Tag: বাংলা খবর

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

  • Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম মালিকাধীন দোকানগুলি থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ (Digha Jagannath Temple)। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মমতা সরকার রেশন ডিলারদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ১ নম্বর ব্লকের একটি লিস্ট সামনে এসেছে, যেখানে চারটি দোকানদারকে গজা এবং প্যারা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভগবান জগন্নাথের চিরাচরিত প্রসাদ হল এই গজা এবং প্যারা। এই চারটি দোকানের মধ্যে তিনজনের মালিক মুসলমান। এভাবেই মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে অনেক মহল। অনেকেই সমালোচনার সুরে বলছেন—সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ধরা পড়ছে সংখ্যালঘু তোষণ এবং সরকার এই সংখ্যালঘু তোষণটাও করছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Digha Jagannath Temple)?

    ভারতীয় জনতা পার্টির আইটিসেলের প্রধান অমিত মালব্য এ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে। সেখানে অমিত মালব্য লিখছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত দিয়ে মিষ্টির দোকান এবং রেশন ডিলারদেরকে গজা ও প্যারা প্রসাদ আকারে প্রস্তুত করে বিতরণ করতে বলছেন যাদের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এভাবেই তোষণের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন বলে অভিযোগ আনেন অমিত মালব্য। তিনি পুরীর জগন্নাথ ধামের সঙ্গে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনাও টানেন। বিজেপি নেতা বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ, যা একটি পুরনো প্রথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই প্রথা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে হিন্দু প্রথা মানা হচ্ছে না, হিন্দু রীতি মানা হচ্ছে না (Digha Jagannath Temple)। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে পর্দার আড়ালে রাখা হচ্ছে।

    কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ। বিরোধী দলনেতা বলেন, প্রথমত বেআইনিভাবে ওবিসি তালিকা তৈরি করে মুসলিম ভোট নিজের দিকে আনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের পবিত্র রীতিতে আঘাত হানছেন তিনি। এটা কোনও বৈচিত্র্য নয় এটা হচ্ছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে স্থানীয় হিন্দু দোকানদার আছেন যাঁরা চিরাচরিতভাবে মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করেন, তাঁদের বাদ দিয়ে মুসলিমদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিজের ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা। এটা হচ্ছে তোষণের দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু রীতিকে (Digha Jagannath Temple) ভেঙেছেন তিনি শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    প্রসাদ তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে মুর্শিদাবাদ থেকে দীঘা পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের নেতারা এবং ভক্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীঘার এক স্থানীয় পণ্ডিত বলেন, এটা শুধুমাত্র খাদ্যের বিষয় নয়। নৈবেদ্য, যা ভগবানের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়, তা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে তৈরি করা হয়। যাঁরা এটি তৈরি করেন ভক্তির সঙ্গে করেন। প্রসাদ একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁরা যদি পবিত্র রীতিতে বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে সেই প্রসাদের পবিত্রতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে (Digha Jagannath Temple)।

    কী বলছেন ভক্তরা (Digha Jagannath Temple)

    এই অঞ্চলের ভক্তরা মনে করছেন এইভাবেই পবিত্র ধর্মীয় রীতিনীতি এবং ধর্ম পালনকে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার রানি নগরের একজন স্থানীয় বাসিন্দা এই ঘটনায় অবাক হয়ে বলেন, যেখানে একটি মন্দির তৈরি হচ্ছে বৈষ্ণব প্রথা মেনে, সেখানকার প্রসাদ কিভাবে এভাবে তৈরি হতে পারে?
    আরেকজন বলেন, হিন্দুরা কি কোনও মসজিদের রীতিনীতি ঠিক করে? তাহলে কেন হিন্দুদের প্রসাদে সরকার হস্তক্ষেপ করছে এবং তার বাণিজ্যিকীকরণ করছে এভাবে? বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছে— দুর্গা মূর্তি বিসর্জন বাধা পায় পশ্চিমবঙ্গে, রামনবমী শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয় অথচ ইফতার করা হয় সরকারি সহযোগিতায়, মাদ্রাসাগুলিকে ফান্ডিং করা হয়।

    গত এপ্রিলেই উদ্বোধন করেন মমতা

    জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি এমন ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে হিন্দু ধর্মের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি, রুট বদল করা হয়েছে, অথবা তা করতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায়। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি, বরং তারা রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় জগন্নাথ মন্দিরকে (Jagannath Temple) একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই কেন্দ্রকেই ঘিরে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘুতোষণের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

  • Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সাইবার জগতে তীব্র চাঞ্চল্য। সামনে এল ইতিহাসের বড় তথ্য চুরির ঘটনা (Mega Data Breach)। সাইবার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ১৬ বিলিয়ন (১৬০০ কোটি) লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। ফাঁস হওয়া এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি সংস্থা গুলোর অ্যাক্সেস ক্রেডেনশিয়াল, যার প্রভাব পড়তে পারে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ওপর।

    কী বলছে ফোর্বস পত্রিকা (Mega Data Breach)

    ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই তথ্যে অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবার লগইন ও পাসওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করছেন, এই ঘটনার ফলে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়ে যেতে পারে।

    ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডসহ অরক্ষিত ডেটাবেস (Mega Data Breach)

    একটি অসুরক্ষিত ওয়েব সার্ভারে পাওয়া গিয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডের এক রহস্যময় ডেটাবেস। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গবেষকরা এখনও পর্যন্ত ৩০টি পৃথক ডেটাসেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেগুলোর প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড রয়েছে। এসব ডেটায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামাজিক মাধ্যম, ভিপিএন, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস তথ্য।

    শুধু তথ্য ফাঁস নয়, সাইবার অপরাধের ব্লুপ্রিন্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল একটি ‘ডেটা ব্রিচ’ (Mega Data Breach) নয় বরং একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের নীল নকশা। পূর্ববর্তী ফাঁস হওয়া তথ্য নয়, বরং এটি একেবারে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য তথ্য। যা ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই তথ্য ব্যবহার করে চালানো হতে পারে অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক এবং ব্যবসায়িক ইমেল কম্প্রোমাইজ। এই প্রসঙ্গে কিপার সিকিউরিটির সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড্যারেন গুসিওন জানিয়েছেন, এই ডেটা বহু অনলাইন পরিষেবার মূল অ্যাক্সেস তথ্য ধারণ করে, যার ফলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য।

    পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে বলছে গুগল (Google)

    গুগল (Google) এই ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনার কারণেই ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মত পুরনো সাইন-ইন পদ্ধতি থেকে সরে আসতে বলছে। এর পরিবর্তে জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল। ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণের জন্য গুগল তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে পাসকি এবং সোশ্যাল সাইন-ইনে আপগ্রেড করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। গুগলের (Google) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত করে এবং জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসেই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার (SSC) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা সরকার। শুক্রবার এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সামনে এল। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিনই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে এ বিষয়ে। রাজ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন মামলাকারীরা।

    গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যেই রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মাসেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মমতা সরকার। তবে শুক্রবার তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আগের শুনানিতেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    প্রসঙ্গত, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় (Calcutta High Court)। যারা মামলা করেন, তারা হাইকোর্টে জানান যে, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করা হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হল? বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেছিলেন, তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মামলার শুনানি শেষ হয়, কিন্তু সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই শুক্রবার তিনি রায় ঘোষণা করলেন এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

  • Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) হানায় কাঁপছে ইরান। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইরানের হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে। এই হেভি ওয়াটার, যার বিজ্ঞানের ভাষায় নাম হল ডিউটেরিয়াম অক্সাইড (D2O), সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় যে বিক্রিয়ায় নিউট্রনের গতিকে ধীর করার জন্য। এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইউরেনিয়াম। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় ২৩৯-প্লুটোনিয়াম, যারই মাধ্যমে তৈরি হয় পরমাণু বোমা। দেখা যায় ভারত অথবা উত্তর কোরিয়া এভাবেই তৈরি করেছে তাদের পরমাণু অস্ত্র।

    আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে

    এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইজরায়েলের (Israel) ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে যে, তারা অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে এবং তা আরক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে ধ্বংস করতে চালানো হয়েছে। কারণ তারা প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কারণ এই প্লুটোনিয়ামের মাধ্যমেই ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জানা যায়, ইরান এই আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু করে আজ থেকে ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালেই। কিন্তু কোনও রকমের বৈধ ছাড়পত্র তারা পায়নি এই কাজের। এই আরক রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার জন্য তাদেরকে কোনও অনুমতি দেয়নি ইন্টারন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স। কিন্তু তারপরেও গোপনে এই কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে ইরান।

    ব্যর্থ হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    পরবর্তীকালে ইজরায়েল এবং ইরানের যুদ্ধ শুরু হলে তেল আভিভ থেকে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি সম্প্রচার করা হয়। এই সম্প্রচারের মাধ্যমে তারা জানায় যে, আরকে অবস্থিত নাগরিকরা যেন তাড়াতাড়ি সেই স্থান খালি করেন। তারা আরও জানায় যে, সেখানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। জানা যায়, অত্যন্ত উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েল হামলা চালায় ওই পরমাণু কেন্দ্রে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও ইজরায়েলের হামলাকে রুখতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।

    পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম ধ্বংস

    ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম পরবর্তীকালে মেনে নেয় যে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ওই কেন্দ্রে। তারা আরও বলে যে ইজরায়েলের ঘোষণার পরেই খালি করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ আরককে এবং সেখানে বর্তমানে কোনও তেজস্ক্রিয় বিপদ নেই। এখনও পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ যে ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম, তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ইজরায়েলের হানায় এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উয়েপন-গ্রেড প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন।

    ইরাক ও সিরিয়াতেও এমন হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল

    প্রথমেই তবে ইরানের ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায়নি ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক ৭ দিনের মাথায়, যখন ইরান বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের হাসপাতালে। তারপরেই প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। তাঁদের দেশের অসামরিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইরান। এনিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধা্নমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।” এরপরেই ইরানের (Iran) ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইজরায়েল এমন হামলা চালিয়েছিল ১৯৮১ সালে ইরাকের অসিরাক রিঅ্যাক্টরে, পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে সিরিয়াতে। এরপরেই ২০২৫ সালে এই একই হামলা দেখা গেল ইরানে।

    কী বলছেন ইরানের রাজনৈতিক নেতারা?

    ইরানের (Iran) রাজনৈতিক নেতারা ইজরায়েলের এমন হানাকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাঁরা জানিয়েছেন যে, এভাবেই তারা (ইজরায়েল) আন্তর্জাতিক আইনকে না মেনে এমন কাজ করেছে। ইজরায়েলের এমন হানার পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে একটি সরাসরি সম্প্রচারে আসতে দেখা যায়। সেখানে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং বলেন যে, ইজরায়েল যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার প্রত্যাঘাত হবেই। আমরা তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেব। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে এই যুদ্ধে ইরান ব্যবহার করতে পারে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে এবং ইরাকের জঙ্গি সংগঠন শিয়া মিলিশিয়াকে।

  • Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উদযাপিত হওয়া বিভিন্ন ধর্মকৃত্য বা লৌকিক আচার অথবা বিভিন্ন ব্রত একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অনেকটাই বিজ্ঞান সম্মত। আসলে, সাধারণ মানুষ ধর্মের কথা যতটা বোঝেন বিজ্ঞানের কথা তার থেকে অনেকটা কম উপলব্ধি করতে পারেন। তাই বৈজ্ঞানিক কারণগুলিকে ধর্মীয় আচারের মোড়কে তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষের বুঝতে সাহায্য হয়। তেমনই একটি আচার বা উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi 2025)।

    ধরিত্রীকে মা অর্থাৎ নারী হিসেবে গণ্য করার প্রবণতা বহু প্রাচীন। বিভিন্ন সভ্যতা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাব নানা আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধরিত্রীর নারীত্ব উদযাপন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে পালিত হওয়া তেমনি একটি লোকাচার ‘অম্বুবাচী’ বা ‘রজঃপর্ব’। এই উপমহাদেশে ধরিত্রী বা দেশকে মা হিসেবে মহিমান্বিত করে নারীত্বের উদযাপন আমরা দেখি। ধরিত্রী বা দেবীকে নারী হিসেবে কল্পনা করে সেটা উদযাপন করার উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav)। এটি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং পৃথিবীর উর্বরতা ও প্রজননের প্রতীক। এই সময়টি কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রকৃতির চক্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশের সময়। এটি নারী প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি উৎসবও বটে।

    চলতি বছর অম্বুবাচীর তারিখ

    অম্বুবাচী প্রবৃত্তি (শুরু)- ২২ জুন ২০২৫, রবিবার (৭ আষাঢ় ১৪৩২)
    অম্বুবাচী নিবৃত্তি (সমাপ্ত)- ২৫ জুন ২০২২, বুধবার (১০ আষাঢ় ১৪৩২)

    সতীপীঠ কামাখ্যায় সূত্রপাত অম্বুবাচীর

    একান্ন সতীপীঠের অন্যতম অসমের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya Mandir)। যেখান থেকেই এই অম্বুবাচী পালনের সূত্রপাত। অম্বুবাচীর সময় অসমের কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম এই কামাখ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। একান্নটি খন্ডে বিভক্ত হওয়া দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল এখানে। এর ইতিহাস সুদূরপ্রসারী।

    শাস্ত্রে অম্বুবাচীর নিয়ম

    অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। অম্বুবাচী প্রবৃত্তির তিনদিন পর হয় অম্বুবাচী নিবৃত্তি। পঞ্জিকা মতে, আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ গ্রামবাংলায় এই আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পিঠে-পায়েস বানানোর রীতি আছে এই সময়। বিধবা মহিলারা এই সময় তিন দিন ধরে ব্রত পালন করে থাকেন। শাস্ত্র অনুসারে, অম্বুবাচীর তিন দিন যে কোনও মাঙ্গলিক কার্য বা শুভ কর্ম, যেমন – বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, উপনয়ন, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজও এই সময় বন্ধ থাকে। জমিতে কোনও রকম খোঁড়াখুড়ি থেকে বিরত থাকা হয়। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর নিবৃত্তির পর আবার জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়।

    অম্বুবাচী শব্দের উৎস কী?

    অম্বুবাচী শব্দটি অম্বু এবং বাচী এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে অম্বু অর্থ জল এবং বাচী অর্থ প্রস্ফুটিত। এই শব্দটি নারীর শক্তি এবং তাদের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। ‘অম্বুবাচী’ (Ambubachi 2025) শব্দের অর্থ হল জল সূচনা। আষাঢ় মাসের শুরুতে ধরিত্রী বা বসুমাতা বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে ঋতুমতি নারী হিসেবে গণ্য হন। কৃষিভিত্তিক সমাজের সাথে যার নিবিড় যোগসূত্র। রজঃস্বলা নারীকে যেমন সন্তান ধারণে সক্ষম মনে করা হয় তেমনি বসুধাও ঋতুমতি হয়ে জলসিক্ত হয়, হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। উর্বরতা বৃদ্ধি এবং ভাল ফসল ফলার সাথে সম্পর্কিত এটি।

    বেদ-শাস্ত্রে বলা হয়েছে ধরিত্রী মা

    শাস্ত্রে পৃথিবীকে মাতৃস্থানীয় বা ধরিত্রী মাতা বলা হয়। বেদে এই রকমই বলা হয়েছে বসুন্ধরা আমাদের মা। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলা হত। আবার আক্ষরিক অর্থে পৃথিবী সকল উদ্ভিদ ও জীব কুলের মাতা, কারণ সেখানেই আমাদের জন্ম, শুধু আমাদের কেন- ফুল, পাখি, প্রকৃতি এক কথায় সবাই আমরা পৃথিবীর সন্তান। প্রাচীন কালে চাষ আবাদ বা কৃষিকাজ বিশেষ কিছু তিথি নক্ষত্র অনুসারে শুরু করা হত। তার কারণ মানুষের কাছে তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল না। লোককথা অনুসারে, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন বলে বিশ্বাস। সূর্য আদ্রা নক্ষত্রে গমন করলে বর্ষাকাল শুরু হয়। আবার অম্বুবাচীর অর্থও হল জল বৃদ্ধি। তাই এই সময়কে অম্বুবাচী বলা শুরু হয়। এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এই সময় মাটি কাটা, জমিতে লাঙ্গল চালানো যায় না।

    পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক

    অম্বুবাচী (Ambubachi 2025) হল ধরিত্রী মাতার ঋতুস্রাব এবং পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক। বর্ষার শুরুতে বসুমতি মাতা যখন বর্ষা ঋতুর জলে সিক্ত হয়ে ওঠেন, তখন তাকে এক ঋতুমতী নারী রূপে গণ্য করা হয়। ঋতুকালে নারীরা রজঃস্বলা হওয়ার পর সন্তানধারণে সক্ষম হয়, বসুমতী মাতাকেও সেইভাবে গণ্য করা হয়, কারণ সিক্ত ধরা সহজেই ফসল উৎপাদন করতে পারে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ প্রবাহের পর শুষ্ক ধরিত্রী কে বর্ষার জলসিঞ্চন এর মাধ্যমে উর্বর করার জন্য কিছুদিন বিশ্রাম প্রদান করা হয়। মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর। উর্বর মৃত্তিকাই প্রদান করতে পারে উৎকৃষ্ট মানের ফসলের। শস্য শ্যামল উর্বর পৃথিবীর জন্য সন্তানগণ ধরণী মায়ের নিকট এই তিনদিন প্রার্থনা করেন। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার বুক থেকে উৎপন্ন শস্য খাদ্য হিসাবের গ্রহণ করে দুধে ভাতে বেঁচে থাকতে পারে।

    অম্বুবাচীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

    প্রকৃত পক্ষে, অম্বুবাচীর সময়টিকে বর্ষার সূচনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে মাঠ-ঘাট ভিজে যায়। অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) সময় বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি আর্দ্র থাকে এবং এটি ফসল রোপণের জন্য উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং এটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। বৃষ্টির জল এবং আর্দ্রতা মাটির অণুজীবের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এই সময়টিকে পৃথিবীর উর্বর হওয়ার কাল হিসেবে ধরা হয়। জল ধরনের ফলে কৃষিকাজের ও সেচের প্রয়োজনীয় জল ও সহজেই সংগৃহীত হয় বাড়ত ভূগর্ভস্থ জলস্তর। সেকারণে অম্বুবাচীর কটা দিন প্রকৃত পক্ষে ধরণীকে আরো বেশি উর্বর হবার সুযোগ দেবার জন্য কৃষকরা কৃষিকাজ থেকে বিরত থাকেন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির পরেই প্রাচীনকালে জমিতে চাষ আবাদ শুরু করা হত। ফলে, অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav) একটি কৃষিভিত্তিক উৎসব।

  • Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে পরিবার! কাজের জন্য অধিকাংশ পরিবারেই সন্তান আর বাবা-মায়ের বাসস্থানের ঠিকানা এখন আলাদা! পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে অধিকাংশ পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে আলাদা শহরে কিংবা ভিনদেশে থাকতে হচ্ছে। বাড়িতে থাকছেন প্রৌঢ় বাবা-মা। আর তার প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কে! সম্প্রতি অ্যালজাইমার নিয়ে এক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, একাকিত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কারণ একাকিত্ব (Loneliness)!

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে দেশ জুড়ে বেড়েছে ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সেই অনেকে খুব সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের বিষয়ে মনে রাখতে পারছেন না। এর ফলে বয়স্কদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই ‘ব্রেন ফগ’-র মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, স্বাভাবিক কাজ করার সময়েই হঠাৎ কী কাজ করা হচ্ছিল, কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে সবকিছু কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা বারবার দেখা দিলে যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ব্যবহারের ছোটো ছোটো জিনিস মনে রাখতে না পারা, ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। একাধিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মধ্যে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন একাকিত্ব (Loneliness) বিপদ বাড়াচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে সমাজ ও পরিবারের কাঠামো অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই অনেক সময়েই পরিবারের তরুণ প্রজন্মদের সঙ্গে বয়স্কদের সময় কাটানোর বিশেষ সুযোগ হয় না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলে, অনেক সময়েই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হয়। এর প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। স্নায়ুর সক্রিয়তা ও কমে যায়। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক কারণেই স্নায়ুর ক্ষমতা কমে। কিন্তু তার উপরে মানসিক চাপ বাড়তি প্রভাব ফেলে। পাশপাশি, বাড়িতে দীর্ঘ সময় একা থাকলে সক্রিয় থাকার সুযোগ কম হয়। স্থির জীবনে মস্তিষ্কের কাজ করার সুযোগ ও কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপরে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও কমতে থাকে‌। তাই অ্যালজাইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ার পিছনে একাকিত্ব সবচেয়ে বড় কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের?

    ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। পরিবারের কাঠামো ও বদলে যাচ্ছে। তাই এই সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকাও দরকার। প্রৌঢ় বয়সে নিজের মতো জীবন যাপন জরুরি। সে সম্পর্কে অবগত থাকাও প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেই ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমবে‌। মানসিক চাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত সক্রিয় জীবন যাপন, সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

    বই পড়া, হাঁটা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বই পড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস একাকিত্ব (Loneliness) কাটাতে সাহায্য করবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখবে। স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করবে‌‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা বা পড়লে মস্তিষ্কের কাজ হয়। আবার একাকিত্ব কমে‌। এর ফলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
    এর পাশপাশি নিয়মিত হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকাল ও বিকেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে বেরোলে অবসাদ কমে। মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলা এগুলো একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করে। আবার নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়‌। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ঠিক থাকে।

    আড্ডায় অনেক উপকার

    বিভিন্ন ধরনের মেন্টাল অ্যাক্টিভিটির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরে বসেই ক্রশওয়ার্ড বা পাজেল গেম জাতীয় অ্যাক্টিভিটির অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে‌। বন্ধু তৈরি সবচেয়ে জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য বন্ধু প্রয়োজন। একাকিত্ব কাটাতে এবং প্রৌঢ় বয়সের রোগের ঝুঁকি কমাতেও জরুরি বন্ধু। তাই এলাকার ও আশপাশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দরকার। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এলাকার সম বয়সিদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করার অভ্যাস থাকা জরুরি। তাহলে একাকিত্ব (Loneliness) জটিল আকার নিতে পারবে না। ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বহুদিনের দাবি পূরণ হল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের একটি উল্লেখযোগ্য দাবি পূরণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি, এতে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে (Pension Schemes) বলেও মনে করেন তিনি। পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার বিভাগ এ বিষয়ে একটি সরকারি নির্দেশিকা (অর্ডার) জারি করেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS)-এর আওতায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও এখন থেকে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস (পেনশন) বিধি, ২০২১-এর আওতায় অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন গ্র্যাচুইটি (Gratuity) সুবিধা পাবেন।

    নতুন আদেশ অনুযায়ী কী বলা হল (Central Government) ?

    NPS-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীরা অবসর বা চাকরি চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন।

    ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে সংশোধিত নিয়মে।

    চাকরির মেয়াদকালে (Central Government) মৃত্যু হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার পরিবার CCS পেনশন বিধি অনুযায়ী সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

    এতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্যতা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বলছেন অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল?

    অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এনপিএস-এ অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন সুবিধা নিয়ে এতদিন যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, সরকারের এই নতুন আদেশ সেই অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়িত হল।’’

    অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নিয়োগপ্রাপ্তরা এককালীনভাবে এনপিএস এবং সিসিএস (Pension) রুলসের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তে যেমন কর্মচারীরা উপকৃত হবেন, তেমনই অবসর এবং মৃত্যুকালীন আর্থিক সুরক্ষা আরও দৃঢ় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল (Central Government) ।

LinkedIn
Share