Blog

  • Ramakrishna 403: শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    Ramakrishna 403: শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    মোহিনী বললেন: “এখানে এলেই একটু শান্ত হন। ওখানে মাঝে মাঝে খুব হাঙ্গামা করেন। সেদিন তো মরতে গিয়েছিলেন!”

    ঠাকুর কিছুক্ষণ নীরবে চিন্তায় ডুবে রইলেন।

    মোহিনী বিনীতভাবে বললেন:

    “আপনার দু-একটা কথা বলে দিতে হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন:

    “রাঁধতে দিও না। ওতে মাথা আরও গরম হয়ে যায়। আর লোকজনের সঙ্গে রাখো—তাতে উপকার হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    সন্ধ্যা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আরতির প্রস্তুতি চলছে। শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আলো জ্বালানো হয়েছে। ঠাকুর একটি ছোট খাটে বসে জগতমাতাকে প্রণাম করে কোমল সুরে তাঁর নাম জপ করছেন। ঘরে আর কেউ নেই, কেবল মাস্টার (মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত) বসে আছেন।

    ঠাকুর উঠে দাঁড়ালেন, মাস্টারও দাঁড়ালেন। ঠাকুর ঘরের পশ্চিম ও উত্তর দিকের দরজাগুলির দিকে ইঙ্গিত করে বললেন — “ওগুলো বন্ধ করো।”

    মাস্টার দরজাগুলি বন্ধ করে বারান্দায় এসে ঠাকুরের কাছে দাঁড়ালেন।

    ঠাকুর বললেন, “একবার কালীঘরে যাব।”

    এই বলে মাস্টারের হাত ধরে তাঁর উপর ভর করে কালীঘরের সম্মুখ চাতালে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে বসে পড়লেন। বসার পূর্বে বললেন,
    — “তুমি বরং ওকে ডেকে দাও।”

    মাস্টার বাবুরামকে (পরবর্তীকালে স্বামী প্রেমানন্দ) ডেকে পাঠালেন।

    ঠাকুর মা কালী দর্শন করে বৃহৎ উঠোনের মধ্যে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরে আসছেন। মুখে উচ্চারিত হচ্ছে—
    — “মা… মা… রাজরাজেশ্বরী…”

    ঘরে এসে আবার ছোট খাটে বসে পড়লেন। ঠাকুরের এক অদ্ভুত অবস্থা দেখা যাচ্ছে। কোনও ধাতুর বস্তুতে তিনি হাত দিতে পারছেন না। বলেছিলেন,
    — “মা বুঝি ঐশ্বর্যের ব্যাপারটি মন থেকে একেবারে তুলে দিচ্ছেন। এখন কলাপাতায় আহার করি, মাটির ভাড়ে জল খাই। গাড়ু (পিতলের পাত্র) ছুঁতে পারি না। তাই ভক্তদের বলেছি মাটির ভাড়া নিয়ে আসতে। গাড়ু বা ধাতুর থালায় হাত দিলে ঝনঝন শব্দ হয়, যেন শিঙি মাছের কাঁটা বিঁধছে হাতের মধ্যে।”

  • RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ। দেশজুড়ে ৫৮ হাজার ৯৬৪ মণ্ডল এবং ৪৪ হাজার ৫৫ বস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্মেলন। তিনদিন ব্যাপী আরএসএসের (RSS) প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে (Prant Pracharak Meeting) এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪-৬ জুলাই দিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান সুনীল আম্বেকর এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে সংঘের শতবর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শতবর্ষে গ্রামীণ অঞ্চলে মণ্ডল স্তরে এবং শহরাঞ্চলে বস্তি স্তরে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে দেশে ৫৮ হাজার ৯৬৪টি মণ্ডল ও ৪৪ হাজার ৫৫টি বস্তি রয়েছে। এই সম্মেলনগুলিতে সামাজিক উৎসব, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং ‘পঞ্চ পরিবর্তনে’র ওপর আলোচনা হবে।

    ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ (RSS)

    সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে ১১ হাজার ৩৬০টি ব্লক/নগরে ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ও হবে। সংঘের কাঠামো অনুযায়ী দেশে মোট ৯২৪টি জেলা রয়েছে। এসব জেলায় ‘প্রমুখ নাগরিক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে “ভারতের ভাবনা”, “ভারতের গৌরব”, “ভারতের স্বা” ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সুনীল জানান, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বস্তিতে সর্বাধিক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। শতবর্ষ পালনের মূল লক্ষ্য হল, পেশা, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সর্বসমেত যোগাযোগ ও সম্পূর্ণ সামাজিক সংহতি অর্জন করা।

    শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমীতে

    সংঘের শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমী থেকে। এদিন সকল স্বয়ংসেবক বিজয়া দশমী উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “দেশ (RSS) অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং জীবনের নানা দিক থেকে অগ্রগতির জন্য একসমষ্টিগত (Prant Pracharak Meeting) প্রচেষ্টা চলছে। এই অগ্রগতি সরকারিভাবেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ঘটছে। তবে দেশ যতই এগিয়ে যাক, শুধুমাত্র অর্থনীতি বা প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হওয়াই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজ ও জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

    সুনীল জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৮ হাজার ৮১২টি জায়গার কার্যকর্তারা সংঘ শিক্ষা বর্গে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে (Prant Pracharak Meeting) সুনীল বলেন, “লোভ, জোরজবরদস্তি, কারও অসুবিধার সুযোগ নেওয়া বা চক্রান্তের মাধ্যমে ধর্মান্তরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তিনি জানান, ভারতের সমস্ত ভাষাই জাতীয় ভাষা। সংঘের বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত (RSS)।

  • Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। একেবারে বাস্তব গল্প। এমন এক গল্প যা রোমহর্ষকতায় পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। হলিউড সিনেমার দৌলতে অনেকেই হয়ত সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলা গুপ্তচর-আততায়ীদের সঙ্গে পরিচিত। তা সে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক উইডো’-ই হোক কিংবা রাশিয়ার ‘রেড স্প্যারো’। তবে, এই গল্পের নায়িকা কোনও পর্দার কাল্পনিক চরিত্র নয়, সত্যিকারের মানুষ। এক কথায়, বাস্তবের ‘ব্ল্যাক উইডো’, রক্ত-মাংসের ‘রেড স্প্যারো’। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এক উচ্চশিক্ষিত ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা গুপ্তচর (Catherine Perez-Shakdam), যিনি কিনা ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। স্রেফ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাই নয়, রীতিমতো আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে জোগাড় করেছিলেন গোপন তথ্য। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদকে (Mossad Spy)। তারপর আচমকা একদিন উধাও! তাঁর দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যুদ্ধে ইরানকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও এখন তাঁর কোনও হদিশ পাচ্ছে না ইরান! কীভাবে সম্ভব হল? জেনে নিন সেই রোমহর্ষক গল্প।

    রহস্যময়ী মোসাদ এজেন্টের পরিচয়…

    প্রথমেই পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গে, যাঁকে নিয়ে আজ কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্বে। মোসাদের এই গুপ্তচরের নাম ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম (Catherine Perez-Shakdam)। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, এবং বলা বাহুল্য প্রচণ্ড সাহসী। ফ্রান্সের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন ক্যাথরিন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন এবং তার পরে অর্থ ও জনসংযোগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি ইয়েমেনের এক সুন্নি মুসলিম ব্যক্তির প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে এই বিবাহের সমাপ্তি ঘটে। এর পরই, ক্যাথরিনের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মোসাদ। তাঁকে রাজি করানো হয় ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার। মুসলিমের সঙ্গে সংসার করায় ইসলামিক রীতিগুলো রপ্ত ছিল ক্যাথরিনের। ফলে, মোসাদের খুব বেশি সময় লাগেনি ক্যাথরিনকে গড়ে তুলতে।

    মাথায় হিজাব, মস্তিষ্কে মোসাদ!

    মোসাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে সাংবাদিক, গবেষক ও চিন্তাবিদের পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করেন ক্যাথরিন। তিনি নিজেকে এক মুসলিম নারী এবং একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। ইরানে তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজাব পরতেন। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী। তাই তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ইরানের সরকার এবং সেনার প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন তিনি। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল টিভির বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে। তিনি ইয়েমেন যুদ্ধ, সৌদি নীতিমালা ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন, যা তাসনিম, মেহর এবং এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই পরিচালিত ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পেত। খামেনেই ডট আইআর–এ তাঁর লেখা ১৮টির বেশি প্রতিবেদন রয়েছে।

    ইরানের শীর্ষকর্তাদের স্ত্রীদের হাত করেন!

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন ক্যাথরিন। সেই মওকায় শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, যেসব বাড়িতে এবং স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত খুব কড়া, সেই ব্যক্তিগত স্থানেও প্রবেশ করতে পারতেন। ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আড্ডা ও বিশ্বাসের আড়ালে গৃহিণীদের মুখ থেকে তুলে আনতেন চরম গোপন তথ্য—স্বামী কোথায় কর্মরত, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কারা তাঁর সঙ্গে থাকেন ইত্যাদি। এই কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করতেন ক্যাথরিন।

    ক্যাথরিনের তথ্য দিয়েই হামলার নকশা!

    ইরানি সেনা অফিসারদের একাংশের বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের গতিবিধি চলে যায় ক্যাথরিনের নখদর্পণে। তরুণী গুপ্তচরের (Mossad Spy) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে চলে আসে মোসাদের। ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শিয়া কমান্ডারদের নিকেশ করার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজরায়েল। যুদ্ধ বাঁধতেই, একের পর একে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তার মৃত্যু হতে থাকে ইজরায়েলি হানায়। ইজরায়েলি হানার জেরে অনেক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য নিজেদের লোকেশন পরিবর্তন করেছিলেন। হয়ত ভেবেছিলেন যে, তাঁরা এখন নিরাপদ। কিন্তু প্রতিবারই যখনই কোনও আক্রমণ হয়েছিল, তখন তা এত নির্ভুল ছিল যে, মনে হয়েছিল যেন কেউ সঠিক লোকেশন ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি, নিহত কমান্ডারদের জায়গায় যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁরাও ইজরায়েলের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমায় নিশানা করা হয়েছে তাঁদের। সেই আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছু সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    আচমকা ভ্যানিশ হয়ে যান ক্যাথরিন…

    এর পরেই নড়েচড়ে বসে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান’। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে। বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে ক্যাথরিনকে (Catherine Perez-Shakdam) চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যাথরিন ততদিনে ভ্যানিশ। ক্যাথরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও আজও তাঁর কোনও নাগাল পাননি ইরানের গুপ্তচররা । কারও মতে, ক্যাথরিন তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন অন্য দেশে বাস করছেন। কিন্তু কোথায় তিনি? কেউ জানে না। তাঁর কোন চিহ্ন নেই, যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছেন। শুধু রয়ে গিয়েছে ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম নামটা। ইজরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী গুপ্তচরদের (Mossad Spy) একজন, যিনি ইরানকে হতবাক করেছেন এবং বিশ্বকে হতবাক করেছেন।

  • Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিল তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। জেরায় এমনটাই কবুল করেছে সে। মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attacks) সঙ্গে যে তার যোগ ছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছে পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানা। তার দাবি, লস্কর-ই-তৈবা কেবলমাত্র একটি জঙ্গি সংগঠন নয়, গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেও কাজ করে। রানা জানায়, তার বন্ধু সহযোগী ডেভিড হেডলি বহুবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বই হামলা (Tahawwur Rana)

    দিল্লির তিহাড় জেলে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে রানা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছে, ২৬/১১ হামলা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। ওই হামলার সময় সে মুম্বইতে ছিল। গোটা হামলাটা ছিল জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। খালিজ যুদ্ধের সময় পাক সেনা তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে রানা। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে তাহাউর এও জানিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন কেন্দ্র বা ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা করেছিল সে। মূলত সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতেই এই ছক কষেছিল রানা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধু মুম্বইয়ের তাজ হোটেলই নয়, ওই দিন আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর মুম্বই পুলিশ দ্রুত রানাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এই রানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বন্দি ছিল আমেরিকার জেলে। কয়েক মাস আগে আমেরিকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ ছিল এই রানা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে আলাপ হয় রানার। জঙ্গিরা কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালাবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করেছিল তাহাউর। পরে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ বছরের শুরুতে রানাকে হাতে পায় ভারত (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল ১০ জন পাক জঙ্গি। সেদিন তারা তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং ইহুদি সেন্টার (Mumbai Terror Attacks) নরিমান হাউস-সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায়। নিহত হন ১৬৬ জন (Tahawwur Rana)।

  • PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থায় গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at BRICS)। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে অনুষ্ঠিত ১৭তম ব্রিকস (BRICS)  শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশের শতকে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আজকের দিনে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। যেসব দেশ আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে, তাদের কোনও জায়গা নেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। এটা শুধু প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নও বটে।”

    পুরাতন কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান

    রিওর আইকনিক মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কারের জন্য জোরালো আবেদন করেন মোদি (PM Modi at BRICS)। তিনি বলেন, “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলতে পারে না”। এই কটাক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, যেখানে প্রযুক্তি প্রতি সপ্তাহে বদলাচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ বছরেও একবার বদল হয় না— এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সংস্কার শুধুমাত্র প্রতীকী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত।

    ব্রিকস কী

    ব্রিকস (BRICS) হল উদীয়মান অর্থনীতির ৫টি দেশের গোষ্ঠী – ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এতে যোগ দেয়। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান। ক্রমে এই গোষ্ঠী বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির জোটে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া বাদে সব দেশই উন্নয়নশীল। ব্রিকসের মূল লক্ষ্য হল বিকল্প অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

    গ্লোবাল সাউথ-এর কণ্ঠস্বর

    দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল (PM Modi on Global South) এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলির প্রতি ‘বঞ্চনা’ হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করলেন মোদি। যদিও এই দেশগুলি বিশ্ব কূটনীতির ময়দানে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট বা গোষ্ঠীগুলিতে এই দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “গ্লোবাল সাউথ বহুবার দ্বৈত মানদণ্ডের শিকার হয়েছে। উন্নয়ন, সম্পদের বণ্টন বা নিরাপত্তা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বৈষম্য স্পষ্ট।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যেসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, সেগুলো এখনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মঞ্চে যথাযথ স্থান পায় না।” তিনি জানান, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। সরাসরি বলেন, “জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলার অর্থ, উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই দেশগুলিকে বেশির ভাগ সময়েই নামমাত্র কিছু দেওয়া হয়ে থাকে।” মোদির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে এই বঞ্চনা চলছে। তাঁর কথায়, “গ্লোবাল সাউথকে ছাড়া আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি যেন এমন একটি মোবাইল ফোন, যার সিম আছে কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই।”

    আগামী বছর ভারতে ব্রিকস সম্মেলন

    সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে মোদির  (PM Modi at BRICS) উষ্ণ সাক্ষাত্‍ ও আলিঙ্গন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। “সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শাসন ব্যবস্থার জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা”— এই মূল উদ্দেশ্যে ব্রাজিলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আলোচনা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শাসনব্যবস্থা, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে। সম্মেলনে মোদি ব্রিকস (BRICS)-কে একটি “সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ও অভিযোজনক্ষম সংগঠন” হিসেবে বর্ণনা করেন। সম্প্রতি ব্রিকস-এর সম্প্রসারণকে স্বাগতও জানান। বলেন, “ব্রিকস সম্প্রসারিত হয়েছে, নতুন বন্ধুরা যোগ দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে, আমরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারি। এখন একই ইচ্ছাশক্তি দরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মতো প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্যও।” উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে ভারত ব্রিকস (BRICS)-এর সভাপতিত্ব নিতে চলেছে।

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

  • Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যর্পণের কথা বিবেচনা করতে পারে।” কথাগুলি বলেছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto)। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে শাহবাজ শরিফের দেশে। ভুট্টোর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রধান হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে ভুট্টোকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    কী বলেছিলেন ভুট্টো (Pakistan)

    ৪ জুলাই সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো বলেন, “হাফিজ সঈদ ও জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের মতো ব্যক্তিদের ভারতের হাতে তুলে দিতে পাকিস্তানের কোনও আপত্তি নেই। যদি নয়াদিল্লি সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবেই।” তিনি এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে আস্থা গড়ে তোলার একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। ভুট্টো বলেন, “ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই দুই জঙ্গিকে ঘিরে পাকিস্তান, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে মামলায় এগোতে পারছে না।”

    কী বললেন হাফিজের ছেলে

    ভুট্টোর মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই এক ভিডিও বার্তায় তালহা সঈদ ভুট্টোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, “এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের সম্মানহানি হয়েছে (Pakistan)।” তিনি বলেন, “ভুট্টো যে তাঁর (তালহার) বাবাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” তালহা আরও বলেন, “পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা না করে বরং পাকিস্তান সরকারের উচিত ভারতের নেতাদের প্রত্যর্পণের দাবি জানানো।”

    তিনি ভুট্টোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ভুট্টোর পরিবার ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিমী ও ভারতীয় ভাবধারার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। উল্লেখ্য, হাফিজ সঈদ এবং তালহা সঈদ দু’জনেই এখনও মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি। তালহার ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মার্কাজি মুসলিম লিগ এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতকে দায়ী করে (Bilawal Bhutto)। দলটির দাবি, পাকিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি কাজকর্মের মূল ষড়যন্ত্রকারী (Pakistan) হল ভারত।

  • India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জয়ের শুভ-মহরৎ শুরু। হেডিংলির প্রতিশোধ বার্মিংহ্যামে নিল শুভমন গিলের ভারত (India vs England)। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল গম্ভীরের ছেলেরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল এখন ১-১। যে এজবাস্টনে ভারত কোনওদিন জিততে পারেনি, সেই স্টেশনে এসেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন গিল। তিনিই নায়ক, তিনিই অধিনায়ক। ক্যাপ্টেন্স নক-প্রথম ইনিংসে ২৬৯, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১। অধিনায়কোচিত ইনিংসকে সম্মান জানালেন দলের বোলাররা। ১০ উইকেট নিয়ে বুমরাহীন ভারতীয় বোলিংকে ভরসা দিলেন বাংলার আকাশদীপ। ম্যাচের শেষ উইকেটটিও তাঁর দখলে। আর শেষ ক্যাচটিও ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের হাতেই। অনেক ক্যাপ্টেন চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাননি এই মাঠে। অবশেষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন, জয়ের ইতিহাসও গড়লেন শুভমন গিল। রোহিত-বিরাট পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া আইকন শুভমন।

    সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়

    ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭২। পঞ্চম ও শেষ দিনে ৫৩৬ রান করলে জিতবে ইংল্যান্ড (India vs England), এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসরা থেমে গেলেন ২৭১ রানে। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারাল ভারত। এটাই রানের ব্যবধানে টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমনেরা। শুধু ভারত নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই প্রথম বার টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০০০ বা তার বেশি রান করেছে ভারত। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান করেছে ভারত। অর্থাৎ, এই টেস্টে মোট ১০১৪ রান করেছে ভারত।

    এজবাস্টনে নজির

    ১৯৬২ সাল থেকে এজবাস্টনে শুরু হয়েছে টেস্ট। কিন্তু প্রথম এশীয় কোনও দলের সেখানে জিততে লাগল ৬৩ বছর। এর আগে এজবাস্টনে ৮টি টেস্ট খেলেছিল ভারত (India vs England)। এর মধ্যে ৭ ম্যাচেই হার। একটি ড্র হয়েছিল। অবশেষে নবম সাক্ষাতে জয়। এই জয়ের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাঠে টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত। ১৯৩২ সালে প্রথম বার টেস্ট খেলা শুরু ভারতের। তার পর ৯৩ বছরে বিশ্বের মোট ৮৫টি মাঠে ম্যাচ খেলেছে ভারত। তার মধ্যে ৬০টি মাঠে জিতেছে তারা। এত দিন ৫৯টি মাঠে জিতেছিল ভারত। তাতে যুক্ত হল এজবাস্টন। এই ৬০টি মাঠের মধ্যে ২৩টি ভারতে। তার মধ্যে চেন্নাইয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬টি টেস্ট জিতেছে ভারত। বিদেশের মাটিতে ৩৭টি মাঠে অন্তত একটা হলেও টেস্ট জিতেছে ভারত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতেছে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে চার বার টেস্ট জিতেছে ভারতীয় দল। লর্ডসে তারা জিতেছে তিন বার।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    এজবাস্টনে দুই ইনিংসে অসাধারণ খেলে রেকর্ডের পাহাড়ে শুভমন গিল (Shubhman Gill)। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছে ১৬১ রান। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এই টেস্টে ৪৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। এই টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শুভমনই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার যিনি এক টেস্টের দুই ইনিংসে দ্বিশতরান ও ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন। এর আগে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছিলেন একমাত্র অ্যালান বর্ডার। ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটা করেছিলেন বর্ডার। কিন্তু শুভমনের কীর্তি এখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। এশীয় ব্যাটারদের মধ্যে এশিয়ার বাইরে এক টেস্টে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। ছাপিয়ে গিয়েছেন সুনীল গাভাসকরকে। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক টেস্টে ৩৪৪ রান করেছিলেন তিনি। শুভমন ভারতের কনিষ্ঠতম অধিনায়ক যিনি বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতেছেন। ২৫ বছর ৩০১ দিনে এই কীর্তি করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৭৬ সালে ২৬ বছর ২০২ দিন বয়সে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন।

    ইংল্যান্ডের আকাশে জ্বলল দীপ

    ইংল্যান্ডে (India vs England) ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে সেরা বল করেছেন আকাশদীপ। এজবাস্টনে দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১৮৭ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৮৬ সালে এই মাঠেই ১৮৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন চেতন শর্মা। ইংল্যান্ডে আর কোনও ভারতীয় বোলারের এক টেস্টে ১০ উইকেটের নজির নেই। বিহারের সাসারামের ছেলে আকাশদীপ। সেই রাজ্যে ক্রিকেটীয় পরিকাঠামো না থাকায় চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ক্লাব ক্রিকেটে খেলার পর বাংলার হয়ে রঞ্জিতে ভাল খেলে আইপিএলের চুক্তি আদায় করেছেন। সেখানেও ভাল খেলে ঢুকে গিয়েছেন জাতীয় দলে। লাল বলে অন্য রূপে দেখা যাচ্ছে আকাশদীপকে।

  • Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের সাফল্যের মুকুটে ফের একটা নয়া পালক! বিপ্লব ঘটেছে ভারতের (India) খেলনা শিল্পে। আমদানি নির্ভরতা থেকে বিশ্বমানের রফতানিকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে ভারতীয় খেলনা। এটা কোনও গল্পকথা নয়। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৬তম টয় ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বি-টু-বি এক্সপোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    ভারতের খেলনা শিল্প (Piyush Goyal)

    তিনি বলেন, “আমাদের খেলনা শিল্প, যা এক সময় আমদানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল, এখন ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয় এবং সঠিক নীতিগত সহায়তা পেলে আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।” এই সাফল্যের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণগুলি হল গুণমানের মানদণ্ডে নিরবচ্ছিন্ন জোর, দেশীয় উৎপাদন কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার চালু হওয়া। পীযূষ বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার ভারতে গুণমান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন আমাদের নির্মাতারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করছেন।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।১৪০ কোটির জনসংখ্যা আমাদের একটি বিরাট বাজার দেয়, যার মাধ্যমে আমরা উৎপাদন স্কেল বাড়াতে পারি, খরচ কমাতে পারি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে পারি।” খেলনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে মন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, এই গতি বজায় রাখতে এবং পণ্যের নকশা, ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। আমরা যদি এই তিনটি স্তম্ভ মজবুত করি, তাহলে ভারতীয় খেলনা বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।” মন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন অনেকে এর প্রভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু আজ আত্মনির্ভর ভারতের (India) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ‘লোকাল গ্লোবাল হতে পারে’ এই বিশ্বাস বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তিনি (Piyush Goyal) বলেন, “সৃজনশীল খেলনার ধারণা নিয়ে আসা স্টার্টআপগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে, যার জেরে এখন ২০ বছরের জন্য জামানতহীন ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।”

  • PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবার পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS Summit)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক। তাই আক্রান্ত ও সমর্থককে একই পাল্লায় বিচার করা যায় না।’’ এই সময় যে দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, তাদের তীব্র ধিক্কার জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “চুপ থেকে জঙ্গিদের সম্মতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছে যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি বলে চালাচ্ছে।”

    মানবতার উপর আঘাত

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয় তা শুধুমাত্র ভারতের উপর নয়, এটি মানবতার উপর আঘাত। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে একটি অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তবে তাকে অবশ্যই এর মূল্য চোকাতে হবে।” আগামী বছরের ব্রিকস সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। তার আগেই ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শান্তির পথই সর্বোত্তম

    ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসন সংস্কার’ শীর্ষক অধিবেশনে, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি ভারতের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi At BRICS Summit)। তিনি মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের শান্তির বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, মানবতার কল্যাণের জন্য শান্তির পথই সর্বোত্তম।” মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা আমাদের সুবিধামতো নয়, বরং নীতিগত অবস্থান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না, তারা প্রকৃতপক্ষে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির প্রায়শই দ্বিচারিতার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলি বর্তমান বিশ্ব কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও এই দেশগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।

    ভারতের সঙ্গে সহমত

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলার দায় গ্রহণ করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ওই হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে তা সামনে আসার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে একটি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে সমহত প্রকাশ করে যৌথ ঘোষণাপত্র ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, যে বা যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের অপরাধী বলেই অ্য়াখ্যা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, যেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদ থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া- সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি আমরা।”

    ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়

    যদিও ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের নাম সরাসরি লেখা হয়নি, কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ, অর্থ জোগান, ও নিরাপদ আশ্রয়ের মতো শব্দগুলি দিয়ে যে ইঙ্গিত কোথায়, তা স্পষ্ট। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্বাস করি। ব্রিকসের এই ঘোষণায় স্বাগত জানানো হয়েছে জোটের ‘কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর চলমান কর্মসূচিকে। রাষ্ট্রসংঘে ‘কমপ্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসের এই সরাসরি এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কূটনীতির এক বড় জয় হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের উপস্থিতিতেই এই সম্মেলনে ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-নীতির সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। চিনের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।

LinkedIn
Share