Tag: বাংলা খবর

  • Independence Day 2025: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ভাবছেন, সঠিক নিয়ম জানেন তো?

    Independence Day 2025: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ভাবছেন, সঠিক নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ২০২৫ সালে ভারত তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই উদযাপন শুরু হবে দেশজুড়ে। শুক্রবার, সকাল থেকে চলবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক কর্মসূচি পালন। স্বাধীনতা দিবস মানে অনুষ্ঠান-উৎসব, নাচ-গানের মাধ্যমে দেশের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করা। দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবাদের এক আলাদা পরিবেশ দেখা যায় শহক থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রান্তিক জনপদগুলিতেও। বাড়ি থেকে ক্লাব, সর্বত্র দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নাগরিকরা। বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন পতাকা উত্তোলন করার।

    দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা

    পতাকা উত্তোলন (Independence Day) তো সর্বত্রই হবে, কিন্তু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, রয়েছে সেই ব্যাপারে কয়েকটি নিয়মাবলি ও নির্দেশিকাও (National Flag Hoisting Rules)। দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মাবলী বেঁধে দিয়েছে এবিষয়ে। এই দুই বিধিতেই শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। এমন ভাবে তা তুলতে হবে যেন তা কোনওভাবেই মাটিতে স্পর্শ না করে বা কখনও জাতীয় পতাকাকে কেউ যেন পোশাক হিসেবে ব্যবহার না করেন।

    কী কী করতে হবে?

    – ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার (Independence Day) ২ নং ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের অধিকার রয়েছে তাঁর বাড়ি, ব্যবসায়িক জায়গায় অথবা কর্মস্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার।

    – যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রদের শপথ বাক্য পাঠ করানোরও কথা বলা হয়েছে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় মনে রাখতে হবে যে এই পতাকা আমাদের দেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক।

    – জাতীয় পতাকা কোনওভাবেই উল্টো করে উত্তোলন করা যাবে না, সর্বদাই গেরুয়া অংশ ওপরে থাকবে এবং সবুজ অংশ নীচে থাকবে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় অথবা নামিয়ে নেওয়ার সময় সর্বদাই স্যালুট করতে হবে।

    – জাতীয় পতাকা সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে।

    কী কী করা যাবে না (National Flag Hoisting Rules)

    – কোনও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না, কাপড় হিসেবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিল ক্লথ, রুমাল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।

    – সূর্যাস্তের পরে তিরঙ্গা নামিয়ে নিতে হবে।

    – জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও অবস্থাতেই অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, এতে পা দেওয়া যাবে না, ইচ্ছাকৃতভাবে মাটিতে বা মেঝেতে স্পর্শ করানো যাবে না।

    – ফুল-মালা বা অন্য কোন বস্তু জাতীয় পতাকার ওপরে রাখা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকা ফেস্টুন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

    – নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকার ওপর কোনও ধরনের স্লোগান বা নকশা আঁকা যাবে না।

  • West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ। তার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হচ্ছে বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে, আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) জানাল আলিপুর আবহওয়া দফতর।

    প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়, তাতেই বৃষ্টি

    বঙ্গোপাসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মিলে গেছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এরপর সেটি শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী দু’দিনের মধ্যে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের স্থলভাগে প্রবেশ করবে এটি। এর সরাসরি প্রভাব বাংলায় না পড়লেও, প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। তার জেরেই আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হবে (Rain Alert)।

    দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলায় হলুদ সতর্কতা

    আলিপুর আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলায়। সেগুলি হল— কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও শুক্রবার উপকূল ও পশ্চিমের জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। তবে সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি থাকলেও, তা সীমাবদ্ধ রয়েছে কেবল ৭ জেলায়।

    উত্তরের ৫ জেলায় হলুদ সতর্কতা

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলায় আগামী ৫ দিন হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। যেখানে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।

  • Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে পালিত উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতেই দেশজুড়ে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী (Janmashtami)। এটি হিন্দু ধর্মের কাছে খুবই পূণ্যের তিথি। এই শুভ তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসাবে শ্রীকৃষ্ণকে পুজো করা হয়। বাসুদেব ও দেবকীর অষ্টম সন্তান এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ কংসের কারাগৃহে জন্ম হয়। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে (Janmashtami 2025 Tithi) ও রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। প্রতি বছর এই তিথিতে কৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ, ননীগোপালের পুজো করা হয়। জন্মাষ্টমীর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছরটি শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১তম জন্মদিন।

    কবে কখন পড়ছে তিথি? কী বলছে বিভিন্ন মত?

    চলতি বছর, জন্মাষ্টমী ১৬ অগাস্ট। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হবে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার ১৬ অগাস্ট। সেদিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তিথি শেষ হবে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন (গভীর) রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি শুরু হবে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার। পঞ্জিকা বলছে, সেদিন রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে।

    তবে, উপবাস তিথিটি পড়েছে ১৫ থেকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে। নিশীথপুজোর সময়টা হল– ১৬ অগাস্ট রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে ১২টা ৪৬ মিনিট। রোহিণী নক্ষত্রে অষ্টমী তিথি শেষ হলে তবেই উপবাসভঙ্গ করার বিধি। ব্রহ্ম মুহূর্ত পড়ছে ভোর ৪টে ২৪ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত। স্মার্ত ও বৈষ্ণব ঐতিহ্যে জন্মাষ্টমী দুদিন মানা হয়। ইসকন-ই এখন বলতে গেলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বে। তারা ১৬ অগাস্ট দিনটিকেই জন্মাষ্টমীর মূলতিথি হিসেবে ধরছে। অন্যদিকে, ১৫ অগাস্ট স্মার্ত সম্প্রদায় পালন করবে জন্মাষ্টমী। এই সম্প্রদায় রোহিনী নক্ষত্র অনুসারে তাঁদের জন্মাষ্টমী তিথি পালন করে থাকে। এই সম্প্রদায় নিশীথকালকেই অগ্রাধিকার দেয়। অষ্টমীতিথিটা কতক্ষণ থাকছে– এটাই তাঁদের কাছে সব জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রের গ্রহনক্ষত্র দিন-তিথি অনুযায়ী কখন এই মহাপুণ্যমুহূর্ত আসছে, সেটা দেখেই তারা জন্মাষ্টমী পালন করে।

    ১৭ তারিখ পালিত হবে নন্দোৎসব

    জন্মাষ্টমীর পরের দিন, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট পালিত হবে নন্দোৎসব। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ উদযাপন করে, যেখানে নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেন। নন্দোৎসব, যা নন্দনন্দন উৎসব নামেও পরিচিত, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়।

  • Parathas: সকালে প্লেটে পরোটা মানেই কি ‘অস্বাস্থ্যকর’? মিথ ভাঙছেন পুষ্টিবিদরা!

    Parathas: সকালে প্লেটে পরোটা মানেই কি ‘অস্বাস্থ্যকর’? মিথ ভাঙছেন পুষ্টিবিদরা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনভরের কাজের শক্তি সকালের জলখাবারে থাকে। শরীর কতখানি সক্রিয় থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হৃদরোগ থেকে কিডনির রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। তাই প্রাতঃরাশে কোন খাবার খাওয়া হবে, সে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে অনেকেই ভারতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। ভরসা রাখছেন পশ্চিমী খাবারে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধারণা সবসময় ঠিক হয় না। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, একাধিক ভারতীয় খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই সেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারি।

    জলখাবারে পরোটায় ভরসায় রাখছেন পুষ্টিবিদরা?

    সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে পরোটা শুনে অনেকেই নাক কুঁচকে দেন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পরোটার মতো খাবার প্রাতঃরাশের মেনুতে রাখতে একেবারেই নারাজ। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরোটাতেই ভরসা রাখছেন।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা দিয়ে তৈরি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু ভারতীয় খাবারে বৈচিত্র্য অনেক। তাই পরোটাও নানান রকমের হয়। আটা, মিলেট, রাগি, বাজরার মতো একাধিক দানাশস্য দিয়ে পরোটা তৈরি করা যায়। শুধুই দানাশস্যের তৈরি নয়। পরোটার ভিতরে নানান সব্জির পুর দেওয়া যায়। এমনকি মাংস কিংবা পনিরের পুর দিয়েও পরোটা তৈরি করা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিলেট, বাজরা কিংবা রাগির মতো দানাশস্যের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে অল্প পরিমাণ বাটারে পরোটা তৈরি করলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি হবে। বিশেষত ভিতরে পালং শাক, গাজর, বিনস্, বিট, মাংসের পেস্ট কিংবা পনিরের টুকরোর পুর ঢুকিয়ে দিলে এই পরোটার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।

    সব্জির পুর ভরা পরোটা খেলে…

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরনের জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে একদিকে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পাবে। কারণ, মিলেট, বাজরা, রাগির মতো দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। এই উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে, অতিরিক্ত মেদ বাড়তে দেবে না। কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও কমাবে। এর ফলে অন্ত্র ভালো থাকবে। সব্জির পুর ভরা পরোটা খেলে ফাইবারের সঙ্গে শরীরে ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানের চাহিদা পূরণ হবে। পনীর কিংবা মাংসের টুকরো মেশানো পরোটা থাকলে প্রোটিনের জোগান ও থাকবে। ফলে সারাদিনের প্রয়োজনীয় এনার্জি সহজেই পাওয়া যাবে। এই ধরনের খাবারে স্বল্প পরিমাণ বাটার জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে শরীরে ফ্যাটের চাহিদাও পূরণ হবে। আবার বাড়তি মেদ তৈরির ঝুঁকিও থাকবে না।

    তাই জলখাবারে পরোটাতে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত তেলে ভাজা ময়দার পরোটা নয়। বরং স্বাস্থ‌কর উপাদানে তৈরি পরোটা। যাতে সকালেই শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারের মতো উপাদান পায়। তাতে সারাদিনের কাজের এনার্জি সহজেই পাওয়া যাবে। আবার একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমানো যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন রাহুল গান্ধীরা। এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন—সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব না পাওয়ার আগেই কারচুপি করে নিজের নাম দু’বার ভারতের ভোটার তালিকায় নিবন্ধন করেছিলেন। নিজের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের কাজ জনগণ ও গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা।

    নাগরিক না হয়েও ভারতের ভোটার হন সোনিয়া (Sonia Gandhi)

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি প্রতিলিপি পোস্ট করেন, যা তিনি গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ পুরনো ভোটার তালিকা বলে দাবি করেন। ওই তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর নামও দেখা যায়। অমিত মালব্য লেখেন, “ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গাঁধীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। আজ রাহুল গাঁধী যে ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তার পেছনে হয়তো সেই পুরনো ঘটনা জড়িত।”

    ১৯৮০ সালে নাম তোলা হয় সোনিয়ার, তখনও তিনি নাগরিক নন

    অমিতের অভিযোগ, ১৯৮০ সালে প্রথমবার ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নাম তোলা হয়, অথচ তিনি তখনও ভারতের নাগরিক ছিলেন না। তিন বছর পরে, ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। মালব্যর বক্তব্য, ওই সময় সোনিয়া গান্ধী ইতালির নাগরিক ছিলেন এবং নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় তোলা আইন লঙ্ঘনের শামিল। এমনকি ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত সংশোধিত ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

    একই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও

    রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর সোনিয়া গান্ধী কেন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। একইসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে সোনিয়া গান্ধী ১৯৪৬ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী সোনিয়া মাইনো, ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় নাগরিক হওয়ার এক বছর আগেই তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়েছিল।

    ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে

    মালব্যর পোস্টে সফদরজং রোডের ১৪৫ নম্বর বুথের তালিকার ছবি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর নাম রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে। ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে ভারতে আসেন। ভারতের রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ভারতের নাগরিক নন এমন কারোর নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারবে না। সেই আইন ভাঙা হয়েছে।

    ১৯৮২ সালে নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়

    বিজেপির দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে, যখন গোটা গান্ধী পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বসবাস করছিল, সেই সময়েই সোনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ১৯৮২ সালে সেই নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়। পরে, ১৯৮৩ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ফের তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়।

    বেআইনিভাবেই নাম তোলা হয় সোনিয়ার (Sonia Gandhi)

    তবে অমিত মালব্যর অভিযোগ, তখনও জালিয়াতি হয়েছিল। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, অথচ সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ওই বছরের ৩০ এপ্রিল। ফলে, নাগরিক না হয়েও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি বিজেপি নেতার।

    রাহুলদের মিথ্যাচারের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

    নির্বাচন কমিশনের “বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা” (Special Intense Revision) দেশজুড়ে চালু করার ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই তা বাস্তবায়িত হয়েছে বিহারেও। এই প্রেক্ষাপটে, বিরোধী দলগুলিকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তারা একাধিক অভিযোগ তুলছেন। যার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন। ইন্ডি জোটের রাহুলরা একদিকে যেমন ভোট চুরির অভিযোগ করছেন, আবার অন্যদিকে এই এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতাও করছেন। প্রশ্ন উঠছে—যদি সত্যিই ভোট চুরি হয়ে থাকে, তবে তার প্রতিকার তো এসআইআরই, সেটারই বিরোধিতা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা। একই সঙ্গে, যদি তারা ভোট কারচুপির প্রকৃত অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন? এই আবহে সোনিয়ার ভোটার তালিকায় নাম তোলায় কারচুপি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেস।

    বড় ধাক্কা ইন্ডি জোটের

    প্রসঙ্গত, সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সন ছিলেন। তাঁকে কংগ্রেসের ‘অন্তরাত্মা’ কিংবা ‘সর্বেসর্বা’ বলেও অভিহিত করা হতো। সেই প্রেক্ষাপটে, যখন তাঁর বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম কারচুপি করে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে, তখন ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠেছে—তাঁদের আন্দোলনের নৈতিকতা আদৌ কি বজায় থাকল?সোনিয়া গান্ধীর নাম নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে—এই অভিযোগ সামনে আসায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্য এটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

  • Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানো নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্রমশই সমালোচনা করছেন এক শ্রেণির মানুষ। এই আবহে মঙ্গলবারই, এ নিয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সেখানে ইথানল মেশানোর পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি তুলে ধরা হয়েছে (Central Government)। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, পেট্রলের তুলনায় আখ থেকে তৈরি ইথানল থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হয় ৬৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে, ভুট্টা থেকে তৈরি ইথানল ব্যবহার করলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়।

    ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে

    এটা যেমন একটি পরিবেশগত সুবিধা, তেমনই এর বাইরে গ্রামীণ জীবিকাকেও মজবুত করেছে। কারণ, ইথানল মূলত আখ ও ভুট্টার মতো কৃষিপণ্য থেকে উৎপন্ন হয়, যা দেশের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে কৃষিপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। ইথানল উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহের কাজে কৃষকরা সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। ফলে তাঁরা অতিরিক্ত আয়ও করছেন। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের মতো এলাকাগুলিতে, যেখানে অতীতে কৃষকের আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক ছিল, সেখানে ইথানল-ভিত্তিক কৃষি-অর্থনীতি একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে (Ethanol Blending)।

    কমেছে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন

    এর পাশাপাশি, কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনও অনেকটা কমেছে, যা প্রায় ৩০ কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য (Central Government)। চলতি বছরে ইথানল মেশানোর কারণে কৃষকরা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার (Ethanol Blending), ইথানল বর্তমানে পরিশোধিত পেট্রলের চেয়ে ব্যয়বহুল—২০২৪-২৫ সালেও গড়ে প্রতি লিটার ৭১.৩২ টাকা।

  • OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (OCI) রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন নিয়ম-কানুন জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় (OCI Card Holders) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কঠোর নিয়ম। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর ওসিআই রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

    ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা, কী বলা হল তাতে? (OCI Card Holders)

    এই নতুন নির্দেশ ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে এবং এটি সমস্ত বিদ্যমান ওসিআই কার্ডধারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারীকে দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়, অথবা যদি তাঁর নাম এমন চার্জশিটে উল্লেখ থাকে যেখানকার সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর কার্ড বাতিল করা যেতে পারে (OCI Card Holders)।

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে (MHA)

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এই স্কিমের আওতায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের ভারতে যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, যেটির জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। ওসিআই কার্ডধারীরা ভারতে কিছু নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক এবং আবাসন সংক্রান্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে তাঁদের কোনও রাজনৈতিক অধিকার থাকে না—যেমন ভোট দেওয়া, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হওয়া ইত্যাদি।

    ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নতুন পদক্ষেপ মূলত ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ধারা অনুযায়ী গৃহীত হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারী ব্যক্তি দুই বছরের বা তার অধিক মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত হন, অথবা এমন কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হন যার সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে। এই শাস্তি ভারতে হোক বা বিদেশে—উভয় ক্ষেত্রেই নির্দেশ কার্যকর হবে। সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ওসিআই কার্ডধারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা, অথবা দেশদ্রোহমূলক কাজ। সেই কারণেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে (OCI Card Holders)।

  • Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিল কবি বৈরামুথুর রামচন্দ্রকে (Lord Ram) নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। রামের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, এমন মন্তব্য করেন এই তামিল কবি। এরপরেই ভগবান রামকে অপমান করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কবি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তামিলনাড়ুর প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার বৈরামুথু (Vairamuthu) ‘কাম্বারামায়ণ’ রচয়িতা চক্রবর্তী কাম্বানের নামে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ‘রামায়ণ’ (Lord Ram) বিষয়ে আলোচনার সময় রামচন্দ্রকে নিয়ে তাঁর কিছু মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস. জগৎরক্ষকন।

    কী বলেন বৈরামুথু (Vairamuthu)?

    সেখানে বৈরামুথুকে বলতে শোনা যায়, “সীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রামের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কী করছেন, কেন করছেন, বোঝার শক্তি ছিল না তাঁর। এমন অপরাধ ঘটানো হয়েছিল, যাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদের ৮৪ আওতায় (অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ঘটানো অপরাধ) অপরাধ বলা হয় না, কাম্বান হয়ত আইন জানতেন না। রামকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল, ক্ষমা করে দেওয়া হল-রামকে (Lord Ram) মানুষে পরিণত করা হল, কাম্বান হলেন ভগবান।”

    তামিল কবির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি

    বৈরামুথুর ওই মন্তব্য সামনে আসতেই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি এন নাগেন্দ্রন বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কি বৈরামুথুর মন্তব্য সমর্থন করেন?” একইসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র নারায়ণন তিরুপতি বৈরামুথুকে (Vairamuthu) ‘মূর্খ’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। রামচন্দ্র (Lord Ram) নন, আসলে বৈরামুথুর ‘মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির মুখপাত্র। বিজেপির আরও এমন কাণ্ড বৈরামুথু আগেও ঘটিয়েছেন। আগেও হিন্দু দেবতাদের অপমান করেছেন তিনি, ধর্মীয় আবেগে আঘাত হেনেছেন। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি-র। এনিয়ে বৈরামুথুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছে বিজেপি।

  • Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল শরীফ। এবার ওই সাংবাদিককেই হামাসের জঙ্গি বলে আখ্যা দিলেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রুভেন আজার (Israeli Ambassador)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাস সারা বিশ্বকে প্রতারণা করছে। তাদের জঙ্গিরা কখনও সাংবাদিকের ছদ্মবেশে, কখনও চিকিৎসক বা ত্রাণকর্মীর ছদ্মবেশে আত্মগোপন করছে।

    হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ

    তিনি (Israeli Ambassador) আরও বলেন, হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ। আমরা আনাস আল শরীফ নামে একজন জঙ্গিকে টার্গেট করেছিলাম। সে আসলে হামাসের সদস্য এবং তাদের একটি ইউনিটের কমান্ডার ছিল। হামাসের সামরিক শাখা তাকে একাধিকবার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাষ্ট্রদূতের দাবি, কোনও সাংবাদিক গাজায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না যদি না তিনি হামাসের সদস্য হন অথবা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তিনি বলেন (Israeli Ambassador), “ইজরায়েল কেবল কারও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কাউকে টার্গেট করে না। আনাস আল শরীফকে আমরা বহুদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কারণ সে একজন হামাস জঙ্গি ছিল। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যা আমরা রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পেয়েছি।”

    ইজরায়েলের হামলায় নিহত ৭

    জানা যায়, গাজায় ইজরায়েলের সাম্প্রতিক এক হামলায় নিহত সাতজনের মধ্যে আনাস আল শরীফও ছিলেন (Hamas)। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। তিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন সাংবাদিক — মহম্মদ ইব্রাহিম, মোমেন আলিয়া, ও মোহাম্মদ নওফাল — ওই হামলায় নিহত হন। হামলার পর ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তিনি সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ছিলেন। তাদের দাবি, তিনি হামাসের সামরিক শাখার একজন প্রধান এবং গাজা থেকে ইজরায়েলের (Israeli Ambassador) অসামরিক নাগরিক ও সেনাবাহিনীর ওপর রকেট হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

    ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)–এ একটি পোস্ট করে লিখেছে, “সন্ত্রাসী আনাস আল শরীফ, যিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে উপস্থাপন করতেন, আসলে হামাসের একটি জঙ্গি ইউনিটের প্রধান ছিলেন এবং তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সেনার ওপর একাধিক হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গাজা থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য এবং নথিপত্র থেকে আমরা এসব তথ্য পেয়েছি।”

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

LinkedIn
Share