Tag: বাংলা খবর

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ জুন বিরসা মুন্ডার তিরোধান দিবস (Birsa Munda Death Anniversary)। প্রতিবছর এই দিনটিকে বিরসা মুন্ডা পুণ্যতিথি (Birsa Munda Punyatithi 2025) হিসেবে উদযাপন করা হয় দেশে। ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন বিরসা মুন্ডা। তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, সংস্কৃতি এবং ভূমি রক্ষায়, বিশেষ করে বর্তমান ঝাড়খণ্ডে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল (Birsa Munda Death Anniversary)। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন (Birsa Munda Punyatithi 2025)। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)।

  • Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের দুধের গ্লাস কিংবা সন্ধ্যার জলখাবারের পদ, বাড়ির একরত্তির জন্য তৈরি করা, যেকোনও খাবারেই মিষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে (Children Foods)। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুরা ছোটো থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শর্করা (High Sugar Content) জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। এর ফলে পরবর্তী কালে তাদের নানান রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী বলছে সমীক্ষার তথ্য?

    সম্প্রতি, এক আর্ন্তজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিশুরা নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি শর্করা জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। অধিকাংশ শিশু খাদ্যে (Children Foods) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় উপাদান থাকছে। যার শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থুলতা এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে (Children Health Risks)। স্কুল স্তর পেরনোর আগেই শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন‌ এবং পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ছোটো থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে, দীর্ঘকাল রোগের প্রকোপ শরীরে আরও গভীর ভাবে পড়ছে। কিডনি এবং স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের ডায়বেটিস বাড়তি উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারের (Children Foods) জেরেই আরো বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

    স্থূলতা ভারতীয় শিশুদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।‌ স্কুল স্তর থেকেই অধিকাংশ ভারতীয় শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেহে অতিরিক্ত মেদের জেরে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে নানান হরমোন ঘটিত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (High Sugar Content) খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য শর্করার পাশপাশি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমান প্রয়োজন (Children Foods)। বিশেষত শিশুদের শরীরের বাড়তির এনার্জির জোগান দিতে এবং হাড়, পেশি মজবুত করতে প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সবরকম উপাদানের জোগান ঠিকমতো না হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর খাবারে বাড়তি চিনির ব্যবহার একেবারেই চলবে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মিষ্টি কিংবা চকলেট জাতীয় খাবার প্রায় খাওয়া হয়। তাই নিয়মিত খাবারে বাড়তি মিষ্টি দেওয়া উচিত নয় (Children Foods)। প্রথম থেকেই দুধ বা অন্য যেকোনও খাবারে বাড়তি মিষ্টি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কস কিংবা খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি, ডাল, সব্জি জাতীয় খাবার নিয়মিত মেনুতে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তাতে শরীরে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সরাবরাহ ঠিকমতো হয়। আবার বাড়তি শর্করা যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস (High Sugar Content) বর্জন করতে পারলে শিশুর একাধিক রোগের ঝুঁকি (Children Health Risks) সহজেই কমানো‌ যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তবে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। নিয়মিত চকলেট, আইসক্রিম, লাড্ডু কিংবা কেক জাতীয় খাবার যাতে শিশু না খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি (Children Foods)। কারণ এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫৬ দিন পরে জমা পড়া এই চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ধৃতদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে (Jafrabad Double Murder) অভিযুক্তরা কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, কোথায় এবং কতদিন ধরে তারা আত্মগোপন করেছিল। এসব কিছু তথ্যই বিস্তারিতভাবে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১২ এপ্রিল খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস (Jafrabad Double Murder)

    প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায় মৌলবাদীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদ। সেই অশান্তির মধ্যেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের সময়ে ওড়িশায় কর্মরত বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক গ্রামে ফিরেছিল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের হিংসায় তারাও জড়িয়ে পড়ে। এরপরে ছুটি শেষে ওড়িশায় ফিরে গেলেও তদন্তকারীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি তারা। ওড়িশা থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়

    ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) গঠন করে। খুনে অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের (Murshidabad) বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল চক্রী জিয়াউল শেখকে ধরা হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে (Jafrabad Double Murder)।

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে (Congo) এক নির্মম গণহত্যায় অন্তত ৭০ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় এক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন। নৃশংস বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানায় বিশ্বের সব মহলই। নিহতদের মধ্যে মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও ছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে এনে শরীর থেকে মাথা আলাদা করা হয়।

    মাইবা গ্রামে চালানো হয় এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড (Congo)

    এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মাইবা নামক একটি গ্রামে, যা কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত। নিহতদের প্রত্যেকের হাত পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই গণহত্যার দায় স্বীকার করে উগান্ডার ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন Allied Democratic Forces (ADF)। পুরো অঞ্চলে এই হামলা এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে, বিশেষত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে (Africa)।

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপোর্ট কী বলছে?

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই সংগঠনটি খ্রিস্টানদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে মানবাধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছে।

    ২০২৩ সালের একশোর ওপর হত্যা করে এই জঙ্গি সংগঠন

    উল্লেখ্য, এর আগেও ADF বহু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একশোরও বেশি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা একের পর এক গ্রামে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করছে এবং চার্চসহ ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকা মহাদেশে খ্রীস্টানদের জীবন-জীবিকার সংশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা (Congo)।এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ক্যাথলিক চার্চ এবং এই ঘটনাকে তারা নৃশংস গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে।

  • RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর স্বয়ংসেবকেরা (RSS) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন, কিন্তু তাঁদের কাজ ও চিন্তাভাবনা থাকে অত্যন্ত উচ্চস্তরের। সমাজের বিকাশ এবং উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেন তাঁরা।’’ — এমন কথাই উঠে এল আরএসএস-এর সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্যে।

    সংঘ জীবন নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন ভাগবত

    নাগপুরের শৈক্ষিক সহকারী ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে সংঘ জীবন নামক একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। বইটি লিখেছেন রামচন্দ্র দেবদরে এবং এটি প্রকাশ করেছে নচিকেত প্রকাশন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সংঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS) সর্বদা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে চলেছেন এবং সেই কাজ তারা করে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে ও ধারাবাহিকভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সামুহিক সিদ্ধান্তের ওপরেই জোর দেয় সর্বদা। সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি ও কার্যকলাপের মধ্যেই এর চেতনা প্রতিফলিত হয়।’’

    প্রচারের আড়ালে কাজ করেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)

    তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্বকে আমরা সাধারণভাবে চোখে দেখতে পাই, কিন্তু সেই উৎসর্গীকৃত মানসিকতা সম্পন্ন এবং প্রচারের আড়ালে থাকা অসংখ্য কর্মী যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।’’ ড. ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সামুহিক সংঘর্ষের মাধ্যমেই, কিন্তু সেই সংগ্রামের পেছনে ছিল একটি গভীর চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’’

    বই সম্পর্কে কী বললেন আরএসএস প্রধান (RSS)

    এই বই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রামচন্দ্র দেবদরের অভিজ্ঞতাই এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তিনি তা অত্যন্ত সরল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই বই যা পাঠকদের সহজেই বোধগম্য হবে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বইয়ের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে সেই সকল স্বয়ংসেবকদের (RSS) প্রতি, যাঁরা নিরন্তর ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন সমাজের জন্য।

  • Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মরক্কো (Morocco), যেখানে ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বসবাস করে। সেখানে এ বছরের ঈদ-উল-আযহা বা বকরিদ (Bakrid) উপলক্ষে পশু জবাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং তীব্র খরার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (Morocco)

    সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন পশুর হাট ও বাজার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর প্রশাসনের মতে, দেশে পশু জবাইয়ের কারণে গবাদি পশুর সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে যাচ্ছে তাই এমন সিদ্ধান্ত। সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে সাপ্তাহিক ভেড়ার হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, পশু বিক্রি সংক্রান্ত যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গবাদি পশুগুলিকেও নিয়ে এসেছে। যাতে ঈদে সেগুলো হত্যা না করা হয়। একইসঙ্গে, কিছু এলাকার কসাইখানা সাময়িকভাবে (Morocco) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    মরোক্কোতে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে (Morocco)

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের নাগরিকদের আর্থিক চাপ কমাতে এবং গবাদি পশু সংরক্ষণের জন্য কোরবানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, দেশের সমস্ত নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনিই একমাত্র পশু জবাই করবেন কোরবানিতে। বিগত ছয় বছর ধরে মরক্কো তীব্র খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এর ফলে দেশে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, মরোক্কোতে (Morocco) ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশু জবাই বন্ধ করে সংরক্ষণের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে মরক্কো সরকার (Bakrid)।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ মে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার কামরনগিরছা এলাকায়।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩৬ বছর বয়সি মাসুম হোসেন খুনের হুমকি দিয়ে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাট চালায়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম রাজবংশী। যাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
    জানা গেছে, মাসুম হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক খুন ও ডাকাতির মামলা রয়েছে (Bangladeshi Hindus)। পুলিশ তাকে চান্দ মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

    ঘরে ঢুকে কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১২ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামে যুবদলের নেতা আবুল কাশেম কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    কাশেম ‘জল খাওয়ার’ অজুহাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতন করে। স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে গেলে কাশেম মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ না করতে চাপ দেয় এবং কাশেমের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে। তবে নির্যাতিতার মা অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান, তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়িতে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
    আবুল কাশেম বর্তমানে যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা এবং কমিটিতে রয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় যুবদল নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

    আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা (Bangladeshi Hindus)

    ৯ মে ইবি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ মে রংপুরের রামনাথপুর ইউনিয়নের বদরগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা জোবায়দুল ও তার সহযোগীরা একটি আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা চালায় ও লুটপাট করে।
    ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন একটি শিশু লিচু গাছ থেকে পড়ে যায় এবং জোবায়দুল অপর একটি শিশু অর্জুন রাউতকে একারণে দায়ী করে। এরপর জোবায়দুল ও তার সঙ্গীরা অর্জুনের বাড়িতে ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলঙ্কার লুট করে। পরবর্তীতে অর্জুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

    রংপুরে সোনার দোকানে চুরি (Bangladeshi Hindus)

    ১৪ মে সমকাল-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রংপুর শহরের লক্ষ্মী জুয়েলারি থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচজন মহিলা একটি সোনার বাক্স চুরি করে।
    বাক্সটিতে ১০০ ভরি সোনা ছিল, যার বাজারমূল্য দেড় কোটি টাকা। তারা দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে এবং একজন মহিলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বাক্সটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে দোকানের মালিক সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি শনাক্ত করেন এবং রংপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

    শিব মন্দিরে মাইক বাজানো নিয়ে সংঘর্ষ

    ১৪ মে আজকের পত্রিকা-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাটোরের লালপুর উপজেলার হালদারপাড়ায় একটি শিব মন্দিরে গান বাজানো নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ঘটে।
    ধুপাইল এলাকার এই ঘটনায় দুইজন আহত হন। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু আলি এই ঝামেলার সূত্রপাত করে। ২১ বছর বয়সি অলিউল ইসলামকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    খুলনায় প্রধান শিক্ষক গুলিবিদ্ধ

    ১৫ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার টেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকারের ওপর দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
    সকাল ১০টার দিকে সরদারপাড়া জামে মসজিদের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলি তাঁর বাঁ পায়ে লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে। দিলীপ কুমার সরকার (Hindus Under Attack) সম্প্রতি দুষ্কৃতীদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

    তানোরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১৫ মে জনকণ্ঠ-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রাজশাহীর তানোরে খায়রুল ইসলাম (বয়স ৪৫), একজন আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    খায়রুলের দাদা স্থানীয় বিএনপি নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই সে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
    ১৪ মে রাতে, মহিলার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে জোর করে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের (Hindus Under Attack) হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তানোর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ খায়রুলকে গ্রেফতার করে।

     

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

LinkedIn
Share