Blog

  • One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে পারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল। সরকারি সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই ইঙ্গিত মিলেছিল, বিলটি পেশ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশনে। সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Parliament Session)।

    পেশ হতে পারে বিল (One Nation One Election)

    জানা গিয়েছে, সরকার এই বিলটি পেশ করবে। পরে সেটি পাঠানো হবে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সূত্রের খবর, জেপিসি সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। সরকার আলোচনায় বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। সমস্ত রাজ্য বিধানসভার স্পিকারদের মতামত নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদেরও যুক্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, যদি শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা নাও হয়, তাহলে বিলটি পেশ হবে বাজেট অধিবেশনে।

    এক দেশ, এক নির্বাচন

    এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করেছিল মোদি সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। চলতি বছরের মার্চ মাসেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তার পরেই কোবিন্দ কমিটির প্রস্তাব পাশ হয় মোদির মন্ত্রিসভায়। এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে সারা দেশে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হিন্দুরা, ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানাল ভারত

    এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে নির্বাচন করতে যে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়, তা কমে যাব। তাছাড়া, আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ায় বারবার থমকে যাবে না উন্নয়নমূলক কাজ। সরকারি কর্মীদেরও চাপ কমে যাবে। নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা প্রস্তুত থেকে নানা কাজে যুক্ত হন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের ওপর চাপ পড়ার পাশাপাশি, ব্যাহত হয় (Parliament Session) সরকারি কাজকর্মও। দেশজুড়ে এক সঙ্গে নির্বাচন (One Nation One Election) হলে, বন্ধ হবে এসবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরও সক্রিয়। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়, তা সীমান্ত এলাকার আমজনতাকে দেখাল বিএসএফ।

    বিএসএফের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়? (BSF)

    সীমান্তে শত্রু পক্ষের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিএসএফের (BSF) ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শনী-সহ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ রুখতে ডগ স্কোয়াডের প্রদর্শনীও হয়। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলার গ্রাম এবং শহরগুলিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরে অস্ত্র প্রদর্শনী, কেরিয়ার কাউন্সিলিং-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়র রাজীব গৌতম সহ ৯৮/১৫১/০৬/৪০ নম্বর কোম্পানির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, “সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্তের জন্য ব্যাপক বড় পরিকল্পনা আনছি। নিরাপত্তা বলয়ে কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আনছি।” এই পরিস্থিতি বিএসএফের এই উদ্যোগ অভিনব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের

    বাংলাদেশ জুড়ে অশান্ত পরিবেশ। এই অবস্থায় বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারা। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তের (BSF) ৯০০ কিলোমিটারের বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে আবার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি বর্ডারে কাঁটাতার নেই। এইসব কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে অবাধ অনুপ্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার বর্ডারকেই টার্গেট করে। কারণ, এই তিন জেলা থেকে ভারতে প্রবেশ করলে খুব সহজেই শহর কলকাতার ভিড়ে মিশে যাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই কলকাতার একটি হোটেল থেকে সেলিম মাতব্বর নামে একজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের বিএনপি দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি ২০২৩ সালে নদিয়া জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেই কারণে বর্ডার এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ।

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পাণ্ডে বলেন, “বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান রুখতে কড়া নজরদারি চালায়। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। জওয়ানদের সব সময়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, জওয়ানদের সাইকেল, সার্চ লাইট, দূরবীন সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার প্রসঙ্গে চাপে ঢাকা। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছে বাংলাদেশ। তবে, ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল মানুষ। দুই দেশের মানুষের স্বার্থকেই সামনে রেখে এগোনোর কথা বলেছে দিল্লি। সেক্ষেত্রে পদ্মা পাড়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের চাপ

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) গিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্তমান একাধিক ইস্যু নিয়ে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্তমান পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট ভাবেই ঢাকায় বলে এসেছেন বিদেশ সচিব। তবে বিক্রম মিস্রি ফিরে আসার পর, বাংলাদেশের তরফে ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে সরকারের উপদেষ্টা জানান, ভারতের তরফে একাধিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয় তাঁরা জবাব দিয়েছেন। উপদেষ্টার বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বৈঠকে ভারতের তরফে চাপ কতটা ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মানুষের স্বার্থেই সু-সম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট কোটা আন্দোলনের জেরে মসনদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার ভারতে আসার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিদেশ সচিব গেলেন ঢাকায়। সোমবার ঝটিকা সফরে ঢাকায় পৌঁছন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি বিদেশ সচিব স্তরের বৈঠকের পর বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন ‘যমুনা’য় মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে পেশ করা নথিতে বলা হয়েছে, বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘আমি (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির উপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি আমরা।’’ ভারতের তরফে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সমস্ত বিষয়ে একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি এবং আমরা সম্পর্কটিকে ইতিবাচক, দূরদর্শী এবং গঠনমূলক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করি।’’ অন্যদিকে, ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতির কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate Case) বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের দেওয়া কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, সোমবার মামলা গ্রহণ করে এই মৌখিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। কীভাবে ৭৭টি সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁদের ওবিসি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে? এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। 

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ কেন

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল (OBC Certificate Case) মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। এই রাজ্যে মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে সামনে রেখে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ অন্ধ্রে ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    গত ২২ মে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল (OBC Certificate Case) করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী জানায়, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্য সম্প্রদায় রয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের পর্যবেক্ষণ, কমিশন গঠন না-করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে। বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? রাজ্য পাল্টা দাবি করে, হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না। আগামী জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা দখলের হুমকির পর বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখলের ডাক। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন সেনা কর্মী থেকে বিএনপি নেতা, পদ্মাপাড়ে এক শ্রেণির মুখে হুমকির ফুলঝুরি। অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের নেতাদের এই হুমকি মানায় না। তাঁদের ক্ষমতা কতটুকু তা বোঝা উচিত। ভারতের ভূমি দখলের হুমকির পর বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বাংলাদেশকে নিশানা

    বাংলাদেশ ইস্যুতে আগেই হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার দখলের প্রসঙ্গে কার্যত ব্যঙ্গ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি খবর পেয়েছি, ঢাকা থেকে তিন লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ভাই? রাফাল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিতে হবে…। আমি আগেও বলেছি, আজও বলেছি প্যান্টে বাথরুম হবে।” এদিন এই একই ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বিধানসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যাঁরা বলছেন দখল করবেন, তাঁরা ভাববেন না, আমরা বসে ললিপপ খাব।” তিনি আরও বলেন, “আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আমরা যথেষ্ট সক্রিয়, কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিই।” 

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “উনি ভারত সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিম বাংলায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। মুখরক্ষার জন্য এটা বলছেন উনি। আবার ওনার সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি মহম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করছেন। নরেন্দ্র মোদিজির নিন্দা করছেন। বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিমকে রাণী রাসমণি রোড ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর হিন্দুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে, কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে গেলে, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ একই অঙ্গে বহু রূপ। এই সব কথার কোনও মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জাতীয় পতাকাকে প্রকাশ্যে অপমান। এমনকী ভারতকে নিয়ে নানা কটূ মন্তব্য মেনে নিতে পারছেন না এপারের বাসিন্দারা। আগেই এপার বাংলার বহু চিকিৎসক বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) হোটেল ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে আর বাংলাদেশি (Bangladeshis) পর্যটকদের জায়গা হবে না। সোমবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানাল পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

    বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট (Darjeeling)

    পাহাড়ের হোটেলে (Darjeeling) বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করার জল্পনা চলছিল কয়েক দিন ধরে। বিভিন্ন সংগঠন এবং হোটেল ব্যবসায়ী সম্মিলিত ভাবে এই বয়কটের কথা ঘোষণা করলেন। ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সোমবার বলা হয়, দার্জিলিং পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন হোটেল এবং তার বাইরেও যে সমস্ত হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ ভোট গিয়ে পড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের বিরুদ্ধে। তাই এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। শীতের মরসুমে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছরই এই সময় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক শৈলশহরে বেড়াতে আসেন। তাঁদের ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত কঠিন বলে মেনে নিয়েও ব্যবসায়ী সংগঠন বলছে, “দেশের থেকে বড় কিছুই নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    আগে দেশ, ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক!

    সাংবাদিক বৈঠকে ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি (Darjeeling) হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী ভোটপ্রক্রিয়া হয়েছিল। তাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশিদের বিপক্ষে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “সেই কারণে বাংলাদেশের পর্যটকদের আপাতত হোটেলে জায়গা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত যেন সবাই মেনে চলেন। মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণও করা হবে। এমনকী, ‘স্টুডেন্ট’ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা দেখিয়েও দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক জায়গা পাবেন না। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের প্রতি কটূক্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত দিন না ওই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিবৃতি দেবে, তত দিন ওই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।” পাশাপাশি ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর’-এর সদস্য দেবাশিস মৈত্র বলেন, “আমাদের কাছে আগে দেশ। ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক। হোটেল সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 10 december 2024: কোনও মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 december 2024: কোনও মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন। 

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) কোনও ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) সুন্দর কথা বলায় সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) কোনও মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পণ্য বয়কটের হুমকির এই কি নমুনা! ভারত থেকে ফের ১০০ টন চাল কিনল বাংলাদেশ

    Bangladesh: পণ্য বয়কটের হুমকির এই কি নমুনা! ভারত থেকে ফের ১০০ টন চাল কিনল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মাটিতে প্রকাশ্যে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ভারত যেন তাদের কাছে চিরশত্রু! অথচ সেই ‘শত্রু দেশের’ কাছেই চাল কিনছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নেটিজেনরা বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্য বয়কটক করার এই হাল দেখে রীতিমতো কটাক্ষ করছেন। ভারত ছাড়া যে বাংলাদেশিদের মুখে দু’বেলা অন্ন জুটবে না, তা এই চাল কেনার ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।

    ভারত থেকে ১০০ টন চাল গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)

    সোমবার ভারতের (Bangladesh) বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী বাংলাদেশে গিয়েছেন। দু’দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের। ওই বৈঠকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিস্রী। তার আগে রবিবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে ওপার বাংলায় পৌঁছল আরও ১০০ টন চাল। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত হয়ে চারটি চাল বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের প্রভাব যে বাণিজ্যের উপর পড়েনি, রবিবারের ঘটনা সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে আগেই জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলি ইমাম মজুমদারও রবিবার জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি এবং রাজনীতিকে তাঁরা একসঙ্গে দেখছেন না।

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    দেড় লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমোদন!

    ভারত-সহ একাধিক দেশ (Bangladesh) থেকে চাল আমদানির কথা ভাবছে তারা। কোনও একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল না থাকতে চাইলেও, ভারত থেকে চাল আমদানি তুলনামূলক ভাবে সাশ্রয়ী বলে মনে করছে ইউনূসের সরকার। তাই মায়ানমার, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড-সহ বেশ কিছু দেশ থেকে চাল আমদানির ভাবনাচিন্তা থাকলেও ভারত থেকে চাল আমদানি চালু রাখতে চাইছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রক। ভারত থেকে দেড় লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের তদারকি সরকার। এমনকী আলু, পেঁয়াজ কিংবা ডিম আমদানির জন্য বিকল্প দেশের খোঁজ করলেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অক্ষত রাখতে চাইছে তারা। বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, বর্তমানের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দু’দেশের বাণিজ্যের ওপরেও প্রভাব পড়েছে। গত প্রায় দু-তিন মাস ধরে চলা ‘মন্দা’ বাংলাদেশকে তো প্রভাবিত করছেই, সঙ্গে স্বল্প পরিমাণে হলেও ভারতে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন তিনি।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চালের জন্য ভারতের ওপর সত্যি কতটা নির্ভরশীল?

    ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। সর্বশেষ অর্থ বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

    ডিম

    ভারত থেকে পড়শি দেশে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪০টি (১৩ হাজার ৯১০ কেজি) মুরগির ডিম রফতানি করা হয় সেপ্টেম্বর মাসেই। আমদানি করা ডিমের দাম পড়েছে ১১ হাজার ২৭২ ডলার। ভারত থেকে আমদানি করার আগে বাংলাদেশে একটি ডিম কিনতে হচ্ছিল পিসপ্রতি ১৫-১৬ টাকায়। আমদানি হওয়ার পর দাম কমে হয় ৭-৮ টাকা প্রতি পিস।

    আলু

    বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আগে বাংলাদেশ (Bangladesh) কখনও আলু আমদানি করেনি। বরং বাংলাদেশ আলু রফতানি করত। তবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত থেকে ১৭ লক্ষ ডলারের আলু আমদানি করতে বাধ্য হয় ঢাকা। কারণ ঘরোয়া চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জোগান দিতে পারছিল না।

    পেঁয়াজ

    বাংলাদেশে (Bangladesh) বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৭-২৮ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উৎপাদন ছিল ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন। তবু ভারত থেকে প্রায় ২০ কোটি ডলারের পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।

    চাল

    রবিবার চলতি মরশুমে দ্বিতীয় দফায় ভারত থেকে চাল আমদানি করল বাংলাদেশ। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ২৬ নভেম্বর ৯৯.৯৩ টন চাল বাংলাদেশে গিয়েছে ভারত থেকে। রবিবার আরও ১০০.২২ টন চাল পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। ইউনূস সরকারের (Bangladesh) খাদ্য উপদেষ্টা জানান, সে দেশে বর্তমানে ২২ লক্ষ টন চাল মজুত রয়েছে। তবে চাহিদার কথা বিবেচনা করে সেটিকে ৩০ লক্ষ টন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর দাবি করলেও তারা ধারাবাহিক ভাবে চাল আমদানি করে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত থেকে ১৫ কোটি ডলারের চাল আমদানি করে বাংলাদেশ। এর আগের বছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হিন্দুরা, ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানাল ভারত

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হিন্দুরা, ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) কোনওভাবেই নিরাপদ নয় হিন্দুরা। সংখ্যালঘুরা সে দেশে নিরাপত্তাহীনতার শিকার। সোমবার ঢাকার বৈঠকে স্পষ্ট বলেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কড়া ভাষায় এই ব্যাপারে ভারতের অসন্তোষের কথা জানান তিনি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে মিস্রি জানান, ভারত প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু মানুষের মৌলিক অধিকার সবার আগে। 

    উদ্বিগ্ন ভারত

    বৈঠক শেষে এদিন মিস্রি জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে দু’পক্ষের। বৈঠকে বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে ভারতের অসন্তোষের কথা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উপর হামলার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারকে। বিদেশ সচিব জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে নয়াদিল্লি বিশেষ আগ্রহী। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন দু’দেশের সম্পর্কে ছাপ ফেলুক, চায় না ভারত।

    সুসম্পর্ক বজার রাখতে আগ্রহী দিল্লি

    বৈঠক শেষে বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি প্রথম রাষ্ট্রনেতা যিনি মহম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এর পর দু’জনের ফোনে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়। দুই দেশের বিদেশসচিব এবং বিদেশ উপদেষ্টার মধ্যেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে। মোদির আমন্ত্রণে গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে ইউনূস যোগ দিয়েছিলেন।’’ বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) সঙ্গে বরাবর ভারত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছে বলেও জানান ভারতের এই কূটনীতিক। জনমুখী উদ্যোগ দুই দেশের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম চালিকা শক্তি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাই বাংলাদেশে ভারতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালু রাখা হবে বলে জানান তিনি। বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘দু’দেশের মানুষের স্বার্থকে মর্যাদা দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Attacks on Hindu: প্রতিবাদ কাশ্মীরি সংখ্যালঘুদের, বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

    Bangladesh Attacks on Hindu: প্রতিবাদ কাশ্মীরি সংখ্যালঘুদের, বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। একদিকে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীরা যেমন আক্রান্ত হয়েছেন, ঠিক তেমনি নাগরিকদের দুর্বল অংশ সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়ে চলেছে। শাসকদলের নেতারা ফতোয়া জারি করেছে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবে না। কেউ ভারতের পক্ষে কথা বলতে পারবে না। বাজারে বাজারে ভারতীয় পণ্য বর্জনের নির্দেশ দিচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। পদ্মা পাড়ে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে কাশ্মীরি সংখ্যালঘুুরা। আসমুদ্র-হিমাচল হয়েছে প্রতিবাদে মুখর। 

    শ্রীনগরে প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে চলমান অত্যাচারের নিন্দা জানিয়ে শ্রীনগরে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আয়োজন করে কাশ্মীরি সংখ্যালঘুরা। বিক্ষোভকারীরা আন্তর্জাতিক ও সরকারি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সামাজিক কর্মী অনিতা চাঁদপুরী এই বিষয়ে ভারত সরকার, মানবাধিকার কমিশন এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীরবতার সমালোচনা করেছেন, উদ্বেগের সমাধান না হলে বৃহত্তর দেশব্যাপী মিছিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থার সঙ্গে একদা কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দু-ব্রাহ্মণদের অবস্থর তুলনা করেছেন অনেকে। গত ৩৫ বছর ধরে কাশ্মীরে হিন্দুরা এরকম অত্যাচার দেখেছেন বলেও মত অনেকের।

    ভারতের নানা প্রান্তে অসন্তোষ

    শুধু কাশ্মীর নয়, বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা নিয়ে ভারতের নানা প্রান্তে অসন্তোষ চোখে পড়েছে। নয়ডা, গাজিয়াবাদে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি থানে জেলায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে৷ নভি মুম্বাইয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাকাল হিন্দু সমাজ৷ হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ সারা বাংলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি শিমলায় সমাবেশ করেছে। ভারতীয় সনাতন সোসাইটি জামশেদপুরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে লখনউ, মোরাদাবাদেও।

    জার্মানিতেও প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, মায় হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ ভারতের সীা ছাড়িয়ে বিদেশেও আছড়ে পড়ছে। জার্মানির হিন্দু সংগঠনও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে তারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বহু হিন্দু মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বাড়ি ও দোকানে লুটপাট, এমনকি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর প্রতিদিন সামনে আসছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলি হল চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও, চাপাই নবাবগঞ্জের মতো প্রত্যন্ত ও মফস্বল অঞ্চলে। বাদ নেই ঢাকা ও ঢাকার শহরতলি এলাকাগুলিও। এই ধারাবাহিক অত্যাচারের জন্য মূলত অভিযোগ উঠেছে খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি) এবং জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জামাত-ই-ইসলামির মৌলবাদী শক্তির হিংসা ও লালসার শিকার হয়েছেন এই আক্রান্তরা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রায় ৩০টি জেলাতে হিংসার ঘটনা বেশি ঘটছে। 

    আরও পড়ুনঃ চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে ইউনূসকে চিঠি দিল বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share