Blog

  • Ramlala: ৫০ হাজারের ‘স্পাই’ চশমায় লাগানো গোপন ক্যামেরা! রামলালার ছবি তুলে ধৃত যুবক

    Ramlala: ৫০ হাজারের ‘স্পাই’ চশমায় লাগানো গোপন ক্যামেরা! রামলালার ছবি তুলে ধৃত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চশমায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রামলালার (Ramlala) ছবি তোলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নজরে আসতেই অভিযুক্তকে আটক করে অযোধ্যা পুলিশ। পরে অবশ্য ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি তিথি পড়েছে আগামী ১১ জানুয়ারি। ওই দিন রামলালার অভিষেক করবেন যোগী আদিত্যনাথ। এই আবহে সামনে এল গোপন ক্যামেরায় রামলালার (Ramlala) ছবি তোলার ঘটনা। অযোধ্যার (Ayodhya) এসপি সিকিউরিটি বলরামচারি দুবে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন চশমাটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

    গর্ভগৃহের মধ্যে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে ওঠে বারবার

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরে (Ramlala) ঢোকার মুখে নিরাপত্তারক্ষীরা সকল দর্শনার্থীদের ওপর কড়া নজর রাখেন। সব চেকিং পয়েন্ট পার করে ঢুকতে হয় মূল মন্দিরে। অভিযুক্ত যুবকের চোখে ছিল সানগ্লাস। প্রাথমিকভাবে কেউই তাঁকে সন্দেহ করেনি। তবে এরপরেই নিরাপত্তারক্ষীরা লক্ষ্য করেন, গর্ভগৃহের মধ্যে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে উঠছে বারবার। তখনই ওই যুবককে দেখে এক নিরাপত্তারক্ষীর সন্দেহ হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয় ‘স্পাই’ চশমাটি। খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে, চশমার মধ্যেই ছিল গোপন ক্যামেরা। প্রসঙ্গত, মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভগৃহের ছবি কেউই তুলতে পারবেন না।

    গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জানি জয়কুমার

    জানা গিয়েছে, গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জানি জয়কুমার। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ মন্দিরের সিংহদুয়ারের ভিতরে তিনি প্রবেশ করেন বলে জানা যায়। অভিযোগ, সেই সময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি চশমার গোপন ক্যামেরা (Ramlala) দিয়ে বালক রামের ছবি তোলেন তিনি। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে। তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গোপন ক্যামেরার সাহায্যে রামলালার বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন।” ঠিক এই ভাষায়ই আপকে (AAP) আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকা দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে আপ নেতাদের সংঘাত হয়। সেই সংঘাতকেই নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন আখ্যা দিয়েছে বিজেপি।

    পদ্ম সাংসদের বাক্য-বাণ (BJP)

    পদ্ম সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “দুর্নীতির স্মৃতিস্তম্ভের বাস্তবতা মানুষের সামনে আসছে। আজ যা ঘটছে এবং আপ সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ যেভাবে নিজেদের চরিত্র প্রদর্শন করছেন, তাঁরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতির জাদুঘর, ‘শিশমহল’, বাঁচাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “আজ তাঁরা যা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অরাজকতার প্রকাশ।”

    ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা

    দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বিজেপির ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা করতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের দিকে মিছিল করেছিলেন এদিন। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেন। ভরদ্বাজ বলেন, “আমরা এখানে এসেছি ‘তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি’ বিতর্কে যবনিকা টানতে। আমরা বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন উভয়ই মানুষকে দেখানো উচিত। তাই, আমরা এখানে এসেছি।” পুলিশ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন ভরদ্বাজরা। পরে তাঁরা বাগানবাড়ির বাইরে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ত্রিবেদী বলেন, “আজ আপ যা করেছে তা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, উন্মাদ এবং অরাজক আচরণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা সঞ্জয় ও সৌরভকে নিশানা করে বলেন, “আপ নেতারা নাটক করছেন। শিসমহল নির্মাণে হওয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কেন তাঁরা আগেই শিসমহল দেখানোর কথা ভাবেননি? এখন প্রশাসন যখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু করেছে, তখন সেখানে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন?” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি সংস্কার করিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাকে শিসমহল বলে কটাক্ষ করেছেন (AAP) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: ছেলে পুলিশ, জাল পাসপোর্ট চক্রে জড়িত মুহুরি বাবা

    Passport Scam: ছেলে পুলিশ, জাল পাসপোর্ট চক্রে জড়িত মুহুরি বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে এবার গ্রেফতার এক মুহুরি। সমীর দাস নামে বারাসত আদালতের এক মুহুরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কারা বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন দরকারি ভারতীয় নথি বানাত তার খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতেই উঠে আসে তাঁর নাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সমীর দাসের এক ছেলে পুলিশ। আর এক ছেলে দাঁতের ডাক্তার।

    ভুয়ো কার্ড বানাতে কত রেট ছিল?(Passport Scam)

    অভিযোগ, সমীর বারাসতের নবপল্লি (Passport Scam) থেকেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেখানকার মানুষের নকল ভোটার কার্ড-আধার কার্ড করে দিতেন। বিষয়টি জানতে পারে বারাসত থানার পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নকল এই সার্টিফিকেটগুলি বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন নথির জন্য আলাদা আলাদা রেট বাঁধা ছিল সমীরের। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রীতিমতো রেট চার্ট তৈরি করে বাংলাদেশিদের জাল নথি বানিয়ে দিতেন এই ব্যক্তি। জাল নথি বানানোর গোটা একটা চক্র চালাতেন তিনি। আধার কার্ড করতে ১৫ হাজার টাকা, বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য ১২ হাজার, প্যান কার্ড করতে ৩ হাজার টাকা নিতেন তিনি। আদালতে কাজ করায় বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। সেই সুযোগেই রীতিমতো বাংলাদেশিদের ভারতীয় নথি তৈরি করে দেওয়ার চক্র চালাতেন তিনি। ধৃতের ফোন থেকে একাধিক বাংলাদেশির ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যাতে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশে থাকা দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। এই ব্যক্তি কতজনকে ও কাকে কাকে জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা। ওদিকে অভিযুক্তের দাবি, তিনি কারও নথি তৈরি করে দেননি। নথি তৈরির প্রক্রিয়া জানিয়েছেন মাত্র।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী (Passport Scam) আরতি ভদ্র বলেন, “এমনই একটা লোক এসেছিল। দরজা খুলল। বেল মারল। তারপর জানি না। আমরা এইটুকুই জানি। এরা জানতাম সাদাসিধা মানুষ।” অভিযুক্তের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওঁর কাছে আধার কার্ড পাওয়া গেছে। সেই কারণে গ্রেফতার করেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” আরও এক প্রতিবেশী বলেন, “প্রায় পঁচিশ বছর ধরে থাকে। কারও সঙ্গে সেইভাবে মিশতেন না। ভিতরে ভিতরে এই কাজ করবে কে জানত।”

    পাসপোর্ট জালিয়াতির পিছনে কারা?

    এর আগে পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্র ধরে ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে,পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আবদুল হাইয়ের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল। তার পরেই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এবার সমীর দাসকে জিজ্ঞাসা করে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট কিছু শর্তও আরোপ করেছে।

    প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি 

    চিড়িয়াখানার জমি বেআইনিভাবে বেসরকারি কাজে ব্যবহার করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, রবীন্দ্র সদন থেকে পিটিএস, আলিপুর চিড়িয়াখানা হয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শালীনতা বজায় রাখতে হবে। হাজার সমর্থক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বেলা ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল তিনটের মধ্যে শেষ করতে হবে মিছিল ৷ সব রকম নিয়মশৃঙ্খলা মেনে মিছিল করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    কেন প্রতিবাদ মিছিল 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে চিড়িয়াখানার জমিতে পিপিপি মডেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বরাত দেওয়া হচ্ছে, যেখানে বহুতল নির্মাণ করে একটা ফ্লোরে থাকবে সরকারি জিনিসপত্র বিক্রির স্টল আর অন্যগুলোতে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা করতে পারবেন। এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবার এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণমহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) স্নান শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় কোনও পরিবেশ দূষণকারী (Environmentalists) জিনিসকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়েছে। মেলায় প্রকৃতির বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মেলায় এবার ১০০০ জনের বেশি পরিবেশ বান্ধব সমাজকর্মীদের মহাসঙ্গম হবে। সারা দেশ থেকে পরিবেশের সচেতনতা মূলক প্রতিযগিতায় যাঁরা সাফল্য লাভ করেছেন তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’।

    প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল নিয়ে আলোচনা হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নগরে সারা দেশের প্রায় ১০০০ জনের বেশি পরিবেশবিদ (Environmentalists) এবং জলসংরক্ষণ সচেতন কর্মীদের একটি সম্মেলন করা হবে। এই আয়োজনে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভারতের পরিবেশ সচেতনতা, পরিবেশ বান্ধব ভাবনাকে বড় করে দেখানো হবে। এই কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভাবে আয়োজক হিসেবে থাকবে শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান্যাস সংগঠন। একে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’। এদিনের এই অনুষ্ঠানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হবে। জলবায়ু এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার বিষয়কেও আলোকপাত করা হবে। সকল বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠনমূলক একটি পদক্ষেপের সূচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    পৃথিবীকে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দরের ভাবনা থাকবে

    তবে এই ‘সবুজ কুম্ভমেলা’-য় (Mahakumbh Mela 2025) আলোচনা, সচেতনতা এবং পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আগত ভক্তদের সচেতনতার কথা তুলে ধরা হবে। একই ভাবে মেলায় নানা প্রদর্শনী এবং মডেলের ব্যবহার করা হবে। পরিবেশকর্মী (Environmentalists) রাম বাবু তিওয়ারি বলেন, “সবুজ মহাকুম্ভের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। সারা দেশের পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা এই কর্মযজ্ঞে যোগদান করবেন। পৃথিবীকে কীভাবে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দর করা যায় তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।” উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিরাট মেলায় ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের সমাগম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে লজ্জাজনক হারের পর ভারতীয় দলের (India Cricket) প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir), অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং দলের প্রধান ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্তে ব্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। অস্ট্রেলিয়ায় হারের দায় কার? কেন এত খারাপ খেলল দল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিসিসিআই। তবে বোর্ড সূত্রে খবর, একটি সিরিজের খেলা বিচার করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বিসিসিআই। তারা দলকে সময় দিতে চাইছে।

    দলের খারাপ পারফরম্যান্স

    টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে খারাপ সিজন নিয়ে ভারতীয় দল বছর শেষ করেছে। ভারতীয় দল ১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রথমবার ভারতীয় দল তার ঘরের মাঠে তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শিকার হয়। এর পরই ভারত ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া করে। এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবে না ভারত। কাঠগড়ায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও গৌতম গম্ভীর। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।

    ব্যর্থ কোহলি-রোহিত

     অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ন’টি ইনিংসে ১৯০ রান করেছেন কোহলি। তার মধ্যে পার্‌থে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান রয়েছে। অর্থাৎ, বাকি আটটি ইনিংসে মাত্র ৯০ রান করেছেন তিনি। রোহিতের অবস্থা আরও খারাপ। পাঁচটি ইনিংসে মাত্র ৩১ রান করেছেন তিনি। সিডনিতে শেষ টেস্টে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে অধিনায়ককে। 

    গম্ভীরকে নিয়েও জল্পনা

    দলের (BCCI) খারাপ পারফরম্যান্সের দায় এড়াতে পারছেন না কোচ গৌতম গম্ভীরও। নিশানায় তাঁর বেছে নেওয়া সাপোর্ট স্টাফেরাও। দ্রাবিড়ের হাত থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর গম্ভীর জমানাতে শুধুই ব্যর্থতা। গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটে লজ্জাজনক সিরিজ হার। ২৬ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হারে ভারত। ঘরের মাঠে প্রথমবার ০-৩ এ নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর এবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হার। 

    বোর্ডের অন্দরে গুঞ্জন

    বোর্ডের (BCCI) এক সূত্র জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতা নিয়ে একটা রিভিউ মিটিং হবে। তবে কারোর ওপর কোপ পড়বে না। আলোচনা চলছে। কিন্তু একটা সিরিজে ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য কোচকে ছাঁটাই করা যায় না। গৌতম গম্ভীর কোচ থাকছে। ইংল্যান্ড সিরিজে খেলবে বিরাট, রোহিত। রোহিত, কোহলি দীর্ঘ দিন ভারতীয় ক্রিকেটকে টেনেছে। তাই ওদের কারও শাস্তি হবে না। আমাদের ফোকাস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের কর্তার কথায় বোঝা যাচ্ছে, গম্ভীর, বিরাট, রোহিতকে আরও কিছুটা সময় দিতে চাইছে বিসিসিআই।

    আরও পড়ুন: শহরে পারদ পতন, পৌষ সংক্রান্তির আগে হাওয়া বদল বঙ্গে, কী পূর্বাভাস আলিপুরের?

    ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলুক বিরাট- রোহিত

    ব্যাটে রান নেই। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ দুই তারকা ক্রিকেটার (India Cricket)। যার ফলে লাল বলের ক্রিকেট তো বটেই, এমনকী সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যা তাতে একদিনের ক্রিকেটেও খুব বেশি দিন দেখা নাও যেতে পারে আধুনিক ক্রিকেটের দুই সেরাকে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও রাখঢাক না করেই দুই সুপারস্টারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিলেন তাঁদের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। রবি শাস্ত্রী জানালেন, অবসর তাঁদের হাতে থাকলেও, নিজেদের কেরিয়ার এবং সুনাম ফেরাতে অবিলম্বে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত রোহিত এবং বিরাটের। রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত। দীর্ঘ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেললে, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা গুরুত্বপূর্ণ। তার দুটো কারণ আছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে খেললে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করা যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’ ২০১৬ সালে শেষবার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন রোহিত। ২০১২ সালের পর আর খেলেননি কোহলি। স্পিনের সামনে দুর্বিষহ দেখাচ্ছে বিরাট এবং রোহিতকে। গোটা বছরই হিমশিম খায় তাঁরা। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ মনে করেন, স্পিনের বিরুদ্ধে টাচ ফেরত পেতে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত দুই তারকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের মন্দিরে রাখাল মাস্টার প্রভৃতির সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ কলিকাতায় বলরামের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখালও আছেন। ঠাকুরের ভাবাবেশ হইয়াছে। আজ জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণা পঞ্চমী; সোমবার (১২ই আষাঢ়), ২৫শে জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বেলা প্রায় ৫টা হইয়াছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবাবিষ্ট)—দেখ, আন্তরিক ডাকলে স্ব-স্বরূপকে দেখা যায়। কিন্তু যতটুকু বিষয়ভোগের বাসনা থাকে, ততটুকু কম পড়ে যায়।

    মাস্টার—আজ্ঞা, আপনি যেমন বলেন ঝাঁপ দিতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আনন্দিত হইয়া—ইয়া!

    সকলে চুপ করিয়া আছেন, ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, সকলেরই আত্মদর্শন হতে পারে।

    মাস্টার—আজ্ঞা, তবে ঈশ্বর কর্তা, তিনি যে ঘরে যেমন করাচ্ছেন। কারুকে চৈতন্য করছেন, কারুকে অজ্ঞান করে রেখেছেন।

    স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না। তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করতে হয়। আন্তরিক হলে তিনি প্রার্থনা শুনবেই শুনবেন।

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা হাঁ—‘আমি’ যে রয়েছে, তাই প্রার্থনা করতে হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—লীলা ধরে ধরে নিত্যে যেতে হয়; যেমন সিঁড়ি ধরে ধরে ছাদে উঠা। নিত্যদর্শনের পর নিত্য থেকে লীলায় এসে থাকতে হয়। ভক্তি-ভক্ত নিয়ে। এইটি পাকা মত।

    “তাঁর নানারূপ, নানালীলা—ঈশ্বরলীলা, দেবলীলা, নরলীলা, জগৎলীলা; তিনি মানুষ হয়ে অবতার হয়ে যুগে যুগে আসেন, প্রেমভক্তি শিখাবার (Kathamrita) জন্য। দেখ না চৈতন্যদেব। অবতারের ভিতরেই তাঁর প্রেম-ভক্তি আস্বাদন করা যায়। তাঁর অনন্ত লীলা—কিন্তু আমার দরকার প্রেম, ভক্তি। আমার ক্ষীরটুকু দরকার। গাভীর বাঁট দিয়েই ক্ষীর আসে। অবতার গাভীর বাঁট।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন (Kathamrita) যে, আমি অবতীর্ণ হইয়াছি, আমাকে দর্শন করিলেই ঈশ্বরদর্শন করা হয়? চৈতন্যদেবের কথা বলিয়া ঠাকুর কি নিজের কথা ইঙ্গিত করিতেছেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাল্টা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করে ভাগিয়ে দেয় অনুপ্রবেশকারীদের। ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকার পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলায়। বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশি চোরাকারবারি এবং দুষ্কৃতীরা কয়েকদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় পাচারে সক্রিয় হয়েছে, বাঁধা দিলে ব্যাপক গোলমাল বাঁধে।

    সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতে বিএসএফ-এর (BSF)

    বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ওই দেশের কারাগার থেকে বহু জঙ্গি ছাড়া পেয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের গোয়েন্দারা বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সীমান্ত (India Bangladesh Border) পেরিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি এপার বাংলায় এসে নাশকতামূলক চক্রের কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রফতারও হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতের ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পিএমজি বন্দুক নিয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাকারবারিদের তাড়া করেছিল বাহিনী। উল্টে দুষ্কৃতীরা হাতে বাঁশ, লাঠি, নিয়ে জওয়ানদের উপর চড়াও হয়। জওয়ানদের হাতের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের আঘাত করার চেষ্টা করে অনুপ্রবেশকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে বিএসএফের অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। জওয়ানরা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে, অন্য এক অভিযানে সীমান্ত থেকে ১৯ হাজারের বেশি গগলস্ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এইগুলির আনুমানিক বাজার মূল্যপ্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। বাহিনীর অনুমান, চোরাকারবারীরা এই গগলসগুলি চোরাচালান করছিল।

    আরও পড়ুনঃভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফ

    উল্লেখ্য সীমান্ত এলাকায় পাচারকাজ রুখতে বিএসএফ (BSF) অত্যন্ত সক্রিয়। নানা সময়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে সোনা, রুপো এবং নানা ধরনের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে বিতারিত করার পর থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা যে কোনও সময়ে কাঁটাতার টপকে এপারে আসতে পারে। তাই এমতাবস্থায় সীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারি (India Bangladesh Border) এবং জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছে বিএসএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share