Blog

  • Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ফরাসি। ফ্রান্সই (French Woman) তাঁর মাতৃভূমি। তবে যিশুর ভক্ত নন। তাঁর আরাধ্য দেবতা শিব! সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ। সেই টানেই ৬ হাজার মাইল উজিয়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, পূর্ণকুম্ভ (Maha Kumbh Mela) চাক্ষুষ করবেন বলে। ‘আত্মার শুদ্ধিকরণে’ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানও করবেন তিনি। বছর পঁয়ষট্টির এই ফরাসি মহিলার নাম পাসকাল। পূর্ণকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    হিন্দুধর্মের প্রেমে পড়েছিলেন সেই কবে (Maha Kumbh Mela)

    পাসকাল হিন্দুধর্মের প্রেমে আজ পড়েননি, পড়েছিলেন সেই ১৯৮৪ সালে। সেবার প্রথম ভারতে এসে হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। হিন্দু ধর্মকে ভালোভাবে আত্তীকরণ করতে পুরাণ পড়েছেন, পড়েছেন ভগবদ গীতাও। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে হিন্দু ধর্মের প্রতি পাসকালের টান বেড়েছে। তাঁর হৃদয় মন্দিরে ততদিনে ঠাঁই নিয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি এখানে এসে খুব খুশি। আমি কুম্ভ মেলার গল্প জানি। এটি আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে এসে অনেক যোগী, সাধু এবং হিন্দু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি হিন্দুধর্মকে ভালোবাসি এবং ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাস রাখি।” তিনি বলেন, “কুম্ভে যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমার কাছে অমৃতের ফোঁটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    রুদ্রাক্ষ আমায় রক্ষা করে

    দিন ঘনিয়ে আসছে মহাকুম্ভের। প্রয়াগরাজে জমতে শুরু করেছে থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ে রয়েছেন পাসকালও। হিন্দু ধর্মের প্রতি টানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এটি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসা অনুভূতি।” কুম্ভে যে কারও থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই, তা ভালো লেগেছে এই ফরাসি মহিলার। বলেন, “এত বড় আয়োজন। এত মানুষের থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। সবই নিখরচায় আয়োজন করা হয়েছে।” পাসকাল (Maha Kumbh Mela) বলেন, “এখানে সাধু-সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি।” পাসকালের গলায় ঝুলছে রুদ্রাক্ষ। সেটি দেখিয়ে ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি, সেটি আমার এক বন্ধু আমায় উপহার দিয়েছিল। এটা গলায় থাকলে মনে হয়, এটি আমায় সর্বদা রক্ষা করছে (French Woman)।”

    মহাকুম্ভের এও এক প্রাপ্তি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবী বেশ কয়েকদিন আটকে ছিলেন বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে তাঁরা ফিরেছেন ঘরে। মূলত ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের মৎস্যজীবীদের বিনিময় করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নিজেদের দেশে। এর মধ্যে দেশে ফেরা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সব মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে বাংলাদেশের নৌসেনা ও কোস্টগার্ড। দেশে ফিরে শোনালেন বাংলাদেশে আটকে থাকাকালীন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কেউ জানালেন, “নগ্ন করে আমাদের মারা হয়েছে। সেই ছবিও তোলা হয়েছে।” কেউ আবার  বললেন, “শেখ হাসিনাকে ভারতের মা বলে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে।” শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি বন্দিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে তো খুন করা হয়েছে। এক কথায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের পরিষ্কার কথা, তাঁরা বাংলাদেশের নৌসেনাদের অত্যাচারের স্মৃতি ভুলতে পারছে না।

    উলঙ্গ করে আগোপিছু ছবি তুলেছে (Indian Fishermen)

    গোপাল মান্না নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ২০ তারিখ আমাদের ধরেছিল। তারপর পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর ওদের দেশের (Bangladesh) নৌবাহিনী আমাদের মাছগুলো (Indian Fishermen) নিয়ে চলে যায়। তারপর আমাদের আধার কার্ড চায়। এরপর উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে। আমরা কিছু বলিনি। কারণ যদি আরও মারধর করে। বারবার বলছে জামা কাপড় খোল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আগে যাঁদের ধরেছে তাদের তো বেদম মেরেছে। এত মেরেছে যে পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হত। ওই মার চোখে দেখা যায় না। পশুর ওপরও ওরকম অত্যাচার করা হয় না। এরপর ওইখানকার থানায় নিয়ে যায়। খাবার দিয়েছে। মেডিক্যাল করল। তারপর শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে পুলিশ বলল, তোদের মা নেই। মা মরে গিয়েছে। চলে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ

    বছর ষাটের গুণমণি দাসকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে। এমনিতে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত মৎস্যজীবীর কাকদ্বীপের বাড়িতে বুক ফাটা কান্না। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ট্রলারে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবী গুণমণি দাস। ৬টি ট্রলারে মোট ৯৫ জন রওনা দেন মাছ শিকার করতে। দু’মাস পরে গুণমণি দাস ছাড়া ঘরে ফিরেছেন সকলে। ফিরে আসা মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। সেই সময়ে সীমান্ত পার করে চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী। ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও গুণমণিকে তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গুণমণিকে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরে আসা এক ভারতীয় মৎস্যজীবী। সেই সঙ্গে, তাঁর আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে রাজ্য সফরে আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা তাঁর। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন সংঘ প্রধান। হাজির হবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর পরে ১১ তারিখেই বর্ধমানে যাবেন তিনি। সেখানে ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন। শেষ দিনে জনসভা করবেন। আগামী মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রদর্শন কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত কলকাতায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) পাঁচদিন থাকবেন। এর বেশিরভাগ সময়ই চলবে অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি ও সাংগঠনিক। মাঝে তিনি একদিন বিশ্রাম নেবেন। সংঘ সূত্রে খবর, ওইদিনেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সংঘপ্রধান। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে আরএসএস পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই আবহে সারা দেশেই সফর করছেন মোহন ভাগবত। শতবর্ষকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে আরএসএস। সেই অনুষ্ঠানগুলির পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে-রাজ্যে।

    বৈঠক করবেন মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে  

    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে রাজ্যে সংঘের তিনটি বিভাগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। বর্ধমান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সাংগঠনিকভাবে মধ্যবঙ্গে পড়ে। এই শহরেই মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মোহন ভাগবতের। এর আগে সাম্প্রতিককালে আরজি কর কাণ্ডে কড়া নিন্দা করে সরব হয়েছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এবারের বাংলা সফরে তিনি কী বলেন সেটাই দেখার।

    বাংলাদেশ নিয়ে দিতে পারেন বার্তা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দুদের পর চলছে একের পর হামলা। এই আবহে বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করে কড়া বার্তা দিয়েছিল আরএসএস। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: আপনি কি মহাকুম্ভ মেলায় যেতে চান? এই জরুরি বিধিনিষেধগুলি আপনাকে মানতেই হবে

    Mahakumbh Mela 2025: আপনি কি মহাকুম্ভ মেলায় যেতে চান? এই জরুরি বিধিনিষেধগুলি আপনাকে মানতেই হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) হল সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় এবং প্রতীক্ষিত আধ্যাত্মিক সমাবেশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান মহামিলন কেন্দ্র। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে এই মহাকুম্ভ। কোটি কোটি ভক্তরা সাক্ষী হবেন এই ত্রিবেণী সঙ্গমে। মানবজীবনের পুণ্য সঞ্চয়ের জন্য পবিত্র স্নান (Holy Bathing) করতে ভক্তরা একত্রিত হবেন—গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে। পর্যটক, সাধু, সন্ন্যাসী, তীর্থযাত্রী, পুণ্যার্থী এবং বিশ্বব্যাপী ভ্রমণকারীদের জন্য এই পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা ভারতের ঐতিহ্যেকে তুলে ধরবে। নিজেদের এই পবিত্র স্নানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় আচার এবং তীর্থযাত্রা দেখার সুযোগ করে দেবে ভক্তদের। আপনি যদি উৎসবে যোগদানের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে কী করণীয় এবং কী করণীয় নয়, সেই বিষয়ে জেনে নিন।

    কী কী করণীয়

    ১> আপনি যদি মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন এবং শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি নিয়ে আসবেন।

    ২> থাকার ব্যবস্থা, দিনক্ষণ, তারিখ ইত্যাদির জন্য ওয়েবসাইটটি পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনার ফোনে অফিসিয়াল ‘Maha Kumbh 2025 অ্যাপ’ ডাউনলোড করুন।

    ৩> আপনার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলি বহন করুন, এবং যদি আপনার কোনও পূর্ব-বিদ্যমান অসুস্থতা বা রোগ থেকে থাকে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করুন।

    ৪> জরুরি যোগাযোগ নম্বর এবং খাবার, হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা ইত্যাদির মতো সুবিধাগুলি সম্পর্কে জেনে রাখুন।

    ৫> বর্জ্য অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।

    ৬> স্নানের (Holy Bathing) উদ্দেশ্যে, শুধুমাত্র স্নানের এলাকা এবং মেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত ঘাটগুলিকেই ব্যবহার করুন।

    ৭> সন্দেহজনক কিছু পেলে পুলিশ বা মেলা প্রশাসনকে জানান।

    ৮> মেলা আয়োজনের সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলিকে সহযোগিতা করুন।

    ৯> পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমর মাধ্যমে দেওয়া নিয়ম এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

    ১০> সাইনবোর্ডগুলিতে মনোযোগ দিন, যা ভিড়ের মধ্য দিয়ে দিকনির্দেশ এবং সহায়তা প্রদান করবে।

    কী কী করবেন না

    ১> কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কাপড়, খাবার বা জিনিসপত্র বহন করা এড়িয়ে চলুন।

    ২> অপরিচিত কাউকে বিশ্বাস করবেন না বা অননুমোদিত জায়গায় খাওয়া এড়িয়ে যাবেন না।

    ৩> শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা করবেন না, কারণ এতে থাকার জায়গা খুঁজে পেতে এবং পরিষেবা পেতে সমস্যা হতে পারে।

    ৪> ডিজিটাল পেমেন্ট বেছে নিন এবং আপনার পকেটে অতিরিক্ত নগদ রাখা এড়িয়ে চলুন।

    ৫> আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে ঠান্ডা জলের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

    ৬> আপনার নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র মনোনীত ঘাট এবং অফিসিয়াল নৌকা পরিষেবা ব্যবহার করুন।

    ৭> ভিড়ে ব্যবস্থাপকদের নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং ধাক্কা বা তাড়াহুড়ো এড়ান।

    ৮> আপনার নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র মনোনীত ঘাট এবং অফিসিয়াল নৌকা পরিষেবা ব্যবহার করুন।

    ৯> প্রতারণামূলক কার্যকলাপ এবং কেলেঙ্কারি থেকে সতর্ক থাকুন।

    ১০> উচ্চস্বরে গান, আবর্জনা বা আধ্যাত্মিক পরিবেশকে ব্যাহত করে এমন কোনও আচরণ করবেন না।

    ১১> পরিষ্কার-ধোয়ার উদ্দেশ্যে ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করে জলাশয়কে দূষিত করবেন না।

    ১২> আপনি যদি ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে জনাকীর্ণ জায়গায় যাবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    PM Modi: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উৎসবের সময় ভারতের মাটিতে প্রবাসীদের উপস্থিতি তাঁদেরকে দেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়।” বৃহস্পতিবার অষ্টাদশতম ‘প্রবাসী ভারতীয় দিবসে’ (Pravasi Bharatiya Divas 2025) বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রবাসীদের মূল্যবোধেরও প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “এই মূল্যবোধের কারণেই তাঁরা বিশ্বে সহজেই মিশে যান, এগিয়ে নিয়ে যান ভারতীয় সংস্কৃতিকে।”

    আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হবে। মকর সংক্রান্তি, মাঘ বিহুর উৎসবও আসন্ন। সর্বত্র একটি আনন্দময় পরিবেশ রয়েছে। আমাদের জন্য এটি সেই দিন ছিল ১৯১৫ সালে, যখন মহাত্মা গান্ধী বহু বছর বিদেশে থাকার পর ভারতে ফিরে এসেছিলেন। এমন একটি সুন্দর সময়ে আপনারা ভারতে উপস্থিত থাকায় উৎসবের আনন্দ আরও বাড়ছে।” সঙ্কটের সময় প্রবাসীদের সাহায্য করাও যে সরকারের দায়িত্ব, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা যেন সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য পান, তা আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। আপনাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সঙ্কটের সময় পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন, আপনাদের সাহায্য করা আমরা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এটি আজকের ভারতের বিদেশনীতির অন্যতম প্রধান নীতি। গত এক দশকে আমাদের দূতাবাস ও অফিসগুলি বিশ্বজুড়ে সংবেদনশীল ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে অনেক দেশে মানুষকে কনস্যুলার পরিষেবার জন্য অনেক দূর ছুটতে হত, সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হত। এখন এই সমস্যাগুলি সমাধান করা হচ্ছে। গত দু’বছরে ১৪টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট খোলা হয়েছে। ওসিআই কার্ডের পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। এটি এখন মরিশাসের সপ্তম প্রজন্মের পিআইওদের জন্যও প্রযোজ্য।”

    আরও পড়ুন: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এ বছরের প্রবাসী ভারতীয় দিবস একটি অতিরিক্ত কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবার্ষিকীর পরে একত্রিত হয়েছি। এই অনুষ্ঠানের পেছনে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি ভারত ও তার প্রবাসীদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করার একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এক সঙ্গে আমরা উদযাপন করি—ভারত, ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অগ্রগতি, এবং আমাদের শিকড়ের (Pravasi Bharatiya Divas 2025) সঙ্গে সংযোগ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটতেই বাড়ল ঠান্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৩.৬ ডিগ্রিতে

    Weather Update: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটতেই বাড়ল ঠান্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৩.৬ ডিগ্রিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটতেই রাজ্যে বাড়ল ঠান্ডা। ফের একবার ঝোড়ো ইনিংস (Weather Update) শুরু করল শীত। কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রায় আড়াই ডিগ্রি নামল তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা কমে হয় ১৩.৬। তবে এরইমধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার থেকে ফের বাড়বে তাপমাত্রা। ফলে পারদ পতন যে কোনও স্থায়ী হবে না তা আবারও জানাল হাওয়া অফিস। রবিবার থেকে ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গে শীতের পথে ফের কাঁটা বিছোতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা (West Bengal)।

    সপ্তাহের শেষে বাড়বে তাপমাত্রা

    এ দিকে শুধু কলকাতা সমেত জমিয়ে শীত পড়েছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলেও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার আরও কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা। বুধবারই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সপ্তাহের শেষে, পৌষ সংক্রান্তির মুখে ফের বাড়তে চলেছে তাপমাত্রা, এতে কিছুটা হলেও হতাশ শীতপ্রেমীরা (Weather Update)। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রয়েছে উত্তরে হাওয়ার দাপট। একাধিক জেলাতে সকালে দেখা দিয়েছে কুয়াশার চাদরও। উত্তরে হওয়ার দাপটেই বেশ কনকনে শীতের অনুভূতি। কলকাতার পাশাপাশি কমেছে জেলাগুলির তাপমাত্রাও। আপাতত কয়েকদিন এমনই আবহাওয়া থাকবে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    দক্ষিণবঙ্গে দেখা দেবে কুয়াশা (Weather Update)

    অন্যদিকে, আগামী সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ (Weather Update) মূলত পরিষ্কার থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ যোগ, নেপথ্যে রয়েছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    Mahakumbh Mela 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ যোগ, নেপথ্যে রয়েছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের পূর্ণকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) আর বাকি কুম্ভমেলাগুলি থেকে আলাদা। কারণ হিন্দু শাস্ত্রমতে জানা গিয়েছে, এই কুম্ভ ১৪৪ বছর পর পূর্ণ যোগে পূর্ণ কুম্ভমেলা বসবে। ভারতীয় হিন্দু ধর্মের মহামিলন কেন্দ্র হল এই মেলা। পুরাণে কথিত রয়েছে বাসকী নাগের দ্বারা সুরাসুরের সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত উঠেছিল, তা এই গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Triveni Sangam) এক ফোঁটা পড়েছিল। ফলে এই স্থানের নদী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে। এবছর উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, মেলায় আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি মানুষ পুণ্যস্নান করবেন। আর তাই প্রস্তুতি চলেছে জোর কদমে।

    ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ কেন (Mahakumbh Mela 2025)?

    মহাকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) হল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয়, সামজিক এবং সাংস্কৃতিক মহামিলন মেলা। প্রতি ১২ বছর এক যোগে পূর্ণকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর যে মেলা হয়, তাকে বলা হয় কুম্ভ। ছয় বছরে একবার কুম্ভকে বলা হয় অর্ধকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে অনুষ্ঠিত কুম্ভকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভমেলা। আবার ১২টি পূর্ণকুম্ভ অতিক্রান্ত হয়ে বা ১৪৪ বছর পর যে পূর্ণকুম্ভমেলা আসে, তাকে বলা হয় মহাকুম্ভ মেলা। এই কুম্ভ মূলত চারটি জায়গায় চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাগুলি হল, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদী সঙ্গমে প্রয়াগরাজ (Triveni Sangam), উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা নদীর তীরে হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনী এবং মহারাষ্ট্রের গোদাবরীর তীরে নাসিকে। সব জায়গায় মূলত নদী সঙ্গমে মেলা বসে এবং পুণ্যস্নান সম্পন্ন হয়। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।

    কীভাবে কুম্ভের তারিখ ঠিক হয়?

    কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) অবস্থান এবং তারিখ নির্ধারণ করতে, জ্যোতিষী এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আখড়ার নেতারা একত্রে মিলিত হন। এরপর বৃহস্পতি এবং সূর্যের অবস্থান কেমন রয়েছে তা ভালো করে পরীক্ষা করেন। বৃহস্পতি (গুরু) এবং সূর্য উভয়ই হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়। তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সময়, দিনক্ষণ, তারিখ এবং তিথি নির্ধারিত হয়। এই মেলা সধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

    কীভাবে কুম্ভমেলা শুরু, পৌরাণিক কাহিনী?

    এই কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) উৎপত্তি, হিন্দু পুরাণে, বিশেষ করে সমুদ্র মন্থনের গল্পে নিহিত। প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে দেবগণ (দেবতা) এবং অসুররা (দানব) অমৃত পাওয়ার জন্য একটি মহাজাগতিক মোক্ষ লাভের জন্য কাজ করে ছিলেন। সমুদ্র মন্থনটি হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র অমৃতে ভরা একটি কুম্ভ বা পাত্র উদ্ভূত হয়েছিল। অসুরদের হাত থেকে ওই অমৃতভান্ডার রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর ছদ্মবেশে পাত্রটি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর যাত্রার সময়, অমৃতের কয়েকটি ফোঁটা চারটি স্থানে পড়েছিল। এই স্থানগুলি হল— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। এই স্থানগুলি পবিত্রস্থান হিসাবে হিন্দু শাস্ত্রে শ্রদ্ধা করা হয়। এরপর থেকে কুম্ভমেলা ঘূর্ণায়মান হয়ে এই স্থানগুলিতে পালিত হয়।

    আরও পড়ুনঃ ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    জন্ম-মৃত্যুর মায়া বন্ধন কেটে যায়

    হিন্দু শাস্ত্রের তিথি নক্ষত্র অনুয়ায়ী দেখা গিয়েছে, গ্রহ এবং নক্ষত্রের একটি বিরল জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার ফলে এবারের কুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিন্দু জন্মান্তরবাদে সূত্রে এই কুম্ভে স্নান করলে সকল পাপের অবসান ঘটবে এবং জন্ম-মৃত্যুর মায়া বন্ধন ত্যাগ করে মোক্ষলাভ হবে। নিজের, পরিবার এবং সমাজ, দেশের কল্যাণ কামনায় কোটি কোটি ভক্তরা এই মহামিলন সাগরে সমাবেত হন। এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে আনুমানিক ৪৪ দিনের বেশি সময় ধরে। আগামী ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তি থেকে মেলা শুরু হবে এবং চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি, শিবরাত্রি পর্যন্ত। বিশেষ বিশষ স্নান হল, ২৯ জানুয়রি মৌনী অমবস্যা স্নান, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী স্নান, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা স্নান, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি স্নান।

    আখড়ার ঐতিহ্য, শোভাযাত্রা নিয়ে প্রদর্শনী

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা মত এবং ভাগের সাধু-সন্ত এবং সন্ন্যাসী সমাজের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাঁদের নিজের নিজের আখড়ার ঐতিহ্য, শোভাযাত্রা নিয়ে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হাতি, ঘোড়া, রথ নিয়ে বেশ সজ্জিত হয়ে নিজের নিজের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে তুলে ধরে থাকেন সন্তসমাজ। হিন্দু সমাজের পরম্পরা এবং ঐতিহ্য তুলেধারার একটা ধারাও লক্ষ্য করা যায় মেলায়। এই সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা যাত্রা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সমববেত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত-বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার স্বপ্ন দেখছেন মৌলবাদীরা। কিন্তু, দেশবাসীর মুখে দুবেলা অন্ন জোগানের ব্যবস্থা করতে পারেনি ইউনূস প্রশাসন। বন্ধু পাকিস্তানও এই সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা, খিদে মেটাতেই সেই ‘শত্রু দেশ’ ভারতের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে। ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনার (Indian Rice) সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের।  ওই যে কথায় বলে, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা!

    ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এমনই দাবি করা হল বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’-র রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত এক মাসে বাংলাদেশে খুচরো বাজারে প্রতি বস্তা চালের (Indian Rice) দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। এই আবহে সেখানের বাজারে সরু চালের দাম কেজি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা এবং মোটা চালের দাম কেজি পিছু ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কেন চাল কিনবে?

    জানা গিয়েছে, মূলত ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার। আর সেই কারণে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার চাল কিনতে টেন্ডার ডেকেছিল। সেই টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই আবহে তাদের থেকে ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার প্রতি টন হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে বাংলাদেশ। এই চাল (Indian Rice) কিনতে বাংলাদেশের পকেট থেকে খসবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৫৫.০৬ টাকা।

    নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ভারতের চালে পেট ভরেছে বাংলাদেশের

    এই প্রথম নয়। এর আগে, গত ডিসেম্বরেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছিল ইউনূস সরকার। ৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজিতে ৫৬.১২ টাকা দরে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল ঢাকা। তার পর, ১৮ ডিসেম্বর ৫৪.৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে ভারত থেকে চাল কেনার (Indian Rice) জন্যে সবুজ সংকেত দিয়েছিল ইউনূস সরকার। এরও আগে, গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজের থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এই আবহে গত কয়েক মাসে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ টন চাল কিনেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এবার ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার।

    ভারত থেকে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমতি

    এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছর সেদেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যার মধ্যে আবার ভারত থেকেই ৬ লাখ টন চাল (Indian Rice) আমদানির নীতিগত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি! কারণ, পাকিস্তান হোক বা তাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতনাম— এসব জায়গা থেকে চাল আমদানি করতে বেশি খরচের ভার বহন করতে হবে ইউনূস প্রশাসনকে, যার আগে থেকেই কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। এই আবহে আপাতত বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Women: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    Indian Women: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শিক্ষায় উন্নতির জন্য লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ক্রমাগত চলছে প্রচার। বেটি-বাঁচাও, বেটি-পড়াও প্রকল্পে মিলেছে সাড়া। চলছে নারীর (Indian Women) ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির চেষ্টা। তারই ফল স্বরূপ ভারত বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। যেখানে ‘স্টেম’— সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথমেটিক্স (STEM), অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা শক্তিশালী করতে এবং সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক স্তরে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে ভারতকে এগিয়ে দিয়েছে মেয়েদের এই সাফল্য।

    এক দশকে পালাবদল

    ভারতে বিজ্ঞানও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ শুধু প্রতীকী নয়, এটি পরিমাপযোগ্যও। দশ বছর আগে, মেয়েদের এই বিভাগে অংশগ্রহণ ছিল ৩৮.৪ শতাংশ। গত বছরে, এই হার ৪২.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রফেসর এম জগদীশ কুমার জানান, ভারতে মেয়েদের এই অগ্রগতি দেশকে এই ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতা হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয়। প্রফেসর এম জগদীশ কুমার বলেন, ‘‘এই শতাংশ বিশ্বব্যাপী কোন অঞ্চলের তুলনায় সর্বোচ্চ, যা দেশের নারী ক্ষমতায়নের এবং বৈজ্ঞানিক শক্তির সৃজনশীলতার প্রতীক।’’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির সক্রিয় পদক্ষেপ

    শিক্ষাবিদদের মতে,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নারী শিক্ষার (Indian Women) এবং বিজ্ঞানক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলেই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারে উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বেটি বাচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প, যা ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা রক্ষার জন্য সরকার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাসন্তানদের এগিয়ে দিয়েছে পরিবার। দেশে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও কিশোরী শক্তি যোজনার মাধ্যমে কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেয়েদের প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    নারী শিক্ষায় কেন্দ্রের নানা স্কলারশিপ

    উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ স্কলারশিপও। নারী শিক্ষার উন্নতিতে স্কলারশিপে জোরে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্য রয়েছে একাধিক বৃত্তির ব্যবস্থা। সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রীরা মাসে ৫০০ টাকা করে স্কলারশিপ পায়। তবে তার জন্য দশমের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয় তাদের। আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণায় নিযুক্ত মহিলাদেরও বৃত্তি দিয়ে থাকে কেন্দ্র। 

    ইন্সপায়ার-শি স্কলারশিপ: কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইনোভেশন ইন সায়েন্স পারস্যুইট ফর ইন্সপায়ারড রিসার্চ’ (ইন্সপায়ার) স্কিম চালু করা হয়েছে। এটি কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের স্কলারশিপ ফর হায়ার এডুকেশন (শি)-স্কিমের অন্তর্ভুক্ত। যাঁরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিজ্ঞানের যে কোনও বিষয় নিয়ে পাঠরত, শুধু মাত্র সেই মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্যই এই বৃত্তির ব্যবস্থা। 

    এআইসিটিই প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্লস: যে মহিলারা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে কোনও বিষয়ে টেকনিক্যাল ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বর্ষে পাঠরত, তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্য প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্লস চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া চলে।

    সিবিএসই মেরিট স্কলারশিপ স্কিম ফর সিঙ্গল গার্ল চাইল্ড: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর তরফেও পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে, যার নাম— সিবিএসই মেরিট স্কলারশিপ স্কিম ফর সিঙ্গল গার্ল চাইল্ড। যে পড়ুয়ারা সিবিএসই স্বীকৃত স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে একই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে, শুধু মাত্র তারাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।প্রতি মাসে বৃত্তি বাবদ মিলবে ৫০০ টাকা।

    ওয়েমেন সায়েন্টিস্ট স্কিম-বি (ডব্লিউওএস-বি): কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে মহিলা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত, যে মহিলাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কোনও বিষয়ে ডিগ্রি রয়েছে, বয়স ২৭ এবং ৫৭ বছরের মধ্যে এবং কর্মজীবন থেকে বিরতি নিয়ে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কোনও উদ্ভাবনী কাজে যুক্ত হতে চান, তাঁদের জন্যই এই স্কলারশিপ। এর জন্য পড়ুয়ারা online-wosa.gov.in/wosb -এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।  এছাড়াও প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্ল স্টুডেন্টস ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন, ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ ফর উইমেন ক্যান্ডিডেটস-সহ অন্যান্য সরকারি স্কলারশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাত দিন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ৮ ঘণ্টার বেশি ড্রাইভিং নয়, পথ দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র

    নারী ক্ষমতায়নে জোর সরকারের

    বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-গবেষণা ক্ষেত্রে নারীদের (Indian Women) উপস্থিতি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মহিলারা এখন মহাকাশ অণ্বেষণ, জৈবপ্রযুক্তি ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতের এই অর্জন বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল হিসেবে কাজ করছে, যা নারী ক্ষমতায়ন এবং বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে সমতার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে, ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার স্তরে উন্নীত হয়েছে। সেখানে নারী শক্তির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share