Tag: বাংলা খবর

  • PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে ব্যাপকভাবে প্রত্যাঘাত করার পরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণে নয়া দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট হল গোটা পৃথিবীর সামনে। পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং যে তাদের সন্ত্রাস তোষণকে কোনওভাবেই বাঁচাতে পারবে না তাও স্পষ্ট হয়ে উঠল। সোমবারের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাক ভূখণ্ডের এতটা অভ্যন্তরে গিয়ে এই ব্যাপক সামরিক অভিযান স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমন দুঃসাহসিক অভিযান মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারতকেই বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠিত করল। ভারতীয় সেনা সাংবাদিক সম্মেলনে আগেই জানিয়েছে মাত্র ৯০ মিনিটেরও কম সময়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১১টি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয় তারা। দেশের সামরিক ইতিহাসে অত্যন্ত অভূতপূর্ব এই ঘটনা।

    পরমাণু হুমকি ফাঁকা আওয়াজ

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাষণেও উঠে এল সেই নতুন ও শক্তিশালী ভারতের কথাই। অপারেশন সিঁদুরের হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এতেই বোঝা গিয়েছিল ভারত এখন পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেইলকে একেবারেই পাত্তা দেয় না। মোদির ভাষণেও ধরা পড়ল সেই একই কথা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই ব্ল্যাকমেলিং বিগত কয়েক দশক ধরে সফল হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) আমলে তা একেবারেই ভেঙে গিয়েছে। তাদের পরমাণু বোমা যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয় তা প্রমাণিত হয়েছে। ঠিক এই কারণে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে ভারতীয় সেনার গর্জন।

    আগে এমন হুমকি দিয়ে সফল হলেও, মোদি জমানায় বদলাল চিত্র

    বিগত দশকগুলিতেও এদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলেছে। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে এবং সেদেশের প্রত্যক্ষ মদতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হয় এদেশে ২০০৮ সালে মুম্বইতে। ভয়ঙ্কর সেই সন্ত্রাসী হামলায় ১৭১ জন মানুষের মৃত্যু হলেও কোনও রকমের পাল্টা প্রত্যাঘাত থেকে বিরত থাকে মনমোহন সরকার। কারণ ছিল একটাই, পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মোদি (PM Modi) জমানায় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিংকে একেবারে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। অনেকেই তাই বলছেন, পরমাণু ব্ল্যাকমেলিং নয়, পাকিস্তানের এই ফাঁকা আওয়াজ আসলে পরমাণু বোকামি।

  • Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সংকটজনক অবস্থা উঠে আসছে। তা সে আর্থিক সংকট হোক কিংবা সেদেশের অন্দরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু পাকিস্তান বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার মাদ্রাসা (Pakistans Madrasa) শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সে দেশে উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে মাদ্রাসাগুলি সদা ব্যস্ত। সাধারণভাবে মাদ্রাসাগুলিতে হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসাগুলিতেই জন্ম নেয় উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সেদেশের সংদসদে দাঁড়িয়ে জানান, সেনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তান রক্ষা করবে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত।

    জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর! পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সামনে আসে। এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে,পাকিস্তানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে। এই মাদ্রাসাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তকমা দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য সে দেশের দরিদ্র পড়ুয়াদের বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদেরকে খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। গরিব দেশ পাকিস্তানের বেশিরভাগ দরিদ্র পড়ুয়া তাই এভাবেই পাকিস্তানের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাগুলি একটি বিকল্প বিদ্যালয়ের আকার নিয়ে নিয়েছে সেখানে। এই ভাবেই যে সরকারি স্কুল ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। এখানেই গড়ে উঠছে জেহাদি কার্যকলাপ। শিশুমনে বপন করা হচ্ছে মৌলবাদের বীজ। শুধু তাই নয়, জেহাদি হিসেবে নিয়োগ করার অন্যতম কারখানা হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে যারা আসছে তাদেরকে এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে তারা একজন জেহাদি হয়ে উঠছে, সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছে। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলাতে অন্যতম দোষী ছিল আজমল কাসভ। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির হাতে খড়ি হয় মাদ্রাসা থেকেই। তার প্রাথমিক হাতে খড়ি সম্পূর্ণ হয় করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসা।

    সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলির নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে

    সমস্ত মাদ্রাসাকে নিয়ে যে সমস্যা এমনটা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এখান থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা জেহাদি হওয়ার জন্য প্রথম খড়ি নেয়। এই মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামিক ব্যবস্থায় শিক্ষাদান করা হয়। এখানেই শেখানো হয় ভেদাভেদ। সংজ্ঞায়িত করা হয় ইসলামের শিয়া, সুফি, সুন্নি। পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় অমুসলিমদের কাফের কেন বলা হয়। পাকিস্তানের (Pakistan) এই মাদ্রাসাগুলি থেকেই জন্ম নেয় ভারত বিরোধিতা। হিন্দু প্রধান দেশ ভারতবর্ষ তাদের কাছে কাফের। এখানেই জন্ম নেয় জঙ্গি মতাদর্শ। তাই একথা বলাই যায়, মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবা কিংবা জইশ-মহম্মদ অথবা তালিবান- এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর কাছে একটি নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে। রিপোর্ট বলছে, মাদ্রাসাগুলি থেকে জেহাদি তৈরির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব অংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

    অসংখ্য মাদ্রাসা চালায় মাসুদ আজাহার

    মাদ্রাসাগুলিতে (Pakistans Madrasa) ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এরকম অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। যেমন, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহার। এই জঙ্গি নেতা ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা মাসুদ আজহার ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়। পাকিস্তানে বহু মাদ্রাসা মাসুদ আজাহার চালায় বলে জানা যায়। যেগুলি থেকে জঙ্গি তৈরি হয় এবং এগুলিই পাকিস্তানের কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেনা ব্যর্থ হলে মাদ্রাসা ছাত্ররা যুদ্ধ করবে, এমন বয়ানে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলিই জঙ্গি তৈরির আতুঁড়ঘর। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বিবৃতি আদতে পৃথিবীর কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি।

    বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক মাদ্রাসাগুলি

    প্রসঙ্গত, এভাবেই পাকিস্তানের জেহাদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা মাদ্রাসা থেকেই নেয়। আজকের দিনে তাই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানে যেভাবে মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি তৈরি আঁতুড়ঘর করে ফেলেছে, সেই সমস্যা কি শুধু একা পাকিস্তানের নাকি সমগ্র পৃথিবীর? বিশেষত ভারতবর্ষকে একথা গ্রহণ মানতেই হবে যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নয় এটা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার দিকটিও উঠে আসছে। পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি যেভাবে জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন এবিষয়ে ভারতবর্ষের পদক্ষেপ করাও প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ, অঞ্চল ভিত্তিক পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তোলা এবং কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।

  • Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনা ঘাঁটির বিভিন্ন তথ্য ও ছবি তুলে দেওয়ার কারণে পাঞ্জাব (Punjab Police) থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জনকে। জানা গিয়েছে, ওই দুজনের নাম গুজালা এবং ইয়ামিন মহম্মদ। এই দু’জন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ একই অপরাধে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী জানাল পাঞ্জাবের প্রশাসন?

    পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) ডিজিপি গৌরব যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দুই অভিযুক্তের। পাকিস্তান থেকে সেনার বিভিন্ন ছবি ও তথ্যের বিনিময়ে দু’জনকে টাকাও পেমেন্ট করা হত বলে জানা গিয়েছে। মালেরকোটলার এসএসপি গগন অজিত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গুজালাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দ্বিতীয় অভিযুক্ত ইয়ামিন মহম্মদের খোঁজ পায় পুলিশ (Punjab Police)। সেনার এই গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এই দুজনে। এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে কোচিতে গ্রেফতার এক

    অন্যদিকে, কোচির বন্দর পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে সে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের বাসিন্দা মুজিব রহমান কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ নাগাদ ফোন করে এবং জানতে চায় আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান ঠিক কোন জায়গায়! মুজিব রহমান ফোনে জানায়, তার নাম রাঘবন। সে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করছে বলে জানায়। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ফোন কল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে আটক মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে (Ramakrushna Dasmohapatra) ৩০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হল। জগন্নাথ ধাম লেখা থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন দিঘার মন্দিরে উদ্বোধনে হাজির ছিলেন! এই মর্মে তাঁর কাছ লিখিত জবাব চায় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মতো সেবায়ত রামকৃষ্ণ জবাবও দেন বলে জানা গিয়েছে। তবে উত্তরে খুশি নয় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কঠোর পদক্ষেপ করা হল তাঁর বিরুদ্ধে। পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বরখাস্ত হওয়ার ফলে কী কী করতে পারবেন না রামকৃষ্ণ দাস?

    জানা যাচ্ছে, আগামী এক মাস ধরে, রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র (Ramakrushna Dasmohapatra) মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অথবা কোনও পুজো বা সেবায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাদ্দি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেবায়েতের বিরুদ্ধে মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্ত অরবিন্দ পাদ্ধি নিজেই করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুরীর মন্দির প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা চিরাচরিত নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েতকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    সমাজমাধ্যমে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, “দিঘা জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার বিতর্কে অনৈতিকভাবে জড়িত থাকায় দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। পুরীর (Puri) মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ ধামের পবিত্র রীতি-নিয়ম পালনের বিষয়ে তিনিই সব জানান। পরে স্থানীয় প্রশাসন অপপ্রচার শুরু করে। দিঘা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে পুরীর জগন্নাথ ধামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ধর্মীয় ভাবাবেগে রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র আঘাত করেছেন।” এরপর শুভেন্দু লেখেন, “এই দ্বৈতাপতিকে সাসপেন্ড করে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায় এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবে খুশি হবে।”

  • Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা (Pakistani Terrorist)। ধর্ম দেখে বেছে বেছে হত্য়া করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর মধ্যে একজন কাশ্মীরি যুবকও ছিলেন। এরপরেই হুঙ্কার ছাড়ে ভারত সরকার। গত ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে। এয়ার স্ট্রাইকে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয়। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয় ২৪টি জায়গায়। এই অভিযানেই খতম হয় পাকিস্তানের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি-নেতা।

    খতম ৫ কুখ্যাত জঙ্গির পরিচয়

    ১) মুদাসি্সর খাদিয়ান খাস ওরফে মুদাসি্সর ওরফে আবু জুন্দাল

    লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য তথা এই কুখ্যাত জঙ্গি নিহত হয় অপারেশন সিঁদুরে। লস্কর ঘাঁটি মুরিদকে গুঁড়িয়ে দেয় (Operation Sindoor) ভারতের সেনা। জানা গিয়েছে সেই লস্করের ঘাঁটি মারকজ তৈবার ইন-চার্জ ছিল এই মুদাসি্সর। এরই শেষকৃত্যে দেখা গিয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আবদুল রউফ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

    ২) হাফিজ মহম্মদ জামিল

    এই কুখ্যাত জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। এর আরও এক পরিচয় রয়েছে। মৌলানা মাসুদ আজহারের দাদা (Pakistani Terrorist)। বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের যে সদর দফতর ভারত গুঁড়িয়ে দেয় সেই মারকজ শুভান আল্লার ইন-চার্জ ছিল এই হাফিজ। মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে আনা এবং জইশ-ই-মহম্মদের আর্থিক ফান্ড জোগাড় করা তার কাজ ছিল।

    ৩) মহম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ জি ওরফে মহম্মদ সেলিম ওরফে ঘোসি সাহাব

    জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার। জানা যায়, এই কুখ্যাত জঙ্গিও মৌলানা মাসুদ আজহারের নিকটাত্মীয়। জইশের হয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত সে। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলার যুক্ত ছিল (Operation Sindoor) এই কুখ্যাত জঙ্গি। ১৯৯৯ সালে আইসি-৮১৪, কান্দাহার বিমান অপহরণে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার।

    ৪) মহম্মদ হাসান খান

    এই কুখ্যাত জঙ্গি ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। জানা গিয়েছে, এই হাসান খান জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার (পাক অধিকৃত কাশ্মীরের) মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির ছেলে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিযুক্ত ছিল সে। খতম হল অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor)।

    ৫) খালিদ ওরফে আবু আকাশা

    এই জঙ্গি নেতা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় নেপথ্যে (Operation Sindoor) এই খালিদ রয়েছে বলে জানা যায়। আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারেও তার নাম জড়িয়েছে।

  • Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান তা ফের একবার সামনে এসেছিল অপারেশন সিঁদুর-র (Operation Sindoor) পরেই। একটি ছবিতে দেখা যায়, ভারতের প্রত্যাঘাতে বাহাওয়ালপুরে জইশের হেড কোয়ার্টারে নিহত জঙ্গিদের স্যালুট করছে পাক সেনা। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্সে করে জইশ জঙ্গিদের দেহ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান আর্মি কোর অফ মিলিটারি পুলিশ তাদের স্যালুট ঠোকে। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে পাক সেনা অফিসার, পুলিশকে।

    মুরিদকে ক্যাম্পে খতম জঙ্গিদের শ্রদ্ধা পাক সেনা-পুলিশের

    মুরিদকে জঙ্গি ক্যাম্পে খতম হওয়া জঙ্গিদের সার দিয়ে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান সেনার (Pak Army) আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের কফিন বন্দি মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে (Operation Sindoor) পাক সেনাকে। একইসঙ্গে জঙ্গিদের কফিনও মুড়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পতাকায়। এই আবহে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা অফিসারদের নাম সামনে আনল দিল্লি। ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি হাফিজ আবদুল রাউফকে। আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় বিশেষ ভাবে চিহ্নিত তার নাম। ভারতের প্রত্যাঘাতে (Operation Sindoor) এই শিবিরে থাকা তিন শীর্ষ কমান্ডার সহ একাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন শীর্ষ কমান্ডার হল, কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাস্‌সির। তাদেরই শেষকৃত্যের ছবি প্রকাশ করেছে ভারত, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন উচ্চপদস্থ পাক সেনা হাজির ছিল জঙ্গিদের শেষকৃত্যে

    পাক সেনা ও পুলিশ আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করল ভারত সরকার (Operation Sindoor)। উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পদও। সেই তালিকায় রয়েছে-

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়াজ হোসেন শাহ, লাহোরের চতুর্থ কোরের কমান্ডার।

    লাহোরের ১১তম পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ

    ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির

    পাঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল ডঃ উসমান আনোয়ার

    মালিক সোহাইব আহমেদ ভের্থ, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।

    আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা দাবি করে আসছে তারা কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় না বা মদত দেয় না, তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ছবি অনুসারে, অনেক পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টি আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি নিহত জঙ্গিদের কফিনের পিছনে প্রার্থনারত পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উর্দি পরিহিত একটি ছবি তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন যে, এই ছবিটি (Operation Sindoor) কী বার্তা দেয়।

  • Buddha Purnima: ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার তিনি! আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ জয়ন্তী

    Buddha Purnima: ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার তিনি! আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ জয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) বৌদ্ধ ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্রতম উৎসব। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, এই পবিত্র দিনেই গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এই দিনেই বোধিবৃক্ষের নীচে তিনি জ্ঞান লাভ করেছিলেন, যাকে বলা হয় বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি। গৌতম বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার মানা হয়।

    এবছরের বুদ্ধপূর্ণিমার শুভ তিথি (Buddha Purnima 2025)

    রবিবার ১১ মে সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে। আর তিথি শেষ হবে সোমবার ১২ মে সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিটে। অনেকেই এই দিনটিকে বুদ্ধ জয়ন্তী হিসাবে পালন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালকে হিন্দুশাস্ত্রমতে বিশেষ কিছু আচারপালনের মাধ্যমে পালন করা হয়।

    নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ

    হিন্দু ধর্মের মতে অবশ্য গৌতম বুদ্ধ হলেন শ্রী বিষ্ণুর নবম অবতার। এই বিশেষ তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী পালন করা হয় সারা বিশ্ব জুড়ে। এই দিনে ভারতে সরকারিভাবে ছুটি থাকে। সারাদেশ জুড়ে উৎসব পালিত হয় বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরে। ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, তাইল্যান্ড, মায়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় উৎসব পালিত হয়। এই দিন (Buddha Purnima 2025) গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা ও বাণী স্মরণ করেন বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ভগবান বুদ্ধকে পূজা করা ছাড়াও অধিকাংশ বৌদ্ধ ভিক্ষুক ধ্যানে লিপ্ত থাকেন। পঞ্চাঙ্গ (বা পাঁজি) অনুসারে, কবে বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) পালিত হয় এবং এই দিনের শুভ সময়, তাৎপর্য ও পুজোর নিয়ম জানেন না অনেকেই। অবশ্য অনেক হিন্দু ও বাঙালির বাড়িতে লক্ষ্মী নারায়ণ পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে।

    কীভাবে দিনটি পালন করা হয়

    বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সব জায়গা পরিষ্কার করে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হবে। এরপর স্নান সেরে পরিষ্কার বা নতুন পোশাক পরতে পারেন। এদিন গঙ্গা স্নান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এরপর একটি মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির সর্বত্র ঘুরিয়ে আনতে পারেন। বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে হলুদ, লাল সিঁদুর বা রঙ ব্যবহার করে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন। বোধি গাছের কাছে দুধ ঢেলে বুদ্ধের বাণী ও শিক্ষাকে স্মরণ করতে পারেন। দানকর্মেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এদিন। বস্ত্র ও খাদ্য বিলি করলে পূণ্যলাভ করতে পারেন আপনি (Buddha Purnima)।

    ইতিহাস

    ভগবান বুদ্ধ বা গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম রাজা শুদ্ধোধন এবং মাতা ছিলেন মায়াদেবী। জন্মের পর তাঁর নাম ছিল সিদ্ধার্থ গৌতম। তাঁর জন্মের পরে একজন সাধু তাঁকে দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন। রাজকুমার নিজেকে পার্থিব বাসনা এবং বস্তুবাদী বন্ধন থেকে দূরে রাখবেন।

    কথিত আছে, উনত্রিশ বছর বয়সে রাজকুমার সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে কয়েকবার ভ্রমণে বেরোলে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, একজন অসুস্থ মানুষ, একজন মৃত মানুষ ও একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। এই দৃশ্যগুলি দেখে সিদ্ধার্থ তাঁর রাজজীবন ত্যাগ করে একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধার্থ এক রাত্রে তাঁর পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে রাজ প্রাসাদ ত্যাগ করেন। এরপর তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটেন এবং শীঘ্রই তিনি বিহারের বুদ্ধগয়াতে বোধি গাছের নীচে সত্য জ্ঞান অর্জন করেন।

    বুদ্ধ পূর্ণিমা কী ?

    দুনিয়াজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দুরা গৌতম বুদ্ধের জন্ম বুদ্ধ জয়ন্তী হিসাবে উদযাপন করে। ৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দে নেপালের লুম্বিনিতে পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধের রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম হিসাবে জন্ম হয়েছিল। সুতরাং, তাঁর জন্মবার্ষিকীর দিনটি বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধজয়ন্তী বা ভেসাক নামেও পরিচিত। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, জাভা, ইন্দোনেশিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়ায় উৎসবের মধ্য দিয়ে বুদ্ধজয়ন্তীর বিশেষ দিনটিকে ‘ভেসাক’ উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।

    বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব

    বৈশাখী পূর্ণিমার তিথিতে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে শ্রী শ্রী বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এদিন ধর্মরাজের পুজো করারও রীতি বেশ প্রচলিত আছে। সত্যবিনায়ক ব্রত করলে ধর্মরাজ প্রসন্ন হন। ধর্মরাজ যম হল মৃত্যুর দেবতা। তাই যমকে প্রসন্ন করলে অকাল মৃত্যুর যে ভয়, তার থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সাধারণত পূর্ণিমার দিনে তিল ও চিনির দান শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে অজান্তে হওয়া পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

  • Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, সময় এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয়। সেখানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘যতক্ষণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে দমন না করতে পারব, ততক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না। সময় এসে গিয়েছে। আমাদের একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে জোট হতে হবে। সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় তাদের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে কুকুরের লেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, এই লেজ কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে নামে মোদি সরকার। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এই আবহে রবিবার সকালেই অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে বলে জানিয়ে দেয় বায়ুসেনা। তারা জানিয়েছে, জাতীয় উদ্দেশ্যপূরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোপনীয়তার সঙ্গে অপারেশন চলছে। বেছে বেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।প্রসঙ্গত, শনিবার সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে লাগাতার হামলা চালায় পাক-বাহিনী। এর পরেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছে সেনা।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) যে থামেনি রবিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত।

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, গত ৭ মে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে নয় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই হামলার পরে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। পাকিস্তান গুলি চালালে (Operation Sindoor) ভারত পাল্টা আরও জোরালো হামলা চালাবে।

    অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি

    সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘‘এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।’’

    সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে

    এছাড়াও, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে, এই দুটো একসঙ্গে চলবে না। অর্থাৎ এটা একদম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনেই চলছে। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

LinkedIn
Share