Blog

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) আধ্যাত্মিক সাধনার ভরকেন্দ্রে রয়েছেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Naga)। ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধনায় নাগাদের জীবন দর্শন কেমন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধুদের জীবন অভিপ্রায় কেমন? তাঁদের সাধ্য-সাধনতত্ত্বের বিষয়বস্তু কেমন? কীভাবে সাধনা করেন? সারা বছর কীভাবে জীবন অতিবাহিত করেন? লোক সমাজের অন্তরালে কীভাবে সাধনায় অবিচল থাকেন?— ইত্যাদি এই রকম নানা জানা-অজানা প্রশ্নে রহস্য জড়িয়ে রয়েছে কুম্ভমেলার সাধুদের জীবন। সাধারণত কুম্ভে সকল আগত দর্শনার্থী বা তীর্থযাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় দর্শনীয় বিষয় থাকে নাগা সাধুদের শোভাযাত্রা এবং প্রদর্শনী। আসুন এবার নাগা সাধুদের সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জেনে নিই।

    শঙ্কারাচার্যের অদ্বৈতবাদের দ্বারা প্রভাবিত (Mahakumbh Mela 2025)

    বলা হয়ে থাকে, নাগারা আদিগুরু শঙ্করাচার্য, অদ্বৈত বেদান্তের মতবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং দীক্ষিত। নাগাদের একটি বিশেষ আখড়া বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্থান, মন্দির ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষা তথা সর্বোপরি ধর্মরক্ষা-ধর্মসংরক্ষণের জন্য নাগা সাধুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সাধারণত ১২ বছর অন্তর অন্তর মহাকুম্ভ পালিত হয় উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িন এবং মহারাষ্ট্রের নাসিকে। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ হবে প্রয়াগরাজে। কুম্ভে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু এবং সন্ন্যাসীদের মধ্যে নাগারা বিশেষ রূপ বহন করে থাকেন। তাঁদের ছাই ভস্ম মাখা উলঙ্গ দেহে চলাচল এবং তাঁদের হাতে অস্ত্র কিংবা ত্রিশূল অনন্যরূপে কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তাঁদের শোভাযাত্রা এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে আগত পুণ্যার্থিদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে।

    নাগাদের উৎপত্তি

    ভারতের ইতিহাস এক বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন দর্শন। সনাতন হিন্দু ধর্মের নানা রূপে ভগবান বিরাজিত হন। পথ অনেক হলেও শেষ পর্যন্ত সমুদ্রেই নিমজ্জিত হয় নদী। প্রধান পাঁচটি ধর্মীয় শাখা হল— শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর এবং গাণপত্য। এই পাঁচ শাখার মধ্যে নাগারা (Naga) হলেন পরম শৈব। তাঁরা শিবের উপাসক। বলা হয়ে থাকে ভারতীয় প্রাচীন ধর্মীয় রূপগুলির মধ্যে শৈব প্রধান মত। পণ্ডিতদের মতে, সংস্কৃতে ‘নাগা’ শব্দের অর্থ ‘পর্ব’, পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের বোঝায়, যাঁদের ‘পাহাড়ি’ বা ‘নাগা’ বলা হয়ে থাকে। এই সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক শিকড় অনেক গভীরে। অনেকটা দিগম্বর জৈনদের মতো। পোশাক না পরিধান করে নগ্ন অবস্থায় থাকেন তাঁরা। শৈব দর্শন হল তাঁদের মূল সাধন মার্গ। কুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) সাধুরা সনাতনী ভাবনাকেই বার বার ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট থাকেন।

    পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়

    নাগা (Naga) সাধু হওয়া কোনও সহজ সাধনা নয়। নিজেকে জাগতিক সকল সুখ-ভোগ বিষয় ঐশ্বর্যকে ত্যাগ করতে জয়। সাধুদের প্রথমে ব্রহ্মচর্য এবং আধ্যাত্মিক অনুশাসন পালন করতে হয়। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে ১২ বছর ধরে কঠোর সাধনায়রত থাকেন সাধকরা। পার্থিব আনন্দ থেকে মুক্ত হয়ে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। পঞ্চগুরু, পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়। পিন্ডদানের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের পাঁচটি মার্গের দর্শনকে গভীরভাবে আত্মস্থ করতে হয়। এরপর গুরুরা দীক্ষা দিয়ে নির্দেশিকা দিয়ে থাকেন। তবে এই মতে দীক্ষা নিলে নতুন করে আবার পুনর্জন্মও হয়। এটাই নাগাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, করা হয় সেই সঙ্গে নামকরণও। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের ধর্মীয় লৌকিক এবং অলৌকিক বাস্তবতার প্রয়োগও চোখে পড়ে।

    আরও পড়ুনঃ জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের  

    ভিক্ষাকরে জীবন অতিবাহিত করতে হয়

    অঙ্গকে কঠোর সংযম এবং সাধনার বলে আসক্তিকে মুক্ত করতে হয়। আখড়ার পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা উপবাসে নিমগ্ন হয়ে থাকতে হয় নাগাদের। তাঁদের মাথার চুল কামানো যায় না, মাথায় জটাধারী চুল হল শিবের প্রতীক। স্বয়ং ভোলানাথের কেশ ছিল জটাবৃত। তীব্রভাবে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে যে কোনও কামনা-বাসনাকে ত্যাগ করতে হয়। তাঁদের কাছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং পরম ঈশ্বর প্রাপ্তি হল প্রধান লক্ষ্য। মূলত তাঁদের ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। এক দিনে ৭ বাড়ির বেশি ভিক্ষা করা যায় না, আর যদি ওই দিন ভিক্ষা না পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষুদাকে আলিঙ্গন করতে হয়। তাঁদের মাটিতে বিছানা করে ঘুমাতে হয়। বিলাসিতা এবং সকল স্বাচ্ছন্দ্যকে বর্জন করতে হয়। নাগারা একই ভাবে মনের অহং ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করে পরমশক্তিমান শিবের আরাধনা করে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে উড়ছে কোটি কোটি টাকা। কাঁটাতারের বাইরে ফাঁকা অংশে নজর বাংলাদেশের (India Bangladesh Border) চোরাচালানকারীদের। হু হু করে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। দোসর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার ফাঁকা অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। রাজ্যের একাধিক জেলার সীমান্ত এলাকায় এখন কাঁটাতার দেওয়ার কাজ চলছে। আর সেখানে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজিবি। আর তাতে মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। তবে, বিএসএফের কড়া হুঁশিয়ারিতে বার বার পিছু হটছে বিজিবি।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? (India Bangladesh Border)

    মালদা, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া সহ একাধিক জায়গায় বিজিবি সীমান্তে (India Bangladesh Border) বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিচ্ছে। মূলত, সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশে ইউনূস সরকারের মদত রয়েছে। সরকারের নির্দেশ পেয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজিবি। নানা অছিলায় বিএসএফকে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মূলত, সীমান্তে যাতে বেড়া দিতে না পারে তার উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, প্রতিবারই বিএসএফের চাপে পিছু হটছে বিজিবি। জানা গিয়েছে, মালদার ভারত-বাংলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনে আবারও বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক বিভাগকে বাধা দেয়। তাদের দাবি, বেড়া নির্মাণের জন্য খুঁটির গর্ত খোঁড়া যাবে না। যেখানে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেই জায়গা নাকি বাংলাদেশের। তাদের বাধায় বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ হয়ে যায় বেড়া দেওয়ার কাজ। বিকেলে ইংরেজবাজারের মহদিপুরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই বৈঠকে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ম্যাপ খুলে সবকিছু দেখানোর পর, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে বেড়া দেওয়ার কাজ, বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। তবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার ভারতীয়রা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের অভিসন্ধি। যেখানে তারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, সেখানে সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গারাও জড়ো হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তবে কি বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? প্রশ্ন তুলছেন এপারের মানুষ।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    বেড়া দিতে বার বার বাধা দিচ্ছে বিজিবি!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি ইন্দো-বাংলা সীমান্তের (India Bangladesh Border) অরক্ষিত সীমান্তে ত্রিস্তর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুরেও চলতি সপ্তাহে সেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত সোমবার সেখান প্রথমবার কাজে বাধা দেন বেশকিছু বাংলাদেশি। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বিজিবিও। তারা দাবি করে, যেখানে বেড়া দেওয়া হচ্ছে সেই জায়গা বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। যদিও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লক প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যাপ খুলে বিজিবিকে প্রমাণ দেন, যে তাদের দাবি সঠিক নয়। মঙ্গলবার কাজ ফের শুরু হয়। একদিন কাজ হতে না হতে ফের বাধা আসে। নকশা অনুযায়ী, কাঁটাতারের বেড়া দিতে ওই এলাকায় মরাগঙ্গা নদীর ধারে মোট ৪০০টি খুঁটি পুঁততে হবে। তার জন্য ইতিমধ্যে শতাধিক গর্ত করা হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজিবির তরফে দাবি করা হয়, যে জায়গায় গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেটা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মধ্যে পড়ে।

    স্থানীয় প্রধান কী বললেন?

    বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুর রহিম জানাচ্ছেন, “বিজিবি ও অল্প কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির (India Bangladesh Border) বাধায় বারবার এই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এই বেড়া দেওয়া হোক। এতে এলাকার নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনই চোরা কারবার আর অনুপ্রবেশের উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অস্থির অবস্থা চলছে। বিনা কারণে বাংলাদেশিরা কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমিতে চাষ করতে যাওয়া চাষিদের গালাগালি করছে। তবে বিএসএফ সক্রিয় রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সুকদেবপুরের বাসিন্দা (India Bangladesh Border) মহম্মদ ফইজুদ্দিন, বাবলু শেখরা বলেন, “এমনিতেই এই এলাকা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই জাল নোট কিংবা নেশার কফ সিরাপ উদ্ধার হয়। বিএসএফ জওয়ানদের ওপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তায় আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার সেই কাজ শুরু করেছে। যে কোনও মূল্যে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।” স্থানীয় রমজান আলির বক্তব্য, “আমরা খবর পেয়েছি, এই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের এদেশে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে বিজিবি। সেই কারণেই তারা বারবার ঝামেলা পাকাচ্ছে। বিএসএফ আমাদের একবার সুযোগ দিক, আমরা সব ঠান্ডা করে দেব।”

    বিএসএফের কর্তা কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) এক আধিকারিক (India Bangladesh Border) হনুমান প্রসাদ জানাচ্ছেন, “বিজিবির বাধায় গতকাল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্যা মেটাতে মহদিপুরে দু’দেশের ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে।  ফের কাজ শুরু হয়েছে। সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুকদেবপুর বিওপি থেকে শবদলপুর বিওপি পর্যন্ত জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই।” গোধরাকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের সঙ্গে প্রথম পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হই। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় ছিলাম। সেই সময় ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই, মৃত্যুর খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে গোধরা (Godhra) উড়ে গিয়েছিলাম আমি।” তিনি বলেন, “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই। সব অনুভূতিই ছিল ভিতরে, কিন্তু যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম, তার গুরুত্ব বিবেচনা করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল।”

    গোধরা পৌঁছনোর অভিজ্ঞতা (PM Modi)

    অকুস্থলে পৌঁছতে যে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “একটাই মাত্র হেলিকপ্টার ছিল। ওএনজিসির সিঙ্গল ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার। বলা হয়, ভিআইপি ওই হেলিকপ্টারে উঠতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “আমি তর্ক করি। জানাই, আমি ভিআইপি নই। যা ঘটেছে, তার দায় আমার। তার পরেই গোধরা উড়ে যাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামনে তখন যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কিন্তু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দমন করতে হয়েছিল, সরিয়ে রাখতে হয়েছিল ব্যক্তিগত আবেগ।”

    কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে

    মোদি (PM Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই সময়ও তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “পুলিশকে বলেছিলাম, কন্ট্রোল রুমে থাকতে চাই। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তা করা যায়নি। পরে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ভিতরে অসম্ভব অস্থিরতা ছিল, উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমি কখনও জীবন-মৃত্যুর কথা ভাবিনি। যারা হিসেবি জীবন যাপন করেন, তাঁদের এমনটা মনে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অবাক হয়েছিলাম, কী করে মুখ্যমন্ত্রী হলাম, এই ভেবে।” তিনি বলেন, “আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটাই এমন যে আমি যদি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও হতাম, তাহলে আমার (Godhra) মা পাড়ায় গুড় বিলি করতেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    Weather Update: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির আগে শীতে কাঁপছে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর। ১২ ডিগ্রিতে নেমে গেল কলকাতার তাপমাত্রা (Weather Update)। শনিবার সকালে শহরের পারদ নেমেছে স্বাভাবিকের চেয়ে নীচে। তবে রবিবার থেকেই তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার পুরুলিয়ার তাপমাত্রা অনেকটাই কম ছিল। ঠান্ডায় দার্জিলিংকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে পশ্চিমের এই জেলা। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি। দার্জিলিঙের (৫ ডিগ্রি) সঙ্গে ব্যবধান মাত্র দেড় ডিগ্রির। 

    শীতের দাপট শহরে

    প্রতি বছর এই সময়টা শীতের (Weather Update) কামড় বেশ গভীর হয়। তবে এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পর রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সামান্য বাড়তে পারে উষ্ণতা। তিন দিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে মঙ্গলবারের মধ্যে। তবে তার আগে হাড় কাঁপানো শীত উপভোগ করল শহরবাসী। শনি ও রবিবার শীতের কলকাতায় ভালই বনভোজনে মাতবে শীতবিলাসীরা। ভিড় জমেছে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, যাদুঘরেও। ইকো-পার্ক, নিকো পার্কেও কচিকাচাদের ভিড়। কলকাতায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি কম। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রির বেশি হয়নি। তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে আড়াই ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫০ থেকে ৯৬ শতাংশ। 

    জেলায় জেলায় নামল তাপমাত্রা

    শনিবার রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে (Weather Update) নেমে গিয়েছে। কল্যাণীতে ৯.৫, ঝাড়গ্রামে ৯.৫, শ্রীনিকেতনে ৯৯ এবং বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, উলুবেড়িয়ায় ১০.৫, বাঁকুড়ায় ১০.৫, বহরমপুরে ১০.৪, পানাগড়ে ১০.৩ এবং আসানসোলে ১০.১ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ নেমেছিল। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না। তার পর থেকে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে, রবিবার থেকেই হবে হাওয়া বদল। শীত কমার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার ফলে  দৃশ্যমানতা কমবে। রবি ও সোমবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙের উঁচু এলাকায় তুষারপাতও হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ ও একজোট হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার রানিগঞ্জের নতুন এগরার সভায় তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, “সনাতনী হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও তাঁরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন। দেশছাড়া হতে হবে তাঁদের। ”আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানিগঞ্জের নতুন এগরায় এদিন বিকেলে ‘সংকল্প রামরাজ্য’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভামঞ্চ থেকে সনাতনীদের একতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নানা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে একটা সময় হিন্দু, শিখ ও পার্সিদের সংখ্যা অনেক ছিল। তাঁদের প্রচুর সম্পত্তি ছিল। কিন্তু তাঁদের সব কিছু ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। বাংলাদেশের কথাই ধরুন না। ১৯৪৭ সালে ওই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ। ১৯৭১ সালে তা হয় ২২ শতাংশ। আর এখন সাড়ে ৭ শতাংশ। ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু মেরেকেটে ২ কোটি হবে। তাই বলছি, সব হিন্দুরা একজোট হন।” পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিরোধী দলেনতা বলেন, “এখন রাজ্যের সব হিন্দু এককাট্টা হয়েছেন। বাঙালি হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আর সরকারে আসবে না।” এদিনের সভায় ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ একাধিক বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ (Suvendu Adhikari) করেন, বেআইনি কয়লা ও বালি কারবারের। তিনি বলেন, “আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বরে অবৈধ খননের জেরে মাটির নীচে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় ধসে পড়বে। বৈধর থেকে দশগুণ অবৈধ খনি রয়েছে।” তাঁর দাবি, “কিছু দিন কয়লা চুরি বন্ধ ছিল। ৩ জানুয়ারি থেকে আবার রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে নদী এবং আসানসোলে অজয় ও দামোদর নদে বালি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার মতো বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিবেশ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এ নিয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক (অগ্নিমিত্রা) লাগাতার আন্দোলন করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republic Day Parade 2025: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    Republic Day Parade 2025: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day Parade 2025) কুচকাওয়াজে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরবে সেনা (Indian Army)। কয়েক বছর আগেই রীতি বদলের সূচনা করেছিল মোদি সরকার। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আত্মনির্ভরতার বার্তা দিতে দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন শুরু হয়েছিল। সেই ধারা মেনেই এ বারও ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কর্তব্যপথে সামরিক উৎপাদন ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র নতুন কয়েকটি নমুনার সঙ্গে পরিচিত হবেন দেশবাসী। 

    কোন কোন অস্ত্রের প্রদর্শন

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে (Republic Day Parade 2025) রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশে তৈরি সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ প্রদর্শিত হবে। সেই সঙ্গে থাকবে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)-এর তৈরি স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’ এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এবং মাল্টি ব্যারেল রকেট সিস্টেম ‘পিনাকা’র নতুন সংস্করণ। গত বারের মতোই এ বারও ডিআরডিওর তৈরি ভারী ট্যাঙ্ক ‘অর্জুন’ এবং সাঁজোয়া গাড়িবাহিত ১৫৫ মিলিমিটার হাউইৎজার ‘কে-৯ বজ্র’ থাকবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। গত দু’বছরের মতোই ব্রিটিশ ২৫ পাউন্ডারের বদলে দেশে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার কামান থেকে আনুষ্ঠানিক ‘২১ তোপধ্বনি’ করা হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেবে রোবট কুকুরও। 

    আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day Parade 2025) কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাচ্ছেন প্যারালিম্পিকের অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের পঞ্চায়েত-প্রধানরা ৷ এছাড়া থাকছেন দেশের সবচেয়ে উন্নতমানের গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি হ্যান্ডলুম শিল্পী থেকে শুরু করে বন দফতরের কর্মীরাও থাকছেন অনুষ্ঠানে৷ সব মিলিয়ে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্য পথে আমন্ত্রিত হয়েছেন এরকম ১০ হাজার বিশেষ অতিথি৷ তবে এখনও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথির নাম ঘোষণা করেনি মোদি সরকার। সম্ভবত, ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোকে ওই আসনে দেখা যাবে, বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে জড়ো হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে, যাতে এই মহাকুম্ভ পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে এক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বার্তাটি হল, বিশ্বের এত বড় ইভেন্টকেও পরিবেশবান্ধব রাখা যায় এবং পরিবেশের কোনও রকমের ক্ষতি না করে, সেটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর এই লক্ষ্যেই জাপানি প্রযুক্তি (Mahakumbh 2025) ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আশেপাশে ইতিমধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ঘন অরণ্য তৈরির পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এর ফলে বিশুদ্ধ বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন ভক্তরা।

    প্রসঙ্গত, যে স্থানে কুম্ভ হচ্ছে সেটি দেখভাল করে প্রয়াগরাজ পুরসভা। সেই কর্পোরেশন কুম্ভ মেলাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলতে জাপানি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘন অরণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা অক্সিজেন ব্যাঙ্কের কাজ করবে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই প্রয়াসে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে যে সবুজায়ন হয়েছে এমনটাই নয়, এর পাশাপাশি সেখানকার বাতাসও অনেক উন্নত হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে বাতাসের গুণগত মান। এর মাধ্যমে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গোটা প্রয়াগরাজে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহাকুম্ভকে সফল করতে এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একটি বড় প্রয়াস।

    যোগী সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক

    এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতও সামনে এসেছে। এমনই একজন হলেন ডক্টর এনবি সিং। যিনি এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের এই অধ্যাপক সারা প্রয়াগরাজেই পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ‘গ্রিনারি গুরু’ বা ‘সবুজ গুরু’। কারণ একাধিক পদক্ষেপ তিনি করেছেন সবুজায়নের ওপর। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এর কারণ হচ্ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করে শহর গড়া।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র তাপমাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময়ে মেরু অঞ্চলের বরফও গলে যেতে শুরু করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর অন্যতম কারণ হল গাছ কাটা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস। তবে এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক ডঃ এনবি সিং মনে করেন যে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি প্রযুক্তি হল একটি দুর্দান্ত টেকনিক, যার মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত ঘন অরণ্যের বৃদ্ধি কিভাবে করা যাবে সেই উপায় বাতলে দেয় এই জাপানি টেকনিক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ফারাকও অনেকটাই কমে যায়, বিশেষত গ্রীষ্মকালে। জাপানি প্রযুক্তিতে বনাঞ্চল বৃদ্ধির এই পদ্ধতিতে একটি স্বাস্থ্যকর জীববৈচিত্র গড়ে ওঠে। শুধুমাত্র তাই নয়, এর পাশাপাশি মাটির গুণগত মান অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা চাষযোগ্য হয়। একই সঙ্গে বনাঞ্চলগুলি অজস্র প্রাণী ও পাখির বাসভূমিও হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি বনাঞ্চল থাকে, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা এমনিতেই চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর পাশাপাশি ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে আরও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই উপযোগী।

    দশটি স্থানকে বেছে নেয় প্রয়াগরাজের প্রশাসন

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে এবং প্রয়াগরাজের বাতাসের গুণগত মানকে বাড়াতে সেখানকার পুরসভা শহরের দশটি স্থানকে বেছে নেয়। এখানে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিগত দু’বছর ধরে চারা গাছ রোপন করা হয়। এই গোটা প্রকল্পের তদারকি করেন ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সিং। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারা গাছ রোপন করেছিলাম প্রয়াগরাজের নৈনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অঞ্চলে। বছর দুই আগে। এই প্রত্যেকটি চারাগাছই বর্তমানে দশ থেকে বারো ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ওই জায়গাতে বর্জ্য পড়ে থাকত। প্রথমে শিল্পের বর্জ্যগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরে মাটির গুণগত মান বাড়ানো হয় এবং সেখানে জৈব সার ফেলা হয়। তারপরেই বৃক্ষরোপণ করা হয়।’’ অন্যদিকে আর এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আর কে মিশ্রা বলেন, ‘‘এইভাবে বনাঞ্চল বৃদ্ধির ফলে গোটা এলাকাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কম জায়গার মধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলার পদ্ধতি হল জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তি। মহাকুম্ভে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই সবুজায়নের সাক্ষী থাকবেন।’’

    বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে মিয়াওয়াকি প্রকল্প (Mahakumbh 2025) শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকে। ২০২৩-২৪ সালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রয়াগরাজের নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ৬৩টি স্থানের, ৩৪,২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণে চারা গাছ রোপনকে মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় একটি বর্জ্য এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কারণ এখানে শিল্প বর্জ্যগুলিকে ফেলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবেশবান্ধব এবং সবুজায়নের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সবটাই হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে।

    প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার, তারও পরিবর্তন হয়েছে

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার এবং সেটিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে। জানা গিয়েছে প্রয়াগরাজের ওই বর্জ্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত নয় হাজার বর্গমিটার জুড়ে ২৭টি আলাদা আলাদা জায়গায় ২৭ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান একটি ঘন অরণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ঘন অরণ্য স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়নি। তার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে সেজন্যও নেওয়া হয়েছে। এই দুই স্থান ছাড়াও প্রয়াগরাজের আরও ১৩টি জায়গাতে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে অরণ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন গাছ রোপন?

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে শুধুমাত্র ঘন অরণ্যই স্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা আরও সহজ হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরও প্রচুর উপকার হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঔষধি গাছ, ফলের গাছও রোপন করা হয়েছে। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছে, সেগুলি হল আম, মহুয়া, নিম, পিপল, অর্জুন, তুলসী আমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি গুলমোহর, ব্রাহ্মী রোপন করা হয়েছে। লেবু, বাঁশ ইত্যাদি গাছও রোপন করা হয়েছে।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার

    এবার আমরা জেনে নেব ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, জাপানের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর নাম আকিরা মিয়াওয়াকি। ১৯৭০ সালে তিনি এই প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিসরে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়। খুবই কাছাকাছি গাছগুলিকে রোপন করা হয় এই পদ্ধতিতে। এরফলে খুব দ্রুত তারা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও চারাগাছ রোপনের করার পরে সেটি বৃক্ষ হতে যত সময় লাগে, তার দশগুণ তাড়াতাড়িভাবে বাড়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে।  এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে বাড়ে মাটির গুণগত মান। উন্নত হয় জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান দিনে শহর বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প। এরফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই আবহে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যকে সঠিক রাখতে খুবই প্রয়োজন ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ পুর কমিশনার চন্দ্রমোহন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা ঘন অরণ্য তৈরি করতে পেরেছি জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায়।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সুখবর। রাজ্যগুলিকে কর বাবদ ১,৭৩,০৩০ কোটি টাকা বণ্টন করল কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। পশ্চিমবঙ্গ পেল ১৩০১৭.০৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২৪-এ ৮৯,০৮৬ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়েছিল। যার তুলনায় এবারের পরিমাণ অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এই বাড়তি অর্থ রাজ্যগুলিকে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং জনকল্যাণ প্রকল্পগুলির খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মমাফিক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। সেই দাবি যে সর্বৈব মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা এই বাড়তি অর্থ বরাদ্দের ঘটনায় পরিষ্কার।

    আরও পড়ুনঃ ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য টাকা দিল কেন্দ্র

    বয়েকা অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) বারবার নিশানা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রাপ্য টাকা না দেওয়া এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে থাকার অভিযোগ তিনি বারবার সামনে এনেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, বারবারই রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার (Modi Government)। এবারও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2025) পেশ হবে। তার আগে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রের মতে, রাজ্যগুলির আর্থিক শক্তি বাড়াতে এবং সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে মমতা সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে প্রতিবারই তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে। খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেভাবে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। যদিও চাপানউতোরের মধ্যেই কর বাবদ বড় অংশের টাকা রাজ্যকে দিল কেন্দ্র (Modi Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের স্থানকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board) বলে দাবি করা হয়েছিল। সে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘এটা আসলে ওয়াকফ বোর্ড নয়, এটা হল জমি মাফিয়াদের বোর্ড।’’

    যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের জমি দাবি করার জন্য মহাকুম্ভে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভে মুসলিমদের প্রবেশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর যাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত। কিন্তু যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর আস্থা রেখে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি গঙ্গাস্নান করতে আসেন, মহাকুম্ভের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি জমি দাবি করতে আসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা জমি

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, ‘‘কোটি কোটি ভক্ত ১২ বছর পরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাই এখানে কোনও রকমের বৈষম্য থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নানা অজুহাতে ওয়াকফ বোর্ড যে সমস্ত জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে, তার প্রতিটা জমি ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে।’’ এই সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ। অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ড জমি মাফিয়াদের একটি বোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দেখা হবে, সেখানেই তদন্ত করা হবে এবং তা সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share