মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে। বিশ্বের দরবারে ফের জায়গা করে নিল খড়গপুর আইআইটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। খড়গপুর আইআইটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি ৫০০ সেরা প্রযুক্তিগত শিক্ষাক্ষেত্রের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় উপরের দিকেই স্থান পেয়েছে বাংলার এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে।
খড়গপুর আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০১ নম্বরে রয়েছে। বিশ্বের সেরা ৫০০-র মধ্যে ১০১ নম্বরে থাকা বিরাট সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। আর যাদবপুরও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। কলা ও হিউম্যানিটসের বিচারে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ৫০০-র মধ্যে একটি। একমাত্র রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়।
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ব়্যাঙ্কিংয়ের হিসাবে পঠন-পাঠন বিষয় অনুযায়ী খড়গপুর আইআইটি দেশের শ্রেষ্ঠ তিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে একটি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির নিরিখে দেশের তিনটি শ্রেষ্ঠ কলেজের মধ্যে একটি হল খড়গপুর আইআইটি। আর আর্টস ও হিউম্যানিটিসের বিচারে দেশের সেরা পাঁচে রয়েছে বাংলার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
খড়গপুর আইআইটি ১৯টি বিষয়ে বিশ্বের সেরা ১০০-র মধ্যে নিজের স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিনারেল অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং। এই বিভাগে খড়গপুর আইআইটির ব়্যাঙ্কিং ৩৭। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগে খড়গপুর আইআইটির ব়্যাঙ্কিং ছিল ৯০। এখন তারা উঠেছে এসেছে ৮০-তে।
খড়গপুর আইআইটি বড় চমক দিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বহু বিভাগেই সেরা। এগ্রিকালচাল ও ফরেস্টিতে খড়গপুর আইআইটি-র স্থান এক নম্বরে। শুধু এগ্রিকালচাল ও ফরেস্টিই নয়, স্ট্যাটিস্টিক্স ও অপারেশনাল রিসার্চেও খড়গপুর আইআইটি প্রথম স্থান অর্জন করে রয়েছে দেশের বুকে। মিনারেল ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পরিবেশবিদ্যাতেও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে খড়গপুর আইআইটি।
Blog
-

IIT Kharagpur:ভারত-সেরা বাংলার খড়গপুর আইআইটি জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে, পিছিয়ে নেই যাদবপুরও
-

Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার তৃণমূল নেত্রীর (TMC supremo Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বুধবার আরও একবার প্রবীণ এই নেতা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের (Anti BJP Front) ভাবনা ধোপে টিকবে না। এর আগেও একাধিকবার একথা জানিয়েছিলেন পাওয়ার। এদিন তৃণমূল নেত্রীর স্বপ্ন যে নেহাতই দিবাস্বপ্ন নাম না করে ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিলেন পাওয়ার।
বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। গত বছর তৃণমূলের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠানে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী ঐক্যের ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে পরেই বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়ার সলতে পাকানোর কাজ শুরু দেন তিনি। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে মহারাষ্ট্র পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। সেবার পিকে বর্ষীয়ান এই নেতার মন বোঝার চেষ্টা করেই রণে ভঙ্গ দেন। এর কিছুদিন পরে দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। ওই বৈঠকে পাওয়ার জানিয়ে দেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়। পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পিকে আলাদা করে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকেই ফোনে পিকে কথা বলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও।রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-বিরোধী জোটে যেতে চাননি মমতা। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট গড়ার তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে তেড়ে আক্রমণও করা হয়। জোটের সলতে পাকাতে তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং গিয়ে হাজির হন রাজধানীতে। সেখানে তিনি প্রায় ১৫টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে ওই বৈঠক করেছিলেন মমতা। বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকলে যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে সেদিনও পাওয়ার মমতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র।
পাওয়ার যে নেহাৎ মিথ্যে বলেননি, তার প্রমাণ মেলে সাম্প্রতিক ত্রিপুরা পুরনির্বাচন এবং গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে। দুই ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে সবক শেখাতে মমতা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। যোগী রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হারে অখিলেশরা।
এদিন ফের একবার পাওয়ার জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে (Congress) বাদ দিলে বিজেপি-বিরোধী জোটের পালে লাগবে না সুবাতাস। তাই ‘২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha elections) পার হওয়া যাবে না ভোট বৈতরণী। তাছাড়া ওই জোটের নেতৃত্ব দিতে তিনি রাজি নন বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই এনসিপি নেতা।
তৃণমূল নেত্রী শুনতে পাচ্ছেন?
-

Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১০টি রাজ্যে কি হিন্দুদের (Hindu) সংখ্যালঘুর তকমা (Minority Status) দেওয়া যায়? এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক শুনানিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জন্য কেন্দ্রকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী তিনমাসের মধ্য়ে রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণি ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (National Commission for Minorities) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু।
২০১১ সালের জনগণনা (Census) অনুযায়ী, ভারতে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাঁদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হোক। এই রাজ্যগুলি হল লক্ষদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর ও পঞ্জাব। মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না।
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। যার অর্থ, কোনও রাজ্য চাইলে হিন্দুদের আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা পরামর্শ করতে চায় কিনা? যদি সেটা চায়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছিল। তাঁর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালতে নিজের অবস্থান রেকর্ড করতে বলেছিল সরকারকে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তার কারণ এই সিদ্ধান্তের ‘সুদূরপ্রসারী’ প্রভাব রয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, যে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে, তবে এবিষয়ে রাজ্য এবং সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই সংখ্যালঘু সনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাঁর জন্য আরও সময় দরকার।
জবাবে, কেন্দ্রকে দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, কেন্দ্রের আবেদন মেনে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালত আরও তিন মাস সময় দিয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মোদি (Modi) সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এই সব ইস্যুতে আলোচনা প্রয়োজন। সব কিছুর বিচার করা যায় না।”
-

India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিনেক ধরে বন্ধ রয়েছে ভারত–পাকিস্তানের (India Pakistan) বাণিজ্য। তাতে সমস্যা এতদিন কিছু ছিল না। তবে এখন ফের উঠছে সেই প্রশ্ন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য (Trade) কী আবার চালু হবে? এই মুহূর্তে প্রশ্ন ওঠার কারণও অবশ্য একটা রয়েছে। তা হল, ভয়াবহ বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য অবোলা জীবেরও। এহেন পরিস্থিতিতে বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারত থেকে আনাজ আমদানির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী (Pak Finance Minister)। তার পরেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন, তাহলে কি ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?
২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়িক লেনদেন। দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মফতাহ ইসমাইল বলেছিলেন, শুল্কমুক্ত সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে স্থলপথে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করবে। বন্যার কারণে দেশে দেখা দেওয়া খাদ্যসংকটের মোকাবিলা করতেই আমদানির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?
দেশের অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবধকতার কারণেই শরিফকে এটা করতে হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিপদের দিনেও পাক সরকারের এহেন মনোভাবে যারপরনাই বিস্মিত ভারত। তাই ভারত-পাক বাণিজ্য চালু নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ নয়াদিল্লি। তারা বল গড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। পাক সরকার উদ্যোগী হলে তবেই ফের চালু হবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক লেনদেন।
এখন কোন পথে হাঁটে শাহবাজ শরিফের সরকার, সেটাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
-

Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) উচিত শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকাও (USA)। রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম, সংক্ষেপে “সুইফট” (SWIFT) থেকে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে মস্কো (Moscow)।
একশো দিনের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। যুদ্ধের কারণ, ন্যাটোতে (NATO) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। তার সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই ইউক্রেন আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পরে পরেই কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা। অন্যদিকে রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলি।
আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ভারতকেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে না বলেছিল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। বাইডেনের সেকথা কানে তোলেনি ভারত (India)। তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল সহ নানা বিষয়ে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।
এদিকে সুইফট থেকে বেরিয়ে গেলে যেকোনও দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন করতে গিয়ে বিষম সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তখন আর মার্কিন ডলারে লেনদেন করা যায় না। এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মস্কো। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার পাশ থেকে সরে গেলেও, ভারত যায়নি। এখনও ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে।
আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের
তবে কীভাবে পরিশোধ করা হবে মূল্য? দুই দেশই ঠিক করেছে “রুপি-রুবল”-এর (Rupee Ruble mechanism) মাধ্যমে চলবে লেনদেন। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত।
-

PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার জয়জয়কার বিজেপি (Bjp)। আসামের (Assam) কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের (Kaac) ২৬টি আসনেই জয়ী হল বিজেপি। এই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। তবে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। বিপুল জয়ে খুশি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দলীয় কর্মীদের প্রশংসার সুর তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, কার্বি আলংয়ের ফল ‘ঐতিহাসিক’।
চলতি মাসের ৮ তারিখে ভোট হয় আসামের কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের। আসন ২৬টি। সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস। ফল বেরলে দেখা যায়, ওই ভোটে ছক্কা হাঁকিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একটি আসনেও জয় পায়নি তারা।
আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও দলের আসাম ইনচার্জ বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা জানান, বিজেপি ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে এটা আমাদের বড় জয়। ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল সভাপতি প্রমোদ বোরো জানান, কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দারা ফের বিজেপির ওপর আস্থা রাখলেন।
একাধিক ট্যুইটে আসামের বিজেপি নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ট্যুইট করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের ভোটে ফের বিজেপিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়ী করার জন্য আমি জনতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পুরসভা নির্বাচন ও জিএমসি ভোটে জয়ী হওয়ার পরে এই ভোটে বিপুল জয় বাস্তবিকই নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশের ওপর আস্থা রাখারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র
আসামে বিজেপির এই জয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কার্বি আংলংয়ের ফল ঐতিহাসিক। বিজেপির ওপর ধারাবাহিকভাবে আস্থা রাখায় জনগণকে ধন্যবাদ। আসামের উন্নতিতে আমরা কাজ করব বলেও আশ্বস্ত করছি। বিজেপির কার্যকর্তাদের চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের কুর্নিস জানাই।
-

Modi in Japan: মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতমাতা কি জয় স্লোগানে মুখরিত হল সূর্যোদয়ের দেশ। জাপানের মাটিতে পা রাখতেই নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা। প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেতেই উঠল ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’।
সোমবার কোয়াড বৈঠকে (Quad meeting) যোগ দিতে দু’দিনের জাপান (Japan) সফরে গিয়েছেন মোদি। সেখানেই তাঁকে ঘিরে জাপানি এবং ভারতীয়দের উন্মাদনায় আপ্লুত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। টোকিও (Tokyo) বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বহু ভারতীয়ও। মাত্র ৪০ ঘণ্টার এই সফরে ২৩টি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
[tw]
#WATCH | Amid chants, Prime Minister Narendra Modi receives a warm welcome from the Indian diaspora in Tokyo, Japan
He will be participating in Quad Leaders’ Summit as part of his 2-day tour starting today, May 23. pic.twitter.com/Owqx1GXksm
— ANI (@ANI) May 22, 2022
[/tw]প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি মোদির তৃতীয়বার জাপান সফর। তাঁর এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও যোগ দেবেন কোয়াডের বৈঠকে। প্রায় ৩৬টি জাপানি কোম্পানির সিইও-র সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলাপচারিতার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন : বিদেশে গেলে কেন নৈশ সফর পছন্দ করেন মোদি? কারণ জানলে চমকে উঠবেন
সোমবার হোটেল নিউ ওটানিতে প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে মোদিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ‘হর হর মোদি’, ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে মুখরিত হোটেল চত্বর। বিভিন্ন ভাষায় ‘স্বাগত’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতেও দেখা গিয়েছে ছোট ছোট শিশুদের।
[tw]
#WATCH | Japan: Indian diaspora in Tokyo calls PM Modi “Bharat Ma Ka Sher” as they hail him with chants and placards.
PM Modi will be participating in Quad Leaders’ Summit as part of his 2-day tour starting today, May 23. pic.twitter.com/aIQ8gyE62V
— ANI (@ANI) May 23, 2022
[/tw]জনতার উষ্ণ অভ্যর্থনায় যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত এক জাপানি শিশুর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁকে একটি অটোগ্রাফও দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই শিশুকে বলেন, বাঃ, তুমি হিন্দি কোথা থেকে শিখলে? খুব ভাল জানো তো! প্রবাসীরাও প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে খুশি। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জাপানে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আমাদের গর্বিত করেছেন।
আরও পড়ুন : মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত হয়েছে কোয়াড (QUAD)। এই সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলাদা করে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জো বাইডেন, ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলেও ধারণা কূটনৈতিক মহলের। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন (China)। মহড়া চলবে সোমবার পর্যন্ত। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India-US bilateral talks) সেই বিষয়টিও উঠতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
[tw]
“We are super happy to welcome PM Modi to Japan. His energy is infectious…He has made us proud everywhere,” said people from the Indian diaspora pic.twitter.com/Ba2cOgXfUO
— ANI (@ANI) May 23, 2022
[/tw] -

Pakistan: পাকিস্তানে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই মুসলিম যুবক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। বিশেষ করে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সব থেকে বেশি মানুষ বন্যা কবলিত (Flood)। আর এরই মাঝে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল সেই দেশ। দুই মুসলিম (Muslim) যুবক বন্যা ত্রান সামগ্রী দেওয়ার নাম করে এক হিন্দু মেয়েকে (Hindu Girl) ধর্ষণ (Rape) করল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সংঘর জেলার শাহাদাদপুরে। দুই অভিযুক্তের নাম খালিদ (Khalid) এবং দিলসার (Dilsher)। এর মধ্যে খালিদ অটো চালক।
আরও পড়ুন: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?
অভিযোগ এই দুই মুসলিম যুবক ওই হিন্দু যুবতীকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য খেতে বাধ্য করে এবং পরে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। এই মুহূর্তে সেই ভিডিও ভাইরাল। নির্যাতিতা জানান, তাঁকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় ওই অটো চালক। তারপর ওই নির্যাতিতার অজান্তেই নেশার দ্রব্য দেওয়া হয় তাঁকে এবং ধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে ফেলে চলে যায় তারা।
Just In: In the promise of getting a food ration, a young #Hindu girl Bhagwati has been brutally raped for 2 days in a flood-hit area of Shahdadpur district Sanghar, Sindh.
This is such a shameful act and completely disgusting. #FloodsInPakistan #SavePakistaniMinoritiesGirls pic.twitter.com/HHztk91UOp— Voice of Pakistan Minority (@voice_minority) September 1, 2022
পাকিস্তানে এভাবেই বার বার হিংসার শিকার হতে হয় সংখ্যালঘুদের। বন্যার সময় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা আরও বেড়েছে। কিছুদিন আগেই আরও এক সংখ্যালঘু ভিডিওতে অভিযোগ করেছিলেন, যে মুসলিম গুণ্ডারা তাঁর বাড়ির মহিলাদের ওপর চড়া হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।
Everyone in #Pakistan is going through a hard time, bt minorities suffer d most#Hindus in Umerkot who left their homes due to flood & living on roads have complained abt d attempted rape of their women by goons, they managed to escape when women screamed 4 help#FloodinPakistan pic.twitter.com/2ONZQCaIgh
— Voice of Pakistan Minority (@voice_minority) August 31, 2022
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ৮ বছরের নাবালিকার গণধর্ষণের খবরও সামনে এসেছে। ওই নাবালিকার পুরো মুখ চেঁচে দেওয়া এবং চোখ উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে যেই হিন্দুরা থাকেন তাঁরা সমাজের দরীদ্রতম সম্প্রদায়। কোনও কাজের সুযোগ নেই তাঁদের। অনেককে তো আবার মুসলিম মালিকের অধীনে ক্রীতদাস হিসেবেও কাজ করতে হয়। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করার অধিকার নেই তাঁদের।
সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সিন্ধু নদের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের বহু মানুষ।
-

Heart Attack: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের মত অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই কিছু চিকিৎসকদের মতে, ভারত ধীরে ধীরে “diabetes capital”-এ পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ভারতে যে কী পরিমাণে হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বেড়েছে, তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই দেখা গেল।
সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কে কে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও এর আগেও বেশ কিছু তারকা যেমন সিদ্ধার্থ শুক্লা, পুনীত রাজকুমাক, অমিত মিস্ত্রি হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। জনপ্রিয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও হার্ট রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়স লাগে না, বরং দেখা গিয়েছে দেশের কমবয়সীদের মধ্যেই এই ঘটনা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এমনটা হওয়ার কারণ কী তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল ধূমপান। ধূমপান, মদ্যপানের ফলেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্ততাপ, ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, এক্সারসাইজ না করা ইত্যাদি অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাকের।
হার্ট অ্যাটাকের আরও এক অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একটু বেশিই স্ট্রেসের মধ্যে ভোগে। করোনা আবহেও মানুষের মধ্যে স্ট্রেসের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা কারণে স্ট্রেস দেখা দেয় তাদের মধ্যে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন, কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এসবই স্ট্রেসের কারণ হতে পারে।
এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে লাইফস্টাইলকেও দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের লাইফস্টাইল একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীরচর্চা না করার ফলে নানা অসুখের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবারেরও কিছু ভূমিকা থাকে। যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের হৃদরোগ থেকে থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও হার্টের সমস্যা আপনার মধ্যেও দেখা দিতে পারে।
-

Al-Qaeda-linked Assam: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসমে আটক করা হল ১১ জনকে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে অসম পুলিশ। এদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) এর যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অসমের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।
অসমের বড়পেটা, মরিগাঁও, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া জেলা থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের DG ভাস্করজ্যোতি মহন্ত (Bhaskar Jyoti Mahanta)। তিনি জানান, এই এলাকায় আল কায়দার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছিল ধৃতরা। শুধুমাত্র অসমেই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেও তারা ‘জেহাদি’ কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। তিনি জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা Al-Qaeda in Indian Sub continent (AQIS)-র সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, গত কয়েকদিনে জঙ্গিযোগ রয়েছে সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তদন্তকারী অফিসাররা কাজ করছেন। এই লোকেদের উদ্দেশ্য ছিল, এলাকার যুবকদের জঙ্গি দলে টেনে, তাদের দিয়ে নাশকতা ঘটানো।
অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পায়। সেই তথ্যর উপর ভিত্তি করেই পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মুস্তাফা ওরফে মুফতির সঙ্গে আনসারুল্লা বাংলার সরাসরি যোগ রয়েছে। মরিগাঁওয়ের শাহরিয়া গাঁওয়ে একটি মাদ্রাসা চালায় সে। দেশ বিরোধী কাজে অর্থেরও যোগান দেয় মুফতি মুস্তাফা। এছাড়াও এখানকারই আফসারুদ্দিন ভুঁইয়া, গোয়ালপাড়ার আব্বাস আলি, মেহেবুব-সহ ১১ জনকে দুদিনে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার
পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং Electronic Device পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতেই পরিষ্কার যে তারা নিজেদের কাজ এবং জেহাদি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করার জন্য ঘাঁটি গেড়েছিল। আর কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।