Blog

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ  মেলা (Mahakumbh Mela 2025)। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক নদী সরস্বতীর সঙ্গমে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। জানা গিয়েছে সম্ভবত ১৩ জানুয়ারি, মেলার প্রথমদিনই মহাকুম্ভে যোগ দেবেন ‘অ্যাপল’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও, প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। এ বারের মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা লরেন।

    কল্পবাস কী?

    কল্পবাস হল, হিন্দুধর্মের একটি অতি প্রাচীন রীতি। এই রীতি পৌষ পূর্ণিমা থেকে মাঘী পূর্ণিমায় আয়োজিত হয়। যাঁরা তা পালন করেন, তাঁদের কল্পবাসী বলা হয়। এই সময়কালে কল্পবাসীরা প্রতিদিন গঙ্গায় পূণ্যস্নান করেন। সন্ন্যাসীদের আখাড়ায় ভ্রমণ করেন। সাধু, সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় বাণী শোনেন। এছাড়াও ভজন, কীর্তনে অংশ নেন। হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়, আধ্যাত্মিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই কল্পবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায়, এই সময় অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতে হয়। হিন্দু ধর্মে মাঘ মাসকে (Magh Month) কল্পবাস (Kalpvas) বলা হয়। কল্পবাসের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। ‘কল্প’ তাঁকেই বলা হয় যে একই রুটিন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ব্রহ্মচর্যের সঙ্গে ভগবানের প্রতি ভক্তি সহকারে পালন করে। 

    যুধিষ্ঠিরের কল্পবাস

    মহাভারতের (Mahabharata) যুদ্ধে নিহত স্বজনদের মুক্তির জন্য যুধিষ্ঠির কল্পবাস করেছিলেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, যদি সঙ্গমে (Sangam) কল্পবাস করা হয়, তাহলে ব্যক্তির শরীর ও আত্মা নতুন হয়ে ওঠে। এই কারণেই প্রতি বছর প্রয়াগে মাঘ মাসে কল্পবাসের আয়োজন করা হয়। এ সময় ভক্তরা পৌষ পূর্ণিমা (Purnima) থেকে মাঘ মাসের পূর্ণিমা পর্যন্ত এক মাস এখানে থাকেন এবং কঠোর নিয়ম-কানুন ও দৃঢ়তার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করেন।

    কল্পবাসের নিয়ম খুব কঠিন

    কল্পবাস হল নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার এবং নিজেকে শুদ্ধ করার প্রচেষ্টা। বেদ থেকে শুরু করে রামচরিত্রমানস ও মহাভারতে পর্যন্ত এটি বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সময়ে একজন ব্যক্তিকে তপস্বীর মতো জীবনযাপন করতে হয়। একমাস কাম, ক্রোধ, আসক্তি, মোহ থেকে দূরে থাকার সংকল্প নেওয়া হয় এবং নিয়ম ও সংযমের সঙ্গে গঙ্গা-যমুনা সঙ্গমের তীরে নির্জনে উপবাস, পুজো ও স্নান-দান করা হয়। দিনে তিনবার গঙ্গায় স্নান করা এবং সকালে উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয়। ভক্তরা ভজন-কীর্তন করে, দান করে এবং মাটিতে ঘুমায়। ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র একবার খাবার পরিবেশন করা হয়। একবার কল্পবাস শুরু হলে, এই ঐতিহ্য টানা ১২ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়।

    কল্পবাসের গুরুত্ব

    কথিত আছে, সঙ্গমের বালিতে এক মাস কল্পবাস করলে মানুষ সেই ফল পায়, যা অন্নভোগ না করে ১০০ বছর তপস্যা করলে পাওয়া যায়। কল্পবাস দ্বারা মানুষের সকল প্রকার পাপ দূর হয়ে যায়। সমস্ত হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থে কল্পবাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কল্পবাস করে সে যত ত্যাগ স্বীকার করে তার সমান পুণ্য পায়। কল্পবাস এমন একটি সাধনা যা একজন মানুষকে জন্মের পর জন্ম থেকে মুক্তি দিতে পারে। কল্পবাসকে ৫০ বছর পূর্ণ করা ব্যক্তিদের জন্য সর্বোত্তম বলা হয়, কারণ জীবনের সমস্ত কর্তব্য সমাপ্ত করার পরে, জীবনে ত্যাগের অবস্থা আসে।

    মহাকুম্ভে কল্পবাস

    সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে মাঘ মাসে দেবতারা প্রয়াগরাজ ভূমিতে অধিবাস করেন। এ কারণে মাঘ মাসে কল্পবাসের বিধান রয়েছে। এমনও একটি বিশ্বাস আছে যে কল্পবাস করলে পরিবারে সুখ-শান্তি সহ মানুষ জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পায়। ভক্তরাও মোক্ষলাভের আকাঙ্ক্ষায় কল্পবাস করেন। সঙ্গমের তীরে গঙ্গার বালিতে প্রতি বছর কুম্ভ, মহা কুম্ভ এবং মাঘ মেলার সময় কল্পাবাস পালনের প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে প্রয়াগরাজে কল্পবাস করলে মা গঙ্গার আশীর্বাদ পরিবারে থাকে, যার ফলে ঘরে সুখ শান্তি থাকে এবং মায়ের ভক্তরাও মোক্ষ লাভ করে। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিবার প্রতি বছর প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ও মাঘ মেলায় কল্পবাস করতে আসে।

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    কল্পবাসে লরেন পাওয়েল জোবস

    দূর-দূরান্তের সাধু-সন্ন্যাসী ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মহাকুম্ভে অংশ নিতে চলেছেন বহু ভিভিআইপি-ও। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হাজার-হাজার ‘কল্পবাসী’। সাধারণত, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের গ্রামের পুরুষ ও মহিলারাই ‘কল্পবাসী’ হিসেবে যোগ দেন মহাকুম্ভে। এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন ‘অ্যাপল’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও, প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন। নিরঞ্জনী আখড়ার স্বামী কালিয়াশানন্দের শিবিরে থাকার কথা তাঁর। ১৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) কবেন। আর পাঁচ জন কল্পবাসীর মতো লরেনও সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুন্যস্নান করবেন এবং নিয়মিত ধর্মোপদেশ শুনবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 246: “আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি, কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি”

    Ramakrishna 246: “আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি, কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, জুন

    নানাভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তমন্দিরে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যারা যারা এখানে আসে তাদের সংস্কার আছে; কি বল?

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরের সংস্কার ছিল।

    মাস্টার—তা আর বলতে (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সরল হলে ঈশ্বরকে শীঘ্র পাওয়া যায়। আর দুটো পথ আছে—সৎ, অসৎ। সৎপথ দিয়ে চলে যেতে হয়।

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ, সুতোর একটু আঁশ থাকলে ছুঁচের ভিতর যাবে না।

    সর্বত্যাগ কেন? 

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—খাবারের সঙ্গে চুল জিবে পড়লে, মুখ থেকে সবসুদ্ধ ফেলে দিতে হয়।

    মাস্টার—তবে আপনি যেমন বলেন, যিনি ভগবানদর্শন করেছেন, তাঁকে অসৎসঙ্গে কিছু করতে পারে না। খুব জ্ঞানাগ্নিতে কলাগাছটা পর্যন্ত জ্বলে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীকবিকঙ্কণ—অধরের বাটীতে চণ্ডির গান 

    আর-একদিন ঠাকুর কলিকাতায় বেনেটোলায় অধরের বাড়িতে আসিয়াছেন। ৩১শে আষাঢ়, শুক্লা দশমী, ১৪ই জুলাই ১৮৮৩, শনিবার। অধর ঠাকুরকে রাজনারাণের চন্ডীর গান শুনাইবেন। রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে আছেন। ঠাকুরদালানে গান হইতেছে। রাজনারাণ গান ধরিলেন:

          অভয় পদে প্রাণ সঁপেছি ৷
          আমি আর কি যমের ভয় রেখেছি ॥
    কালীনাম মহামন্ত্র আত্মশির শিখায় বেঁধেছি ৷
    আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি ॥
    কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি ৷
    এবার শমন এলে হৃদয় খুলে দেখাব তাই বসে আছি ॥
    দেহের মধ্যে ছজন কুজন, তাদের ঘরে দূর করেছি ৷
    রামপ্রসাদ বলে দুর্গা বলে যাত্রা করে বসে আছি ॥

    ঠাকুর খানিক শুনিতে শুনিতে ভাবাবিষ্ট, দাঁড়াইয়া পড়িয়াছেন ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিয়া গান গাইতেছেন।

    ঠাকুর আখর দিতেছেন, “ওমা, রাখ মা।” আখর দিতে দিতে একেবারে সমাধিস্থ। বাহ্যশূন্য, নিস্পন্দ! দাঁড়াইয়া আছেন। আবার গায়ক গাহিতেছেন (Kathamrita):

          রণে এসেছ কার কামিনী
    সজল-জলদ জিনিয়া কায় দশনে দোলে দামিনী!

    ঠাকুর আবার সমাধিস্থ!

    গান সমাপ্ত হইলে দালান হইতে গিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের দ্বিতল বৈঠকখানায় ভক্তসঙ্গে বসিলেন। নানা ঈশ্বরীয় প্রসঙ্গ হইতেছে। কোন কোন ভক্ত অন্তঃসার ফল্গুনদী, উপরে ভাবের কোন প্রকাশ নাই—এ-সব কথাও হইতেছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 245: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ ”

    Ramakrishna 245: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, জুন

    নানাভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তমন্দিরে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-দেবালয়ে, শিবমন্দিরে সিঁড়িতে বসিয়া আছেন। জৈষ্ঠ মাস, ১৮৮৩, খুব গরম পড়িয়াছে। একটু পরে সন্ধ্যা হইবে। বরফ ইত্যাদি লইয়া মাস্টার আসিয়াছেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া তাঁহার পাদমূলে শিবমন্দিরের সিঁড়িতে বসিলেন (Kathamrita)।

    1. S. Mill and Sri Ramakrishna: Limitations of man—a conditioned being

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—মণি মল্লিকের নাতজামাই এসেছিল। সে কি বই-এ পড়েছে, ঈশ্বরকে তেমন জ্ঞানী, সর্বজ্ঞ বলে বোধ হয় না। তাহলে এত দুঃখ কেন? আর এই যে জীবের মৃত্যু হয়, একেবারে মেরে ফেললেই হয়, ক্রমে ক্রমে অনেক কষ্ট দিয়ে মারা কেন? যে বই লিখেছে সে নাকি বলেছে যে, আমি হলে এর চেয়ে ভাল সৃষ্টি করতে পারতাম।

    মাস্টার হাঁ করিয়া ঠাকুরের কথা শুনিতেছেন ও চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তাঁকে কি বুঝা যায় গা! আমিও কখন তাঁকে ভাবি ভাল, কখন ভাবি মন্দ। তাঁর মহামায়ার ভিতের আমাদের রেখেছেন। কখন তিনি হুঁশ করেন, কখন তিনি অজ্ঞান করেন। একবার অজ্ঞানটা চলে যায়, আবার ঘিরে ফেলে। পুকুর পানা ঢাকা, ঢিল মারলে খানিকটা জল দেখা যায়, আবার খানিকক্ষণ পরে পানা নাচতে নাচতে এসে সে জলটুকুও ঢেকে ফেলে।

    “যতক্ষণ দেহবুদ্ধি ততক্ষণই সুখ-দুঃখ, জন্মমৃত্যু, রোগশোক। দেহেরই এই সব, আত্মার নয়। দেহের মৃত্যুর পর তিনি হয়তো ভাল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন—যেমন প্রসববেদনার পর সন্তানলাভ। আত্মজ্ঞান হলে সুখ-দুঃখ, জন্মমৃত্যু—স্বপ্নবৎ বোধ হয়।

    “আমরা কি বুঝব! এক সের ঘটিতে কি দশ সের দুধ ধরে? নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিয়ে আর খবর দেয় না। গলে মিশে যায় (Kathamrita)।”

     “ছিদ্যন্তে সর্ব্বসংশয়াঃ তস্মিন্‌ দৃষ্টে পরাবরে” 

    সন্ধ্যা হইল। ঠাকুরদের (Ramakrishna) আরতি হইতেছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘরে ছোট খাটটিতে বসিয়া জগন্মাতার চিন্তা করিতেছেন। রাখাল, লাটু, রামলাল, কিশোরী গুপ্ত প্রভৃতি ভক্তেরা আছেন। মাস্টার আজ রাত্রে থাকিবেন। ঘরের উত্তরে ছোট বারান্দায় ঠাকুর একটি ভক্তের সহিত নিভৃতে কথা কহিতেছেন। বলিতেছেন, “প্রত্যূষে ও শেষ রাত্রে ধ্যান করা ভাল ও প্রত্যহ সন্ধ্যার পর।” কিরূপ ধ্যান করিতে হয় — সাকার ধ্যান, অরূপ ধ্যান, সে-সব বলিতেছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর পশ্চিমের গোল বারান্দাটিতে বসিয়া আছেন। রাত্রি ৯টা হইবে। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখাল প্রভৃতি এক-একবার ঘরের ভিতর যাতায়াত করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, এখানে যারা যারা আসবে সকলের সংশয় মিটে যাবে, কি বল?

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    এমন সময় গঙ্গাবক্ষে অনেক দূরে মাঝি নৌকা লইয়া যাইতেছে ও গান ধরিয়াছে। সেই গীতধ্বনি, মধুর অনাহতধ্বনির ন্যায় অনন্ত আকাশের ভিতর দিয়া গঙ্গার প্রশস্ত বক্ষ যেন স্পর্শ করিয়া ঠাকুরের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল। ঠাকুর অমনি ভাবাবিষ্ট। সমস্ত শরীর কণ্টকিত। মাস্টারের হাত ধরিয়া বলিতেছেন, “দেখ দেখ আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে। আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখ!” তিনি সেই প্রেমাবিষ্ট কণ্টকিত দেহ স্পর্শ করিয়া অবাক্‌ হইয়া রহিলেন। “পুলকে পূরিত অঙ্গ”! উপনিষদে কথা আছে যে, তিনি বিশ্বে আকাশে ‘ওতপ্রোত’ হয়ে আছেন। তিনিই কি শব্দরূপে শ্রীরামকৃষ্ণকে স্পর্শ করিতেছেন? এই কি শব্দ ব্রহ্ম?

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) আবার কথা কহিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 10 January 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 January 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সুপারের, শান্তিপুর হাসপাতালে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশন

    Santipur: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সুপারের, শান্তিপুর হাসপাতালে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা চিকিৎসককে হুমকির ঘটনায় বৃহস্পতিবার শান্তিপুর হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। সম্প্রতি, নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য দফতর সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    বৈঠক করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা (Santipur)

    জানা গিয়েছে, হুমকি পাওয়ার পর প্রাথমিক নিরাপত্তা চেয়ে শান্তিপুর (Santipur) থানায় সুপারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশনেও একটি অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের তদন্তে বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। প্রথমে তিনি হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে চিকিৎসা কেমন চলছে, নার্স পর্যাপ্ত আছে কিনা এবং রোগীরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সেই নিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলেন। পরবর্তীতে, হুমকি ইস্যুতে শান্তিপুর সরকারি হাসপাতালের সুপার তারক বর্মন এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য?

    বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্চনা মজুমদার বলেন, “যে অভিযোগ মহিলা ডাক্তার করেছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করার। তবে এই বিষয়ে বলার কিছু নেই। তার, কারণ মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমি কথা বলেছি। যদি কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেন, তাহলে সুপারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” জানা গিয়েছে, শান্তিপুর হাসপাতাল পরিদর্শনের শেষে শান্তিপুর থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের পরে সারা রাজ্যব্যাপী শুরু হয়েছিল প্রতিবাদের ঝড়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শান্তিপুর (Santipur) হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে এক মহিলা চিকিৎসক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তার সঠিক তদন্ত করতে এদিন হাসপাতালে পরিদর্শনে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়ায় লাগাতার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ঠিক এই উত্তেজনাময় আবহের মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্তে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিজিবি কমান্ডারের সঙ্গে এই বৈঠক হয়েছে বিএসএফ (BSF-BGB Flag Meeting) দক্ষিণবঙ্গের ফ্রন্টিয়ারের আইজি মণিন্দ্র সিং পাওয়ারের। সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, বিজিবির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সীমান্ত নিয়ে কেন এই ভাবে বার বার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে?

    বিজিবিরা কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে আসে (BSF-BGB)?

    বিএসএফ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফের পক্ষ থেকে আইজি যশোর বিভাগের আঞ্চলিক নয়া কমান্ডার কাছে জানতে চেয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (Bangladesh) যে আচরণ প্রত্যাশা করা হয়, তা এখন করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বিজিবি কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে এসে নিজেদের বলে দাবি করছেন। একই ভাবে আরও একাধিক বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন (BSF-BGB Flag Meeting)।

    উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশের যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহরপুর, চুয়াডাঙার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ঘেঁষা জায়গাগুলিতে উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে বাংলাদেশের জঙ্গি হেফাজত, জেএমবি এবং আরও একাধিক কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি অতিসক্রিয়। ফলে সীমান্ত টপকে অনুপ্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিজিবিকে (BSF-BGB) পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম মিথ্যা প্রচার করছে

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরা জেলা জামাতের অন্যতম আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের রুখতে বিজিবি দাবি করেছে, ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিমি ভূখণ্ডকে ভারত দখল করেছে। এই নিয়ে আলোচনা হতেই বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয় বিএসএফ। ভারতীয় বাহিনী (BSF-BGB) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, “বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থাকছে (BSF-BGB Flag Meeting)। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারেনি কেউ। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।” একই ভাবে বাংলাদেশ লাগোয়া মালদার বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত সুকদেবপুর গ্রামসংলগ্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়ায়। সীমান্তে ফেন্সিং করা নিয়ে বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের বচসা হয় এবং ঝামেলা বাধে (BSF-BGB Flag Meeting)। এই পরিস্থিতির পিছনে যে মহম্মদ ইউনূসের ভারত বিদ্বেষী পরিকল্পনা রয়েছে তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নতুন কর প্রত্যাহার না করলে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকিও শোনা গিয়েছে।  দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে নাজেহাল আমজনতা। সেই সঙ্গেই মোবাইল ফোনের রিচার্জ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে নিজের দেশেই জনরোষের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকার।

    কেন ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের জনগন

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে ক্ষমতায় আসেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। আর তারপর থেকেই একের পর এক নতুন নিয়ম চালু করেছেন তিনি। বাংলাদেশের নতুন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গেলে, বিলের উপরে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। আগে এই ভ্যাট ৫ শতাংশ ছিল। সেই ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হল। বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ করে ভ্যাট বসানো হবে। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এমনিতেই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাল, তেল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইউনূসের সরকারকে নিশানা করেছে আওয়ামি লিগও। ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ করতে কর হিসেবে দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা। এখন সেখানে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি হাসিনার দলের। 

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    সরকারকে হুঁশিয়ারি জনতার

    ইতিমধ্যেই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, বুধবার রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। নতুন করে যে ভ্যাট বা কর বসানো হয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। গ্যাস সহ অন্যান্য জিনিসের ওপর আরোপ করা কর কমানো না হলে ছাত্র জনতাকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ফরাসি। ফ্রান্সই (French Woman) তাঁর মাতৃভূমি। তবে যিশুর ভক্ত নন। তাঁর আরাধ্য দেবতা শিব! সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ। সেই টানেই ৬ হাজার মাইল উজিয়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, পূর্ণকুম্ভ (Maha Kumbh Mela) চাক্ষুষ করবেন বলে। ‘আত্মার শুদ্ধিকরণে’ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানও করবেন তিনি। বছর পঁয়ষট্টির এই ফরাসি মহিলার নাম পাসকাল। পূর্ণকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    হিন্দুধর্মের প্রেমে পড়েছিলেন সেই কবে (Maha Kumbh Mela)

    পাসকাল হিন্দুধর্মের প্রেমে আজ পড়েননি, পড়েছিলেন সেই ১৯৮৪ সালে। সেবার প্রথম ভারতে এসে হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। হিন্দু ধর্মকে ভালোভাবে আত্তীকরণ করতে পুরাণ পড়েছেন, পড়েছেন ভগবদ গীতাও। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে হিন্দু ধর্মের প্রতি পাসকালের টান বেড়েছে। তাঁর হৃদয় মন্দিরে ততদিনে ঠাঁই নিয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি এখানে এসে খুব খুশি। আমি কুম্ভ মেলার গল্প জানি। এটি আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে এসে অনেক যোগী, সাধু এবং হিন্দু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি হিন্দুধর্মকে ভালোবাসি এবং ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাস রাখি।” তিনি বলেন, “কুম্ভে যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমার কাছে অমৃতের ফোঁটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    রুদ্রাক্ষ আমায় রক্ষা করে

    দিন ঘনিয়ে আসছে মহাকুম্ভের। প্রয়াগরাজে জমতে শুরু করেছে থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ে রয়েছেন পাসকালও। হিন্দু ধর্মের প্রতি টানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এটি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসা অনুভূতি।” কুম্ভে যে কারও থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই, তা ভালো লেগেছে এই ফরাসি মহিলার। বলেন, “এত বড় আয়োজন। এত মানুষের থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। সবই নিখরচায় আয়োজন করা হয়েছে।” পাসকাল (Maha Kumbh Mela) বলেন, “এখানে সাধু-সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি।” পাসকালের গলায় ঝুলছে রুদ্রাক্ষ। সেটি দেখিয়ে ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি, সেটি আমার এক বন্ধু আমায় উপহার দিয়েছিল। এটা গলায় থাকলে মনে হয়, এটি আমায় সর্বদা রক্ষা করছে (French Woman)।”

    মহাকুম্ভের এও এক প্রাপ্তি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবী বেশ কয়েকদিন আটকে ছিলেন বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে তাঁরা ফিরেছেন ঘরে। মূলত ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের মৎস্যজীবীদের বিনিময় করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নিজেদের দেশে। এর মধ্যে দেশে ফেরা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সব মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে বাংলাদেশের নৌসেনা ও কোস্টগার্ড। দেশে ফিরে শোনালেন বাংলাদেশে আটকে থাকাকালীন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কেউ জানালেন, “নগ্ন করে আমাদের মারা হয়েছে। সেই ছবিও তোলা হয়েছে।” কেউ আবার  বললেন, “শেখ হাসিনাকে ভারতের মা বলে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে।” শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি বন্দিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে তো খুন করা হয়েছে। এক কথায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের পরিষ্কার কথা, তাঁরা বাংলাদেশের নৌসেনাদের অত্যাচারের স্মৃতি ভুলতে পারছে না।

    উলঙ্গ করে আগোপিছু ছবি তুলেছে (Indian Fishermen)

    গোপাল মান্না নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ২০ তারিখ আমাদের ধরেছিল। তারপর পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর ওদের দেশের (Bangladesh) নৌবাহিনী আমাদের মাছগুলো (Indian Fishermen) নিয়ে চলে যায়। তারপর আমাদের আধার কার্ড চায়। এরপর উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে। আমরা কিছু বলিনি। কারণ যদি আরও মারধর করে। বারবার বলছে জামা কাপড় খোল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আগে যাঁদের ধরেছে তাদের তো বেদম মেরেছে। এত মেরেছে যে পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হত। ওই মার চোখে দেখা যায় না। পশুর ওপরও ওরকম অত্যাচার করা হয় না। এরপর ওইখানকার থানায় নিয়ে যায়। খাবার দিয়েছে। মেডিক্যাল করল। তারপর শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে পুলিশ বলল, তোদের মা নেই। মা মরে গিয়েছে। চলে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ

    বছর ষাটের গুণমণি দাসকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে। এমনিতে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত মৎস্যজীবীর কাকদ্বীপের বাড়িতে বুক ফাটা কান্না। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ট্রলারে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবী গুণমণি দাস। ৬টি ট্রলারে মোট ৯৫ জন রওনা দেন মাছ শিকার করতে। দু’মাস পরে গুণমণি দাস ছাড়া ঘরে ফিরেছেন সকলে। ফিরে আসা মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। সেই সময়ে সীমান্ত পার করে চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী। ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও গুণমণিকে তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গুণমণিকে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরে আসা এক ভারতীয় মৎস্যজীবী। সেই সঙ্গে, তাঁর আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে রাজ্য সফরে আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা তাঁর। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন সংঘ প্রধান। হাজির হবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর পরে ১১ তারিখেই বর্ধমানে যাবেন তিনি। সেখানে ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন। শেষ দিনে জনসভা করবেন। আগামী মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রদর্শন কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত কলকাতায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) পাঁচদিন থাকবেন। এর বেশিরভাগ সময়ই চলবে অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি ও সাংগঠনিক। মাঝে তিনি একদিন বিশ্রাম নেবেন। সংঘ সূত্রে খবর, ওইদিনেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সংঘপ্রধান। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে আরএসএস পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই আবহে সারা দেশেই সফর করছেন মোহন ভাগবত। শতবর্ষকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে আরএসএস। সেই অনুষ্ঠানগুলির পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে-রাজ্যে।

    বৈঠক করবেন মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে  

    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে রাজ্যে সংঘের তিনটি বিভাগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। বর্ধমান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সাংগঠনিকভাবে মধ্যবঙ্গে পড়ে। এই শহরেই মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মোহন ভাগবতের। এর আগে সাম্প্রতিককালে আরজি কর কাণ্ডে কড়া নিন্দা করে সরব হয়েছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এবারের বাংলা সফরে তিনি কী বলেন সেটাই দেখার।

    বাংলাদেশ নিয়ে দিতে পারেন বার্তা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দুদের পর চলছে একের পর হামলা। এই আবহে বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করে কড়া বার্তা দিয়েছিল আরএসএস। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share