Tag: বাংলা খবর

  • Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো খেতে বসা কিংবা ঘুমোনোর জন্যও হয়রানি হচ্ছে। মনোযোগের অভাবে সাধারণ জিনিসেও ভুল হচ্ছে। আবার মনের মতো কিছু না হলেই বিপত্তি! পরিবারের একরত্তি সদস্যের মারাত্মক জেদ আর খিটখিটে‌ মেজাজ সামলাতে অনেক বাবা-মা হিমশিম খাচ্ছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের এই মেজাজ হারানোর সমস্যায় অধিকাংশ অভিভাবক নাজেহাল। অতিরিক্ত জেদ এবং খিটখিটে মেজাজের জন্য অনেক সময়েই তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এমন অনেক আচরণ তারা করছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ফলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে বারো বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অনেক সময় এর থেকেও কম বয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

    কেন সন্তান জেদি এবং খিটখিটে হয়ে উঠছে?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যেকোনও সামান্য বিষয়েও মারাত্মক জেদ করলে কিংবা দিনের অধিকাংশ সময়ে খুব খিটখিটে মেজাজে থাকলে তার প্রতি বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানের লাগাতার জেদ আর খিটখিটে স্বভাবের জন‌্য অভিভাবকেরা তাকে অতিরিক্ত শাসন করেন‌। এর ফল হয় উল্টো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তিবোধ শিশুকে খিটখিটে স্বভাবের করে তুলতে পারে। এর ফলেই তৈরি হয় একগুঁয়ে আর জেদি মনোভাব। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু খুব কম বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় তারা তালিম নেয়। অর্থাৎ, দিনের অধিকাংশ সময় নানান প্রশিক্ষণের মধ্যেই কাটে। একটা মানসিক চাপ সব সময় কাজ করে। এর ফলে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে থাকে। তার উপরে যেকোনও বিষয় নিয়ে আরো বাড়তি চাপ দিলে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনের কতটা সময় স্ক্রিন টাইম কাটায় সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বাড়িতেই বিনোদন হিসাবে সন্তানের হাতে‌ মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়‌। কিন্তু মোবাইল কখনোই শিশুর অবসর যাপনের মাধ্যম হতে পারে না। এতে মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ তৈরি করে। চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন একাধিক বিষয় শিশু মোবাইল থেকে শেখে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর তার থেকেই তৈরি হয় খিটেখিটে স্বভাব।

    তবে সন্তানের অতিরিক্ত জেদের কারণ একাকিত্ব বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হচ্ছে। তাই ভাগ করে নেওয়া, অপেক্ষা করা কিংবা অন্যকে ভালো বলার মতো স্বাভাবিক গুণ ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ পরিবারে বাবা এবং মা দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই শিশু দিনের একটা বড় অংশ মা-বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। এর ফলে তাদের মধ্যে একটা একাকিত্ব গ্রাস করে। আবার নানান সামাজিক বিনিময় ও ঠিকমতো হয় না। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের আচরণে পড়ে।

    কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর খুব সামান্য জিনিস নিয়ে জেদ করা কিংবা পরিবারের যেকোনও সদস্যের সঙ্গে আচরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে না।‌ তবে কখনোই অতিরিক্ত বকাবকি চলবে না। তাঁদের পরামর্শ, শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে। নিজের মতো কিছুটা সময় খেলাধুলা করা জরুরি। এতে সারাদিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমে। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়ার পাশপাশি যাতে শিশুর খেলার সময় থাকে, সেটা সন্তানের দৈনন্দিন রুটিন তৈরির সময় অবশ্যই নজর দিতে হবে।

    পাশাপাশি শিশুর বিশ্রামের দিকে নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বিশ্রামে ঘাটতি হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। রাগ, জেদ বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। আর তার ফলেই এই মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সন্তান নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হবে। ক্লান্তি কমবে। মানসিক অস্থিরতাও থাকবে না।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিনোদন মানে কখনোই স্ক্রিন টাইম নয়। সন্তানকে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, সাইকেল চালানো, রঙ করা কিংবা গল্পের বই পড়ার মতো বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভ্যাসে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। মস্তিষ্কে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয় না। বরং মানসিক চাপ কমে।

    পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি। তাই ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে দাবা, লুডো খেলা কিংবা একসঙ্গে মাঠে যাওয়া অথবা গান শোনার জন্য সময় বরাদ্দ জরুরি। এতে সন্তানের মনে কি চলছে সে সম্পর্কে সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। আবার অনেক আচরণ সম্পর্কে তাদের সহজেই শেখানো‌ যায়। এতে জটিলতা কমে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী দল বিজেপির নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুমন বিশ্বাসের আটককে ‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’ বলে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসলে দুর্নীতিগ্রস্তদের পক্ষে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরকম নির্লজ্জ এবং দু’কানকাটা সরকার এবং প্রশাসন আমরা আগে কোনও দিনও দেখিনি। যেভাবে এই ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের লোভের জন্য, লালসার জন্য। এদের উচিত ছিল মাথা নিচু করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এই যে একের পর এক শিক্ষকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, একজন আদিবাসী শিক্ষকের মৃত্যু ঘটল, আমার মনে হয় এটা মার্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক মার্ডার। সেই ভদ্রলোকের জীবন যাওয়ার পরেও যখন যোগ্য শিক্ষকরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য যখন আন্দোলনে নেমেছেন, সেই গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে যেভাবে এই সরকার দমন-পীড়ন করছে, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনকে এভাবে দমন-পীড়ন করা হত। স্বাধীনোত্তর ভারতে এ ধরনের দমন-পীড়ন আমরা দেখিনি।”

    ভোরেই সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ

    প্রসঙ্গত, এদিনই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। অভিযানের শুরু হওয়ার আগেই আটক করা হয় চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে (Suman Biswas)—এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আজ ভোরেই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাসের ব্যান্ডেলের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তাঁর পরিবার বলছে, ‘ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়,’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলেছে সুমনের পরিবার “চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাসের ভাই

    সুমন বিশ্বাসের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “দাদার এক বন্ধু ফোন করলেন। আদিসপ্তগ্রামে বাড়ি। তাঁর সঙ্গে হয়ত দেখা করে কলকাতা যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করেছিলেন। তিনি হয়ত যেতে দেননি। সে ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না। কারণ, কাল রাতের পর আর ফোন হয়নি দাদার সঙ্গে। এখন এই মুহূর্তে খবর পেলাম, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে দাদা হয়ত আন্দোলনের জন্য যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরবে বলে। তখন এসে ধরল। যখন ধরছে দাদাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। সুমন বিশ্বাসকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। যখন জিজ্ঞাসা করছে, আপনার কোন থানা থেকে? কোনও সদুত্তর না দিয়ে তুলে নিয়ে চলে গেল। এবার কোন থানায় গেছে, আমার দাদার বন্ধু এখন বিভিন্ন থানায় বাইক নিয়ে ঘুরছে, কোন থানায় নিয়ে গেল। আমরা কি করব? ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়াটা কি তাঁর অপরাধ? আমরা কার কাছে যাব? এই সরকারের কর্মচারী হয়ে যদি এই সরকারের কাছে ধর্ষিত হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাস (Suman Biswas)?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হয়েছে ২০১৬-এর এসএসসির গোটা প্য়ানেল! চাকরি হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন যোগ্য শিক্ষকরাও। এই আবহেই যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সোমবার ১৭ অগাস্ট এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ। সুমন বিশ্বাস বলছেন, “বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে কারা নাকি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে চায়। এই ধরনের কোনও বক্তব্য়ের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এসএসি ভবন অভিযান হবেই। শেষ সময় পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙেচুরে তুবড়ে দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা করছে কি না সেটা সময় বলবে।” শুধু সুমন বিশ্বাসই নন, এসএসসি অভিযানে যোগ দিতে আসা আরও দুই চাকরিহারাকেও করুণাময়ী থেকে আটক করেছে পুলিশ। চাকরিহারাদের একের পর এক আটক ও গ্রেফতারের ঘটনায় আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—সোমবার আন্দোলন স্থগিত থাকলেও তাঁরা নিজেদের দাবি থেকে এক ইঞ্চিও সরবেন না।

  • West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হওয়ার পথে নিম্নচাপ। তেমনটা হলে, সেক্ষেত্রে গত ৩০ দিনে এই নিয়ে সাতটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। ফলত বেশ কিছু জেলায় আগামী কয়েকদিন তেড়ে বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্যও রয়েছে সতর্কতা।

    কোথায় রয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল?

    আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার ফলে রবিবার নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। আবহবিদরা জানান, ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে এবং শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট দুপুরে এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে। মূলত দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব বেশি থাকবে। ফলে, প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। তবে, পরোক্ষ প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।

    কী বলছে দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস?

    আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি কলকাতায়। আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের জেলার কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    উত্তরের আবহাওয়া থাকবে কেমন?

    অন্যদিকে, সোমবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে উত্তরে। ফের বৃহস্পতিবারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

  • Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং নিয়মিত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সক্রিয় থাকা এবং সুস্থ থাকা জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমানায় আর রোগের ভোগান্তি আটকে থাকছে না। খুব কম বয়সিদের মধ্যেও কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, কিংবা হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়ায় মতো নানান সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায় কিডনিতে পাথর! তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিতে পাথর জমা এমন একটা সমস্যা, যা বারবার ফিরে আসতে পারে। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে ওঠে। খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। কিডনি দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর ফলে শরীরে তার গভীর প্রভাব পড়ছে।

    কেন কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনি হল দেহের ছাঁকনি! অর্থাৎ,শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ কিডনিতে গিয়ে জমা হয়। মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীরে থেকে সেই দূষিত পদার্থ নিষ্কাশন হয়ে যায়। কিন্তু এই নিষ্কাশন ঠিকমতো না হলেই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিডের মতো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় উপাদান এবং দূষিত পদার্থ জমে এই পাথর তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপনের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলে শরীরে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষত কিডনিকে সক্রিয় এবং সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান না। এর ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ ঠিকমতো নিষ্কাশন হয় না। ফলে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমবে।

    অক্সালেট জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি!

    কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো সমস্যা এড়াতে খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমায়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত টাটকা সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, আয়রন এবং খনিজ পদার্থের জোগান থাকে‌। এর ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হতে পারে না। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে লবন, চিনি, বাদাম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। কারণ এগুলো কিডনিতে বাড়তি অক্সালেট জমতে সাহায্য করে‌। পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজার মতো রাসায়নিক পদার্থ মেশানো প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাই কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    দেহের ওজন নিয়ে বাড়তি সজাগ!

    দেহের ওজন বাড়লে যেমন সতর্কতা জরুরি, তেমনি অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে দেহের ওজন কমাতে গেলেও বিপদ ঘটতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিংবা দ্রুত ওজন ঝরালে কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা কিডনি কিংবা হৃদপিণ্ডের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। আবার খুব দ্রুত ওজন কমালেও কিডনির উপরে চাপ পড়ে। কারণ এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরে হরমোনের মারাত্মক হেরফের হয়। তাই কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে‌ এবং শরীর চর্চা করলে স্থুলতা এড়ানো সম্ভব। আবার যদি কোনও কারণে শরীরের ওজন অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেড়ে যায়, তাহলে তাড়াহুড়ো নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ভাবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেই সেই ওজন ঝরানো জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগ এড়ানো সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যবাসীকে এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ দিচ্ছে মোদি সরকার (PM Modi)। এমাসেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি, তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ওই দিনই তিনি পরিবর্তন সংকল্প সভাতেও বক্তব্য রাখবেন।

    কোন কোন পথে ছুটবে নতুন মেট্রো?

    রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল:

    শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড (West Bengal)

    বেলেঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন (West Bengal)

    ২২ অগাস্টের একই অনুষ্ঠানে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রো পরিষেবা নিতে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে তৈরি এই সাবওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাজমাধ্যমে এই খবর ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। এই উদ্যোগকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন (PM Modi)। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটেই পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১৩,৯৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে রাজ্যে রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৮৩,৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে।

    ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রূপে পুনর্নির্মাণ

    ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেন চালু

    পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প

    আরও বিস্তৃত হচ্ছে কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্ক

    এই নতুন তিনটি রুট চালুর মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে হিন্দু মন্দির ও দেবদেবীর বিশাল মূর্তি নির্মিত হয়েছে। এসব মূর্তি ও মন্দির শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (Sanatan Dharma)। প্রতিটি মন্দির ও মূর্তির নকশা সেখানে হিন্দু সংস্কৃতি ও প্রাসঙ্গিক পৌরাণিক আখ্যানকে ধারণ করে তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আলোচিত হল ভারতের বাইরে নির্মিত ১১টি বিশাল হিন্দু দেব মূর্তি নিয়ে।

    ১. কানাডায় ৫১ ফুট প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তি (২০২৫)

    ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট কানাডার হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ৫১ ফুট উচ্চতার প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় রামের মূর্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১০,০০০-এর বেশি ভক্ত (Sanatan Dharma)।

    ২. টেক্সাস, আমেরিকায় ৯০ ফুট হনুমান মূর্তি (২০২৪)

    ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আমেরিকার টেক্সাসের সুগারল্যান্ডে অবস্থিত অস্ত্রাক্ষী মন্দিরে ৯০ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তির উদ্বোধন হয়। এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন শ্রী চিন্না জেয়ার স্বামীজি।

    ৩. ইন্দোনেশিয়ায় ১২১ মিটার গরুড় মূর্তি (২০১৮)

    ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গরুড়ের ১২১ মিটার দীর্ঘ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মূর্তি। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে গরুড়কে (Sanatan Dharma) ভগবান বিষ্ণুর বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    ৪. মরিশাসে ১০৮ ফুট দুর্গা মূর্তি (২০১৭)

    ২০১৭ সালে মরিশাসে উদ্বোধন করা হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্গা মূর্তি। এই মূর্তির উচ্চতা ১০৮ ফুট, যা হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যাও বটে।

    ৫. থাইল্যান্ডে ৩৯ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১২)

    ২০১২ সালে থাইল্যান্ডে স্থাপন করা হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণেশ মূর্তি, যার উচ্চতা ৩৯ মিটার।

    ৬. ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৪৬ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১১)

    ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার তামান সাফারি বালিতে ৪৬ মিটার উচ্চতার গণেশ মূর্তির উদ্বোধন হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় গণেশ প্রতিমা।

    ৭. নেপালে ৪৪ মিটার কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তি (২০১০)

    ২০১০ সালের ২১ জুন নেপালের সাঙ্গায় কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। ৪৪ মিটার উচ্চতার এই মূর্তিটি বিশ্বের বৃহত্তম শিব মূর্তিগুলোর একটি।

    ৮. মরিশাসে ১০৮ ফুট মঙ্গল মহাদেব (২০০৭)

    ২০০৭ সালে মরিশাসে গঙ্গা তালাও এলাকায় স্থাপন করা হয় ১০৮ ফুট উচ্চতার মঙ্গল মহাদেব মূর্তি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।

    ৯. মালয়েশিয়ায় ৪২.৭ মিটার মুরুগান মূর্তি (২০০৬)

    ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরের বাতু কেভসে উদ্বোধন করা হয় ৪২.৭ মিটার উচ্চতার ভগবান মুরুগানের মূর্তি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরুগান মূর্তি।

    ১০. সুইজারল্যান্ডে ২ মিটার ব্রোঞ্জ নির্মিত নটরাজ মূর্তি (২০০৪)

    ২০০৪ সালের ১৮ জুন সুইজারল্যান্ডে উদ্বোধন করা হয় ২ মিটার উচ্চতার ব্রোঞ্জের নটরাজ মূর্তি।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ৮৫ ফুট হনুমান মূর্তি (২০০৩)

    ২০০৩ সালের ৯ জুন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর দরাত্রেয় মন্দিরে উদ্বোধন করা হয় ৮৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তি। এটি ভারতের বাইরে সবচেয়ে বড় হনুমান মূর্তিগুলোর একটি (Statues)। এই মূর্তিগুলো শুধু ধর্মীয় ভক্তির নিদর্শন নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি স্থাপনাই হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস, ও কল্পচিত্রের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

  • PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং যানজট ও বায়ুদূষণ হ্রাস করতে তৈরি হওয়া দুটি বৃহৎ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার, উদ্বোধনের আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং অংশ নেন একটি রোড শো-তে।

    দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, ব্যয় ৫,৩৬০ কোটি টাকা

    এ দিন প্রধানমন্ত্রী দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে (দিল্লি অংশ) এবং UER-II করিডর-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১০.১ কিলোমিটার, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৩৬০ কোটি টাকা। ভাষণে মোদি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ের নাম দ্বারকা, অনুষ্ঠান হচ্ছে রোহিণীতে। আর চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে জন্মাষ্টমীর আনন্দ।”

    UER-II করিডরের মাধ্যমে দুই হাইওয়ের সংযোগ

    প্রায় ৫,৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি UER-II করিডর এখন থেকে এনএইচ-৪৪ এবং এনএইচ-৪৮ হাইওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই সংযোগ ব্যবস্থার ফলে রাজধানী দিল্লির মধ্যে যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরো দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থাও আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে (PM Modi)।

    ২ ঘণ্টার পথ এখন মাত্র ৪০ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী জানান (PM Modi), আগে সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগত। নতুন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এখন এই পথ মাত্র ৪০ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাও অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।

    দূষণ কমানোর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ

    মোদি (PM Modi) দাবি করেন, দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ রোধেও এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যানজট কমার ফলে গাড়ির ইঞ্জিন সচল থাকার সময় কমবে, যা সরাসরি দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে।

    ৫০ হাজার কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্পের অংশ

    এই দুটি ফ্লাইওভার, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চলের যানজট কমাতে গৃহীত ৫০ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই মেগা প্রকল্পে আরও বহু রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে ও করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

  • Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটাই জানা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখোয়া

    সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজ জোরকদমে চলছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গম এলাকা থেকেও মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তাতে পাঁচজন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ও গিলগিট-বালতিস্তানে প্রাণহানি

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে নয় জন এবং উত্তরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

    দুর্যোগপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত

    পাকিস্তান সরকারের (Pakistan) তরফে জানানো হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একজন বন্যা থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম, যেন পুরো পাহাড়টা ধসে পড়ছে। আমি ছুটে বাইরে বেরিয়ে দেখি, পুরো এলাকা কাঁপছে। মনে হচ্ছিল পৃথিবীর শেষ সময় এসে গেছে।”

    জম্মু ও কাশ্মীরেও হড়পা বান, নিহত ৬০

    অন্যদিকে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে একই রকম দুর্যোগ। শুক্রবার হঠাৎ হড়পা বানের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

    বর্ষাকালেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি

    উল্লেখযোগ্য যে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই সময় দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় (Flood)। জম্মু-কাশ্মীর সহ পাহাড়ি এলাকাগুলিতে এই সময় ভূমিধস এবং হড়পা বান নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে দেশটির অর্ধেক জনগণ বাস করে, সেখানে এই বছর গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভূমিধস, বন্যা এবং রেকর্ড সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

  • Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চরমে উঠেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজ্যে সম্প্রতি জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করতেই বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক পদত্যাগ শুরু করেন কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। ৭১ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয় ব্যাপক অসন্তোষ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোপাল, ইন্দোর, উজ্জয়িন, বুরহানপুর—প্রায় সর্বত্র দেখা যায় বিক্ষোভ।

    বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে (Madhya Pradesh)

    এই তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও নেতাদের কুশপুতুলিকা দাহও করা হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Congress) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের পুত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী জয়বর্ধন সিংয়ের সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ঋতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর কুশপুতুলিকা দাহ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। অভিযোগ ছিল, ঋতু পাটোয়ারি জয়বর্ধন সিংয়ের মর্যাদায় আঘাত করেছেন।

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ (Madhya Pradesh)

    ভোপালে জেলা সভাপতি হিসেবে (Madhya Pradesh) প্রবীর সাক্সেনার নাম ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মনোজ কেনা প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন এবং দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন। ইন্দোরের নতুন শহর সভাপতি হিসেবে চিন্টু চৌক্সির নাম ঘোষণার পরেও শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। এর ফলে বর্তমান জেলা সভাপতি বিপিন ওয়ানখেরকে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়। উজ্জয়িনেও দেখা দেয় অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সেখানে মহেশ পারমারের নাম জেলা সভাপতি হিসেবে ঘোষণার পর, অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামে। উজ্জয়িনীর জেলার মুখপাত্র ও রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েত সেলের সভাপতি হেমন্ত পাতিল এরপর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

    তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন

    কংগ্রেস যে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে (Madhya Pradesh), সেখানে দেখা যাচ্ছে ২১ জনকে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন তালিকায় মোট ৩৭ জনকে সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন সাধারণ শ্রেণির প্রতিনিধি, ১২ জন ওবিসি, ১০ জন এসটি, ৮ জন এসসি, ৪ জন মহিলা এবং ৩ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। এছাড়া জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বর্তমান বিধায়ক, ৮ জন প্রাক্তন বিধায়ক এবং ৩ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। এইসব সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতে, তৃণমূলের যোগ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে এবং কেবলমাত্র প্রভাবশালী ও পদাধিকারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share