Blog

  • South Korea: সামরিক আইন ঘোষণার ৬ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার! দক্ষিণ কোরিয়ায় পিছু হটল সরকার

    South Korea: সামরিক আইন ঘোষণার ৬ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার! দক্ষিণ কোরিয়ায় পিছু হটল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সামরিক আইনের বিষয়ে পিছু হটল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই দেশ থেকে ‘মার্শাল ল’ (Martial Law) প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। মঙ্গলবার রাতেই তিনি দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিন্তু সংসদের দাবি মেনে সেই অবস্থান থেকে পিছু হটলেন তিনি।

    কেন সামরিক আইন জারি (Martial Law)

    মঙ্গলবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এক ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট (South Korea)। সারা দেশে সামরিক আইন বা জরুরি অবস্থা জারির মতো সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল তাঁকে, তার ব্যাখ্যাও করেছিলেন ইওল। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাঁর ব্যাখ্যা, দেশকে কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন (Martial Law)  জারি করছেন। এই আইন বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন সু-কে। 

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    সামরিক আইন প্রত্যাহার

    সামরিক আইন জারির মধ্যে দিয়ে দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিলেন ইওল। এই আইনের (Martial Law) অধীনে মিটিং-মিছিল করার অধিকার কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই কারোর বাড়ির তল্লাশি নেওয়া যায়। বিরোধিতা করলে আটক, গ্রেফতারও করা যায়। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও, তার বিরোধিতা করেন আইন প্রণেতারা। সিওলের রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। মার্শাল ল লাগু করতে প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নামানো হয়। সংসদ ভবনের ছাদে নামানো হয় হেলিকপ্টার। জোর করে ঢোকে সেনাবাহিনী। এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সেনাকে এড়িয়ে সংসদে ঢোকেন ১৯০ জন সাংসদ। তারা মার্শাল ল (Martial Law) জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন। এরপরই চাপের মুখে পড়ে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    Bangladesh: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ পেয়ে ত্রিপুরায় এবার বন্ধ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) সহকারী হাইকমিশন বা উপ-দূতাবাস। মঙ্গলবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, আপাতত ভিসা এবং কনস্যুলার কাজ বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণ দেখিয়েই সহকারী হাইকমিশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে ইউনূস সরকার। ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের পর ট্যুইট করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ 

    বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে নির্বিচারে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ হচ্ছে দিকে দিকে। ত্রিপুরার আগরতলাতেও প্রতিবাদ হচ্ছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা সহকারী হাইকমিশন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ভারত সরকারের তরফেও এই ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৩ পুলিশ অফিসারকে। বদলি করা হয়েছে পুলিশের আরও এক কর্তাকেও। তবে, এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিয়ে এবং ঘটনার প্রতিবাদ করে সংখ্যালঘুদের কীভাবে নিরাপত্তা দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিল ভারত। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বারবার ভারত বার্তা পাঠালেও ইউনূস সরকার তা নিশ্চিত করতে পারছে না, এটাই ফারাক দুই দেশের। 

    প্রতিবাদ অসমেও 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ এবং ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঘোষণা করেছে, ব্যবসার ক্ষতি করেও বর্তমানে তারা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা দেবে না। আগে থেকে যাঁরা হোটেলে ছিলেন, শুধু তাঁদেরই থাকতে দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভ হয়েছে অসমেও। শিলচরে বাংলাদেশের ভিসার একটি ফ্রাঞ্চাইজি কেন্দ্রে বিক্ষোভ হয়। দক্ষিণ অসমের চার জেলা সদরে ধর্না দেয় সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। হাফলংয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৩০টি সংগঠন। লোক জাগরণ মঞ্চের তরফে ধুবুড়ি, জোরহাট, নলবাড়ি, মাজুলি, বরপেটা, নলবাড়ি, গোলাঘাট, হোজাই-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। স্মারকপত্র পাঠানো হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের উদ্দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 december 2024: সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 04 december 2024: সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সাংসারিক দায়িত্ব বৃদ্ধি।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২)  প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) সমাজের জন্য কাজ করুন।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ছেলে?

    Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)। বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) ছেলে। মহারাষ্ট্রের নয়া সরকার শপথ নেবে ৫ ডিসেম্বর। তার আগে হবে বৈঠক। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বৈঠকেই বিধানসভা দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন ফড়ণবীশ।

    চালকের আসনে ফড়ণবীশ! (Devendra Fadnavis)

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যে বিজেপি একাই জেতে ১৩২টি আসনে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর (মহারাষ্ট্রে এই জোট মহাযুতি নামে পরিচিত) দুই শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ডের শিবির এবং এনসিপির অজিত পাওয়া গোষ্ঠী পেয়েছে যথাক্রমে ৫৭ ও ৪১টি আসন। যেহেতু বিজেপি এককভাবে সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার পদ্ম-পার্টিই। তবে ওই পদের দাবি জানাচ্ছিলেন শিন্ডের অনুগামীরা। পরে বিজেপিকে নিঃশর্ত সমর্থন জানান শিন্ডে। তার পরেই ফড়ণবীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজেপির একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর। একনাথ বলেন, আমি আগেই বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমার ও শিবসেনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং তাকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাব। শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত যে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন খবর ছড়িয়েছে, তাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীকান্ত স্বয়ং।

    আরও পড়ুন: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    উপমুখ্যমন্ত্রী কে?

    জানা গিয়েছে (Devendra Fadnavis), উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন শিন্ডে। তাঁর একাধিক মন্ত্রক পাওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে বিজেপি। নয়া ফর্মুলা অনুযায়ী, ফড়ণবীশের সঙ্গেই ৫ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার। একটি সূত্রের খবর, বিজেপির হাতে থাকবে ২২টি মন্ত্রক। শিন্ডে সেনা পাবে ১২টি মন্ত্রক। বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানের পদও পাবে তারা। বিধানসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান-সহ ৯ থেকে ১০টি মন্ত্রক পাবে এনসিপির অজিত গোষ্ঠী। ৫ ডিসেম্বর সন্ধেয় আজাদ ময়দানে শপথ নেবে মহারাষ্ট্রের নয়া সরকার। প্রসঙ্গত, ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে (Eknath Shinde) আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হচ্ছে। আর সেই সব জেহাদিরা ভারতে এসে চিকিৎসার সুবিধা নিচ্ছে। আমরা সেই সব ভারত বিদ্বেষীদের কখনওই আমাদের দেশে চিকিৎসা করাতে দেব না। মূলত এই দাবি তুলে বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায়ের নেতৃত্বে কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা-কর্মীরা।  

    চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক (BJP)

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময় প্রভু। শুধু মৌলবাদীদের হুমকির জেরে তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে সওয়াল না করায় তিনি জামিন পর্যন্ত পাচ্ছেন না। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চলছে। সেখানকার মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাংলাদেশের কলেজে গেটের সামনে মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকানো রয়েছে। আর তার ওপর দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা। এটা ভারতবাসীর কাছে অপমানের। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে এদিন কল্যাণী এমস হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন কল্যাণী বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ বিজেপি সমর্থকরা। প্রত্যেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে। এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কট করতে হবে।

    আরও পড়ুন: দ্রুত নামবে পারদ! মাঝ-ডিসেম্বর থেকেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, বলছে পূর্বাভাস

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিধায়ক (BJP) অম্বিকা রায় বলেন, “কিছু ভারতবিদ্বেষী রয়েছে, যারা ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। অথচ তারাই এসে বিনামূল্যে ভারতের চিকিৎসা সুবিধা নিচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের এই ভারতবর্ষকে নিয়ে অপমান করার সাহস তারা কোথা থেকে পায়? কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ রাজ্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমরা চাই সেই সমস্ত ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশিরা যাতে আমাদের দেশে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা না পায় সেই ব্যবস্থা করুক সরকার। সেই কারণেই এদিন আমরা এইমস হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালাম। আমরা কোনও মতেই ভারত বিরোধী কোনও বাংলাদেশিকে ভারতবর্ষের কোনও সুবিধা পেতে দেব না”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “মেয়ে-বউকে তুলে নিতে চায় ওরা”, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন সুনীতা

    Bangladesh: “মেয়ে-বউকে তুলে নিতে চায় ওরা”, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) কী পরিস্থিতি, কী ভয়ানক অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার হিন্দুরা, সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশ থেকে এপারে আসা বাসিন্দারা। প্রত্যকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।

    ভালো ভালো বউকে, মেয়েকে ওরা তুলে নিতে চায়! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) দিদি-দাদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বনগাঁর হরিদাসপুরের সুনীতি মৃধা। বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। তিনি বলেন, “একদিন আমাকে এসে সেখানকার এক মুসলিম বলল, তোমরা নমঃশূদ্ররা ভারতে চলে যাও, নাহলে তোমাদের একটাকেও আস্ত রাখব না। “কী অবস্থা চলছে সেখানে? প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, “উরি বাবা, সে বলা যাবে না। বিশাল হামলা চলছে ওখানে। ভালো ভালো বউকে, মেয়েকে ওরা তুলে নিতে চায়। জামাতের দল আর খালাদের দল। মায়ের কাছ থেকে বাবার কাছ থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরে আগুন দিচ্ছে। জমি জমা দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।” সুনীতির বক্তব্য, “দিনটা যা হোক করে কাটছে, কিন্তু রাতটা ভয়ঙ্কর। ওখানকার মানুষের প্রাণটা ধুকধুক করছে। ছেলেদের ধরে নিয়ে গিয়ে মারছে। আমাদের ভারতে যদি মুসলিমরা আসে চিকিৎসা করাতে, তাহলে আমি বলব ঘেঁটি ধরে বার করে দেওয়া উচিত। চাল গম, তেল কিচ্ছু পাঠানো যাবে না।”

    ইন্ডিয়ায় হয় না, বাংলাদেশে কেন?

    বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা এক মুসলিম ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা যারা ইন্ডিয়ায় আসি এখানকার পুলিশ প্রশাসন এখানকার মানুষ কোনওদিন কোনও প্রবলেম করে না। সবাই সাহায্য করে। কিন্তু,আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে ভাবে বাংলাদেশিরা অত্যাচার করছে সেটা দুঃখজনক।ওখানে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ঘর থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের সময় যেমন হত। এটা বেশিরভাগ করছে আমাদের দেশের মৌলবাদীরা। ওই ব্যবসায়ী বলেন, আমি ধর্মে মুসলিম। এতদিন ধরে ইন্ডিয়ায় আসি, আমার ওপর কোনও দিন কোনও অত্যাচার হয়নি। তাহলে আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এই অত্যাচার কেন?” প্রশ্ন ওই ব্যবসায়ীর।

    শুভেন্দুর আন্দোলন বাংলাদেশে প্রভাব!

    শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলন যে বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রভাব ফেলছে, সেকথাও বললেন বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা বাসিন্দারা। পেট্রাপোলে অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। সোমবারই তাতে শামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দু বাঁচাও, সনাতনীদের রক্ষা করার সুর চড়ান তিনি। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবি যাতে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায়ও পৌঁছে যায়, তার দাবিতে বেলুন ওড়ান তিনি। বাংলাদেশে অশান্তি যারা পাকাচ্ছে, তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র। সীমান্তে অনেকগুলো শব্দদানব রাখা রয়েছে। দুটি যদি ঘুরিয়ে দেয় না ভারতের বীর সেনা, ছুটে পালিয়ে যাবে মোল্লার দল।” কিন্তু শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি যে সে বাংলায় প্রভাব ফেলছে, সে কথাও বললেন বাংলাদেশ থেকে আসা এই প্রৌঢ়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন-ভারত সম্পর্কের (India China Ties) উন্নতি হয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এমনই দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে গালওয়ানে দুই দেশের সেনা সংঘাতের পর থেকে ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনার কারণেই পরিস্থিতি বদলেছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (India China Ties)

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক টালমাটাল হয়েছিল। চিনের কার্যকলাপের কারণে সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। সেই থেকে আমরা ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে গিয়েছি। যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।” তিনি জানান, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ভারত। স্বচ্ছ এবং দুই দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার দিকেই নজর রয়েছে সরকারের। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলী যা ক্রমাগত (India China Ties) কূটনৈতিক ব্যস্ততার প্রতিফলন ঘটায় ভারত-চিন সম্পর্ক  কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে।”

    বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি

    তিনি বলেন, “আগামী দিনগুলিতে আমরা সীমান্ত এলাকায় কর্মকাণ্ডের উত্তেজনা হ্রাস ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা উভয় বিষয়েই আলোচনা করব।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি এখন আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অন্যান্য দিকগুলিতে ফোকাস করতে পারে। এর পরেই ডি-এসকালেশন নিয়ে এগোতে চায় দিল্লি।” তিনি বলেন, “পরবর্তী (India China Ties) অগ্রাধিকার হবে ডি-এসকালেশন বিবেচনা করা যা এলএসি বরাবর সৈন্য জমায়েতের সমাধান করবে। তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল ফ্রকশন পয়েন্ট থেকে ডিসএনগেজমেন্ট নিশ্চিত করা।”

    আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সীমানা বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য, পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোয় পৌঁছানোর জন্য চিনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের (India China Ties) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে, চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি যে বিশেষ প্রতিনিধি এবং বিদেশ সচিব পর্যায়ের প্রক্রিয়া শীঘ্রই আহ্বান করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং এলএসি (S Jaishankar) থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হন (India China Ties)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে (Bangladesh Issue) সংসদে তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য, জগন্নাথ সরকার। রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ‘বাংলায় ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে বাংলাদেশিরা’ এমনই মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই সেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। মঙ্গলবার সাংসদে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ই রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা তুলে মমতা সরকারের বিপক্ষে গর্জে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল, এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য।

    রাজ্য সরকার মদতে অনুপ্রবেশ

    রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্ন, “বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে। মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আর্থিক তছরুপ হচ্ছে, রাতের বেলা ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলামে। কাঁটাতারের বেড়া মধ্যে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। এপারে এসেও শান্তি নেই। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি মদতেই হচ্ছে। তছনছ হচ্ছে সরকারি সম্পদ। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। বেলডাঙা, হাওড়া, উলুবেড়িয়ার মতো জায়গায় সরকারি মদতে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকারি মদতে। রাজ্য সরকার মদত দিচ্ছে হাওড়া উলুবেড়িয়ায় সন্ত্রাস হতে।” জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে বলেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। হুগলি, হাওড়া, নদিয়ার কিছু অংশেও একই সমস্যা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রথম থেকেই বাংলার শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিএসএফ-কেই দায়ী করে এসেছে। এক্ষেত্রেও তারা বল ঠেলেছে মোদি সরকারের দিকেই। এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর আবেদন করুক কেন্দ্র।” 

    ভোটবাক্সের রাজনীতি

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, রাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় মমতা সরকারের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য। রোহিঙ্গারা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছে, অথচ রাজ্যের সরকার কিছু করছে না বলে দাবি করেন তিনি। শমীক বলেন, ‘‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ভারত সরকারের পরমাণু বিভাগের অধীনে রয়েছে। এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র হাই সিকিওরিটি জোন বলে বিবেচিত হয়। অথচ উত্তরের দেওয়ালের বাইরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। সব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা এমন এক রাজ্যে রয়েছি, যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানানো হয়। দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাই। পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে রোহিঙ্গারা বসে থাকলে, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। পুলিশের কাছে চার চার বার গেলেও সে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যের সরকারের জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশে অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের কথা পরে হবে। প্রতিদিন যে অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা যে প্রশ্নের মুখে, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার।’’ ভোটবাক্স ধরে রাখতে রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে বলেও দাবি করেন শমীক।

    অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের নিশানা

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ (Bangladesh Issue) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সরকারকে নিশানা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। শাহের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদীনালা রয়েছে, কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। রাজ্যের ভূমিরাজস্ব দফতর, অনুপ্রবেশের সময় কী করে? জেলাশাসকেরাই বা কী করছেন? পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানানো হচ্ছে না?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • JEE Advanced 2025: জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড পরীক্ষা হবে ১৮ মে, নিয়মে এল কোন বড় বদল?

    JEE Advanced 2025: জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড পরীক্ষা হবে ১৮ মে, নিয়মে এল কোন বড় বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড ২০২৫ পরীক্ষার নিয়মের বদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। কারা পরীক্ষায় (JEE Advanced 2025) বসতে পারবেন, আর কারা পারবেন না তার গাইড লাইন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এই আবহের মাঝে এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড ২০২৫ পরীক্ষার সম্পূর্ণ সূচি প্রকাশ করেছে কানপুর আইআইটি (Kanpur IIT)।  

    কবে পরীক্ষা? (JEE Advanced 2025)

    জানা গিয়েছে, আগামী বছরের ১৮ মে রবিবার আয়োজিত হতে চলেছে এই পরীক্ষা। যে সমস্ত প্রার্থীরা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE Advanced 2025) অফিসিয়াল পোর্টাল থেকে এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা jeedv.ac.in ওয়েবসাইটে গিয়ে এই পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন এবং পরীক্ষার সূচি ছাড়াও অ্যাডমিট কার্ড  ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকেই। গত বছর ২০২৩ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল ২৬ মে। এবার প্রায় এক সপ্তাহ আগে আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা।

    আরও পড়ুন: দ্রুত নামবে পারদ! মাঝ-ডিসেম্বর থেকেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, বলছে পূর্বাভাস

    দুটি শিফটে হবে এই পরীক্ষা

    আগামী ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মোট দুটি শিফটে (JEE Advanced 2025) আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা। প্রথম শিফট সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পরের শিফট আয়োজিত হবে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সমস্ত কিছুই জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এমনকী, নিয়মিত আপডেট পেতে হলে নজর রাখতে হবে ওয়েবসাইটে।

    পরীক্ষার নিয়মে কী বদল হল?

    কিছুদিন আগেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের (JEE Advanced 2025) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এবারের পরীক্ষার নিয়মে কিছু বদল আসবে। এর আগে পর্যন্ত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের নিয়মে দু’বারের বদলে তিন বার এই পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র পেতেন পরীক্ষার্থীরা। তবে এবার থেকে আর তিনবার সুযোগ পাওয়া যাবে না, পুরনো সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে বোর্ড। ফলে তৃতীয়বারের জন্য যারা বসতে চাইছিলেন ২০২৫ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় তাদের জন্য হতাশাজনক খবর। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২০১৩ সালের আগের সমস্ত নিয়মই পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর তারিখের আগে যে সকল প্রার্থীর জন্ম তাঁরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, তবে সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৫ বছরের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংসারে চলে এল নয়া সদস্য ‘নাগাস্ত্র-১’। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আত্মঘাতী ড্রোন ভারতের শত্রুদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ‘ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা এই ড্রোন তৈরি করেছে। নাগাস্ত্র হল এক ধরনের ‘লয়টারিং মিউনিশন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’। এই সংস্থাকে ৪৮০টি নাগাস্ত্র তৈরির বরাত দিয়েছিল সেনা। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২০টি ড্রোন আগেই পেয়েছিল সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাকি ড্রোনগুলোও সরবরাহ করেছে ওই সংস্থা। এখন তারা আরও উন্নত ‘নাগাস্ত্র-২’ ও ‘নাগাস্ত্র-৩’  আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির কাজ করছে।

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনের ক্ষমতা

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনটি নির্দিষ্ট এলাকায় সকলের নজরের আড়ালে অনেক ক্ষণ ধরে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে পারে। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ‘লক’ করছে তত ক্ষণ পর্যন্ত হামলা চালাবে না। লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে ঘোরাফেরা করবে। সেনা সূত্রে খবর, এক একটি নাগাস্ত্রের ওজন আনুমানিক ৯ কেজি। দু’মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু স্থির করে হামলা চালাতে পারে ড্রোনগুলি। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এগুলি। এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে ‘নাগাস্ত্র-১’। দু’কেজির মতো বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা ধরে এক একটি ড্রোন। প্রতিটি ড্রোনে উচ্চমানের জিপিএস ব্যবহার করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    দেশীয় ড্রোন শিল্পে জোর

    প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, লক্ষ্যবস্তু স্থির করার পর প্রায় নির্ভুল হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে নাগাস্ত্র। এই ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে নাগাস্ত্র ছাড়াও, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মিডিয়াম অ্যালটিচুড লং এন্ডুরেন্স (MALE) শ্রেণির ড্রোন ডিজাইন ও উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগ দেশীয় ড্রোন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য় করবে। কম খরচে  উন্নত ক্ষমতার ড্রোন চলে আসবে সেনাবাহিনীর হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share