুইটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাক্রঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ বলে উল্লেখ করে তাঁর ফ্রান্সের সফরসূচি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মূলত ভারত-ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনায় আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ও। যে ইস্যুতে ইউরোপ আর ভারতের অবস্থান আলাদা। ন্যাটো সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ভারত এখনও তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।

    কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যক্তিগত ট্যুইটে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় ইন্ডিয়া-নর্ডিক সামিটের জন্য। যেখানে নর্ডিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকতে পারে দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলোচনায়।

    ইউরোপ সফরের শুরুতেই সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। সেখানে চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজের সঙ্গে প্রথমেই বৈঠক করেন। মূলত আলোচনা হয়েছে দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির দিকেও নজর ছিল বৈঠকে।

    মূলত তিন দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করতেই এই সফর বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন একটা সময়ে ইউরোপ সফরে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপ আর ভারত ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। তার প্রভাব যাতে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নরেন্দ্র মোদির ঝড়ো ইউরোপ সফর। দম ফেলার সময় পাবেন না প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা। কারণ ৩ দিন ৬৫ ঘণ্টা ২৫টা মিটিং।
     
    এমন কঠোর সময়সূচীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হতেও তিনি আগ্রহী। কারণ প্রায় ১০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ই প্রতিদিন ইউরোপকে ভারত (India) দর্শন করায়। 

     

  • Bihar Politics: নীতি-আদর্শ কি জলাঞ্জলি দিয়েছেন? নীতীশকে প্রশ্ন চিরাগের

    Bihar Politics: নীতি-আদর্শ কি জলাঞ্জলি দিয়েছেন? নীতীশকে প্রশ্ন চিরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার কি কোনও আদর্শ আছে নাকি নেই? বিহারের (Bihar) নয়া মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্নই করলেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan)। মঙ্গলবার এনডিএ (NDA) সঙ্গ ছেড়ে ইউপিএর (UPA) হাত ধরেছেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বুধবার অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তার পরেই নীতীশকে তোপ দাগেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান।

    এদিন একটি গাড়িতে করে তেজস্বীকে নিয়ে নীতীশ যান রাজভবনে। তার আগে মঙ্গলবার সেখানে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি।এর পরেই চিরাগ দাবি করেন, বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। তারপর নতুন করে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বেছে নেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রী। গেরুয়া শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, নীতীশ যা চেয়েছেন তাই মেনে নিয়েছিল বিজেপি। তবুও তাদের সঙ্গত্যাগ করলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    চিরাগ প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চিরাগ বলেন, নীতীশ কুমার আবারও জনাদেশকে অপমান করলেন। উনি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন…। তাঁর প্রশ্ন, এটা কী রসিকতা হচ্ছে? চিরাগ বলেন, একবার আপনি একজনের সঙ্গে যাবেন, পরে আর এক দিকে হাঁটবেন। মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আমার আর্জি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। এর পরেই তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন করে জনাদেশ নেওয়া হোক। চিরাগের দাবি, নতুন করে নির্বাচন হলে নীতীশের দল কোনও আসনই পাবে না। চিরাগ রয়েছেন বিজেপির পাশে। তাঁর দল ভেঙে তৈরি হওয়া রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টিও বিজেপির পাশেই থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে, ইস্তফা দিয়েই নীতীশ সটান চলে যান লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। এর পরেই লালু-কন্যা রোহিণী আর্য ট্যুইট বার্তায় লেখেন, রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী।

    আরও পড়ুন :পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

  • India-US Educational Partnership: শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল

    India-US Educational Partnership: শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে উৎসাহী দু’দেশের সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্র এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী দু’দেশের কূটনৈতিক মহল। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। হরিয়ানার ঋষিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সুরেশ প্রভু জানান, আমেরিকা ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  মধ্যে সেমেস্টার করে পাঠদান, ফ্যাকাল্টি পরিবর্তন, একসঙ্গে গবেষণা, যৌথ ডিগ্রি প্রদান প্রসঙ্গে কথাবার্তা হবে। খতিয়ে দেখা হবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা পদ্ধতি।
    আমেরিকার বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জলস, সান-ফ্রান্সিসকো-সহ বিভিন্ন প্রদেশে যাবে ওই প্রতিনিধি দল। সেখানে ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলা হবে। আলোচনা হবে সেখানকার বাণিজ্যিক সংস্থা, শিক্ষাবিদ , গবেষকদের সঙ্গে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের স্বচ্ছ্ব ধারণাও দেবে ওই দল।

  • Horoscope Today, 19 April 2022: ধর্মে মতি বৃষের, প্রেমে বিঘ্ন মকরের! দেখুন আজকের রাশিফল

    Horoscope Today, 19 April 2022: ধর্মে মতি বৃষের, প্রেমে বিঘ্ন মকরের! দেখুন আজকের রাশিফল

    মেষ রাশি

    আপনার সাফল্যের যোগের মধ্যেই হঠাৎ করে বিঘ্ন ঘটবে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সমস্যা কাটাতে হঠকারিতা এডিয়ে চলতে হবে।

    বৃষ রাশি

    দিনটি ভালো যাবে। ধর্মে মতি আসবে আপনার। ফলস্বরূপ আপনি সম্মানলাভ করবেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুশি খোঁজার চেষ্টা করবেন আপনি।

    কর্কট রাশি

    দিনটি ভালো কাটবে। সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে। আপনার সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনি নতুন আলোর সন্ধান পাবেন। রোগমুক্তিও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

    সিংহ রাশি

    আজকের দিনটি আপনার জন্য সুখকর হবে। গৃহসংস্কারের যোগ রয়েছে। সুখ-সমৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে আনন্দো কাটবে আজকের দিনটি। কন্যা রাশি আপনি কাজে উদ্যম পাবেন। আপনার ঋণ পরিষোধ হয়ে যাবে। ফলে্ মানসিক তৃপ্তি পাবেন আপনি।

    তুলা রাশি

    দিনটি শুভদায়ক হবে। সপরিবারে ভ্রমণের যোগ রয়েছে। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে এদিনই সেরে ফেলুন। আপনার দায়িত্ববৃদ্ধি পাবে।

    ধনু রাশি

    আপনার দিনটি শুভ। ধনবৃদ্ধির যোগ রয়েছে আপনার। সৎকার্যে ব্যয় করবেন। সংস্কারমূলক কাজও করবেন। নতুন অর্থনৈতিক সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ায় আপনি অনেক টাকা পাবেন। সেই টাকায় গৃহসংস্কার করতেও উদ্যোগী হবেন।

    মকর রাশি

    আপনার ভাগ্য পরিবর্তনের সময় এসেছে। তাই সমস্ত কাজেই সাফল্য আসবে। তবে প্রেমে বিঘ্ন আসবে। এই পরিস্থিতিতে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। উন্নতি যোগ রয়েছে আপনার।

    কুম্ভ রাশি

    ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। আশার আলো দেখতে পাবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ব্যবসার পাশপাশি চাকরিতে আপনার সাফল্য মিলতে শুরু করবে।

    মীন রাশি

    আপনার দিনটি বাধার ভিতর দিয়ে কাটবে। ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভেবেচিন্তে পা ফেলার চেষ্টা করুন। তবে কারও সহায়তা লাভে কেটে যাবে সমস্যা। সাফল্য পেতে শুরু করবেন।

     

  • Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে চাঁদে পাড়ি দেবে নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেট। কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে উৎক্ষেপণ করা হবে। দীর্ঘ সময়ের পর আবার চাঁদে রকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট এই রকেটটিকে লঞ্চ করা হবে। গত মঙ্গলবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    এই দীর্ঘ মুন রকেটটির দৈর্ঘ্য ৯৮ মিটার। চাঁদে রকেট পাঠানোর এই মিশনটি নাসার আর্টেমিস প্রোগামের (Artemis Programme) বহু-প্রতীক্ষিত একটি মিশন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ফ্লোরিডায় নাসা- র কেনেডি স্পেস সেন্টারের (NASA’s Kennedy Space Center) বিল্ডিং ছেড়ে এটির লঞ্চপ্যাডের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, স্পেস লঞ্চ সিস্টেমটি গত দশ বছরে বোয়িং কোম্পানির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। এই রকেটটি রোলআউটটি করতে প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগবে। যার গতি প্রতি ঘন্টায় ১.৬ কিমি।

    এই রকেটটির ওপরের দিকে একটি নাসা ওরিয়ন অ্যাস্ট্রোনট ক্যাপসুল ( NASA Orion astronaut capsule) বলে অংশ রয়েছে। এটি লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এটি মহাকাশে গিয়ে রকেট থেকে আলাদা হয়ে যাবে ও পরে মানুষকে চাঁদে পরিবহন করতে সাহায্য করবে। এবং মহাকাশচারীদের চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অন্য এক মহাকাশযানের সঙ্গে যুক্ত হবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ৪২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। রকেটটিকে লঞ্চ করার আগেই একটি ব্যাকআপ তারিখ নাসা থেকে ঠিক করা হয়েছে। কারণ যদি ২৯ অগাস্ট খারাপ আবহাওয়ার জন্য রকেটটিকে লঞ্চ করা না যায়, তবে সেই দিনের বদলে ২ ও ৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্য বিলের (University Amendment Bill) ভোট গণনায় বিভ্রান্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) ‘ছাপ্পাশ্রী’ বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  (Suvendu)।  একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাপ্পাশ্রী পুরস্কার দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। শুধুমাত্র সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারই তাঁর প্রতিভার জন্যে যথেষ্ট নয়।”

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপাল নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পদে বসাতে সোমবারই বিধানসভায় পাশ করানো হয় ‘আচার্য বিল’। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিলের বিরুদ্ধে ভোটের দাবি তোলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪০টি। এতেই চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, বিজেপির ৫৭ বিধায়ক বিলের বিপক্ষে ভোট দিলেও কেন ৪০টি ভোট বিপক্ষের বলে জানানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: অবহেলার ছাপ?

    এরপর সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে নেয় রাজ্য সরকার। ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল, মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে একথা স্বীকার করে নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের ফল গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল। এমন ভুল আর হবে না বলেই আশা করছি। তবে কেন এই ভুল হল এর বিভাগীয় তদন্ত হবে।”  

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এরপরেই আরও একটি ট্যুইট করে মমতাকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন,”মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। কিন্তু সেই ভুল ইচ্ছাকৃত হতে তা ভুল বলে বিবেচিত হয় না। ১১ বছর সরকার চালিয়েও বিধানসভায় ভোট প্রক্রিয়া উন্নত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাইরের সব বিধানসভাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা আছে।”   

    [tw]


    [/tw]

    একই বিষয়ে বিমান বন্দ্যোপধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির আরেক বিধায়ক অশোক লাহিড়ীও (Ashok Lahiri)। বিধানসভায় সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনায় ভুলের প্রসঙ্গটি তুলে তিনি বলেন, “কালকের ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে বলেছেন যে, এটা ষড়যন্ত্র। আমি বিশ্বাস করিনি। লোকসভা বা বিধানসভায় ভোট হয়। কিন্তু এমন হয় না। অবহেলা হয় না।” 

    এরপরেই ভুল স্বীকার করেন স্পিকার। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদ বিধায়ক বলেন, “আপনিই আমাদের নেতা। তাই আপনার নির্দেশ শিরোধার্য। আপনি থাকতে এটা কী করে হল? অবহেলা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল বললে চলবে না।” 

  • ED on Amnesty UK: দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্যে ভারতে ৫১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে অ্যামনেস্টি ইউকে, দাবি ইডির

    ED on Amnesty UK: দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্যে ভারতে ৫১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে অ্যামনেস্টি ইউকে, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ বিরোধী কাজের জন্যে ভারতীয় শাখায় ৫১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে অ্যামনেস্টি ইউকে (Amnesty UK)। এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই দেশ বিরোধী কাজের মধ্যে ছিল কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুও। 

    ‘Kashmir: Entry to Justice’, ‘Justice for 1984 Sikh Bloodbath’ – সহ এরকম একাধিক দেশ বিরোধী প্রচার চালিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO)। ইডির দাবি, রফতানির নাম করে এই পুরো টাকাটাই পাঠানো হয়েছে বেআইনিভাবে। দিল্লির বিশেষ আদালতে এমনই তথ্য পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।    

    আরও পড়ুন: অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়াকে ৫২ কোটি টাকা জরিমানা ইডির, পার পেলেন না সংস্থার প্রধানও

    ইডি জানায়, অ্যামনেস্টি ইউকে এআইআইপিএলকে (AIIPL) মানবাধিকার রিপোর্ট প্রস্তুত ও অন্যান্য কাজের নামে ৩৬ কোটি টাকা পাঠায়। ১০ কোটি টাকা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টে পাঠায়। 

    ইডির দাবি, এআইআইপিএল বিভিন্নভাবে দেশ বিরোধীদের বিভিন্ন কার্যকলাপে সাহায্য করত। এমনকি ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার বিষয়টিকে তুলে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ বিষয়টি ভারতে এখনও স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে। আর সেখানেই খোঁচা দিতে চেয়েছিল অ্যামনেস্টি। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আইসিসিইউ রোগী! পার্থকে দেখে বিস্মিত হৃদরোগ চিকিৎসকদের একাংশ  

    জুলাইয়ের ৯ তারিখে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়াকে (Amnesty India) ৫২ কোটি টাকা জরিমানা করে ইডি। সংস্থাকে জরিমানা করেই ক্ষান্ত হয়নি ইডি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান আকার প্যাটেলকেও (Aakar Patel) ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। ফরেন এক্সচেঞ্জ আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইডি। ইডির তরফ থেকে নোটিসও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার প্রধান আকার প্যাটেলের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছিল সিবিআই (CBI)। গত বছর ডিসেম্বর মাসে অ্যামনেস্টি এবং আকার প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট পেশ করেছিল তারা। সেখানেও বিদেশি অনুদান গ্রহণ করা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। তারপরেই লুক আউট নোটিস জারি করে আকার প্যাটেলের বিদেশ সফর আটকে দেওয়া হয়।  

     

  • Bengali Hindu Homeland: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা

    Bengali Hindu Homeland: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা

    মোহিত রায়

     

    পশ্চিমবঙ্গ যুক্ত বাংলার পশ্চিম ভাগের শুধু একটি মানচিত্র মাত্র নয়, এটি বাঙালি হিন্দুর মুক্তির ভাবনা। সাড়ে পাঁচশ বছরের ইসলামী শাসন বাংলার কয়েক হাজার বছরের ধর্ম সংস্কৃতি ভাষাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। বাংলায় তাই নেই কোনও প্রাচীন মন্দির, বৌদ্ধ বিহার। বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণে হিন্দু-বৌদ্ধের বাংলাকে বানানো হয়েছে ইসলাম প্রধান বাংলা। ব্রিটিশ শাসন এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি দেয়, বাঙালির নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায় যাকে বলেছেন “ডিভাইন প্রভিডেন্স বা বিধির আশীর্বাদ”। 

    ১৮৭২ সালের প্রথম জনগণনার পর সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল বাংলায় মুসলমান জনসংখ্যা হিন্দুর চেয়ে কিছু বেশী। ১৯৩১ পর্যন্ত এ পার্থক্য তেমন বেশি ছিল না। ৫৫ শতাংশ মুসলমান, ৪৫ শতাংশ হিন্দু। কিন্তু এই সুযোগেই ব্রিটিশ সরকার আনল ১৯৩৫ সালের সাম্প্রদায়িক চুক্তি বা কমিউনাল অ্যাওয়ার্ড। বাংলার আইনসভায় মুসলমান আসন হল ১৩০ টি। হিন্দু আসন, তফসিলি আসন মিলিয়ে, মাত্র ৯০। 

    এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডাঃ নীলরতন সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। তাঁদের বিবৃতিতে তাঁরা খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে সংখ্যায় মুসলমানরা বেশি হলেও শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যাবসা বানিজ্য সবকিছুতেই হিন্দুরা অনেক এগিয়ে। সুতরাং বাংলার ভালমন্দের সিদ্ধান্ত কেবল জনসংখ্যার মানদণ্ডে হতে পারে না। বাংলার কংগ্রেস, বিশেষতঃ সুভাষচন্দ্র বসু, এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন।

    ১৯৩৫-এর কমিউনাল অ্যাওয়ার্ড মেনে ১৯৩৭-এর নির্বাচন থেকে শুরু হল আবার মুসলিম লিগের ইসলামী শাসন। স্বাধীনতা ও দেশভাগের আবহাওয়ায় তপ্ত হয়ে উঠল বাংলায় ইসলামী অত্যাচার। ১৯৪৬-এর কলকাতার মহাদাঙ্গা ও নোয়াখালীর হিন্দু গণহত্যার পর বাঙালি হিন্দু বুঝে গেল আগামী দিনে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলায় তাদের অবস্থা কী হবে। 

    এগিয়ে এলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সরব হলেন বাংলার মনীষীরা। ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার, রমেশচন্দ্র মজুমদার, ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, শিশির মিত্র, নমশুদ্র নেতা প্রমথরঞ্জন ঠাকুর বললেন বাঙালি হিন্দুর হোমল্যান্ড চাই। এগিয়ে এলেন বাংলার কংগ্রেস নেতারাও, ডাঃ বিধান রায়, অতুল্য ঘোষ। 

    বাঙালি হিন্দুর কয়েক হাজার বছরের ধর্ম সংস্কৃতি বাঁচাতে, হিন্দু নারীর সম্মান রক্ষার্থে, বাঙালি হিন্দুর নিজের বাসস্থানের দাবিতে তৈরি হল পশ্চিমবঙ্গ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভা বাংলা ভারত বা পাকিস্তান যোগদানের প্রশ্নে একমত হল না। তখন হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পশ্চিমবঙ্গ আইনসভা ও মুসলমান প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পূর্ববঙ্গ আইনসভা। 

    পশ্চিমবঙ্গ আইন সভায় সংখ্যাধিক্যের ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ভারতভুক্তি নিশ্চিত হয়। যুক্ত বাংলার সব মুসলমান সদস্যরা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেন, কতিপয় তফসিলি সদস্য ছাড়া সব তফসিলি সদস্য সহ সব হিন্দু সদস্যরা ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দেন। পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে ভোট দেন কমিউনিস্ট জ্যোতি বসু ও রতনলাল ব্রাহ্মণ। বাংলাকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে ভোট দেন মতুয়া গুরু পি আর ঠাকুর।

    ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন এই ভাবনাকে প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার। কেউ বলছেন, আমরা বাংলায় বিভাজন করছি। বিভাজন তো হয়ে গেছে আজ থেকে আটশো বছর আগে যখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আগুনে পুড়িয়ে বখতিয়ার খিলজি বাঙলায় ঢুকল। তারপর থেকে বাঙলার একটিও পুরনো মন্দির আর দাঁড়িয়ে নেই। যতদিন ত্রিবেনীর জাফর খানের মসজিদ, আদিনার মসজিদ অপসারিত না হচ্ছে ততদিন বিভাজন তো থাকবেই। 

    পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করাই আমাদের প্রাথমিক কাজ। আজ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে হবে বাংলায় কথা বললেই সে বাঙালি নয়, তাকে পাঁচ হাজার বছরের ভারতীয় সভ্যতার উত্তরাধিকারও স্বীকার করতে হবে। বাংলাভাষী ও বাঙালি এক নয়। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দু আজ বহন করছে সেই উত্তরাধিকারের দায়িত্ব। পারসী, সিন্ধি, কাশ্মিরী পণ্ডিতদের আজ আর নিজেদের দেশ নেই, তাঁরা হারিয়ে যাচ্ছেন ভারতের বিভিন্ন কোণে, হারিয়ে যাচ্ছে তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতি।

    শ্যামাপ্রসাদ পশ্চিমবঙ্গ গড়েছিলেন বলেই আজও বাঙালি হিন্দু তাঁর ধর্ম-ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আর কতদিন? পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তান বানাতে ইসলামী মৌলবাদী শক্তি নাগরিকত্ব আইন ও এনারসির বিরোধিতায় রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর সারা বাংলা জুড়ে হিংসাত্মক আক্রমণ চালায়। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের পশ্চিমবঙ্গকে আমরা ধ্বংস করতে দেব না। সেজন্যই আজ প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বোঝা ও দিকে দিকে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা।

     

    (মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)

LinkedIn
Share