Blog

  • NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনে, বুধবার বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (NDA Leaders Meet) বাড়িতে বিশেষ বৈঠকে বসে এনডিএ’র শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে (NDA meeting) উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, আপনা দল নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, টিডিপি নেতা রামমোহন নাইডু এবং জেডিইউর রাজীবরঞ্জ সিং। এনডিএর এই বৈঠক কংগ্রেসকে আম্বেদকর ইস্যুতে চাপে ফেলতে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৌশল

    সূত্রের খবর, বৈঠকে (NDA Leaders Meet) আম্বেদকর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। অমিত শাহ অভিযোগ করেন যে তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ কংগ্রেসের তরফে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আউট অফ কনটেক্সট তুলে ধরা হয়েছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনডিএ শরিকদের কংগ্রেসের ভূমিকা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। অমিত শাহ শরিকদের অনুরোধ করেন, সংবিধান রচনায় কংগ্রেসের অবদান এবং আম্বেদকরের ইস্যুতে তাদের দাবির যথার্থতা নিয়ে সরব হতে। এছাড়া, শরিকদেরকে এই বিষয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক প্রসঙ্গে  চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আম্বেদকর ইস্যুতে এনডিএর অবস্থান স্পষ্ট। শরিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    শরিকদের মধ্যে সমন্বয়

    বৈঠকে (NDA Leaders Meet) সিদ্ধান্ত হয়, শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে, একজন পূর্ণমন্ত্রী এবং একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিতভাবে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এনডিএর পক্ষ থেকে প্রতিটি ইস্যুতে শরিকদের জানানো হবে এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শরিকদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি এবং বিহারের আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপিত হয়। নির্বাচনে এনডিএ শরিকদের কৌশল কী হবে এবং কীভাবে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, “আমাদের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে মন্ত্রীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।” এইচডি কুমারস্বামীর কথায় , “আসন্ন নির্বাচনের আগে এমন বৈঠক খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা সবাই মিলে এনডিএর অবস্থান আরও মজবুত করতে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন খ্রিস্টানরা। এই সময় বীর শহিদদের স্মরণ করেন পঞ্জাবিয়াত ও শিখ পন্থ অনুসরণকারীরা (Veer Bal Diwas)। ১৭০৪ সালের ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শহিদ হন চার সাহিবজাদে অজিত সিংজি, জুজহার সিংজি, জোরাওয়ার সিংজি এবং ফতেহ সিংজি। এই চারজন হলেন দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংহের চার ছেলে (The Unforgettable Sacrifice)। স্নেহভরে তাঁদের সাহিবজাদে বলে ডাকা হয়।

    অসীম বীরত্ব গাথা (Veer Bal Diwas)

    এই সপ্তাহটা শিখেরা সাহিবজাদের অসীম বীরত্বের কথা স্মরণ করেন। সাহিবজাদে বলতে বোঝায় ভদ্র ও উজ্জ্বল বংশোদ্ভূত তরুণদের। ১৭০৪ সালের ২০ ডিসেম্বরের শীতের রাতে, গুরু গোবিন্দ সিংজি, তাঁর স্ত্রী মাতাজিতোজি, তাঁদের চার পুত্র, পঞ্চ পিয়ারে এবং পন্থ অনুসরণকারী বেশ কয়েকজন যোদ্ধা আনন্দপুর সাহিব দুর্গ ত্যাগ করেন। মুঘল ও পাহাড়ি রাজা তাদের নিজ নিজ ধর্মে পবিত্র কোরআন এবং গরুকে সাক্ষী রেখে শপথ করেছিল যে তারা দুর্গ আক্রমণ করবে না। তবে ২০-২১ ডিসেম্বরের রাতে, মুঘলরা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। আনন্দপুর সাহিব থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সরসা নদীর তীরের একটি জায়গায় মুঘলরা গুরু গোবিন্দ সিংজি ও তাঁর দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের জায়গাটি “পরিবার বিচোরা” নামে পরিচিত। এর স্মরণে নির্মিত গুরুদ্বারকে “গুরুদ্বার পরিবার বিচোরা সাহিব” বলা হয়। এই আক্রমণের ফলে গুরুর পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরু গোবিন্দি সিংজির ভাই মণি সিং দিল্লির দিকে যাত্রা করেন।

    শহিদ দুই সাহিবজাদে

    ডিসেম্বর ২১ তারিখ বিকেলে, গুরু গোবিন্দ সিংজি দুই জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদে, পাঁচজন পাঞ্জ পিয়ারা এবং চল্লিশজন যোদ্ধাকে নিয়ে শিখ পন্থ অনুসরণ করে চমকৌর যাত্রা করেন। ডিসেম্বর ২২ তারিখে, খালসা ও জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদারা, যারা বড় সাহিবজাদে নামে পরিচিত – মাত্র ১৮ এবং ১৪ বছর বয়সে বিশাল মুঘল সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হন। এই যুদ্ধ ইতিহাসে চমকৌরের যুদ্ধ বা চমকৌর সাহিবের যুদ্ধ নামে পরিচিত (The Unforgettable Sacrifice)। পন্থ অনুসরণকারী ৪০ জন যোদ্ধা এবং তিনজন পাঞ্জ পিয়ারা দশ হাজার মুঘল সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন দেন (Veer Bal Diwas)। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো আর এক সদস্য সংঘত সিং, গুরুর মতো পোশাক পরেন ও সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, যোদ্ধারা বিপুল মুঘল সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, যা গুরুকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। পরদিন সকালে শেষ যোদ্ধারা মুঘল সৈন্যদের হাতে নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের দুই কনিষ্ঠ পুত্র বাবা জোরাওয়ার সিং ও ফতেহ সিং এবং তাঁদের ঠাকুরমা, মাতাজি গুজরি, অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

    আরও পড়ুন: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করার পরিণাম

    বাবা জোরাওয়ার সিং, বাবা ফতেহ সিং এবং তাদের ঠাকুমা ১৭০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সকালে মরিন্দার কর্মচারী জনি খান এবং মণি খান রঙ্গরের দ্বারা আটক হন। পরের দিন তাদের সিরহিন্দে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের দুর্গের ঠান্ডা টাওয়ারে রাখা হয়। এই স্থানের স্মৃতিতে বিখ্যাত গুরুদ্বার ফতেহগড় সাহিব গড়ে উঠেছে। ১৭০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, চমকৌর থেকে ফিরে আসা ফৌজদার নবাব ওয়াজির খান ও তার সামন্ত মিত্র মালেরকোটলার নবাব শের মুহাম্মদ খান, বাবা জোরাওয়ার সিংজি এবং বাবা ফতেহ সিংজিকে তাদের সামনে হাজির করেন। ওয়াজির খান তাঁদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি (Veer Bal Diwas) করানোর জন্য সম্পদ ও সম্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সাহিবজাদারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

    প্রাণনাশের হুমকিতেও অটল

    তিনি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবুও তাঁরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। শেষমেশ এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। শের মুহাম্মদ নিরপরাধ শিশুদের জীবন রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করার পর, সাহিবজাদাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তীব্র শীতের (The Unforgettable Sacrifice) মধ্যে, সাহিবজাদা জোরাওয়ার সিং এবং তার ভাই তাদের বৃদ্ধ ঠাকুমার কোলে ঠান্ডা টাওয়ারে অতিরিক্ত দুদিন কাটান। তা সত্ত্বেও দুই সাহিবজাদা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। খালসা পন্থের প্রতি অটল ও বিশ্বস্ত থেকে যান। এরপর ওয়াজির খান তাঁদের চারপাশে ইটের প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেন। জীবন্ত সমাধিস্থ হয়ে শহিদ হন দুই সাহিবজাদা।

    মারা যান মাতাজি গুজর কৌরও

    পরে যখন মাতাজি গুজর কৌর জানতে পারেন যে তাঁর ছোট দুই নাতি শহিদ হয়েছেন, শোক সহ্য করতে না পেরে সেদিনই তিনি মারা যান। ১৭০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সিরহিন্দের মাটিতে এই ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়। “ছোটে সাহিবজাদে”, যাদের বয়স ছিল মাত্র ৬ এবং ৯ বছর, সিরহিন্দে মুঘলদের দ্বারা নিহত হন। ফতেহগড় সাহিব, পঞ্জাব, ভারতের এই স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোতি স্বরূপ গুরুদ্বার সাহিব। প্রতি বছর ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ফতেহগড় সাহিব গুরুদ্বারে এই শহিদদের স্মরণে শাহিদি জোড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি তরুণ সাহিবজাদাদের (Veer Bal Diwas) সাহস, বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার পর থেকে এই দিনটি পালিত হয় বীর বাল দিবস হিসেবে। সপ্তাহব্যাপী স্মরণ করা হয় এই তরুণ বীরদের (The Unforgettable Sacrifice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi)। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। ২৪ ডিসেম্বর, দিল্লি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করে। এরা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাল আধার কার্ড, জন্ম সনদ, এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করছিল। এই চক্রটি প্রধানত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করছিল।

    জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ

    দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (DCP) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আধার কার্ড অপারেটর, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ এবং জাল ডকুমেন্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে। তারা সম্প্রতি সান্তো শেখ নামে একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। সান্তোই এই অভিবাসীদের ভারতে আনার কাজ করত, বলে অনুমান পুলিশের। ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে অনেক অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বনাঞ্চল বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর দিল্লিতে এসে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সান্তো শেখের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল। শেখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাহিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি রোহিণী এলাকায় পুণাম কম্পিউটার সেন্টারের মালিক। তারা একসঙ্গে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল জন্ম সনদ এবং আধার কার্ড তৈরি করছিল।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় পুলিশ

    ইতিমধ্যেই পুলিশ (Delhi) একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত হয়েছে, যা এই জাল সনদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হতো। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমপক্ষে ২২৮টি জাল সনদ তৈরি হয়েছে, তবে পুলিশের সন্দেহ, মোট সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন তাদের ভারতীয় সহযোগী। অবৈধ অভিবাসীরা এই জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে দিল্লিতে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারত বলে জানান ডেপুটি কমিশনার চৌহান। এই চক্রের অপারেশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থানও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কতগুলি জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারও খোঁজ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লি পুলিশকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (Nepals PM Oli)। প্রথাগতভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম ভারত সফর করেন (India)। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের বিষয়ে ওলি আগ্রহী ছিলেন। তাঁর অফিস ও নেপালের বিদেশ মন্ত্রক নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ চেয়ে যোগাযোগও করেছিল। তবে নিউ দিল্লি ওলিকে গ্রহণে তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

    ওলিকে এড়াচ্ছে ভারত! (Nepals PM Oli) 

    বেশ কয়েকবার অনুরোধের কোনও উত্তর না পাওয়ায়, ওলি বেজিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে চিন সফর করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, ওলির প্রথম সরকারি বিদেশ সফর চিনে নয়, বরং নিউ ইয়র্কে ৭৯তম রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ছিল। ওলির চিন সফরের জেরে নেপালে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওলির ভারত সফরের আমন্ত্রণ পেতে আর একটি চেষ্টা করেছিল নেপাল। ওলি যাতে ভারতের আমন্ত্রণ পান, তাই নেপালের বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেবুবার গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই সময় তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চান (Nepals PM Oli)। জয়শঙ্করের ব্যস্ততার কারণে সেই সাক্ষাৎও হয়নি। তিনি অন্য কোনও প্রবীণ মন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রকের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।

    প্রশ্ন

    প্রশ্ন হল, কেন ওলিকে স্বাগত জানাচ্ছে না ভারত? জানা গিয়েছে, ওলি কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছিলেন, যা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে করেছিল ভারত। ওলির অফিস জানিয়েছিল, তাঁর সফরের সময় ভারতকে লিম্পিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ ত্রিজংশের বিষয়ে ‘বিবাদ’ সমাধানের প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে হবে। নয়াদিল্লির মনে হয়েছিল, ওলি এই বিতর্কটি উত্থাপন করেছিলেন তার নিজের দলের মধ্যেই বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ বিরোধের মোকাবিলা করতে। তারপর থেকে, ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ওলির প্রতি গভীর বিরক্তি এবং সন্দেহ জন্মেছে। ভারতের ধারণা, ওলি বারবার ভারতকে চিনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। ওলি বেজিংয়ের প্রতি অনুগত। তিনি সব সময় চিনের পক্ষে কাজ করবেন। সেই কারণেই ওলির ডাকে (Nepals PM Oli) ভারত সাড়া দেয়নি বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (India)।

    আরও পড়ুন: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর থেকে দিল্লিবাসীর (Delhi) উদ্দেশে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা সম্মান যোজনা ও সঞ্জীবনী প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে (AAPs Rule)। এই প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহিলা সম্মান যোজনা প্রকল্পে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি মহিলাকে মাসে ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর সঞ্জীবনী প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি

    বিজ্ঞপ্তিতে ডাব্লুসিডি দফতর স্পষ্টভাবে জানায়, “এমন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হবেন না।” এই প্রকল্পগুলির মতোই, আপ সরকারের অন্যান্য অনেক বড় প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা বলে সমালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত দশ বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি নিজেদের দিল্লিতে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতার পথিকৃত হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জনসেবার ক্ষেত্রে রাজধানীকে এক স্বপ্নপুরীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাস্তবতা সেই প্রচারের কাছাকাছি নয়। কেজরিওয়ালের শাসনকাল একাধিক প্রতিশ্রুতি, ব্যর্থ প্রকল্প এবং শহরবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আপ সরকারের বিভিন্ন মিথ্যার ‘উদাহরণ’ তুলে ধরা হল।

    মিথ্যের বেসাতি

    ফ্রি হেল্থ কেয়ার রেভ্যুলিশন(AAPs Rule): কেজরিওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটানোর দাবি দ্রুত ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে প্রচারিত এই ক্লিনিকগুলো এখন জনসাধারণের উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্বল পরিকাঠামো, যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এই ক্লিনিকগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।

    শিক্ষা সংস্কার : কেজরিওয়ালের দিল্লিতে শিক্ষা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি তার সরকারের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার দাবি তুলে, কেজরিওয়ালের লক্ষ্য ছিল সবার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেড় লক্ষ ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ফ্রি রেশন : দিল্লির গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আপের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রেশন কার্ড ছাড়াই রয়েছেন, যার ফলে তাঁরা সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। রেশন সরবরাহে দুর্নীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও এক মরীচিকা হয়ে রয়ে গেছে।

    বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। কিন্তু তাঁর শাসনকালে বিদ্যুৎ বিল আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে (AAPs Rule)।

    গণপরিবহণ: গণপরিবহণ আর একটি ক্ষেত্র যেখানে কেজরিওয়াল বিপ্লব আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের আমলে বাসের বহর চালু করা, মেট্রো সংযোগ উন্নত করা এবং একটি টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করেছেন।

    ন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি: কেজরিওয়াল বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। রোগীদের এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকতে হয়।

    চাকরির প্রতিশ্রুতি: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কেজরিওয়াল চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের জন্য। তবে, তাঁর শাসনকালে দিল্লিতে সরকারি খাতে তেমন কোনও চাকরির বৃদ্ধি দেখা যায়নি। দলিতদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।

    মহিলাদের নিরাপত্তা: কেজরিওয়ালের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লিকে মহিলাদের জন্য আরও নিরাপদ করে তোলা হবে। নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্ভয়া ফান্ড বরাদ্দ করা হলেও, তা অপব্যবহার করা হয়েছে, এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়েছে।

    বেকারত্ব বৃদ্ধি: বেকারত্ব বৃদ্ধি দিল্লির একটি বড় সমস্যা। কেজরিওয়ালের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতির ফানুস গিয়েছে চুপসে। দিল্লির (Delhi) তরুণরা চাকরির জন্য হা-পিত্যেশ করছে। কেজরিওয়ালের অস্থায়ী শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীলতা দিল্লির চাকরির বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে (AAPs Rule)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manchester United: ইঁদুরের তাণ্ডবে বিরাট অবনতির মুখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেটিং কমে পাঁচ থেকে দু’য়ে

    Manchester United: ইঁদুরের তাণ্ডবে বিরাট অবনতির মুখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেটিং কমে পাঁচ থেকে দু’য়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) মাঠের বাইরে একটি নতুন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেখাকার আইকনিক ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে ইঁদুরের (Rat Race) উপদ্রব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ছে এবং এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাশাপাশি মাঠের দুর্বল পারফরম্যান্স এবং স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যাও মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই খবর সেখানকার ডেইলি মেইলের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামের খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি রেটিং পাঁচটির মধ্যে দুই তারাতে নেমে এসেছে।

    প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে (Manchester United)!

    ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে আরও জানা গিয়েছে, সংক্রমণ দ্বারা খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধির রেটিং দারুণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এখানে সমস্যার মূলে রয়েছে ইঁদুর (Rat Race)। স্টেডিয়ামের (Manchester United) খাদ্য স্বাস্থ্যবিধির মান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ম্যাচ-এর পর সাংবাদিক সম্মেলনের সময় মিডিয়া কক্ষের ছাদে একটি ফুটো দেখা গিয়েছে। ক্লাবের এই দুর্দশাকে স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করেছে একটি ভিডিও। ক্লাব অবশ্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় প্রচেষ্টার বিষয়কে তুলে ধরে জনগণকে আশ্বস্ত করেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন মুখপাত্র ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বলেন, “আমরা কীটপতঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে শক্তিশালী ব্যবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। সমস্ত ক্যাটারিং এলাকায় সাপ্তাহে একাধিকবার পরীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। যেখানে খাবার সংরক্ষণ করা হয় বা প্রস্তুত করা হয় বা পরিবেশন করা হয় সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার মাত্রা যাতে বেশি থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে উন্নতিতে কাজ করে ট্র্যাফোর্ড কাউন্সিলের এমন একজন মুখপাত্র বলেন, “ক্লাবকে (Manchester United) নিয়মিত পরিদর্শন করার পর এখন দু’তারার রেটিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিবেশগত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা একটি নিয়মিত পরিদর্শনের পরে দুটি খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি রেটিং দিয়েছেন। আমরা এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি যাতে রেটিং-এর মান বিচার করে প্রয়োজনীয় সব রকম সুরক্ষা এবং উন্নয়ন করা যায়।”

    ক্লাব বর্তমানে সিদ্ধান্ত নিয়ছে যে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সংস্কার বা একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। রবিবার বোর্নমাউথের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর দলটি প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে ১৩তম স্থানে অবস্থান করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিয়ে পাশে দাঁড়াল ভারতের মোদি সরকার। সম্প্রতি ওই দেশের সাধারণ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েক প্রথম ভারত সফরে এসেছিলেন। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সৌভ্রাতৃত্ব আরও মজবুত করতে এই প্রচেষ্টা বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আর্থিক ভাবে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল, এই অবস্থায় ভারতীয় সহযোগিতা শ্রীলঙ্কাকে বিরাট ক্ষতি থেকে পুনরায় উঠে দাঁড়াতে সুবিধা হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে (Sri lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নালিন্দা জয়থিসা জানিয়েছেন শিক্ষা খাতে ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ৭৮ কোটি টাকা, কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে এই আর্থিক সহযোগিতা বিনিয়োগ করা হবে। ভারতের এই আর্থিক সহযোগিতা শ্রীলঙ্কার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। কেন না বিগত বেশ কিছু দিন ধরে ওই দেশের আর্থিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ দেশটিকে ভীষণ ভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে। ভারতের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকরা শ্রীলঙ্কার খারাপ সময় দ্রুত কাটার বিষয়ে দারুণ আশাবাদী।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ 

    ভারত এই মোটা অঙ্কের অনুদানের বাইরে আরও সাতটি লাইন-অফ-ক্রেডিট প্রকল্পে অর্থ প্রদানের জন্য ২০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই ভাবে শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) উত্তরে কানকেসান্থুরাই বন্দরকে পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই খাতে মোট খরচ করা হবে ৬১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলির উপর চিনা আগ্রাসনকে ঠেকাতে ভারত এখন বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা ভারতের জন্য একটি মাথাব্যথা স্বরূপ। তাই আগ্রাসী শক্তির কবল থেকে প্রতিবেশীকে রক্ষা করা যেমন এক গুরুদায়িত্ব, ঠিক তেমনি বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ সহযোগিতা করাও ভারতের বিরাট কর্তব্য। বহু প্রাচীন কাল থেকেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক সংযোগ রয়েছে। ভারত সব সময় এই দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Boxing Day Test: মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    Boxing Day Test: মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের পরের দিন অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ম্যাচ শুরু হলেই তাকে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test) বলে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে সেই ম্যাচ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে ভারতের (India vs Australia)। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজের চতুর্থ টেস্ট এটি। এই ম্যাচ দুই দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্য ভারতকে এই ম্যাচ জিততেই হবে। আবার এই ম্যাচ জিতলে এক দশক পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের দিকে এক কদম এগিয়ে যেতে পারবেন ব্যাগি গ্রিনরা। সিরিজ এখন ১-১। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশায় দুই দল। ৯০ হাজারের মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার একটিও আসন খালি থাকবে না বলেই অনুমান এমসিজি ক্রিকেট কর্তাদের। ইতিমধ্যেই ৮৬ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। 

    বক্সিং ডে কাকে বলে?

    বড়দিনের পরের দিন এই টেস্টের (Boxing Day Test) এই নামকরণের পিছনে দু’টি তত্ত্ব আছে। অনেকে মনে করেন, বড়দিন, অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর যে সব উপহার পাওয়া যায়, সেগুলি আর সেই দিন দেখার সময় পাওয়া যায় না। তাই উপহারের বাক্স (বক্স) খোলা হয় পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর। বক্স খোলা হয় বলে এর নাম হয়েছে ‘বক্সিং ডে’। দ্বিতীয়টি হল, ২৫ ডিসেম্বর অনেকে খেটে কাজ করেন, বিশেষ করে পরিচারকেরা। সেই কাজের জন্য তাঁদের পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর পুরস্কারের বাক্স দেওয়া হয়। সেই কারণে এর নাম ‘বক্সিং ডে’।

    বক্সিং ডে টেস্টের শুরু

    অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বক্সিং ডে’ (Boxing Day Test) নামে পরিচিত। ক্রিকেটে ‘বক্সিং ডে’-র জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। ‘বক্সিং ডে’-র প্রথম হদিস পাওয়া যায় ১৮৬৫ সালে। তবে তখন এই নামকরণ হয়নি। শেফিল্ড শিল্ডে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ যদিও ‘বক্সিং ডে’, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাচের মাঝে একটি দিন পড়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে বড়দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন না বলে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটারেরা মনখারাপ করে বসে থাকেন। তাঁদের দাবি মেনে সেই ম্যাচ বড়দিনের পরের দিন শুরু হয়েছিল। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনে। ভিক্টোরিয়া ইনিংস ও ২০ রানে জিতে যায়।

    আধুনিক ক্রিকেটে বক্সিং ডে

    ১৯৭৪-৭৫ অ্যাশেজ সিরিজে ছ’টি টেস্ট ছিল। সব ক’টি ম্যাচ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে শেষ করা যায়, সেই কারণে মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট দেওয়া হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে। আধুনিক ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের সেটিই শুরু। তবে ১৯৮০ সালে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test) নিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি হয়। তার পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে এমসিজি-তে ২৬ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট শুরু হয়। ধারাবাহিকতায় এক বারই ছেদ পড়ে। ১৯৮৯ সালে ‘বক্সিং ডে’-তে টেস্ট ম্যাচের বদলে অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি এক দিনের ম্যাচ খেলা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায়, পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের সেরাকে তাদের দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার জনি মুল্লাঘের নামে মুল্লাঘ পদক দেওয়া হবে।

    বক্সিং ডে টেস্টের নানা ঘটনা

    অনেক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test)। ১৯৮৫ সালের অ্যাশেজে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টেই অভিষেক হয়েছিল স্টিভ ওয়ের। ১৯৮৮ সালে ম্যালকম মার্শাল ৩০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে শেন ওয়ার্ন অ্যাশেজে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে এই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনকে বল ছোড়ার অভিযোগে বার বার ‘নো বল’ ডাকেন। সেই নিয়ে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। ২০০৬ সালে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টেই শেন ওয়ার্ন ৭০০ টেস্ট উইকেট নেন। 

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    চলতি বছর বক্সিং ডে টেস্টের গুরুত্ব

    বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত দাঁড়িয়ে ১-১-এ (India vs Australia)। দুই দলেরই লক্ষ্য থাকবে এই টেস্ট জেতা। বিশেষ করে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে ভারতকে জিততে হবে মেলবোর্ন ও সিডনিতে। মেলবোর্ন টেস্ট জিতলেই সিরিজ হারার সম্ভাবনা থাকবে না ভারতের। সেক্ষেত্রে রোহিত শর্মারা দখলে রাখতে পারবেন বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া যদি জেতে তাহলে এক দশক পর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতার সম্ভাবনা বাড়বে অস্ট্রেলিয়ার। একই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুই বারের ফাইনালিস্ট ভারত ছিটকে যাবে ২০২৬-এর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে।

    কখন শুরু খেলা: ভারতীয় সময় ভোর ৫টা থেকে খেলা শুরু হবে। টস হবে ভোর সাড়ে চারটেয়।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, নীতীশ কুমার রেড্ডি বা ওয়াশিংটন সুন্দর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ। 

    অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ: উসমান খোয়াজা, স্যাম কনস্টাস, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লিয়ঁ, স্কট বোল্যান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    একজন ভক্ত—ঈশ্বর (Ramakrishna) যদি সবই করছেন, তবে ভালমন্দ, পাপ-পুণ্য—এ-সব বলে কেন? পাপও তাহলে তাঁর ইচ্ছা?

    রাখালের বাপের শ্বশুর—তাঁর ইচ্ছা আমরা কি করে বুঝব?

    “Thou Great First Cause least understood”— Pope.

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পাপ-পুণ্য আছে, কিন্তু তিনি নিজে নির্লিপ্ত। বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত। তাঁর সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ; যেমন গাছের মধ্যে কোনটা আমগাছ, কোনটা কাঁঠালগাছ, কোনটা আমরাগাছ। দেখ না দুষ্ট লোকেরও প্রয়োজন আছে। যে-তালুকের প্রজারা দুর্দান্ত, সে-তালুকে একটা দুষ্ট লোককে পাঠাতে হয়, তবে তালুকের শাসন হয়।

    আবার গৃহস্থাশ্রমের (Kathamrita) কথা পড়িল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—কি জানো, সংসার করলে মনের বাজে খরচ হয়ে পড়ে। এই বাজে খরচ হওয়ার দরুন মনের যা ক্ষতি হয়, সে ক্ষতি আবার পূরণ হয়, যদি কেউ সন্ন্যাস করে। বাপ প্রথম জন্ম দেন, তারপরে দ্বিতীয় জন্ম উপনয়নের সময়। আর-একবার জন্ম হয় সন্ন্যাসের সময়। কামিনী ও কাঞ্চন এই দুটি বিঘ্ন। মেয়েমানুষে আসক্তি ঈশ্বরের পথ থেকে বিমুখ করে দেয়। কিসে পতন হয়, পুরুষ জানতে পারে না। যখন কেল্লায় যাচ্ছি, একটুও বুঝতে পারি নাই যে, গড়ানে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। কেল্লার ভিতর গাড়ি পৌঁছুলে দেখতে পেলুম, কত নিচে এসেছি। আহা, পুরুষদের বুঝতে দেয় না! কাপ্তেন বলে, আমার স্ত্রী জ্ঞানী! ভূতে যাকে পায়, সে জানে না যে, ভূতে পেয়েছে! সে বলে, বেশ আছি! (সকলে নিস্তব্ধ)

    “সংসারে শুধু যে কামের ভয়, তা নয়। আবার ক্রোধ আছে। কামনার পথে কাঁটা পড়লেই ক্রোধ।”

    “মাস্টার—আমার পাতের কাছে বেড়াল নুলো বাড়িয়ে মাছ নিতে আসে, আমি কিছু বলতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কেন! একবার মারলেই বা, তাতে দোষ কি? সংসারী ফোঁস করবে! বিষ ঢালা উচিত নয়। কাজে কারু অনিষ্ট যেন না করে। কিন্তু শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য ক্রোধের আকার দেখাতে হয়। না হলে শত্রুরা এসে অনিষ্ট করবে। ত্যাগির ফোঁসের দরকার নাই।

    একজন ভক্ত—মহাশয়, সংসারে তাঁকে পাওয়া বড়ই কঠিন দেখছি। কটা লোক এরকম হতে পারে? কি! দেখতে তো পাই না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কেন হবে না? ও-দেশে শুনেছি, একজন ডেপুটি, খুব লোক—প্রতাপ সিং; দান-ধ্যান, ঈশ্বরে ভক্তি, অনেক গুণ আছে। আমাকে লতে পাঠিয়েছিল (Kathamrita)। এইরকম লোক আছে বইকি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    আজ দশহরা (২রা আষাঢ়), জৈষ্ঠ শুক্লা দশমী, শুক্রবার, ১৫ই জুন, ১৮৮৩। ভক্তেরা শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে আসিয়াছেন। অধর, মাস্টার দশহরা উপলক্ষে ছুটি পাইয়াছেন।

    রাখালের বাপ ও তাঁহার শ্বশুর আসিয়াছেন। বাপ দ্বিতীয় সংসার করিয়াছিলেন। ঠাকুরের নাম শ্বশুর অনেকদিন হইতে শুনিয়াছেন। তিনি সাধক লোক, শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। রাখালের বাপের শ্বশুরকে এক-একবার দেখিতেছেন (Kathamrita)। ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া আছেন।

    শ্বশুর—মহাশয়, গৃহস্থাশ্রমে কি ভগবান লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—কেন হবে না? পাঁকাল মাছের মতো থাক। সে পাঁকে থাকে, কিন্তু গায়ে পাঁক নাই। আর ঘুষকীর মতো থাক। সে ঘরে-কন্নার সব কাজ করে কিন্তু  মন উপপতির উপর পড়ে থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) উপর মন ফেলে রেখে সংসারের কাজ সব কর। কিন্তু বড় কঠিন। আমি ব্রহ্মজ্ঞানীদের বলেছিলুম, যে-ঘরে আচার তেঁতুল আর জলের জালা সেই ঘরেই বিকারের রোগী! কেমন করে রোগ সারবে? আচার তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে। পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো। আর বিষয় তৃষ্ণা সর্বদাই লেগে আছে; ওইটি জলের জালা। এ তৃষ্ণার শেষ নাই। বিকারের রোগী বলে, এক জালা জল খাব! বড় কঠিন। সংসারে নানা গোল। এদিকে যাবি, কোঁস্তা ফেলে মারব; ওদিকে যাবি, ঝাঁটা ফেলে মারব; এদিকে যাবি জুতো ফেলে মারব। আর নির্জন না হলে ভগবানচিন্তা হয় না। সোনা গলিয়ে গয়না গড়ব তা যদি গলাবার সময় পাঁচবার ডাকে, তাহলে সোনা গলানো কেমন করে হয়? চাল কাঁড়ছ একলা বসে কাঁড়তে হয়। এক-একবার চাল হাত করে তুলে দেখতে হয়, কেমন সাফ হল। কাঁড়তে কাঁড়তে যদি পাঁচবার ডাকবে, ভাল কাঁড়া কেমন করে হয়?

    উপায়—তীব্র বৈরাগ্য; পূর্বকথা—গঙ্গাপ্রসাদের সহিত দেখা 

    একজন ভক্ত—মহাশয়, এখন উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আছে। যদি তীব্র বৈরাগ্য হয়, তাহলে হয়। যা মিথ্যা বলে জানছি, রোখ করে তৎক্ষণাৎ ত্যাগ কর। যখন আমার ভারী ব্যামো, গঙ্গাপ্রসাদ সেনের কাছে লয়ে গেল। গঙ্গাপ্রসাদ বললে, স্বর্ণপটপটি খেতে হবে, কিন্তু জল খেতে পাবে না; বেদানার রস খেতে পার। সকলে মনে করলে, জল না খেয়ে কেমন করে আমি থাকব। আমি রোখ কল্লুম আর জল খাব না। ‘পরমহংস’! আমি তো পাতিহাঁস নই—রাজহাঁস! দুধ খাব।

    “কিছুদিন নির্জনে থাকতে হয়। বুড়ী ছুঁয়ে ফেললে আর ভয় নাই। সোনা হলে তারপরে যেখানেই থাক। নির্জনে থেকে যদি ভক্তিলাভ (Kathamrita) হয়, যদি ভগবানলাভ হয়, তাহলে সংসারেও থাকা যায়। (রাখালের বাপের প্রতি) তাই তো ছোকরাদের থাকতে বলি। কেননা, এখানে দিন কতক থাকলে ভগবানে ভক্তি হবে। তখন বেশ সংসারে গিয়ে থাকতে পারবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share